জাপানি সাংস্কৃতির সাথে জিনস
টোকিওর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কিমোনো স্টোর অপ্রথাগত কিমোনো বিক্রি করা শুরু করেছে। ডেনিম জিনস দিয়ে তৈরি কিমোনো একটি দুর্লভ বস্তু। বিক্রি পড়ে আসায় নতুন পদ্ধতিতে বাজারটি আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।
যারা কিমোনোতে আগ্রহী নয় আমরা তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে চাই- বললেন শিনসো ওহাশি’র সিইও এইজি ওহাশি। “সে কারণে আমরা এই বস্ত্র ব্যবহার করতে চাই। ডেনিম অনেকেরই পছন্দ”।
ডেনিম তৈরি হচ্ছে ওকাইয়ামা প্রিফেকচারের কুরাশিকি’র একটি কারখানায়। তবে জিনস প্রস্তুতকারকরাও চাপের মুখে রয়েছেন। কেননা আমদানীকৃত পণ্যের মূল্য অপেক্ষাকৃত সস্তা। বিগত ৫ বছরে তাদের পণ্য উৎপাদন হ্রাস পেয়্ছে ২০ শতাংশ।
ডেনিম প্রস্তুতকারক বেটি স্মিথ এর সিইও ইয়াসুশিরো ওশিমা বলেন “অতীতে আমরা বিক্রির পরিমাণ হিসেব করতাম, সংখ্যাই ছিলো তখন আমাদের কাছে মুখ্য। কিন্তু এখন সৃজনশীলতাও গুরুত্ববহন করছে। আমরা এখন নতুন নতুন পণ্য তৈরি করছি যেগুলোর মাঝে ভিন্ন ভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে”।
ডেনিম দিয়ে কিমোনো তৈরি করা মোটেই সহজ কাজ নয়। সুতির ডেনিম সিল্কের চেয়ে অনেক বেশি ভারী, তা ছাড়াও সেলাই করার সময় তা করতে হয় ধীরে ও সতর্কতার সাথে যাতে সেলাইয়ে টান না খায় কিম্বা আকারের পরিবর্তন না হয়। বস্ত্রটিকে নরম করার জন্যে ডেনিমকে কয়েক দফা “স্টোন ওয়াশ” পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এতে কাপড়ের গায়ে দাগ পড়ে এবং কুঁচকে যেতে পারে। কোম্পানিটি এই সমস্যা এড়ানোর জন্যে ধোয়ার আগে সাবধানে কাপড়কে ইস্ত্রি করে নেয়। সবশেষে তারা এমনই একটি কিমোনো তৈরি করতে পারেন যা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যেই পছন্দের।
এভাবে তৈরি কিমোনো’র কোনো কোনোটির দাম ৮০০ ডলার পর্যন্ত ওঠে, শুধু তাই নয় এটি হাতে পাওয়ার জন্যে দু’মাস পর্যন্ত অপেক্ষমান তালিকায় থাকতে হয়।
সম্প্রতি ডেনিম প্রস্তুতকারক ও কিমোনো প্রস্তুতকারক কোম্পানি দু’টি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বেটি স্মিথ এর ওশিমা বলেন “বিগত ৫০ বছরে আমাদের কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্যে আমরা নতুন পন্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই”।
দু’টি কোম্পানিই আশা করছে এভাবে তারা এই বাজারে টিকে থাকতে সমর্থ হবে।