• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়াল

    বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৮ হাজার ৫৩৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। এদিকে বুধবারও করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৫০ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ৯৫০ জন।

    করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ জন।

    গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়।

    জাপানের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন

    জাপানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের জরুরী প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    গত বুধবার জাপানের নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসা সমিতির প্রদত্ত এক বিবৃতিতে, জার্মানি ও ইতালিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের প্রাণ হারানোর হারের পার্থক্যের উল্লেখ করা হয়।

    এতে, মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত জার্মানির মৃত্যুর হার ১.১ শতাংশ হলেও ইতালির মৃত্যুর হার ১১.৭ শতাংশ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা, জার্মানির উন্নত মানের নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা এর কারণ বলে অনুমান করছেন।

    বিবৃতিতে, ইতালিতে জাপানের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী প্রতি ১ লাখ জনের জন্য একটি নিবিড় পরিচর্যা শয্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    এতে, গুরুতর রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলায় জাপানের হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা বিভাগগুলো দ্রুত ভারাবনত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়।

    সমিতি, নিবিড় চিকিৎসা প্রদানের জন্য বর্তমানের চেয়ে সর্বোচ্চ চারগুণ বেশী নার্সের প্রয়োজন রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর বা শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদ ক্রিয়ার সহায়তাকারী একমো যন্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম আরও বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়।

    এতে, সমগ্র জাপানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর আনুমানিক সাড়ে ছয় হাজার শয্যার মধ্যে বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন মাত্র প্রায় ১ হাজার শয্যা রয়েছে এবং আরও যন্ত্রপাতি স্থাপনই এই সমস্যার সমাধান করবে না উল্লেখ করা হয়।

    সমিতিটি, মারাত্মক রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক নিশ্চিত করার মত নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।

    টোকিও’তে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রসমূহ বলছে, আজ ১শ ৪৩টি নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এই সংখ্যা টোকিও’তে দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

    গতকালের ১শ ১৮ জনের পর উপর্যুপরি দু’দিন ১শ’র বেশি নতুন সংক্রমণ ঘটল।

    এর মাধ্যমে রাজধানীতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪’এ উন্নীত হয়েছে।

    টোকিওর কর্মকর্তারা লোকজনকে অনাবশ্যক কোন কাজে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

    আজ এনএইচকে’র একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে টোকিও’র গভর্নর কোইকে ইউরিকো বলেন, তিনি চাইছেন লোকজন যেন নিজেদের পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সমাজের সুরক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়ে ভাবেন।

    টোকিও কর্মকর্তারা লোকজনের প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকার কোন অনুরোধ অবশ্য করেননি।

    তবে, তারা বলছেন, সংক্রমণের পথ অস্পষ্ট থাকা ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণদের মাঝেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।

    এক্ষেত্রে, বাইরে যাওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

    জাপানের প্রধান শহরগুলোর সড়কে লোকজনের স্বল্প উপস্থিতি

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার হ্রাসের জন্য অধিবাসীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের আহ্বান জানানোর পর জাপানের প্রধান শহরগুলোর সড়কসমূহে আজ লোকজনের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে।

    টোকিও’র শিনজুকু এলাকায়, বৃহৎ ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং কাপড়ের দোকান সমূহ বন্ধ আছে। এছাড়া, কারাওকে পার্লারগুলোতে অস্থায়ী বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়েছে।

    শিনজুকু স্টেশনের পূর্ব দিকের বহির্গমন পথের সম্মুখে থাকা একটি চত্বর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্রেতা এবং বন্ধুদের জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তিদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে থাকলেও আজ সেটি কোলাহল মুক্ত ছিল।

    বয়স ২০’এর কোঠায় থাকা শিনজুকুর এক অধিবাসী বলেন, আজ লোকজনের এত স্বল্প উপস্থিতি বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছিল। তিনি বলেন, একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ পত্র নেয়ার জন্য তিনি বের হয়েছিলেন এবং অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যাবেন।

    পশ্চিম জাপানের ওসাকা দুর্গ পার্কে প্রায় ৩ হাজার চেরি গাছের পূর্ণ প্রস্ফুটন ঘটেছে। এই প্রস্ফুটনকে উদযাপন করতে এসময় সাধারণত বনভোজনের চাদর পেতে নানা পার্টিতে মেতে ওঠা লোকজনের ভিড়ে স্থানটি পরিপূর্ণ থাকে। তবে, এ বছর লোকজনকে সেটি না করার পরামর্শ দেয়া হয়। খুবই অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী হেঁটে শান্তভাবে চেরি প্রস্ফুটন প্রত্যক্ষ করেছেন।

    বয়স ২০’এর কোঠায় থাকা এক জুটি বলেন, তারা আগামী মাসে নির্ধারিত তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন। তারা বলেন, নিজেদের মধুচন্দ্রিমার ভ্রমণ বাতিল করে বিবাহের পোষাকে ছবি তোলার প্রত্যাশা নিয়ে তারা পার্কটিতে এসেছেন। তারা এও বলেন যে অতি দ্রুত ছবি তোলার কাজ শেষ করে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন।

    এছাড়া, পার্কে চেরি ফুলের আলোকসজ্জাও এবার বাতিল করা হয়েছে।

    টোকিওতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ১০ ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও মহানগর সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এনএইচকেকে, আজ করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ১৮টি বলে জানিয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই প্রথমবারের মত একদিনে জাপানের রাজধানীতে সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ছাড়াল। এখন টোকিওর মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৮শ ৯১তে পৌঁছেছে।

    টোকিও মহানগরের কর্মকর্তারা, পরপর ২য় সপ্তাহের মত সপ্তাহান্তে অনাবশ্যক ভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া পরিহার করতে লোকজনের প্রতি জোর আহ্বান জানান। তবে তাঁরা, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া পরিহার করতে লোকজনদের অনুরোধ জানান নি।

    মহানগরের কর্মকর্তারা, সংক্রমণের উৎস অজানা থাকা লোকজনের সংখ্যা উর্ধ্বমুখি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আবার তরুণ লোকজনের মধ্যেও সংক্রমণ প্রতীয়মান হচ্ছে।

    তাঁরা, বাড়ির বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক কিনা সেবিষয় নিজেরাই বিবেচনা করতে নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    কর্মকর্তারা, শহরের বিনোদন এবং প্রমোদ এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করায় রাতের বেলা বাড়ির বাইরে যাওয়া পরিহার করতেও লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান।

    তাঁরা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তৃত হওয়া প্রতিরোধ করতে বদ্ধ জায়গা, জনবহুল এলাকা এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ পরিহার করতে লোকজনদের সতর্ক করে দেন।

    জাপান করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশসমূহকে বিনামূল্যে অ্যাভিগান প্রদান করবে

    জাপান সরকার করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী বিস্তার লাভ করা দেশসমূহে জাপানের একটি রাসায়নিক কোম্পানির উদ্ভাবিত ফ্লু-রোধী ওষুধ অ্যাভিগান সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে।

    নতুন করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় সম্ভাব্য ব্যবহারের লক্ষ্যে অ্যাভিগান ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা যাচাই করে দেখার জন্য বর্তমানে জাপানে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত এই ওষুধটির জন্য প্রায় ৩০টি দেশ থেকে অনুরোধ পেয়েছে।

    সুগা বলেন, সরকার অ্যাভিগান ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা আরও ব্যাপক পরিসরে করে দেখার পরিকল্পনা করছে এবং এর পাশাপাশি অনুরোধ জানানো দেশগুলোর সাথে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি এও বলেন, সরকার বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ওষুধ অনুরোধ জানানো প্রতিটি দেশকে সরবরাহ করবে।

    জাপান দেশে প্রবেশের বিধিনিষেধ আরও কঠোর করে নিচ্ছে

    জাপান করোনাভাইরাস মোকাবিলার এক প্রচেষ্টা হিসেবে শুক্রবার থেকে দেশে প্রবেশের বিধিনিষেধ আরও কঠোর করে নিয়েছে।

    সরকার বিশ্বের যেকোন অংশ থেকে জাপানে এসে পৌঁছানো সবাইকে দু’সপ্তাহের জন্য বাড়ি, হোটেল বা অন্য কোন স্থানে নিজেকে স্ব-কোয়ারেন্টাইন করে রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। ভ্রমণকারীদের এইসব স্থানে যাওয়ার জন্য গণ-পরিবহণ ব্যবস্থার ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই ব্যবস্থা চলতি মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    সরকার জাপানে প্রবেশ করতে না পারা নাগরিকদের দেশ ও ভূখণ্ডের তালিকাও ব্যাপক মাত্রায় সম্প্রসারিত করে ৭৩-এ উন্নীত করে নেয়। জাপানে প্রবেশের আগের দু’সপ্তাহ এইসব স্থানে ভ্রমণ করা বিদেশি নাগরিকদেরও বর্তমানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
    এই তালিকায় নতুন করে সংযুক্ত হওয়া দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বৃটেন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, ইউরোপের প্রায় সমস্ত এলাকা থেকে আসা লোকজনকে জাপানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই তালিকায় চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো এলাকাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    এই ৭৩টি দেশ ও ভূখণ্ড থেকে দেশে ফেরা জাপানিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলেও বা না দিলেও পরীক্ষা করা হবে।

    এই একই ব্যবস্থা বিদেশি নাগরিকদের জন্যও কার্যকর হবে যারা জাপানি স্বামী বা স্ত্রী থাকার মত বিশেষ কারণে জাপানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

    টোকিওতে কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বড় অংশ তরুণ প্রজন্মের

    টোকিওতে নতুন কোরোনাভাইরাস বিস্তার সংক্রান্ত উপাত্ত থেকে দেখা গেছে যে সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত বলে জানা যাওয়া লোকজনের বড় এক অংশ হল তরুণ প্রজন্মের।

    সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোরোনাভাইরাস বিস্তারের ঘটনা জাপানের রাজধানীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ ৪১ জন রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই সংক্রমণের দৈনন্দিন সংখ্যা ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ৭৮-এ এবং বুধবার ৬৬ তে উন্নীত হয়েছিল।

    এই সময়ের মধ্যে সংক্রমিত ৪১৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স হল তিরিশের কোঠায় বলে এনএইচকে জানতে পেরেছে। আক্রান্তদের সংখ্যা হল ৮৯। বিশের কোঠায় বয়সের ৬৩ জন এবং ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের ৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ১০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪।

    ৪০ এর নীচে বয়স, এমন তরুণ লোকজনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৬৩ যা হল মোট সংখ্যার ৪০ শতাংশ।

    টোকিও পৌরসভা সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখতে পাওয়া সংক্রমণ হতে পারে শুধুমাত্র আগাম সঙ্কেত। দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন তাঁরা যাতে করে বয়স্ক লোকজন এতে সংক্রমিত না হন কেননা এঁদের ক্ষেত্রে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

    সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা শিগগিরি ১০ লক্ষে পৌঁছাবে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোরোনাভাইরাসে নিশ্চিত করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষে এবং মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারে গিয়ে পৌঁছাবে। বুধবার জেনিভাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আডহানম ঘেব্রিয়েসাস বক্তব্য রাখছিলেন।

    চীনা কর্তৃপক্ষ সংস্থার কাছে সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি জানানোর পর থেকে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে।

    টেডরস বলেন, দ্রুত ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে তিনি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।

    বেশিরভাগ দেশই তাদের জনগণের প্রতি বাড়িতে থাকার আবেদন জানানোর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের কাছে যেন খাদ্য এবং জীবণযাত্রার জন্য অপরিহার্য সামগ্রী যোগান দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোন উপসর্গ নেই অথচ ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক, চীন বুধবার থেকে এমন লোকজনের হিসাব প্রকাশ করা শুরু করেছে। তবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কত সংখ্যক লোকজনের মধ্যে এমন অবস্থা নিশ্চিত করা গেছে তা নিয়ে কোন তথ্য তারা উন্মোচন করেনি।

    সংবাদ সম্মেলনের সময় চীনের অবস্থান নিয়ে অনেক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভে বলেন, সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী উপসর্গ থাকুক কি না থাকুক তা বিবেচনা না করে ভাইরাস পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল এলেই সেটা কোরোনাভাইরাস সংক্রমণ বলে গণ্য করা হচ্ছে। তবে চীনের পরিসংখ্যান প্রণয়ণের বিষয়টি যথাযথ কিনা সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

     

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে জরুরী অবস্থা আসন্ন নয়

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো বলছেন করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দেয়ার জন্য প্রয়োজন হওয়া জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে জাপান এখনও পৌঁছায় নি।

    আবে আজ জাপানের সংসদের উচ্চ কক্ষের একটি কমিটিতে মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জরুরী অবস্থা ঘোষণার অনুমতি তাকে দেয়া সম্প্রতি সংশোধিত একটি আইনের উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষার উপর অগ্রাধিকার দিয়ে সেরকম ঘোষণা প্রচার করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন।

    আবে বলেছেন জরুরী অবস্থা ঘোষণা নাগরিক অধিকার সীমিত করতে পারলেও প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রের হাতে বর্ধিত ক্ষমতা তা দেবে না।

    তিনি বলেন এর বদলে এটা বরং প্রয়োজনীয় অনুরোধ জানানো ও নির্দেশ দেয়ার অনুমতি জেলা গভর্নরদের দেবে।

    আবে আরও উল্লেখ করেছেন জরুরী অবস্থার অর্থ এই নয় যে শহরগুলো তাৎক্ষনিকভাবে লকডাউন করা হবে। তিনি বলেন ফ্রান্স যেভাবে করেছে সেভাবে এটা বাস্তবায়িত করা হবে অসম্ভব।

    তিনি আভাষ দেন সরকার হয়তো নানারকম দাবী জানাতে পারে, তবে সেগুলো হবে ফ্রান্সে যা করা হয়েছে তার চাইতে সামান্য ভিন্ন।

    টোকিওর বাজারে নিক্কেই শেয়ারের মূল্য পতন

    টোকিও শেয়ার বাজারে বুধবার অল্প সময়ের জন্য শেয়ারের মূল্য এক হাজার পয়েন্টের বেশি হ্রাস পায়।

    গত সাত বছরে প্রথমবারের মত প্রধান উৎপাদকদের ব্যবসায়িক মনোভাব নেতিবাচকে পরিণত হয়েছে বলে ব্যাংক অব জাপানের তানকান জরীপে দেখা যাওয়ার পর সকালের লেনদেনের সময় নিম্ন মূল্যে বাজার শুরু হয়েছিল।

    দুপুরদিকে শেয়ার বিক্রয়ে গতি সঞ্চার হলেও বিনিয়োগকারীদের কয়েকজন শেয়ার পুনরায় কিনে নেয়ার কারণে মূল্যে খুব সামান্য পুনরুদ্ধার লক্ষ্য করা যায়।

    নিক্কেই শেয়ারের গড় মূল্য গতকাল দিন শেষের তুলনায় ৮৫১ পয়েন্ট হ্রাসে ১৮ হাজার ৬৫ পয়েন্টে আজ দিন শেষ করে।

    বাজারে লেনদেনকারীদের মধ্যে অনেকের ধারণা অর্থনীতির উপর প্রভাব দীর্ঘায়িত হবে কেননা কোরোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক খুচরা বিক্রেতা এবং রেস্তোঁরা তাদের ব্যবসায়িক সময় কমিয়ে আনছে।

    বুধবারের তানকান জরীপে সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিফলিত হচ্ছে না বলে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়। শিল্পকেন্দ্রের উপর আরও বেশি মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে অনেকেরই ধারণা। আয় এবং ব্যবসায়িক ফলাফল বিষয়ক আসন্ন ঘোষণাতে এই অবনতি দেখতে পাওয়া যাবে বলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঘটনা আরও বৃদ্ধি পেলে ভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার অতিরিক্ত কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।

    বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ লক্ষ সংক্রমণ: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও বলছে, সোমবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার ২শ ২৪। যা রবিবার থেকে ৫৮ হাজার ৪শ ১১ জনের বৃদ্ধি।

    ডব্লিউএইচও এও বলছে যে আরও ৩ হাজার ২শ ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সর্বমোট সংখ্যা ৩৩ হাজার ১শ ৬’এ উন্নীত হয়েছে।

    ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে জাপান 

    নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এর অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণার সম্ভাবনা সতর্কভাবে যাচাই করে দেখবে জাপান।

    গতকাল সরকারের পরামর্শক প্যানেলের একজন সদস্য এই তথ্য উন্মোচন করেন যে বেশিরভাগ সদস্যই এরকম ঘোষণার পক্ষে। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা হল, সংক্রমণের ঘটনার একটি ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করার পর এরকম ঘোষণা দেয়া হয়ত দেশের জন্য খুব দেরি হয়ে যাবে।

    এদিকে, জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদে একই দিন বলেন, জাপান প্রাদুর্ভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে।

    সরকার মনে করছে যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রয়োজন হওয়ার পর্যায়ে দেশ এখনও পৌঁছায়নি। তাদের মতে, জনগোষ্ঠীর সংখ্যার বিচারে জাপানের রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের পরিমাণ খুবই অল্প।

    তবে, সরকার মনে করছে, জাপান নতুন সংক্রমণের বিস্ফোরণের ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাই তারা দেশের সীমান্তে বিধিনিষেধ আরও জোরদার করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।