• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে সত্যি ১৮ মাসই লাগবে?

    করোনা ভাইরাসের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করেতে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস পরিচালিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তাদেরও ধারণা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রায় ১৮ মাস লেগে যাবে। তবে কি সত্যি দেড় বছর লাগবে, এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারে প্রধান সম্পাদক এলিসন শনটেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা, এর ভ্যাকসিন তৈরিতে চলমান গবেষণাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস।

    তিনি বলেন, বহু বছর ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছেন এমন অনেকের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। ভ্যাকসিনের কার্যকর ও নিরাপদ পরীক্ষার জন্য সময় লাগবে। আমার মনে হয় ভ্যাকসিন তৈরিতে সত্যি ১৮ মাসই লাগবে। সুসংবাদ হচ্ছে, ভ্যাকসিন তৈরির কাজে অনেক বিজ্ঞানী এগিয়ে এসেছেন। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে । তবে প্রয়োগের আগে আমাদের জানতে হবে ভ্যাকসিনটি কাকে কী মাত্রায় দিতে হবে।

    মেলিন্ডা গেটস বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের বিজ্ঞান কতটা এগিয়েছে, তার দিকে তাকাতে হতে পারে। আমি সত্যিই মনে করি যে একটি ভ্যাকসিনের দেখা আমরা পাব। আরও অনেক কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি এমন ওষুধ খুঁজে বের করতে, যাতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় বা রোগটির প্রভাব কমিয়ে আনা যায়। আশা করি আমরা এমন কিছু ওষুধ খুঁজে পাব।

    তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত এমন কিছু অর্জন সম্ভব নয়। এমন বিভিন্ন রোগের ইতিহাস থেকেই আমরা এটি জানি। এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করাও উচিত নয়। কারণ, তাতে অনেক লোক মারা যাবে। অনেক মৃত্যুর বিনিময়ে আমরা হয়তো হার্ড ইমিউনিটির দেখা পাব। এ কারণে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা উপায়—সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু কার্যকর বলে জানি, তা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের সরবরাহের কাজটি আমাদের সতর্কভাবে করতে হবে। প্রথমেই দিতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাদের নিরাপদ রাখতে পারলেই, তারা অন্যদের নিরাপদে থাকতে সহায়তা করতে পারবে। তারপর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কাছে এটি পৌঁছাতে হবে। তারপর এটি সমাজের সর্বস্তরে সমানভাবে বিতরণ করতে হবে।

    যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে করোনাভাইরাস

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার লোক সংক্রমিত হয়েছেন।

    মার্চ মাসের ১৩ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয়ার প্রায় এক মাস পরও করোনাভাইরাস দেশ জুড়ে ব্যাপক সংক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

    জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশ করা নির্মম এই উপাত্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে জানা যাওয়া মৃত এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা সারা বিশ্বের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে।

    দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    গভর্নর এন্ড্রু কুওমো রবিবার সাংবাদিকদের বলেন যে টানা ছয়দিন ধরে রাজ্যটি দৈনিক ৭শ’রও বেশি মৃত্যুর ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চলেছে।

    কুওমো আরও বলেন, আবশ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের তাদের কর্মীদের মুখের মাস্কের উপকরণ সরবরাহের জন্য তিনি শিগিগিরই একটি প্রশাসনিক আদেশ জারি করবেন। উল্লেখ্য, মালামাল সরবরাহকারী ট্রাক চালক, সুপারমার্কেট কর্মী এবং অন্যান্য আবশ্যক কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেয়া হল।