• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জনগণের কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পারস্পরিক ঘনিষ্ট সংযোগ এড়ানোর জন্য জনগণের কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো।

    টোকিও’সহ অন্য ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দু’সপ্তাহ পর আবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। পরে অবশ্য এই জরুরি অবস্থা পুরো দেশ জুড়ে বিস্তৃত করে নেয়া হয়।

    আবে বলেন, যারা সহযোগিতা করে বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তবে তিনি বলেন যে বিপুল সংখ্যক লোক সপ্তাহান্তে গ্রামীণ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে টোকিও ছেড়েছেন।

    তিনি বলেন, এপ্রিলের শেষ দিক থেকে আরম্ভ করে মে মাসের শুরুর দিনগুলো পর্যন্ত চলা টানা ছুটির সময় এগিয়ে আসছে এবং এটি ভাইরাসের আরও বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে তিনি লোকজনকে দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    আবে বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভীষণ চাপের মধ্যে আছে এবং এই চাপ কমানোর পাশাপাশি নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষায় ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির সংযোগ ৮০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি সবার কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

    এদিকে, অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেন, ব্যবসা বন্ধ রাখার সরকারি অনুরোধ অমান্য করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তিনি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছেন।

    ৮০ বা তদুর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের মৃত্যুহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮০-র কোঠা বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

    মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত লোকের সংখ্যা রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে যায়।

    বয়সভিত্তিক গ্রুপের ক্ষেত্রে, ৫০-এর কোঠার সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০০-রও বেশি। এরপর ছিল ৪০ এবং ২০-এর কোঠার ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি এবং ৩০-এর কোঠার ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি।

    নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ১৭১ জন বা ১.৬ শতাংশ লোক মৃত্যুবরণ করেন।

    মৃতব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজন ছিল ৮৭ জন, এরপর ৭০-এর কোঠার ৫০ জন ৬০-এর কোঠার ২১ জন।

    এর অর্থ হচ্ছে ৮০-র কোঠা বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার হচ্ছে ১১.১ শতাংশ, ৭০-এর কোঠার বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার হচ্ছে ৫.২ শতাংশ এবং ৬০-এর কোঠার বয়সীদের মৃত্যুহার হচ্ছে ১.৭ শতাংশ।

    মন্ত্রণালয় জানায়, এইসব সংখ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাস থেকে মারাত্মক সব উপসর্গ দেখা দেয়া উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছেন প্রবীণরা।