বছর অপেক্ষার পর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন নাকচ করে দেয়া হলো এক বাংলাদেশির

 ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে আবু সাইদ শেখ নামে এক বাংলাদেশি হঠাৎই একদিন সকালে ফোন পেলেন তাকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে। ৯ বছর ধরে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সন্ধানে ছিলেন তিনি, অবশেষে তাকে দেশে পাঠানো হয়।

তিনি সহ আরো ২২ মেয়াদোত্তীর্ণ (ওভারস্টে) বাংলাদেশিকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়, এদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীরাও ছিলেন। নভেম্বরের ২৫ তারিখ জাপানের বিচার মন্ত্রণালয় একটি বিমান ভাড়া করে তাদেরকে দেশে পাঠায়।

আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ জানান, ২০০২ সালে তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও জনসম্পত্তির ক্ষতিসাধানের একটি মামলা করা হয়। তিনি দাবি করেন সেটি ছিলো রাজনৈতিক ভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা। তিনি এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত, তাকে যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

২০০৯ সালে তার মামলা ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনালে আনা হয়। কিন্তু সে সময় দেশে স্বশরীরে উপস্থিত না থাকার কারণে এখন তার মাথার উপর ঝুলছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে শেখ ফুজি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ, সুবারু কারস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। অবৈধ ভাবে কাজ করেছেন কিন্তু রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার কারণে এতোদিন ডিপোর্টের হাত থেকে সুরক্ষিত ছিলেন।

জাপানে শরণার্থীর আবেদন গৃহীত হওয়ার ঘটনা ইকনোমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট ভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে। গত বছর ৫০০০ আবেদনের মধ্যে জাপান মাত্র ১১ জনকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়।

শেখ ২০০৩ সালে জাপানে আসেন, এরপর তার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তিনি আর দেশে ফিরে যাননি। তাকে এবং আরো ২১ জন বাংলাদেশিকে সম্প্রতি দেশে পাঠানো হয়েছে।

বিচার মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে জাপান সম্প্রতি ভাড়া করা বিমানে ২৬ জন শ্রীলংকান, ৬ ভিয়েতনামি, ৭৪ জন ফিলিপিনো এবং ৪৬ জন থাই নাগরিককে দেশে পাঠিয়েছে।