• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বাতাসে ১৩ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস!

    করোনা ভাইরাস বাতাসে ১৩ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে। চীনা গবেষকরা একটি গবেষণা পত্রে শুক্রবার এই ভয়ানক তথ্য প্রকাশ করেছেন। মূলত ছোঁয়াচে রোগ নিয়েই এই পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

    চীনের ওই গবেষকের দল উহানের হৌশেনশান হাসপতালের কোভিড আক্রান্তদের আইসিইউ ও জেনারেল ওয়ার্ডের বায়ু ও মেঝের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাটি চালান।সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে ১৩ ফুট দূরত্বেও কার্যকর রয়েছে করোনা ভাইরাস।

    গবেষণায় বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতেই সবচেয়ে বেশি ভাইরাস পড়ে রয়েছে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও বায়ুর গতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে গবেষকরা মনে করছেন।এছাড়াও অত্যাধি‌ক ভাইরাস পাওয়া গেছে কম্পিউটারের মাউস, ডাস্টবিন, বিছানা ও দরজার হাতলে।চিকিৎসা দেয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের জুতোয়ও করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।এছাড়া ওই হাসপাতালের বাতাস পরীক্ষা করেও দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের আকার এতই ক্ষুদ্র যে এটি বাতাসে কয়েকঘণ্টা ভেসে থাকতে পারছে। আর বাতাসে ভেসে বেড়ানোর ক্ষেত্রে আক্রান্তের থেকে ১৩ ফুট দূরত্বের মধ্যেই সেটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

    এর আগে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে তিন ফুট দূরত্বে থাকলে ছড়ায় না করোনা ভাইরাস। পরে আরেকটি গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ২৭ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। তবে এটি বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে দাবি করেছেন শীর্ষ মার্কিন বিজ্ঞানী ডা. অ্যান্টনি স্টিফেন ফৌসি। জেরুজালেম পোস্ট।

    নিউইয়র্কে যা ঘটেছে, টোকিও’তেও তা হতে পারে

    যুক্তরাষ্ট্রের একজন চিকিৎসক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিউইয়র্কে যা ঘটেছে, সেরকমটি টোকিও’তেও ঘটতে পারে।

    নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই’য়ের আইকান মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক রবার্ট ইয়ানাগিসাওয়া এনএইচকে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। এছাড়া, তিনি “জাপানিজ মেডিকেল সোসাইটি অব আমেরিকার” প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

    তিনি বলেন, দ্রুত বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে নিউইয়র্কের চিকিৎসা ইন্সটিটিউটগুলো সব খালিস্থানই রোগীদের শয্যা দিয়ে ভর্তির পাশাপাশি অজরুরি অপারেশনগুলোও স্থগিত করেছে, যা অন্য রোগে ভোগা ব্যক্তিদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    ইয়ানাগিসাওয়া আরও বলেন যে চিকিৎসক এবং নার্স’সহ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র কোনভাবে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে সমর্থ হচ্ছেন।

    ইয়ানাগিসাওয়া মার্চের শুরুর দিকে নিউইয়র্কের সাথে টোকিও’র বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেন।

    দু’শহরের লোকজনের আচরণ এবং জনঘনত্বের মধ্যকার সাদৃশ্য বিবেচনায় নিয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে যা ঘটেছে তা টোকিও’তেও ঘটতে পারে।

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার অবশ্য হাসপাতালের শয্যা খালি করার জন্য ইতিমধ্যেই লক্ষণ না থাকা বা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনাভাইরাস রোগীদের হোটেলে স্থানান্তর করা শুরু করেছে।

    ইয়ানাগিসাওয়া বলেন, এক্ষেত্রে, হোটেল কর্মীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি রোগীদের অনলাইনে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি ভিডিও ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তাও সরকারের রয়েছে।