• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানের বিশিষ্ট কমেডি অভিনেতা শিমুরা কেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন

    জাপানের বিশিষ্ট কমেডি অভিনেতা শিমুরা কেন রবিবার রাতে টোকিওর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। ৭০ বছর বয়সী কমেডি আইকন নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন।

    ১৭ই মার্চ তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তার জটিল ধরনের নিউমোনিয়া ধরা পরে। একটি কৃত্রিম হৃদ-ফুসফুসীয় যন্ত্রের মাধ্যমে তার চিকিৎসা চলছিল।

    ২৫শে মার্চ তার অফিস করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় তার ইতিবাচক হওয়ার খবর প্রকাশ করে।

    শিমুরা ১৯৫০ সালে টোকিওর হিগাশিমুরাইয়ামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। হাইস্কুলে থাকা অবস্থাতেই তিনি একটি জনপ্রিয় রক এন্ড রোল এবং কমেডি গ্রুপ দ্যা ড্রিফটারস এর সহকারি হিসেবে যুক্ত হন।

    শিমুরা ১৯৭৪ সালে ব্যান্ডটির পূর্ণ সদস্য হন।

    তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন আইকন। তবে তিনি সক্রিয়ভাবে কমেডি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন এবং ২০০৬ সালে একটি থিয়েটার কোম্পানির নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। শিমুরা তিন তার বিশিষ্ট জাপানের লোকজ বাদ্যযন্ত্র শামিসেনও বাজাতেন।

    তিনি গতমাসে তার ৭০তম জন্মদিনের পরেও টেলিভিশনের বিচিত্রা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা অব্যাহত রেখেছিলেন।

    ২০২০ টোকিও গেমসের নতুন দিন ২০২১ সালের ২৩ জুলাই নির্ধারিত

    টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ২০২০ টোকিও গেমসের জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

    টোকিও অলিম্পিক ২০২১ সালের ২৩শে জুলাই উদ্বোধন করা হবে এবং প্যালিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হবে একই বছরের ২৪শে আগস্ট।

    কর্মকর্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি, টোকিও গেমসের আয়োজক কমিটি, টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ এবং জাপান সরকার এই নতুন সময়সূচির সাথে একমত পোষণ করে।

    বিদেশিদের জন্য করোনাভাইরাস বিষয়ক পরামর্শ সেবা

    নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে পরামর্শ চাওয়া জাপানি ভাষায় কথা না বলা বিদেশিরা জাপান পর্যটন সংস্থা এবং কিছু স্থানীয় সরকার পরিচালিত টেলিফোন হটলাইনে কথা বলতে পারবেন।

    পর্যটন সংস্থা ইংরেজি, চীনা এবং কোরীয় ভাষায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরামর্শ সেবা প্রদান করছে। এর নম্বর হল ০৫০-৩৮১৬-২৭৮৭।

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারও একটি করোনাভাইরাস কল সেন্টার স্থাপন করেছে যেটি ইংরেজি, চীনা ও কোরীয় ভাষায় পরামর্শ সেবা দিচ্ছে। এর নম্বর হল ০৫৭০-৫৫০৫৭১। এটি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে।

    কর্মকর্তারা বলছেন, টেলিফোনে খোঁজ নেয়া অনেক ব্যক্তিই এই ভেবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে তারা সম্ভবত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এর চিকিৎসা নিয়ে তারা পরামর্শ চেয়েছেন।

    টোকিও’ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে টেলিফোনে ইংরেজি, চীনা, কোরীয়, থাই এবং স্প্যানিশ ভাষায় পরামর্শ প্রদান করছে।

    কর্মকর্তারা বলছেন, ভাইরাস পরীক্ষা করতে চাওয়ার পাশাপাশি সংক্রমিত হননি, চাকুরিদাতাদের কাছে এরকম সনদ দেয়ার অনুরোধ পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকেও অনেক টেলিফোন কল তারা পেয়েছেন।

    সংক্রমিত হয়েছে বলে সন্দেহ হওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা দপ্তরে যোগাযোগ করা উচিত। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা বিদেশি ভাষায় কথা বলবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।

    জুলাই ২০২১ সালের প্রতি টোকিও অলিম্পিক আয়োজকদের সমর্থন

    টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের আয়োজক কমিটির, আগামী বছর জুলাই মাস পর্যন্ত ক্রীড়ানুষ্ঠানটি বিলম্বিত করার ধারণার প্রতি সমর্থন জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

    করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত সপ্তাহে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর থেকে উক্ত কমিটি, নতুন সময়সূচী নির্ধারণ এবং ক্রীড়ানুষ্ঠানের জন্য স্থান নিশ্চিতকরণের কাজ করে আসছে।

    এনএইচকের সূত্রগুলো, ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ, প্রস্তুতি গ্রহণ এবং ক্রীড়াবিদ বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সময় বিবেচনা করে কমিটিতে, আগামী বছর জুলাই মাসে অলিম্পিক ক্রীড়ানুষ্ঠান উদ্বোধনের বিকল্পের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায়।

    আগামী ২৩শে জুলাই অলিম্পিকের উদ্বোধন হতে পারে। উল্লেখ্য, মূলত চলতি বছরের ২৪শে জুলাই ক্রীড়ানুষ্ঠানটি আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল।

    আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ, গ্রীষ্মকাল ছাড়াও ক্রীড়ানুষ্ঠানটি আয়োজনের অন্যান্য বিকল্প রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    কয়েকটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের সময় থেকে সরিয়ে বসন্তকালে ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজনের মত ধারণার উল্লেখ করে।

    টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটি, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি এবং টোকিও মহানগর সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আশাবাদ পোষণ করছে।

    সুস্থ হয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে যা বললেন ট্রুডোর স্ত্রী

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রাগোয়ার করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    সোফি গতরাতে তার ফেসবুক একাউন্টে এই তথ্য জানান। তার আগে তার চিকিৎসক এবং অটোয়া জনস্বাস্থ্য বিভাগ তা নিশ্চিত করে।

    সুস্থ হয়ে সোফি তার চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।

    তিনি বলেন, ‘আমি এক চ্যালেঞ্জিং সময় পাড় করে এলাম। আমি জানি, একা থাকা সহজ নয়। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রাণী। তাই আপনাদের মাঝে ফিরে এসে আমি আপ্লুত।’

    ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গত ৪ মার্চ কন্যা এলা-গ্রেসসহ তার শাশুড়ি মার্গারেট ট্রুডোর সঙ্গে লন্ডনে ডব্লিউই ডে দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফ্লুর মতো উপসর্গে আক্রান্ত হন।

    পরে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, সোফি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তারপর থেকে তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী জাস্টিনও আইসোলেশনে চলে যান।

    সোফি ছাড়াও কানাডাতে এ পর্যন্ত আরো ৩৯৫ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কানাডায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৫৫ জন। আর মারা গেছে ৬১ জন।

    এদিকে, টরন্টোতে শরিফ আলীসহ তিনজন এবং মন্ট্রিয়লে স্বামী-স্ত্রীসহ আরো দুইজন বাংলাদেশির অসুস্থতার খবর জানা গেছে।

    টোকিওতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত

    জাপানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১০০টির বেশী সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করায় সারাদেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ৮শ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে।

    আজ নিশ্চিত করা নতুন সংক্রমণের মধ্যে ৬৮টি রাজধানী টোকিওতে ঘটেছে।

    উল্লেখ্য, আজ অসময়ে তুষারপাত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সপ্তাহান্তে বাড়িতে অবস্থানের জন্য টোকিওর গভর্নরের করা অনুরোধের প্রেক্ষিতে মহানগরের সড়কগুলোতে বেরিয়ে আসা লোকজনের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল।

    টোকিওর শিবুইয়ার ব্যস্ত চৌরাস্তায় খুব কম লোকজনের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।

    টোকিও মহানগর সরকার, যতদূর সম্ভব করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে সাপ্তাহিক দিনগুলোতেও বাড়িতে থেকে কাজ করতে এবং রাতের বেলা বাড়ির বাইরে বের হওয়া পরিহার করতে বাসিন্দাদের প্রতি অব্যাহত আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করছে।

    আগামী ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত এই আহ্বান বজায় থাকবে। টোকিও মহানগর সরকার, এই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য প্রধান অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত অথবা বাতিল করে দিয়েছে।

    টোকিও মহানগর সরকারের কর্মকর্তারা, ভাইরাসটির বিস্তার বিস্ফোরিত হওয়া প্রতিরোধ করতে রাজধানী এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়ে আছে বলে সতর্ক করে দেন।

    টোকিওতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় পার্শ্ববর্তী সাইতামা জেলার গভর্নরও, অগুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে রাজধানীতে যাওয়া পরিহার করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান।

    স্বাদ ও ঘ্রাণের শক্তি হারানো করোনা সংমণের লক্ষণ কি না তা নিয়ে সংশয়

    জাপানের একজন চিকিৎসক বলেছেন, কেবল জিভের স্বাদ ও ঘ্রাণের শক্তি হারানোই যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রমাণের পক্ষে যথেষ্ট, তা নয়, যদিও কিছু রোগী এই উপসর্গের কথা জানিয়েছেন।

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ্‌ অ্যান্ড মেডিসিনে’র সাতোশি কুৎসুনা নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা করেছেন।

    কুৎসুনা বলেন, তার রোগীদের মধ্যে কেউ কেউ এই উপসর্গ দুটির কথা বললেও, এগুলো যে এই সংক্রমণের বৈশিষ্ট্য, তা এইটুকুতেই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।

    তিনি বলেন, এ ধরনের উপসর্গ সাধারণ সর্দিকাশি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রেও দেখা যায়।

    তিনি আরও বলেন, জাপানের চিকিৎসকদের আরও রোগী পরীক্ষা ক’রে নিশ্চিত হতে হবে যে এই উপসর্গ দুটি নতুন করোনাভাইরাসের উপসর্গ, না কি সাধারণ নাক বন্ধ হওয়ার ব্যাপার।

    করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণগুলো হচ্ছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। তবে জাপান ও অন্য দেশেও কিছু কিছু করোনা রোগী ঘ্রাণশক্তি ও জিভের স্বাদ হারানোর অভিযোগ করেছেন।

    করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টাস্কফোর্স গঠন করেছে টোকিও

    টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ জাপানের রাজধানীতে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার এই ভাইরাস সংক্রান্ত একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।

    টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে সতর্ক করে দেন যে, শহরটি ব্যাপক সংক্রমণের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তিনি টোকিও’র অধিবাসীদের চলতি সপ্তাহান্তে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার তাদের টাস্কফোর্স গঠন করে। উভয় পদক্ষেপই এই মহামারী সামাল দেয়ার জন্য নতুন আইনের উপর ভিত্তি করে হাতে নেয়া হয়।

    কোইকে টোকিও’তে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পর পর দু’দিন নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৪০-এর উপরে ছিল বলে উদ্বেগ ব্যক্ত করেন।

    এই ভাইরাসের বিস্তার সম্বন্ধে সতর্ক থাকার জন্যে তিনি লোকজনের প্রতি বিশেষ করে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান। আক্রান্ত হলেও অনেক তরুণের মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

    সারা বিশ্বের জন্যই ভ্রমণ সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে জাপান

    নতুন করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক বিস্তারের প্রেক্ষাপটে জাপানের লোকজনকে অনাবশ্যক বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখার জন্য জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেদের ভ্রমণ সতর্কতা পুরো বিশ্বের জন্যই চার ধাপের পরিমাপকে দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত করেছে।

    এবারই প্রথম পুরো বিশ্বের জন্য এই পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হল।

    জাপানের বিভিন্ন শহরের লকডাউনের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে: বিশেষজ্ঞ

    সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, জাপান হয়তো কিছু বড় বড় শহর লকডাউন করার কথা বিবেচনা করতে পারে যদি সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে।

    তোহোকু মেডিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক মিৎসুয়ো কাকু মঙ্গলবার এনএইচকে’র কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, টোকিও এবং অন্যান্য শহরে ক্রমাগত সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তিনি এও বলেন, কারা ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন।

    কাকু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে এই ভাইরাসের বিস্তার এ আভাস দিচ্ছে যে, জাপানের বড় বড় শহরগুলোরও ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী বেড়ে চলেছে: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও সতর্ক করে দিয়েছে যে, নতুন করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী বেড়ে চলেছে এবং এই বিস্তার হ্রাসে বাড়িতে থাকার জন্য লোকজনের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছে।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস অ্যাডহানোম গেব্রেইয়েসুস সোমবার বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে নতুন করোনাভাইরাসে ৩ লক্ষেরও বেশি লোকের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    দ্রুত বিস্তারের কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও জানায়, সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা ৬৭ দিনে ১ লক্ষে পৌঁছায়, এরপর ১১ দিনে ২ লক্ষে এবং তারপর কেবল ৪ দিনে ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।

    তেদ্রোস সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাজনিত পদক্ষেপের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি এও জোর দিয়ে বলেন, বাড়িতে থাকার জন্য অবশ্যই লোকজনের প্রতি আহ্বান জানানো উচিত।

    এদিকে, ইতালি সোমবার ৬০০-র বেশি ব্যক্তির মৃত্যুর খবর দিয়েছে। সেদেশে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজারের উপরে পৌঁছে গেছে যা বিশ্বের যেকোন দেশের থেকে সবচেয়ে বেশি। বৈশ্বিকভাবে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের উপরে এবং মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজারের উপরে।

    অলিম্পিক এক বছরের জন্য স্থগিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও আইওসি প্রেসিডেন্টের ঐকমত্য

    কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনা শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন, করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মহামারীর কারণে টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করা হবে।

    শিনযো আবে বলেন, দেরিতে হলে ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালের মধ্যে টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক আয়োজনের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যখন আমরা প্রমাণ করতে পারবো যে মানুষ নতুন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে তখন আমরা পরিপূর্ণ আকারে গেমস আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    আবে বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি’র প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের কাছে মঙ্গলবার এক টেলিকনফারেন্সের সময় অলিম্পিক স্থগিতের পরামর্শ দেন।

    তিনি বলেন, বাখ সর্বান্তঃকরণে একমত হয়েছেন। আবে বলেন, তিনি এবং বাখ এ বিষয়েও সম্মত হয়েছেন যে গেমস বাতিল করে দেয়া কোন সমাধান নয়।

    আয়োজক শহরের গভর্নর এবং আয়োজক কমিটির প্রধানও এই টেলিকনফারেন্স যুক্ত ছিলেন।

    টোকিও’র গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেন, এটা তাৎপর্যপূর্ণ যে অলিম্পিক স্থগিতের সময়কাল বা লক্ষ্য হিসেবে ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা ক্রিড়াবিদদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাদের হাতে এখন একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকছে।

    আয়োজক কমিটির প্রধান ইয়োশিরো মোরি বলেন, গেমসের নাম হিসেবে ‘টোকিও ২০২০’ বহাল থাকছে।

    তিনি আরও বলেন, অলিম্পিক শিখা জাপানেই রাখা হবে এবং বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া মশাল রিলে দৌড় স্থগিত করা হবে।

    উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক জুলাই মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

    রবিবার, আইওসি’র জরুরি বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এরপর আইওসি গেমসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য চার সপ্তাহের সময়সীমা ঘোষণা করে।

    তবে এরপর থেকে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জোরদার হচ্ছিল।

    স্কুল পুনরায় খোলার নির্দেশিকা উন্মোচন জাপান সরকারের

    জাপান সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার সংকুচিত করতে বন্ধ করা স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার জন্য নির্দেশিকা উন্মোচন করেছে।

    স্কুলগুলোকে আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরুর জন্য প্রস্তুত করতে ঐ দলিল আজ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী কোইচি হাগিউদা। একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা প্রণীত হয়েছে।

    নির্দেশিকায় স্কুলগুলোকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে করা তিনটি প্রধান পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এগুলো হল যথাক্রমে, বদ্ধ এবং দুর্বল বায়ু চলাচল ব্যবস্থা সম্পন্ন স্থান, লোকজনের ভিড় এবং খুব স্বল্প-দূরত্বের মধ্যে মৌখিক আলাপ।

    এধরণের পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে নির্দেশিকায় জোরালো বায়ু চলাচল ব্যবস্থা, কম দূরত্বে কথা বলার ক্ষেত্রে মুখের মাস্কের ব্যবহার এবং ইতিমধ্যে সংক্রমিত বলে নিশ্চিত হওয়া বা সংক্রমিত কোন ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এসেছে বলে মনে হওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা বন্ধ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

    হাগিউদা সাংবাদিকদের বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ পূর্ব-সতর্কতা নেয়ার মধ্যে দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্তৃপক্ষগুলো স্কুলসমূহ পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিবে।

    টোকিওতে নিক্কেই শেয়ারের সূচকে ১ হাজার ২০০ পয়েন্টেরও বেশি বৃদ্ধি

    টোকিও’র শেয়ার বাজারের বিভিন্ন শেয়ারের মূল্যে ৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত মঙ্গলবারে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে যা নতুন করোনাভাইরাসের মহামারীর পর ব্যাপক হারে দরপতনের থেকে কিছুটা পুনরুদ্ধার।

    গড় সূচক নিক্কেই দিনের লেনদেন শেষ করে ১৮ হাজার ৯২ পয়েন্টে যা সোমবারের দিন শেষের লেনদেন থেকে ৭.১% বেশি। এটি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ পয়েন্টেরও বেশি বৃদ্ধি।

    আর্থিক বাজারকে চাঙ্গা করার জন্য ব্যাংক অব জাপান’এর বিনিময়-বাণিজ্য তহবিল কিনে নেয়াও দিনের শুরু থেকে বিনিয়োগকারীদের ক্রয়-মনোভাবকে ফিরিয়ে আনে।

    মার্কিন কংগ্রেস হয়তো ২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের একটি অনুদান প্যাকেজ অনুমোদন করতে পারে এই প্রত্যাশাও এ সূচকটিকে বাড়িয়ে দেয়।

    করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় চার হাজার হাসপাতাল শয্যা প্রস্তুত করছে টোকিও

    টোকিও মেট্রোপলিট্যান সরকারের কর্মকর্তারা নতুন করোনাভাইরাসের আকস্মিক দ্রুত বিস্তারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চার হাজার হাসপাতাল শয্যা প্রস্তুতের পরিকল্পনা করছে।

    সোমবার কর্মকর্তারা নতুন করোনাভাইরাসের একটি টাস্কফোর্সের সাথে বৈঠক করেন এবং ভাইরাসের বিস্তারে সাড়া দিতে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্বন্ধে জানান।

    কর্মপন্থা অনুযায়ী রাজধানীর চিকিৎসা ব্যবস্থা বজায় রাখতে বেসরকারি খাতের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সহায়তা চাওয়া হবে।

    বর্তমানে নির্ধারিত সংক্রামক ব্যাধির রোগীদের জন্য ১১৮ টি হাসপাতাল শয্যা রয়েছে।

    কর্মকর্তারা গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে এ সংখ্যাকে ৭০০ শয্যায় উন্নীত এবং মাঝারি লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীদের জন্য ৩,৩০০ শয্যা প্রস্তুতের পরিকল্পনা করছেন।

    তারা মৃদু লক্ষণ দেখা দেওয়া লোকদের সাধারণ রোগের জন্য নিজ বাড়িতে বা অন্যত্র বাসস্থানে অবস্থান করে বিশ্রাম নিতেও আহবান জানিয়েছে।