• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • গুরুত্বপূর্ণ গভর্নর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের জয়

    জাপানের রবিবারের স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত করা হয়েছে। গভর্নর, মেয়র এবং স্থানীয় পরিষদের সদস্যসহ কয়েক হাজার আসনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একীভূত স্থানীয় নির্বাচনের দুই ধাপের মধ্যে প্রথমটিতে ১১টি জেলার ভোটাররা গভর্নর নির্বাচনের জন্য ভোট দেন।

    হোক্কাইদোতে গভর্নর নির্বাচনে জাতীয় ক্ষমতাসীন জোটের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থী বিরোধী শিবিরের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন।

    জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হোক্কাইদোতে প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে’র লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং এর ক্ষমতাসীন জোট কোমেইতো’র সমর্থন নিয়ে ইউবারি শহরের সাবেক মেয়র নাওমিচি সুযুকি প্রথমবারের মত গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন।

    এটি ছিল একমাত্র গভর্নর নির্বাচন যেখানে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী জোট সরাসরি এক অপরের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। দলগুলো এই নির্বাচনকে চলতি গ্রীষ্মে সংসদের উচ্চ কক্ষের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে গ্রহণ কোরে এবং ব্যাপক প্রচারণা চালায়।

    ক্ষমতাসীন জোট জানিয়েছে, তারা হোক্কাইদো’র এই জয়কে চলতি গ্রীষ্মে উচ্চ কক্ষের নির্বাচনের জন্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে।

    বিরোধী জোট উচ্চ কক্ষের নির্বাচনে ৩২টি একক আসন বিশিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় যৌথভাবে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রত্যাশা করছে।

    একটি কিনলে একটি ফ্রি! প্রতারিত যেন না হই

    মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

    ছোট বেলায় ফার্সী সাহিত্যে শেখ সা‘দী রাহ.-এর একটি নীতিবাক্য পড়েছিলাম-

    خوردن براۓ زيستن ست، نہ زيستن براۓ خوردن.

    অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য আহার, আহারের জন্য বেঁচে থাকা নয়।

    বক্তব্যটি সম্ভবত অনেকেরই জানা, অন্যান্য ভাষাতেও তা থাকবে। নীতিগতভাবে এই বক্তব্যের সাথে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়, দ্বিমত থাকলেও সেটা নিজের ভেতর পুষে রাখাটাই শ্রেয় মনে করার কথা, কিন্তু এখন আমাদের চারপাশের পরিবেশে এই নীতিবাক্য যেন সেকেলে হয়ে পড়েছে। খাবার-দাবার নিয়ে অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি, নানা প্রসঙ্গে ফোর স্টার, ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর হেন অফার, তেন অফার দৃষ্টে মনে হয় এখন যেন খাওয়ার জন্যই মানুষের বেঁচে থাকা!

    এই কথাগুলো আমার সাধারণত মনে পড়ে পবিত্র রমযান মাসে। দেশের নামকরা হোটেলগুলো থেকে সাহরি-ইফতারের নানা ক্যাটাগরির অফারের ছড়াছড়ি দেখে প্রতিবারই মনে হয় কিছু লিখি। কিন্তু যখন মনে পড়ে তখন আর সময় থাকে না, রমযানের পত্রিকা প্রেসে চলে যায়। তাই এবার এ বিষয়ে দুটি কথা একটু আগেভাগেই বলার ইচ্ছা করেছি।

    আগেভাগে বলার পিছনে আরেকটি কারণও অবশ্য আছে। এজাতীয় অফার আগে দেখা যেত সাধারণত বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি নবআবিষ্কৃত ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষেও দেখা গেল এইসব অফারের ছড়াছড়ি। ফুর্তিবাজ প্রকৃতির লোকদের জন্য এইসব অফার লোভনীয় হয়ে থাকে। ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ধরনের অফারে যার পেটে ক্ষিধে নেই তারও জিভে জল আসে! অথচ এসব যে পুঁজিবাদের নানা অপকৌশল তা সচেতন ব্যক্তিদের কাছে অস্পষ্ট নয়।

    এখানে স্বভাবতই এই প্রশ্নটি সামনে এসে যায় যে, তাহলে নানাবিধ দিবস উদ্ভাবন ও তার প্রচার-প্রতিষ্ঠার পেছনে কি একশ্রেণির লোকের মুনাফা হাসিলের পরিকল্পনাই কার্যকর। দিবসের নামে নানা প্রকারের অনাচার-অশ্লীলতা বিস্তারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের গাঁটের টাকা খসানো ছাড়া আর কিছু তো এসব ক্ষেত্রে নজরে পড়ে না। একেকটি দিবস বা উৎসবকে কেন্দ্র করে খাবার-দাবার, পোষাক-আশাক, ফ্যাশন-বিনোদনের যেন ঝড় বয়ে যায়। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমাজের মধ্যবিত্ত নামে আখ্যায়িত শ্রেণিটি। একটি শ্রেণি তো আছে, যারা অর্থ ঢালার জায়গা খুঁজে পায় না। বৈধ-অবৈধ, হালাল-হারামের বাছ-বিচার ছাড়া যারা বিত্তের পাহাড় গড়েছেন তাদের জন্য এইসব আয়োজনে অর্থ ব্যয় খাবারের পর মিষ্টিমুখের মতো প্রীতিকর হলেও সমাজের বৃহত্তর মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্যে এইসব অফার-আয়োজন কতটা উপযুক্ত তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে বৈ কি। অপরিমেয় বিত্তের অধিকারী না হওয়ায় এই শ্রেণিটিকে দুই পথের যে কোনো একটি অবলম্বন করতে হয়; হয়তো নিজের ও পরিবার-পরিজনের অতি প্রয়োজনীয় বিষয়াদিতে কাটছাঁট করে এইসব অপচয়ের জন্য অর্থ-সংস্থান করতে হয়, কিংবা অন্যায়-অবৈধ পথে অতিরিক্ত উপার্জন খোঁজ করতে হয়। বলা বাহুল্য যে, এর কুফল শুধু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বৃহত্তর সমাজকেও তা অনৈতিকতার পথে ধাবিত করে। পুঁজিবাদী অর্থ ও সমাজ-ব্যবস্থার এই সুদূরপ্রসারী কুফল সম্পর্কে সচেতন হওয়া অতি প্রয়োজন।

    ইফতার-সাহরি

    কথা শুরু হয়েছিল সাহরি-ইফতারি নিয়ে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও প্রসঙ্গটি শুধু ইফতারিতেই সীমাবদ্ধ ছিল। চকবাজার ও পুরান ঢাকার ইফতার-সামগ্রী ও ইফতার-আয়োজন ছিল বেশ আলোচিত। কিন্তু এখন তা আর ইফতারির মধ্যে সীমবদ্ধ নেই। এখন সাহরি নিয়েও আছে ব্যাপক মাতামাতি। বড় বড় হোটেলগুলোতে এখন সাহরি-ইফতারির নানা আয়োজন থাকে। আয়োজনের সাথে থাকে বিস্তর প্রচার-প্রচারণা। যেন রমযান মাসটি শুধুই সাহরি আর ইফতারির জন্য। রমযানের মূল করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে আলোচনার পরিবর্তে সাহরি-ইফতারিতে কোথায় কী মেনু, কোথায় কী অফার তা-ই হয়ে ওঠে মুখ্য। পুঁজিবাদের এই সর্বগ্রাসী বিজ্ঞাপনের মাঝেই বিজ্ঞাপনের স্বার্থে উচ্চারিত হয় ‘সংযম’ কথাটিও! পরিহাসের ব্যাপার হল মূল্য ছাড় বা অফারের ঘোষণা আসে শুধু খাবার ও পোশাক-প্রসাধনীর ক্ষেত্রে। যেসব জায়গায় মূলত স্বল্প সংখ্যক ধনাঢ্য শ্রেণির লোকদেরই প্রবেশাধিকার থাকে। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় ও আম জনতার ভোগ্য ও ব্যবহার্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে তা করা হয় আকাশচুম্বি। যার দরুন সাধারণ মানুষের জীবন যাপন হয়ে ওঠে কঠিন থেকে কঠিনতর।

    এভাবে রোযা ও রমযানের মূল শিক্ষা ও আবেদন যেমন চাপা পড়ে যায় তেমনি খরচও বেড়ে যায়। যা জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তোলে। মোবাইল ফোনে-ইমেইলে নানা প্রকারের অফার এত বেশি আসতে থাকে যে, সেগুলো পরিষ্কার করতেও উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় হয়।

    ফ্রি আসলে কি ফ্রি?

    কুরবানীর গরুর হাটে মাঝে মাঝে বিশালাকারের গরুগুলোর সাথে ছাগলও ফ্রি দেওয়া হয়। কয়েক বছর আগে আমাকে কেউ একজন প্রশ্ন করেছিল ঐ ফ্রি ছাগলটি দিয়ে ওয়াজিব কুরবানী দেয়া যাবে কি না? উত্তরে আমি বলেছিলাম ফ্রি দিতে যাবে কেন? সে কি আপনার আত্নীয় হয়? এটিকে ফ্রি নাম দেয়া হলেও মূলত দুটি পশুর একত্রে দাম নেয়া হয়েছে। আপনি যে মূল্য পরিশোধ করেছেন তাতে উভয় পশুর মূল্যই রয়েছে। আকর্ষণ সৃষ্টির জন্য কেবল ফ্রি নাম দেওয়া হয়েছে।

    বর্তমানে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বড় বড় ডিসকাউন্ট ও এটা ফ্রি ওটা ফ্রি জাতীয় অফারগুলোও একই প্রকৃতির। সামান্য বিবেক খাটালেই বুঝে আসবে যে, এসবই তাদের নিজের স্বার্থে। একেকটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করে তাদের বিক্রির পরিমাণ বহু গুণ বাড়িয়ে নেয়ার স্বার্থেই তারা এ কৌশল অবলম্বন করে। আর এক শ্রেণির অবুঝ ক্রেতা প্রয়োজন না থাকলেও তথাকথিত ‘ফ্রি’ বা ডিসকাউন্ট পাওয়ার আশায় তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

    বিষয়টি অনেক বিস্তৃত। পুঁজিবাদের এজাতীয় ব্যাপারগুলোর কু প্রভাব এবং তাদেরই মালিকানাধীন মিডিয়া তথা টেলিভিশন, পেপার-পত্রিকা এবং বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ওগুলোর বিজ্ঞাপনের অত্যাচার নিয়ে বলার আছে অনেক কিছুই। আজ আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, পবিত্র রমযানে যেন আমরা অপ্রয়োজনে এসবের পিছে না ছুটি।

    আমরা হয়তো পুঁজিবাদের এই বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনকে ঠেকাতে পারব না কিন্তু নিজেকে তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

    নানা উপলক্ষে এইসব অফারের ফাঁদে পা না দিয়ে আসুন আমরা স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত হই। হালাল উপার্জনে মিতব্যয়ী জীবন যাপন করি। তাহলে আমাদের দুনিয়াও সুন্দর হবে, আখিরাতও সুন্দর হবে। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন- আমীন।

    অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এবং মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসীর আগমন অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে বলে ঘোষণা করে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সীমান্ত নিরাপত্তাকে কার্যপ্রণালীতে রাখার প্রচেষ্টার বিষয় পুনরুল্লেখ করেছেন।

    ট্রাম্প গতকাল, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পরিদর্শনের সময় উক্ত মন্তব্য করেন।

    ক্যালিফোর্নিয়ায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি, বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসীদের আগমন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থাকে ভারাবনত করে ফেলছে বলে উল্লেখ করেন।

    ট্রাম্প, পুরানো বেড়ার পরিবর্তে দেয়াল নির্মিত হওয়া একটি স্থানও পরিদর্শন করেন। তিনি, দেয়ালটিকে অবৈধ অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের জন্য সস্তা, দ্রুত ও কার্যকর উপায় বলে অভিহিত করেন।

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধী এবং মাদক প্রবেশ রোধ করতে মেক্সিকো পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে উল্লেখ করেন। তিনি, মেক্সিকো আরও পদক্ষেপ না নিলে দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ এবং মেক্সিকোর পণ্যের উপর করারোপের হুমকি দেন।

    নিসান মোটরের সাবেক চেয়ারম্যান চতুর্থবারের মত আটক

    টোকিওর কৌঁসুলিরা নিসান মোটরের সাবেক চেয়ারম্যান কার্লোস গনকে মারাত্মকরকম বিশ্বাস ভঙ্গের সন্দেহে চতুর্থবার আটক করেছেন। জাপানে জামিনে ছাড়া পাওয়া কাউকে কৌঁসুলিদের আটক করা হচ্ছে বিরল ঘটনা। গন সবরকম অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

    কৌঁসুলিরা বলছেন গন ওমানে তাঁর একজন পরিচিতের পরিচালিত ডিলারশিপে নিসানের তহবিলের একটি অংশ সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে গত বছর পর্যন্ত সেই অর্থ পরিশোধ করা হয়। এই লেনদেনের ফলে নিসানের প্রায় ৫০ লক্ষ ডলার লোকসানের কারণ তিনি হয়ে উঠেন বলে সন্দেহ করা হয়।

    ওয়াকিবহাল সূত্রসমূহ বলছে ওমানের ডিলারকে পরিশোধ করা অর্থের কিছু অংশ সেই ডিলারের ভারতীয় নির্বাহীর ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে লেবাননের বানোয়াট একটি কোম্পানিতে সরিয়ে নেয়া হয়।

    সেই অর্থ গনের প্রমোদ তরী কেনায় খরচ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং গনের পুত্রের পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি বিনিয়োগ কোম্পানিতেও হয়তো পাঠানো হয়ে থাকবে।

    ১০৮দিন আটক থাকার পর গত মাসের ৬ তারিখে গনকে ছেড়ে দেয়া হয়। নিসানের শেয়ার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে নিজের নির্বাহী ভাতা কম করে দেখানোর মধ্যে দিয়ে আর্থিক নিয়মাবলী ও বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।

    এছাড়া সৌদি আরবের পরিচিত একজনের মাধ্যমে নিসানের ১ কোটি ডলারের মত তহবিল অপব্যবহার করে মারাত্মক বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়।

    রিয়ুগু গ্রহাণুতে কৃত্রিম গর্ত সৃষ্টির জন্য হায়াবুসা-২ এর অবতরণ শুরু

    জাপানের মহাকাশ অনুসন্ধান যান হায়াবুসা-২ রিয়ুগু গ্রহাণুতে একটি নতুন অভিযান শুরুর জন্য ক্রমশ নিচে নামছে। এবারের মিশনের লক্ষ্য হল মহাকাশের ঐ গ্রহাণুর ভূ-অভ্যন্তরের অবস্থা সম্পর্কে গবেষণার জন্য এর পৃষ্ঠের উপর একটি কৃত্রিম গর্তের সৃষ্টি করা। গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৩৪ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

    জাপান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, জাক্সা বলছে, জাপান সময় আজ প্রায় ১টার দিকে ২০ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে হায়াবুসা-২ রিয়ুগুর দিকে অবরোহণ শুরু করে।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী মহাকাশ অনুসন্ধান যানটি আগামীকাল সকাল ১১টার কিছু পূর্বে গ্রহাণুটি থেকে ৫০০ মিটার উপরে থাকাকালীন একটি “ইমপ্যাক্টর” বা “আঘাতকারী” বস্তু ছাড়বে।

    ৪০ মিনিট পর ইমপ্যাক্টরটি বিস্ফোরিত হয়ে গ্রহাণুটির অভিমুখে একটি ধাতব বস্তু ছুঁড়বে যেটি সেকেন্ডে ২ কিলোমিটার গতিতে রিয়ুগু’র পৃষ্ঠে একটি কৃত্রিম গর্তের সৃষ্টি করবে।

    ঐ গর্ত থেকে পাথরের নমুনা সংগ্রহের জন্য পরবর্তী কোন দিনে রিয়ুগুর ভূমিতে দ্বিতীয়বারের মত হায়াবুসা-২ এর অবতরণের পরিকল্পনা করছে জাক্সা।

    উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুসন্ধান যানটি প্রথম রিয়ুগু’তে অবতরণ করে।

    জাক্সা কর্মকর্তারা বলেছেন, সেসময়ও হায়বুসা-২ রিয়ুগু থেকে পাথরের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

    আজ পবিত্র শবে মে’রাজ

    আজ বুধবার দিন পেরিয়ে রাতের আঁধার নামলেই আবির্ভাব ঘটবে এক অলৌকিক অসামান্য মহাপুণ্যে ঘেরা রজনীর। এ রজনী মহাপবিত্র মহিমান্বিত লাইলাতুল মে’রাজের।

    এ রাতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম হযরত জিব্রাঈল আলাইহে ওয়াসাল্লামের সাথে পবিত্র কাবা হতে ভূ-মধ্যসাগরের পূর্ব তীর ফিলিস্তিনে অবস্থিত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে সত্তর হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা মে’রাজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (স) ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সঙ্গে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও আজ কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন।

    মে’রাজ শব্দটি আরবি, অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। এ মেরাজের বড়দাগে অর্থ দাঁড়ায়-সপ্তম আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও ধনুক কিংবা তার চেয়ে কম দূরত্ব পরিমাণ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য পর্যন্ত ভ্রমণ। পারিভাষিক অর্থে নবুওয়াতের একাদশ সালের ২৭ রজবের বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে হযরত মুহাম্মদ (স) আল্লাহর নির্দেশে তার খাস রহমতে বায়তুল্লাহ হতে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত বোরাকে ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে অলৌকিক সিঁড়ির মাধ্যমে সপ্তম আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন ও পুনরায় বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে বোরাকে আরোহণ করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে মে’রাজ বলা হয়।

    এই রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। ফলে এটা খুবই ফজিলতের রাত। তাই এই রাতে যতদূর সম্ভব জেগে নফল নামাজ, জিকির-আসকার, কোরআন তিলওয়াত ও দরুদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা এবং নফল নিয়তে দিবাভাগে রোজা রাখা ভালো। এগুলো ব্যতীত এই রাতে অন্য কোনো প্রকার শরীয়ত বিরোধী রুসম-রেওয়াজে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এ রাতকে ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা, আতশবাজি, আলোকসজ্জা ইত্যাদি সবই বিদআতের পর্যায়ভুক্ত বলে মত দেন মুহাক্কিক আলেমরা।

    জাপানে প্রথমবারের মত আফ্রিকার সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস সনাক্ত

    জাপানে প্রথমবারের মত মারাত্মক ছোঁয়াচে আফ্রিকার সোয়াইন ফ্লু রোগের ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।

    জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত চুবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জানুয়ারি মাসে জীবন্ত ভাইরাস সনাক্ত করা হয়।

    চীন থেকে আনা শূকরের মাংসের সসেজের মধ্যে এটি পাওয়া যায়।

    চীন এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি জাপানে সনাক্ত হওয়া সোয়াইন ফ্লু থেকে এই রোগটি আলাদা।

    আফ্রিকার সোয়াইন ফ্লুতে মানুষ আক্রান্ত হয় না। তবে শূকরের জন্য এটি প্রায় সবসময়ই প্রাণঘাতী একটি রোগ।

    কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তারা এবারের মত জীবন্ত ভাইরাসটির জাপানে প্রবেশ আটকাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জোরদার করবে।

    বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ খলিফায় বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ খলিফায় অপরূপ সাজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আলোক সজ্জার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে স্বাগত জানিয়ে এ সম্মান প্রদর্শন করে আরব আমিরাত।
    বন্ধুপ্রতিম দেশ আরব আমিরাত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, সংহতি ও সম্মানের অনন্য নজির স্থাপন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের অপরূপ জাতীয় পতাকার লেজার শো বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার বুর্জ খলিফায় প্রদর্শন করে বিশ্ববাসীকে যেভাবে জানান দিয়েছে তা খুবই বিরল। এমন সম্মান প্রদর্শন ও স্বীকৃতিতে আনন্দে উদ্বেলিত প্রবাসীরা। এ জন্য আরব আমিরাত সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস, দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাশাপাশি প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের সম্মানবৃদ্ধিতে যারা উদ্যোগ নিয়ে এমন একটি সুন্দর কাজ করে অনন্য অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

    আগামীকাল জাপানে নতুন একটি যুগের নাম উন্মোচন করা হবে

    আগামীকাল জাপানে নতুন একটি যুগের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রীসভায় নেয়া সিদ্ধান্তের পর চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা কাল সকাল সাড়ে এগারটায় নতুন যুগের নাম ঘোষণা করবেন। বর্তমান যুগের নাম হচ্ছে হেইসেই।

    চলতি মাসের ১৪ তারিখে সরকার বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে নতুন নামের পাঁচটি বিকল্প সুপারিশের অনুরোধ করেছিল। বিশেষজ্ঞরা এরপর প্রতিটি বিকল্পের অর্থ ও উৎস সহ তাঁদের প্রস্তাবসমূহ পেশ করেন।

    সরকার শুরুতে নাম সহজে লেখা ও পাঠ-যোগ্য কিনা সেরকম বিভিন্ন শর্ত অনুযায়ী তালিকা সংক্ষিপ্ত করে নেবে। এরপর আগামীকাল সকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি প্যানেলের কাছে কয়েকটি সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম সরকারের পেশ করার কথা।

    চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এরপর মন্ত্রীসভার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে সংসদের উভয় কক্ষের প্রধান ও উপ-প্রধানদের মতামত শুনবেন।

    দিনের বেলায় ঘোষিত হতে যাওয়া যুগের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত সরকারের একটি অধ্যাদেশে নতুন যুগের নাম চূড়ান্ত করা হবে।

    সকাল সাড়ে এগারটায় সুগার ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে দুপুরের দিকে নাম বাছাই করে নেয়ার ব্যাখ্যা দেবেন।

    মে মাসের ১ তারিখে যুবরাজ আকিহিতো সিংহাসনে আরোহণ করার সময় থেকে নতুন নাম কার্যকর হবে। একদিন আগে ৩০ এপ্রিল সম্রাট আকিহিতো সিংহাসন ত্যাগ করবেন।