• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ২১৫ পৌরসভার বেরকারি ফল : আওয়ামী লীগ ১৭২ বিএনপি ২২  

    সারাদেশে মোট ২৩৪টির মধ্যে ২১৫টি পৌরসভার বেসরকারি ফল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ ১৭২, বিএনপি ২২, জামায়াত ২ ও ২২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মেয়র পদে ২২৭টিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। সন্ধ্যায় গণনা শেষে বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত করা হয়। এর মধ্যে ২২৬টির ফল ঘোষণা করা হয়। একটির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। এর আগে ৭টি পৌরসভার মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২২৬টির মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকার ধামরাইয়ে গোলাম কবির মোল্লা (নৌকা ১২৫১৯) তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু (ধানের শীষ ১২৩৪৭), সাভারে বিজয়ী আব্দুল গণি (নৌকা ৩৫৬২৯) প্রতিদ্বন্দ্বী বদিরুজ্জামান বদি (ধানের শীষ ২৯১৫৮), টাঙ্গাইলে বিজয়ী জামিলুর রহমান (নৌকা ৪৯২১৩) প্রতিদ্বন্দ্বী মাহামুদুল হক (ধানের শীষ ২৫২৪৩), ধনবাড়ীতে বিজয়ী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম (নৌকা ১০৪৪৬) প্রতিদ্বন্দ্বী এসএম সুবহান (ধানের শীষ ৭০৬৭), মধুপুরে বিজয়ী মাসুদ পারভেজ (নৌকা ২২২৫৮) প্রতিদ্বন্দ্বী শহীদুল ইসলাম (ধানের শীষ ৪৬৫৩), মির্জাপুরে বিজয়ী শাহাদত হোসেন (নৌকা ৯৫৮৪) প্রতিদ্বন্দ্বী হযরত আলী মিয়া (ধানের শীষ ৪৪৩২), ভূঞাপুরে বিজয়ী মাকুসদুল হক (নৌকা ৫৪৭১) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল খালেক মন্ডল (ধানের শীষ ৫২৯৫), সখিপুরে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আবু হানিফ আজাদ (নৌকা ৯৭১২) তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সানার হোসেন সজীব (জগ ৫৩৯৫), গোপালপুরে নজরুল ইসলাম মোলান (ধানের শীষ ৪৯১৫) প্রতিদ্বন্দ্বী মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল (রেল ইঞ্জিন ৩৫৮৯), কালিহাতীতে বিজয়ী আলী আকবর (ধানের শীষ ৯৪১৯) প্রতিদ্বন্দ্বী আনসার আলী (নৌকা ৭৪৪৭), কিশোরগঞ্জে বিজয়ী পারভেজ মিয়া (নৌকা ২২৯৭৭) প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী ইস্রাফিল (ধানের শীষ ১৭৮৫৯), কুলিয়ারচরে বিজয়ী আবুল হাসান কাজল (নৌকা ৯৩৪৫) প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী সাফিউদ্দিন (ধানের শীষ ৭৫৬৬), হোসেনপুরে বিজয়ী আব্দুল কাইয়ুম খোকন (নৌকা ৪৮৯২) প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ হোসেন (আ. বি. জগ ৪৭৩৫), কটিয়াদীতে বিজয়ী শওকত ওসমান (নৌকা ১২৯৩৩) প্রতিদ্বন্দ্বী তোফাজ্জল হোসেন খান (ধানের শীষ ৭৩৪৪), বাজিতপুরে বিজয়ী আনোয়ার হোসেন (নৌকা ১০৪৩০) প্রতিদ্বন্দ্বী এহেসান খুফিয়া (ধানের শীষ ৩৯৫৪), ভৈরবে বিজয়ী ফখরুল আলম (নৌকা ৩০৯৯৩) প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী শাহিন (ধানের শীষ ১৯৯৫৩), করিমগঞ্জে বিজয়ী হাজী আব্দুল কাইয়ুম (আ.বি. জগ ১০১৪১) প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল ইসলাম মামুন (নৌকা ৪৫৯২), শিবচরে বিজয়ী আওলাদ হোসেন খান (নৌকা ১০১৩৭) প্রতিদ্বন্দ্বী তোফাজ্জল হোসেন খান (নারিকেল গাছ ৪৯১) নড়িয়ায় বিজয়ী হায়দার আলী (নৌকা ৬১৫৮) প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম বাবু (নারিকেল গাছ ৪৪৬৫), ডামুড্যায় বাচ্চু ছৈয়াল (নৌকা ৪৯৬৩) প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর মাতবর (ধানের শীষ ৩০২৬), ভেদরগঞ্জ বিজয়ী আব্দুল মান্নান হাওলাদার (নৌকা ৩৩৫৭) প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মোস্তফা (ধানের শীষ ১২৭১), চট্ট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে বিজয়ী বদিউল আলম (নৌকা ১৪৮৩২) প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল মনসুর (ধানের শীষ ২৯৪২), রাঙ্গুনিয়া বিজয়ী শাহজাহান শিকদার (নৌকা ১২৯৮৭) প্রতিদ্বন্দ্বী হেলাল উদ্দিন (ধানের শীষ ২১৫৭), বারইয়ারহাটে বিজয়ী নিজাম উদ্দিন (নৌকা ৫৬৬৬) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুদ্দিন লিটন (ধানের শীষ ৪৩৮), রাউজানে বিজয়ী দেবাশীষ পালিত (নৌকা ২৮১৬২) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল হাসান (ধানের শীষ ২১২০ ), পটিয়া মীরসরাইয়ে বিজয়ী গিয়াস উদ্দিন (নৌকা ৭২৯৭) প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম পারভেজ (ধানের শীষ ৪৭৫), সাতকানিয়ায় বিজয়ী মো. জুবায়ের (নৌকা ২০৫৪২) প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল আলম (ধানের শীষ ২০৭৯), চান্দনাইশে বিজয়ী মাহবুবুল আলম (নৌকা ১১৫২১) প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আইয়ুব আলী (এলডিপি ২৫৭০), সন্দীপে বিজয়ী জাফরুল্লা টিটু (নৌকা ২০৬৯০) প্রতিদ্বন্দ্বী আজমত আলী বাহাদুর (ধানের শীষ ৪৪৬), বাঁশখালীতে বিজয়ী সেলিমুল হক (নৌকা ১৩৩৩০) প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল ইসলাম হুসাইনি (ধানের শীষ ৬৩৫০), আখাউড়ায় বিজয়ী তাকজিল খলিফা কাজল (নৌকা ১৪৬৯৯) প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী মন্তাজ মিয়া (ধানের শীষ ৩০২৩), চান্দিনা বিজয়ী মফিজুল ইসলাম (নৌকা ১৮৯৭৭) প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মো. আলমগীর (ধানের শীষ ২৩৫৭), লাকসামে বিজয়ী আবুল খায়ের (নৌকা ১৮১৪৬) প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ আক্তার (ধানের শীষ ১০৬৮০), বরুড়ায় বিজয়ী জসিম উদ্দিন পাটোয়ারি (ধানের শীষ ১১৯১০), বাহাদুরুজ্জামান (নৌকা ৫৯৯৭) চৌদ্দগ্রামে বিজয়ী মিজানুর রহমান (নৌকা ১২৫০৮) প্রতিদ্বন্দ্বী ইমাম হোসেন পাটোয়ারী (ইমাম) (আ.বি জগ) দাগনভূঁইয়া বিজয়ী ওমর ফারুক (নৌকা ১০৭১৪), বসুরহাটে বিজয়ী আব্দুল কাদের মির্জা (নৌকা ৯৪২১) প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল আহমেদ চৌধুরী (ধানের শীষ ১৭৫৬), চৌমুহনীতে বিজয়ী আকতার হোসেন ফয়সাল (নৌকা ৭৩২৭) প্রতিদ্বন্দ্বী হারুনুর রশিদ হারুন (ধানের শীষ ৫৭৯৩), হাতিয়ায় বিজয়ী একেএম ইউসুফ আলী (নৌকা ৯৩৩২) প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুদ্দিন আহমেদ (জগ ৭২৬৪), রামগঞ্জে বিজয়ী আবুল খায়ের পাটোয়ারী (নৌকা ১৯৬৫৭) প্রতিদ্বন্দ্বী রুম্মন পাটোয়ারী (ধানের শীষ ২২০৯), রামগতিতে বিজয়ী মেজবাউদ্দিন (নৌকা ৯৮৬৭) প্রতিদ্বন্দ্বী আজাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙল ১৬১১), রায়পুরে বিজয়ী ইসমাইল হোসেন (নৌকা ১৩৮৪৬) প্রতিদ্বন্দ্বী এবিএম জিলানী (ধানের শীষ ৬০৯), খাগড়াছড়িতে বিজয়ী মাটিরাঙ্গায় শামসুল হক (নৌকা ৭৩৩৬) প্রতিদ্বন্দ্বী বাদশা মিয়া (ধানের শীষ ৩৩৮৬), রাঙামাটিতে বিজয়ী আকবর হোসেন চৌধুরী (নৌকা ১৭৯৪৩) প্রতিদ্বন্দ্বী গঙ্গা মানিক চাকমা (নারিকেল গাছ ১০১৯৮), বান্দরবানে বিজয়ী ইসলাম বেবি (নৌকা ৮৭০৩) প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান বিপ্লব (লাঙ্গল ৪৪৫৮), লামায় বিজয়ী জহিরুল ইসলাম (নৌকা ৬৬০৬) প্রতিদ্বন্দ্বী আমির হোসেন (ধানের শীষ ২৮৩৫), বরিশালের বেতাগীতে বিজয়ী এবিএম গোলাম কবির (নৌকা ২১৭৬) প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবির (ধানের শীষ ১৫৬১), পাথরঘাটায় বিজয়ী আনোয়ার হোসেন আকন্দ (নৌকা ৬০৬৩) প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিক মোহাম্মাদ আইয়ুব (ধানের শীষ ২৬৩২), বরগুনায় বিজয়ী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (জগ ৫৮৯৩) প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ কামরুল আহসান মহারাজ (নৌকা ২০২৫), কলাপাড়ায় বিজয়ী বিপুল হালদার (নৌকা ৭১০৫) প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী হুমায়ুন শিকদার (ধানের শীষ ১৩৯৯), কুয়াকাটায় বিজয়ী আব্দুল বারেক মোল্লা (নৌকা ৪০১১) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আজিজ মুন্সি (লাঙল ৬২৪), ভোলায় বিজয়ী মনিরুজ্জামান (নৌকা ২০৭১২) প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন অর রশিদ (ধানের শীষ ১৮০২), দৌলতখান জাকির হোসেন তালুকদার (নৌকা ৬৯৭৪) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন কাকন (ধানের শীষ ৬৭৯), বোরহানউদ্দিনে বিজয়ী রফিকুল ইসলাম (নৌকা ৬০৫৬) প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুজ্জামান কবীর (ধানের শীষ ৬৪৩), উজিরপুরে বিজয়ী লোকমান হোসেন ডাকুয়া (নৌকা ৭২২৫) প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান মোল্লা (ধানের শীষ ১১৭৭), বাকেরগঞ্জে বিজয়ী লোকমান হোসেন ডাকুয়া (নৌকা ৭২২৫) প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমান মোল্লা (ধানের শীষ ১১৭৭), বানারীপাড়ায় বিজয়ী সুভাস চন্দ্র শীল (নৌকা ৫৩৫৫) প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মাহবুব মাস্টার (ধানের শীষ ৪৪৩), মেহেন্দীগঞ্জে বিজয়ী কামাল উদ্দিন খান (নৌক ১২২০৭) প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর গাজি আলম (ইসলামী আন্দোলন, হাত পাখা ১৫৬৯), গৌরনদীতে বিজয়ী হারিসুর রহমান (নৌকা ১৮৯৫৯) প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুর রহমান (ধানের শীষ ৭৭৬), মুলাদীতে সফিকুজ্জামান রুবেল (নৌকা ৯৩৫৮) প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদ মাহমুদ (ধানের শীষ ৫৯৬), নলছিটীতে বিজয়ী তসলিম উদ্দিন চৌধুরী (নৌকা ১৩০৪২) প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান (ধানের শীষ ৬৪৩), স্বরুপকাঠীতে বিজয়ী জিএম কবীর (নৌকা ৭৩২৮) প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম ফরিদ (ধানের শীষ ১৭৭৪), খুলনার চালনায় বিজয়ী সনৎ কুমার বিশ্বাস (নৌকা ৪৯৩৫) অচিন্ত কুমার বিশ্বাস (জগ ২৫১৯), পাইকগাছা বিজয়ী সেলিম জাহাঙ্গীর (নৌকা ৬৩৭৮) প্রতিদ্বন্দ্বী বিএম সাত্তার (ধানের শীষ ২৫৭৫), চৌগাছায় বিজয়ী নূর উদ্দিন মামুন আল হিমেল (নৌকা ৪৩১১) প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুর রহমান (আ.বি) নারিকেল গাছ ৩৬১১), বাঘারপাড়ায় বিজয়ী কামরুজ্জামান বাচ্চু (নৌকা ২৫৪১), গাংনীতে বিজয়ী আশরাফুল ইসলাম (জগ ৭০৮৬), কুষ্টিয়া সদরে বিজয়ী হাজী আনোয়ার (নৌকা ৬৭০২২) প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুব উদ্দিন (ধানের শীষ ৩৫১২৮), মিরপুরে বিজয়ী এনামুল হক (নৌকা ৮৯৭১) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হাসেম (১৮৮৪), ভেড়ামারায় বিজয়ী হাজি সামসুল (নৌকা ৭৪৫১) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আলিম (স্বতন্ত্র, মোবাইল ৩৭৮৪), কুমারখালীতে সামছু জাম্মান (নৌকা ৮৪৩৩) প্রতিদ্বন্দ্বী তরিকুল (ধানের শীষ ২৭১১), খোকসায় বিজয়ী তরিকুল তরিক (নৌকা ৭৭১৯) প্রতিদ্বন্দ্বী আল মাসুম শান্ত (স্বতন্ত্র ৩২৭৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বিজয়ী হাসান কাবির গনি (নৌকা ৭২০০) প্রতিদ্বন্দ্বী মীর মহিউদ্দিন (ধানের শীষ ৫১৯০), জীবননগরে বিজয়ী জাহাঙ্গীর আলম (নারিকেল গাছ ৬৪০৪) প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াব আলী (ধানের শীষ ৩০২৪), মাগুরায় বিজয়ী খুরশিদ হায়দার (নৌকা ২৭৯৫০) প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল আক্তার খান কাপুর (ধানের শীষ ১৫৪৯৬), মোড়েলগঞ্জ বিজয়ী মনিরুল হক তালুকদার (নৌকা ৭৮৭৬) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ জব্বার (ধানের শীষ ১৩৬০), সাতক্ষীরায় বিজয়ী তাসকিন আহমেদ ( ধানের শীষ ১৬৩৪১) প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আজহার হোসেন (লাঙ্গল ১২৪৯৭), কলা রোয়া বিজয়ী গাজী আক্তারুল ইসলাম (ধানের শীষ ৫৫৩৪) প্রতিদ্বন্দ্বী আরাফাত হোসেন (আ.বি) মোবাইল ৩৯৭৩), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিজয়ী হালিমুল হক নীরু (নৌকা ২১৮৮১) প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম (ধানের শীষ ৭৭০৩), উল্লাপাড়ায় বিজয়ী নজরুল ইসলাম (নৌকা ১৬৮৮৫) প্রতিদ্বন্দ্বী বিল্লাল হোসেন (ধানের শীষ ৮২৬০), রায়গঞ্জে বিজয়ী গাজী আব্দুল্লাহ আল পাঠান (নৌকা ৩৯৬৮) প্রতিদ্বন্দ্বী নুর সাঈদ সরকার (ধানের শীষ ২৯৩৬), কাজিপুরে বিজয়ী নিজাম উদ্দিন (নৌকা ৭৮২৫) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সালাম (নারিকেল গাছ ১৭৩), মুন্ডুমালায় বিজয়ী গোলাম রব্বানী (নৌকা ৬৪৫৫) প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ কবির (ধানের শীষ ৪৬৪৬), দূর্গাপুরে বিজয়ী তোফাজ্জল হোসেন (নৌকা ৭০৯০) প্রতিদ্বন্দ্বী হাসানুজ্জামান সেন্টু (মোবাইল ৪৭২৯), চারঘাটে বিজয়ী জাকিরুল ইসলাম বিকুল (ধানের শীষ ৭৭০২), প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিস খাতুন (নৌকা ৭৩৯৬), কাঁকনহাটে বিজয়ী আব্দুল মজিদ মাস্টার (নৌকা ৫৮০৭) প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুর রহমান (ধানের শীষ ৪৪২৮), আড়ানীতে বিজয়ী মুক্তার হোসেন (নৌকা ৫১৯৮) প্রতিদ্বন্দ্বী তোজাম্মেল হক (ধানের শীষ ২৭১৬), কেশরহাটে বিজয়ী শহীদুজ্জামান শহীদ (নৌকা ৭৩৬৩) প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুর রহমান আকন্দ (জগ ৪৮৩১), গোদাগাড়ীতে মনিরুল ইসলাম বাবু (নৌকা ১০৩৮৮) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল ইসলাম (ধানের শীষ ৬২৯৮), তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা ৭৫৮১), প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সামছুর রহমান (মিন্টু) (ধানের শীষ ৩২৮১), ভবানীগঞ্জে বিজয়ী আব্দুল মালেক (নৌকা ৬০০৯) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক (ধানের শীষ ৫০৮৬), কাটাখালীতে আব্বাস আলী (নৌকা ৬৬৮৯) প্রতিদ্বন্দ্বী মাজেদুর রহমান (জগ ৪৯৩৭) নওহাটায় বিজয়ী শেখ মকবুল হোসেন (ধানের শীষ ১২৭৮৩) প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল বারী খান (নৌকা ১১৬৮৯) নওগাঁর নজিপুর বিজয়ী রেজাউল কবীর বাবু (নৌকা ৬২৪৭) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন (ধানের শীষ ৫৮৩২) চাপাইনবাবগঞ্জ বিজয়ী নজরুল ইসলাম (জগ ৩১৫০৪) প্রতিদ্বন্দ্বী শামিউল হক লিটন (নৌকা ৩০৫০৪), রহনপুরে বিজয়ী তারেক আহমেদ (ধানের শীষ ৯৫১৭) প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম রাব্বানী (নৌকা ৭৬৩২), নাচোলে বিজয়ী আব্দুর রশিদ খান (নৌকা ৩২১৮) প্রতিদ্বন্দ্বী আমানুল্লাহ মাসুদ (রেল ইঞ্জিন ২৭২০), বগুড়ার শেরপুরে বিজয়ী আবদুস সাত্তার (নৌকা ৮৯১১), সারিয়াকান্দিতে বিজয়ী আলমগীর শাহী সুমন (নৌকা ৭৭৭৬) প্রতিদ্বন্দ্বী টিপু সুলতান (ধানের শীষ ২৪৪৭ ), গাবতলী বিজয়ী সাইফুল ইসলাম সাইফ (ধানের শীষ ৭১৭১) কাহালুতে বিজয়ী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, ধুনটে বিজয়ী এজিএম বাদশা (জগ ৪০০০), নন্দীগ্রামে বিজয়ী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (জগ ৪৪৪৩), শিবগঞ্জে বিজয়ী তৌহিদুর রহমান, জয়পুরহাটে বিজয়ী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (নৌকা ২৭৭৪৪) প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হক (ধানের শীষ ১২৩৫), কালাইয়ে বিজয়ী খন্দকার হালিমুর আলম (নৌকা ৬৮৪৪) প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদুর রহমান সোহেল (ধানের শীষ ১৫০০), আক্কেলপুর গোলাম মাহফুজ চৌধুরী (নৌকা ৬৬০০) বিজয়ী রেজাউল করিম (ধানের শীষ ৩৮৫৫), পীরগঞ্জ বিজয়ী কসিরুল আলম নৌকা ৫৭৪৫ প্রতিদ্বন্দ্বী রাজিউর রহমান রাজু (ধানের শীষ ৫১৩৬), রানীশংকৈল বিজয়ী আলমগীর সরকার (নৌকা ৪৮৮১) প্রতিদ্বন্দ্বী মোকাররম হোসেন (জগ জামায়াত) ৩৪৯১), সুন্দরগঞ্জ বিজয়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন (নৌকা ৪৮৪১) প্রতিদ্বন্দ্বী আজাদুর রহমান প্রামাণিক (ধানের শীষ ১৯৯৩), ফুলবাড়ী বিজয়ী মরতুজা সরকার মানিক (খনি আন্দোলন) নারিকেল ৬৪০৪) প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান আলী সরকার পুতুল (নৌকা ৪৭৯১ ), বীরগঞ্জে বিজয়ী জামায়াতের মাওলানা মোহাম্মাদ হানিফ, রংপুর বিজয়ী উত্তম কুমার সাহা (নৌকা ৬৯৯২) প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল হক (নারিকেল গাছ ৫৯৯৫), কানাইঘাট বিজয়ী নিজামউদ্দিন আল মিজান (আ.বি) (নারিকেল গাছ ৩৩৭৮) প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফর রহমান (নৌকা ২৮৯৭ ), জকিগঞ্জ বিজয়ী খলিল উদ্দিন (নৌকা ১৫২৫), সুনামগঞ্জ বিজয়ী মুশাররফ মিয়া (নৌকা ৭৪৪২), মৌলভীবাজারে বিজয়ী ফজলুর রহমান (নৌকা ১৩৬৬৮), মেলান্দহে বিজয়ী শফিক জায়েদি (নৌকা ৯১৪৫), নালিতাবাড়ী বিজয়ী আবু বক্কর সিদ্দিক (নৌকা ৪৭২১) মোহনগঞ্জ বিজয়ী লতিফুর রহমান রতন (নৌকা ৮৪১৬) দুর্গাপুর বিজয়ী হাজী আব্দুস সালাম (নৌকা ৮৪০০)।

    পরোক্ষ ধুমপান ঠেকাতে আইন করছে জাপান

    জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা কোথায় ধুমপায়ীরা ধুমপান করতে পারবেন এবং কোথায় পারবেন না তার একটি খসড়া চুড়ান্ত করেছেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক ও প্যরালিম্পিক গেমস’কে সামনে রেখে প্রকাশ্যে ধুমপানের উপর এসব বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে।

    এলডিপি আইনপ্রণেতাদের লক্ষ্য ডায়েটের একটি সাধারণ অধিবেশনে বিলটি কার্যকরের জন্যে উত্থাপন করা। আগামী সোমবার তা উত্থাপন করা হতে পারে।

    আইনপ্রণেতারা সরকারকে আইন লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা সহ নির্দিষ্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছেন, তবে জাপানে পরোক্ষ ধুমপান আইনগত ভাবে ঠেকানো এখনই বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।

    বর্তমানে স্বাস্থ্য প্রসার আইন এবং শিল্প নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের উপর সংশোধিত আইনানুসারে জাপানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংগঠন গুলোকে বলা হয়েছে জনগনের সমাগম স্থলে পরোক্ষ ধুমপান কমিয়ে ফেলার পদক্ষেপ নিতে।

    খসড়া অনুসারে এলডিপি আইনপ্রণেতারা আগামী দু’বছরের মধ্যে পরোক্ষ ধুমপান ঠেকাতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচার চালাবেন। এর আগে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজকল্যান এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গুলোতে ধুমপান নিষিদ্ধ করতে চান। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে অ-ধুমপায়ীদের জন্যে এলাকা পৃথক করা হবে।

    জাপানদক্ষিণ কোরিয়া চুক্তি নিয়ে কোরিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    দক্ষিণ কোরিয় সরকার জাপানের সাথে কথিত “আয়েশ নারী” চুক্তি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মুখে রয়েছে।

    জাপানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা’র সাথে বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইউন বিয়াং-সে’র মন্তব্য যথেষ্ট সমালোচিত হচ্ছে।

    ইউন বলেন দক্ষিণ কোরিয়া আয়েশ নারীর প্রতীক একটি মেয়ের মূর্তি নিয়ে সংঘাত নিরসনে চেষ্টা করবে। তিনি সিউলে জাপানি দূতাবাসের সামনের মূর্তি অপসারণ করতে জাপানের অনুরোধ প্রসঙ্গে বলছিলেন। কিশিদা সাংবাদিকদেরকে বলেন মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হবে।

    কোরিয়ার নাগরিক গ্রুপ যারা মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন, তারা বলেন মূর্তিটি একটি ঐতিহাসিক প্রতীক এবং জনগনের সম্পদ। তারা বলেন এখানে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।

    দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম বিরোধী দলও এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না কারণ জাপান তার আইনি দায়িত্ব ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    প্রেসিডেন্ট পার্ক গেউন-হিয়ে এক বিবৃতিতে চুক্তিটিকে যথার্থ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জনগনের উপলব্ধি প্রত্যাশা করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন করার স্বার্থে বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

    ২০০ পৌরসভায় কেন্দ্র দখল হয়েছে : বিএনপি

    পৌর নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি।
    বুধবার ২৩৪ পৌরসভার ভোট শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ নির্দেশ দেন। এ সময় অন্তত ২০০ পৌরসভার ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে অভিযোগ করে ওইসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোটের দাবিও জানান তিনি।
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আমারা যে আশঙ্কা করেছিলাম, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বার বার বলেছি, পৌর নির্বাচন একটি প্রহসনে পরিণত হবে। সারাদিন গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় ভোটগ্রহণের যে চিত্র আমরা দেখেছি, তা গণতন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলেছে।
    ১৫৭টি পৌরসভার সহস্রাধিক কেন্দ্র দখলের খবর এসেছে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, এটা আরো বেশি হবে; ২০০-এর কম হবে না। এখনো আমাদের কাছে সব তথ্য এসে পৌঁছায়নি।
    একইসঙ্গে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোট গণনায়ও আমরা আশঙ্কা করছি। রেজাল্ট শিটও তারা পরিবর্তন করতে পারে। আমরা দলের নেতা-কর্মীদের বলব, যে কোনো পরিস্থিতিতে শান্ত থাকুন। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে থাকবেন। রেজাল্ট শিট যেন রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসেন।
    পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে বিএনপির মুখপাত্র ফখরুল বলেন, আমরা ফলাফলগুলো পেতে থাকলে তারপর দেখব। আজ রাতে দলের চেয়ারপারসন সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসবেন, আলোচনা হলে তারপর কাল বা পরশু আমরা জানাব।
    পৌর নির্বাচন কতজন প্রার্থী বর্জন করেছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে বর্জনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা যতটুকু জানি আটজনের মতো করেছেন। আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশ ছিল, নির্বাচন বর্জনের কোনো সুযোগ নেই, নির্বাচন স্থগিত বা পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের দাবি করতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা সেই দাবি জানিয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, আবদু হালিম, এজডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান শামীম, ২০ দলীয় জোটের শরিক এনডিএলর খন্দকার গোলাম মূর্তজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন খালেদা
    সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন খালেদা
    পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দুদিন আগে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
    তার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান রবিবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন নিয়ে সোমবার বিকেলে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
    ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দুদিন আগে সুনির্দিষ্ট কী বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি খালেদার প্রেসসচিব।
    সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে আসা বিএনপির নেত্রী রবিবার সকালেও এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেছেন, ভোটে তার দলের প্রার্থীদেরই জয় হবে,  ভরাডুবি হবে ক্ষমতাসীনদের।

    এশিয়াতে ট্রাফিক সিস্টেম রপ্তানি করবে জাপান

    জাপান সরকার জাপানের আধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো পরীক্ষামূলক ভাবে অন্যান্য দেশে রপ্তানি করবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হবে এশিয়ার দেশ গুলোতে।

    প্রকল্পটি একটি সরকারী উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) কর্মসূচির মাধ্যমে প্রদান করা হবে যা আগামী অর্থবছর থেকে শুরু হচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে স্বল্প পরিসরে এই প্রযুক্তির প্রসার ঘটানো যেটিকে তারা বলছেন “বুদ্ধিমান পরিবহন ব্যবস্থা” (ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম -আইটিএস)। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে গ্রহীতা দেশ গুলো জাপানের আধুনিক প্রযুক্তি এবং পূর্ণ মাত্রায় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারবে যা জাপানি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে ঐসব দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

    ওডিএ’র মাধ্যমে এ ধরনের প্রকল্পে সহায়তা হবে এটিই প্রথম, জাপান সরকার এর মাধ্যমে চীনের সাথে জাপানের প্রযুক্তিগত পার্থক্যও তুলে ধরতে পারবে।

    আইটিএস হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যা পুলিশ পরিচালিত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র, সড়কের বিভিন্ন তথ্য যেমন দুর্ঘটনা, যানজট ইত্যাদি সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রক কক্ষকে পাঠাবে এবং সেখান থেকে ট্রাফিক সিগনাল নিয়ন্ত্রন করে যানজট দূর করা হবে, টহল গাড়িকে তা গাইড করবে এবং দমকল ও অ‌্যাম্বুলেন্সের মত জরুরি গাড়ি গুলোর নেভিগেশন সিস্টেমকে অবহিত করবে।

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে, ফলে দ্রুত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বড় ধরনের যানজট তৈরি হচ্ছে, যা সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে। এতে করে আইটিএস সিস্টেমের চাহিদা বাড়ছে কেননা কর্মকর্তারা চাইছেন যানবাহন গুলোর মসৃণ যাত্রাপথ।

    ২৩ টন মর্টার খসে পড়লো চিবার সুড়ঙ্গে

    চিবা প্রিফেকচারের একটি সুড়ঙ্গে বুধবার ২৩.৫ টন ওজনের একটি মর্টারের টুকরো সুড়ঙ্গের ভেতর খসে পড়েছে, তবে ঘটনায় কেউ আহত হননি। প্রিফেকচারাল সরকার সূত্রে এ কথা বলা হয়েছে।

    জনৈক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক মর্টার খুলে পড়ার ঘটনা লক্ষ্য করেন। রাত ৮টা ১০ মিনিটে ২০ মিটারের মতো একটি অংশ খুলে যায়।

    পুরোনো হয়ে যাওয়া ৯১.৩ মিটার দৈর্ঘ্যের সুড়ঙ্গটি রাতে মেরামতের জন্যে বন্ধ ছিলো কিন্তু ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে তা যান চলাচলের জন্যে খুলে দেয়া হয়। গত জুন মাস থেকে সুড়ঙ্গটির রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছিলো। ইয়ামানাশি প্রিফেকচারে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে সাসাগো সুড়ঙ্গ ধসে তিনটি গাড়ির উপর পড়লে ৯ জনের মৃত্যু হয়।

    বুধবার খসে পড়া মর্টারের টুকরো মাত্র একমাস আগে লাগানো হয়েছিলো। ঘটনার তদন্ত চলছে।

    এবার রোবট করবে সাংবাদিকতা!

    চিনের একটি সংবাদ চ্যানেলে সকালে আবহাওয়ার সংবাদ পড়তে নিয়োগ দেয়া হয়েছে শিয়াওলেস নামে একটি রোবটকে। শুধু খবর পাঠ নয়, দর্শকদের সঙ্গে কথাও বলবে সে, আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরও দেবে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজও শুরু করে ফেলেছে সে। এই সাংবাদিক-রোবটটি তৈরি করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।
    বেজিং জুড়ে শিয়াওলেস অবশ্য ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। তার মিষ্টি গলায় কথা বলার ঢং, প্রশ্নের চটজলদি উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা দেখে তাজ্জব শহরবাসী। কেমন লাগছে টেলিভিশনে এসে? শিয়াওলেসর জবাব, ‘খুব ভাল।’ শিয়াওলেস যে আস্তে আস্তে মানুষ-সাংবাদিকদেরই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিনের সংবাদপত্রগুলিতে বিস্তর লেখালেখি শুরু হয়েছে।
    গত সেপ্টেম্বরেই চিনের একটি সোশ্যাল-গেমিং সাইটে একটি রোবটের লেখা ৯১৬ শব্দের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার পর থেকেই সাংবাদিকতায় প্রযুক্তিনির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর সম্প্রতি শিয়াওলেসের নিয়োগে সেই প্রশ্নে ফের বিতর্ক দানা বেধেছে।
    যদিও সংশ্লিষ্ট সংবাদ চ্যানেলের ডিরেক্টর সং জিয়ংমিংয়ের বলেন, ‘রোবট কখনওই সাংবাদিকদের জায়গা পুরোপুরি নিতে পারবে না। আবহাওয়ার খবরের ক্ষেত্রে প্রচুর তথ্য বিশ্লেষণের কাজ থাকে।’
    আর বিশ্লেষণের কাজ যন্ত্রের জন্য অনেক বেশি সহজ। যদিও সাংবাদিকদের একাংশের মতে, প্রথমে লিখিত প্রতিবেদন এবং তার পরেই টিভিতে সংবাদপাঠ— অনেকে প্রশ্নও তুলছেন এ ভাবে এগিয়ে গেলে কোথায় গিয়ে দাড়াবে সাংবাদিকতা?

    বিপদের মধ্যেও কবুলিয়াত

    মাওলানা আলী আকবর ছাহেব, আমার মুহতারাম উস্তায। তিনি তাঁর শায়েখ ও মুরশিদ মাওলানা ইদ্রিস সন্দ্বীপী ছাহেব রাহ.-এর কাছে বসে কাঁদছেন আর বলে চলেছেন সদ্য ঘটে যাওয়া বিপদের কথা। মাদরাসায় ডাকাতি হওয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন। অপরদিকে সন্দ্বীপী রাহ. বর্ণনা শুনছেন আর মৃদু হাসছেন; কী যেন ভাবছেন। বিপদের মাঝে তিনি কিসের যেন সুসংবাদ শুনতে পাচ্ছেন। আল্লাহর উপর যার ঈমান পাহাড়সম তিনি বিপদেও আল্লাহকে দেখেন, বিপদ-পরবর্তী আল্লাহর সাহায্যে নিশ্চিত বিশ্বাস করেন। বর্ণনা শেষ হলে তিনি বললেন, মাওলানা ছাহেব! সুসংবাদ গ্রহণ করুন। এই বিপদের মধ্যে মাদরাসার কবুলিয়াতের আলামত দেখতে পাচ্ছি। এই মাদরাসার (মাদানী নগর মাদরাসা) শুরুতেও এমন বড় বড় বিপদ এসেছে। ডাকাত পড়েছে, শত্রু আক্রমণ করেছে। আরো কত কী! আজ আল্লাহর মেহেরবানী নিজ চোখে দেখুন, কেমন দ্বীনের খেদমত চলছে।

    তাঁর এই অমূল্য বাণীর মূল্য দীর্ঘ দেড় যুগ পরে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। বাক্যগুলো ছিল ভরপুর-ঈমানের চাদরে আচ্ছাদিত। যত দিন যাচ্ছে মাদরাসার ততই যেন তারাক্কী হচ্ছে। পড়া-লেখা থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপেই আল্লাহ তাআলার নুসরতের বারিধারা অব্যাহত। এ তো কবুলেরই আলামত।

    মাদরাসা প্রতিষ্ঠার শুরুতেই ডাকাতি। তালিবুল ইলমরা সবে আসতে শুরু করেছে। মাত্র দুদিন হল মাদরাসার বয়স, ছাত্ররা ভর্তি হচ্ছে। অমনি ডাকাত পড়ল। তাও রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। এক উস্তাযে মুহতারাম ও এক তালিবুল ইলম গুলিবিদ্ধ। পুরো মাদরাসায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবক মহোদয়গণ নিজ নিজ পোষ্যকে নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান। আসাতেযায়ে কেরাম নতুন করে ভাবতে শুরু করেন, কী করবেন, কী করা উচিত। এখানে এই বিপদ মাথায় নিয়ে থাকবেন নাকি অন্য কোথাও চলে যাবেন? এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে কানাঘুষা। মাদরাসা শুরু না হতেই ডাকাতি!

    হুযুরের সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন। বছরের পর বছরের মেহনতের ফসল অঙ্কুরেই ঝরে যাবে! হুযুর আর ভার নিতে পারছিলেন না, তাই চলে গেলেন ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান নিজের শায়েখ ও মুরশিদের কাছে। ঈমানী কথা শুনে, আল্লাহর তাআলার নুসরতের বাণী শুনে হুযুর শান্ত¡না পেলেন। ভাঙ্গা হৃদয় আবার ভরে উঠল ঈমানের শক্তিতে। মনে যেন  আর কোনো কষ্ট নেই। ভার নেই, দুঃখও নেই।

    মাদরাসায় এসে সকল তালিবুল ইলম ও আসাতেযায়ে কেরামকে একত্রিত করলেন। হৃদয় থেকে হৃদয়ে নিয়ে আসা সান্ত¡নার বাণী সবাইকে শোনালেন। হৃদয়ের পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে বললেন, বিপদের সময় আল্লাহকে স্মরণ করাই মুমিনের পরিচয়।

    আইয়ূব আলাইহিস সালাম বিপদে পড়ে আল্লাহকেই ডেকেছিলেন, আল্লাহ তাঁর বিপদ দূর করেছিলেন-

    وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ فَاسْتَجَبْنا لَهُ فَكَشَفْنا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ وَآتَيْناهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنا وَذِكْرى لِلْعابِدِينَ.

    অর্থ : এবং স্মরণ কর আইয়ুবের কথা যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!’ তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার দুঃখ-কষ্ট দুরীভ‚ত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সঙ্গে তাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ রহমতস্বরূপে এবং ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ। -সূরা আম্বিয়া (২১) : ৮৩-৮৪

    নিআমত ও সুখও আল্লাহ দেন, মুসিবত ও বিপদও আল্লাহ দেন। মুমিনের কর্তব্য নিআমতের শুকরিআ আদায় করা, আর বিপদেও আল্লাহকে স্মরণ করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

    وَما بِكُمْ مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ثُمَّ إِذا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْئَرُونَ.

    অর্থ : তোমাদের নিকট যে সমস্ত নিআমত রয়েছে তা তো আল্লাহরই নিকট থেকে আবার যখন দুঃখ-দৈন্য তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহ্বান কর। -সূরা নহল (১৬) : ৫৩

    বিপদে পড়লে মুমিনগণ আল্লাহকে ডাকে। আল্লাহ তাআলা এতে খুশি হন। বিপদ দূর করে দেন। অপরদিকে  দুর্বল ঈমানের মানুষ বিপদে পড়লে ঘাবড়ে যায়, হতাশ হয়ে পড়ে। অথচ নিরাশ হতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন, (তরজমা) ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না’। -সূরা যুমার, (৩৯) : ৫৩

    ব্যস, কাজ হয়ে গেল। পুরা মাদরাসায় ফিরে এল চঞ্চলতা। শুরু হল কুরআনের দরস। সবার মুখে দেখা যাচ্ছে জ্বলজ্বল আলো। সর্বত্রই বিরাজ করছে আসমানী ইতমিনান ও প্রশান্তি।

    নামায ও ধৈর্য বিপদমুক্তির পথ

    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اسْتَعِیْنُوْا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلٰوةِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ

    অর্থ : হে মুমিনগণ! তোমরা নামায ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে। -সূরা বাকারা (২) : ১৫৩

    পার্থিব জীবনের পরতে পরতে রয়েছে সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না। আবার এ থেকে উত্তরণের সহজ এবং কার্যকর পথ ও পন্থাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। বান্দার জীবন যেন বিপদের কারণে থমকে না দাঁড়ায়। বিপদের ঘোর অমানিশায়ও যেন সমাধানের পথ খুঁজে পায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী পড়লে এর প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়। হুযাইফা রা. বলেন,

    كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَزَبَهُ أَمْرٌ، صَلَّى.

    অর্থ : যখন কোনো কঠিন বিষয় সামনে আসত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন নামাযে দাঁড়িয়ে যেতেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৩১৯

    কুরআন ও হাদীসের উপর আমল ও তার বাস্তব উদাহরণ দেখেছি আমি জামিয়া সিদ্দিকিয়ায়। অসম্পূর্ণ নতুন ভবন। অঝোর ধারায় বাতাসসহ বৃষ্টিতে ভিতরের কাপড়-চোপড় ও বিছানা-সামগ্রী সব ভিজে যাচ্ছে। মুহতামিম ছাহেব হুযুর নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টিও থেমে গেল। সুবহানাল্লাহ! বিপদে নামায কত কার্যকর। মেহেরবান আল্লাহ বান্দার জন্য জীবন কত সহজ করে দিয়েছেন। বিপদে যদি পড়, নামাযে দাঁড়াও আর আল্লাহর সাহায্য প্রত্যক্ষ কর। সাহাবাদের জীবন-কর্ম এমনই ছিল। যে কোনো প্রয়োজন, বিপদ-আপদ, অসুখ-বিসুখ, ও বালা-মুসিবতে নামাযে দাঁড়িয়ে যেতেন।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

    হিরোশিমার শান্তি সারস

    জাপানে জনশ্রুতি রয়েছে কেউ যদি এক হাজার কাগজের সারস তৈরি করতে পারে তবে তার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। হিরোশিমা’র আণবিক বোমার শিকার ১২ বছরের সাদাকো সাসাকি বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে কাগজের হাজার সারস তৈরি করেছিলো কিন্তু ১৯৫৫ সালে সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সারা বিশ্বের শিশুদের বইয়ে সাসাকি’র করুণ কাহিনী সুপরিচিত হয়ে ওঠে।

    দুই ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ বছর সাদাকো’র একটি সারস প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে।

    অর্ধ শতাব্দীরও বেশি আগে সাসাকি’র তৈরি ছোট্ট সারস তার ভাই মাসাহিরো সাসাকি আমেরিকার মিসৌরি রাজ্যের একটি লাইব্রেরিতে দান করেছেন। লাইব্রেরিটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান’র সম্মানে নির্মিত হয়েছিলো, যিনি ১৯৪৫ সালে জাপানে আণবিক বোমা নিক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছিলেন।

    “এটি আমাকে আনন্দে ভরিয়ে দিচ্ছে” মাসাহিরো বলেন “সত্যিই আমার পক্ষে এরচেয়ে খুশী হওয়া সম্ভব নয়”। ট্রুম্যান’র নাতি ক্লিফটন ট্র্যুম্যান ডানিয়েল এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। তিনি বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, তার হস্তক্ষেপেই লাইব্রেরির কর্মকর্তারা সারসটিকে সেখানে প্রদর্শনের জন্যে গ্রহণ করেন।

    হ্যারি ট্রুম্যান’র সবচেয়ে বড় নাতি হিসেবে ড্যানিয়েল মহান গর্ব অনুভব করে আসছিলেন। তিনি তার উত্তরাধিকার সংরক্ষণ করার জন্যে দিনরাত কাজ করেছেন। কিন্তু ১৬ বছর আগে তার পুত্র সাদাকো সম্পর্কে একটি বই বাসায় আনলে তার চিন্তাভাবনা ওলট-পালট হয়ে যায়।

    ড্যানেল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন কেমন করে একটি ছোট শিশুর কাহিনী তার উপর বড় রকমের প্রভাব ফেলে। “আমার পিতামহ সব সময়েই বলতেন আণবিক বোমার ফলে যুদ্ধ স্বল্প স্থায়ী হয়েছিলো এবং বহু আমেরিকানের জীবন বেঁচে গিয়েছিলো। সত্যিই তা সব কিছুর মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বইটি পড়ে আমি আণবিক বোমার শিকার একজন মানুষের অনুভুতির কথা জানতে পারি।”

    ড্যানিয়েল আণবিক বোমায় বেঁচে যাওয়াদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন তিনি সাদাকো’র ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ২০১০ সালে সাদাকো’র ভাই জাপান সফর করেন। “সবচেয়ে প্রথমে আমি ড্যানিয়েলকে জিজ্ঞেস করি যখন তুমি জানতে পারো তোমার পিতামহ এসবের জন্যে দায়ি তখন তোমার কেমন অনুভূতি হয়েছিলো?” মাসাহিরো বলেন “সে আমায় উত্তর দেয় কিছু সময়ের আমাকে তা পীড়া দিতে থাকে”।

    সাসাকি ডানিয়েলকে একটি ছোট্ট উপহার দেন।

    “সে একটি ছোট্ট কাগজের সারস বের করে, আমার হাতের তালুতে রেখে বলে এটিই ছিলো শেষ সারসটি যা মৃত্যুর আগে সাদাকো ভাঁজ করে গেছে” ড্যানিয়েল বলেন “আর সে সময় তিনি আমাকে হিরোশিমা ও নাগাসাকি সফর করতে বলেন ….আমি আর না বলতে পারিনি। সাদাকো এবং সারস গল্পের অনেক শক্তি”।

    দু’বছর পর ড্যানিয়েল হিরোশিমা ও নাগাসাকি সফর করেন। লোকজন যখন জানবেন তার পরিচয় তখন তারা কী করবেন তা ভেবে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    কিন্তু আণবিক বোমায় বেঁচে যাওয়া মানুষরা কেউ তাকে কোনো দোষারোপ করলেন না কিম্বা ক্ষমাও চাইতে বললেন না। তারা শুধু পৃথিবীর আর কোথাও যেন আণবিক বোমা ফেলা না নয় -তার নিশ্চয়তা চাইলেন।

    “দু’পক্ষেরই ক্ষতি হয়েছে” ড্যানিয়েল বলেন। “দু’পক্ষের মানুষরাই কষ্ট সহ্য করেছেন এবং যদি উভয় পক্ষই তা মেনে নেয় তবে পারষ্পরিক সমবেদনা আর উপলব্ধি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে, এভাবেই এগিয়ে যেতে হয়”।

    গত মাসে সাসাকি যখন আমেরিকা গিয়েছিলেন সারস উপহার দিতে তিনি এবং ড্যানিয়েল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

    এক শিক্ষার্থী মাসাহিরো’কে প্রশ্ন রাখেন “অনেকের বিশ্বাস আণবিক বোমাই ছিলো যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র পথ -এ সম্পর্কে তোমার মত কী”?

    মাসাহিরো জবাবে বলেন “ঘটনা সম্পর্কে আমেরিকান শিক্ষা আর জাপানি শিক্ষার যে পার্থক্য সেটা বোঝাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ”।

    যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭০ বছর পার হলো, সাদাকো’র ছোট্ট একটি প্রতীক মার্কিন ও জাপানি জনগনকে কাছে এনে দিয়েছে এবং পারষ্পরিক সৌহার্দের পথ দেখাচ্ছে।

    Untitled Post

    Posted by admin on December 21
    Posted in Uncategorized 

    জাপানি সাংস্কৃতির সাথে জিনস

    টোকিওর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কিমোনো স্টোর অপ্রথাগত কিমোনো বিক্রি করা শুরু করেছে। ডেনিম জিনস দিয়ে তৈরি কিমোনো একটি দুর্লভ বস্তু। বিক্রি পড়ে আসায় নতুন পদ্ধতিতে বাজারটি আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।

    যারা কিমোনোতে আগ্রহী নয় আমরা তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে চাই- বললেন শিনসো ওহাশি’র সিইও এইজি ওহাশি। “সে কারণে আমরা এই বস্ত্র ব্যবহার করতে চাই। ডেনিম অনেকেরই পছন্দ”।

    ডেনিম তৈরি হচ্ছে ওকাইয়ামা প্রিফেকচারের কুরাশিকি’র একটি কারখানায়। তবে জিনস প্রস্তুতকারকরাও চাপের মুখে রয়েছেন। কেননা আমদানীকৃত পণ্যের মূল্য অপেক্ষাকৃত সস্তা। বিগত ৫ বছরে তাদের পণ্য উৎপাদন হ্রাস পেয়্ছে ২০ শতাংশ।

    ডেনিম প্রস্তুতকারক বেটি স্মিথ এর সিইও ইয়াসুশিরো ওশিমা বলেন “অতীতে আমরা বিক্রির পরিমাণ হিসেব করতাম, সংখ্যাই ছিলো তখন আমাদের কাছে মুখ্য। কিন্তু এখন সৃজনশীলতাও গুরুত্ববহন করছে। আমরা এখন নতুন নতুন পণ্য তৈরি করছি যেগুলোর মাঝে ভিন্ন ভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে”।

    ডেনিম দিয়ে কিমোনো তৈরি করা মোটেই সহজ কাজ নয়। সুতির ডেনিম সিল্কের চেয়ে অনেক বেশি ভারী, তা ছাড়াও সেলাই করার সময় তা করতে হয় ধীরে ও সতর্কতার সাথে যাতে সেলাইয়ে টান না খায় কিম্বা আকারের পরিবর্তন না হয়। বস্ত্রটিকে নরম করার জন্যে ডেনিমকে কয়েক দফা “স্টোন ওয়াশ” পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এতে কাপড়ের গায়ে দাগ পড়ে এবং কুঁচকে যেতে পারে। কোম্পানিটি এই সমস্যা এড়ানোর জন্যে ধোয়ার আগে সাবধানে কাপড়কে ইস্ত্রি করে নেয়। সবশেষে তারা এমনই একটি কিমোনো তৈরি করতে পারেন যা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যেই পছন্দের।

    এভাবে তৈরি কিমোনো’র কোনো কোনোটির দাম ৮০০ ডলার পর্যন্ত ওঠে, শুধু তাই নয় এটি হাতে পাওয়ার জন্যে দু’মাস পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকায় থাকতে হয়।

    সম্প্রতি ডেনিম প্রস্তুতকারক ও কিমোনো প্রস্তুতকারক কোম্পানি দু’টি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

    বেটি স্মিথ এর ওশিমা বলেন “বিগত ৫০ বছরে আমাদের কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্যে আমরা নতুন পন্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই”।

    দু’টি কোম্পানিই আশা করছে এভাবে তারা এই বাজারে টিকে থাকতে সমর্থ হবে।

    নিজে ঘুমিয়ে বিশ্বকে জাগিয়ে গেল আয়লান

    মানবাধিকার গোষ্ঠি ও স্বেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠানসমুহ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসে অভিবাসী শরণার্থীদের বিশেষ ভাবে স্মরণ করেছে। অন্যদেশে আশ্রয় লাভের জন্য যাওয়ার পথে যে হাজার হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী প্রতিকূল পরিবেশে জীবন হারিয়েছে গতকাল তাদের স্মরণ করা হয়। তারা ২০১৫ সালকে অভিবাসীদের জন্য সব চেয়ে প্রতিকূল ও দুঃখবহ বছর বলে উল্লেখ করেন। শরণার্থীদের সেই দুর্ভোগের ছবি দেখে ঠাঁয় দাঁড়িয়েই থাকতে হবে সকলকেই। পলক পড়বে না চোখে। যেমন, সমুদ্র সৈকতে ‘ঘুমিয়ে’ ছিল আয়লান। সমুদ্র সৈকতে শীতল হাওয়ায় ওর পাশে কেউ ছিল না। মায়ের কোলের নিস্তব্ধতা, নিরাপত্তা সব কিছু ছাপিয়ে আয়লান গোটা বিশ্বের ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। ওই ফুটফুটে শিশুটা গোটা বিশ্বের ঘুম ভাঙিয়েছে, নিজে নিদ্রামগ্ন থেকেই। সমুদ্রের ঢেউ ওকে স্পর্শ করতে ভয় পেয়েছে। ভয় হয়েছিল সেনারও। ঘুমিয়ে থাকা আয়লানকে কোলে নিতে হাত কেঁপেছিল তার। বন্দুক ধরতে, বুলেটে বুক ঝাঁঝরা করতেও যার ভয় হত না সে ভয় পেয়েছিল আয়লানের নিথর দেহটাকে সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে আনতে। পৃথিবীর চোখে পানি ছিল সেদিন। স্রষ্টাও সেদিন বলেছিলেন গোটা পৃথিবী যাকে আশ্রয় দিতে পারল না, তার আশ্রয় শুধুু মৃত্যুর কোলে। গতকাল জাতিসংঘ ওয়েবসাইটে সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন বলেছেন, ২০১৫ সাল হলো এমন একটি বছর যাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অভিবাসী ট্র্যাজেডির বছর হিসেবে মনে রাখতে হবে। তিনি বলেছেন, এই বছরে কমপক্ষে ৫ হাজার নরনারী ও শিশু শরণার্থী তাদের জীবন হারিয়েছেন, তারা দেশত্যাগী হয়েছিলেন সংরক্ষিত ও অপেক্ষাকৃত ভালো জীবনের জন্য কিন্তু তা তারা পায়নি তারা পেয়েছে মৃত্যুর স্বাদ। এ ছাড়া ১০ হাজারের মত মানবসন্তান লাঞ্ছিত হয়েছেন মানবপাচারকারীদের দুর্ব্যবহারে। বান কি মুন আরো বলেছেন, লাখ লাখ সাধারণ মানুষ শিকারে পরিণত হয়েছে। এছাড়া তারা বিদেশীদের উপর ভয় ও ঘৃণাদ্বারা আক্রান্ত হন। তিনি অভিবাসীদের নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের মুহূর্তে তুলে ধরা হয় অভিবাসী শরণার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টিকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশত্যাগী অভিবাসীদের মৃত্যু কিংবা নিখোঁজের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৫ জন। আর বিষয়টি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সমান ভাব প্রতিভাত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আইওএম একটি প্রচার অভিযানের আয়োজন করে সেটি হলো, ‘আমি শরণার্থী’। প্রচার অভিযানে শরণার্থীরা তাদের নিজ নিজ জীবনে কঠিন ও দুঃখবহ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন।

    নানকাই খাদ থেকে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী, শক্তিশালী ভূমিকম্প জাপানের তিনটি মেট্রোপলিটান এলাকাতে আঘাত করতে পারে

    জাপানের প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের নিকট নানকাই খাদ থেকে সৃষ্ট বড় ভূমিকম্প জাপানের তিনটি বড় মেট্রোপলিটান এলাকাতে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী কম্পনের সৃষ্টি করতে পারে। সুউচ্চ ভবন গুলো সজোরে দোল খেতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সরকারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    মন্ত্রীপরিষদ কার্যালয়ের একটি প্যানেলের প্রতিবেদন অনুসারে টোকিও, নাগোয়া এবং ওসাকা’র উপকূলবর্তী এলাকার নরম মাটির উপর নির্মিত সুউচ্চ ভবন গুলো নানকাই খাদ থেকে সৃষ্টি বড় ভূমিকম্পে ভূমির সচলতায় বিশেষ ভাবে অরক্ষিত।

    ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি বেশ কম, কিন্তু ছাদ ভেঙে যাওয়ার কারণে মানুষ পড়ে গিয়ে কিম্বা লিফটে আটকা পড়ে আহত হতে পারেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের নিকটবর্তী এলাকা গুলোতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং কাঠের বাড়ি গুলো বিধ্বস্ত হতে পারে। সাথে বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    প্যানেল ভবন গুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোতে অবস্থান করা ভাড়াটিয়াদেরকে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা যাচাই করে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন জরুরি ত্রান সহায়তা এবং দমকলবাহিনীর সাহায্যও না পাওয়া যেতে পারে -এসব বিবেচনা করেই পরিকল্পনা করতে বলেছে।

    প্রতিবেদন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নানকাই খাদ অঞ্চলে বিগত ৫টি বড় ভূমিকম্পের কথা বিবেচনায় আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭০৭ সালে ৮.৬ মাত্রার হোয়েই ভূমিকম্প এবং ৮.০ মাত্রার শোয়া নানকাই ভূমিকম্প, এ ছাড়াও পশিম জাপানের কিইই উপদ্বীপে ৯ এর কাছাকাছি মাত্রার ভূমিকম্প।

    মহান বিজয় দিবস ২০১৫­

    Posted by admin on December 18
    Posted in Uncategorized 

    মহান বিজয় দিবস ২০১৫­

    আগামী ­২৭শে ডিসেম্বর ২০১৫ রবিবার­ ­আকাবানে­ ­বুনকা সেন্টা­রে­ ­(­ ­ভিভিও হল­ )­ ­৪৪তম­ ­মহান­ ­বিজয় দিবস ­উদযাপন উপলক্ষে­ ­এক আলোচনা সভা­, ­মনোজ্ঞ­ ­সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান­ এবং নৈশভোজ­ এর­ ­আয়োজন করা হয়েছে­।­ ­উক্ত অনুষ্ঠানে আপনাদের­ ­উপস্থিতি কামনা করছি­।­ ­

    অনুষ্ঠান­ ­:­ ­বিকাল ৩.৩০- রাত্র ৮.৩০­
    বাংলাদেশ­ ­থেকে আগত শিল্পী­ ­ – ­ ­সাবরিনা ও মামুন­ ­
    এবং সহযোগিতায়­- ­উত্তরণ শিল্পী­ ­গোষ্ঠী­।­ ­
    Dinner­ ­Menu­ ­: ­Rice / Salad/ 3 types of Bhorta / Beef C­urry/ Chicken Roast / Dal,

    Dessert ­: Jilapi­

    স্থান :­ Akabane Bunka Kaikan ( Viveo Building )­
    Tokyo -to , kita-Ku Akabane Nishi 1-6-1­
    Tel : 03-3909-8121­
    আয়োজন­ ­ও­ ­পরিচালনায়­ ­
    বাংলাদেশ কমিউনিটি­ ­জাপান­।­ ­
    এবারের স্লোগান: বদলে যাও সমাজ
    রুখে দাও সকল অন্যায়. সবাই মিলে গাই
    বিজয়ের গান

    জাপানে বিবাহিত জুটির নাম পরিবর্তন বিষয়ক আপিল খারিজ

    জাপানে বিবাহিত জুটির নাম পরিবর্তন বিষয়ক একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল বুধবার আদালত জানিয়েছে বিবাহিত জুটিদের অবশ্যই নামের শেষাংশে একজনের নাম ব্যবহার করতে হবে।
    এর আগে পাঁচজন বাদী মেয়েদের কুমারী নাম বিয়ের পরেও রেখে দেয়ার আবেদন জানিয়ে একটি আবেদন করেছিল। ১৯ শতকের যে আইনটি সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন করেছে তাতে অবশ্য উল্লেখ নেই পুরুষ না স্ত্রী সঙ্গীর নাম অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করতে হবে। তবে জাপানের বেশিরভাগ নারীই স্বামীর নামের শেষাংশটি গ্রহণ করে থাকে।
    এদিকে একটি পৃথক রায়ে জাপানে তালাকপ্রাপ্ত নারীর কমপক্ষে ছয় মাস বিবাহ না করার নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে ১০০ দিনে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
    নারী, লিঙ্গ সমতা বিশেষজ্ঞ এমনকি জাতিসংঘ কমিটিও নারীদের কুমারী নাম বিবাহের পরে পরিবর্তনের রীতিকে পুরোনো ও বৈষম্যসূচক বলে মনে করে। এই মামলার বাদীদের একজন কিয়োকো সুকোমাতো ‍সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমার নামই আমার পরিচিতি।

    উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র জাপানই বিয়ের নিবন্ধনের পর থেকেই জুটিদের শেষাংশ পরিবর্তন করতে হয়। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের জন্য এটা বিব্রতকর। জাপান উইমেন ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট ফর উইমেন অ্যান্ড ক্যারিয়ারের পরিচালক মাচিকো ওসাওয়া বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে একজন নারী কর্পোরেশনে নিজের অবস্থান তৈরি করেছে। এবং আপনি বিয়ে করার পরে হঠাৎ করে আপনার নাম পরিবর্তন করতে হবে।  উল্লেখ্য, জাপানে নারীদের ৬৫ শতাংশ কর্মজীবী যা উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।