• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে, সোমবার আন্তর্জাতিকমান সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৭৩টিতে।

    যুক্তরাষ্ট্র ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৭৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপর ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৯৬ জন নিয়ে রয়েছে স্পেন, তারপর ১ লক্ষ ৫৯হাজার ৫১৬ জন নিয়ে ইতালি, ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৩ জন নিয়ে রয়েছে ফ্রান্স এবং এরপর ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯২ জন নিয়ে রয়েছে জার্মানি।

    বিশ্বব্যাপী মোট নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হচ্ছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ৯৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেন যুক্তরাষ্ট্রে।

    এদিকে, নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যুবরণ করা লোকের ৪০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছেন নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের।

    কুয়োমো সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ৬৭১ জন এর আগের দিন মারা যান। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬ জনে।

    গভর্নর বলেন, আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের দিনভিত্তিক লেখচিত্রের রেখা লোকজনের বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়ার কারণে সমতল হয়েছে। তিনি এও বলেন, তার বিশ্বাস সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি শেষ হয়েছে যদি লোকজন সতর্কতার সাথে আচরণ করা অব্যাহত রাখেন।

    এদিকে, ইতালির সরকার সোমবার ঘোষণা করে, সেদেশে করোনাভাইরাসের মহামারীজনিত মৃত্যের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।

    ২০০৯ সালের ফ্লু থেকে ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী কোভিড-১৯:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেছেন, কোভিড-১৯ হল ২০০৯ সালের ফ্লু বৈশ্বিক মহামারি থেকে ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন যে কোভিড-১৯ এর বিস্তার “খুব দ্রুত ত্বরান্বিত হয় এবং এর গতিও কমে অনেক বেশি মন্থরভাবে”।

    তিনি বলেন, সেকারণে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাস্তবায়ন করা নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ সমূহও “অবশ্যই শ্লথ গতিতে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রত্যাহার করা উচিত”। তিনি আরও বলেন যে সেগুলো সব “একসাথে” তুলে নেয়া উচিত হবে না।

    ডব্লিউএইচও এক্ষেত্রে দেশগুলো বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিবেচনাকালীন তাদের ব্যবহারের জন্য ছয়টি মানদণ্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছে।
    এই তালিকার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা এবং এর পাশাপাশি সনাক্তকরণ, পরীক্ষা, বিচ্ছিন্নকরণ এবং প্রতিটি সংক্রমণের চিকিৎসা ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পদক্ষেপ বজায় আছে কিনা, সেটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও’কে প্রদান করা তহবিল তার দেশ পর্যালোচনা করে দেখার ইঙ্গিত দেয়ার পর মহাপরিচালকের এই নিয়মিত ব্রিফিং বা ব্যাখ্যা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

    তেদ্রোস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে তার সংস্থার সবচেয়ে বড় তহবিল যোগানকারী দেশ। তিনি আরও বলেন যে ট্রাম্পের অবস্থান যে সমর্থনসূচক, সেটি তার জানা আছে এবং তিনি প্রত্যাশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও’তে তহবিল সরবরাহ অব্যাহত রাখবে