জাপানের বিষাক্তহাবুসাপ

ওকিনাওয়ার রিউকিউ দ্বীপের বাসিন্দা বিষাক্ত সাপটির জেনেরিক নাম হচ্ছে হাবু।

জাপানের হাবু প্রজাতি গুলো হলোঃ সাকিশিমা হাবু, ওকিনাওয়ান হাবু, তোকারা হাবু এবং হিমে হাবু।

সাকিশিমা হাবু (ট্রিমেরেসারাস এলিগান্স) লম্বায় ৫০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাপটিকে ইয়ায়েইয়ামা দ্বীপাঞ্চলে দেখা যায়।

ওকিনাওয়ান হাবু (ট্রিমেরেসারাস ফ্লাভোভিরিডিস) হলো আসলে একটি পিট ভাইপার, এরা লম্বায় ১২০ থেকে ১৫০ সেন্টিমার হয়ে থাকে। প্রচন্ড বিষধর হলেও সাথে সাথে চিকিৎসা করা হলে তা খুব কমই প্রাণঘাতি পর্যায়ে যায় কিন্তু অনেক সময় সাপটির কামড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে নেয়ার ঘটনা রয়েছে।

তোকারা হাবু (ট্রিমেরেসারাস তোকারেনসিস) সাপটির দর্শন মেলে তাকারা-জিমা এবং কোতাকারা-জিমা দ্বীপে, এরা দৈর্ঘ্যে ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হিমে হাবু (ওভোফিস ওকিনাভেনসিস) লম্বায় ৩০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে, এদের বিষ অবশ্য তুলনামূলক ভাবে কম মারাত্মক, যদি সাপটি কামড় দিলে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো জরুরি।

হাবুকে সাধারণ ভাবে পাম বন ও চাষ ক্ষেত্র অঞ্চলে দেখা যায়, এ ছাড়াও পাথুরে অঞ্চল, পুরানো সমাধি এবং গুহাতেও এদের বাস রয়েছে।

সাধারণ ভাবে নিশাচর, অনেক সময়ে ইঁদুরের সন্ধানে ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে। দ্রুততার সাথে ছোবল মারতে সক্ষম।

গরমের মাঝামাঝি সাপটি ১৮টি করে ডিম পাড়ে। ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে ডিম ফুটে ছানা বের হয়।

হাবু সাপের কামড়ে ১০০০ মানুষের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়ে থাকে -যেটি অত্যন্ত মারাত্মক বিষ হিসেবে গণ্য করা হয়। কামড় দেয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা নেয়া হলে প্রাণ বেঁচে যেতে পারে, তবে ৬ থেকে ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হয়।