• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • সামনে আরো ভয়াবহ দিন আসছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আবারো সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    তারা বলছে, এই মহামারি শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই। এমনকি শেষ হওয়ার ধারেকাছেও দেখা যাচ্ছে না। এতে করে সামনে আরো ভয়াবহ দিন আসছে।

    সোমবার এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এ বিষয়ে সতর্ক করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

    তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই চাই, এটা যেন শেষ হয়ে যায়। আমরা সকলেই আমাদের জীবন নিয়ে চলতে চাই। তবে কঠিন বাস্তবতা হলো এটি শেষ হয়ে যাওয়ার ধারেকাছেও নেই।’

    তিনি জানান, করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা এখন এক কোটির উপরে রয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘ছয় মাস আগে, আমরা কেউই ভাবতে পারি নাই যে, কীভাবে বিশ্ব এবং আমাদের জীবনকে এই ভাইরাস অশান্তিতে ফেলে দেবে। আসলে বিশ্বব্যাপী এই মহামারিটি সংক্রমণের গতি আরো বাড়িয়ে চলেছে।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই এখনো এক সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে মোকাবেলা করে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে অনেককে হারিয়েছি। তবে আশা হারাতে পারি না।’

    তেদরোস জানান, ছয় মাস আগে চীনে উৎপত্তি হয় এই ভাইরাসের। এর পরের সপ্তাহে উৎপত্তিস্থলে গবেষক দল পাঠায় বিশ্ব সংস্থা সংস্থা।

    ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে যখন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এবং চিকিত্সা খুঁজে বের করার জন্য দৌড়ঝাঁপ হচ্ছে, তখন দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে এগুলো ছাড়াও ভাইরাস সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    টোকিওতে টানা ৫ দিন ধরে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৫০’এর বেশি

    টোকিওতে পর পর ৫ দিন ধরে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৫০’এর উপরে আছে।
    টোকিও’র কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার জাপানের রাজধানীতে ৫৪টি নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে টোকিওতে মোট সংক্রমণ ৬ হাজার ২শ ২৫শে উন্নীত হয়েছে।

    এর আগে সোমবার জাপানের পৌরসভা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জাপান জুড়ে ১শ ১০টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করেন।

    ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইন এর অধীনে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীর ৭শ ১২টি সংক্রমণ’সহ গতরাত পর্যন্ত মোট নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা ১৯ হাজার ৩শ ৪৩’এ পৌঁছায়।

    জেলাওয়ারী হিসেবে ৬ হাজারেরও বেশি সংক্রমণ নিয়ে টোকিও তালিকার শীর্ষে আছে।

    সূর্যের ১০ বছর ‘বয়স’ বৃদ্ধি এক ঘণ্টায় দেখল নাসা

    সূর্য নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আমাদের কৌতূহল কিছুটা হলেও মেটানোর জন্য সূর্যকে একদম কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে একটি ভিডিওর মাধ্যমে। মাত্র ১ ঘণ্টায় দেখা যাচ্ছে ১০ বছরে সূর্যের ‘বয়স’ বৃদ্ধি কীভাবে প্রভাব ফেলেছে এই নক্ষত্রটির ওপর।

    ‘ফাস্ট ফরোয়ার্ড’ করে প্রতি সেকেন্ডে সূর্যের ২৪ ঘণ্টা বা ১ দিনের ঘূর্ণন দেখানো হয়েছে ফোরকে রেজ্যুলেশনের এই ভিডিওতে। নাসার সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি (এসডিও) স্যাটেলাইট ২০১০ সালের ২ জুন থেকে ২০২০ সালের ১ জুন পর্যন্ত মহাকাশ থেকে ‘ননস্টপ’ মোডে বা বিরতিহীনভাবে সূর্যের ছবি তুলে গেছে।

    নাসা সেখান থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ ছবি পরপর সাজিয়ে ভিডিওতে রূপান্তর করে বিশ্ববাসীকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে সূর্যের সেই অনন্য রূপ।

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ছবি সূর্যকে নিয়ে গবেষণায় আরেক ধাপ অগ্রগতি এনে দিবে। তারা বলেছেন ১১ বছরের চক্রে সূর্যের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মেরু পরিবর্তন হয়। ভিডিওটি নাসার একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ৮ লাখের বেশি দর্শক এটি দেখেছে। শত শত বিস্মিত দর্শক নানা মন্তব্য করেছে সূর্যের এই অসাধারণ ভিডিওটি দেখে। এমন বিরল সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তারা নাসাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং আরো গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রের এমন ছবি দেখানোর অনুরোধ করেছে। ডেইলি মেইল।

    ২০১৩ সাল থেকেই সংক্রমিত হওয়া শুরু করে করোনা!

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আঘাতে পুরো বিশ্ব জর্জরিত। ধারণা করা হয়, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। আবার মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন যে, অক্টোবর থেকেই এই ভাইরাস চীনে ছড়াতে শুরু করেছিল। তবে এবার কানাডার বিজ্ঞানীদের দাবি, ২০১৩ সাল থেকেই সংক্রমণ শুরু হয় করোনা ভাইরাসের। যা চরিত্র বদলে ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।

    সম্প্রতি কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেন, ২০১৩ সাল থেকেই মানব শরীরে সংক্রমিত হতে শুরু করেছিল করোনা ভাইরাস । তবে কানাডার বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টিকারী করোনার সঙ্গে ওই ভাইরাসের যথেষ্ট চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে।

    বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের গবেষণালব্ধ বিষয়ের তথ্যগুলো এখনো বিশদভাবে বিশ্লেষণ বা পর্যালোচনা করা হয়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা ভাইরাসের গঠন তার সংক্রামকতার নির্ধারক নাও হতে পারে। তাদের বিশ্বাস, করোনার অন্যান্য কিছু পরিবর্তন অবশ্যই ঘটেছে যা মানুষের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা বা ভয়াবহতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।

    বিশ্বে এ পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৫ লাখের মতো মানুষ। জি নিউজ।

    Untitled Post

    Posted by admin on June 28
    Posted in Uncategorized 

    ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত হলো ইউরোপ

    ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমানা। আগামী ১ জুলাই থেকে ৫৪টি দেশের নাগরিকরা সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের মুক্ত পাসপোর্ট এলাকা সেনজেন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ ইউরোপিয় দেশ এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত। এর সদস্য দেশের নাগরিকেরা সেনজেন এলাকায় মুক্তভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থাৎ এই এলাকায় কোনো সীমানা নিয়ন্ত্রণ নেই।

    ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন আদেশ কার্যকর হবে। তারা জানিয়েছেন, মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রমণের সময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দক্ষতা রয়েছে কিনা তা অনুসারে দেশের তালিকা আপডেট করা হবে। তবে এরই মধ্যে যে দেশগুলোর নাগরিকদের ইউরোপে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    তালিকার মধ্যে রয়েছে, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, এ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামাস, ভুটান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, কুবা, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, ডোমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গায়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, জাপান, কাজাকস্থান, কসোভো, লেবানন, মরিশাস, মোনাকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, মোজাম্বিক, মায়ানমার, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিক্যার্যাগুয়া, পালাউ, প্যারাগুয়ে, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকস্থান, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেইন, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভ্যাটিকান সিটি, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম

    জাম্বিয়া।

    ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) গত ১১ জুন একটি আবেদনে ১৫ জুন থেকে সেনজেন সীমানা উন্মুক্ত করে দেয়ার সুপারিশ করেছিল। যাতে ইউরোপিয়রা মহামারীর পূর্ব অবস্থার মত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে।

    ইসির ওই সুপারিশে সদস্য দেশগুলোর মত তৃতীয় রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ১ জুলাই থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়ে ছিল। সূত্র : গালফ নিউজ

    Untitled Post

    Posted by admin on June 28
    Posted in Uncategorized 

    যুক্তরাষ্ট্রে যে কারণে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ

    যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    সংক্রামক রোগ বিষয়ক প্রধান ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, এ বিষয়ে দেশটির বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।

    সম্প্রতি হঠাত্ করেই ১৬টি রাজ্যে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পর হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিবিসির

    শুক্রবার সারা দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ৪০ হাজারেরও বেশি লোককে শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও সংখ্যাটা এর কাছাকাছিই ছিল।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, শুক্রবার মোট ৪০ হাজার ১৭৩ জন আক্রান্ত। যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেশি এবং নতুন রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রেই বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন ও আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশে ২৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মারা গেছে অন্তত এক লাখ ২৫ হাজার।

    লকডাউন শিথিলে বাড়ছে সংক্রমণ!

    হোয়াইট হাউজ টাস্ক ফোর্স উপসর্গ না থাকলেও তরুণদেরও পরীক্ষা করার ওপর জোর দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হুট করে বেড়ে গেছে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা এবং অ্যারিজোনা রাজ্যে এই বৃদ্ধির কারণে দোকান-পাট অফিস আদালত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন করে আরোপ করা হয়েছে আরো কিছু বিধি-নিষেধ।

    টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়কারী ড. ডেবোরা বির্ক্স পরীক্ষা করাতে এগিয়ে আসায় তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আগে তাদের বলতাম বাড়িতে থাকতে, এখন আমরা তাদের পরীক্ষা করাতে বলছি। সংক্রমণের সব হিসাব নিকাশ তুলে ধরে ড. ফাউচি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছি।

    দেশের একটি এলাকায় যা হচ্ছে চূড়ান্তভাবে অন্য এলাকাতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। তিনি মনে করেন, কোথাও কোথাও লকডাউন একটু আগেই শিথিল করে দেওয়ায় সে সব জায়গায় সংক্রমণ বেড়ে গেছে।

    তিনি বলেন, লোকজন অন্যদের আক্রান্ত করছে এবং আপনি হয়তো এমন এক জনকে আক্রান্ত করতে পারেন যার স্বাস্থ্য নাজুক অবস্থায়। তিনি বলেন, সবার যেমন নিজের ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি দায়িত্ব আছে সামাজিকভাবেও। আমরা যদি এই মহামারির অবসান ঘটাতে চাই তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে আমরাও এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তার মতে এর বিস্তার ঠেকানো না হলে যে সব জায়গায় উন্নতি হয়েছে সেখানেও তার প্রভাব পড়বে। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স লকডাউন শিথিল করার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের বিস্তার লাভের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    টোকিওতে স্টারবাক্সের ইশারা-ভাষার দোকান চালু

    মূলত শ্রবণ প্রতিবন্ধী কর্মী নিয়ে টোকিওতে একটি শাখা খুলেছে স্টারবাক্স। ইশারা ভাষা, কলম বা শব্দকে অক্ষরে রূপান্তরিত করার একটি এপ্লিকেশন থাকা ট্যাবলেট ব্যবহার করে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন।

    বৈশ্বিক এই কফি চেইন শপের জাপানি শাখা আজ কুনিতাচি শহরে এই দোকানের উদ্বোধন করে। এর ২৫ জন কর্মীর মধ্যে ১৯ জনই শ্রবণ প্রতিবন্ধী।

    ইশারা ভাষা শেখানোর জন্য দোকানটির দেয়ালে পোস্টার লাগানো আছে।

    স্টারবাক্স অবশ্য ইতিমধ্যেই অন্যান্য দেশে এরকম দোকান পরিচালনা করে থাকে। জাপানের শ্রবণ প্রতিবন্ধী কর্মীরা সাম্প্রতিক এই দোকানের প্রস্তাব করেন।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দোকানটি ক্রেতাদের প্রবেশ টিকিট নেয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এটি আপাতত শুধুমাত্র টেইক আউট বা দোকান থেকে বাইরে নেয়ার ক্রয়াদেশ গ্রহণ করছে।

    স্টারবাক্স কফি জাপান বলছে, কোম্পানিটি প্রত্যাশা করে যে এই কর্মীরা শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে সাহসের সঞ্চার করবেন।

    লবণপানি দিয়ে করোনা চিকিৎসা

    করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে আধুনিক চিকিৎসার বাইরে অনেকেই দাবি করছেন ঘরোয়া নানা কৌশলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা। করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক যত বাড়ছে এই ধরনের নানা চিকিৎসা পদ্ধতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে তত বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। লবণ পানি দিয়ে গাল গরালেও করোনা ভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব—এমন দাবিও করছেন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের কেউ কেউ। তবে বিষয়টিকে এবার পরীক্ষার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছেন ব্রিটেনের এক দল গবেষক। লবণ পানি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী কি না তা নিয়ে গবেষণা করছেন ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের বিশেষজ্ঞরা।

    গবেষকরা বলছেন, লবণ পানি দিয়ে গাল গরাল করলে ঠান্ডা-কাশির লক্ষণ থাকলে ভালো কাজ করে। শরীর আরো বেশি খারাপ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে লবণ পানি দিয়ে গাল গরাল পদ্ধতি। তবে এখন তারা দেখার চেষ্টা করছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃদু লক্ষণ থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ঠিকমতো কাজ করে কি না। এ লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণার জন্য কিছু মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করছেন। লবণ পানি দিয়ে গাল গরাল করলে তা শরীরের ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে কি না মূলত সেটাই দেখতে চান তারা।

    করোনা ভাইরাসের সঠিক চিকিতৎসা পদ্ধতিতে এখনো অনেকটা অন্ধকারে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যাদের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে যাদের জন্য কিছু দিন আগে স্টেরয়েডধর্মী ডেক্সামেথাসন প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এছাড়া ইবোলা থেকে বাঁচতে ব্যবহৃত ওষুধ রেমডিসিভির ব্যবহারের কথাও বলছেন। এই বাইরে মৃদু লক্ষণ থাকা রোগীদের জন্য উপসর্গ ভিত্তিক কিছু ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিতৎকরা। তাই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারে এমন সব পদ্ধতির দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন গবেষকরা। মূলত গত বছর ইএলভিআইএস ট্রায়ালে ঠান্ডা-কাশির ক্ষেত্রে লবণ পানি দিয়ে গাল গরাল করার ফলাফল ইতিবাচক হওয়ার কারণেই এখন তারা করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও কোনো ভালো খবর পাওয়া যায় কি না সেটা নিয়ে এই গবেষণা করছেন।

    ফুসফুসকেন্দ্রিক সমস্যার কারণে সাধারণত ঠান্ডা, কাশির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। আর করোনা ভাইরাস যেহেতু ফুসফুসের ওপর আক্রমণ করে এবং লবণ পানি ঠান্ডা-কাশির ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল দিয়েছে। এ কারণেই এখন তারা এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায় কি না সেটা জানতে এই গবেষণা করছেন। এডিনবার্গের এই গবেষকরা মনে করেন, লবণ পানি দিয়ে গাল গরাল করলে তা শরীরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শক্তি যোগায়। তাদের মতে, লবণে হয়তো টক্সিক প্রভাব রয়েছে যা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে।

    এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উশার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আজিজ শেখ বলেন, আমরা এখন লবণ পানি দিয়ে গাল গরালের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছি। এর জন্য করোনা পজিটিভ রোগী এবং সন্দেহজনক করোনা রোগীদের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখা হবে। যদি এটি কার্যকরী প্রমাণিত হয় তাহলে তা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সহজ ও ভালো উপায় হবে।-ডেইলি মেইল

    বিলম্বিত আসিয়ান শীর্ষ বৈঠক ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু

    দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা আসিয়ান’এর ১০টি সদস্য দেশের নেতারা ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে একটি শীর্ষ বৈঠক শুরু করেছে্ন।
    করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দু’মাসেরও বেশি বৈঠকটি স্থগিত ছিল।

    নেতারা আসিয়ান অর্থনীতির উপর এই মহামারীর মারাত্মক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    অন্য একটি আলোচ্য বিষয় সম্ভবত দক্ষিণ চীন সাগর যেখানে বেইজিং এবং কয়েকটি আসিয়ান সদস্য দেশ ভূখণ্ডগত দাবী নিয়ে বিবাদে জড়িত রয়েছে।

    দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিকীকরণ এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়ার উপর জোর দিচ্ছে চীন, অন্যদিকে অন্যান্য দেশগুলো করোনাভাইরাস সামাল দিতে ব্যস্ত রয়েছে।

    বেইজিং এপ্রিলে জানায়, এই অঞ্চলে তারা দু’টি নতুন প্রশাসনিক এলাকা স্থাপন করেছে। মার্কিন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক সমীক্ষা কেন্দ্র জানাচ্ছে চীনা একটি জাহাজ এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়া’র একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় জরিপ চালানো শুরু করে।

    এই শীর্ষ বৈঠকের চেয়ারম্যান, ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন এলাকা নিয়ে বেইজিং’এর সাথে ভূখণ্ডগত বিরোধে জড়িত থাকা বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে একটি। তারা এই শীর্ষ বৈঠকের মাধ্যমে চীনকে নিবৃত্ত রাখার আশা করছে।

    কম্বোডিয়া সহ কিছু কিছু আসিয়ান দেশ চীনের সাথে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভূখণ্ডগত সমস্যা নিয়ে আসিয়ান নেতারা একটি শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণে রাজি হতে সক্ষম হবেন কিনা সেদিকে এখন সবার নজর কেন্দ্রীভূত রয়েছে।

    আগামী সপ্তাহে ১ কোটি ছাড়াবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

    বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    এই বিষয়ে একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি আগামী সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

    এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে অক্সিজেন ঘাটতির বিষয়টি নিয়েও সতর্ক করে দেন টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস । এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বর্তমানে সরবরাহের চেয়ে অক্সিজেনে চাহিদা বেশি। আর এই অক্সিজেনের যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দেশ।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ লাখ ১০ হাজার ১৬১ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৮২১ জন।

    করোনাভাইরাসের ৪৮টি নতুন সংক্রমণের খবর দিয়েছে টোকিও

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন রাজধানীতে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের ৪৮টি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    টোকিওতে পরীক্ষায় পজিটিভ প্রমাণিত হওয়া লোকজনের সংখ্যা এখন ৫,৯৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

    বুধবার টোকিও ৫৫টি নতুন ঘটনার কথা জানিয়েছিল, যা হচ্ছে ২৫ মে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক সংখ্যা।

    বিতর্কিত এলাকার নামবদল নিয়ে চীন-জাপান উত্তেজনা

    পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি দ্বীপকে চীন ও জাপান নিজেদের মনে করে। জাপানিরা এই দ্বীপগুলোকে সেনকাকু বলে ডাকে। আর চীনাদের কাছে এগুলো পরিচিত তিয়াওইউ নামে। জাপানের ইশিগাকি শহরের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে টোনোশিরো। সেনকাকু দ্বীপগুলো এই অঞ্চলের অন্তর্গত।

    তাই সম্প্রতি এই অঞ্চলটির নাম পরিবর্তন করে টোনোশিরো সেনকাকু করা হয়েছে। পহেলা অক্টোবর থেকে এই নাম ব্যবহার শুরু হবে। কিন্তু এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না চীন।

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিল চীনের সার্বভৌমত্বের প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ যা অবৈধ। এই দ্বীপ যে চীনের অন্তর্গত তিয়াওইউ দ্বীপ, সে বিষয়ে কোনো বদল এই বিলের ফলে হবে না।

    মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ঝাও লিঝিয়ান বলেন, চীন তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে অবিচল। এ বিষয়ে জাপানের কাছে নালিশও জানিয়েছে তারা। এদিকে সেনকাকু দ্বীপের আরেক দাবিদার তাইওয়ানও জাপানের নামবদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। -ডয়চেভেলে

    বিভিন্ন দেশের প্রতি ভাইরাস রোধী পদক্ষেপ গ্রহণ বৃদ্ধি করার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও আবারও করোনাভাইরাস রোধী পদক্ষেপ জোরদার করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস অ্যাডহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে রবিবার তার সংস্থায় জানানো হয়।

    তিনি সন্দেহজনক ঘটনা পরীক্ষণ, সংক্রমিতদের বিচ্ছিন্নকরণ এবং সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ সহ ভাইরাস রোধী পদক্ষেপসমূহ জোরদার করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আবারও আহ্বান জানান।

    ডব্লিউএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচিসমূহের প্রধান মাইক রায়ান আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য জন-অধ্যুষিত দেশে সংক্রমণ বেড়ে চলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    তিনি বলেন, “এই বৈশ্বিক মহামারী এখন একই সময়ে বেশ কিছু বড় বড় দেশে তুঙ্গে রয়েছে বা শীর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে”।

    এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, সোমবার আন্তর্জাতিকমান সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৯০ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫৭। মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২২০।

    শ্রীলংকায় মৃত মুসলিমদের কবর না দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে

    শ্রীলংকার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির সুযোগ নিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। মুসলিম কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে– যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ।

    মে মাসের ৪ তারিখ তিন সন্তানের মা ৪৪ বছর বয়স্ক মুসলিম মহিলা ফাতিমা রিনোজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি কোভিড -১৯ সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

    পুরো পরিবারটির ওপর চড়াও হয় কর্তৃপক্ষ

    ফাতিমা শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর বাসিন্দা। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে।

    যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিন থেকেই কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারের ওপর ‘চড়াও হয়‌’ বলে অভিযোগ করেন ফাতিমার স্বামী মোহামেদ শফিক।

    “পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে হাজির হয়” – বলছিলেন শফিক।

    “আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়, সবখানে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের কিছু বলেনি।

    এমনকি তিন মাসের বাচ্চাকেও ভাইরাস টেস্ট করা হয় -তারপর তারা আমাদেরকে কুকুরের মত করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিযে যায়।”

    পুরো পরিবারটিকে এক রাত সেখানে আটকে রাখা হয়, কিন্তু পরদিন তাদের ছেড়ে দিয়ে বলা হয়, তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

    এর মধ্যেই খবর আসে যে ফাতিমা মারা গেছেন। তিনি একাই হাসপাতালে ছিলেন।

    কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হলো

    ফাতিমার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে বলা হলো হাসপাতালে গিয়ে তার মায়ের মৃতদেহ সনাক্ত করতে।

    তাকে বলা হলো, যেহেতু কোভিড-১৯এ ফাতিমার মৃত্যু হয়েছে তাই তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে না।

    ফাতিমার ছেলে বলছে, তার মায়ের মৃতদেহ দাহ করার অনুমতিসূচক কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে তাকে বাধ্য করা হয় – যদিও মুসলিম আইনে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলাকে মানবদেহের অবমাননা বলে মনে করা হয়।

    “আমার ছেলেকে বলা হয়, আরো কিছু পরীক্ষা করার জন্য ফাতিমার দেহের কিছু অংশ কেটে নিতে হবে। তার যদি করোনাই হয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের অংশ কেটে নেয়ার দরকার কী?” – বলছিলেন শফিক।

    শফিক মনে করেন, আসলে কী ঘটেছিল তা তার পরিবারকে পুরোপুরি জানানো হয়নি।

    ফাতিমার পরিবারসহ শ্রীলংকার আরো কিছু মুসলিম পরিবার মিলে তাদের বিরুদ্ধে “মহামারিকে ব্যবহার করে বৈষম্যমূলক আচরণ করার জন্য” সরকারের সমালোচনা করেছে।

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কী বলছে

    এই মুসলিম পরিবারগুলো বলছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়া লোকদের কবর দেয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাদের মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করছে।

    তারা বলছে, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী জনগোষ্ঠী যেরকম ধারাবাহিকভাবে হয়রানি এবং ভীতি সৃষ্টি করছে – এটি তার সবশেষ উদাহরণ।

    ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ইসলামপন্থীরা শ্রীলংকার পূর্বাঞ্চল ও রাজধানী কলম্বোর কিছু নামীদামী হোটেল ও গির্জা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় – যাতে বিদেশী সহ ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।

    ওই মারাত্মক হামলা পুরো দেশটিকে স্তম্ভিত করে দেয়। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এর কৃতিত্ব দাবি করে।

    শ্রীলংকার অনেক মুসলিমই মনে করেন – ওই আত্মঘাতী হামলার পর থেকে তাদেরকে ‌‘দানব’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    শ্রীলংকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মুসলিম ব্যক্তি মারা যান ৩১শে মার্চ।

    এর পর থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলিভাবেই মুসলিমদের ওই মহামারি ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হতে থাকে – যদিও ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে সরকারিভাবে মাত্র ১১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।

    এই ১১ জনের সবার মৃতদেহই দাহ করা হয়েছে।

    সরকারের প্রধান সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. সুগত সামারাবীরা বলেছেন, সরকারের নীতি হচ্ছে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত বা আক্রান্ত সন্দেহে যারাই মারা যাবে – তাদের মৃতদেহ দাহ করা হবে।

    কারণ কবর দেয়া হলে তা ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তরকে দূষিত করতে পারে। ড. সামারাবীরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা সমাজের কল্যাণের জন্য এই নীতি গ্রহণ করেছেন।

    কিন্তু মুসলিম অধিকারকর্মী, কমিউনিটি নেতা এবং রাজনীতিবিদরা শ্রীলংকার সরকারকে এ নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

    একমাত্র দেশ

    শ্রীলংকা হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ১৮২টি সদস্যের মধ্যে একমাত্র দেশ – যেখানে কোভিড-১৯এ মৃত মুসলিমদের দাহ করা হচ্ছে, এক আবেদনে এ কথা বলেছেন আলি জহির মওলানা – যিনি একজন সাবেক মন্ত্রী এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে একজন প্রার্থী।

    বিবিসি সিনহালাকে তিনি বলেন, মৃতদেহ কবর দেয়াটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এর কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ থাকলে শ্রীলংকার মুসলিম জনগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

    শ্রীলংকার মুসলিম কংগ্রেসের উর্ধতন নেতারা তার এ বক্তব্য সমর্থন করেছেন।

    তারা বলছেন, এটা স্পষ্ট যে দাহ করার পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক বা স্বাস্থ্যগত ভিত্তি নেই, এবং সরকারের সিদ্ধান্তটি আসলে দেশটিকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার এক সুগভীর এজেন্ডার ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে।

    ভিন্ন নিয়ম

    ফাতিমা যেদিন মারা যান, সেদিনই কলম্বোয় তার বোনের বাড়িতে মারা যান ৬৪ বছর বয়স্ক আবদুল হামিদ মোহামেদ রাফাইদিন। চার সন্তানের পিতা এই শ্রমিক শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

    তার কনিষ্ঠ পুত্র নওশাদ রাফাইদিন বিবিসিকে বলেন, ওই একই দিনে তাদের একজন প্রতিবেশীও মারা যান – যিনি শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনহালা সম্প্রদায়ের।

    লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলিশ তাদের পরিবারকে পরামর্শ দেয় দুটি মৃতদেহ এক সাথেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তারা তাই করলেন।

    হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে নিয়ে যাবার পর ডাক্তার নওশাদকে বললেন, তিনি তার পিতার মৃতদেহ স্পর্শ করতে পারবেন না। যদিও কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণেই তিনি মারা গিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট ছিল না।

    বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয়

    নওশাদ লেখাপড়া জানেন না। তাকে বলা হলো তার পিতার মৃতদেহ দাহ করা অনুমতিসূচক কিছু কাগজপত্রে সই করতে।

    নওশাদ বলছেন, সই না করলে কি হবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না।

    কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যদি তিনি এটা করতে অস্বীকার করেন তাহলে তার পরিবার ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

    তার প্রতিবেশীর সাথে অবশ্য ভিন্ন আচরণ করা হলো।

    “অন্য যার মৃতদেহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলাম – তাকে শেষকৃত্যের জন্য একটি আলাদা জায়গায় নিযে যাওয়া হলো। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন যথারীতি মৃতকে বিদায় জানাবার সুযোগ পেলেন। তাকে কবরও দেয়া হলো” – বলছিলেন নওশাদ।

    নওশাদের পিতাকে দাহ করার সময় উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন তিনি নিজে এবং তার অল্প কয়েকজন আত্মীয় । অন্যদিকে শফিকের স্ত্রীর মৃত্যুর পর ছয় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তিনি এখনো সেই আঘাত সামলে উঠতে পারেননি।

    যে চিকিৎসাকর্মীরা ভাইরাস পরীক্ষা করেছেন, তারা বলেছেন ফাতিমা আসলে করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিলেন না – যদিও হাসপাতালে তাই বলা হয়েছিল।

    এতে পরিবারটির বিভ্রান্তি আরো বেড়ে গেল।

    শফিক এখন বলছেন, “আমরা মুসলিমরা মৃতদেহ দাহ করি না। তারা যদি জানতোই যে ফাতিমার করোনা হয়নি তাহলে তাকে দাহ করা হলো কেন?” সূত্র: বিবিসি বাংলা।

    উপাত্ত মতে টোকিও থেকে দূরপাল্লার ভ্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    মোবাইল ফোনের উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গত সপ্তাহে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণের উপরের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরের প্রথম সপ্তাহান্তে টোকিও থেকে দূরপাল্লার ভ্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    মোবাইল ক্যারিয়ার এনটিটি দোকোমো’র গণনা করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেটওয়ার্কের উপাত্ত এনএইচকে বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, মে মাসের শেষ সপ্তাহান্তের তুলনায় অন্যান্য সমস্ত জেলায় গত শনিবার ও রবিবার টোকিও থেকে আসা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে।

    টোকিও থেকে ইয়ামাগাতা’য় আসা ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ১৪৮ শতাংশ বেড়েছে। ওকিনাওয়া’র জন্য এই সংখ্যা বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ, কাগাওয়া’তে বেড়েছে ৯৪ শতাংশ, ওয়াকাইয়ামা’য় বেড়েছে ৯২ শতাংশ, নিইগাতা ও তোকুশিমা’য় বেড়েছে ৯১ শতাংশ এবং নাগানো’তে বেড়েছে ৯০ শতাংশ।

    ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাসাকি কুনিয়াকি বলছেন, এই উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, টোকিও থেকে বেশি করে লোকজন দক্ষিণের দ্বীপজেলা ওকিনাওয়া’র মত দূরের গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। তিনি এও বলছেন, এর থেকে এ আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, পর্যটন এবং গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন ধীরে ধীরে পূর্বাবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।