• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • পররাষ্ট্র কার্যালয়ে চাকরি পেল বিড়াল!

    যুক্তরাজ্যের বড় বড় সব কূটনীতিক ও মন্ত্রীদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা হলো লন্ডনের কিংস চার্লস স্ট্রিট ভবন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান এই কার্যালয়ে সব রথী মহারথীরা সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আর এই কার্যালয়েই কিনা ইঁদুরের উৎপাত! এমনকি এসব ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে সেখানে নিযুক্ত কর্মচারীরাও রীতিমতো গলদঘর্ম হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একটি বিড়ালকে। বিড়ালটির কাজ হবে পররাষ্ট্র কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ইঁদুর তাড়ানো। তার পদের নাম ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’। খবর এনডিটিভি অনলাইনের।

    দুই বছর বয়সী ওই বিড়ালের নাম পালমারস্টোন। এখন থেকে বিড়ালটি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ওই ভবনেই থাকবে। পররাষ্ট্র কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিড়ালটি দেশটির কর দাতাদের জন্য মোটেও বোঝা হবে না। বিড়ালটি নিয়োগ দেওয়া হলেও এর খরচের জন্য জনগণের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হবে না।

    পররাষ্ট্র কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালমারস্টোন এই কার্যালয়ের এক নতুন অতিথি। ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’ হিসেবে তার দায়িত্ব হবে কিং চার্লস স্ট্রিটে অবস্থিত এই কার্যালয়ে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারীদের কাজে সহায়তা করা ও ইঁদুরের সংখ্যা কমানো।

    বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিড়ালটিকে লন্ডনের একটি রাস্তায় পাওয়া গিয়েছিল। সে ছিল খুবই ক্ষুধার্ত ও কম ওজনের। খুব সম্ভবত সে তার মালিককে খুঁজে পাচ্ছিল না। যুক্তরাজ্যের অনেক সরকারি ভবনে ইঁদুরের উৎপাত আছে। তাই এসব ভবনে ইঁদুর মোকাবিলায় বিড়ালও বাস করছে।

    ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইঁদুর মারতে ল্যারি নামের একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ওই সময় বলেছিলেন, ল্যারি ইঁদুর ধরতে খুবই পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ল্যারি নামের ওই বিড়ালটির টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫০০ জন।

    এ ছাড়া ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের হাডার্সফিল্ড রেলস্টেশনের একটি বিড়ালও পদোন্নতি পেয়েছিল। স্টেশনের সব ইঁদুর তাড়ানোর কৃতিত্বের জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে জ্যেষ্ঠ পেস্ট কন্ট্রোলার হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছিল।

    দুর্গত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ৭০ হাজার লোক অন্যত্র স্থানান্তর জাপানে তৃতীয় দফা ভূমিকম্প, আরো ২০ জনের প্রাণহানি   

    জাপানে ব্যাপক হতাহতের মধ্যেই ফের কয়েক দফা ভূমিকম্পে আরো ২০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯-এ দাঁড়িয়েছে। আরো বহু সংখ্যক ব্যক্তি ধসে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে আছে বলে জানা গেছে। আতঙ্কিত অধিবাসীরা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। ভূমিকম্পে একটি বাঁধ ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েক দফায় এসব ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমামতো শহরের মাইশি এলাকা। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিহীন রয়েছে এই অঞ্চল। ভূমিকম্প দুর্গত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। প্রথম দফা ভূমিকম্পে নয়জন নিহত হওয়ার এক দিনের মাথায় জাপানে আবার আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৫ মিনিটে এ ৭.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। তবে সেই সতর্কতা পরে আবার তুলে নেওয়া হয়। কয়েক দফার এসব ভূমিকম্পে ২০১১ সালের সুনামির পর বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে জাপান সরকার। নতুন করে প্রাণহানির খবর না পাওয়া গেলেও আহত কয়েক হাজারের মতো বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুমামতো প্রদেশের এই ভূমিকম্পের তীব্রতা বৃহস্পতিবারের আঘাতের চেয়ে বেশি বলে জানানো হয়েছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কুমামতো শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। উৎপত্তিস্থলের মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কিয়েশু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই এলাকার মধ্যে রয়েছে সেন্দাই পারমাণবিক কেন্দ্র। গভীর রাতে এই বিপর্যয় ঘটায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা করা কঠিন বলে জানিয়েছেন রুপার্ট উইংফিল্ড। তিনি জানান, হাজার হাজার ভীত সন্ত্রস্ত মানুষকে দেখেছি খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায় বা পার্কে জড়ো হয়ে আছে। পরপর ভূ-কম্পনের আঘাতে তারা ভীষণ বিপর্যস্ত। উইংফিল্ড বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চোখে দেখতে না পেলেও আমরা ভেঙ্গে পড়া বাড়িঘরের নিচে আটকা পড়া মানুষ জনের সাহায্যের আবেদন পাচ্ছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। উদ্ধার তৎপরতাও শুরু হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তর ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭। বিভিন্ন ভবনের বাসিন্দারা জিমনেশিয়াম ও হোটেল লবিতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, গতকাল শনিবারও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। কুমানাতো শহরের কর্মকর্তা তোমোইউকি তানাকা বলেন, প্রতি ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ভূকম্পনপ্রবণ জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকম্প মোকাবেলা করছি। প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আমরা সবাইকে বলেছি, নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, এটি নিঃসন্দেহে ২০১১ সালের পর বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবারের এই ভূমিকম্প আঘাত হানার পর রাতভর অনেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয়। এর ১০ মিনিট পরই দ্বিতীয় দফায় ৫.৭ মাত্রার আরেকটি ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলছেন, গতকাল শনিবারের রাতের ভূমিকম্পে বেশি কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়েছে। রাস্তাঘাটও ভেঙে গেছে। জাপানের গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে , কমপক্ষে ২ লক্ষ বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না আক্রান্ত এলাকায়।