• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ২০১৯ অর্থ বছরে জাপানে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির চালান হ্রাস পাবে

    জাপানের একটি শিল্প গ্রুপ পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২০১৯ অর্থ বছরে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির ভাল বিক্রি অব্যাহত থাকলেও পূর্ববর্তী বছরের চাইতে তা কম হবে।

    জাপানের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি উৎপাদক সমিতি ধারনা করছে যে দেশের ভেতরে যন্ত্রপাতির চালান ২০১৯ অর্থ বছরে পূর্ববর্তী বছরের চাইতে ১.১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি ইয়েন বা ২১৬০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।

    উত্তপ্ত গ্রীষ্মের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এয়ার কন্ডিশনারের বিক্রি সতেজ অবস্থান উপভোগ করে। তবে ভোক্তাদের অনেকে তাঁদের পুরনো যন্ত্র ইতিমধ্যে বদল করে নেয়ায় চাহিদা হ্রাস পেতে পারে।

    কেউ কেউ প্রত্যাশা করছেন যে অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত ভোগ্য পণ্য কর বৃদ্ধির আগে লোকজন হয়তো ব্যাপকভাবে কেনাকাটায় জড়িত হতে পারেন। তবে সমিতি এর থেকে বড় কোন সমর্থন প্রত্যাশা করছে না।

    সমিতি পূর্বাভাস দিচ্ছে যে মোট চালানের সবচেয়ে বড় অংশ যে খাতের সেই এয়ার কন্ডিশনারের চালান ৬ শতাংশ বা অর্থের হিসাবে ৬৬০ কোটি ডলার হ্রাস পাবে।

    সমিতি এছাড়া আরও হিসাব করছে যে ফ্রিজের চালানের পরিমাণ হবে ৪১০ কোটি ডলার বা আগের চাইতে ৩.৫ শতাংশ বেশি এবং ওয়াশিং মেশিনের চালান ২.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩২০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।

    একটি ভুল মাসআলা

    Posted by admin on March 14
    Posted in Uncategorized 

    একটি ভুল মাসআলা

    মশার রক্ত লেগে থাকলে কি নামায হয় না?

    কিছু মানুষকে বলতে শোনা যায়- ‘তোমার কাপড়ে মশার রক্ত লেগে ছিল; তোমার নামায হয়নি।’ তাদের ধারণা, মশার রক্ত লেগে থাকলে নামায হয় না। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়।

    হাসান বসরী রাহ., আতা ইবনে আবী রাবাহ রাহ., আবু জাফর রাহ., উরওয়া ইবনে যুবাইর রাহ. প্রমুখ তাবেয়ী থেকে বর্ণিত আছে যে, কাপড়ে মশা-মাছির রক্ত লাগলে কোনো সমস্যা নেই। [দ্র. মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, (মাকতাবাতুর রুশদ,. রিয়াদ) বর্ণনা ২০১৯, ২০২০, ২০২১]

    তবে নযরে পড়লে এ রক্ত ধুয়ে নেওয়া যে ভালো তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    নিক্কেই শেয়ারের মূল্য পতন

    টোকিও শেয়ার বাজারে মুখ্য নিক্কেই গড় শেয়ারের মূল্য আজ দিনের শেষে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পূর্ববর্তী দিনে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অর্জিত মুনাফা ধরে রাখার জন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার ফলে এই মূল্য পতন ঘটল। উল্লেখ্য, বিনা চুক্তিতে ব্রেক্সিট এড়িয়ে যেতে পারে বৃটেন বলে বাজারে দেখা দেয়া ইতিবাচক মনোভাবের ফলে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল।

    নিক্কেই গড় শেয়ারের মূল্য মঙ্গলবার দিন শেষের তুলনায় ২১৩ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ২১ হাজার ২৯০ পয়েন্টে আজ দিন শেষ করেছে। অল্প সময়ের জন্য শেয়ারের মূল্য ৩০০ পয়েন্টের বেশি হ্রাস পেয়েছিল।

    ব্রেক্সিট নিয়ে দেখা দেয়া অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পূর্ববর্তী দিনে শেয়ারের মূল্যে যে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেই মুনাফা ধরে রাখতে বিস্তৃত ধরনের শেয়ার বিক্রি করা হয় বাজারে, যেটাকে বিশ্লেষকরা মূল্য হ্রাসের কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

    জাপানে ২০১১ সালের মহা-ভূমিকম্প ও সুনামি’তে নিহতদের স্মরণ

    উত্তর-পূর্ব জাপানে ২০১১ সালে মহা-ভূমিকম্প এবং সুনামির আঘাত হানা এলাকার লোকজন ঐ দুর্যোগের অষ্টম বর্ষ পূর্তির একদিন আগে আজ নিহতদের স্মরণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।

    ফুকুশিমা জেলার ইওয়াকি শহরে প্রায় ৩০০ ব্যক্তি একটি স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তয়োমা এলাকার প্রায় ৪শ দালান সুনামির ঢেউয়ে ভেসে গেলে ৭৬ ব্যক্তির মৃত্যুর পাশাপাশি ৭ জন নিখোঁজ হন।

    স্মারক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা এক মুহূর্তের নীরবতা পালনের পাশাপাশি এ মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া একটি নতুন স্মারকস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

    নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধি এবং সুনামিতে স্বামী হারানো চোকো কানারি বলেন, নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের বেদনাকে স্মরণের পাশাপাশি তিনি তার নিজ-শহরকে ভালবেসে যাবেন।

    উল্লেখ্য, অনেক দূরে থাকা লোকজনকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে এ বছর রবিবার এই স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    জাপানের দ্রুতগতি সম্পন্ন জাহাজের সাথে তিমি মাছের সংঘর্ষের সম্ভাবনা

    জাপানের উপকূল রক্ষী বাহিনী সন্দেহ করছে, একটি জেটইঞ্জিন বিশিষ্ট জাহাজের সংগে হয়ত একটি তিমি মাছের সংঘর্ষ হয়েছে। ঐ সংঘর্ষের মুহূর্ত-খানেক আগে একটি বৃহৎ সাদা বস্তু দেখার দাবি করেছেন জাহাজটির একজন ক্রু সদস্য।
    গতকাল বিকেলে নিগাতা বন্দর থেকে সাদো দ্বীপে যাওয়ার সময় ঐ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৮০ ব্যক্তি আহত হন যার মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
    উপকূল রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজটির পেছনের দিকে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটারের একটি ফাটল দেখা দিয়েছে এবং এর পানির নীচে থাকা পাখাটিও আংশিকভাবে বেঁকে গেছে। তারা বলছেন, সংঘর্ষের সময় সমুদ্র শান্ত ছিল এবং দৃস্টিগ্রাহ্যতাও ভাল ছিল। উল্লেখ্য, পূর্বে একই জলরাশিতে অন্য একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাহাজের সাথে একটি তিমি মাছের সংঘর্ষ হয়েছিল।

    উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং পরিবহন নিরাপত্তা পরিদর্শকরা এখন জাহাজটি পরীক্ষা করে দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

    বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ নারী কানে তানাকা

    জাপানের ১১৬ বছর বয়সী নারী কানে তানাকা বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি পেয়েছেন। শনিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে এ কথা জানা গেছে।

    কানে তানাকা ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম নেন। ওই বছর রাইট ভ্রাতৃদ্বয় মানবেতিহাসের প্রথম বিমান উড্ডয়ন করেন।

    জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ফুকুওকার এক নার্সিং হোমে তানাকা বাস করছেন। সিটি মেয়র শচিরো তাকাশিমা ও শুভাকাক্সক্ষীরা মিলে সেখানে তার এ স্বীকৃতি উদযাপন করেছে।

    ‘জীবনের কোন মুহূর্তটিতে তিনি সবচেয়ে সুখী হয়েছিলেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তানাকা বললেন, ‘এখন’।

    তানাকা ১৯২২ সালে হাইদিও তানাকাকে বিয়ে করেন। তিনি চার সন্তানের জন্ম দেন এবং পঞ্চম একটি সন্তান দত্তক নেন।

    কানে প্রতিদিন ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেন এবং বিকেলে অংক নিয়ে পড়াশুনা এবং ক্যালিওগ্রাফির চর্চা করেন।

    হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি জাদুঘরের সংস্কারকৃত অংশ উম্মুক্ত

    হিরোশিমা শান্তি জাদুঘরের নতুনভাবে সংস্কার করা প্রদর্শনীর একটি অংশ গণমাধ্যমের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

    গতকাল গণমাধ্যমের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়া জাদুঘরের মুল ভবনের এই অংশটিতে ৬ই অগাস্টের হিরোশিমা নামের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের এদিন যুক্তরাষ্ট্র শহরটির উপর আণবিক বোমা বর্ষণ করেছিল।

    প্রদর্শনীর জন্য রাখা সামগ্রীর মধ্যে, আণবিক বোমায় নিহতদের জিনিষপত্রের পাশাপাশি বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন স্থাপত্য কাঠামোগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    একটি অংশে, কাজের জন্য কারখানায় পাঠানো নিহত ছাত্রদের টুপি এবং পোষাকসহ লোকজনের উপর পড়া প্রভাবের উপর আলোকপাত করা বিভিন্ন জিনিষ রাখা রয়েছে।

    শহরটির ক্ষয়ক্ষতির জন্য উৎসর্গ করা অপর একটি অংশে আগতরা, বোমা বিস্ফোরণে দুমড়ানো মুচড়ানো একটি ইস্পাতের বীম এবং একটি চিমনি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হন।

    জাদুঘরের পরিচালক কেনজি শিগা জানান যে, পুনরায় সংস্কার করা প্রদর্শনীটি দর্শকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে তাঁর বিশ্বাস।

    উল্লেখ্য, প্রায় ২ বছর সংস্কার কাজ করার পর আগামী ২৫শে এপ্রিল জাদুঘরের মুল ভবনটি পুনরায় খুলে দেয়া হবে।

    জাপানি স্থপতি আরাতা ইসোযাকি’র প্রিটজকার পুরষ্কার লাভ

    জাপানি স্থপতি আরাতা ইসোযাকি এ বছরের প্রিটজকার স্থাপত্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, অতি সম্মানজনক এই পুরষ্কারকে প্রায়শ স্থাপত্য পেশার নোবেল পুরষ্কার হিসেবে অভিহিত করা হয়।

    ঐ পুরষ্কারের আয়োজক হায়াত ফাউন্ডেশনের জুরিরা গতকাল এই ঘোষণা দেন।

    বর্তমানে ৮৭ বছর বয়স্ক ইসোযাকি তার প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো অভিনব নকশার জন্য বিখ্যাত। জাপানের ওইতা জেলা লাইব্রেরি, লস এঞ্জেলস এর মিউজিয়াম অব কন্টোম্পোরারি আর্ট এবং সাংহাইয়ের দি হিমালায়াস সেন্টার তার অন্যতম কিছু স্থাপত্যকর্ম।

    হায়াত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান টম প্রিটজকার বলেন, ইসোযাকি হলেন জাপানি স্থপতিদের মধ্যে প্রথম একজন যিনি নিজ দেশের বাইরে স্থাপত্য নির্মাণ করেছেন “যখন পশ্চিমা সভ্যতা প্রথাগতভাবে পূর্বের উপর প্রভাব বিস্তার করত।”

    তিনি আরও বলেন, এ কারণে “বিশ্ব নাগরিক চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত” ইসোযাকির কাজ সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক চরিত্র ধারণ করে।

    আগামী মে মাসে ফ্রান্সে ইসোযাকির পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।

    অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশী নারী প্রার্থী

    প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে বসতে যাচ্ছেন কোনো বাংলাদেশী নারী। আগামী ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত সাবরিনা ফারুকি অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির (এএলপি) প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। আসন্ন এই নির্বাচনে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস (এসএসডব্লিউ) আইন পরিষদের একটি আসনে প্রার্থীতা করছেন তিনি।

    অস্ট্রেলিয়ার দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ এসএসডব্লিউ পরিষদে সাবরিনা ফারুকির প্রার্থীতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ নামের একটি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যম। তাদের প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মসূত্রে সাবরিনা বাংলাদেশের নাগরিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।

    ২০১৪ সালে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সিডনিতে যান তিনি। পরে সেখানে তিনি ‘ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস’ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ‘ইউনিভার্সিটি অব সিডনি’ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    জাপানের জীবন বিমা কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের বাজারের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে

    জাপানের কয়েকটি বিমা কোম্পানি মিয়ানমারে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দ্রুত উন্নয়নশীল এই দেশটির জনসংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি এবং সেখানকার জীবন বিমা বাজারের অনেকটাই এখনও কাজে লাগানো হয়নি।

    মিয়ানমারের আর্থিক কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিদেশি বিমা কোম্পানিগুলোকে সেদেশে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়।

    দাই-ইচি জীবন বিমা কোম্পানি গত সপ্তাহে লাইসেন্সের আবেদনের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি না পেলে তারা স্থানীয় একটি কোম্পানির সাথে কাজ করবেন।

    নিপ্পন জীবন বিমা এবং তাইয়ো জীবন বিমা কোম্পানি ইতোমধ্যে স্থানীয় কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। কোম্পানি দু’টি জানিয়েছে তারা এই গ্রীষ্মকাল থেকে আগেভাগেই বিক্রয় শুরু করে দিতে পারে।

    এবার মিলতে পারে সুপার হিউম্যানের খোঁজ: নাসা

    বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও ‘সুপার হিউম্যান’দের দেখা পেতে আর হয়ত বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না মানুষকে! জন্ম হলো প্রাণ-সৃষ্টির মূল উপাদানের মতোই সম্পূর্ণ নতুন ধরনের আরও একটি অণুর। যার নাম-‘হাচিমোজি’। জাপানি শব্দ ‘হাচিমোজি’। এর আগে এই ধরনের অণুর হদিস মেলেনি পৃথিবীতে। খোঁজ মেলেনি ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও। এই অণুর হাতেই ‘সুপার হিউম্যান’র জিয়নকাঠি! আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

    নাসার অর্থে পরিচালিত গবেষণায় অংশ নেওয়া গবেষকরা জানিয়েছেন, এই সদ্য আবিষ্কৃত অণুর হাতেই রয়েছে নতুন রকমের প্রাণের জিয়নকাঠি। যা এখনো মানুষের নজরে পড়েনি। কিন্তু সেই জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও সেই প্রাণের জন্ম হয়ত অনেক আগেই হয়ে গিয়েছে। নাসার বিজ্ঞানীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই অণুর সাহায্যেই হয়ত তৈরি হয়ে গেছে সুপার হিউম্যান কিংবা তৈরি হবে সুপার হিউম্যান! আন্তর্জাতিক গবেষকদলের নেতৃত্বে রয়েছেন ফ্লোরিডার আলাচুয়ায় ফাউন্ডেশন ফর অ্যাপ্লায়েড মলিকিউলার এভোলিউশন-এর স্টিভেন বেন্নার। মিশিগানে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথনও রয়েছেন এই দলে। এই সুপার হিউম্যানের ধারণা সম্পর্কে নাসার বিজ্ঞানীদের অভিমত, আমাদের এই পৃথিবী অথবা ভিন গ্রহেও থাকতে পারে এই সুপার হিউম্যান। হয়ত অনেক আগেই কোথাও না কোথাও তৈরি হয়ে গেছে সুপার হিউম্যান। আর সেই সুপার হিউম্যানকেই হয়ত দিন দিন আরও বেশি উন্নততর করে তুলছে ভিনগ্রহের কেউ।

    কলকাতার ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স (আইসিএসপি)-এর অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট্রি ও অ্যাস্ট্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান অঙ্কন দাসের বক্তব্য, কোটি কোটি বছরের পরিক্রমায় সেই প্রাণ হয়ত আরও উন্নত হয়ে গিয়েছে। বা আমাদের মতোই কোনো জীব হয়ত কোনো সুদূর অতীতে কৃত্রিমভাবে সেই প্রাণ সৃষ্টি করেছিল। যা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি উন্নত। তা হতে পারে উন্নততর মানুষ বা ‘সুপার হিউম্যান’। বা হতে পারে উন্নততর প্রাণী কিংবা উন্নততর কোনো উদ্ভিদ!

    মিশিগান থেকে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএনএ বিশেষজ্ঞ ভারতীয় অধ্যাপক কুমার রঙ্গনাথন জানিয়েছেন, এতদিন জানা ছিল, ডিএনএ-র শরীর গড়ে তোলে প্রাণ সৃষ্টির বর্ণমালার চারটি অক্ষর। এ, সি, জি, টি। প্রাণের টানে বর্ণমালার সেই চারটি অক্ষরই পাঁচ গুণ বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় ২০। নিজেদের মধ্যে নানা রকমের কায়দা-কসরতের মাধ্যমে গড়ে তোলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড।

    রঙ্গনাথন বলেন, আমাদের গবেষণা জানাল, ধারণাটা এবার বদলাতে হবে। ডিএনএ অণুর মতোই আরও একটি অণুর অস্তিত্ব সম্ভব। তেমন অণুও বানানো যায়, যেখানে চারটি নয়, আটটি জিনিস দিয়ে গড়ে উঠছে ডিএনএ-র শরীর। তাদের সংক্ষিপ্ত নামগুলো হলো, পি, বি, এস এবং জেড। এর নাম আমরা দিয়েছি, ‘হাচিমোজি’। ‘হাচি’ মানে, আট। আর ‘মোজি’ মানে, অক্ষর।

    তার মতে, আগের সেই ধারণার বাইরে ৪টি অক্ষরের বদলে ৮টি অক্ষরের সমন্বয়ে তৈরি হবে ডিএনএ। এমনটি হলে ২০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিডের বদলে আরও অনেক বেশি অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে যা দিয়ে তৈরি হবে নতুন নতুন রকমের প্রাণ। আর সেটা হলে আমাদের চেয়ে আরও অনেক বেশি উন্নত প্রাণের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    মূলত এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, হয়ত পৃথিবীতে কিংবা অন্য কোনো গ্রহে ইতোমধ্যে হাচিমোজি অণুর সাহায্যে তৈরি হয়ে গেছে বিশেষ কোনো প্রাণ, এই বিশেষ প্রাণকেই সুপার হিউম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা। -আনন্দবাজার

    জাপানের ২০১১ সালের মহাভূমিকম্প এবং সুনামি সংশ্লিস্ট দুর্যোগে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে

    জাপানের সরকার বলছে, নিজেদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয়ের কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যার মুখোমুখি হওয়ায় ২০১১ সালের মহা-ভূমিকম্প এবং তৎপরবর্তী সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া ৩৭শ’রও বেশি ব্যক্তি পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেছেন।

    দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট মৃত্যু নিয়ে প্রতি ছয় মাস অন্তর উপাত্ত সংগ্রহ করে “দি রিকন্সট্রাকশন এজেন্সি” নামক একটি পুনর্গঠন এজেন্সি।

    এজেন্সি কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরপূর্ব জাপানে ঐ দুর্যোগ এবং তৎপরবর্তী পরমাণু দুর্ঘটনার সাড়ে সাত বছর পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে মোট ৩ হাজার ৭শ ১টি মৃত্যু তারা নথিবদ্ধ করেন।

    এটি এর আগের বছরের তুলনায় ৫৬ জন বেশি মৃত্যুর ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত পরমাণু চুল্লি অবস্থিত ফুকুশিমা জেলায় মোট ২ হাজার ২শ ৫০ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে, এলাকার ভিত্তিতে যা সবচেয়ে বেশি সংখ্যা।

    এরপর ৯২৮ মৃত্যু নিয়ে রয়েছে মিয়াগি জেলা। আর ইওয়াতে জেলায় এই সংখ্যা ৪শ ৬৭।

    কর্মকর্তারা বলছেন, মোট ৩ হাজার ৪শ ২৪ জন অর্থাৎ ৯৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগের ৩ বছরের ভেতর এবং বাকী ২শ ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এর পরে।