অ্যান্টারটিকার ওজন স্তরে ৪র্থ বৃহৎ গহ্বর

জাপানের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে অ‌্যান্টারটিকার উপরে থাকা ওজন স্তরে রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে ৪র্থ বৃহৎ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং আয়তনে তা অ‌্যান্টারটিকা মহাদেশের দ্বিগুন।

ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের কারণে প্রতি বছর অগাষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরে এই গহ্বরের সৃষ্টি হয়। এসব গ্যাস ওজন স্তরের ক্ষয় সাধন করে।

আবহাওয়া বিভাগ বলেছে মার্কিন উপগ্রহের উপাত্ত থেকে গর্তের আয়তন ২ কোটি ৭৮ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার বলে জানা গেছে।

অগাষ্টে গর্তটির সৃষ্টি হয় এবং মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ক্রমেই বড় হতে থাকে এবং এরপর তা পুনরায় ছোট হতে শুরু করে।

কর্মকর্তারা বলেছেন ১৯৭৯ সাল থেকে ওজন স্তরের গর্তের রেকর্ড রাখা শুরু হয় এবং তা থেকে এ পর্যন্ত চলতি বছরের গর্তের আয়তন হচ্ছে ৪র্থ বৃহৎ, যা ১৯৯৮ সালের গর্তের সমান।

আবহাওয়া কর্মকর্তারা এ বছর ওজন স্তরে গহ্বরের আয়তন বড় হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন অ‌্যান্টারটিকার উপর স্ট্র্যাটোসফিয়ারের কম তাপমাত্রাকে। তারা আরো বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়া ওজন স্তরকে গ্রাস করেছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বায়ুমন্ডলে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন এবং অন্যান্য গ্যাসের ঘনত্ব মাঝারি ধরনের হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু তারা বলেছেন ২০৫০ সালের পূর্বে অ‌্যান্টারটিকার আকাশে ওজন স্তর ১৯৮০ সালের মাত্রায় ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বায়ুমন্ডলের ওজন স্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে আটকে দিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষের ত্বক ও চোখকে রক্ষা করে।

আবহাওয়া বিভাগের ওজোন স্তর পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের আৎসুইয়া কিনোশিতা বলেছেন যদিও ক্ষতিকর গ্যাস গুলোর মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে এখনো তা ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।