• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে, সোমবার আন্তর্জাতিকমান সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩৭৩টিতে।

    যুক্তরাষ্ট্র ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৭৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপর ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৯৬ জন নিয়ে রয়েছে স্পেন, তারপর ১ লক্ষ ৫৯হাজার ৫১৬ জন নিয়ে ইতালি, ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৩ জন নিয়ে রয়েছে ফ্রান্স এবং এরপর ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯২ জন নিয়ে রয়েছে জার্মানি।

    বিশ্বব্যাপী মোট নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হচ্ছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ৯৩৫ জন মৃত্যুবরণ করেন যুক্তরাষ্ট্রে।

    এদিকে, নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃত্যুবরণ করা লোকের ৪০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছেন নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের।

    কুয়োমো সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ৬৭১ জন এর আগের দিন মারা যান। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬ জনে।

    গভর্নর বলেন, আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের দিনভিত্তিক লেখচিত্রের রেখা লোকজনের বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয়ার কারণে সমতল হয়েছে। তিনি এও বলেন, তার বিশ্বাস সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি শেষ হয়েছে যদি লোকজন সতর্কতার সাথে আচরণ করা অব্যাহত রাখেন।

    এদিকে, ইতালির সরকার সোমবার ঘোষণা করে, সেদেশে করোনাভাইরাসের মহামারীজনিত মৃত্যের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা।

    ২০০৯ সালের ফ্লু থেকে ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী কোভিড-১৯:বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেছেন, কোভিড-১৯ হল ২০০৯ সালের ফ্লু বৈশ্বিক মহামারি থেকে ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন যে কোভিড-১৯ এর বিস্তার “খুব দ্রুত ত্বরান্বিত হয় এবং এর গতিও কমে অনেক বেশি মন্থরভাবে”।

    তিনি বলেন, সেকারণে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাস্তবায়ন করা নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ সমূহও “অবশ্যই শ্লথ গতিতে এবং নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রত্যাহার করা উচিত”। তিনি আরও বলেন যে সেগুলো সব “একসাথে” তুলে নেয়া উচিত হবে না।

    ডব্লিউএইচও এক্ষেত্রে দেশগুলো বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিবেচনাকালীন তাদের ব্যবহারের জন্য ছয়টি মানদণ্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছে।
    এই তালিকার মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা এবং এর পাশাপাশি সনাক্তকরণ, পরীক্ষা, বিচ্ছিন্নকরণ এবং প্রতিটি সংক্রমণের চিকিৎসা ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার পদক্ষেপ বজায় আছে কিনা, সেটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচও’কে প্রদান করা তহবিল তার দেশ পর্যালোচনা করে দেখার ইঙ্গিত দেয়ার পর মহাপরিচালকের এই নিয়মিত ব্রিফিং বা ব্যাখ্যা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

    তেদ্রোস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে তার সংস্থার সবচেয়ে বড় তহবিল যোগানকারী দেশ। তিনি আরও বলেন যে ট্রাম্পের অবস্থান যে সমর্থনসূচক, সেটি তার জানা আছে এবং তিনি প্রত্যাশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএইচও’তে তহবিল সরবরাহ অব্যাহত রাখবে

    করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে সত্যি ১৮ মাসই লাগবে?

    করোনা ভাইরাসের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করেতে সাড়ে চার হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস পরিচালিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তাদেরও ধারণা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রায় ১৮ মাস লেগে যাবে। তবে কি সত্যি দেড় বছর লাগবে, এমন প্রশ্ন অনেকেরই।

    মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারে প্রধান সম্পাদক এলিসন শনটেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা, এর ভ্যাকসিন তৈরিতে চলমান গবেষণাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস।

    তিনি বলেন, বহু বছর ধরে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছেন এমন অনেকের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। ভ্যাকসিনের কার্যকর ও নিরাপদ পরীক্ষার জন্য সময় লাগবে। আমার মনে হয় ভ্যাকসিন তৈরিতে সত্যি ১৮ মাসই লাগবে। সুসংবাদ হচ্ছে, ভ্যাকসিন তৈরির কাজে অনেক বিজ্ঞানী এগিয়ে এসেছেন। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে । তবে প্রয়োগের আগে আমাদের জানতে হবে ভ্যাকসিনটি কাকে কী মাত্রায় দিতে হবে।

    মেলিন্ডা গেটস বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের বিজ্ঞান কতটা এগিয়েছে, তার দিকে তাকাতে হতে পারে। আমি সত্যিই মনে করি যে একটি ভ্যাকসিনের দেখা আমরা পাব। আরও অনেক কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি এমন ওষুধ খুঁজে বের করতে, যাতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় বা রোগটির প্রভাব কমিয়ে আনা যায়। আশা করি আমরা এমন কিছু ওষুধ খুঁজে পাব।

    তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত এমন কিছু অর্জন সম্ভব নয়। এমন বিভিন্ন রোগের ইতিহাস থেকেই আমরা এটি জানি। এ জন্য আমাদের অপেক্ষা করাও উচিত নয়। কারণ, তাতে অনেক লোক মারা যাবে। অনেক মৃত্যুর বিনিময়ে আমরা হয়তো হার্ড ইমিউনিটির দেখা পাব। এ কারণে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা উপায়—সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু কার্যকর বলে জানি, তা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিনের সরবরাহের কাজটি আমাদের সতর্কভাবে করতে হবে। প্রথমেই দিতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাদের নিরাপদ রাখতে পারলেই, তারা অন্যদের নিরাপদে থাকতে সহায়তা করতে পারবে। তারপর সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কাছে এটি পৌঁছাতে হবে। তারপর এটি সমাজের সর্বস্তরে সমানভাবে বিতরণ করতে হবে।

    যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিস্তৃত হচ্ছে করোনাভাইরাস

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার লোক সংক্রমিত হয়েছেন।

    মার্চ মাসের ১৩ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেয়ার প্রায় এক মাস পরও করোনাভাইরাস দেশ জুড়ে ব্যাপক সংক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

    জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশ করা নির্মম এই উপাত্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে জানা যাওয়া মৃত এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা সারা বিশ্বের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে।

    দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    গভর্নর এন্ড্রু কুওমো রবিবার সাংবাদিকদের বলেন যে টানা ছয়দিন ধরে রাজ্যটি দৈনিক ৭শ’রও বেশি মৃত্যুর ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চলেছে।

    কুওমো আরও বলেন, আবশ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের তাদের কর্মীদের মুখের মাস্কের উপকরণ সরবরাহের জন্য তিনি শিগিগিরই একটি প্রশাসনিক আদেশ জারি করবেন। উল্লেখ্য, মালামাল সরবরাহকারী ট্রাক চালক, সুপারমার্কেট কর্মী এবং অন্যান্য আবশ্যক কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেয়া হল।

    বাতাসে ১৩ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস!

    করোনা ভাইরাস বাতাসে ১৩ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে। চীনা গবেষকরা একটি গবেষণা পত্রে শুক্রবার এই ভয়ানক তথ্য প্রকাশ করেছেন। মূলত ছোঁয়াচে রোগ নিয়েই এই পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।

    চীনের ওই গবেষকের দল উহানের হৌশেনশান হাসপতালের কোভিড আক্রান্তদের আইসিইউ ও জেনারেল ওয়ার্ডের বায়ু ও মেঝের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাটি চালান।সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে ১৩ ফুট দূরত্বেও কার্যকর রয়েছে করোনা ভাইরাস।

    গবেষণায় বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতেই সবচেয়ে বেশি ভাইরাস পড়ে রয়েছে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ও বায়ুর গতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে গবেষকরা মনে করছেন।এছাড়াও অত্যাধি‌ক ভাইরাস পাওয়া গেছে কম্পিউটারের মাউস, ডাস্টবিন, বিছানা ও দরজার হাতলে।চিকিৎসা দেয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের জুতোয়ও করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে।এছাড়া ওই হাসপাতালের বাতাস পরীক্ষা করেও দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের আকার এতই ক্ষুদ্র যে এটি বাতাসে কয়েকঘণ্টা ভেসে থাকতে পারছে। আর বাতাসে ভেসে বেড়ানোর ক্ষেত্রে আক্রান্তের থেকে ১৩ ফুট দূরত্বের মধ্যেই সেটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

    এর আগে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর থেকে তিন ফুট দূরত্বে থাকলে ছড়ায় না করোনা ভাইরাস। পরে আরেকটি গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ২৭ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। তবে এটি বিভ্রান্তিকর তথ্য বলে দাবি করেছেন শীর্ষ মার্কিন বিজ্ঞানী ডা. অ্যান্টনি স্টিফেন ফৌসি। জেরুজালেম পোস্ট।

    নিউইয়র্কে যা ঘটেছে, টোকিও’তেও তা হতে পারে

    যুক্তরাষ্ট্রের একজন চিকিৎসক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নিউইয়র্কে যা ঘটেছে, সেরকমটি টোকিও’তেও ঘটতে পারে।

    নিউইয়র্ক শহরের মাউন্ট সিনাই’য়ের আইকান মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক রবার্ট ইয়ানাগিসাওয়া এনএইচকে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। এছাড়া, তিনি “জাপানিজ মেডিকেল সোসাইটি অব আমেরিকার” প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

    তিনি বলেন, দ্রুত বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে নিউইয়র্কের চিকিৎসা ইন্সটিটিউটগুলো সব খালিস্থানই রোগীদের শয্যা দিয়ে ভর্তির পাশাপাশি অজরুরি অপারেশনগুলোও স্থগিত করেছে, যা অন্য রোগে ভোগা ব্যক্তিদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

    ইয়ানাগিসাওয়া আরও বলেন যে চিকিৎসক এবং নার্স’সহ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র কোনভাবে হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে সমর্থ হচ্ছেন।

    ইয়ানাগিসাওয়া মার্চের শুরুর দিকে নিউইয়র্কের সাথে টোকিও’র বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেন।

    দু’শহরের লোকজনের আচরণ এবং জনঘনত্বের মধ্যকার সাদৃশ্য বিবেচনায় নিয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে যা ঘটেছে তা টোকিও’তেও ঘটতে পারে।

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার অবশ্য হাসপাতালের শয্যা খালি করার জন্য ইতিমধ্যেই লক্ষণ না থাকা বা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনাভাইরাস রোগীদের হোটেলে স্থানান্তর করা শুরু করেছে।

    ইয়ানাগিসাওয়া বলেন, এক্ষেত্রে, হোটেল কর্মীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করার পাশাপাশি রোগীদের অনলাইনে পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি ভিডিও ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তাও সরকারের রয়েছে।

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে

    জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, গত শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লক্ষ ৩শ ৯৯টি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাষ্যানুযায়ী, তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ৬শ ৯৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আর শুধুমাত্র ইতালিতেই মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি, যেটি হল ১৮ হাজার ৮শ ৪৯।

    জাপানকে সম্ভবত সংক্রমণ বিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করতে হবেঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউ এইচও’র একজন কর্মকর্তা বলেছেন,জাপানে সংক্রমণের পথের সন্ধান না পাওয়া এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হতে পারে।

    ডব্লিউএইচওর জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, জাপানে “গুচ্ছ সংক্রমণ ধ্বংসকারীদের” বিশেষায়িত দলগুলো বেশ কার্যকর এবং রোগের বিস্তারের পথ নিয়ে বিপুল পরিমাণ “অত্যন্ত দরকারি তথ্য” তারা সংগ্রহ করেছে।

    তবে, তিনি টোকিও সহ মোট তিনটি অতিসংক্রমণ এলাকার দিকে দিকনির্দেশ করেন যেখানে গত দু’সপ্তাহে এমন অনেক সংক্রমণ ঘটেছে যেগুলোকে জানা সংক্রমণ শৃংখলের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব নয়।

    রায়ান বলেন, সংক্রমণ দমানোর জন্য পরীক্ষা এবং পৃথককরণ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশটিকে সম্ভবত অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করতে হবে।

    উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে একটি বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণার এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ।

    করোনা: ‘দ্রুত লকডাউন তুলে নিলে মারাত্মক পুনরুত্থান হবে’

    দ্রুত লকডাউন তুলে নিলে মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসের পুনরুত্থান হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস। শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সতর্ক বার্তা দেন।

    এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দেশগুলোকে লকডাউন তুলে নেয়ার বিষয়ে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    করোনার প্রকোপ কমায় ইতিমধ্যে লকডাউন তুলে দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ইউরোপের দেশ স্পেন এবং ইতালি লকডাউন না তুলে নিলেও কিছু ব্যবস্থা শিথিল করতে চাইছে।

    এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেন, স্বাগত জানাচ্ছি যে ইউরোপে এর প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। তবে দ্রুত লকডাউন উঠিয়ে দিলে আবারো মারাত্মক পুনরুত্থান হবে করোনার।

    বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১ লাখ ১ হাজার জন।

     জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর জাপানের শহরতলীগুলো শান্ত

    জাপানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারের জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর প্রথম সপ্তাহান্তে আজ, দেশের শহরতলীগুলোতে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

    স্বাভাবিক সময়ে তরুণদের ভীড়ে জমজমাট টোকিওর হারাজুকু এলাকার তাকেশিতা সড়কটিতে খুব কম সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি ছিল।

    সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তিসহ অধিকাংশ পোশাক ও রকমারি পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

    কিছু সংখ্যক খাবার ও ওষুধের দোকান সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খোলা ছিল।

    ১৩ বছর পুরানো একটি রেস্তোরাঁয়, বাতাস আসা যাওয়ার জন্য জানালাগুলো খোলা রাখা ছিল এবং খাবারের টেবিলগুলো স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা ছিল। তবে আজ দোকান খোলার এক ঘণ্টা পরও কোন ক্রেতা ছিল না।

    লাখ ছাড়ালো মৃত্যু

    Posted by admin on April 11
    Posted in Uncategorized 

    লাখ ছাড়ালো মৃত্যু 

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালো। সেইসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন।

    আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৬ জন। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯২৭। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটি দ্বিতীয় স্থানে। তবে যে হারে দেশটিতে হু হু করে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে শিগগিরই প্রথম স্থানে অবস্থান করবে।

    করোনায় মৃতের দিক থেকে প্রথমে অবস্থান করা ইতালিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৯৪ জন। আক্রান্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন।

    এছাড়া স্পেনে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩ জন। মারা গেছে ১৫ হাজার ৯৭০ জন।

    ফ্রান্সেও মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে করোনায় মারা যাওয়ার সংখ্যা ১২ হাজার ২১০ জন। আক্রান্ত ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি।

    তবে জার্মানিতে আক্রানের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার হলেও মৃতের হার কম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৬০৭ জন।

    এদিকে করোনায় লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ব্রিটেনেও। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৫৮ জন। আক্রান্ত ৭০ হাজারের বেশি।

    ইরানে করোনায় আক্রান্ত ৬৮ হাজারের বেশি। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।

    প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশে এখন পর্যন্ত ছড়িয়েছে।

    তবে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরলেও দেশটি ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানিয়েছে। ওয়াল্ডওমিটার ।

    ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার টোকিও’র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো বলেছেন যে, করোনাভাইরাসের বিস্তার হ্রাসের জন্য জরুরি অবস্থার অধীনে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হবে যেসব ধরনের ব্যবসার উপর সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ যে মতৈক্যে পৌঁছেছে তা ইতিবাচক।

    আবে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, এই সংক্রমণের বিস্তার রোধের জন্য এ আইনের অধীনে সম্ভাব্য সবকিছু করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি এও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ এই অভিন্ন আশা পোষণ করছে যে, এই প্রাদুর্ভাবের অচিরেই অবসান হবে এবং সবাই হাসতে পারবেন এবং আবার কথা বলতে পারবেন।

    তিনি বলেন, যতটা বেশি করে সম্ভব লোকজনের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত এবং টেলিওয়ার্ক ও অন্যান্য পদ্ধতিতে সামাজিক সংস্পর্শ কমানোর জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    আবে আরও বলেন, রাত্রিকালীন বিনোদন এলাকায় কম লোকজনকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, কিছু কিছু এলাকার জন্য আরও বেশি করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে, কেননা তা লোকজনের জীবন রক্ষায় সাহায্য করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি এও বলেন, লোকজন অসুবিধার মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছেন, তবে সামাজিক সংস্পর্শ যদি ন্যূনতম ৭০% এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী ৮০% কমানো যায়, তাহলে এক মাস পরে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হতে পারে।

    জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও এবং অন্যত্র করোনাভাইরাস সংক্রমণের নিশ্চিত হওয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের মোট সংখ্যাকে সেটা ৫,০০০’এর উপরে ঠেলে দিয়েছে।

    স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যাওয়ায় সার্বিক হিসাব এর ফলে দাঁড়িয়েছে ৫,২৯২টি। এই সংখ্যার মধ্যে একটি ভাড়া করা বিমানে চীন থেকে ফিরে আসা ১৪ জন ও সেই সাথে বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় পরীক্ষায় ধরা পড়া সংক্রমণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭১২টি ঘটনা যোগ করা হলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬,০০৪।

    মৃতের সংখ্যা হচ্ছে ১১৭। এর মধ্যে মধ্যে প্রমোদতরীর ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    কর্মকর্তারা বলছেন গতকাল পর্যন্ত ১,২৭০ জন রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এদের মধ্যে ৬৩২ জনের সংক্রমণ সনাক্ত করা হয় জাপানে এবং ৬৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন প্রমোদতরীতে।

    স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন দিবস আজ

    আজ ১০ এপ্রিল। একাত্তরের এদিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয়েছিল। সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) পাঠ করা হয়। ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয় গণপরিষদ।

    একাত্তর সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির রক্তে হোলি খেলায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী। চারিদিকে শুরু হয় শুধু ধ্বংস আর হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয়ে যায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মানুষের প্রতি মমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এদিন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। এদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে অনুমোদন করা হয়। ঘোষণায় বলা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন।

    সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন। এ ভাষণ অবরুদ্ধ দেশবাসীকে আরো সাহস জোগায় ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করে। প্রধানমন্ত্রী তার এ ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, আমাদের এ মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে স্থির বিশ্বাস। প্রতিদিনই আমাদের শক্তি বাড়ছে। আর এ সংগ্রাম বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি লাভ করছে। প্রধানমন্ত্রী তার বেতার ভাষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের নামও ঘোষণা করেন। ভাষণে তিনি এ কথাও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোন এক স্থানে।

    ১৩ এপ্রিল ৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম এবং মন্ত্রীদের মাঝে দপ্তর বণ্টন করা হয়। ১৪ এপ্রিল কর্নেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সরকার গঠনের পর শপথগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৭ এপ্রিল আমাদের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। মেহেরপুরের সীমান্ত লাগোয়া বৈদ্যনাথ তলার এক বিশাল আমবাগানে অতি গোপনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নতুন সরকার শপথ নেয়। স্থানটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। প্রবাসী মুজিবনগর সরকার সফলতার সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

    করোনার উত্পত্তিস্থল উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার

    চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে তিয়ানহি বিমানবন্দর পুনরায় খুলে দেওয়ার পর গতকাল বহু যাত্রীকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। দুই মাস পর গতকাল উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে ।—এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি

    করোনা ভাইরাসের মহামারি প্রথম চীনের যে শহরে শুরু হয়েছিল, সেই উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই মাস লকডাউনে থাকার পর বুধবার প্রথমবারের মতো লোকজনকে শহর ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে চীনের ?মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ফের কিছুটা বাড়ায় সংক্রমণের আরেকটি প্রবাহ শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কায় শুধু সুস্থ লোকজনকেই শহর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

    চীনের অন্যান্য অংশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে জানুয়ারির শেষ দিকে ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহরটি অবরুদ্ধ করে চীন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উহানের ৫০ হাজারেরও বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং এতে আড়াই হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসায় আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু হয়। হুবেই প্রদেশের এই রাজধানী শহরে গত ২১ দিনে নতুন নিশ্চিত সংক্রমণের মাত্র তিনটি ঘটনা ঘটেছে।

    উহানের তিয়ানহে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার পর ১০ হাজারেরও বেশি ভ্রমণকারী শহরটি ছেড়েছেন। শিয়াংজিয়াং শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উহানের হানকৌ রেল স্টেশনে সুটকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক লিউ শিয়াওমিন বলেন, ‘আজ আমি বাড়িতে যাচ্ছি, আমি খুব খুশি।’ তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া উহানের বাসিন্দাদের তাদের আবাসিক এলাকা, শহর ও এমনকি প্রদেশও না ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। উহান থেকে বেইজিংয়ে যাওয়া লোকজনকে দুই রাউন্ড ভাইরাস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি, এমন ভাইরাস বাহক ও বিদেশ থেকে আসা সংক্রমিতদের মাধ্যমে কোনো সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় কি না, এমন উদ্বেগ থেকে কঠোর স্ক্রিনিং প্রটোকল মেনে চলছে চীন। লক্ষণ প্রকাশ হয়নি, এমন আক্রান্ত ও বিদেশফেরত আক্রান্তরাই এখন চীনের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।

    এদিকে উহানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলেও চীনের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত-প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। সেখানে মঙ্গলবার ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় সুইফেনহি শহরে উহানের মতো নাগরিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানকার এক বাসিন্দা প্রশ্ন করেছেন, সুইফেনহি একটি ছোটো শহর যেখানে কোনো আধুনিক হাসপাতাল নেই। এভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই শহরটি কীভাবে তা মোকাবিলা করবে।