• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • আরও ১০টির বেশি দেশকে প্রবেশ নিষেধ তালিকায় যুক্ত করছে জাপান

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার হ্রাসে সাহায্য করার জন্য জাপান দশটির বেশি দেশের নাগরিকদের জাপানে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। এই সংযোজন হচ্ছে ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ৭৩টি দেশ ও ভূখণ্ডের বাইরে।

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে জাপানে পৌঁছার আগে ১৪ দিনের মধ্যে যেসব বিদেশী নাগরিক রাশিয়া, বেলারুশ, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্য কয়েকটি দেশে গিয়েছিলেন, জাপান সরকার তাদের প্রবেশ অনুমতি না দেয়ার পরিকল্পনা করছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেইসব দেশের বেলায় সংক্রামক রোগের সতর্কতা তৃতীয় মাত্রায় উন্নীত করে নেবে, যার অর্থ হল জাপানি নাগরিকদের সেসব দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সুপারিশ করা।

    অন্যান্য অঞ্চলের বেলায় ইতিমধ্যে প্রদান করা ভিসা সরকার বাতিল করে দিয়েছে।

    চলতি মাসে শেষ হতে যাওয়া এসব পদক্ষেপের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সরকার করছে।

    জনগণের কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পারস্পরিক ঘনিষ্ট সংযোগ এড়ানোর জন্য জনগণের কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা কামনা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো।

    টোকিও’সহ অন্য ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দু’সপ্তাহ পর আবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। পরে অবশ্য এই জরুরি অবস্থা পুরো দেশ জুড়ে বিস্তৃত করে নেয়া হয়।

    আবে বলেন, যারা সহযোগিতা করে বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন, তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। তবে তিনি বলেন যে বিপুল সংখ্যক লোক সপ্তাহান্তে গ্রামীণ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে টোকিও ছেড়েছেন।

    তিনি বলেন, এপ্রিলের শেষ দিক থেকে আরম্ভ করে মে মাসের শুরুর দিনগুলো পর্যন্ত চলা টানা ছুটির সময় এগিয়ে আসছে এবং এটি ভাইরাসের আরও বিস্তারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একারণে তিনি লোকজনকে দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণ যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    আবে বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভীষণ চাপের মধ্যে আছে এবং এই চাপ কমানোর পাশাপাশি নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষায় ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির সংযোগ ৮০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি সবার কাছ থেকে আরও বেশি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

    এদিকে, অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেন, ব্যবসা বন্ধ রাখার সরকারি অনুরোধ অমান্য করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তিনি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছেন।

    ৮০ বা তদুর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিদের মৃত্যুহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮০-র কোঠা বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

    মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানে নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত লোকের সংখ্যা রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে যায়।

    বয়সভিত্তিক গ্রুপের ক্ষেত্রে, ৫০-এর কোঠার সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০০-রও বেশি। এরপর ছিল ৪০ এবং ২০-এর কোঠার ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি এবং ৩০-এর কোঠার ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি।

    নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত লোকজনের মধ্যে ১৭১ জন বা ১.৬ শতাংশ লোক মৃত্যুবরণ করেন।

    মৃতব্যক্তিদের মধ্যে ৮০ বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজন ছিল ৮৭ জন, এরপর ৭০-এর কোঠার ৫০ জন ৬০-এর কোঠার ২১ জন।

    এর অর্থ হচ্ছে ৮০-র কোঠা বা তদুর্ধ্ব বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার হচ্ছে ১১.১ শতাংশ, ৭০-এর কোঠার বয়সী লোকজনের মৃত্যুহার হচ্ছে ৫.২ শতাংশ এবং ৬০-এর কোঠার বয়সীদের মৃত্যুহার হচ্ছে ১.৭ শতাংশ।

    মন্ত্রণালয় জানায়, এইসব সংখ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাস থেকে মারাত্মক সব উপসর্গ দেখা দেয়া উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছেন প্রবীণরা।

    করোনার ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন রোগী

    ভারতে ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীরই কোনো উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানী রমন আর গঙ্গাখেদরকার। এমন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।

    আইসিএমআরের বিজ্ঞানী রমন আর গঙ্গাখেদরকার জানান, ভারতে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীর কোনো উপসর্গ ছিল না। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ পরীক্ষা ছাড়া শুধু উপসর্গের ওপর নির্ভর করে করোনা সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত করার আর সময় নেই। এই উপসর্গহীন সংক্রমণ কতজনের মধ্যে রয়েছে তা বলা ভীষণ কঠিন।

    ভারতে কী হতে চলেছে, কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে চলেছে তা মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ সর্বাধিক স্তরে পৌঁছবে বলে মনে করছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। আইসিএমআরের হিসেবে সংক্রমণ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

    ভারতের ওয়ানইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এরই মধ্যে দিল্লিতে উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মাঝে জাপানে লোকজনের কাছে অবৈধ কাজের প্রস্তাব

    জাপানে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মাঝে ইতিমধ্যে কাজ হারানো বা হারাবার উপক্রম হওয়া, এরকম ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধ কাজ সম্পাদনের প্রস্তাব পেয়েছেন।

    শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রায় দু’মাসে চাকরি হারানো বা কাজ হারানোর সম্ভাবনার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪শ ৭৩ জন। এর একটি কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয় প্রাতিষ্ঠানিক মুনাফা বা কার্যক্রমের অবনতির কথা উল্লেখ করে।

    কর্মহীন ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই কাজের জন্য টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ বা লগইন করেছেন।

    তাদের মধ্যে কেউ কেউ, টেলিফোন বা অন্য কোন মাধ্যমে লোকজনকে ধোঁকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে অপরাধীদের অর্থ আদায় সংশ্লিষ্ট স্ক্যাম বা ঠকবাজির কাজের মত, নানা অবৈধ কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন।

    নিজস্ব ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া ২৬ বছর বয়সী এক পুরুষ বলেছেন, কাজ খোঁজার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে টুইট করার অব্যবহিত পরই তিনি এরকম ১০টি বার্তা পেয়েছেন। তার মতে, তাদের মধ্যে সবাই ফোন স্ক্যাম বা টেলিফোনে ধোঁকা দেয়ার কাজের মত অবৈধ কাজের প্রস্তাব দেয়।

    একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার প্রয়োজনীয়তার সময় কাজের জন্য মরিয়া হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রিক কাজ পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে তৃতীয় পক্ষের নজরদারির অভাব থাকার কারণে তারা হয়ত এক্ষেত্রে বেআইনি কাজের প্রতি প্রলুব্ধ হতে পারেন।

    পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাসের বেরিয়ে পড়া অসম্ভব বলে বিজ্ঞানীর দাবি

    চীনের উহান জীবাণুবিদ্যা বিষয়ক ইনস্টিটিউটের একজন বিজ্ঞানী, স্থাপনাটিতে নতুন করোনাভাইরাস তৈরির বিষয়টি জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে ইউয়ান যিমিং উক্ত মন্তব্য করেন।

    ইউয়ান, প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা এই ভাইরাসের উৎপত্তি সামুদ্রিক খাদ্যের বাজার থেকে নয় বরং উক্ত ইনস্টিটিউটে তৈরি করা হয়েছে বলে মার্কিন গণমাধ্যমের দাবী প্রত্যাখ্যান করেন। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি বাদুড় থেকে হয়েছে বলে করা গবেষণার জন্য পরীক্ষাগারটি সুপরিচিত।

    ইউয়ান, এই ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা সম্পুর্ণ অসম্ভব বলে উল্লেখ করেন। তিনি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য ইনস্টিটিউটের কঠোর বিধি এবং নৈতিক নীতিমালা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, এখানকার কোন শিক্ষার্থী, অবসরপ্রাপ্ত বা বর্তমানে কর্মরত কোন কর্মী সংক্রমিত হয়নি বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।

    মার্কিন গণমাধ্যমের খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি, তাদের কাছে কোন প্রমাণ নেই এবং খবরটিকে পুরোপুরি গুজব বলে উল্লেখ করেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানান।

    চীন সরকার, এই অভিযোগের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের উল্লেখ করে উক্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

    করোনার মধ্যে জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

    জাপানের পূর্ব উপকূলে সোমবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৪। তবে, এতে সুনামির কোন সতর্কতা জারি করা হয়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা একথা জানায়।

    ইউএসজিএস তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের ৪১.৭ কিলোমিটার গভীরে এবং মিয়াগি অঞ্চল উপকূলের ৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে।

    এদিকে, জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানায়, দেশটিতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.১ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৫০ কিলোমিটার গভীরে।

    জাপানের কিয়োদো বার্তা সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের পর সুনামির কোন সতর্কতা জারি করা হয়নি। ভূমিকম্পটি ভোর সাড়ে ৫ টার পরপরই আঘাত হানে।

    এর আগে ২০১১ সালে মিয়াগি অঞ্চলের প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পূর্বে রিখটার স্কেলে ৯.০ তীব্রতার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এরফলে সৃষ্ট ভয়াবহ সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয় এবং প্রায় ১৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

    এদিকে দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৭৯৭ জন। মারা গেছেন ২৩৬ জন। এএফপি।

    মানুষ ঘরবন্দি, বাইরে পশুপাখি

    বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফাঁকা রাস্তাঘাটে বিভিন্ন প্রাণী নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এক সুন্দর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগের ন্যাশনাল পার্ক।

    পার্কে রুটিন টহল দিতে গিয়ে বিরল দৃশ্য দেখলেন পার্ক রেঞ্জার রিচার্ড সৌরি। দেখেন, সেখানে পার্কের ভিতরে রাস্তা জুড়ে আরামে ঘুমচ্ছে সিংহের দল। পর্যটকদের জেরে নাজেহাল সিংহদের এর আগে কখনও দিনের বেলায় এ ভাবে রাস্তার উপর নিশ্চিন্তের ঘুম দিতে দেখেননি তিনি।

    করোনা ভাইরাসের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। ক্রুগের ন্যাশনাল পার্কেও চলছে লকডাউন। কিন্তু পার্কের দেখভালের জন্য এবং বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকারিদের হাত খেকে রক্ষা করার জন্য লকডাউনের মধ্যেও পার্ক রেঞ্জার রিচার্ড কর্তব্য পালন করে চলেছেন।

    গত বুধবার তিনি টহল দিতে গাড়ি নিয়ে বার হন। তখনই পার্কের ভিতরে রাস্তার উপর এমন বিরল দৃশ্য দেখে থমকে যান। সিংহদের থেকে মাত্র পাঁচ মিটার দূরত্বে গাড়ি থামিয়ে মোবাইল ফোনে কতগুলো ছবি তুলে ফেলেন।

    রিচার্ড জানান, সাধারণত মানুষদের গাড়িতে দেখতেই অভ্যস্ত বন্যপ্রাণীরা। সে কারণে এত কাছে গাড়ি নিয়ে গেলেও ভয়ের কিছু দেখছিল না তারা। নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছিল।

    এর আগেও অনেক বার রাস্তার উপর সিংহের দলকে শুয়ে থাকতে দেখেছেন রিচার্ড। তবে সেটা সাধারণত শীতকালে এবং রাতে। কারণ রাস্তার পিচ অনেক রাত পর্যন্ত গরম থাকে, তাই শীতে সন্ধ্যা নামার পর সিংহের দল গা গরম করতে রাস্তায় এসে শুয়ে থাকে অনেক সময়ই।

    আফ্রিকার মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে দক্ষিণ অফ্রিকাতেই। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তত আড়াই হাজার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।

    ভাইরাস রোগের করাল গ্রাস মানবজাতি এর আগেও দেখেছে। কলেরা, গুটিবসন্ত, প্লেগ থেকে সার্স, ইবোলা থেকে আজকের কোভিড ১৯ বা করোনা। আজকের করোনাকে প্রত্যাঘাত করার মতো অস্ত্র এখনও মানুষের হাতে নেই। তাই লকডাউনই এখন একমাত্র ভরসা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীবকুলের। আর মানুষ ঘরে থাকায় পশুপাখি তাই বহাল তবিয়তেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মানুষ হয়ে পড়েছে খাঁচাবন্দি।’

    লকডাউনের কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমেছে, কমেছে হিমবাহের বরফ গলনও। অন্য দিকে বেড়েছে দৃশ্যমানতা। মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে বিকল করার খেলায় নেমেছে করোনা আর অন্য দিকে সেই সুযোগে প্রকৃতি আবার যেন প্রাণ ভরে একটু শ্বাস নিতে পারছে।

    ইটালি থেকে শুরু করে ভারত— বিশ্বের সব প্রান্তেই এখন এই অবস্থা। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র ভেনিসের লেকের জল ফের স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে। সেই লেকে ফের দেখা মিলছে রাজহাঁস থেকে ডলফিনের।

    করোনাভাইরাসে বৈশ্বিক মৃত্যুর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।

    শুক্রবার আন্তর্জাতিক মান সময় রাত ৮টা পর্যন্ত সারাবিশ্বে মৃতের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪৮টিতে পৌঁছেছে।

    সর্বোচ্চ ৩৪ হাজার ৬১৪টি মৃতের সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং এরপর ২২ হাজার ৭৪৫টি নিয়ে ইতালি দ্বিতীয়, ১৯ হাজার ৬১৩টি নিয়ে স্পেন তৃতীয়, ১৮ হাজার ৬৮১টি নিয়ে ফ্রান্স চতুর্থ এবং ১৪ হাজার ৫৭৬টি নিয়ে ব্রিটেন পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।

    সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মোট সংখ্যা ২২ লাখ ১৪ হাজার ৮৬১টিতে পৌঁছেছে।

    সর্বোচ্চ ৬লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৬টি সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং এরপর ১ লাখ ৮৮হাজার ৯৩টি নিয়ে স্পেন দ্বিতীয়, ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪টি নিয়ে ইতালি তৃতীয়, ১ লাখ ৪৭ হাজার ১২১টি নিয়ে ফ্রান্স চতুর্থ এবং ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪১টি নিয়ে জার্মানি পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।

    সিএনএনের প্রতিবেদন

    করোনা ভাইরাস চীনা ল্যাবে তৈরি কি না-তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র

    উহানের বন্যপ্রাণী কেনাবেচার বাজার, না চীনের কোনো পরীক্ষাগারে প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের উত্পত্তি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সমালোচকেরা বলছেন, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চীনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো এ তত্ত্বের সমর্থনে পর্যাপ্ত তথ্য পায়নি বলে কয়েক জন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মাইক মিলে করোনা ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের জোর তত্পরতার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এখনই সিদ্ধান্ত টানা ঠিক হবে না, তবে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি, তথ্য-প্রমাণ এটিকে (ভাইরাসের উত্স) প্রাকৃতিক বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই।’ মার্কিন গোয়েন্দারা যে ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানে কাজ করছে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পও তা স্বীকার করেন। যদিও এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে কী পাওয়া গেছে, তা বলতে রাজি হননি তিনি।

    করোনা ভাইরাসের উত্স নিয়ে বিশ্ব জুড়ে যত ধরনের গুঞ্জন রয়েছে, তার মধ্যে চীনের পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া সংক্রান্ত তত্ত্ব নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করে এরই মধ্যে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম। বুধবার ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উহানের একটি ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ভাইরাসের উত্পত্তি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়, ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির যে ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে সেখানে নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল এবং কেউ একজন আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। ঐ আক্রান্ত ব্যক্তি আবার পার্শ্ববর্তী কাঁচাবাজারে যাওয়ার পর ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস যে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়, সে তথ্য দ্রুত প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

    তবে চীন শুরু থেকেই তাদের পরীক্ষাগারে ভাইরাসটির উত্পত্তি সংক্রান্ত ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ নাকচ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার বিচারে এই ভাইরাসের সবচেয়ে বড়ো শিকার দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্পের সমালোচনা চাপা দিতে তার সমর্থক ও রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের কয়েকজন চীনের বিরুদ্ধে এ ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’ হাওয়া দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ আছে। ট্রাম্পের সমালোচকেরা বলছেন, নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চীনকে দায়ী করার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাইরাস শনাক্তকরণ ও মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের সক্ষমতা বেশি—এমনটা প্রমাণ করার প্রচেষ্টায় এ কাজ করেছে বেইজিং।

    করোনা ভাইরাসের উত্পত্তি কীভাবে—তা নিয়ে এখনো গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীদের একটি বড়ো অংশ মনে করে কোভিড-১৯-এর উত্পত্তি বাদুড় থেকে। এরপর অন্য কোনো মাধ্যম হয়ে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে।

    এক দিনেই চীনের মোট মৃত্যুকে ছাড়াল যুক্তরাষ্ট্র

    করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর দিক দিয়ে ভয়ংকর রেকর্ড গড়ল যুক্তরাষ্ট্র। এক দিনেই দেশটিতে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো। এই মৃত্যু চীনের মোট মৃত্যুকেও ছাড়িয়ে গেছে। তার পরও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেওয়ার চিন্তা করছে। বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখ এবং দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছে প্রায় ৩৬ হাজার।

    করোনা ভয়ংকর হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রে

    ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মারা যায় ৪ হাজার ৫৯১ জন। এর আগের দিন বুধবার মৃত্যু ছিল ২ হাজার ৫৬৯ জন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বিশ্লেষণ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডো মিটারের তথ্যে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫৫ জনের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটিতে শুক্রবার মারা গেছে ১ হাজার ৩৩৮ জন। নিউ জার্সির অ্যান্ডোভার সুবাকিউট অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নামের নার্সিং হোম থেকে ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের উত্পত্তিস্থল উহানে মৃত্যু ১ হাজার ২৯০ জন বেড়ে ৩ হাজার ৮৬৯ জনে পৌঁছেছে। এ নিয়ে চীনে মোট মৃত্যু ৪ হাজার ৪৬২ জন। তবে ওয়ার্ল্ডো মিটার জানায়, চীনে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩২ জনের। ওয়ার্ল্ডো মিটার আরো জানায়, করোনায় বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ২২ লাখ ২২ হাজার ৯৭৪ জন এবং মৃত্যু ১ লাখ ৫২ হাজার ৩১৮ জনের।

    বিশ্ব অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হবার পূর্বাভাস দিল আইএমএফ

    এই প্রথম বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ একসঙ্গে মন্দার কবলে পড়ছে

    করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে অচল হয়ে পড়া বিশ্বে এবার প্রবৃদ্ধি না হয়ে বরং সংকুচিত হবার পূর্বাভাস দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

    সংস্থাটি বলছে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর বিশ্ব কখনো এতটা খারাপ অবস্থায় পড়েনি। সব মিলিয়ে এ বছর বিশ্ব অর্থনীতির মোট দেশজ উত্পাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৩ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

    মঙ্গলবার ভার্চুয়ালভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ-এর বসন্তকালীন সভা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতি-নির্ধারকরা অনলাইনে এই সভায় অংশ নিচ্ছে।

    আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে, যদি নীতি-নির্ধারকরা করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে এই মন্দার প্রভাব আগামী বছরও দীর্ঘায়িত হবে।

    যদি এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা এখন স্পষ্ট যে ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার সামনে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। এটা এক দশক আগের অর্থনৈতিক সংকটকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। এই লকডাউন বিশ্বের প্রবৃদ্ধি নাটকীয়ভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

    আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলছেন, এই সংকটে বিশ্ব আগামী দুই বছরে ৯ ট্রিলিয়ন ডলার (৯ লাখ কোটি ডলার) প্রবৃদ্ধি হারাবে। এই অঙ্ক জার্মানি ও জাপানের মতো দুই শিল্পোন্নত দেশের মোট জিডিপির পরিমাণের চেয়েও বেশি।

    গত জানুয়ারি মাসেও আইএমএফ এ বছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করেছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের দেশগুলোতে যে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছে তার ফলে আরেকটি মন্দার দিকে চলে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি।

    গোপীনাথ বলেন, শতাব্দীকাল আগের সেই মহামন্দার পর এই প্রথম বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো একসঙ্গে মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে। এক দশক আগের মন্দার পর ২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনীতি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল, যা ছিল, মহামন্দার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। এবার তা হতে যাচ্ছে ৩ শতাংশ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে এর পরেও মার্কিন প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হবার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ১৯৪৬ সালের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখছে মার্কিন অর্থনীতি।

    পূর্বাভাস অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় বড়ো অর্থনীতির দেশ চীনে এ বছর সংকোচন না হলেও প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। যা ১৯৭৬ সালের পর চীনে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানির প্রবৃদ্ধি হবে মাইনাস ৭ শতাংশ, জাপানে মাইনাস ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে মাইনাস সাড়ে ৬ শতাংশ।

    মহামারির প্রভাবে অর্থনীতির অনেক হিসাব বদলে যাচ্ছে। পরের বছর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করলেও অনিশ্চয়তার কথা বলছে আইএমএফ। কারণ অর্থনীতির এই পরিবর্তন সাধারণ মানুষের ভোগ ব্যয় এবং ভোক্তা আচরণে অনেক প্রভাব ফেলবে।

    দুর্বল চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থার ফলে ভোক্তার আস্থা কমে আসবে। এটি পুনরুদ্ধার কতটা হবে সেটি নিয়েও সংশয় রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের করোনা ভাইরাসের টেস্ট করতে আরো বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

    তাছাড়া স্বাস্থ্যখাতে সংকট মোকাবিলায় অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সুরক্ষা এবং ভেন্টিলেশন সংগ্রহ এবং মেডিক্যাল পণ্য বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।

    জরুরি অবস্থা সারা জাপান জুড়ে সম্প্রসারিত হতে পারে

    জাপান সরকার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ঘোষণা করা জরুরি অবস্থা পুরো দেশ জুড়ে সম্প্রসারিত করে নেয়া বিবেচনা করে দেখছে।

    করোনাভাইরাস বিষয়ক একটি টাস্ক ফোর্সের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে বিশেষজ্ঞদের একটি উপদেষ্টা প্যানেলকে অভিমত জানানোর জন্য বলতে সরকার প্রস্তুত আছে।

    চলতি মাসের ৭ তারিখে সরকার টোকিও এবং ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। তবে এরপর থেকে অন্য জেলাগুলোতেও সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

    হাসপাতাল বেডের ঘাটতির মুখে জাপানের ৯টি জেলা

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে জাপানের ৪৭টি জেলার মধ্যে ৯টিতে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করতে পারার হাসপাতাল বেড এখন আর প্রায় অবশিষ্ট নেই।

    করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য কতগুলো বেড নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এর মধ্যে কতগুলো ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গেছে, এনএইচকে সে বিষয়ে জেলা সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চেয়েছিল। সারা দেশে এখন করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করার উপযোগী ৯,৬০০র মত হাসপাতাল বেড রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীর মোট সংখ্যা হচ্ছে কমপক্ষে ৫,০০০।

    নয়টি জেলা জানিয়েছে যে এদের ৮০ শতাংশের বেশি বেডে এখন রোগীরা আছেন। নয়টি জেলার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা টোকিও, ওসাকা, হিওগো এবং ফুকুওকা জেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্য পাঁচটি জেলার মধ্যে জরুরি অবস্থার আওতায় না পড়া কিওতো এবং ওকিনাওয়া অন্তর্ভুক্ত আছে।

    জেলা কর্মকর্তারা সার্জিকাল মাস্ক ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি এবং হালকা উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীদের থাকার স্থাপনায় সরিয়ে নেয়া দেখাশোনা করার চিকিৎসা কর্মীর অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    এছাড়া বড় হাসপাতালগুলোতে অনেক বেশি রোগীর আগমনের ফলে হাসপাতালের ভেতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়েও তারা চিন্তিত।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক জাতীয় কেন্দ্রের পরিচালক কুৎসুনা সাতোশি বলছেন, আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেন সচল রাখা যায় সেজন্য যেসব হাসপাতাল করোনা রোগী গ্রহণ করেনি তাদের উচিৎ হবে সহযোগিতা করা। যেসব এলাকায় এখনও পর্যন্ত খুব বেশি রোগী নেই, তাদের প্রতি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় আরও বেশি হাসপাতাল বেড নিশ্চিত করে নেয়ার আহ্বান তিনি জানান।

    জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বৃদ্ধি

    জাপানে নিশ্চিত হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ৮,৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই সংখ্যায় বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিন পরীক্ষায় ইতিবাচক প্রমাণ হওয়া লোকজন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ভাড়া করা বিমানে যারা জাপানে ফিরে এসেছেন তারা অন্তর্ভুক্ত আছেন।

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ৩১৫টি নতুন সংক্রমণ সম্পর্কে জানা যাওয়ায় মোট সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৮,৪৮৮।

    প্রমোদ তরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭১২টি ঘটনা যোগ করা হলে মোট সংখ্যা হবে ৯,২০০।

    বুধবারের নিশ্চিত করা আরও সাতটি মৃত্যু এবং জাহাজের ১২টি সহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ১৮১টি।

    ২৪৪৬টি সংক্রমণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত জেলার তালিকার শীর্ষে আছে টোকিও। ৮৯৪টি সংক্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ওসাকা এবং এরপর ৫৯৬টি হচ্ছে কানাগাওয়ায়, ৫৩৭টি চিবায়, ৪৫২টি সাইতামায়, ৪২৩টি হিওগোতে এবং ৪১৬টি ফুকুওকায়।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার পর্যন্ত প্রমোদ তরীর পাঁচজন সহ ১৭৩ জন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন।

    কর্মকর্তারা বলছেন ১,৫৪৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এদের মধ্যে ৯০১ জনের সংক্রমণ জাপানে সনাক্ত করা হয় এবং ৬৪৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন প্রমোদ তরীতে।