• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর অভিষেক ও মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

    দীর্ঘ প্রতিক্ষা, আলোচনা, সমালোচনার শেষে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিসিআইজে’র প্রথম নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো গত রোববার তাকিনোগাওয়া বুনকা সেন্টারে। গত ১২ এপ্রিল প্রবাসীদের ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হলটিতে বহু দর্শকদের দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে দেখা গেছে।

    আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের প্রধান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুকিত মজুমদার বাবু, সাংবাদিক ও “সাপ্তাহিক” সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী স্টেট লিবারাল পার্টির সাংসদ সদস্য প্রার্থী রশিদ ভূঁইয়া।

    কামরুল হাসান লিপু’র বানানো চমৎকার মঞ্চটিতে বিকেল পাঁচটায় প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর উপস্থাপক নিয়াজ আহমেদ জুয়েলের চমৎকার উপস্থাপনায় মঞ্চে প্রথম নব নির্বাচিত সভাপতি বাদল চাকলাদার অনুষ্ঠানের সুচনা করেন। এরপর মঞ্চে আসেন কমিউনিটির পক্ষ থেকে বিসিসিআইজে’র প্রথম আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা প্রবাসী সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক।

    তিনি নব নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম মোঃ নাসিরুলকে মঞ্চে আহ্বান করেন এবং প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রবাসী সকল ব্যবসায়ীদের নিয়ে একসাথে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বিসিসিআইজে’র প্রতি অনুরোধ করেন। জনাব হাকিম চমৎকার জবাবের মাধমে দু’বছরের নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে পরবর্তী কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ও সবাইকে এক করে জাপান বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে গভীর করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং তিনি নব নির্বাচিত কমিটির এক একজনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
    প্রবাসী মহিলারা একে একে সকলকে ফুল দিয়ে অভিষিক্ত করেন। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ফুল ও ক্রস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অতিথিরাও বক্তব্য রাখেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে নতুন কমিটিকে অভিননন্দন জানান এবং বক্তব্য রাখেন। সকলের প্রত্যাশা নতুন কমিটি তাদের যোগ্যতা দিয়ে কমিটিকে নতুন মাত্রা পৌঁছে দেবে।

    বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ জাপান প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদ দৌলার ভূমিকার কথা ভোলবার নয়। তার কথা উল্লেখ থাকলে ভালো হতো। জাপানে নিজস্ব দূতাবাস করার উদ্যোগতাও তিনি।
    অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বটি ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কাজী এনামুল হল এবং সোমা। প্রথমে পুলক ও পরে কুমার বিশ্বজিৎ মাতিয়ে রাখেন পুরো অনুষ্ঠানটিকে।

    শুরুতে কুমার বিশ্বজিৎ এর তিন দশকেরও বেশি সময়ের সংগীত জীবনের উপর একটি ছোট্ট প্রামাণ্যচিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর দর্শকদের তুমুল করতালির মাধ্যমে মঞ্চে প্রবেশ করেন কুমার বিশ্বজিৎ। যেখানে সীমান্ত তোমার -গানটির মাধ্যমে শুরু করেন গান। তার জনপ্রিয় সব গানের মাঝে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলিক ভাষায় কৌতুকপূর্ণ বক্তব্য দর্শকরা দারুন উপভোগ করেন।

    তিনি চতুরদোলাতে দুলে দেখো ঐ বধু যায়, ডাক্তার, তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে, তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে সহ বেশ অনেক গুলো জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। দর্শকরাও যেন গানের তালে মাতাল হয়ে ওঠেন। এদিন ড্রাম বাদক মিথুনের মাতোয়ারা তাল দর্শকরা সহজে ভুলতে পারবেন না। দর্শকদেরকে তালে তালে উত্তাল করে দিতে তিনি তারও অবদান কোনো অংশে কম ছিলো না।

    একটি গানে পুরো হলের বাতি নিভিয়ে সকল মা’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ গাইলেন “মাগো মা তোমার আঁচল” দর্শকরা এ সময়ে মোবাইলের আলো জ্বেলে ধরেন -গোটা হলটি যেন ভোরে গেলো তারায় তারায়।

    সাম্প্রতিক দিন গুলোর মধ্যে আয়োজিত অন্যতম সফল অনুষ্ঠানটি দর্শকরা ব্যাপক ভাবে উপভোগ করেন।

    সভ্যতা : ‘সভ্য’ বর্ণবাদের উল্লাস!

    ওয়ারিস রব্বানী

    শরণার্থীদের আশ্রয়শিবির। জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর- বাউজেনে। ৩০০ শরণার্থীর জন্য একটি হোটেল। হোটেলটিকেই আশ্রয়শিবির হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সেই আশ্রয় শিবিরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন যখন দাউ দাউ জ্বলতে থাকে তখন আসে দমকল বাহিনী। এসেই তারা দেখে অদ্ভুৎ একটি দৃশ্য! আগুন-জ্বলা আশ্রয়শিবিরের বাইরে একদল স্থানীয় জার্মান নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে। উৎসুক ও উৎফুল্ল। তারা কেউ আগুন নেভাতে যাচ্ছে না। আগুন নেভানো হোক- সেটাও চাচ্ছেন না। ভিনদেশী মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয়শিবিরে আগুন জ্বলার মজায় তারা দাঁত কেলিয়ে হাসছিল। নির্লজ্জভাবে করছিল উল্লাস। এমনকি দমকল বাহিনীর লোকদের বাধাও দিচ্ছিল। যেন তারা এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভাতে না পারে। জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে তিনশত নারী-পুরুষ-শিশুর ভষ্মিভূত হওয়ার শংকা! এর মধ্যেই এই উল্লাস ও হিংসাত্মক আচরণ! এ-ও কি সম্ভব! কোন জঙ্গলের সভ্যতায় আমরা বসবাস করছি!

    জার্মান সরকারের আচরণ দুনিয়াবাসী জানে। শরণার্থীদের নিজ দেশে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মারকেলের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে। দেশের ভেতরে বিরোধী পক্ষের বিরোধিতা ও সমালোচনা তাকে সইতে হয়েছে ঢের। তারপরও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মানবিক ‘সংকটের আগুন’ উসকে দেওয়ার দায় থেকে তিনি নিজের দেশ ও জাতিকে মুক্ত ভাবতে পারেননি। তাই সাড়া দিয়েছেন। বাড়িঘর-হারা বিপন্ন আশ্রয়প্রার্থীদের জায়গা দিয়েছেন। একটু দম ফেলার। একটু বেঁচে থাকার। এভাবে বিপন্নের প্রতি সহানুভূতির ক্ষেত্রে জর্মানদের হয়ে এক ‘ইমেজনির্মাতা’ প্রতিনিধির ভূমিকাই পালন করতে চেয়েছেন। কিন্তু তার দেশের লোকেরা এ-ঘটনায় সেই ‘ইমেজের’ ভেতরের ছবিটা দেখিয়ে দিয়েছে। মানুষ কত নীচে নামতে পারে- দুনিয়াবাসী দেখেছে। মনে-প্রাণে তাদের মতো যারা, এতে তারা অবাক হয়নি, ক্ষুণ্ন হয়নি। কিন্তু সাধারণ বোধ-বুদ্ধি ও বিবেচনার মানুষেরা চমকে গেছেন। ভড়কে গেছেন। কারণ, বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা এত নগ্নরূপে ‘হেসে উঠতে পারে’- এ যেন কারো কল্পনাতেও ছিল না।

    ক’দিন আগে থেকেই নাকি স্থানীয় জার্মানদের ওখানকার আশ্রয়শিবিরগুলো ঘিরে বিভিন্ন রকম কুৎসিত আচরণ প্রকাশিত হয়ে আসছিল। ঘটনার কয়েকদিন আগে শ খানেক স্থানীয় বাসিন্দা শরণার্থীদের ‘বাড়ি চলে যা, বাড়ি চলে যা’ বলে শ্লোগান তুলেছিল। এরও আগে পাশের স্যাক্সনি শহরে শরণার্থীদের বহনকারী একটি বাসের পথ আটকে দিয়েছিল স্থানীয়রা। উদ্দেশ্য শরণার্থীদের উত্যক্ত করা। শরণার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যকে সংকুচিত, বিরক্তিকর ও ঘৃণার্হ্য করে তোলা। একশ্রেণির জার্মান এখন হাততালি বাজিয়ে সেটাই করছে। লজ্জা, সৌজন্য কিংবা মুখরক্ষারও কোনো দায় তাদের এই হিংস্রতা দমিয়ে রাখতে পারছে না। এজন্যই স্যাক্সনি শহরের গভর্ণর খুব লজ্জিত বোধ করেছেন। তিনি তার শহরের বাসিন্দাদের এ-জাতীয় বৈরী আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন- ‘এটা খুবই ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক কাজ।’ স্বজাতির এ-জাতীয় নগ্ন আচরণে লজ্জায়ই পড়তে হয়েছে তাকে। এই অভিব্যক্তি ছিল সে সলাজ দুঃখবোধের বহিঃপ্রকাশ।

    শরণার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো অস্বস্তিকর ঘটনাই ঘটেনি- ঘটনা এমন নয়। বিপন্ন সহস্র মানুষের মাঝেও লোভী-দুর্বৃত্ত দু-একটা লুকিয়ে থাকতে পারে। প্রায় সবযুগে, প্রায় সবকালে। সেজন্য তো সব বিপন্ন মানুষকে আরো বিপন্ন, আরো কোণঠাসা শ্রেণিতে পরিণত করা যায় না। এ ঘটনায় জার্মানদের একটি দলকে সেই কর্মটিই কি আমরা করতে দেখছি না? আসলে অনেক সময় বর্ণবাদী ও ভেতর-কুৎসিৎ বলে আমরা কেবল আমেরিকান, বিলেতি, রাশান, স্পেনিশ কিংবা ফরাসিদের দিকেই আঙ্গুল তাক করি। বুঝতে পারি না, কথিত পশ্চিমা সভ্যতার প্রায় পুরোটারই ভেতরের চেহারা কুৎসিত। তাদের সংস্কৃতি ও বোধবিশ্বাসের ভেতরেই এই ‘ক্রুসেড-হিংস্রতা’ বুনা আছে। সেখানে এই দেশ- সেই দেশ কোনো ব্যাপার না। সেখানে শরণার্থী আর অভিবাসীও কোনো আলাদা মাপকাঠি নয়। অমানবিক ‘মানুষদের’ ‘সভ্য’ বর্ণবাদ সবখানেই যেন সমানতালে উল্লাস করে চলে। বাউজেনের জার্মানরা সেই সত্যটিই আবার মনে করিয়ে দিল। তবুও এই বর্ণবাদী ভেতর-কুৎসিত সমাজের মধ্যেও যে কজন সুস্থ চিন্তার ‘মার্কেল’ আছেন- আমরা তাদের প্রতি অভিনন্দন জানাই!

    জি৭ বৈঠকে হিরোশিমা ঘোষণায় পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান

    শিল্পোন্নত সাতটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা সোমবার আণবিক বোমার অভিজ্ঞতা ভোগকারী জাপানের হিরোশিমা শহরে বৈঠক করেছেন। তারা বিভিন্ন দেশ নানান বৈশ্বিক সমস্যার মোকাবেলার প্রক্ষিতে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

    একটি যৌথ ইশতেহারে তুরস্ক এবং বেলজিয়াম থেকে শুরু করে নাইজেরিয়া, আইভোরি কোস্ট এবং পাকিস্তান; উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা এবং ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং ইউক্রেইনের ক্রিমিন উপদ্বীপ রাশিয়ার “অবৈধ দখল” গ্রহণের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

    আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়টি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অভিন্ন মূল্যবোধের অংশীদার হয়ে থাকে, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

    “আজকে বিশ্ব অভিন্ন মূল্যবোধ পরিবর্তন করতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে এবং সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার মতো অবস্থার মুখোমুখি হতে হচ্ছে” তিনি বলেন।

    হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপির নববর্ষের কার্ড

    বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি শুভেচ্ছা কার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দিতে ধানমণ্ডি যাচ্ছেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। আজ রবিবার বেলা ১২টার দিকে চেয়ারপারসনের একটি কার্ড নিয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে যাচ্ছেন ওই দলটি।

    চার সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া। অন্য সদস্যরা হলেন, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন ও সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা। বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

     

    টোকিও উপসাগর মাছের পেটে মাইক্রোপ্লাস্টিক

    টোকিও উপসাগর থেকে ধরা ৮০ শতাংশ মাছের পরিপাক তন্ত্রের ভেতর প্লাস্টিকের বর্জ্য পাওয়া গেছে, গবেষকদের তথ্য থেকে এ কথা জানা যায়।

    এসব মাছে খেলে মানবদেহে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সমস্যা কম কিন্তু এটি জাপানের চারপাশে সাগর দূষিত হয়ে পড়ার শংকাকে বাড়িয়ে তুলছে, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক হিদেশিগে তাকাদা’র নেতৃত্বে গবেষক দল তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।

    গবেষক দলটি গত বছরের অগাষ্টে ৬৪টি জাপানি এনচোভিস (মাছ বিশেষ) নিয়ে গবেষণা চালান এবং তাদের পরিপাক তন্ত্রে ৫ মিমিলিটার পর্যন্ত বড় ১৫০টি অণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক কণা দেখতে পান।

    খোঁটা দেওয়ার কুফল

    মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম

    ইসলামে পরোপকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঈমানের দাবি এবং আল্লাহ তা‘আলার অত্যন্ত পসন্দনীয় কাজ। এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

    خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ

    “যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ।”

    মানুষের উপকার করা যায় বিভিন্নভাবে। অর্থ দিয়ে, শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে এবং বিদ্যা দিয়ে। আল্লাহ তা‘আলা একেকজনকে একেকরকম যোগ্যতা দিয়েছেন। যার যেই যোগ্যতা আছে, সে যদি তার সেই যোগ্যতাকে সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে, তবেই তার সেই যোগ্যতা সার্থক হয়। এর দ্বারা সে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে সাফল্যম-িত হয়। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যে-কোনও যোগ্যতা দেনই এজন্যে যে, সে তা মানব-সেবায় নিয়োজিত করে নিজ জীবনকে সফল করে তুলবে।

    পরোপকার যে পন্থায়ই করা হোক, আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা কবুল হওয়া এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ কাজরূপে গণ্য হওয়ার জন্য শর্ত হল- ইখলাস থাকা। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে করা এবং পার্থিব কোনও উদ্দেশ্য না থাকা। পার্থিব উদ্দেশ্য বলতে- যার উপকার করা হল তার কাছ থেকে কোনও বদলা পাওয়া কিংবা সুনাম-সুখ্যাতি লাভ করা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন করা বা অন্য কোনও রকমের সুবিধাভোগ হতে পারে। মু’মিনের পরোপকার এইসকল উপসর্গ থেকে মুক্ত হওয়া জরুরি। তার প্রাণের কথা হবে-

    اِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللّٰهِ لَا نُرِیْدُ مِنْكُمْ جَزَآءً وَّ لَا شُكُوْرًا.

    অর্থ : ‘আমরা তো তোমাদেরকে খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে। আমরা তোমাদের কাছে কোনও প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও না।’ -সূরা দাহ্র, (৭৬) : ৯

    মু’মিন তো এই ভেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবে যে, আল্লাহর দেওয়া জান-মাল ও আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান-বুদ্ধিকে সে আল্লাহর বান্দার সেবায় ব্যয় করতে পারছে। এ ব্যয়ের লাভ তো শেষটায় নিজের ভাগেই আসবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তো মেহেরবানী করে তার প্রদত্ত জান-মাল জান্নাতের বিনিময়ে তার কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেন-

    اِنَّ اللّٰهَ اشْتَرٰی مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ اَنْفُسَهُمْ وَ اَمْوَالَهُمْ بِاَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ .

    অর্থ : ‘আল্লাহ মু’মিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পদ খরিদ করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে- এর বিনিময়ে।’ -সূরা তাওবা (৯) : ১১১

    এক হাদীসে আছে-

    مَنْ نَّفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَ مَنْ يَّسَّرَ عَلٰى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللهُ عَلَيْهِ فِىْ الدُّنْيَا وَ الْاٰخِرَةِ وَ مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَه اللهُ فِىْ الدُّنْيَا وَ الْآخِرَةِ وَ اللهُ فِىْ عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدِ فِىْ عَوْنِ اَخِيْهِ.

    ‘যে ব্যক্তি কোনও মু’মিনের দুনিয়াবী সংকটসমূহ থেকে একটা সংকট মোচন করে দেয়, আল্লাহ তা‘আলা তার আখিরাতের সংকটসমূহের একটা সংকট মোচন করবেন। যে ব্যক্তি কোনও অভাবগ্রস্তের অভাব মোচনে সাহায্য করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার দুনিয়া ও আখিরাতে স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। যে ব্যক্তি কোনও মুসলিমের দোষ-গুণ গোপন করবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৯৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৬; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪২৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৪২৭

    এ হাদীস জানাচ্ছে- পরোপকারের লাভ কেবল আখিরাতেই নয়, দুনিয়ায়ও পাওয়া যায়। তবে তা পাওয়া যায় কেবল তখনই, যখন লক্ষবস্তু হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি।

    যে ব্যক্তি পরোপকার করে আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের জন্য, পার্থিব স্বার্থে নয়, সে কখনও এদিকে লক্ষ করে না যে, সে যার উপকার করেছে তার পক্ষ হতে কি রকম আচরণ পাচ্ছে। তাই তার খোঁটা দেওয়ারও কোনও অবকাশ আসে না। খোঁটা দিতে পারে তো কেবল সেই, যে উপকার করে পার্থিব প্রাপ্তির আশায়। সে যখন তার আশানুরূপ ফল না পায়, তখন হতাশ হয়। সেই হতাশারই প্রকাশ ঘটে খোঁটাদানের মাধ্যমে।

    অনেক সময় ইখলাসের সংগে উপকার করার পরও নগদপ্রাপ্তির দিকে নজর চলে যায়। ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বিনিময় তার পাওয়ার ছিল, তা থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। কাজেই পরোপকারের সুফল লাভের জন্য শুরুর ইখলাসই যথেষ্ট নয়, পরবর্তী সময়ে সেই ইখলাসের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকাও জরুরি। অন্যথায় তার ইখলাসের সংগে কৃত পরোপকারও নিষ্ফল হয়ে যায়। তাইতো আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    اَلَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ ثُمَّ لَا یُتْبِعُوْنَ مَاۤ اَنْفَقُوْا مَنًّا وَّ لَاۤ اَذًی ۙ لَّهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ ۚ وَ لَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَ.

    অর্থ : ‘যারা নিজ সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে আর ব্যয় করার পর খোঁটা দেয় না এবং কোনও কষ্টও দেয় না, তারা নিজ প্রতিপালকের কাছে তাদের প্রতিদান পাবে। তাদের কোনও ভয় থাকবে না এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ -সূরা বাকারা (২) : ২৬২

    এ আয়াতে জানানো হচ্ছে- আল্লাহর পথে কৃত ব্যয়ের সুফল লাভের জন্যে শর্ত হল, পরবর্তীকালে সেই দানের জন্য কোনওরূপ খোঁটা না দেওয়া এবং কোনও কষ্ট না দেওয়া। বলা বাহুল্য, কোনও দান আল্লাহর পথে হয় তখনই, যখন তাতে ইখলাস থাকে। তাহলে এই আয়াত দ্বারা বোঝা গেল, কেবল দানকালীন ইখলাসই যথেষ্ট নয়, বরং দানের পরও ইখলাস রক্ষা জরুরি। খোঁটা দেওয়া ইখলাসের পরিপন্থী। কেননা খোঁটা দেওয়াই হয় পার্থিব প্রত্যাশা পূরণ না হলে।

    খোঁটা দ্বারা কেবল দান-খয়রাত ও পরোপকারের ছওয়াবই নষ্ট হয় না; বরং এটা একটা কঠিন পাপও বটে। কেননা এর দ্বারা উপকৃত ব্যক্তির অন্তরে আঘাত দেওয়া হয়। মানুষের মনে আঘাত দেওয়া কবীরা গুনাহ। সুতরাং খোঁটা দেওয়া ইসলাম ও ঈমানের সংগে সংগতিপূর্ণ নয়। কেননা মুসলিম বলাই হয় তাকে, যার হাত ও মুখ থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে (সহীহ বুখারী, হাদীস ১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪১)। আর মু’মিন সেই, যার ক্ষতি থেকে সকল মানুষ নিরাপদ থাকে (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৫৬১ )। এজন্যেই খোঁটা দেওয়াকে কুরআন মাজীদে কাফের-বেঈমানের কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে-

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقٰتِكُمْ بِالْمَنِّ وَ الْاَذٰی ۙ كَالَّذِیْ یُنْفِقُ مَالَهٗ رِئَآءَ النَّاسِ وَ لَا یُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ فَمَثَلُهٗ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَیْهِ تُرَابٌ فَاَصَابَهٗ وَابِلٌ فَتَرَكَهٗ صَلْدًا ؕ لَا یَقْدِرُوْنَ عَلٰی شَیْءٍ مِّمَّا كَسَبُوْا ؕ وَ اللّٰهُ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْكٰفِرِیْنَ.

    অর্থ : ‘হে মু’মিনগণ! খোঁটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান-সদকাকে সেই ব্যক্তির মত নষ্ট করো না, যে নিজের সম্পদ ব্যয় করে মানুষকে দেখানোর জন্য এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ^াস রাখে না। সুতরাং তার দৃষ্টান্ত এরকম, যেমন এক মসৃণ পাথরের উপরে মাটি জমে আছে, অতঃপর তাতে প্রবল বৃষ্টি পড়ে এবং তা সেই মাটিকে ধুয়ে নিয়ে যায় এবং সেটিকে পুনরায় মসৃণ পাথর বানিয়ে দেয়। এরূপ লোক যা উপার্জন করে, তার কিছুমাত্র তারা হস্তগত করতে পারে না। আর আল্লাহ এরূপ কাফেরদেরকে হেদায়াতপ্রাপ্ত করেন না।’ -সূরা বাকারা (২) : ২৬৪

    অর্থাৎ খোঁটা দেওয়া কাফেরদেরই বৈশিষ্ট্য। তারা যেহেতু আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাই ছওয়াবেরও কোনও আশা থাকে না। আশা থাকে কেবল নগদপ্রাপ্তি। হয় সে ব্যক্তি তাকে আরও বেশি দেবে, নয় তার অনুরূপ উপকার তারও করবে। অন্ততপক্ষে তার গুণগান করে তো বেড়াবেই। যখন এর কোনওটা পায় না, তখন মনে করে- বৃথাই টাকা-পয়সা নষ্ট করল। এভাবে সে হতাশার শিকার হয় আর নিমকহারাম, অকৃতজ্ঞ ইত্যাদি বলে গালাগাল করে। এখন মু’মিন-ব্যক্তিও যদি খোঁটা দিয়ে বসে, তবে তা কাফেরসুলভ আচরণই হল। এর দ্বারা প্রমাণ হবে- দান বা উপকার করার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি তার উদ্দেশ্য ছিল না। যেমন কাফের ব্যক্তির সেরকম উদ্দেশ্য থাকে না। আর যে দান-খয়রাত আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্য হয় না, তার পরিণাম সম্পর্কে হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

    “হাশরের দিন আল্লাহ তা‘আলা এরূপ ব্যক্তিকে বলবেন- তোমাকে আমি যে অর্থ-সম্পদ দিয়েছিলাম, তা দ্বারা তুমি আমার জন্য কী করেছ? সে বলবে, হে আল্লাহ! আমি তা তোমার পথে ব্যয় করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। তুমি তো এজন্য করেছিলে যে, লোকে তোমাকে দাতা বলবে। তা বলাও হয়েছে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে দান করেছিলে তা পেয়ে গেছ। আজ আমার কাছে তোমার কোনও বদলা নেই। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৫২৮)

    অথবা প্রমাণ হবে- উপকার করার সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেই উদ্দেশ্যের উপর সুদৃঢ় থাকতে পারেনি। নজর চলে গেছে নগদপ্রাপ্তির দিকে। ফলে যেই ছওয়াব তার পাওয়ার ছিল, তা তো বরবাদ করে ফেলেছেই, উপরন্তু আমলনামায় কবীরা গুনাহ যোগ করেছে। কেননা নগদ-বদলা না পাওয়ার কারণে সে তাকে খোঁটা দিয়েছে, অকৃতজ্ঞ বলেছে। এভাবে তার মনে কঠিন আঘাত দিয়েছে।

    যে ব্যক্তি কারও উপকার নেয়, সে এমনিতেই মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। তার উপর যদি খোঁটা দেওয়া হয়, তবে তা তার অন্তরে রীতিমত রক্তক্ষরণ ঘটায়। সেই রক্তক্ষরণের বিপরীতে তার দান-খয়রাত ও উপকার কোনও ধর্তব্যেই আসে না। বরং আঘাতের উৎপত্তি যেহেতু ওই উপকার থেকে, তাই উপকারটাও উপকৃত ব্যক্তির পক্ষে হয়ে যায় এক পাষাণ ভার। যেন এই উপকার না করাই তার পক্ষে ভালো ছিল। তাই তো ইরশাদ হয়েছে-

    قَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ وَّ مَغْفِرَةٌ خَیْرٌ مِّنْ صَدَقَةٍ یَّتْبَعُهَاۤ اَذًی ؕ وَ اللّٰهُ غَنِیٌّ حَلِیْمٌ.

    অর্থ : ‘উত্তম কথা বলে দেওয়া ও ক্ষমা করা সেই দান-সদকা অপেক্ষা শ্রেয়, যার পর কোনও কষ্ট দেওয়া হয়। আল্লাহ অতি বেনিয়ায ও সহনশীল।’ -সূরা বাকারা (২) : ২৬৩

    অর্থাৎ কেউ যদি কারও কাছে কোনও সাহায্য চায় এবং সে কোনও কারণে তা করতে না পারে, তবে তার উচিত নম্র ও ভদ্র ভাষায় তাকে জবাব দিয়ে দেওয়া। আর যদি অনুচিত পীড়াপীড়ি করে, সেজন্য তাকে ক্ষমা করা। আর এভাবে নম্রকথা বলে বিদায় করা ও ক্ষমা করা সেই দান অপেক্ষা বহু শ্রেয়, যে দানের পর খোঁটা দেওয়া হয় কিংবা অপমান করে কষ্ট দেওয়া হয়।

    খোঁটা দেওয়া যে কত গর্হিত এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছে কত ঘৃণ্য, হযরত আবূ যর (রাযি.)-এর একটি হাদীস দ্বারা তা অনুমান করা যায়। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

    ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَ لَا يَنْظُرُ اِلَيْهِمْ وَ لَا يُزَكِّيْهِمْ وَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ، قَالَ اَبُوْ ذَرٍّ فَقَرَأَهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ ثَلَاثُ مِرَارٍ، قَالَ اَبُوْ ذَرٍّ : خَابُوْا وَ خَسِرُوْا، مَنْ هُمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ : اَلْمُسْبِلُ وَ الْمَنَّانُ وَ الْمُنْفِقُ سِلْعَتَه بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ.

    ‘তিন ব্যক্তি এমন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা যাদের সংগে কথা বলবেন না, তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। আবূ যর (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথাটি তিন-তিনবার বললেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা কারা, তারা তো সর্বস্বান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল? তিনি বললেন, (ক) যে ব্যক্তি পরিধেয় কাপড় টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রাখে; (খ) যে ব্যক্তি উপকার করার পর খোঁটা দেয় এবং (গ) যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্য চালায়।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৬

    খোঁটা দেওয়া যে কত গুরুতর অপরাধ, এ হাদীস দ্বারা তা আঁচ করা যায়। বস্তুত খোঁটাদানকারী নিজেকে মহানুভবতার উচ্চস্তর থেকে হীনতার গভীর খাদে নামিয়ে আনে। যে পরোপকার করে, সে তা আল্লাহর খলীফা হিসেবেই করে। সৃষ্টির উপর তার হাত যেন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের হাত। এরূপ হাত সম্পর্কে হাদীস বলছে-

    اَلْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِّنْ اليَدِ السُّفْلٰى

    ‘উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’  -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪২৭

    অর্থাৎ দাতার হাত গ্রহিতার হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। খোঁটা দ্বারা দান-উপকারের এই মহিমা নষ্ট হয়। কারণ বিনিময়ের আশাবাদী হওয়ার কারণে সে আর আল্লাহর প্রতিনিধি থাকে না। বাহ্যদৃষ্টিতে সে উপকারকারী হলেও প্রকৃতপক্ষে সে উপকারলাভের ভিখারী। সে উপকার করেছিল স্বার্থচিন্তায় তাড়িত হয়ে। কিংবা উপকার করার পর এখন সেই তাড়না বোধ করছে। সে তার উপকারকে ছলনার স্তরে নামিয়ে এনেছে। শিকারী যেমন সশ্যদানা ছিটিয়ে পাখি বা মাছ শিকার করে, তেমনি সেও উপকারের দানা ছিটিয়ে পার্থিব স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তার হাত আর উপরের হাত থাকল না। নিচের হাত হয়ে গেল।

    বান্দার সব আশা ও চাওয়া-পাওয়া তো হবে কেবল আল্লাহরই কাছে। কিন্তু খোঁটা দেওয়ার দ্বারা প্রমাণ হয়- সে মাখলূকের কাছে আশাবাদী ছিল। মাখলূকের কাছে আশাবাদ মনুষ্যত্বের মর্যাদাকে খর্ব করে এবং দৃষ্টিকে করে সংকীর্ণ। মাখলূক কতটুকুই বা দিতে পারে! অথচ আসমান-যমীনের মালিক দান-উপকারের যে বিনিময় ঘোষণা করেছেন, তা সৃষ্টির কল্পনারও অতীত।

    খোঁটা দেওয়া একরকম অহমিকাও বটে। কারণ এর দ্বারা সে যাকে উপকার করেছে, তাকে নিজ কৃপাধন্য মনে করে। তাকে হীন ও ছোট ভাবে। অথচ দান-উপকার করা চাই ব্যক্তির মান-সম্ভ্রমের প্রতি লক্ষ রেখেই। অসম্ভব কি আল্লাহ তা‘আলার কাছে বিশেষ কোনও আমলের কারণে সে তার মত বহু দান-খয়রাতকারী অপেক্ষা উচ্চ মর্যাদা রাখে। তাই উপকার করা উচিত সেবার মানসিকতা নিয়ে। অত্যন্ত বিনয় ও নম্রতার সাথে। ভাবা উচিত তাকে উপকার করে প্রকৃতপক্ষে নিজে উপকৃত হচ্ছে। দান-উপকার গ্রহণ করে সে তাকে আল্লাহর কাছে বিপুল মর্যাদালাভের সুযোগ করে দিচ্ছে। যেই উপকারের সাথে এরকম মানসিকতা থাকে, খোঁটা দেওয়ার মত হীনতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না।

    আসলে খোঁটা দেওয়া একরকম ধৃষ্টতা। কারণ মানুষ খোঁটা কেবল তখনই দেয়, যখন উপকার করতে পারাকে নিজ কৃতিত্ব গণ্য করে, আল্লাহর দান ও তাওফীকের দিকে দৃষ্টি না থাকে। কেবল সামর্থ্য ও ক্ষমতা থাকলেই তো উপকার করা যায় না। এর জন্য আল্লাহর তাওফীকের দরকার হয়। দান করার পরে খোঁটা দিলে সেই তাওফীকের অমর্যাদা করা হয় এবং করা হয় অকৃতজ্ঞতা। এই অকৃতজ্ঞতা ও ধৃষ্টতার কারণেই তো কিয়ামতের দিন সে আল্লাহ তা‘আলার সুদৃষ্টি, সুবাক্য ও পরিশোধন থেকে বঞ্চিত থাকবে এবং তাকে ভোগ করতে হবে কঠিন শাস্তি। যেমনটা উপরের হাদীসে ঘোষিত হয়েছে।

    খোঁটা দেওয়ারই পরিণতি যে, যার উপকার করা হয়, একসময় তার ও উপকারকারীর মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়ে যায়। আর এটা এখন এমনই ব্যাপক যে, বলাই হয়ে থাকে- তুমি কারও উপকার করলে প্রস্তুত থেকো একদিন সে তোমার অপকার করবে। আসলে এটা উপকার করার দোষ নয়; বরং খোঁটা দেওয়া ও নিয়ত সহীহ না থাকার পরিণাম। নিয়ত সহীহ না থাকলে বিনিময়ের প্রত্যাশা থাকে। প্রত্যাশা অনুযায়ী সেই বিনিময় না পেলে খোঁটা দেওয়া হয়। যার পরিণামে সৃষ্টি হয় মনোমালিন্য। একপর্যায়ে তা শত্রুতায় গড়ায়। আর তখন ভাবা হয়, এটা সেই উপকার করার পরিণাম। অথচ সহীহ নিয়তে উপকার করলে শত্রুতা সৃষ্টির প্রশ্নই আসে না; বরং শত্রুর সংগেও ভালো ব্যবহার করলে, তার কোনও উপকার করলে এবং আদর-আপ্যায়ন করলে সে বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। কুরআন মাজীদে ইরশাদ-

    وَ لَا تَسْتَوِی الْحَسَنَةُ وَ لَا السَّیِّئَةُ ؕ اِدْفَعْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِیْ بَیْنَكَ وَ بَیْنَهٗ عَدَاوَةٌ كَاَنَّهٗ وَلِیٌّ حَمِیْمٌ.

    অর্থ : ‘ভালো ও মন্দ সমান হয় না। তুমি মন্দের জবাব দাও ভালোর দ্বারা। তাহলে যার ও তোমার মধ্যে শত্রুতা ছিল, সহসাই সে হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।’ -সূরা ফুস্সিলাত (৪১) : ৩৪

    বহু হাদীস দ্বারাও এ কথা প্রমাণিত। এবং অভিজ্ঞতাও তাই বলে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, “আমি যে-কোনও ব্যক্তির উপকার করেছি। পরে দেখা গেছে তার ও আমার মধ্যে এক স্নিগ্ধময় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে গেছে। আর যার প্রতি কখনও আমার দ্বারা মন্দ ব্যবহার হয়ে গেছে, পরে দেখতে পেয়েছি- তার ও আমার মধ্যে সম্পর্কে মলিনতা সৃষ্টি হয়েছে।” (উয়ূনুল-আখবার খ. ২, পৃ. ১৭৭)

    সুতরাং দান-খয়রাত ও উপকার করার পরিণাম কখনও খারাপ হতেই পারে না, যদি তাতে আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিই উদ্দেশ্য থাকে এবং পরে কোনও রকম খোঁটা ও কষ্টদান না করা হয়ে থাকে।

    উপরের আলোচনা দ্বারা বোঝা গেল, উপকার ও দান-খয়রাত করার পর খোঁটা দেওয়া অত্যন্ত গর্হিত কাজ। এটা একটি মহাপাপ এবং বহু দোষের আকর। সর্বোপরি এটা ঈমান ও ইসলামের চেতনা-পরিপন্থী কাজ ও কাফের-বেঈমানদের বৈশিষ্ট্য। মু’মিনমাত্রেরই এর থেকে বিরত থাকা অবশ্য-কর্তব্য।

    বস্তুত উপকার করা অপেক্ষা কৃত উপকারকে হেফাজত করা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এমনিতে উপকার করা তো একটি নফল কাজ, কিন্তু তার হেফাজত করা ফরয এবং নষ্ট করা মহাপাপ। সেই হেফাজতের জন্যই কর্তব্য খোঁটাদান থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقٰتِكُمْ بِالْمَنِّ وَ الْاَذٰی.

    অর্থ : ‘হে মু’মিনগণ! তোমরা তোমাদের দান-সদকাকে প- করো না খোঁটাদান ও কষ্ট দেওয়ার দ্বারা।’ -সূরা বাকারা (২) : ২৬৪

    কারও উপকার করার পরে কোনও অবস্থাতেই যাতে খোঁটাদানের অপরাধ ঘটে না যায়, সেজন্যে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে।

    ১. উপকার করার সময় এবং তার পরও আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিলাভের চেতনাকে অন্তরে জাগ্রত রাখা। কিছুতেই পার্থিব কোনও বিনিময়ের আশাবাদী না হওয়া। সে বিনিময় বৈষয়িক হোক বা সুনাম-সুখ্যাতি হোক কিংবা হোক উপকৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা।

    ২. যার উপকার করা হবে, উপকার করার সময়ও এবং তার পরও তার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা। মনে করতে হবে প্রকৃতপক্ষে সেই আমার উপকারকারী। কেননা আমার কাছে সাহায্য চেয়ে এবং আমার উপকার গ্রহণ করে সে আমাকে বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। এ ব্যাপারে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আব্বাস (রাযি.)-এর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন,

    “আমি তিন ব্যক্তির বদলা দিতে সক্ষম নই। (ক) যে আমাকে প্রথম সালাম দেয়; (খ) যে আমাকে মজলিসে বসার সুযোগ করে দেয় এবং (গ) যে সালাম-কালামের ইচ্ছায় আমার কাছে আসার জন্যে নিজ পদযুগলকে ধুলোমলিন করে। আর চতুর্থ এক ব্যক্তি আছে- আমার পক্ষ থেকে এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তাকে বদলা দিতে পারবে না। জিজ্ঞেস করা হল, সে কে? তিনি বললেন- ওই ব্যক্তি, যে কোনও বিপদের সম্মুখীন হয়েছে, তারপর সারা রাত চিন্তা করেছে সাহায্যের জন্য কার কাছে যাবে। অবশেষে আমাকেই তার উপযুক্ত মনে করল এবং আমার কাছে এসে তার সেই মসিবতের কথা বলল।” (উয়ূনুল-আখবার খ. ২, পৃ. ১৭৭)

    অর্থাৎ কোনও বিপন্ন ব্যক্তি যদি সাহায্যের আশায় কারও কাছে যায়, তবে এটা তার প্রতি সেই ব্যক্তির বিশেষ আস্থা এবং তাকে বিশেষ মর্যাদা দানেরই পরিচয় বহন করে। এর মাহাত্ম্য অনুধাবন করা উচিত।

    ৩. নিজের দান-খয়রাত ও উপকারকে ক্ষুদ্র গণ্য করা। অর্থাৎ কল্পনা করতে হবে যে, তার যা প্রয়োজন সে অনুপাতে আমি অতি সামান্যই করতে পারছি এবং আমার যা করণীয় ছিল, সে অনুযায়ী যা করছি তা খুবই নগণ্য। আর খোদা না করুন, যদি এটা কবুল না হয়, তবে তো নিতান্তই তুচ্ছ। মানুষ মানুষের উপকারার্থে কতকিছুই করছে। সে হিসেবে আমি যা করছি তা কোনও ধর্তব্যেই আসে না। কথাটিকে এভাবে বলা যায় যে, দান করার সময় তা করতে হবে বিনয়ের সংগে এবং পরেও সেই বিনয়ভাব বজায় রাখা চাই।

    ৪. উপকারের বিষয়টাকে গোপন রাখা। অর্থাৎ যার যেই উপকার করা হবে, যথাসম্ভব তা গোপন রাখার চেষ্টা করতে হবে। কেননা প্রকাশ করলে যেমন ইখলাস নষ্ট হতে পারে, তেমনি তা একরকম খোঁটায়ও পর্যবসিত হবার আশংকা থাকে। কেননা উপকারের কথা যদি প্রচার করে বেড়ানো হয় আর এভাবে তা তার কানে গিয়ে পৌঁছায়, তবে তা তার জন্যে নিশ্চিত পীড়াদায়ক হবে। এটাও একরকম খোঁটাই বটে। এ ব্যাপারে একটি হাদীস স্মরণ রাখা যেতে পারে। তাতে সাত ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে; হাশরের ময়দানে তারা আরশের ছায়াতলে জায়গা পাবে। তার মধ্যে এক ব্যক্তি হল-

    رَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَاَخْفَاهَا حَتّٰى لَا تَعْلَمَ شِمَالُه مَا تُنْفِقُ يَمِيْنُه.

    ‘ওই ব্যক্তি, যে কোনও দান-সদকা করে এবং তা গোপন রাখে এমনকি তার বামহাত জানে না ডানহাত কী খরচ করে।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬০; সহীহ  মুসলিম, হাদীস ১০৩১

    ৫. উপকার করার কথা ভুলে যাওয়া। জনৈক ব্যক্তি তার সন্তানদের উপদেশ দিয়েছিল- তোমরা যদি কারও কোনও উপকার করো, তবে তা ভুলে যেয়ো। কেননা তা স্মরণ রাখলে খোঁটা দেওয়ার আশংকা থেকে যায়। আর খোঁটা দিলে উপকার নিষ্ফল হয়ে যায়।

    প্রশ্ন করা যেতে পারে, উপকৃত ব্যক্তিরও তো কর্তব্য উপকারকারীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। কেননা হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

    مَنْ صَنَعَ اِلَيْكُمْ مَعْرُوْفًا فَكَافِئُوْهُ فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا مَا تُكَافِئُوْنَه فَادْعُوْا لَه.

    ‘যে ব্যক্তি তোমাদের কোনও উপকার করে, তোমরা তার বদলা দিও। যদি বদলা দেওয়ার মত কিছু না পাও, তার জন্য দু‘আ করো।’ -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৬৭২; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ২৫৬৭; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩৪০৮

    তো কেউ যদি উপকার গ্রহণ করার পরে বদলা না দেয় বা দু‘আ না করে, এককথায় কৃতজ্ঞতা না জানায়, তবে স্বাভাবিকভাবেই খোঁটার ব্যাপারটা এসে যায় না কি? উত্তর হল, এটা সম্পূর্ণই তার ব্যাপার। উপকার লাভের পরে কৃতজ্ঞতা না জানালে সে দ্বীনের শিক্ষা অমান্য করল। এজন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। যে ব্যক্তি উপকার করল, তাকে বলা হয়নি যে, তুমি তার কৃতজ্ঞতার অপেক্ষায় থেকো। বরং তাকে যেই চেতনার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তা হচ্ছে-

    اِنَّمَا نُطْعِمُكُمْ لِوَجْهِ اللّٰهِ لَا نُرِیْدُ مِنْكُمْ جَزَآءً وَّ لَا شُكُوْرًا.

    অর্থ : ‘আমরা তো তোমাদেরকে খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে। আমরা তোমাদের কাছে কোনও প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও না।’ -সূরা দাহ্র, (৭৬) : ৯

    সুতরাং সে কৃতজ্ঞতা না জানালে খোঁটা দেওয়ার অবকাশ আসবে কেন? আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সবরকম জাহেরী ও বাতেনী ফিতনা থেকে রক্ষা করুন এবং সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দিন- আমীন।

    নতুন কক্ষপথে সফল ভাবে প্রবেশ করলো আকাৎসুকি

    জাপানের মহাকাশ সংস্থা বলেছে তারা সফল ভাবে শুক্র গ্রহের জন্যে পাঠানো নভোযানকে তার নতুন কক্ষপথে সফল ভাবে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে নভোযানটি শুক্র গ্রহ পর্যবেক্ষণের জন্যে দ্বিগুনেরও বেশি সময় পাবে।

    জাপান স্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি শুক্রবার আকাৎসুকি তার পরিকল্পিত কক্ষপথে সফল ভাবে প্রবেশ করতে পারার কথা ঘোষণা করেন।

    আকাৎসুকি’র ডিম্বাকৃতি কক্ষপথ কিছুটা প্রশস্ত করতে সোমবার চারটি ছোট ইঞ্জিন ১৫ সেকেন্ড ধরে চালানো হয়।

    কর্মকর্তারা বলছেন এই পরিবর্তনের ফলে পর্যবেক্ষণের সময় বর্তমান ৮০০ দিনের স্থলে ২০০০ দিনে বৃদ্ধি পাবে।

    ২০১০ সালে আকাৎসুকি উৎক্ষেপণ করা হয় কিন্তু মূল ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ার কারণে নভোযানটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়।

    ইঞ্জিন সমস্যার ৫ বছর পর মহাকাশ যানটিকে গত ডিসেম্বরে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।

    ২০২০ সালের মধ্যে জাপানে ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার একতৃতীয়াংশ হ্রাস করা হবে

    ২০২০ সালের দেশে অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বর্তমানের অন্ততঃ এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করতে জাপান সরকার মঙ্গলবার একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, অ‌্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছর বিশ্বব্যাপী অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে, পরিকল্পনা অনুসারে সদস্য দেশ গুলোকে দুই বছরের মধ্যে অ‌্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসে জাতীয় ভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের অনুরোধ জানানো হয়।

    অ‌্যাটিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৩ সালে ছিলো ৭ লক্ষের মতো। ধারণা করা হচ্ছে কোনো ব্যবস্থা না নিলে এ ভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে এই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

    কর্ম পরিকল্পনা অনুসারে জাপান সরকার যথাযথ ভাবে অ‌্যাটিবায়োটিক ব্যবহারের উপর একটি গাইডলাইন তৈরি করবে, বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে জনগনের উপলব্ধি এবং বয়স্কদের সেবায় অ‌্যাটিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হবে।

    অ‌্যাটিবায়োটিকের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে সরকার ব্যাপক ভাবে অ‌্যাটিবায়োটিক-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে ফেলতে চান, এসব ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে রয়েছে- স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, টেফিলোকাস অরেউস এবং এস্কারিশিয়া কোলাই বা ইকোলাই।

    জাপানে সাহিত্য সভা বিদায় সম্বর্ধনা

    বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম ,জাপান আয়োজিত দ্বি মাসিক সাহিত্য সভার এবারের আয়োজনটি ছিল গেল রোববার,৩ এপ্রিল.২০১৬ শিবূইয়ার কুরিৎসু কিনরো ফুকুশি কাইকান হলে।দুপুর একটা থেকে শূরু অনুস্ঠানের প্রথম পর্বটি ছিল সাহিত্য সভা। ফোরামের উপদেষ্টা মনজুরুল হকের উপস্হিতিতে জুয়েল আহসান কামরুলের সভাপতিত্বে মোতালেব শাহ আই্য়ুবের চমৎকার ব্যান্জনাময় উপস্হাপনায় স্বরচিত লেখা পাঠ,কবিতা আবৃতি,সাহিত্য আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন মনজুরুল হক,প্রবির বিকাশ সরকার,কাজী ইনসানুল হক,জুয়েল আহসান কামরুল,মোতালেব শাহ আইয়ুব,মাইনুল শাওন,কমল বড়ুয়া,মইনুল ইসলাম মিল্টন,মোহাম্মদ হারুন,এম এ শাহীন,মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন,হোসাইন মুনির,সংগিতা রাজবংশী দাস,আরশাদ উল্লাহ,মোতাহের হোসেন,ছালেহ মোহাম্মদ আরিফ,সর্বানু দাস,দেলওয়ার হোসেন,কামরুল ইসলাম লিপূ,নাজনীন রহমান,সুবর্না নন্দী,লাকী ইসলাম,মিসেস দেলওয়ার ,মিসেস ঘোষ,আবদুর রাজ্জাক প্রমূখ।
    অনুষ্ঠানের শুরতে সদ্যপ্রয়াত কবি রফিক আজাদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
    এবারের বই মেলায় প্রকাশিত জাপান প্রবাসী লেখকদের বইগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্হা ছিল।উপস্হাপক ফোরামের পক্ষ থেকে লেখকদের অভিনন্দন জানান।ছোট্ট আনুসুয়া ও বাংলা কবিতা ও জাপানী গান গেয়ে সবার বাহবা পান।
    অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের প্রথম সচিব,জাপান দুতাবাস থেকে বাংলাদেশ মন্ত্রনালয়ে বদলি হওযা কমিউনিটির সবার প্রিয় বেবীরানী কর্মকারকে ফোরামের পক্ষ থেকে ফূল দিয়ে বিদায় সম্বর্ধনা জানানো হয়।সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরকৃত সম্মাননা ,উপস্হিত সবার মতামত সম্বলিত স্মারক শূভেচ্ছা কার্ড সহ সুভেনির দেয়া হয়।
    উপস্হিত সবাই সরকারী দায়িত্বে একনিষ্ট সদাহাস্য,বিনয়ী ও বেবীরানীকে বিদায় জানাতে নিজেদের সাময়িক কষ্টের কথা জানান ও তার উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করেন।বেবীরানী কর্মকারও জাপান প্রবাসী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ও বাকী জীবনে মানুষের কল্যানে ভূমিকা রাখার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন।
    ফোরাম সভাপতি সভায় আসা সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

    একটি ভুল মাসআলা

    Posted by admin on April 4
    Posted in Uncategorized 

    একটি ভুল মাসআলা : স্বামী কি মৃত স্ত্রীকে দেখতে পারবে না?

    কারো কারো ধারণা, স্বামীর জন্য তার মৃত স্ত্রীর চেহারা দেখা জায়েয নেই। তেমনি কেউ কেউ মনে করে, স্ত্রীর জন্যও তার মৃত স্বামীর চেহারা দেখা জায়েয নেই। তাদের এ ধারণা ভুল। মৃত স্ত্রীর চেহারা যেমন স্বামী দেখতে পারবে, তেমনি স্ত্রিও তার মৃত স্বামীর চেহারা দেখতে পারবে।

    একটি ভুল ধারণা : রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি রোযা ভেঙে যায়?

    কেউ কেউ মনে করেন, রোযা অবস্থায় যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে রোযা ভেঙে যাবে। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ভাঙে না।

    একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনটি বস্তু রোযা ভঙ্গের কারণ নয়; বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। (মুসনাদে বাযযার, হাদীস ৫২৮৭; নসবুর রায়াহ ২/৪৪৭; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৭০; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭১৯; সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪)

    সুতরাং রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভেঙে যায়- এ ধারণা ঠিক নয়।

    চীনের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই জাপানের যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ভিড়লো ফিলিপাইনে

    জাপানের দু’টি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন ফিলিপাইনের একটি বন্দরে রোববার নোঙর করেছে, সন্নিকটেই রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত সমুদ্র এলাকা যেখানে বেইজিং ঘন ঘন তার শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে যা নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন।

    জলপথে বিরোধের তীব্র উত্তেজনায় ম্যানিলা টোকিও’র সাথে সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে, তার জলপথের প্রায় গোটা অংশটাই চীন দাবি করে বসেছে।

    জাপানি সাবমেরিন ওইয়াশিও এবং ডেস্ট্রয়ার জেএস আরিয়াকে এবং জেএস সেতোগিরি নিয়মিত সফরে সুবিক বন্দরে রোববার নোঙর করে। বন্দরটি সাবেক মার্কিন নৌঘাঁটি এবং চীন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে।

    “সফরটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী নৌবাহিনীর মধ্যে নৌসহযোগিতার প্রসারে নিবেদিত” ফিলিপাইন নৌবাহিনীর কমান্ডার লুয়েড লিনকুনা বলেন।

    শুক্র গ্রহের ছবি

    Posted by admin on April 2
    Posted in Uncategorized 

    শুক্র গ্রহের ছবি

    জাপানের ছোট্ট মহাকাশ যান আকাৎসুকি প্রায় ব্যর্থ হয়ে পড়া মিশন থেকে পুনরায় গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্যয়বহুল আকাৎসুকি অবশেষে বিজ্ঞানীদের ফল দিতে শুরু করেছে। শুক্র গ্রহ থেকে ছবি আসা শুরু হয়েছে এবং আগামীতে আরো পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    জাক্সা’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসাতো নাকামুরা প্রকল্পের সাথে জড়িতদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন নভোযানটি এখন কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই কাজ করছে। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’র কর্মকর্তারা আকাৎসুকি নভোযানের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। নভোযানটি ৬ বছর আগে ২০১০ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় শুক্রগ্রহের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ করতে। কিন্তু অভিযানের মাঝ পথে নভোযানটির প্রধান ইঞ্জিন ভেঙে যায় এবং পরবর্তী ৫ বছর আকাৎসুকি সূর্যের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে অতিক্রম করে। কিন্তু প্রকৌশলীরা হাল ছেড়ে দেননি। তারা গত বছরের ডিসেম্বরে আকাৎসুকি’কে তার কক্ষপথে স্থাপন করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালান। এ সময়ে থ্রাস্টার ব্যবহার করে কক্ষপথে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।

    পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহকে প্রদক্ষিণ করা জাপানের প্রথম উপগ্রহ হলো আকাৎসুকি। মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই আকাৎসুকি মহাকাশ থেকে চমৎকৃত ছবি পাঠানো শুরু করেছে। তার তোলা একটি ছবিতে শুক্রগ্রহের বুকে কালো কালো ছোপ দেখা যাচ্ছে। এসব কালো ছোপের একটি দক্ষিণ গোলার্ধের একটি পাহাড় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৪ হাজার মিটার উঁচুতে কয়েক হাজার মিটার বিস্তৃত কালো দাগ।

    অপর একটি ছবি তোলা হয়েছে উপগ্রহটির অবলোহিত ক্যামেরার মাধ্যমে। সেখানে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত একটি নাইট্রিক এসিডের মেঘপুঞ্জ। এটি ২০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আকাৎসুকির মূল উদ্দেশ্য এগুলো কী এবং কেমন করে তৈরি হলো।

    শুক্রগ্রহকে প্রায়ই পৃথিবীর বোন হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। গ্রহ দু’টির আকার এবং বয়স প্রায়ই একই। গ্রহটির উপর গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীর বিশ্বউষ্ণায়ন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা সম্ভব হবে।

    শুক্রগ্রহের বায়ুমন্ডলের প্রায় পুরোটাই জুড়ে রয়েছে কার্বন ডাইঅক্সাইড। এর ফলে ভূত্বকের তাপমাত্রা ৪৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে।

    আকাৎসুকির মিশন এখনো ঢের বাকী। বিজ্ঞানীরা অপেক্ষায় আছেন মহাকাশযানটি এরপর কিসের ছবি পাঠায় তা দেখার জন্যে।

    মহান স্বাধীনতা দিবস, উদযাপন করলো আওয়ামী লীগ, জাপান শাখা

    গত রোববার ২৭ মার্চ বিকেলে টোকিওর তাবাতা শিনকিউশিৎসু কাইকানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখা মহান স্বাধীনতা দিবস ও ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভার সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ।

    খন্দকার আসলাম হীরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যেমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সনত বড়ুয়া। বক্তৃতা পর্বে অংশগ্রহণ করেন -আব্দুর রাজ্জাক, জহিরুল হক, কামরুল ইসলাম লিপু, চৌধুরি রহমান লিটন, শাহ আলম, হারুনুর রশিদ, আতোয়ার হোসেন, জাকির জোয়ার্দার।মাসুদুইর রহমান, সোহেল রানা, রাসেদ মাজিদ, মুক্তা চৌধুরি, শহহিদুর এরহমান হিরু, মোতালেব শাহ প্রিন্স, খোকন কুমার নন্দী, সলিমুল্লাহ কাজল, মোল্লা ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ।

    আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাজী ইনসানুল হক, জুয়েল এম কিউ।

    বক্তারা ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনের আলোকে দিন গুলোর বিশেষ তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন।

    জাপান সফররত হংকং আওয়ামী লীগের জনাব আবেদিন। অনুষ্ঠানে তিনিও বক্তব্য রাখেন। তিনি হংকং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাপান প্রবাসীদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

    সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান।