• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানি একটি শহরের স্থাপনাগুলো পুনরায় বন্ধ

    জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কিতাকিউশু’তে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার ১শর বেশি অভ্যন্তরীণ স্থাপনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমগ্র দেশ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর স্থাপনাগুলো পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছিল।

    নগর সরকারের কর্মকর্তারা, ৩১শে মে থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত জাদুঘর ও পাঠাগারসহ ১শ ১৯টি অভ্যন্তরীণ স্থাপনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান। এর আগে তাঁরা, কোকুরা প্রাসাদসহ ৪৩টি স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কোকুরা প্রাসাদ বন্ধ ছিল।

    শহরটি, শনিবার পর্যন্ত টানা আটদিন ধরে নতুন সংক্রমণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে এবং এ সংখ্যা ছিল মোট ৮৫টি। সংক্রমিতদের মধ্যে ৩১টির ক্ষেত্রে সংক্রমণের পথ সম্পর্কে জানা যায়নি।

    রবিবার যেসব স্থাপনা বন্ধ ছিল তার মধ্যে অন্যতম হল কিতাকিউশু নগর শিল্পকলা জাদুঘর। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর জাদুঘরটি গত মাত্র ১২ দিন আগে খুলে দেয়া হয়েছিল।

    জাদুঘরের প্রবেশ পথে, বন্ধ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি লাগানো রয়েছে।

    জাদুঘরের একজন কর্মকর্তা মিয়ামোতো মাসাহিকো, এটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি, পুনরায় খোলার সময় পরিদর্শনকারীদের সোৎসাহে স্বাগত জানানোর জন্য জাদুঘরটি ভালভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করবে বলে জানান।

    নগর সরকারের কর্মকর্তারা, নগরের স্থাপনাগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন বলে জানান।

    ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দৃশ্যত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে তাঁর দেশকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প, নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ডব্লিউএইচও’র গৃহীত পদক্ষেপ এবং চীনের পক্ষে কাজ করার জন্য সংস্থাটির সমালোচনা করেন। তিনি, সংস্থাটি প্রয়োজনীয় ব্যাপক সংস্কারের অনুরোধ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, এদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে বলেও উল্লেখ করেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাটিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেয় তহবিলের গতিপথ পরিবর্তন করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় খাতে প্রদান করা হবে বলেও জানান।

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিদ্ধান্তটি পুনরায় ভেবে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শনিবার প্রকাশিত ইইউ’র এক বিবৃতিতে, বৈশ্বিক হুমকির মুখে এখন পারস্পরিক সহযোগিতা সম্মিলিতভাবে সমাধানের পথের সন্ধান জোরদার করার সময় বলে উল্লেখ করা হয়।

    বিবৃতিতে, ইইউ ডব্লিউএইচও’র গুরুত্ব জোর দিয়ে উল্লেখ করে সংস্থাটিকে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে বৈশ্বিক মহামারীর মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে অব্যাহত নেতৃত্ব প্রদানে সক্ষম হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান, ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ট্রাম্পের গৃহীত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। তিনি টুইটারে প্রেরিত এক বার্তায়, এটিকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি নৈরাশ্যজনক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

    জার্মানির মন্ত্রী, ভবিষ্যতের জন্য কোন পার্থক্য গড়ে নিতে ডব্লিউএইচও’র সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে এবং ইইউ’কে অবশ্যই নেতৃস্থানীয় ভূমিকা গ্রহণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে আরও সংশ্লিষ্ট হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

    সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পর ফের আক্রান্ত হতে পারেন করোনায়!

    প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানুষের শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি হয় তা মাত্র ছয় মাসের জন্য স্থায়ী হয়। ফলে ছয় মাস পর একজন রোগীর আবারো কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটি দাবি করেছেন নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক।

    স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সম্পর্কিত ম্যাডকাইভ নামক একটি ওয়েবাইটে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। পশিম নেদারল্যান্ডসের ১৩ জন গবেষক ১০ জন করোনা রোগীর ওপর এই গবেষণাটি চালিয়েছেন। যেখানে দাবি করা হয় যে করোনা ভাইরাসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। গবেষণাতে বলা হয় কোভিড-১৯ ছাড়াও ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অন্যান্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।

    প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের এখনো কোন প্রতিষেধক বের হয়নি। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ছাড়া এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।

    নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পথে টোকিও

    টোকিও, বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছার পর হ্রাস পাওয়া আরম্ভ করায় সবকিছু পুনরায় খুলে দেয়ার মাঝ পথে রয়েছে। টোকিওর গভর্নর, চলতি সপ্তাহান্তের পর নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান।

    শুক্রবার গভর্নর কোইকে ইউরিকো, আগামী ১লা জুন থেকে আমরা ২য় ধাপে এগিয়ে চলেছি বলে উল্লেখ করেন।

    এই পরিবর্তনের ফলে, নগরের ব্যায়ামাগার, প্রেক্ষাগৃহ এবং অগুরুত্বপূর্ণ পণ্য সামগ্রী বিক্রয়ের দোকানগুলো পুনরায় খোলা সম্ভবপর হবে। তবে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলোর প্রতি, এখনও রাত ১০ টার পর খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হবে।

    আগামী সপ্তাহে বিধিনিষেধ আরও শিথিল করবে টোকিও

    টোকিও মহানগর সরকারের কর্মকর্তারা মহানগরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পর্যায়ক্রমে পুনরায় আরম্ভের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছেন। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জারি করা বিধিনিষেধ চলতি সপ্তাহান্তের পর আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

    শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে টোকিও’র গভর্নার কোইকে ইউরিকো বলেন, “পয়লা জুন রাত ১২টা’র পরেই আমরা পরবর্তী ধাপে পা রাখব”।

    এই পরিবর্তনের ফলে জিমনেশিয়াম, থিয়েটার এবং অত্যাবশ্যক নয় এমন খুচরো পণ্য বিক্রির দোকানের মত ব্যবসাগুলি আবার খোলার অনুমতি পাবে। তবে রেস্তোরাঁ এবং চা-কফি’র দোকানগুলির ওপর রাত ১০টার পরে খাদ্য ও পানীয় পরিবেশন বন্ধ করার কড়াকড়ি এর পরেও জারি থাকবে।

    সাম্প্রতিক সময়ে টোকিওতে করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের নিশ্চিত সংখ্যা ১৫ বা তার চেয়ে কম থাকছে, যা এই সংখ্যা যখন চূড়ায় পৌঁছেছিল সেই সময়ের ২শো বা ততোধিকের চেয়ে অনেক কম।

    তবে দেশের এক অংশে সংক্রমণের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    কিতাকিউশু’র মেয়র কিতাহাশি কেনজি বলেন, “আমাদের শহরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা লোকজনকে পিসিআর পরীক্ষা করাতে আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করব”।

    দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কিতাকিউশু’র জনসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। সেখানে বিগত ছয় দিনে ৪৩টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে।
    শহরটির এক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়েছে।

    জাপানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যা খবর তাতে ১৬ হাজার ৭শো’র বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন প্রায় ৮শো ৮০ জন।

    অসুস্থ না হলে মাস্ক পরার দরকার নেই: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুস্থ অবস্থায় একজন ব্যক্তির মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র করোনা রোগী এবং যারা তাদের সংস্পর্শে রয়েছেন তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সংস্থাটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. এপ্রিল বলার বলেন, আপনার যদি জ্বর, কাশি, সর্দি না থাকে তাহলে আপনার মাস্ক পরার দরকার নেই। মাস্ক শুধু স্বাস্থ্য কর্মীরা পরবে। এছাড়া যারা করোনা রোগীর দেখাশোনা করছেন অথবা যাদের জ্বর এবং কাশি রয়েছে তারা পরবেন। ওই ভিডিও বার্তায় ড. এপ্রিল বলার আরো বলেন যে, মাস্ক মানুষের মধ্যে একটি মিথ্যা সুরক্ষা বোধ তৈরি করছে।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ লাখ ৯ হাজার ৩ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮১ জন। ফক্স নিউজ।

    ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ‘বিচারক’ হলেন হিজাবধারী মুসলিম নারী 

    প্রথমবারের মতো একজন হিজাবধারী মুসলিম নারী ব্রিটেনের বিচারকের আসনে বসেছেন। ৪০ বছর বয়সী হিজাবধারী ওই মুসলিম জজের নাম রাফিয়া এরশাদ। তিনি তরুণ মুসলিমদের জানাতে চান যে, যদি তারা মনে করেন তাহলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

    রাফিয়ার বয়স যখন ১১ বছর তখন থেকেই তিনি নিজেকে একজন বিচারক বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তখন প্রশ্ন উঠেছিল, তার মতো একজন সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মুসলিম মেয়ের পক্ষে সেই ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তো? কিন্তু মাত্র ৩০ বছরের মধ্যেই তিনি একজন ব্যারিস্টার হয়েছেন এবং সেই সঙ্গে গত সপ্তাহে দেশটির মধ্য-ভূমিতে একজন উপজেলা জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    তিনি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মেট্রেকে বলেন, আমি একজন নারী হয়ে বিচারক হয়েছি, শুধু মুসলিম নারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা তা নয় বরং এটি সব নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবুও এটি মুসলিম নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার অর্জন নিয়ে আনন্দিত। কিন্তু আমি তার চেয়ে বেশি আনন্দিত যখন আমি অন্যদের সঙ্গে আমার এই দীর্ঘ পথচলার বিষয়টা শেয়ার করতে পারি।

    তিনি বলেন, এটা ওইসব হিজাবধারী নারীদের বের করে আনতে সহায়তা করবে, যারা কিনা একজন জজ হওয়া তো দূরের কথা, একজন ব্যারিস্টার হওয়ার কথাও কল্পনা করতে পারেন না।

    ২০০১ সালে আইনের স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় ভাইবা দেওয়ার সময় তার পরিবারের লোকেরা তাকে হিজাব পড়তে বারণ করেছিলেন। যা তিনি জজ হিসেবে যোগদানের পর বর্ণনা করলেন। রাফিয়ার পরিবার বলেছিল যে, যদি সে হিজাব পড়ে তাহলে তার ভর্তির সুযোগ নাটকীয়ভাবে কমে আসতে পারতো। কিন্তু রাফিয়া তার পরিবারের এই চাপকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

    তিনি বলেন, আমি এটি পড়ি আমার জন্য। কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে অন্যরা এটা কতটা গ্রহণ করছে। ভাইবায় যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম যদি আমার পেশার জন্য আমাকে এই হিজাব পড়া থেকে বিরত থাকতে হয় তাহলে আমি তা চাই না। তাই আমি হিজাব পড়েই ভাইবা দিয়েছিলাম এবং সফল হয়েছিলাম। এবং আমাকে যথেষ্ট বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। আমি মনে করি এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। এটি দৃঢ় হয়ে উঠেছিলো যে, হ্যাঁ আমি পারবো।

    লন্ডনে প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০০৪ সালে রাফিয়া নটিংহামে এস.টি ম্যারি,র পারিবারিক আইন চেম্বারে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় ১৫ বছর যাবত তিনি ব্যক্তিগত ল চেম্বারের জোর করে বিয়ে, ইসলামিক আইনের কোনো কেস, নারী নির্যাতনের উপর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণে ইসলামি পারিবারিক আইনের একজন দক্ষ নেতৃত্বদানকারী আইনজীবী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তিনি বলেন আমার সফলতার পরেও অনেকেই কোর্টে আমাকে প্রশ্ন করতেন আমি একজন ক্লাইন্ট কি না? আমি উত্তর দিতাম না। আবার প্রশ্ন করতো, তাহলে আপনি একজন দোভাষী? তখনও উত্তরে বলতাম না, আমি সেটাও নই। আবারও বলতো, আপনি এখানে কাজের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এসেছেন? আমি তখনও বলতাম না। আমি আসলে একজন ব্যারিস্টার। আসলে আমার ওই ব্যক্তির প্রতি কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু এটা একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি বটে।

    রাফিয়া বলেন, ব্রিটেনের আদালত আমাকে একজন হিজাবধারী মুসলিম নারী হিসেবে বিচারক নিয়োগ দেননি। বরং তারা আমাকে আমার মেধার মূল্যায়ন করে নিয়োগ দিয়েছেন। শুধু আমাকে, প্রত্যেক পেশার এমন সফলদেরকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে নারীরা এগিয়ে যেতে পারে।

    করোনা মোকাবিলায় সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড

    নিউজিল্যান্ডে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন জারির পর এই প্রথম দেশটির কোনো হাসপাতালে একজনও করোনা রোগী চিকিৎসাধীন নেই। সরকারের তরফে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সুসংবাদ জানানো হয়েছে।

    স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অ্যাশলে ব্লুমফির্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বর্তমানে দেশের কোনো হাসপাতালে আর কোনো করোনা রোগী নেই। সবশেষ সুস্থ হয়ে মিডলমোর হাসপাতাল থেকে একজন রোগী ছাড়া পাওয়ার পর এই সংখ্যাটা এখন শূন্য। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১, তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    গত একদিনে নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়নি। এছাড়া টানা পঞ্চম দিন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে কেউ শনাক্ত হয়নি বলে জানান তিনি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪। মারা গেছে ২১ জন; সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।

    করোনা মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ড সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ দেশটিতে যখন মাত্র ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল তখনই অর্থাৎ ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ড আর্ডার্ন ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে যারা আসবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।

    ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অন্য দেশের কোনো পর্যটকের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। এরপর ২৩ মার্চ দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেন। অথচ তখনো দেশটিতে করোনায় কেউ মারা যায়নি; আক্রান্ত ছিল মাত্র ১০২ জন।

    টোকিও টাওয়ারে দর্শনার্থীদের সিঁড়ি বেছে নেয়ার আহ্বান জানানো হবে

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে বৃহস্পতিবার থেকে টোকিও টাওয়ার খুলে দেয়া হবে। তবে পর্যবেক্ষণ ডেকে পৌঁছাতে হলে বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে যেতে হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

    জাপানের রাজধানীর বিশিষ্ট এক স্থান টোকিও টাওয়ার, এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল।

    ১৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পর্যবেক্ষণ ডেকে পৌঁছানোর জন্য কর্মীরা দর্শনার্থীদের সিঁড়ি নিতে বলবেন। প্রায় ৬০০ টি সিঁড়ি পেরিয়ে তারা টাওয়ারের প্রায় অর্ধেক পর্যায়ে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ ডেকে গিয়ে পৌঁছাবেন।

    শুধুমাত্র বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী লোকজন লিফট ব্যবহার করতে পারবেন এবং এই সংখ্যা প্রতিবার পাঁচজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।

    সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে দর্শনার্থীদের। দুই মিটার ব্যবধান রেখে পর্যবেক্ষণ ডেকে দাঁড়ানোর স্থান নির্ধারণ করা থাকবে।

    সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টাওয়ারটি খোলা থাকবে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দুই ঘন্টা আগে এটি বন্ধ করা হচ্ছে।

    একজন কর্মকর্তা বলেন, টোকিওর এক বিখ্যাত প্রতীক হিসাবে টাওয়ারটির অভিজ্ঞতা লাভ করার সময় যেন দর্শনার্থীরা নিরাপদ অনুভব করতে পারেন, পরিচালক কোম্পানি সেই আশা করছে।

    ভাইরাসের বিরুদ্ধে জাপানের লড়াই একটি “সাফল্য”- ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জাপানের প্রচেষ্টাকে একটি “সাফল্য” বলে প্রশংসা করেছেন।

    সমগ্র জাপানের উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার পর ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

    তিনি বলেন, প্রাদুর্ভাব তুঙ্গে থাকাকালীন জাপানে দৈনিক ৭শ’রও বেশি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও এখন সেটি দৈনিক প্রায় ৪০’এ নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যাও কমের মধ্যে রাখা হয়েছে।

    ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে দেশগুলো এখন সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের মাঝখানে আছে।

    রায়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে কয়েক মাস পর অনেক দেশেই এই প্রাদুর্ভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

    অভিবাসী কর্মীদের দেশে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে

    বিশ্ব ব্যাংক অনুমান করেছে যে, চলতি বছরে অভিবাসী কর্মীদের নিজ দেশে প্রেরিত অর্থের মোট পরিমাণ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর দরুণ চাকরি হারানোর কারণে আংশিকভাবে কমে যাবে।

    বিশ্ব ব্যাংকের গতমাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ গতবছরের তুলনায় ১০ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৯.৭% কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিশ্ব ব্যাংক জানায়, এই হ্রাস হবে “সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক পতন” এবং ২০০৯ সালে রেকর্ড করা পতনের থেকেও অনেক বেশি যখন বিশ্ব এক বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছিল।

    বৈশ্বিক মহামারীর বয়ে আনা অর্থনৈতিক সংকট এবং পরবর্তী বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মাঝে, বেতন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস এবং অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান হ্রাসকে বিশ্ব ব্যাংক প্রধানত দায়ী করে।

    যখন বিশ্বব্যাপী অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছিল, তখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ গত দশকের চেয়ে ১.৫ গুণেরও বেশি বেড়ে গিয়ে গত বছর এ যাবৎকালের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।

    এ ধরনের প্রেরিত অর্থ দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের জীবনযাত্রায় সহায়তা করে এবং প্রাপ্ত পক্ষের দেশগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।

    বিশ্ব ব্যাংকের অভিবাসন ও প্রেরিত অর্থ সংক্রান্ত নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ দিলিপ রাঠা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেক পরিবার হয়তো দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারে এবং হয়তো খাদ্য ও ওষুধের সংস্থান বা শিশুদের স্কুলে পাঠাতে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে।

    সমগ্র জাপানের উপর থেকে করোনাভাইরাস জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে

    টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকা এবং সর্ব উত্তরের জেলা হোক্কাইদো’র উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো। গত সপ্তাহে ওসাকা ও কিয়োতো অন্তর্ভুক্ত থাকা পশ্চিমের তিনটি জেলার ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো। এর ফলে এখন জাপানের কোন জেলাই আর জরুরি অবস্থার আওতাভুক্ত নয়।

    এক্ষেত্রে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিশেষজ্ঞদের মতামত সরকারি কর্মকর্তারা শোনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল।

    উল্লেখ্য, টোকিও ও এর আশেপাশের তিনটি জেলা- কানাগাওয়া, সাইতামা, চিবা এবং সর্বউত্তরের জেলা হোক্কাইদো ছিল সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থার আওতাধীন সর্বশেষ জেলা।

    এপ্রিল মাসের শুরুর দিক থেকে জাপান দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার অধীনে ছিল। গত সপ্তাহে অন্য ৪২টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়।

    তবে, সংক্রমণের দ্বিতীয় একটি ঢেউ রোধে, সরাসরি পারস্পরিক সংযোগ কমিয়ে আনার মত সম্ভাব্য সবকিছু করা অব্যাহত রাখতে লোকজনের প্রতি কর্মকর্তারা আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

    সেবা গ্রহণ হ্রাসে বয়োবৃদ্ধদের উপর নেতিবাচক প্রভাব

    জাপানে পরিচালিত এক জরিপে, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে নার্সিং সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা দেশের বয়োবৃদ্ধ নাগরিকরা দেহের পেশীর দুর্বলতা এবং বোধ বুদ্ধি হ্রাস পাওয়া সমস্যায় ভুগছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

    শুকুতোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউকি ইয়াসুহিরো, চলতি মাসে অনলাইনে বাড়ি ভিত্তিক সেবা দানের কাজে সহায়তা করা ৫শ ৩জন কর্মীর উপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।

    উত্তরদাতাদের ৮২ শতাংশ, তাঁদের সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে এক বা ততোধিক জ্যেষ্ঠ নাগরিক সেবা গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।

    ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা, সেবা গ্রহণ হ্রাস করা লোকজনের মধ্যে দৈহিক ও বোধ বুদ্ধি হ্রাস পাওয়ার বিষয় শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান। এঁদের মধ্যে ২১ শতাংশ, এইধরনের ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উচ্চ বা উচ্চ বলে উল্লেখ করেন।

    প্রশ্নপত্রটিতে জনৈক উত্তরদাতা, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ফলে বয়োবৃদ্ধদের মধ্যে একধরনের হতাশা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

    অপর একজন উত্তরদাতা, নিজেদের জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে যাওয়ায় বয়োবৃদ্ধদের দৈহিক এবং বোধ বুদ্ধি হ্রাস পেয়ে চলেছে বলে উল্লেখ করেন।

    অধ্যাপক ইউকি, এই ফলাফল থেকে এমনকি অল্প সময়ের জন্য নার্সিং সেবা বন্ধ রাখা হলে সেটি বয়োবৃদ্ধদের দৈহিক ও বোধ বুদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, সংক্রমণ প্রতিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেবাদানকারী কর্মীরা যাতে সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে যেতে সক্ষম হয় সেজন্য এই খাতে আরও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

    বাদুড়ের জীবন্ত ৩টি করোনা ভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে!

    গত বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে উৎপত্তি হয় প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের। করোনার উৎপত্তির পর অভিযোগ উঠে যে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তবে নতুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগে কোনও ধারণাই ছিল না বলে জানিয়েছেন উহান ভাইরোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ওয়াং ইয়ানয়ি।

    চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওয়াং ইয়ানয়ি জানায়, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে বাদুড়ের জীবন্ত তিনটি করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল। তবে ওগুলোর সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসের মিল নেই। উহানের ভাইরাস ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়েছে এমন অভিযোগকে খাঁটি বানোয়াট গল্প বলে আখ্যায়িত করেন ওয়াং ইয়ানয়ি।

    ভাইরাস নিয়ে অন্যতম শীর্ষ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইয়ানয়ি সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা বাদুড়ের তিনটি জীবন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা সার্স ভাইরাসের উৎস খোঁজার জন্যই গবেষণা করছিলাম। কিন্তু ওই সব ভাইরাসের সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসেরর মিল প্রায় ৮০ শতাংশ। আর আমরা জানি নতুন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সার্সেরও ৮০ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে ৮০ শতাংশ মিল মানে এখানে অবশ্যই পার্থক্য আছে।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৮ হাজার ১৮৭ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪১ জন।

    ১১ দিন পর রোগী থেকে সংক্রিমত হয় না করোনা

    প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর থেকে ভাইরাসটি রোগীদের শরীর থেকে আর সংক্রমিত হয় না। এমনটি জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক।

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজ এবং দ্য অ্যাকাডেমি অব মেডিসিনের যৌথ গবেষণায় বলা হয়, অসুস্থ হওয়ার ১১ দিন পর আক্রান্ত রোগী থেকে অন্য কারো শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে না।

    সিঙ্গাপুরের করোনা আক্রান্ত ৭৩ জন রোগীর ওপর পর্যবেক্ষণের পর এই ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে সিঙ্গাপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসা এবং ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে নেগেটিভ রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না।

    সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা এই গবেষণাটি মূল্যায়ন করে দেখবে এবং পরবর্তীতে এটি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে।

    সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬৮ জন। মারা গেছেন ২৩ জন। ব্লুমবার্গ।