• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান ড্রাগ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করছে

    জাপানের কর্মকর্তারা একাধিক ঔষধ প্রতিরোধী ব্যকটেরিয়া সংক্রমণের হুমকি মোকাবেলায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করবে।

    আমেরিয়া ও ইউরোপের মেডিকেল কেন্দ্র গুলো একাধিক ঔষধকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম ব্যকটেরিয়ার বিস্তার নতিভুক্ত করেছে।

    রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের এই ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণে কারো কারো মৃত্যুও হয়েছে।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে খুব বেশি মাত্রায় অ‌্যান্টিবায়টিক ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা আরো প্রকটাকার ধারন করতে পারে।

    কর্মকর্তারা জাপানেও এ ধরনের ব্যকটেরিয়ার অস্তিত্বের কথা জেনেছেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসা রোগীরা এ সব ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। বিদেশ থেকে জীবানুর বাহক হয়ে তারা দেশে ছড়িয়েছেন।

    স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এখন প্রথমবারের মতো নিজেরাই একটি টিম গঠন করেছেন। তারা একাধিক ড্রাগ-প্রতিরোধী জীবাণুর সংক্রমণ এড়াতে কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।

    জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো

    শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল আমাদের হৃদপিণ্ড বা হার্ট। হার্টের কোনও সমস্যা হলে তা আগে থেকে বোঝা যায়। আগে থেকেই জানা থাকলে খুব সহজেই হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। এবার জেনে নেয়া যাক কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
    বুকে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো বুকের বামদিকে মাঝে মাঝেই ব্যথা হওয়া। বুকে ব্যথা হলে বিষয়টি কখনো এড়িয়ে যাবেন না। মাঝেমাঝেই বুকে ব্যথা হলে দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
    হাতে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের আগে হাতে ব্যথা হয়। সাধারণত বাম হাতে ব্যথা হয়। তবে ডান হাতেও ব্যথা হতে পারে। এছাড়া বুকের ব্যথা হাতে প্রসারিত হতে পারে।
    হাত-পা ফুলে যাওয়া: হাত-পা মাঝেমধ্যেই ফুলে যায় আপনার? এমনটা খেয়াল করলে দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। এটি হৃদপিণ্ডের সমস্যার একটি লক্ষণ। হৃদপিণ্ডে সমস্যা হলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে হাত-পা ফুলে যায়।
    ঘুম ঘুম ভাব: ভালো ঘুম হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়াই আপনার যদি সারাক্ষণ ঝিমুনি পায় তাহলে বুঝবেন হার্টে সমস্যা রয়েছে।
    অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: যদি আপনার মনে হয় হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে, তাহলে সতর্ক হোন। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলির একটি এটি।
    প্রচুর পরিমাণে ঘেমে যাওয়া: পাখার নিচে বসেও যদি দেখেন যে আপনি একেবারে ঘেমে যাচ্ছেন তাহলে বুঝবেন সমস্যা গরম থেকে নয়, হূদযন্ত্রে হয়েছে।
    নাক ডাকা: নাক ডাকার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে ঘুমের মধ্যে অনেক নাক ডাকলে বুঝবেন আপনার নিদ্রাহীনতার সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে হার্টে অত্যধিক চাপ পড়ে। ফলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ক্রমাগত কাশি: বহুদিন ধরে যদি কাশির সমস্যা থাকে তাহলে সাবধান হোন। দেরি না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ ক্রমাগত কাশি হার্টের সমস্যা বয়ে আনতে পারে।

    এনআরবি জাপান পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

    গত ১৩ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যে ৬টায় টোকিও’র আকাবানে কাইকানে এক আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরপি জাপান’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এনআরবি গঠনের এক বছর পূর্তির এই আয়োজনে জাপানের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের আহ্বায়ক মোঃ শহীদুর রহমান খাঁন হিরো।
    আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন, কাজী মাহফুজুল হক লাল, সলিমুল্লাহ কাজল, জাকির হোসেন জোয়ার্দার, মিজানুর রহমান, মীর মোঃ মোহসিন, আকিয়ামা রজার, খন্দকার নাজিবুর রহমান।

    শহীদুর রহমান খাঁন হিরো তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এই সংগঠন (এনআরবি জাপান) ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জাপানের কাকেহাসি (সেতুবন্ধন) হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে কাজ করে যাবে।

    আলোচনা পর্বের শেষে উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিক্রমে মোঃ শহীদুর রহমান খাঁন হিরো’কে সভাপতি এবং মীর মোঃ মোহসিন’কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    সভাশেষে সবাইকে সুস্বাদু নৈশ ভোজে আপ্যায়িত করা হয়।

    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন, নাবি উল্লাহ আসিফ এবং তাকে সহযোগিতা করেন মোঃ হাফিজুল আলম বাবুল।

    নভোচারী ইউই পৃথিবীতে ফিরে আসলেন

    জাপানের নভোচারী কিমিয়া ইউই এবং আমেরিকা ও রাশিয়ার দুই ক্রু আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের মিশন শেষ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন।

    রাশিয়ার সুয়েজ মহাকাশ যান শুক্রবার আন্তর্জাতিক মান সময় ৯টা ৪৯ মিনিটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ত্যাগ করে। সুযেজ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কাজাখস্তানে অবতরণ করে।

    ভূমিতে অবতরণ করার পর ইউই জাপানের মহাকাশ কেন্দ্র জেএএক্সএ’র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, মহাকাশ অনেক চমৎকার কিন্তু পৃথিবী এবং পৃথিবীর শীতল হাওয়া আরো চমৎকার অনুভূতি দিচ্ছে।

    জেএএক্সএ কর্মকর্তারা বলেছেন ইউই শারীরিক ভাবে ভালো আছেন। সাবেক এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স’র পাইলট ইউই জুলাই মাস থেকে মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করছিলেন।

    গত অগাষ্টে জাপানের মানববিহীন কার্গো কোউনোতোরি ৫ মহাকাশ স্টেশনে ভিড়লে ইউই রোবোটিক হাত ব্যবহার করে সেটিকে নোঙর করতে ও সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

    কার্গোর ভেতর ছিলো কিছু জরুরি সরবরাহ যেগুলো একটি দুর্ঘটনার কারণে আমেরিকান মহাকাশ যান গত জুনে স্টেশনে পাঠাতে পারেনি।

    সিদ্ধ ডিম খান, তবে হাফবয়েল নয়

    আমাদের একটি পছন্দের খাবার হলো ডিম। অনেকের খাবার তালিকায় সকাল বেলা নয়তো রাতের বেলা ডিম থাকবেই। কোলেস্টেরলের ভয়ে প্রতিদিন ডিম খাওয়া থেকে কেউ কেউ বিরত থাকেন। পেটের ভয়ে গরমের দিনে অনেকে ডিম খেতে চান না, খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ। তবে শীতের দিনে নির্ভয়ে ডিম খেতে পারেন।
    ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। ‘
    ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম।
    ডিম রান্না করতে কম তেল লাগে। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়। হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।
    ডিমের ক্ষতিকারক কিছু দিকও জানতে হবে। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। ছিদ্র দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ডিমে ঢুকে পড়ে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরমের সময়।
    মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।

    তার বক্তব্যে হীনম্মন্যতা প্রকাশ : হাসান রুহানি মনে ইসলামবিদ্বেষ পোষণ করলেও মধ্যপ্রাচ্যেই ব্যবসা ট্রাম্পের

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট হতে চান। তাই মুখে ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষ ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হোয়াইট হাউস বলেছে, তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তার এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণরূপে বিভেদ সৃষ্টিকারী, অকেজো এবং ভুল। বার্তাসংস্থা এএফপির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এসব বিতর্কিত বক্তব্য পরিকল্পনামাফিক ও ইচ্ছাকৃত। মনোয়নপ্রাপ্তিতে নির্বাচনের প্রাথমিক ধাপে তিনি এতে সফলতাও পেতে পারেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ট্রাম্পের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এর মধ্যদিয়ে তার হীনম্মন্যতা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি কৌশগতভাবে তার দেশে এবং দেশের বাইরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যা-ই ঘটে যাক, আমি নির্বাচন থেকে সরছি না। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ব্রিটিশ। তারা এরই মধ্যে অনলাইনে একটি পিটিশনে সই করেছেন। ওই পিটিশনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। মজার ব্যাপার হলো চরম ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব ধারণকারী এই ধনকুবেরের ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি বড় অংশই মুসলিম প্রধান আরব আমিরাত ও তুরস্কে পরিচালিত হয়। তিনি আরব আমিরাতে পরিচালিত ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ট্রাম্পের মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির স্বত্বাধিকারী। এছাড়া তুরস্কে রয়েছে ট্রাম্প টাওয়ার ইস্তাম্বুল ডেভেলপমেন্টস, আজারবাইজানের বাকুতে রয়েছে ট্রাম্প হোটেল এন্ড টাওয়ার্স। আবুধাবী, দুবাই,কাতার, সউদি আরবে রয়েছে তার বহুমুখী ব্যবসা। আমিরাতের শীর্ষস্থানীয় একটি ডেভেলপার কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে ব্যবসা করছে ট্রাম্পের কোম্পানি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষিদ্ধ করার ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্যবসায়িক মিত্র দুবাইয়ের দামাক প্রোপার্টিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নায়াল ম্যাকলোগলিন বলেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমরা আগ্রহী নই। তার সাথে আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক। তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ট্রাম্পের মন্তব্যে গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তৈরি হলেও আরব আমিরাতে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আরো একটি মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কেও ট্রাম্পের ব্যবসা আছে। তুরস্কে ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প টাওয়ারও বরাবরের মতো চালু আছে। সিসলি জেলাতে অবস্থিত ইস্তাম্বুল ভিত্তিক আবাসিক ও অফিস টাওয়ার ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ট্রাম্পের মেয়ে ও পারিবারিক ব্যবসার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইভানকা জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার ব্যবসার পরিধি কাতার, সউদি আরবের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলোতেও ছড়িয়ে দিতে চান। এ ব্যাপারে কাউন্সিল অন আমেরিকান রিলেশনস (কেয়ার) এর মুখপাত্র ইবরাহিম হুপার বলেন, তিনি মুসলিম দেশ থেকে টাকা বানাতে পারলে খুব খুশি হন আবার তাদেরকেই আক্রমণ করেন সম্ভাব্য সবচেয়ে জঘন্য ভাষায়। ট্রাম্পের এই দ্বিমুখী নীতির কারণ আমার বোধগম্য নয়’। তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে হুপার বলেন, আমার মনে হয় না এটা তাকে কোনো বার্তা দিতে পারবে।

    বছর অপেক্ষার পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করে দেয়া হলো এক বাংলাদেশির

     ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে আবু সাইদ শেখ নামে এক বাংলাদেশি হঠাৎই একদিন সকালে ফোন পেলেন তাকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে। ৯ বছর ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সন্ধানে ছিলেন তিনি, অবশেষে তাকে দেশে পাঠানো হয়।

    তিনি সহ আরো ২২ মেয়াদোত্তীর্ণ (ওভারস্টে) বাংলাদেশিকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়, এদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরাও ছিলেন। নভেম্বরের ২৫ তারিখ জাপানের বিচার মন্ত্রণালয় একটি বিমান ভাড়া করে তাদেরকে দেশে পাঠায়।

    আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ জানান, ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও জনসম্পত্তির ক্ষতিসাধানের একটি মামলা করা হয়। তিনি দাবি করেন সেটি ছিলো রাজনৈতিক ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা। তিনি এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত, তাকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

    ২০০৯ সালে তার মামলা ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনালে আনা হয়। কিন্তু সে সময় দেশে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকার কারণে এখন তার মাথার উপর ঝুলছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

    রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে শেখ ফুজি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ, সুবারু কারস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। অবৈধ ভাবে কাজ করেছেন কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার কারণে এতোদিন ডিপোর্টের হাত থেকে সুরক্ষিত ছিলেন।

    জাপানে শরণার্থীর আবেদন গৃহীত হওয়ার ঘটনা ইকনোমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট ভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে। গত বছর ৫০০০ আবেদনের মধ্যে জাপান মাত্র ১১ জনকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়।

    শেখ ২০০৩ সালে জাপানে আসেন, এরপর তার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তিনি আর দেশে ফিরে যাননি। তাকে এবং আরো ২১ জন বাংলাদেশিকে সম্প্রতি দেশে পাঠানো হয়েছে।

    বিচার মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে জাপান সম্প্রতি ভাড়া করা বিমানে ২৬ জন শ্রীলংকান, ৬ ভিয়েতনামি, ৭৪ জন ফিলিপিনো এবং ৪৬ জন থাই নাগরিককে দেশে পাঠিয়েছে।

    পাঁচ ফুট লম্বা টিকটিকি

    আমাদের দেশের টিকটিকিগুলো খুব একটা বড় হয় না। একটু বড় সাইজের টিকটিকি দেখলে অনেকেই ভয় পান। আর একটা টিকটিকি যদি পাঁচ ফুট লম্বা হয় তাহলে কি অবস্থা হতে পারে একবার ভেবে দেখুন। অনেকেই হয়তো নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না অথবা এটিকে কুমির ভেবে ভুল করবেন।

    কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি এমন একটি দৈত্যাকার টিকটিকির দেখা মিলেছে সমপ্রতি অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি বাড়ির দেয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো টিকটিকিটি।

    বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের টিকটিকিকে লেস মনিটর অথবা লেস গোয়ানাও বলা হয়। এরা অনেক সময় ৬ ফুট পর্যন্তও লম্বা হতে পারে আর ওজন হতে পারে ২০ কেজি পর্যন্ত। ইরিক হলান্ড নামের ঐ ব্যক্তি তার বাড়ির দেয়ালে এটিকে দেখে প্রথমে ভয়ে পালালেও সুযোগ করে ঠিকই এর একটি ছবি তুলেছেন।-

    শুক্র গ্রহের কক্ষপথে সফল ভাবে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো আকাৎসুকি

    জাপানের মহাকাশ কেন্দ্র জানিয়েছে তারা নভোযানকে সফল ভাবে শুক্র গ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। ৫ বছর আগে ইঞ্জিন সমস্যার কারণে প্রথম দফায় আকাৎসুকি’কে শুক্র গ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

    জাপান অ‌্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের এ সফলতার কথা জানায়। কর্মকর্তারা বলেছেন শুক্র গ্রহের জলবায়ু পরিক্রমাকারী আকাৎসুকি পরিকল্পনা মাফিকই কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।

    ২০১০ সালে গ্রহটির আবহাওয়া এবং বায়ুমন্ডল সম্পর্কে জানতে নভোযানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয়। সে বছরেরই ডিসেম্বরে আকাৎসুকি’র শুক্র গ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে গ্রহটি সম্পর্কে তথ্য পাঠানোর কথা ছিলো, কিন্তু কক্ষপথে প্রবেশের আগে নভোযানের প্রধান ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

    ৫ বছর পর এবার জেএএক্সএ’র নিয়ন্ত্রকরা সোমবার সকালে ৪টি ছোট ছোট রকেট থ্রাস্টার ব্যবহার করেন। দ্বিতীয় দফা প্রচেষ্টা নভোযানটিকে কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।

    নিয়ন্ত্রকরা আগেই নিশ্চিত করেছিলেন রকেট থ্রাস্টার গুলো ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে নভোযানটি কক্ষপথে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।

    এই প্রথম জাপানের কোনো নভোযান পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো গ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা সম্ভব হলো।

    একই সাথে দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের কোনো নভোযান প্রথম দফা বিফল হওয়ার পরও পুনরায় তা সফলতার মুখ দেখলো। ২০১০ সালে হায়াবুসা ইতোকাওয়া গ্রহাণু থেকে ধূলিকণা নিয়ে ৭ বছর পর পৃথিবীতে ফিরে আসে। সে নভোযানটিতেও যান্ত্রিক গোলোযোগ দেখা দেয়ায় নিয়ন্ত্রকরা মাঝে নভোযানটির কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না।

    জাপানের উপকূলে ভৌতিক নৌকা ভেসে আসা অব্যাহত

    জাপানের উপকূলে ভেসে আসা রহস্য ঘেরা নৌকা গুলো নিয়ে কৌতুহল বাড়ছেই। ভাসমান নৌকা গুলোতে মানুষের মাথাবিহীন কঙ্কাল বা পচে যাওয়া মৃতদেহের সন্ধান মেলে।

    গত অক্টোবর থেকে মারাত্মক রকম ক্ষতিগ্রস্ত বা উল্ট যাওয়া এ রকম ১৪টি নৌযান ভেসে এসেছে যে গুলোর ভেতর থেকে অন্ততঃ দু’ডজন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    ধারণা করা হয় এগুলো ভেসে আসছে উত্তর কোরিয়া থেকে।

    জাপানের অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ধারণা তারা দেশ থেকে পালিয়ে আসা উত্তর কোরিয় নাগরিক কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারা সম্ভবত হতভাগ্য জেলে যাদেরকে উত্তর কোরিয় সরকার আরো বেশি সংখ্যক মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাঠিয়েছিলো।

    “নভেম্বরের ২৩ তারিখ তিনটি মৃতদেহ পাওয়া যায়, এগুলর মধ্যে একটির মাথা যথাস্থানে থাকলেও দু’টি ছিলো মাথাবিহীন” জাপানের উপকূল রক্ষী কর্মকর্তা শুইচি হাশিজুমে বলেন।

    “আমরা যখন জাহাজটিকে উপকূলে টেনে নিয়ে আসি তখন ভেতর ৬টি মাথার খুলি দেখতে পাই” তিনি বলেন।

    মস্তক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ইঙ্গিত করছে সম্ভবতঃ নিহত হওয়ার পরও দীর্ঘ দিন ধরে সাগরে থাকার ফলে দেহের অংশ গুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

    উপকূল রক্ষীরা জানিয়েছেন গত ৫ বছর ধরে ২৫০টিরও বেশি এ ধরনের নৌকা ভেসে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি এত অল্প সময়ে এতো গুলো নৌকা ভেসে আসা অস্বাভাবিক।

    টোকিও’র ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ তোশিমিৎসু শিগেমুরা বলেছেন “উত্তর কোরিয়াতে খাদ্য সংকট গুরুতর রূপ ধারণ করায় দেশের নেতা কিম জং-উন গত বছর জেলেদের আরো বেশি করে মাছ ধরে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন”।

    সিউলের ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ এর অধ্যাপক ইয়াং মু-জিন, এর সাথে একমত।

    “উত্তর কোরিয়ার প্রায় সকল জেলে সামরিকতন্ত্রের অধিনস্ত এবং তাদেরকে প্রায়ই বড় রকমের মাছ শিকারে দূরবর্তী এলাকায় পাঠান হয়”।

    “সমস্যা হচ্ছে এসব নৌযান গুলো পুরোনো এবং সাগরে যাওয়ার জন্যে তাদের যন্ত্রপাতি দুর্বলভাবে সজ্জিত, সুতরাং যদি জোয়ারের সময় সেগুলোর কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে তবে নাজুক এসব নৌকার রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে।”

    “এ সমস্ত পরিস্থিতিতে তাদের জ্বালানি এবং খাবার-দাবার দ্রুত ফুরিয়ে যায়” ইয়াং বলেন।

    মহান বিজয় দিবস ২০১৫­

    আগামী ­২৭শে ডিসেম্বর ২০১৫ রবিবার­ ­আকাবানে­ ­বুনকা সেন্টা­রে­ ­(­ ­ভিভিও হল­ )­ ­৪৪তম­ ­মহান­ ­বিজয় দিবস ­উদযাপন উপলক্ষে­ ­এক আলোচনা সভা­, ­মনোজ্ঞ­ ­সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান­ এবং নৈশভোজ­ এর­ ­আয়োজন করা হয়েছে­।­ ­উক্ত অনুষ্ঠানে আপনাদের­ ­উপস্থিতি কামনা করছি­।­ ­
    অনুষ্ঠান­ ­:­ ­বিকাল ৩.৩০- রাত্র ৮.৩০­
    বাংলাদেশ­ ­থেকে আগত শিল্পী­ ­ – ­ ­সাবরিনা ও মামুন­ ­
    এবং সহযোগিতায়­- ­উত্তরণ শিল্পী­ ­গোষ্ঠী­।­ ­
    Dinner­ ­Menu­ ­: ­Rice / Salad/ 3 types of Bhorta / Beef C­urry/ Chicken Roast / Dal,

    Dessert ­: Jilapi­

    স্থান :­ Akabane Bunka Kaikan ( Viveo Building )­
    Tokyo -to , kita-Ku Akabane Nishi 1-6-1­
    Tel : 03-3909-8121­
    আয়োজন­ ­ও­ ­পরিচালনায়­ ­
    বাংলাদেশ কমিউনিটি­ ­জাপান­।­ ­
    এবারের স্লোগান: বদলে যাও সমাজ
    রুখে দাও সকল অন্যায়. সবাই মিলে গাই
    বিজয়ের গান

    যাদেরকে দেখে আশা জাগে মনে 

    এই মুহূর্তে যখন এই প্রতিবেদনটি লেখা হচ্ছে, অথবা যখন এটি পাঠকরা পড়বেন, ঠিক সেই সময়টিতেই বিশ্বের আনাচে-কানাচে ৮০ কোটি আদম সন্তান ভুখাপেট নিয়ে আহাজারি করছেন। কেউবা শুধু এক মুঠো খাবারের সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার দেয়া তথ্য এটি। সিরিয়ার মানুষ, ইরাকের মানুষ, লিবিয়ান তরুণ, ফিলিস্তিনী শিশু, আফ্রিকান নারী- ক্ষুধার্ত সবাই। গায়ে ছেঁড়া জামা। রোগবালাইয়ে কাবু হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী। কোনো সুশ্রুষা নেই তাদের। শুধু এ কয়টি দেশ বা এলাকা নয়, বিশ্বের সর্বত্রই আছে দারিদ্র্য-ক্ষুধা-অনাহার-বঞ্চনা-আহাজারি। এই মানুষগুলো তাদেরই স্বগোত্রের ক্ষমতালোভী আর সম্পদলোভী কিছু মানুষ দ্বারা সৃষ্ট দুর্ঘটনা-দুর্যোগ-যুদ্ধবিগ্রহের শিকার হয়ে আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এসব দেখে বিবেকবান মানুষের দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। হতাশা প্রকাশ ছাড়া আর কোনো ভাষা নেই এইসব দুর্ভাগা কোটি আদম সন্তানের কষ্ট লাঘবের। তবে এই হতাশার মধ্যেও কিছু মানুষ আশার আলো নিয়ে হাজির হন। নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাশে থাকা দুখী মানুষগুলোর কল্যাণ সাধনে। শুধু আমাদের চারপাশে নয়, সারা দুনিয়ায় ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সংখ্যায় অল্প হলেও এমন মানুষেরা ছিলেন সর্বকালে। বিশ্বব্যাপী ক্ষমতার দোর্দ- প্রতাপ, শক্তির মদমত্ততা, নিষ্ঠুরতার চরম পরাকাষ্ঠার মুখোমুখি মানব জাতি, দুঃখী মানুষের দারিদ্র্য-ক্ষুধা-অনাহার-বঞ্চনার মাঝে দীর্ঘশ্বাস নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু দঃখী মানুষের কল্যাণ সাধনে যুগে যুগে কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটে থাকে। মানবতার কল্যাণে অকাতরে ঢেলে দেয় তাদের সহায় সম্বল। বর্তমান সময়ের এমনি কয়েকজন বিশ্বখ্যাত পরোপকারী মানুষের সাথে পরিচয় করিয়েছে দিয়েছে ব্রিটেনে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা। সেখান থেকেই বর্তমান বিশ্বের ২০ জন সেরা দানশীল ব্যক্তির তালিকা তুলে ধরা হল–

    বিল গেটস : বিল গেটস সবচেয়ে বেশি পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে। তবে মাইক্রোসফটের মালিক এই মার্কিন প্রযুক্তিবিদ বর্তমানে তার বেশিরভাগ সময় ব্যয় করছেন সমাজকল্যাণে। তার প্রতিষ্ঠিত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন গেটস। এখন পর্যন্ত তার দানের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলার, যা তার মোট সম্পদের ৩২ শতাংশ।

    ওয়ারেন বাফেট : বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান এবং সিইও ওয়ারেন বাফেটের মোট সম্পদ ৬১ বিলিয়ন ডলার। যার ৩৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলারই তিনি সমাজকল্যাণে ব্যয় করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাফেট ২০০৬ সালে ঘোষণা দেন যে, তার জীবদ্দশায়ই নিজের সম্পদের ৮৬ শতাংশ বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান করবেন। জর্জ সরোস : সরোস ফান্ড ম্যানেজম্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠাতা তিনি। হাঙ্গেরিতে জন্ম নেয়া এই মার্কিন নাগরিকের সম্পদের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলার, যার ৩৩ শতাংশ বা ৮ বিলিয়ন ডলার মানুষের কল্যাণে ব্যয় করছেন সরোস। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং জরুরি ত্রাণসহ বিভিন্নভাবে ব্যয় হয়ে থাকে তার এসব দান।

    আজিম প্রেমজি : ভারতীয় এই বিলিয়নেয়ার বিশ্বের অন্যতম দানশীল ব্যক্তিদের একজন। নিজের মোট সম্পদের অর্ধেকই তিনি মানবকল্যাণে ব্যয় করছেন। আজিম প্রেমজির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার। অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রেমজির নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশনও রয়েছে। চার্লস ফ্রান্সিস ফিনী : দাতব্য কর্মকা-ে তার নেশার চাক ফিনী নামে সমধিক পরিচিত এই ব্যবসায়ীকে ‘জেমস বন্ড অব ফিলান্ত্রপি’ (দানশীলতার জেমস বন্ড) বলে ডাকা হয়। নিজের মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার। কিন্তু দান করেছেন ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি! মূলত তার ভবিষ্যত সম্ভাব্য সম্পদকে কত হবে হিসাব করে তাও মানবকল্যাণে লিখে দিয়েছেন। ফিনী আয়ারল্যান্ডে জন্ম নিলেও বর্তমানে আমেরিকান নাগরিক।

    সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল রাজী : নিজের বর্তমান সম্পদের চেয়েও দশগুণ বেশি দান করে এক অর্থে বিশ্বের সবচেয়ে উদার এবং দানশীল ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল রাজী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন ডলার। তার ভবিষ্যত সম্পদও ইতোমধ্যে দানের খাতায় লিখে দিয়েছেন সুলাইমান। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক আল-রাজী ব্যাংকসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সুলাইমানের বয়স বর্তমানে ৯৫ বছর। বাংলাদেশেও তার প্রতিষ্ঠিত বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

    গর্ডন মুর : বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনটেল’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুরের মোট সম্পদ সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার। গর্ডন এন্ড বেটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার, বা মোট সম্পদের ৭৭ শতাংশ দান করে দিয়েছেন এই মার্কিন ব্যবসায়ী।

    কার্লোস স্লিম : মেক্সিকান এই টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসায়ী হলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। নিজের ২৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪ শতাংশ দান করেছেন মানবকল্যাণে। বিশেষ করে বিশ্বের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তার ১০০ মিলিয়ন ডলারের অলাভজনক বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য।

    এলি ব্রোড : প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এলি ব্রোড নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ব্রোড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিজের সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪৫ শতাংশই দান করে দিয়েছেন। মূলত বিজ্ঞান ও শিল্পকলা বিষয়ক গবেষণায় সম্পদ ব্যয় করছেন এই আমেরিকান।

    জর্জ কাইজার : আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিওকে ফাইনান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাইজারও একজন মার্কিন নাগরিক। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার দানশীলতার উদাহরণ অতুলনীয়। প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৩৫ শতাংশ ব্যয় করেছেন বিভিন্ন দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য।

    মাইকেল ব্লুমবার্গ : রাজনীতি করার পাশাপাশি আমেরিকার একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী মাইকেল ব্লুমবার্গ। মিডিয়ায় রয়েছে তার বড় ধরনের বিনিয়োগ। মোট ৩৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৮ শতাংশ দান করেছেন মানবতার কল্যাণে।

    পল অ্যালেন : তিনি মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ১৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ থেকে ২ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন নিজের পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।

    মার্ক জুকারবার্গ : বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ২০ দানশীল ব্যক্তির তালিকায় আপাতত ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার নাম ১৩ নম্বরে থাকলেও শিগগিরই তা একদম প্রথম দিকে উঠে আসার কথা। এতদিন তার মোট ৪৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ৪ শতাংশ মানবতার কল্যাণে ব্যয় করেছেন। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার পর সদ্যজাত কন্যাসন্তানের জন্য ‘বসবাসযোগ্য পৃথিবী’ নির্মাণের আশায় নিজের পুরো সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুকাবার্গ দম্পতি।

    লি কা শিং : হংকংয়ের নাগরিক এই ব্যবসায়ী এশিয়ার অন্যমত সেরা ধনকুবের। ২৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক শিং নিজের সম্পদের ৫ শতাংশ ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণে ব্যয় করেছেন।

    জন হান্টসম্যান জুনিয়র : আমেরিকান ব্যবসায়ী হান্টসম্যানের মোট সম্পদ ৯৪০ মিলিয়ন ডলার। ক্যামিক্যাল পণ্য প্রস্তুতকারক হান্টসম্যান করপোরেশনের মালিক দান করেছে বর্তমান সব সম্পদসহ ভবিষ্যতে অর্জন করবেন এমন সম্পদও।

    টেড টার্নার : টার্নার ব্রোডকাস্টিং সিস্টেমের মালিক দান করেছেন নিজের মোট ২ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির ৫৭ শতাংশ।

    জেমস সিমন্স : আমেরিকান গণিতবিদ সিমন্সের সম্পদের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার। দান করেছেন দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো।

    পিয়েরে অমিদিয়ার : ফ্রান্সে জন্ম নেয়া ইরানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক পিয়েরে অমিদিয়ার অনলাইন ভিত্তিক বেচাকেনার প্রতিষ্ঠান ই-বে’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। নিজের ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ১৬ শতাংশ, বা এক বিলিয়ন দান করেছেন সমাজকল্যাণে।

    ডিটমার হপ : জার্মান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হপ দান করেছেন নিজের ৬ বিলিয়ন থেকে এক বিলিয়ন ডলার। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট।

    ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা আমেরিকার উপকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে

    ২০১১ সালে জাপানে পরমাণু দুর্ঘটনা থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা উত্তর আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে তেজস্ক্রিয় দূষণের পরিমাণ বাড়ছে, যদিও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এখনো মানুষ বা সামুদ্রিক জীবজগতের জন্যে হুমকি সৃষ্টি করার চেয়ে অনেক কম মাত্রায় রয়েছে, বিশেষজ্ঞরা জানান।

    প্রশান্ত মহাসাগরের পানির শত শত নমুনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তা দুর্ঘটনার ৪ বছর পরও অব্যাহত রয়েছে, উডস হোল ওস্যানোগ্রাফিক ইন্সটিটিউশন এর মেরিন রেডিওকেমিস্ট কেন বায়েসেলার বলেন।

    সাম্প্রতিক মাস গুলোতে ওয়াশিংটন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের কয়েকশ’ কিলোমিটারের মধ্যেই সিজিয়াম-১৩৪ সনাক্ত করা হয়েছে, এ ছাড়া কানাডা’র ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের নিকটেও অনুরূপ তেজস্ক্রিয়তা পাওয়া গেছে।

    বায়েসেলার এক ইমেইল এ বলেন “যদিও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা সরকার অনুমোদিত মাত্রার অনেক নীচে রয়েছে, তেজস্ক্রিয়তার পরিমান পরিবর্তনের বিষয়টিকে প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা জুড়ে আরো নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

     বিসিসিআইজের নবনিরবাচিত কমিটিকে অভিনন্দন

    বিসিসিআইজের নবনিরবাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে কানাগাওয়াবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশেষ ডিনার এর আয়োজন। নবনিরবাচিত সভাপতি জনাব সাকুরা সাবের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আজ অন্যান্য দের মাজে বিসিসিআইজের সাধারন সম্পাদক সলিমুল্যা কাজল, সহ সভাপতি হাসিমতো মাসুদ, ইলিয়াস মুনসী, কোসাধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ, জয়েনট সেকরেটারী ড: জাকির হোসেন মাসুম, পাবলিকেশন সম্পাদক সাকাই পল। এবং অডিটর লুৎফর রহমান সরকার শিপার, কমিটির অন্যান দের  সদস্যরা হলেন, সহ সভাপতি খরশেদ আলাম মাইকেল, সম্মনিত সদস্য জনাব কাজী মাহফুজুল হক লাল, শাহিদুর রহমান খাঁন হিরু, নবিউল্লাহ আসিফ। ব্যক্তিগত কারনে এবং দেশের বাহিরে থাকায় অন্যান্যরা উপসথিত থাকতে পারেন নাই বলে দু:খ প্রকাশ করেছেন. আজকের অনুষ্ঠান টি সুন্দর ভাবে সমপন্ন করতে পেরে কানাগাওয়াবাসীকে সবারপক্ষ থেকে জনাব সাকুরা সাবের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।আগামী দিনে টোকিও সহ সকল অনচলে আরও অনুষ্ঠান করার ঘোষনা দেন। পাশাপাসি বিসিসিআইজে এর মাধ্যমে জাপান প্রবাসী খুদ্র এবং মাজারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে আগামি দিনে এই ছেম্বার হবে সকল প্রবাসিদের প্রতিষ্ঠান।

    ফেইসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে দেশ-বিদেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া    

    গত ১৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সারা বাংলাদেশে অকস্মাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। ৭০ মিনিট ইন্টারনেট বন্ধ থাকে। তারপর ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটস্ এ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারসহ সামাজিক যোগাযোগের ৭ টি বা ততোধিক মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ১৫ দিন ধরে এগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব যোগাযোগ মাধ্যম কবে খোলা হবে সেটি নিয়ে এক ধরনের চোর-পুলিশ খেলা চলছে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এতদিন বলছিলেন যে, মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এবং তাদের জীবন রক্ষা করার জন্যই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সংকট কেটে গেলেই এসব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হবে। এখন তিনি বলছেন যে, আমাদেরকে অর্থাৎ তার মন্ত্রণালয়কে খুলে দিতে বললেই তাৎক্ষণিকভাবে তারা এগুলো খুলে দেবেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে, সন্ত্রাসের সংকট এখনো কাটেনি। কেটে গেলেই এগুলো খুলে দেওয়া হবে। ফেইসবুকে চিঠি লেখা দুই মন্ত্রীর এই ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্যের মাঝে গত মঙ্গলবার পত্র-পত্রিকায় এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, সরকার নাকি ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছেন। তারা নাকি তাদের সাথে বৈঠক করতে চান। সরকার ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে কেন বৈঠক করতে চান, কবে করতে চান, এ সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই খবর থেকে একটি বিষয় ধারণা করা যায় যে, ফেইসবুক বা ভাইবার খুলতে এখনো দেরী আছে। এদিকে পত্র-পত্রিকায় আরও খবর বেরিয়েছে যে, ফেইসবুক একাউন্ট খুলতে ন্যাশনাল আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কেউ চাইলে আর প্রচলিত নিয়মে ফেইসবুক খুলতে পারবেন না। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভুয়া একাউন্টধারীদের শনাক্ত করা এবং নতুন করে ভুয়া একাউন্ট খোলা ঠেকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রকল্প চালু হলে ফেইসবুকের কাছে ইমেইল আইডির সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন অপশন যোগ করার জন্য আমরা ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব।’ চিঠিতে বাংলাদেশের পটভূমিতে ফেইসবুকের নানা অপব্যবহার ও নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পটভূমিতে অনেক কিছুই নেতিবাচক মনে করে না ফেইসবুক। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কোনো বিষয়ে তাদের অভিযোগ জানালে মামলা করে আসতে বলা হয়। তাদের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা আমলে নেয় না। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের এই সামাজিক অবস্থাগুলো তুলে ধরা হবে।’ বিষয়টির গুরুত্ব বাড়াতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকেও এ ধরনের চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে ইতোমধ্যেই এসব মাধ্যম বন্ধ করার পর ১৫ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আবার চিঠি লেখা এবং বৈঠকের কথা বলা হচ্ছে। এসব সম্পন্ন করতে কতদিন লাগবে সেটি একমাত্র সরকারই জানেন। তবে এর ফলে জনমনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটি কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এখন বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে প্রায় ১ কোটি প্রবাসীর বাস। প্রায় প্রতিটি ঘর থেকেই অন্তত ১ জন বিদেশে বাস করছেন। এরা টেলিফোনে, ই-মেইলে বা অন্যান্য মাধ্যমে জানাচ্ছেন যে, বিদেশে কি প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। আর যাই হোক, সেই প্রতিক্রিয়া যে সরকারের অনুকূল নয় সেটি বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, আমেরিকা প্রভৃতি দেশ থেকে বিদেশীরা তো দূরের কথা, বাংলাদেশীরাই বলছেন যে, এসব দেশে এই ধরনের ঘটনা কল্পনাই করা যায় না। দেশের অভ্যন্তরে মানুষ বলছেন যে, ইতোপূর্বে চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে। এখন আবার ৭ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করা হলো। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে মত প্রকাশের বাহনগুলি স্তব্ধ হওয়া, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিচায়ক নয়। এরফলে দেশ একটি বিশেষ পদ্ধতির দিকে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক প-িতরা মনে করেন। গোড়ার কথা গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম ছিল, ‘ওঘঞঊজঘঊঞ, গঙইওখঊ অচচঝ / ঝঁফফবহ ংযঁঃফড়হি ভড়ষষড়ংি াবৎফরপঃ.’ ‘ইন্টারনেট, মোবাইল এ্যাপ্স / রায়ের পর অকস্মাৎ বন্ধ’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সর্ব প্রথম সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। ফলে ডিজিটাল নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা ও চাকরি বাকরিসমূহ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭৫ মিনিট ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর সরকার ফেইসবুক এবং অনলাইন ম্যাসেজিং বন্ধ করে দেয়। একই সাথে হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিজিটাল জগতের বিশেষজ্ঞ এবং উদ্যোক্তারা বলেন, তাদের অনলাইন সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ডিজিটাল ব্যবসা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর প্রভাব থাকবে দীর্ঘদিন। কম্পিউটার সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জব্বার বলেন, আধুনিক জীবন, ব্যবসা এবং অফিস-আদালতের লাইফ লাইন হলো ইন্টারনেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইট সমূহ ব্লক করা সরকারি মেকানিজমের সর্বাত্মক ব্যর্থতাই প্রমাণ করে। আলোচ্য ইংরেজী পত্রিকাটির রিপোর্ট মোতাবেক সর্বোচ্চ আদালত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ পিটিশন খারিজ করার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথেই ইন্টারনেট ব্লক করা হয়। ইতোপূর্বে বিটিআরসি বা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ সংস্থা ফেইসবুক, হোয়াটস এ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ট্যাংগো এবং ভাইবার বন্ধ করার জন্য সমস্ত মোবাইল কেরিয়ার, ইন্টারনেট গেটওয়ে এবং সার্ভিস প্রভাইডারদের নির্দেশ দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, অবাধে চ্যাট করার চেয়ে জনগণের নিরাপত্তা অনেক মূল্যবান। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে বলেন যে, জঙ্গিদের গ্রেফতার এবং তাদের ক্রিমিনাল কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ব্লক করা হতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এ বছরের ১৮ জানুয়ারী ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ, ট্যাংগো এবং মাই পিপল লাইন ৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। বিডিআর ম্যাসাকারের পর সরকার ২০০৯ সালে ২৬০ দিনের জন্য ফেইসবুক এবং ইউটিউব বন্ধ করে দেয়। ডেইলি স্টারের রিপোর্ট মোতাবেক এসব ডিজিটাল সার্ভিস বন্ধ থাকার ফলে ই-কমার্স এবং অনলাইন ব্যাংকিং, আউট সোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং এবং কল সেন্টার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে মোবাইল ডাটার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এছাড়া ব্যান্ড উইডথ ব্যবহার বিপুলভাবে কমে গেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট তথ্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করে ফেইসবুক। এমনকি অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যের সংবাদ দিতে হয় ফেইসবুকের মাধ্যমে। যদিও সোয়া ঘন্টা পর ইন্টারনেট লাইন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট স্পীড বা গতি দারুণভাবে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের এক কর্ণধার জানান যে, ভাইবার এবং হোয়াটস এ্যাপ বন্ধ করার ফলে কতগুলো ওয়েব সাইটে ঢোকা যাচ্ছে না। ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস এ্যাপ এবং ভাইবার ছাড়াও টুইটার, ট্যাংগো, আইএমওসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য এ্যাপেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন। ইন্টারনেট ও ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ৭ থেকে ৯ টি সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসএ্যাপ, ট্যাংগো, হ্যাঙ্গআউট, ইউস্টার্ন ডট টিভি, কমিউর, লাইন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার যেমন জন্ম দিয়েছে, তেমনি প্রযুক্তিবিদরাও এ সিদ্ধান্তের প্রতি দ্বি-মত পোষণ করেছেন। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না এবং কোনো সমাধানও আসবে না। এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, একদিন না একদিন তো এসব যোগাযোগ মাধ্যম খুলতে হবে। তখন কি হবে? সরকার যে আশঙ্কায় এগুলো বন্ধ করেছে, তা কি নির্মূল হয়ে যাবে? সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গোষ্ঠী কি এসব এ্যাপস ব্যবহার বন্ধ করে দেবে? এতে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হওয়া ছাড়া খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কারণ, ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম সংখ্যাগরিষ্ঠ যেসব সাধারণ ব্যবহারকারী ব্যবহার করছে, তারা ইতোমধ্যে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিটিআরসি’র হিসাব মতে, দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে শুধু ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। বাকিরা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করছে। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ প্রজন্ম মনে করছে, এটা তাদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদান ও মতামত প্রকাশের মতো মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন আইএস তার বেশিরভাগ কার্যক্রম ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর ও সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলো তো সেসব যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করতে পারছে না বা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। কারণ, তারা জানে, প্রযুক্তির এ যুগে তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এক পথ বন্ধ করলে অসংখ্য পথ বের হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়া সরকারের ভাবমর্যাদা কোনোভাবেই উজ্জ্বল করছে না। প্রযুক্তিবিদরা মনে করছেন, প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। কোনো এ্যাপস বন্ধ করে নয়।