• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • নিজে ঘুমিয়ে বিশ্বকে জাগিয়ে গেল আয়লান

    মানবাধিকার গোষ্ঠি ও স্বেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠানসমুহ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবসে অভিবাসী শরণার্থীদের বিশেষ ভাবে স্মরণ করেছে। অন্যদেশে আশ্রয় লাভের জন্য যাওয়ার পথে যে হাজার হাজার শরণার্থী ও অভিবাসী প্রতিকূল পরিবেশে জীবন হারিয়েছে গতকাল তাদের স্মরণ করা হয়। তারা ২০১৫ সালকে অভিবাসীদের জন্য সব চেয়ে প্রতিকূল ও দুঃখবহ বছর বলে উল্লেখ করেন। শরণার্থীদের সেই দুর্ভোগের ছবি দেখে ঠাঁয় দাঁড়িয়েই থাকতে হবে সকলকেই। পলক পড়বে না চোখে। যেমন, সমুদ্র সৈকতে ‘ঘুমিয়ে’ ছিল আয়লান। সমুদ্র সৈকতে শীতল হাওয়ায় ওর পাশে কেউ ছিল না। মায়ের কোলের নিস্তব্ধতা, নিরাপত্তা সব কিছু ছাপিয়ে আয়লান গোটা বিশ্বের ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। ওই ফুটফুটে শিশুটা গোটা বিশ্বের ঘুম ভাঙিয়েছে, নিজে নিদ্রামগ্ন থেকেই। সমুদ্রের ঢেউ ওকে স্পর্শ করতে ভয় পেয়েছে। ভয় হয়েছিল সেনারও। ঘুমিয়ে থাকা আয়লানকে কোলে নিতে হাত কেঁপেছিল তার। বন্দুক ধরতে, বুলেটে বুক ঝাঁঝরা করতেও যার ভয় হত না সে ভয় পেয়েছিল আয়লানের নিথর দেহটাকে সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে আনতে। পৃথিবীর চোখে পানি ছিল সেদিন। স্রষ্টাও সেদিন বলেছিলেন গোটা পৃথিবী যাকে আশ্রয় দিতে পারল না, তার আশ্রয় শুধুু মৃত্যুর কোলে। গতকাল জাতিসংঘ ওয়েবসাইটে সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল বান কি মুন বলেছেন, ২০১৫ সাল হলো এমন একটি বছর যাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অভিবাসী ট্র্যাজেডির বছর হিসেবে মনে রাখতে হবে। তিনি বলেছেন, এই বছরে কমপক্ষে ৫ হাজার নরনারী ও শিশু শরণার্থী তাদের জীবন হারিয়েছেন, তারা দেশত্যাগী হয়েছিলেন সংরক্ষিত ও অপেক্ষাকৃত ভালো জীবনের জন্য কিন্তু তা তারা পায়নি তারা পেয়েছে মৃত্যুর স্বাদ। এ ছাড়া ১০ হাজারের মত মানবসন্তান লাঞ্ছিত হয়েছেন মানবপাচারকারীদের দুর্ব্যবহারে। বান কি মুন আরো বলেছেন, লাখ লাখ সাধারণ মানুষ শিকারে পরিণত হয়েছে। এছাড়া তারা বিদেশীদের উপর ভয় ও ঘৃণাদ্বারা আক্রান্ত হন। তিনি অভিবাসীদের নিরাপত্তা বিধানের আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের মুহূর্তে তুলে ধরা হয় অভিবাসী শরণার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টিকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশত্যাগী অভিবাসীদের মৃত্যু কিংবা নিখোঁজের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯৫ জন। আর বিষয়টি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সমান ভাব প্রতিভাত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আইওএম একটি প্রচার অভিযানের আয়োজন করে সেটি হলো, ‘আমি শরণার্থী’। প্রচার অভিযানে শরণার্থীরা তাদের নিজ নিজ জীবনে কঠিন ও দুঃখবহ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন।

    নানকাই খাদ থেকে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী, শক্তিশালী ভূমিকম্প জাপানের তিনটি মেট্রোপলিটান এলাকাতে আঘাত করতে পারে

    জাপানের প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের নিকট নানকাই খাদ থেকে সৃষ্ট বড় ভূমিকম্প জাপানের তিনটি বড় মেট্রোপলিটান এলাকাতে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী কম্পনের সৃষ্টি করতে পারে। সুউচ্চ ভবন গুলো সজোরে দোল খেতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সরকারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    মন্ত্রীপরিষদ কার্যালয়ের একটি প্যানেলের প্রতিবেদন অনুসারে টোকিও, নাগোয়া এবং ওসাকা’র উপকূলবর্তী এলাকার নরম মাটির উপর নির্মিত সুউচ্চ ভবন গুলো নানকাই খাদ থেকে সৃষ্টি বড় ভূমিকম্পে ভূমির সচলতায় বিশেষ ভাবে অরক্ষিত।

    ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি বেশ কম, কিন্তু ছাদ ভেঙে যাওয়ার কারণে মানুষ পড়ে গিয়ে কিম্বা লিফটে আটকা পড়ে আহত হতে পারেন। ভূমিকম্পের উৎসস্থলের নিকটবর্তী এলাকা গুলোতে সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং কাঠের বাড়ি গুলো বিধ্বস্ত হতে পারে। সাথে বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

    প্যানেল ভবন গুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোতে অবস্থান করা ভাড়াটিয়াদেরকে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা যাচাই করে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেছেন জরুরি ত্রান সহায়তা এবং দমকলবাহিনীর সাহায্যও না পাওয়া যেতে পারে -এসব বিবেচনা করেই পরিকল্পনা করতে বলেছে।

    প্রতিবেদন প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নানকাই খাদ অঞ্চলে বিগত ৫টি বড় ভূমিকম্পের কথা বিবেচনায় আনা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭০৭ সালে ৮.৬ মাত্রার হোয়েই ভূমিকম্প এবং ৮.০ মাত্রার শোয়া নানকাই ভূমিকম্প, এ ছাড়াও পশিম জাপানের কিইই উপদ্বীপে ৯ এর কাছাকাছি মাত্রার ভূমিকম্প।