• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • কারফিউ উপেক্ষা করে চলছে বিক্ষোভ, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

    বিক্ষোভকারীদের দমাতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টির বেশি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু এসব উপেক্ষা করেই কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভে নেমেছে হাজারো মানুষ।

    বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্ক শহরে কিছুক্ষণ আগে কার্যকর হয়েছে কারফিউ। তবে কারফিউ শুরু হলেও ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের সামনে থেকে অবস্থান ত্যাগ করেনি বিক্ষোভকারীরা।

    এছাড়া আগেরদিনের মত বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ এড়াতে হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিরক্ষা বাড়াতে একটি নতুন গেইট তৈরি করা হয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন রাজধানী ওয়াশিংটনে আরো বেশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

    নিউ ইয়র্ক শহরেও দেখা গেছে একই চিত্র। কারফিউ কার্যকর হওয়ার পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরছেন না।

    ম্যানহাটান অঞ্চলে আগের রাতে লুটপাট ও ভাঙচুর হওয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারার অভিযোগ তুলে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও ও পুলিশের সমালোচনা করেছেন। গভর্নর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পারেন তিনি।

    কারফিউ উপেক্ষা করে চলছে বিক্ষোভ, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

    ওয়াশিংটনে কারফিউ কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউজের কাছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেঁটে নিকটবর্তী একটি গির্জায় বাইবেল হাতে ছবি তুলতে যেতে পারেন। আজকেও ওয়াশিংটন ডিসি’র আরেকটি গির্জা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

    যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনাভাইরাস মহামারি আর কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ধরণের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতাদের অনেকে।

    ওয়াশিংটন আর নিউ ইয়র্ক বাদেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরেই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ।

    জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের সাথে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় অংশ নিতে টেক্সাস রাজ্যের হিউস্টনে জড়ো হচ্ছে মানুষ। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে সেখানে।

    ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে দুই হাজারের বেশি মানুষ সিটি হলের দিকে পদযাত্রা করছে। পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়াতেও সিটি হলের দিকে বিক্ষোভকারীদের পদযাত্রা কর্মসূচি চলছে।

    টেনেসি’র ন্যাশভিলে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে নিজেদের সুরক্ষা উপকরণ নামিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের।

    গত সপ্তাহে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়।

    এসময় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের সময় লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। বিবিসি।

    এন্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারে মৃত্যু বাড়বে : ডব্লিউএইচও

    মহামারী কোভিড ১৯ মোকাবেলায় এন্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহার ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করবে। এ কারণে চলমান সংকট এবং সংকটোত্তর কালেও অধিকহারে লোক মারা যাবে।

    ডব্লিউএইচও’র মহাসচিব টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস সোমবার জেনেভা সদরদপ্তরে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। এন্টিবায়োটিকের অধিক ব্যবহারের কারণে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধক্ষমতার হারও বাড়বে। এর ফলে মহামারী ও মহামারীর পরেও মৃত্যু হার বেড়ে যাবে।

    বলছে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হুমকি মোকাবেলায় মাত্র কিছু সংখ্যক কোভিড -১৯ রোগীর এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন। সংস্থাটি চিকিৎসকদের জন্যে ইস্যু করা দিকনির্দেশনায় যে সকল লোকের কোভিড -১৯ এর মৃদু উপসর্গ কিংবা অল্প অসুস্থতা রয়েছে তাদেরকে এন্টিবায়োটিক না দেয়ার কথাই বলেছে।

    টেডরস বলছেন, নির্দেশনায় জীবন রক্ষায় জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠেকানোর কাজে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। তিনি জীবাণুর প্রতিরোধক্ষমতাকে আজকের এ সময়ের সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেন।

    টেডরস এন্টিবায়োটিক সঠিকভাবে ব্যবহার না করার বিষটিকে তুলে ধরে বলেন, কিছু কিছু দেশে এটি বেশি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে নি¤œ আয়ের দেশ যেখানে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ সহজলভ্য নয়। আর এন্টিবায়োটিকের অতিব্যবহার অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ এবং মৃত্যুহারও বাড়াচ্ছে।

    এদিকে গত ডিসেম্বরে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর অছোঁয়াচে রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।

    তারা বলছে, মে মাসের তিন সপ্তাহের জরিপে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও হৃদরোগীদের চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে গণজমায়েতের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে সংস্থাটি।

    সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড একজন শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে প্রাণ হারায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এখন উত্তাল। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শত শত লোকের কারণে ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত ছড়াবে বলেও আশংকা করেছেন টেডরস।