• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • হাসপাতাল বেডের ঘাটতির মুখে জাপানের ৯টি জেলা

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে জাপানের ৪৭টি জেলার মধ্যে ৯টিতে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করতে পারার হাসপাতাল বেড এখন আর প্রায় অবশিষ্ট নেই।

    করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য কতগুলো বেড নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এর মধ্যে কতগুলো ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গেছে, এনএইচকে সে বিষয়ে জেলা সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চেয়েছিল। সারা দেশে এখন করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করার উপযোগী ৯,৬০০র মত হাসপাতাল বেড রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর মোট সংখ্যা হচ্ছে কমপক্ষে ৫,০০০।

    নয়টি জেলা জানিয়েছে যে এদের ৮০ শতাংশের বেশি বেডে এখন রোগীরা আছেন। নয়টি জেলার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা টোকিও, ওসাকা, হিওগো এবং ফুকুওকা জেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্য পাঁচটি জেলার মধ্যে জরুরি অবস্থার আওতায় না পড়া কিওতো এবং ওকিনাওয়া অন্তর্ভুক্ত আছে।

    জেলা কর্মকর্তারা সার্জিকাল মাস্ক ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি এবং হালকা উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীদের থাকার স্থাপনায় সরিয়ে নেয়া দেখাশোনা করার চিকিৎসা কর্মীর অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    এছাড়া বড় হাসপাতালগুলোতে অনেক বেশি রোগীর আগমনের ফলে হাসপাতালের ভেতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়েও তারা চিন্তিত।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্রের পরিচালক কুৎসুনা সাতোশি বলছেন, আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেন সচল রাখা যায় সেজন্য যেসব হাসপাতাল করোনা রোগী গ্রহণ করেনি তাদের উচিৎ হবে সহযোগিতা করা। যেসব এলাকায় এখনও পর্যন্ত খুব বেশি রোগী নেই, তাদের প্রতি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় আরও বেশি হাসপাতাল বেড নিশ্চিত করে নেয়ার আহ্বান তিনি জানান।

    জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি

    জাপানে নিশ্চিত হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ৮,৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই সংখ্যায় বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিন পরীক্ষায় ইতিবাচক প্রমাণ হওয়া লোকজন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ভাড়া করা বিমানে যারা জাপানে ফিরে এসেছেন তারা অন্তর্ভুক্ত আছেন।

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ৩১৫টি নতুন সংক্রমণ সম্পর্কে জানা যাওয়ায় মোট সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৮,৪৮৮।

    প্রমোদ তরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭১২টি ঘটনা যোগ করা হলে মোট সংখ্যা হবে ৯,২০০।

    বুধবারের নিশ্চিত করা আরও সাতটি মৃত্যু এবং জাহাজের ১২টি সহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ১৮১টি।

    ২৪৪৬টি সংক্রমণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত জেলার তালিকার শীর্ষে আছে টোকিও। ৮৯৪টি সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ওসাকা এবং এরপর ৫৯৬টি হচ্ছে কানাগাওয়ায়, ৫৩৭টি চিবায়, ৪৫২টি সাইতামায়, ৪২৩টি হিওগোতে এবং ৪১৬টি ফুকুওকায়।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার পর্যন্ত প্রমোদ তরীর পাঁচজন সহ ১৭৩ জন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন।

    কর্মকর্তারা বলছেন ১,৫৪৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এদের মধ্যে ৯০১ জনের সংক্রমণ জাপানে সনাক্ত করা হয় এবং ৬৪৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন প্রমোদ তরীতে।