• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • টোকিওতে কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বড় অংশ তরুণ প্রজন্মের

    টোকিওতে নতুন কোরোনাভাইরাস বিস্তার সংক্রান্ত উপাত্ত থেকে দেখা গেছে যে সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত বলে জানা যাওয়া লোকজনের বড় এক অংশ হল তরুণ প্রজন্মের।

    সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোরোনাভাইরাস বিস্তারের ঘটনা জাপানের রাজধানীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ ৪১ জন রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই সংক্রমণের দৈনন্দিন সংখ্যা ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ৭৮-এ এবং বুধবার ৬৬ তে উন্নীত হয়েছিল।

    এই সময়ের মধ্যে সংক্রমিত ৪১৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স হল তিরিশের কোঠায় বলে এনএইচকে জানতে পেরেছে। আক্রান্তদের সংখ্যা হল ৮৯। বিশের কোঠায় বয়সের ৬৩ জন এবং ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের ৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ১০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪।

    ৪০ এর নীচে বয়স, এমন তরুণ লোকজনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৬৩ যা হল মোট সংখ্যার ৪০ শতাংশ।

    টোকিও পৌরসভা সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখতে পাওয়া সংক্রমণ হতে পারে শুধুমাত্র আগাম সঙ্কেত। দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন তাঁরা যাতে করে বয়স্ক লোকজন এতে সংক্রমিত না হন কেননা এঁদের ক্ষেত্রে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

    সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা শিগগিরি ১০ লক্ষে পৌঁছাবে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোরোনাভাইরাসে নিশ্চিত করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষে এবং মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারে গিয়ে পৌঁছাবে। বুধবার জেনিভাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আডহানম ঘেব্রিয়েসাস বক্তব্য রাখছিলেন।

    চীনা কর্তৃপক্ষ সংস্থার কাছে সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি জানানোর পর থেকে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে।

    টেডরস বলেন, দ্রুত ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে তিনি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।

    বেশিরভাগ দেশই তাদের জনগণের প্রতি বাড়িতে থাকার আবেদন জানানোর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের কাছে যেন খাদ্য এবং জীবণযাত্রার জন্য অপরিহার্য সামগ্রী যোগান দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোন উপসর্গ নেই অথচ ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক, চীন বুধবার থেকে এমন লোকজনের হিসাব প্রকাশ করা শুরু করেছে। তবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কত সংখ্যক লোকজনের মধ্যে এমন অবস্থা নিশ্চিত করা গেছে তা নিয়ে কোন তথ্য তারা উন্মোচন করেনি।

    সংবাদ সম্মেলনের সময় চীনের অবস্থান নিয়ে অনেক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভে বলেন, সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী উপসর্গ থাকুক কি না থাকুক তা বিবেচনা না করে ভাইরাস পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল এলেই সেটা কোরোনাভাইরাস সংক্রমণ বলে গণ্য করা হচ্ছে। তবে চীনের পরিসংখ্যান প্রণয়ণের বিষয়টি যথাযথ কিনা সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।