• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • টিকার উন্নয়নে জাপানের অগ্রগতি

    জাপানের বৃহৎ ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি, ভেঞ্চার কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত থাকা গবেষণা সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস রোধী টিকার উন্নয়নে কাজ করছে।

    টিকার উন্নয়নে সরকার ওষুধ কোম্পানির নেতৃত্ব দেয়া চারটির পাশাপাশি কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাঁচটি গবেষণায় সহায়তার জন্য মোট প্রায় ৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    দ্রুত হলে এই গ্রীষ্মে ক্লিনিকাল বা মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষা শুরুর প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    মুরগির ডিম এবং প্রাণীর কোষ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাসের চাষ করে সেগুলোর ক্ষতিকর উপাদান মুক্ত করার মধ্যে দিয়ে টিকা তৈরি করা হয়।

    উচ্চ নিরাপত্তা মানের যন্ত্রপাতি থাকা স্থাপনায় বারংবার পরীক্ষা করতে হয় বিধায় একটি টিকার গণহারে উৎপাদনের জন্য সাধারণত এক বছর বা তার চাইতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।

    তবে করোনাভাইরাসের জন্য এই সময় কমাতে গবেষকরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উজ্জীবিত করার জন্য ভাইরাসের জিনের অংশ বা অ্যান্টিজেন নামে পরিচিত মানব নির্মিত প্রোটিন ব্যবহার করার মত নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।

    করোনা ভাইরাস : বর্তমান সম্পর্কে সচেতন থাকি, সামনের আমলের প্রস্তুতি নিই

    আমরা সবাই একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভীতি ও শঙ্কা সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে। বিশ্বব্যাপী যাতায়াত ব্যবস্থা ও অন্যান্য ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। কোনো কোনো আধুনিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘লক-ডাউন’ ঘোষিত হয়েছে। তবে এই সব কিছুর পেছনে খুবই ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস। হাঁ, করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মারা যাওয়ার সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি ভয়ের, তবে তার চেয়েও বেশি চিন্তা-ভাবনা ও সচেতনতার। এ পরিস্থিতিতেও উদাসীন-অমনোযোগী থাকা ভালো নয়। আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সচেতন হওয়া মানে কী?

    এ ধরনের পরিস্থিতিতে সচেতন হওয়া মানে আল্লাহকে ভয় করা, আল্লাহ-অভিমুখী হওয়া, নিজের কর্ম ও আচরণের মুহাসাবা করা, কর্ম-আচরণে যদি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার কোনো কিছু থাকে তাহলে অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করা। এটি প্রথম কাজ। এর পাশাপাশি সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করাও কাম্য। এক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে যে স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেমন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাবান-পানি দিয়ে নিয়মানুযায়ী হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির ক্ষেত্রে সাধারণ শিষ্টাচার মেনে চলা, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা এড়িয়ে চলা ইত্যাদি নিয়ম মেনে চলতে কোনো বাধা নেই। এই সাধারণ স্বাস্থ্য-বিধি বা বিশেষ অবস্থায় বিশেষ নিয়মকানুন মেনে চলার শিক্ষা ইসলামী শরীয়তে আছে।

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উপরোক্ত স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি তাকদীরে বিশ্বাস রাখা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট ও সমর্পিত থাকা। এতেই মুমিনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ। রোগ-ব্যাধি, সুস্থতা-অসুস্থতা, জীবন-মৃত্যু সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছায়। তাঁর ইচ্ছাকে রদ করার কেউ নেই। রোগ-ব্যাধির কারণগুলোও তাঁর সৃষ্টি, তাঁরই ইচ্ছায় সেগুলো কাজ করে। মুমিনের কর্তব্য এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে তাঁর ইচ্ছায় পূর্ণ সমর্পিত থাকা যে, আল্লাহ তাআলা যা লিখে রেখেছেন তার অন্যথা কিছুতেই হবে না। সুস্থতা লিখিত থাকলে সুস্থ থাকব, অসুস্থতা লিখিত থাকলে তা-ই ঘটবে। তবে বিষয়টি যেহেতু আমাদের জানা নেই তাই তাকদীরে বিশ্বাসের সাথে স্বাভাবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাওয়াও ইসলামেরই নির্দেশ। এই অটল বিশ্বাস ও সওয়াবের প্রত্যাশা নিয়ে দিন-গুজরানকারী মুমিনের যাই ঘটুক সেটি তার জন্য কল্যাণের হবে। সুস্থতাও কল্যাণের, অসুস্থতাও কল্যাণের, এমনকি মৃত্যু ঘটলে সেটিও হবে কল্যাণের। আল্লাহ তাআলা এই বান্দাকে দান করবেন শাহাদাতের মর্যাদা। কাজেই অতি মাত্রায় ভয়ের কিছু নেই।

    মানুষের জীবনে কখনো কখনো এই রকমের অবস্থা ও পরিস্থিতি আসে। মূলত তা পরীক্ষারই নানা রূপ। মুমিনের কর্তব্য, পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করা।

    সচেতনতার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে, কোন অবস্থায় কুরআন-সুন্নাহ্র কী বিধান কী শিক্ষা তা সঠিকভাবে জেনে আমলে আনা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কুরআন-সুন্নাহ্র শিক্ষা জানতে হবে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে এই গুরুত্বপূর্ণ নীতির অনুসরণ আমাদেরকে সত্যিকারের কল্যাণের অধিকারী করতে পারে। জীবনের ভালো-মন্দ সব কিছুই আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে উঠতে পারে।

    সাময়িক বা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির বিশেষ করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা ও আমলের পাশাপাশি সাধারণ করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কেও স্বাভাবিক কর্ম-ধারা, যিকির-তিলাওয়াত, সামনের আমলের স্বাভাবিক প্রস্তুতিও কাম্য। আমাদের সবারই জানা আছে যে, মাহে রমযান সমাগতপ্রায়। দেখতে দেখতে রহমত ও মাগফিরাতের এই মাস আমাদের মধ্যে উপস্থিত হবে। এই মাসের ইবাদত-বন্দেগীর জন্য এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা কর্তব্য।

    মুমিনের প্রতিটি দিন হতে হবে তার বিগত দিনের চেয়ে ভালো। নিজের ও সংশ্লিষ্টদের জীবন ও কর্মগঠনে প্রতিদিনই তার কিছু কিছু উন্নতি হবে। তার উন্নতির সূচক হবে ঊর্ধ্বমুখী।

    দ্বীনী জীবন গঠনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ দ্বীনী ইলম। দ্বীনী ইলম অর্জন করা ছাড়া দ্বীনী জীবন গঠনের ও উন্নতি সাধনের চিন্তা বাতুলতা মাত্র। তাই মুমিন প্রতিদিনই শিখতে থাকবে, জানতে থাকবে। দ্বীন সম্পর্কে, ঈমান সম্পর্কে জানার ধারাবাহিকতায় কখনই ছেদ পড়বে না। হাঁ, ব্যস্ততা-অবসরের পার্থক্যে সময় দেয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য হতে পারে কিন্তু যাকে বলে ‘পাঠ চুকিয়ে ফেলা’Ñ অন্তত দ্বীনী ইলমের ক্ষেত্রে  তো কখনো ঘটবে না।

    মাহে রমযান একদিক থেকে কুরআনের মাস। তাই এ মাসে মুমিন বিশেষভাবে কুরআনের বিষয়ে মনোযোগী হতে পারেন। কুরআনের সাথে নিজের ও সংশ্লিষ্টজনদের সম্পর্কের দিকটি মূল্যায়ন করতে পারেন। জীবনের যে দিনগুলো কেটে গেছে সে হিসেবে কুরআন মাজীদের সাথে সম্পর্ক কতটুকু হয়েছে তার হিসাব মেলাতে পারেন। সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া কতটুকু শেখা হয়েছে, স্ত্রী-সন্তানেরাও শিখেছে কি না, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস হয়েছে কি না, কুরআন মাজীদের কয়টি সূরা বা কতটুকু অংশ হিফয হয়েছে, পূর্ণ কুরআন মাজীদ হিফয করার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আছে কি না, কুরআন মাজীদের মৌলিক শিক্ষা হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে স্বচ্ছভাবে জানার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আছে কি না, কুরআন মাজীদের আদেশ-নিষেধ, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা কতটুকু তৈরি হয়েছে, নিজের ও সংশ্লিষ্টদের জীবনে তা কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে, কুরআনে কারীমের আকীদা-ব্যবস্থা, ইবাদত-ব্যবস্থা, আখলাক-ব্যবস্থা, লেনদেন-ব্যবস্থা, সামাজিক-ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানাশোনার পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে কি না, অন্তরে আল্লাহর ভয়, আল্লাহর প্রতি ভরসা, দুনিয়ার মোহমুক্তি, আখিরাতমুখিতা তৈরি হচ্ছে কি না, কুরআনে কারীমের প্রতিশ্রæতি ও হুঁশিয়ারি সম্পর্কে বিশ্বাস ও সংবেদন কতটুকু তৈরি হয়েছে, স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ও পরস্পরের সম্পর্কে সেই সংবেদনের প্রতিফলন ঘটছে কি না, কুরআনের ইলমের ধারক-বাহকদের প্রতি অন্তরে শ্রদ্ধা-ভক্তি ও নম্রতা তৈরি হচ্ছে কি না, কুরআনের শিক্ষা-বিস্তারে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, আখিরাতের জীবনে চলে যাওয়ার পরও পুণ্যের ধারা অবিচ্ছিন্ন রাখতে পারার কোনো চিন্তা ও পরিকল্পনা করা হয়েছে কি না, করে থাকলে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে স্বচ্ছ-সঠিক রূপরেখা প্রণীত হয়েছে কি নাÑ ইত্যাদি অনেক কিছুই ভেবে দেখার মতো আছে। এইসকল চিন্তা-ভাবনাও খোদাভীতি ও আখিরাত-মুখিতার প্রকাশ।

    মুমিনের জীবন কখনো ‘বেঘোর নিদ্রার জীবন’ হতে পারে না। প্রাত্যহিক পরিস্থিতি, রুযি-রোযগারের দৌড়ঝাঁপ, অসুস্থতা-সংকট কোনো কিছুই তার উন্নতির পথে পথচলাকে থামিয়ে দিতে পারে না। দেহের বাহ্যিক সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিচিত্র কর্ম-ব্যস্ততার মধ্যেও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ, শ্বাস-প্রশাস, রক্ত-সঞ্চালন যেমন চলমান থাকে তেমনি বাহ্যিক সকল অবস্থা ও পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়ার মধ্যেই চলতে থাকবে মুমিনের আখিরাত-অভিমুখী উন্নতির অভিযাত্রা।

    মাহে রমযান আমাদের মাঝে হাজির হয় সেই উন্নতি-চেষ্টার জ্বালানী নিয়ে। এ মাসের হক্ক আদায়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করে নিতে পারি আমাদের আগামী জীবনের পথচলার শক্তি।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখুন, কর্মক্ষম ও কর্মচঞ্চল রাখুন, কল্যাণের পথের অভিযাত্রী হওয়ার ও সেই যাত্রাকে অব্যাহত রাখার তাওফীক দান করুনÑ আমীন।

    ক্ষতিকর ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে ফেসবুক

    ফেসবুকের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তাঁর সামাজিক নেটওয়ার্ক কম্পানি করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

    বৃহস্পতিবার জাকারবার্গ বিবিসি’কে বলেন, তাঁর কম্পানি নেটওয়ার্ক থেকে এমন সব তথ্য সরিয়ে ফেলছে যে তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে কারুর ক্ষতি করতে পারে বা যা থেকে আসন্ন ক্ষতির আশংকা আছে।

    তিনি বলেন, “এমনকি সেই তথ্যে যদি বস্তুগত ক্ষতি আসন্ন নাও হয়, তবু আমরা কোনো ভুল তথ্য ব্যাপক ভাবে প্রচার হতে দিতে চাই না”। তিনি আরও বলেন, ভুল তথ্য প্রচার রোধ করার জন্য ফেসবুক তথ্য যাচাইয়ের স্বাধীন সংস্থা’র সাথে কাজ করছে।

    জাকারবার্গ বলেন, ফাইভ-জি ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ভাইরাস বিস্তারে মদত দিচ্ছে, এমনটা দাবি করা খবর ফেসবুক তার নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই তথ্য গতমাসে বৃটেনে ব্যাপকভাবে বিনিময় হয়, যার ফলে ফাইভ-জি’র অবকাঠামোর কিছু ক্ষতি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    তবে সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণ ভুল তথ্য এখনও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা এখনও অপ্রতুল।

    লকডাউনের সময়ে বিশ্ব জুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস

    গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে বিশ্ব জুড়ে লোকজন ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় দৈনিক কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

    ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল এই ফলাফল খুঁজে পায়। ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ সাময়িকীতে তাদের এই প্রতিবেদন তারা মঙ্গলবার প্রকাশ করেছেন।

    ৬৯টি প্রধান কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণকারী দেশের ঘরবন্দী থাকার সরকারি নীতি দলটি বিশ্লেষণ করেছে। এরপর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ে প্রতিটি দেশে প্রতিদিনের জীবাশ্ম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে পরিবর্তন দল হিসাব করে দেখে।

    চীনের দৈনিক নিঃসরণ গত বছরের তুলনায় ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস পাওয়া হিসাব করা হয়েছে।

    বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন ২০২০ সালে নিঃসরণ মাত্রার উপর ঘরবন্দী থাকার প্রতিক্রিয়া ঘরবন্দী অবস্থার স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করবে। কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব জুড়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বজায় থাকলে সর্বোচ্চ মাইনাস ৭ শতাংশ হিসাব তারা করছেন।

    তারা বলছেন এই হ্রাস বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বন্ধ করার মত পর্যাপ্ত নয় এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিৎ হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার লাভ করতে থাকা অবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়িত করা।

    ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান

    শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের ভূমিতে আঘাত হেনেছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে সরে আসা লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    আম্পান এক পর্যায়ে প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে উঠে মারাত্মক ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিলেও ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূর দিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকা অবস্থায় কিছু শক্তি সেটা হারিয়ে ফেলে।

    বুধবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভূমিতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে।

    ভারত ও বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় খুব খারাপ এক সময়ে চরম এই আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

    ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি রাজ্যে ৪ হাজারের কাছাকাছি এবং বাংলাদেশে ২৫ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    উভয় দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    আভিগান ওষুধটি কার্যকর কিনা তা প্রমাণ করতে আরো পরীক্ষার প্রয়োজন

    জাপানের সূত্র সমূহ জানাচ্ছে যে আভিগান নামক ওষুধটির মানব দেহে পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে থাকা তৃতীয় পক্ষ হিসাবে জাপানি একটি কমিটি বলেছে যে কোভিড-১৯ রোগের কার্যকর এক চিকিৎসা হিসাবে ওষুধটিকে গণ্য করার সময় এখনো আসেনি। আভিগান হল জাপানের একটি কোম্পানি উৎপাদিত ফ্লু প্রতিরোধক এক ওষুধ।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮৬ জন ব্যক্তির উপর ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এদের সকলের শরীরেই খুব মৃদু বা রোগের কোন ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। দুটি গ্রুপে এদেরকে ভাগ করা হয়েছে। একটি গ্রুপের উপর হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকে শুরু করে ১০ দিন পর্যন্ত আভিগান ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। অন্য গ্রুপটিকে হাসপাতালে ভর্তির ষষ্ঠ দিন থেকে ওষুধটি দেয়া হয়। দুটি গ্রুপের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি কতটা কমেছে তা গবেষকরা ষষ্ঠ দিনে তুলনা করে দেখেন।

    ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল তৃতীয় পক্ষ হিসাবে এক কমিটির মূল্যায়ন করে দেখার কথা।

    পরীক্ষা চালিয়ে থাকা কমিটির সাথে পরিচিতি রয়েছে এমন সূত্র সমূহ জানিয়েছে যে প্রায় ৪০ জন ব্যক্তির উপর চালানো পরীক্ষার মধ্য মেয়াদী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখার পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ওষুধের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে হলে গবেষকদের পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে করোনাভাইরাসের এক চিকিৎসা হিসাবে চলতি মাসেই আভিগানকে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা করছে তারা।

    মার্চ মাসে চীন ঘোষণা দিয়েছিল যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।

    চরম দারিদ্র্য’র মুখে পড়তে পারে ৬ কোটি মানুষ: বিশ্ব ব্যাংক

    করোনা ভাইরাস মহামারিতে ৬ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য’র মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। যেসব মানুষের দৈনন্দিন আয় ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম, তাদেরকেই ‘চরম দরিদ্র’ বলে বিবেচনা করে থাকে বিশ্ব ব্যাংক।

    সতর্কতা বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চাকরি হারাচ্ছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসান হচ্ছে, গরিব দেশগুলো বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ পরিস্থিতি ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে। গত তিনবছরে দারিদ্র্য বিমোচনে যে অগ্রগতি হয়েছিল তা মুখ থুবড়ে পড়বে।

    করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হিমশিম এই বিশ্বে এবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান মালপাস।

    ওসাকা দুর্গের প্রধান দালান খুলে দেয়া হল

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ রাখার পর ওসাকা দুর্গের প্রধান দালানটি দর্শকদের সামনে খুলে দেয়া হয়েছে।

    বুধবার সকালে দালানের ফটক উন্মুক্ত করার সময় ড্রামের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখেন কর্মীরা এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্তকরণের লক্ষ্যে তাদের নাম এবং ঠিকানা লিখতে বলেন।

    পর্যবেক্ষণ ডেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সময় দূরত্ব বজায় রেখে টেপ দিয়ে দাগ করে রাখা জায়গাগুলোতে দর্শনার্থীরা দাঁড়ান।

    ষাটের কোঠার বয়সী ওসাকার এক ব্যক্তি বলেন যে তিনি দালানটি খোলার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিনি বলেন যে এটি তাকে আবারো সতেজ করে তুলতে সাহায্য করছে।

    ওসাকা দুর্গের যাদুঘরের পরিচালক কিতাগাওয়া হিরোশি বলেন, দুর্গটি বন্ধ রাখার সময়সীমা তার প্রত্যাশার থেকে বেশি ছিল। অধিক সংখ্যক দর্শনার্থীদের তিনি অভ্যর্থনা জানাতে চান উল্লেখ করে বলেন যে ওসাকার ইতিহাস জানার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও তারা যেন মনোযোগ দেন তা তিনি এখন দেখতে চান।

    যুক্তরাষ্ট্রে আশা জাগাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন

    যুক্তরাষ্ট্রে বায়োটেক কোম্পানি মডার্নার তৈরি একটি ভ্যাকসিন আশা আলো দেখাচ্ছে। যাদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক ফল ভালই বলে জানা গেছে।

    ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজ ভিত্তিক কোম্পানি মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. টাল জ্যাকস বলেন, যদি ভবিষ্যতে ফল ভালো আসে তাহলে জানুয়ারিতে বাজারে ভ্যাকসিনটি পাওয়া যাবে।

    প্রথম পর্যায়ে মানবদেহে চিকিৎসায় ভাল কাজ করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভালভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আটটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে তিনটিই যুক্তরাষ্ট্রের। একটি ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের এবং চারটি চীনের। -সিএনএন

    টোকিও ও ওসাকা’র সংক্রমণ উপাত্তের উপর মনোযোগ দিবে জাপান সরকার

    টোকিও এবং ওসাকায় সংক্রমণ ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে বাকি আটটি জেলার উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে জাপান সরকার।

    উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। আর গত বৃহস্পতিবার ৩৯টি জেলা থেকে সেটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

    আগামী বৃহস্পতিবারের দিকে আটটি জেলার উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা, সেটি নির্ধারণের জন্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত জানতে চাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

    জরুরি ঘোষণাটি এখনও টোকিও এবং এর আশেপাশের পূর্বদিককার জেলা সাইতামা, চিবা ও কানাগাওয়া’র পাশাপাশি উত্তরের জেলা হোক্কাইদো এবং পশ্চিমের প্রতিবেশী জেলা ওসাকা, কিয়োতো এবং হিয়োগো’র উপর বলবৎ রয়েছে।

    সরকার সংশ্লিষ্ট দুই অঞ্চলের উপর থেকে জরুরি অবস্থা কবে তুলে নেয়া হবে সেটি বিবেচনার জন্য টোকিও ও ওসাকা’র সংক্রমণ পরিসংখ্যানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সরকার সংশ্লিষ্ট আটটি জেলার লোকজনকে সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছে। এছাড়া, অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে তারা।

    প্রথম ত্রৈমাসিকে জাপানের জিডিপি’র ৩.৪ শতাংশ সংকোচন

    জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে জাপানের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের বড় ধরনের হ্রাসের মধ্যে দিয়ে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব রাখা অব্যাহত রেখেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ দপ্তর বলছে, এর পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিক হতে বার্ষিক ৩.৪ শতাংশ হারে প্রকৃত জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। এটি টানা দ্বিতীয় সংকোচন।

    জাপানের জিডিপির অর্ধেকেরও বেশি স্থান দখল করা ব্যক্তিগত ভোক্তা ব্যয় ০.৭ শতাংশ কমেছে। লোকজন বাইরে গিয়ে আহার এবং পর্যটন কার্যক্রম থেকে বিরত থেকেছে। গাড়ি বিক্রিও বেশ তীক্ষ্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    বৈশ্বিকভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় রপ্তানি ৬ শতাংশ কমেছে। আবাসন বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে ৪.৫ শতাংশ যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও কমেছে ০.৫ শতাংশ।

    এদিকে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে অর্থনীতি বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আরও বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

    জাপানের তরুণেরা শহরের বাইরে কাজ খুঁজছেন

    জাপানের একটি কর্মসংস্থান তথ্য সেবা কোম্পানি বলছে, চলমান করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শহরে বসবাসরত তরুণ কর্মী নগর এলাকা থেকে দুরে কাজের প্রত্যাশা করছেন।

    গাকুজো কোম্পানি বয়স বিশের কোঠায় থাকা নতুন কাজ খোঁজা তরুণদের উপর চালানো এক জরিপে জানতে চায় এই প্রাদুর্ভাব তাদের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলছে। এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ থেকে মে মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। প্রায় ৩শ ৬০ ব্যক্তি এতে সাড়া দেন।

    তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ জানায় যে তারা গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে চান। এটি ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচালিত এর পূর্বের সমীক্ষার চাইতে প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি।

    এর কারণ জানতে চাওয়া হলে কেউ কেউ বলেন, বাড়ি থেকে কাজ করার সময় তারা এটি অনুধাবন করেছেন যে তারা যে কোন স্থান থেকেই কাজ করতে সমর্থ হবেন।

    অন্যদের মতে, নগর এলাকায় কাজ তাদের কাছে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। আর অন্যরা বলেছেন, তারা তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে চান।

    কোম্পানি কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণ রোধে লোকজনের প্রতি জানানো আন্তঃজেলা সীমানা অতিক্রম না করার অনুরোধ তুলে নেয়ার পর আরও বেশি সংখ্যক তরুণ কাজের জন্য আঞ্চলিক এলাকার দিকে যাবে।

    জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরও সতর্ক থাকার আহ্বান

    জাপান সরকার, দেশের অধিকাংশ জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

    উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার, টোকিও ও ওসাকা সহ অন্যান্য ৮টি জেলা ছাড়া অবশিষ্ট ৩৯টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

    তবে গত শুক্রবার, জরুরি অবস্থা বিরাজমান থাকা ৮টি জেলাতেও একদিন আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক লোকজনকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

    শনিবার অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি, দৃশ্যত লোকজনের মধ্যে কিছুটা প্রসন্নতা প্রত্যক্ষ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    তিনি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে প্রতীয়মান হওয়া পরিস্থিতির মত প্রথমবারের সদৃশ সংক্রমণের ২য় ঢেউ আসার সম্ভাবনা থাকার বিষয়েও সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

    সরকার আগামী বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট ৮টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা বিবেচনা করায় সংক্রমণের ঘটনার পুনরুত্থানের সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করছে।

    সরকার, বিশেষ করে নাইটক্লাব, লাইভ সঙ্গীতানুষ্ঠান, কারাওকে পারলার এবং স্পোর্টস জিমসহ অন্যান্য স্থানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানোরও ইচ্ছা পোষণ করছে।

    অনেক এলাকা থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নিচ্ছে জাপান

    জাপান সরকার সারা দেশ জুড়ে জারী করা জরুরি অবস্থা দুই তৃতীয়াংশের বেশি জেলা থেকে মূল পরিকল্পনার দু’সপ্তাহ আগে তুলে নিচ্ছে।

    জাপানের সবগুলো জেলা প্রায় এক মাস ধরে জরুরি অবস্থার আওতাধীনে আছে।

    টোকিও, ওসাকা এবং অন্য ছয়টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।

    মহামারী শেষ হওয়ার আগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে বলে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি নতুন সংক্রমণের ঘটনা শনাক্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রাখার জন্য তাদের জানানো আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেছে।

    ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ যেখানে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে, এমন এক পরিস্থিতির মুখে ডব্লিউএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।

    রায়ান উল্লেখ করেন যে অল্প পরিমাণে ভাইরাসটির পুনরাবর্তন দেখা দিলেও তা মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের গুরুতর রকমের প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হতে পারে, যেমনটি কয়েকটি দেশে দেখা যাচ্ছে।

    ভাইরাসটির উপস্থিতি হয়তো মানবসমাজে সবসময় থেকে যাবে এবং কখনোই সেটা উধাও হয়ে যাবে না, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে রায়ান উল্লেখ করেন।

    প্রতিষেধক টিকা উন্নয়নে আর্ন্তজাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন যে এইচআইভি ভাইরাস উধাও হয়ে যায়নি। তবে চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়ার কারণে ভাইরাসটি আগের মত লোকজনের মধ্যে আর ভীতির সঞ্চার করে না।