• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন

    জাপানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের জরুরী প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    গত বুধবার জাপানের নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসা সমিতির প্রদত্ত এক বিবৃতিতে, জার্মানি ও ইতালিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের প্রাণ হারানোর হারের পার্থক্যের উল্লেখ করা হয়।

    এতে, মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত জার্মানির মৃত্যুর হার ১.১ শতাংশ হলেও ইতালির মৃত্যুর হার ১১.৭ শতাংশ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা, জার্মানির উন্নত মানের নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা এর কারণ বলে অনুমান করছেন।

    বিবৃতিতে, ইতালিতে জাপানের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী প্রতি ১ লাখ জনের জন্য একটি নিবিড় পরিচর্যা শয্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    এতে, গুরুতর রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলায় জাপানের হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা বিভাগগুলো দ্রুত ভারাবনত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়।

    সমিতি, নিবিড় চিকিৎসা প্রদানের জন্য বর্তমানের চেয়ে সর্বোচ্চ চারগুণ বেশী নার্সের প্রয়োজন রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর বা শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদ ক্রিয়ার সহায়তাকারী একমো যন্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম আরও বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়।

    এতে, সমগ্র জাপানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর আনুমানিক সাড়ে ছয় হাজার শয্যার মধ্যে বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন মাত্র প্রায় ১ হাজার শয্যা রয়েছে এবং আরও যন্ত্রপাতি স্থাপনই এই সমস্যার সমাধান করবে না উল্লেখ করা হয়।

    সমিতিটি, মারাত্মক রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক নিশ্চিত করার মত নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।

    টোকিও’তে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রসমূহ বলছে, আজ ১শ ৪৩টি নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এই সংখ্যা টোকিও’তে দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

    গতকালের ১শ ১৮ জনের পর উপর্যুপরি দু’দিন ১শ’র বেশি নতুন সংক্রমণ ঘটল।

    এর মাধ্যমে রাজধানীতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪’এ উন্নীত হয়েছে।

    টোকিওর কর্মকর্তারা লোকজনকে অনাবশ্যক কোন কাজে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

    আজ এনএইচকে’র একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে টোকিও’র গভর্নর কোইকে ইউরিকো বলেন, তিনি চাইছেন লোকজন যেন নিজেদের পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সমাজের সুরক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়ে ভাবেন।

    টোকিও কর্মকর্তারা লোকজনের প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকার কোন অনুরোধ অবশ্য করেননি।

    তবে, তারা বলছেন, সংক্রমণের পথ অস্পষ্ট থাকা ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণদের মাঝেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।

    এক্ষেত্রে, বাইরে যাওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।