• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • এলিয়ন খুঁজতে নাসার ‘কেমিক্যাল ল্যাপটপ’

    পৃথিবীর বাইরে এলিয়নদের উপস্থিতির খোঁজে সহায়তায় ‘কেমিক্যাল ল্যাপটপ’ এনেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এটি একটি পরিবহনযোগ্য রাসায়নিক ল্যাব যা নাসার ভবিষ্যত রোভারগুলোতে যুক্ত করা হবে।

    নাসার ভাষ্যমতে, জীবের অস্তিত্ব আছে এমন অণু সন্ধান করাই কেমিক্যাল ল্যাপটপের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিশেষ করে আমিষ আর কোষঝিল্লির প্রধান উপাদান অ্যামাইনো এসিড আর ফ্যাটি এসিড খোঁজার জন্য বানানো হয়েছে এটি।

    মঙ্গল আর পৃথিবীর বাইরের অন্যান্য স্থানে পাওয়া নমুনাকে বিশ্লেষণের আগে পানিতে দ্রবীভূত করতে হবে। এই কেমিক্যাল ল্যাপটপটি অনেকটা এসপ্রেসো মেশিনের মতো, যা নমুনাগুলো উত্তপ্ত করে পানিতে দ্রবীভূত করে। সেখানে রঞ্জক পদার্থ আর অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থগুলো কোনো নমুনায় জীবের অণু পাওয়া গেলে তা শনাক্ত করতে পারবে। অ্যামাইনো এসিড ও ফ্যাটি এসিড শনাক্ত ছাড়াও তা কোনো জীব থেকে এসেছে কি না তাও নির্ণয় করা যাবে।

    নির্দিষ্ট এক অ্যামাইনো এসিড বাম বা ডানদিকধারী হয়ে থাকে। দুই ক্ষেত্রে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ এক হলেও, একটি আরেকটির আয়নার প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকে। পৃথিবীতে জীবের দেহে প্রায় সবক্ষেত্রেই এটি বামদিকধারী হয়। তবে, এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমও হতে পারে। তবে, সম্ভাব্য বিষয়টি হচ্ছে, জীবের ক্ষেত্রে দুটির মিশ্রণ থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই, যদি ভিনগ্রহের অ্যামাইনো এসিডে দুইয়ের মিশ্রণ পাওয়া যায়, তবে তা জীবের নয় বলে ধরা যাবে। কেমিক্যাল ল্যাপটপে কিছু রঞ্জক পদার্থ রয়েছে যা শুধু বাম বা ডানদিকধারী এসিড নিয়ে কাজ করতে পারবে। এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন গবেষকরা। সূত্র: দ্য ভার্জ।

    ৮০ শতাংশ জাপানি মনে করেন প্যারিসের মতো হামলা জাপানেও ঘটতে পারে

    প্রায় ৮০ শতাংশ জাপানি এই ভেবে শংকিত যে প্যারিসের মত সন্ত্রাসী হামলা জাপানেও হওয়া সম্ভব, রোববার কিয়োদো নিউজের এক জরিপে এ কথা জানা যায়।

    জরিপে আরও দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র মন্ত্রীসভার প্রতি জনসমর্থন ৪৪.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৮.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে ৪০.৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন তারা মন্ত্রীসভাকে সমর্থন করতে পারছেন না, এই হারও আগের থেকে কমে গেছে। আগে অসমর্থনের হার ছিলো ৪১.২ শতাংশ।

    নভেম্বরের ১৩ তারিখ প্যারিস হামলা ইসলামিক স্টেট সংঘটিত করেছে বলে দাবি করা হয়। ৭৯.৭ উত্তরদাতা বলেছেন তাদের বিশ্বাস অনুরূপ ভয়ানক হামলা জাপানেও হতে পারে।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সি

    ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন। শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারেনা। অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে তা প্রস্রাবের সাথে দেহ থেকে রেরিয়ে যায়।

    প্রতিদিন আমাদের এই ভিটামিন খাওয়া উচিত। টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। আমলকী, আমড়া, পেয়ারা, জলপাই, লেবু,  বাতাবী লেবু, কমলা, টমেটো, আঙ্গুর, ইত্যাদি ফলে অনেক ভিটামিন সি থাকে।
    গবেষণায় দেখা গেছে এই ভিটামিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সুতরাং সবার এই ভিটামিন প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের বৃদ্ধি এবং ক্ষয়পূরণের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন জায়গা কেটে গেলে প্রচুর সি জাতীয় ভিটামিন গ্রহণ করা উচিত।
    কারণ এই ভিটামিন কোলাজেন তৈরী করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত মেরামত করে। দাঁত এবং অস্থির গঠনেও এর ভূমিকা রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ছাড়াও বিভিন্ন অসুখ বিসুখের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন সি এর জুড়ি নেই। যেমনঃ- ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, সুন্দর, সুস্থ মাড়ির জন্য এই ভিটামিন প্রয়োজন, রক্তের গ্লোকোজ নিয়ন্ত্রণ করে, পোড়া এবং ক্ষত দ্রুত আরোগ্যের জন্য ডাক্তারগণ ভিটামিন সি ব্যবহার করেন।
    এছাড়া অ্যাজমা, একজিমা ইত্যাদি অসুখেও ভিটামিন সি উপকার করে, অবসাদ রোগীদের জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করে সেগুলোর একটি পরিচিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মুখ শুকিয়ে যায়, এ অবস্থায় ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয়, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে-এর ব্যবহার আছে। মহিলাদের এক্লামশিয়া রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন সি এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি ভালো কাজ করে।
    ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটি মূলত এন্টি অক্সিডেন্ট। বিজ্ঞানী পাওলিং বলেছিলেন, প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। আমাদের দেশে অনেকেই টক জাতীয় ফল খেতে চায়না। এটি একেবারেই ঠিক নয়। অনেকে কেটে গেলে ভিটামিন সি খেতে চায়না এই ভয়ে যে ক্ষতস্থান পেকে যাবে। এটা যে কত বড় ভুল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
    বরং কেটে বা পুড়ে গেলে আরো বেশী ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। তাহলে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। কার্সিনোজেন (যেসব পদার্থ ক্যান্সার তৈরী করে) এবং নাইট্রেট ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করার মধ্য দিয়েই ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। অনেক বিজ্ঞানীই একমত ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। তাই ভিটামিন সি কে ক্যান্সার প্রতিরোধক বলা যায়।
    কিন্তু  ক্যান্সার হয়ে গেলে ভিটামিন সি খেয়ে খুব একটা লাভ নেই। ক্যান্সারের মেটাস্টেসিস অর্থাত্ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়াকে ভিটামিন সি প্রতিরোধ করতে পারে।  ফলে সবারই ভিটামিন সি প্রচুর খাওয়া উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক কমে যাবে।
    ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
    রেজিষ্টার, মেডিসিন বিভাগ
    রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতাল

    জাপানে ফ্লুরেসেন্ট ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতি নিষিদ্ধ হচ্ছে

    জাপান সরকার প্রতিপ্রভ বা আলোতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠা ফ্লুরেসেন্ট (টিউব লাইট) ও তাপোজ্জ্বল ইনক্যান্ডিসেন্ট (সাধারণ স্বচ্ছ লাইট) বাতি নিষিদ্ধ করে তার জ্বালানি নীতিকে আরো কঠোর করে তুলতে চাইছেন।

    সরকারের লক্ষ্য কার্বন ডাই অক্সাই নির্মণ সীমিত করতে আলো নির্গমণকারী ডায়ট বাতির আরো ব্যাপক প্রচলনের মাধ্যমে ফ্লুরেসেন্ট ও ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতি বাজার থেকে তুলে নেয়া।

    শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতে ২০১২ সালে জাপানে এলইডি বাতির ব্যবহার ছিলো ৯ শতাংশ, সরকারের ইচ্ছে তারা ২০৩০ সাল নাগাদ এই হার ১০০ শতাংশে উন্নীত করা।

    এলইডি বাতি অন্যান্য যে কোনো বাতির তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী এবং ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতির তুলনায় এলইডি বাতিতে বিদ্যুৎ খরচ আট ভাগের এক ভাগ।

    তবে কিনতে গেলে এলইডি বাতি অধিক মূল্যবান। ৬০ ওয়াটের একটি ফ্লুরেসেন্ট বাতির দাম ৭০০ ইয়েন কিন্তু এলইডি বাতির দাম ২০০০ ইয়েনের কাছাকাছি।

    জাপানি নারীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
    এক মাস পর কবরের সন্ধান, থানায় হত্যা মামলা
    রাজধানীতে হিরোই মিয়াতা নামে জাপানের এক নাগরিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না ৬১ বছর বয়সী এ নারীর। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় জিডি হওয়ার পর পুলিশ ঘটনাটির তদন্তে নামে। পরিচিত লোকদের বক্তব্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ, স্বজন বা সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে কেন তার দাফন করা হয়-সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। ময়নাতদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
    পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার বিধান ত্রিপুরা বলেন, জাপানের ওই নাগরিককে হত্যার কোনো তথ্য-প্রমান এখনও পুলিশের কাছে নেই। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন-চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
    পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকায় ছিলেন হিরোই মিয়াতা। সর্বশেষ কয়েক বছর তিনি উত্তরা-৬ নম্বর সেক্টরের সিটি হোমস নামে একটি আবাসিক হোটেলে থাকতেন।
    পুলিশ জানায়, হিরোই মিয়াতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে গত ১৯ নভেম্বর জাপান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় জিডি করেন। পুলিশকে জানানো হয়, জাপানে থাকা মিয়াতার মা দূতাবাসকে বলেছেন, সর্বশেষ ২৬ অক্টোবর মেয়ের সঙ্গে তার কথা হয়। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। এর সূত্র ধরে তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ সিটি হোমস হোটেলে যায় ও মিয়াতার পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলে। পোশাকের স্টক লট ব্যবসায় জড়িত দু’জন জানান, হোটেলে মিয়াতার অনেক টাকা বিল বাকি ছিল। হোটেল মালিক এ ব্যাপারে প্রায়ই তাগাদা দিতেন। এমন পরিস্থিতিতে আড়াই মাস আগে তারা মিয়াতাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে গত ২৭ অক্টোবর তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। পাশের একটি ওষুধের দোকানের কর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে কিছু ওষুধ ও স্যালাইন খাওয়ানো হয়। তবে এতে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ২৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। ২০০৬ সালে মিয়াতার বাংলাদেশের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। এ কারণে তাকে কোনো হাসপাতালে নেয়ার সাহস করেননি বলেও জানান দুই ব্যবসায়ী। পরে বনানীর ১২ নম্বর সড়কের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর বিষয়টি তার মাকে জানানো হয়েছে।
    তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘটনাটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গোপনীয়তা ও অন্যান্য কিছু কারণে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

    মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর বিচারিক হত্যার প্রতিবাদে জাপানে প্রতিবাদ সভা ও গায়েবানা জানাজা

    টোকিও,জাপানঃ প্রহসনের অবৈধ,সাজানো,ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল কতৃক জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল,সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এর গোয়েবলসীয় কায়দায় নির্মম বিচারিক হত্যা তথা অন্যায় ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে সেভ হিউম্যানিটি ইন বাংলাদেশ,জাপানের উদ্যোগে “প্রতিবাদ সভা ও গায়েবানা জানাজা” আজ ২২নভেম্বর,রোববার,সময় সকাল ১১টায় জাপানের কশিগায়া কমিউনিটি হল এ অনুষ্টিত হয়।

    সেভ হিউম্যানিটি ইন বাংলাদেশ,জাপানের আহবায়ক জনাব আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রনেতা ও আবৃত্তিকার আজিজুর রহমান শিমুলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাপান কমিঊনিটির শীর্ষ নেতা জনাব হাফেজ আলাউদ্দিন,বিশিষ্ট গাড়ি ব্যবসায়ী ও কমিঊনিটি লিডার জনাব এটিএম মিছবাহুল কবির,ইসলামিক মিশন জাপানের সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল মোমেন,ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন জাপানের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিকী সোহাগ, মনির হোসেন, প্রবাসে বাংলাদেশ ডটকম সম্পাদক আতিকুর রহমান, কমিঊনিটি লিডার সিরাজুল হক, এম ডি মাঈনুদ্দীন, ডাঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন,সারাদেশে সরকারী বাহিনীর ব্যাহত খুন,গুম,মিডিয়া ক্যু করে নিজের আজ্ঞাবহ ও লেজুড় বিচারক ও প্রসিকিশনকে দিয়ে একের পর এক নির্মম বিচারিক হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন হল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল,সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও প্রখ্যাত পার্লামেন্টারিয়ান এবং বি.এন.পির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজ বিপন্ন। বিডিয়ার ধ্বংস করে সীমান্ত অরক্ষিত রেখে বিজিবি ও র‍্যাব-পুলিশ দিয়ে নিরীহ জনতার উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন ও খুন,গুম চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ কতিপয় মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবিকে দিয়ে সিন্ডিকেট করে ‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে সর্বত্র। বক্তাগন অবৈধ প্রহসনের ট্রাইব্যুনালে কথিত সাজানো মৃত্যুদন্ড কার্যকরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবৈধ সাজানো ট্রাইব্যুনাল এর পরবর্তী রায় সমুহ বাতিল ও দেশ প্রেমিক শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। নইলে ফ্যাসিস্টদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর ভাগ্যাবরণের অপেক্ষায় থাকার আহবান জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে গায়েবানা জানাজা বায়তুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্টিত হয়,এতে ইমা ম তি ক রেন প্রিন্সিপাল হাফেজ ছাবের আহমেদ।

    রিপোর্টঃ আতিকুর রহমান,টোকিও

    আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে -হুম্মাম কাদের চৌধুরী

    সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নির্দোষ দাবি করে তার পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, রাত ৮টায় বলা হয় এক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দেখা করতে। সরকার প্রাণভিক্ষা চেয়েছে বলে নাটক করছে। আমরা উনার সাথে কারাগারে দেখা করতে গেলে তিনি বলেছেন, কোনো ব্যক্তির কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইব না। প্রাণভিক্ষা চাইলে আল্লাহর কাছে চাইব। গতকাল (রোববার) রাতে নগরীর গুডস হিল বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী এসব কথা বলেন। হুম্মাম কাদের বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে রাঙ্গুনিয়ায় দাফনের। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে দিল না সরকার। বাবা কয়েকদিন আগে ত্রুটিপূর্ণ বিচারের জন্য প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রেসিডেন্টের কাছে পিটিশন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের পিটিশন গ্রহণ করা হয়নি। হুম্মাম কাদের বলেন, আমরা বাংলাদেশের একটি বড় সম্পদ হারিয়েছি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মতো লোক আমরা ফিরে পাব না। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের দোয়া করবেন। সত্য ঘটনা একদিন বের হয়ে আসবে। তিনি নির্দোষ ছিলেন। মানুষ বলবে তাকে মার্ডার করা হয়েছে। তিনি সত্য ঘটনা বের করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমার বাবাকে চট্টগ্রামবাসী যে সম্মান দিয়েছেন তা আজীবন মনে রাখব। হুম্মাম কাদের বলেন, আমরা যখন কারাগারে তার সাথে দেখা করতে যাই তখন তিনি হাসতে হাসতে বললেন, কি হলো, আজকে কি আমাকে মেরে ফেলবে। পরিবারকে দেখে তিনি খুশি হয়েছিলেন। আমাদের সাহস দিয়েছেন। প্রাণভিক্ষা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা মানুষ কি কারও কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারে। তোমরা কি বিশ্বাস কর। এ সরকার অনেক কাগজ বানাতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী বলেন, পাগলেও বিশ্বাস করবে না আমার স্বামী ক্ষমা চাইতে পারে। আমরা পরিবার ও দলের সিদ্ধান্তক্রমে  প্রেসিডেন্টের কাছে শুধু রি-ট্রায়ালের জন্য পিটিশন দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা যখন তার সাথে দেখা করতে যাই তখন তিনি ছিলেন অবিচল এবং দৃঢ়চেতা। তার সাথে আমরা গল্প-গুজব করে হাসিমুখে বিদায় দিয়েছি। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ঈমানি শক্তি ছিল প্রবল। তিনি শুধু স্ত্রীকে বলেছেন, আমাকে মাফ করে দিও। আমি রাজনীতি করতাম, তোমাকে সময় দিতে পারিনি। মৃত্যুর তিন ঘণ্টা আগেও তার মধ্যে ভয়ভীতি ছিল না। তিনি বলেছেন, আমি ভুল করিনি, অন্যায় করিনি, অপরাধ করিনি। এছাড়া তিনি কাফনের কাপড় এবং গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি জেলারকে বলেছিলেন, তাকে রাঙ্গুনিয়া দাফনের জন্য। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি। সরকার তাকে রাউজানে দাফন করতে বাধ্য করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ২ কন্যাসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয় ও বিএনপি নেতা। রাউজানে দাফন : জানাযায় উপস্থিতি কমাতে নানা অপকৌশল রাউজান থেকে এম বেলাল উদ্দিন জানান, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে রাউজানের গহিরায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (রোববার) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে বক্স আলী চৌধুরী বাড়ী জামে মসজিদের উত্তর পাশে খালি জায়গায় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ফটিকছড়ি বাবু নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়খুল উলামা হযরত মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। জানাযায় ১১ কাতার মানুষ অংশ নেয়। একেকটি কাতারে ৫০ জনেরও বেশি মুসল্লিকে দাঁড়াতে দেখা যায়। জানাযা শেষে স্থানীয় রীতি অনুযায়ী উপস্থিত মুসল্লীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘এই লোকটি কেমন ছিলেন? সকলে এক বাক্যে বলে ওঠেন ওনি খুব ভালো লোক ছিলেন।’ এরকম ৩ বার উচ্চারণ করা হয়। এর পর খাটিয়া করে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। তারপর ৯টা ২৮ মিনিটে যখন সালাউদ্দিন কাদেরের লাশ খাটিয়া থেকে নামিয়ে কবরে শোয়ানো হয় তখন আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা ডুকরে কেঁদে উঠেন। উচ্চস্বরে তকবির ধ্বনি ও কালেমা পাঠের মধ্যদিয়ে লাশ কবরে নামানো হয়। পুলিশের তাগাদার কারণে মাত্র ২৭ মিনিটের মধ্যে দাফনের কাজ সমাপ্ত হয়। তাদের পৈতৃক বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সালাউদ্দিন কাদেরের ছোটভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে দাফন শেষে মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর দিনভর তার স্বজন, ভক্ত ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নীরবে এসে কবর জেয়ারত করেন। কেউ দূর থেকে দোয়া-দরূদ পাঠ করেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নামাজে জানাযায় তার ছোট ভাই ফজলুল কাদের চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শিল্পপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ফজলুল কাদের চৌধুরী ফায়াজসহ নিকট আত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীরা শরিক হন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলেন না। জানা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভাইয়ের জানাযায় আসতে পারেননি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠানকালে ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কয়েকশ’ সাংবাদিককে অনেক দূরে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। এদিকে লাশ দাফন ও জানাযাকে কেন্দ্র করে প্রায় সাড়ে তিনশ’ পুলিশ, ২ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন র‌্যাব গহিরাসহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল। নামাজে জানাযার আগে সকাল ৮টা থেকে গহিরা-মোবারখীল সড়ক ও গহিরা-অদুদিয়া সড়কে যান ও জনচলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সূত্র জানায়, নিরাপত্তার কারণে আগামীকালও গহিরায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মানবতা বিরোধী অপরাধে দ-িত ফাঁসির আসামী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কার্যকর করা হয়। এর পর কারাগারের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্স যোগে সালাউদ্দিন কাদেরের লাশ নিয়ে রওনা হন রাউজানের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাশের গাড়ি পৌঁছে রাউজানের পৈতৃক বাড়িতে। এ সময় পথে পথে জনতা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। কোথাও কোথাও পুলিশ লোকজনকে ধাওয়া করে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলেসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা কয়েকটি মাইক্রোযোগে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে গহিরা চৌমহনীতে এসে পৌঁছান। লাশবাহী এম্বুলেন্সসহ প্রায় ৩০টি র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির গাড়ী কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গহিরা চৌমহনী অতিক্রম করে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুরান বাড়ীর সামনে লাশবাহী গাড়ীটি গিয়ে থামান। প্রশাসন সেখানে জানাযা আয়োজন করতে চাইলেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলের বাধার কারণে তা হয়নি। ছেলে হুম্মাম কাদেরের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশবাহী গাড়িটি সেখান থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশের দায়িত্বে থাকা ঢাকার এক পুলিশ অফিসার’র কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করে রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর করেন ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। জানাযায় শরিক হতে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে। কিন্তু পুলিশের লুকোচুরির কারণে অনেকে জানাযায় শরিক হতে পারেননি। সকাল থেকে অসংখ্য মুসল্লি যখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ীতে নামাজে জানাযা পড়ার আগ্রহ নিয়ে ছুটে আসছিল, তাদেরকে পুলিশ জানাযা গহিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলে সে দিকে পাঠিয়ে দেয়। গহিরায় যখন কয়েকশ’ মানুষ একসাথে জড়ো হয় তখন তাদের বলা হয় জানাযা হবে বাড়ীতে। সে জন্য অনেকেই জানাযা নামাজে শরিক হতে পারেনি। রাউজানের গহিরা-চৌমুহনী-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে কয়েকশ’ পুলিশ এক ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। সে বলয়ের মধ্যে গহিরা-মোবারখীল সড়ক ও গহিরা-অদুদিয়া সড়কে যান চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়। দেখা যায় পায়ে হেঁটেও কাউকে সড়কের দক্ষিণ দিকে আসতে দেয়া হয়নি। গহিরা চৌমহনীতে সকাল ৭টা থেকে দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন যানবাহনকে অপেক্ষা করতে দেয়নি পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চায়ের দোকান ছাড়া নিরাপত্তার কারণে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে খুলতে দেয়নি প্রশাসন। নামাজে জানাযা কিংবা দাফন অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দল বিএনপির কোন নেতাকে দেখা যায়নি। এমনকি যারা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে গর্ব করত এমন লোকও তার জানাযা কিংবা দাফনে আসেনি। দাফন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কয়েকশ’ মানুষ মোবারকখীল সড়ক থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ীতে ঢুকে পড়ে। তাদের মুখে ছিল হায় হায়। তাদের অনেকে উচ্চস্বরে বিলাপ করতে থাকে। রাউজানে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশ আনা ও দাফন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে গতকাল তাদের এ ধরনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকে গহিরা চৌমুহনীতে অবস্থান নেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খাঁন। তিনি জানান এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে কেউ যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে জন্য আমি এখানে অবস্থান নিয়েছি।

    অ্যান্টারটিকার ওজন স্তরে ৪র্থ বৃহৎ গহ্বর

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে অ‌্যান্টারটিকার উপরে থাকা ওজন স্তরে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে ৪র্থ বৃহৎ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং আয়তনে তা অ‌্যান্টারটিকা মহাদেশের দ্বিগুন।

    ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের কারণে প্রতি বছর অগাষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়। এসব গ্যাস ওজন স্তরের ক্ষয় সাধন করে।

    আবহাওয়া বিভাগ বলেছে মার্কিন উপগ্রহের উপাত্ত থেকে গর্তের আয়তন ২ কোটি ৭৮ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বলে জানা গেছে।

    অগাষ্টে গর্তটির সৃষ্টি হয় এবং মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ক্রমেই বড় হতে থাকে এবং এরপর তা পুনরায় ছোট হতে শুরু করে।

    কর্মকর্তারা বলেছেন ১৯৭৯ সাল থেকে ওজন স্তরের গর্তের রেকর্ড রাখা শুরু হয় এবং তা থেকে এ পর্যন্ত চলতি বছরের গর্তের আয়তন হচ্ছে ৪র্থ বৃহৎ, যা ১৯৯৮ সালের গর্তের সমান।

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা এ বছর ওজন স্তরে গহ্বরের আয়তন বড় হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অ‌্যান্টারটিকার উপর স্ট্র্যাটোসফিয়ারের কম তাপমাত্রাকে। তারা আরো বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া ওজন স্তরকে গ্রাস করেছে।

    জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বায়ুমন্ডলে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব মাঝারি ধরনের হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু তারা বলেছেন ২০৫০ সালের পূর্বে অ‌্যান্টারটিকার আকাশে ওজন স্তর ১৯৮০ সালের মাত্রায় ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

    বায়ুমন্ডলের ওজন স্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকে দিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষের ত্বক ও চোখকে রক্ষা করে।

    আবহাওয়া বিভাগের ওজোন স্তর পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের আৎসুইয়া কিনোশিতা বলেছেন যদিও ক্ষতিকর গ্যাস গুলোর মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে এখনো তা ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

    প্রতিক্রিয়াহীন বিএনপি

    একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
    এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত রয়েছে বিএনপি। দলের নেতারা সকলেই এই বিষয়ে সতর্ক। তারা বলছেন, এই সম্পর্কে কোন কিছু বলার থাকলে দলের পক্ষ থেকে পরে জানানো হবে।
    তবে রায় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিকেলের দিকে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে দলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

    নতুন করে কাগজ তৈরি

    Posted by admin on November 19
    Posted in Uncategorized 

    নতুন করে কাগজ তৈরি

    জাপানের গবেষকরা কাগজ তৈরির নতুন এক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যে পদ্ধতিতে তৈরি কাগজ লোহার মতই মজবুত হয়ে উঠবে। এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেপার ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন সেন্টার কাগজের নতুন রূপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

    সেলুলোজ ন্যানো ফাইবার (সিএনএফ) দিয়ে তৈরি এই কাগজের ক্ষেত্রে পাল্প আঁশকে আরো ছোট করে ফেলে ন্যানো মাত্রায় নামিয়ে আনা হয়। এভাবে তৈরি কাগজ অত্যন্ত শক্ত হয়ে ওঠে।

    সাধারণ ভাবে প্রস্তুতকৃত কাগজের ক্ষেত্রে আঁশ গুলো ঢিলাঢালা ভাবে যুক্ত থাকে ফলে তা সহজেই ছিঁড়ে যায়। কিন্তু তাদেরকে ন্যানো মাত্রায় নামিয়ে আনলে আঁশ গুলো দৃঢ় ভাবে একে অন্যের সাথে এঁটে থাকে। ফলে কাগজ হয়ে ওঠে লোহার মতো শক্ত।

    এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিরোমি উচিমুরা বলেন “এটি একটি সপ্নীল বস্তু, ভবিষ্যতে এর উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে কেননা এটি বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক পণ্যের স্থান দখল করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে।”

    গবেষকরা এখন সিএনএফ’কে গাড়ি নির্মাণ খাতেও লাগানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন।

    কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোইউকি ইয়ানো প্লাস্টিক ন্যানো ফাইবার দিয়ে গাড়িকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করছেন। প্লাস্টিক ন্যানো ফাইবারে নির্মিত গাড়ির ওজন তুলনামূলক ভাবে কম হবে ফলে তা জ্বালানি সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।

    তিনি এখন টায়ারে ন্যানো ফাইবার ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন। টায়ারে ব্যবহৃত রাবারে কার্বন ব্যবহারের মাধ্যকে শক্ত করা হয়। গবেষকরা দেখছেন ন্যানো ফাইবার ব্যবহারে রাবারের ওজন প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পায় অথচ তার ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকে।

    ইয়ানো আগামী ৩ বছরের মধ্যে সিএনএফ ব্যবহার করে গাড়ি তৈরির কাজ করছেন।

    জাপানের তৃতীয় বৃহৎ কাগজ প্রস্তুতকারক সিএনএফ এর একটি বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে নতুন ধরনের কাগজ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে। কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের মোড়ক তৈরি করে থাকে। সিএনএফ’র মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন চলাচল করতে পারেনা। পরীক্ষায় দেখা গেছে প্লাস্টিকের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন ভালোভাবেই চলাচল করতে পারে কিন্তু সিএনএফ’র ভেতর দিয়ে অক্সিজেন একেবারেই চলাচল করতে পারেনা। কোম্পানিটি খাবার ও ঔষধের জন্যে ন্যানো ফাইবার শিট দিয়ে তৈরি মোড়ক নির্মানের কথা বিবেচনা করছে।

    সেলুলোজ ন্যান্যো ফাইবার গাছ থেকে তৈরি। জাপানে আগামী দিনের শিল্প প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রস্তুত এই উপাদানের বড় ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে।

    হ্যালুইনঃ ওকিনাওয়া বিরোধঃ ঝুঁকি এড়াতে আইনি ব্যবস্থা ছিলো -সুগা; হতবাক ওনাগা

    জাপানের প্রধান মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেছেন যেহেতু দেশ আইনের শাসনাধীন, তাই ফুতেনমা বিমান ঘাঁটি সৃষ্ট ঝুঁকি এড়াতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া সরকারের হাতে আর কোনো উপায় ছিলো না।

    মঙ্গলবার ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন ওনাগা’র জমি ভারাটের অনুমোদন প্রত্যাহার অবৈধ ছিলো।

    তিনি বলেন ওকিনাওয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা মার্কিন ঘাঁটি সৃষ্ট ঝুঁকি এড়ানোর জন্যে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু গভর্নরের সিদ্ধান্ত এই সকল কঠোর প্রচেষ্টাকে অবজ্ঞা করেছে।

    সুগা বলেন ওনাগা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি সুপারিশ এবং নির্দেশ অমান্য করেছেন। আর সে কারণেই সরকারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।

    হতবাক হয়ে গেছেন ওনাগাঃ

    ওকিনাওয়া গভর্নর তাকেশি ওনাগা সরকার মার্কিন ঘাঁটি ইস্যু নিয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, অনুভূতি ব্যক্ত করার কোনো ভাষা নেই।

    মঙ্গলবার সকালে ওনাগা বলেন তিনি পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবেন।

    জাপানের বিষাক্তহাবুসাপ

    ওকিনাওয়ার রিউকিউ দ্বীপের বাসিন্দা বিষাক্ত সাপটির জেনেরিক নাম হচ্ছে হাবু।

    জাপানের হাবু প্রজাতি গুলো হলোঃ সাকিশিমা হাবু, ওকিনাওয়ান হাবু, তোকারা হাবু এবং হিমে হাবু।

    সাকিশিমা হাবু (ট্রিমেরেসারাস এলিগান্স) লম্বায় ৫০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাপটিকে ইয়ায়েইয়ামা দ্বীপাঞ্চলে দেখা যায়।

    ওকিনাওয়ান হাবু (ট্রিমেরেসারাস ফ্লাভোভিরিডিস) হলো আসলে একটি পিট ভাইপার, এরা লম্বায় ১২০ থেকে ১৫০ সেন্টিমার হয়ে থাকে। প্রচন্ড বিষধর হলেও সাথে সাথে চিকিৎসা করা হলে তা খুব কমই প্রাণঘাতি পর্যায়ে যায় কিন্তু অনেক সময় সাপটির কামড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে নেয়ার ঘটনা রয়েছে।

    তোকারা হাবু (ট্রিমেরেসারাস তোকারেনসিস) সাপটির দর্শন মেলে তাকারা-জিমা এবং কোতাকারা-জিমা দ্বীপে, এরা দৈর্ঘ্যে ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

    হিমে হাবু (ওভোফিস ওকিনাভেনসিস) লম্বায় ৩০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, এদের বিষ অবশ্য তুলনামূলক ভাবে কম মারাত্মক, যদি সাপটি কামড় দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো জরুরি।

    হাবুকে সাধারণ ভাবে পাম বন ও চাষ ক্ষেত্র অঞ্চলে দেখা যায়, এ ছাড়াও পাথুরে অঞ্চল, পুরানো সমাধি এবং গুহাতেও এদের বাস রয়েছে।

    সাধারণ ভাবে নিশাচর, অনেক সময়ে ইঁদুরের সন্ধানে ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে। দ্রুততার সাথে ছোবল মারতে সক্ষম।

    গরমের মাঝামাঝি সাপটি ১৮টি করে ডিম পাড়ে। ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে ডিম ফুটে ছানা বের হয়।

    হাবু সাপের কামড়ে ১০০০ মানুষের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে -যেটি অত্যন্ত মারাত্মক বিষ হিসেবে গণ্য করা হয়। কামড় দেয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা নেয়া হলে প্রাণ বেঁচে যেতে পারে, তবে ৬ থেকে ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হয়।

    প্যারিস হামলা: গাড়িতে পাওয়া গেল জঙ্গিদের অস্ত্র

    প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি অস্ত্র খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। শহরতলি থেকে জব্দ করা গাড়ি থেকে অন্তত তিনটি কালাশনিকভ রাইফেল পাওয়া গেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই গাড়িতে চড়েই হামলাকারীদের কয়েক জন পালিয়েছে।
    পুলিশ জানিয়েছে, রেস্টুরেন্টে হামলার জন্য এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা।হামলার পর গাড়িটিতে চড়ে তারা প্যারিস ছাড়ে। আরো উত্তরে বেলজিয়ামের অভিমুখে তারা পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন।
    এর আগে নিহত সাত হামলাকারীর মধ্যে একজনের পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ। ফরাসী নাগরিক ওই হামলাকারীর নাম ইসমাইল মোস্তাফেই। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে প্যারিসে হামলায় এখন পর্যন্ত ১২৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। শহরের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় বোমা, গুলি ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণে আরো প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষ আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    জাপান বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ৮ই নভেম্বর রোববার টোকিওর ওজির অভিজাত হকতপিয়া কাইকান সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাপান শাখার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, জাপান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর খান রনির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তবো রাখেন জাপানর বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জনাব মীর রেজাউল করিম রেজা,সহ সভাপতি আলমগীর হোসেন মিঠু,জাপান বিএনপির উপদেষ্টা কাজী এনামুল হক , দফতর সম্পাদক ফয়সাল সালাউদ্দিন।কোষাধ্যক্ষ,আনোয়ার হোসেন,বিএনপি নেতা,জসিম উদ্দিন
    যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,,সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল আলাম (রিপন), যুগ্ন-সম্পাদক জুয়েল পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের।
    ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সাদেকুল হায়দার (বাবলু), সাধারণ সম্পাদক,মোজাহিদুল ইসলাম জুয়েল
    সহ-সভাপতি কে এম সাফি রায়হান, যুগ্ন-সম্পাদক রাজিব জামান, তাওহীদ হেলাল,রাজীব আহসান
    স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হায়দার হোসেন , সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জনি,
    জাপান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জাল হোসেন তার বক্তবে বলেন
    ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতা’র বিপ্লব -এর এক মহান অভুত্থানের মাধ্যমে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন জিয়াউর রহমান-কে, ফিরিয়ে আনেন সেনাবাহিনীর ভেংগেপড়া চেইন ইন কমান্ড, রক্তস্তূপ থেকে ফিরিয়ে আনেন বিশৃংখলীত বংগভবণ-এর শৃংখলা, আতংকিত দেশবাসীকে উপহার দেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, কর্ণেল তাহের,মেজর জলিল-এর পৌষ্য জাসদ গণ-বাহিনীর প্রধাণ হাসানুল হক ইনু সেদিন জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন স্যার,আপনিই আমাদের “ত্রার্ণকর্তা”
    ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরো বলেন দলের এই দুর্দিনে সকল কে এক সাথে থেকে আগামী দিনের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রাম এ ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

    তরুণদের লজ্জা দিলেন তিনি

    যুব সম্প্রদায় দুর্বল হলে দেশও দুর্বল হয়ে পড়বে। এই চিন্তাই তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মকে বার্তা দিতে ২৩ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছেন ভারতের হরিয়ানার বাগিচা সিং।  বর্তমানে তার বয়স ৮১ বছর। কিন্তু বিশ্বাস করতে যে কারো কষ্ট হবে যে, পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করার প্রতিজ্ঞা করে ইতিমধ্যে তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন  ৫ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা।

    এখানেই শেষ নয়, তিনি তার শক্তির পরীক্ষাতেও লজ্জা দিয়েছেন একঝাঁক তরুণকে। সম্প্রতি পিঠের বিশাল ব্যাগ সামনে রেখে বিশ্রাম করছিলেন তিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন এনসিসি নেভি শাখার কয়েকজন তরুণ ক্যাডেট। বাগিচার ব্যাগটি নিয়ে তারা ঠাট্টা করতেই তিনি তাদের বললেন পারলে সেটা তারা তুলে দেখাক। তরুণরা একে একে চেষ্টা করে কেউই ৯০ কেজি ওজনের ব্যাগটি তুলতে পারলেন না। কিন্তু সেই ব্যাগ অনায়াসে পিঠে নিয়ে হাঁটা দেন এই বৃদ্ধ। এরপর তাদের বলেন, লক্ষ্যে অবিচল থাকতে গেলে মনের পাশাপাশি শরীরেও বল লাগে।

    ১৯৯২ সালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাগিচা সিং। সেই শুরু। তারপর থেকে এখনও বাড়ি ফেরেননি। তার অভিমত, তরুণরা ধীরে ধীরে আলস্যকে আলিঙ্গন করে নিজেদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে। তাই তাদের সচেতন করতেই তার এই অভিযাত্রা। বাগিচা বর্তমানে হায়দরাবাদে রয়েছেন। ভারত ভ্রমনের পথে তিনি রাত কাটান স্থানীয় কোনো মন্দিরে।