• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান করোনাভাইরাসের পরীক্ষা দৈনিক ৭ হাজারে বৃদ্ধি করছে

    জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, চলতি মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত দেশে নতুন করোনাভাইরাসের পরীক্ষার সক্ষমতা দৈনিক ৭ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

    আজ সম্প্রচারিত এনএইচকের এক অনুষ্ঠানে কাৎসুনোবু কাতো, উক্ত মন্তব্য করেন।

    কাতো, গত সপ্তাহ থেকে জাতীয় স্বাস্থ্য বীমার আওতায় ব্যয় নির্বাহ করে আসা ভাইরাস পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলেন।

    তিনি, ব্যয় নির্বাহের অর্থ হচ্ছে সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই চিকিৎসকরা বেসরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করাতে সক্ষম হবেন বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাপানের দৈনিক পরীক্ষা করার সক্ষমতা ৪ হাজার ২শ থেকে ৬ হাজার ২শতে উন্নীত হয়েছে বলে জানান।

    তিনি, এই সক্ষমতা বেসরকারি পরীক্ষাগারে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার সংখ্যাসহ দৈনিক ৭ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এর আগে সরকারের একটি উপদেষ্টা প্যানেল, ভাইরাসটি প্রতিরোধের জন্য আগামী ১ অথবা ২ সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছিল। তবে ইতোমধ্যে, উল্লেখিত দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে।

    কাতো, পরীক্ষায় সংক্রমিত বলে নিশ্চিত লোকজনের সংখ্যা দিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধ প্রচেষ্টার সফলতা পরিমাপ করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন। তিনি, ফলাফল পেতে ১০ থেকে ১৪ দিনের প্রয়োজন হয় বলে জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী, গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রভাব মূল্যায়ন করতে পুনরায় প্যানেলটির বৈঠক আহ্বান করা হবে বলে জানান।

    কাতো, প্যানেলের পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে সরকার বৃহদাকারের সমাবেশ অনুষ্ঠান পুনরারম্ভের অনুমতি প্রদান করা হবে কিনা সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন।

    সরকার, এইধরনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুবার ভেবে দেখতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

    জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি

    আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জাপানে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ৪শ ৫৬’তে উন্নীত হয়েছে। এর পাশাপাশি ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীর ৬শ ৯৬ ব্যক্তিও সংক্রমিত হয়েছেন এবং চীনের হুবেই প্রদেশে থেকে ভাড়া করা বিমানে জাপানে ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের মাঝেও ১৪ ব্যক্তির সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকারের সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এ পর্যন্ত ১৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ জন ঐ প্রমোদতরীর।

    জেলা ওয়ারী হিসেবে হোক্কাইদো’তে সর্বোচ্চ ১০১টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর যথাক্রমে ৭০টি সংক্রমণ নিয়ে আছে আইচি এবং ৬৪টি নিয়ে আছে টোকিও। কানাগাওয়া এবং ওসাকা জেলার প্রতিটিতে ৪১ ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ঘটেছে।

    এদিকে, ১১জন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তার সংক্রমণও নিশ্চিত করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল পর্যন্ত ৬১ জন গুরুতর রোগী হয় কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছিলেন বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন প্রমোদতরী থেকে আসা।

    অন্যদিকে, গতকাল পর্যন্ত মোট ৩শ ১১ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।