• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • শবে বরাত : গুরুত্ব ও ফযিলত

    যে সকল মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য বিশেষ বরকত রেখেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো শাবান মাস। রাসূল সা. এ মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোযা রাখতেন। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা. কে রমজান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোনো মাসে এতো বেশি রোযা রাখতে দেখিনি। (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী)।
    অন্য হাদিসে হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রা. বর্ণনা করেন, আমি একদিন রাসূল সা.-এর খেদমতে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি আপনাকে শাবান মাস ব্যতীত অন্য কোনো মাসে এতো অধিক পরিমাণে রোযা রাখতে দেখিনি। রাসূল সা. বললেন, এটা ওই মাস যে মাস সম্পর্কে অধিকাংশ লোকই গাফেল থাকে। এটা রজব ও রমযান মাসের মধ্যবর্তী মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। আমার আকাক্সক্ষা যে, আমার আমল আল্লাহর দরবারে এ অবস্থায় পেশ হোক যে, আমি রোযাদার। (নাসায়ী, শুআবুল ঈমান)।
    এছাড়াও এ মাসের ফযিলত সম্পর্কে বিভিন্ন সহিহ হাদিসের কিতাবে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। যার দ্বারা এ মাসের ফযিলত ও গুরুত্ব প্রমাণ হয়। সুতরাং এ মাসে রোযা রাখা প্রমাণিত হলো। এবারে আসি শবে বরাত প্রসঙ্গে। মুমিন মাত্রই এ বিশেষ রাতের নামের সাথে পরিচয় আছে। তবে হাদিস শরিফে এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবানের পনেরতম রজনী’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শবে বরাত’ শব্দটি ফারসি শব্দ। যা ‘শব’ ও ‘বরাত’ দু’টি শব্দ মিলে গঠিত হয়েছে। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ অর্থ হলো নাজাত, মুক্তি রক্ষা ইত্যাদি।
    তবে মুফাসসিরে কেরাম এ রাতের আরও কয়েকটি নামের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন লাইলাতুল মুবারাকা, লাইলাতুল বারাআ, লাইলাতুস সাক ইত্যাদি। (তাফসীরে কুরতুবি, খÐ ১৬, পৃ. ১২৬)। এ রাতে যেহেতু গুনাহগারের গুনাহ মাফ হয় এবং অসংখ্য অপররাধীর অপরাধ ক্ষমা করা হয়, সেহেতু এ রাত মুসলমানদের মাঝে ‘শবে বরাত’ নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে।
    পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে কোরআনুল কারীমে নির্দেশনা আছে কিনা এ ব্যাপারে মুফাসসিরে কেরামগণ মতভেদ করেছেন। আর তাদের এ মতভেদের ভিত্তি হলো সুরা দুখানের ৩ নং আয়াত এর ভাবার্থ। জমহুর মুফাসসিরীন প্রায় সকলই এ আয়াতের (লাইলাতুল মুবারাকা) শব্দের ব্যাখ্যা ‘শবে কদর’ করেছেন এবং স্বপক্ষে হাদীস পেশ করেছেন।
    অন্যদিকে হযরত ইকরামা রা. এবং কিছু মুফাসসির উক্ত শব্দের দ্বারা ‘শবে বরাত’ বুঝাতে চেয়েছেন এবং স্বপক্ষে হাদীসও পেশ করেছেন উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া পরবর্তীতে অধিকাংশ মুফাসসির যেমন, ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী রহ. তার তাফসীরে কাবিরে, ইমাম তাবারি রহ. তার তাফসীরে তাবারিতে, আল্লামা যামাখশারি রহ. তার তাফসীরে কাশশাফে, আল্লামা আলুসি রহ. তার তাফসীরে রুহুল মায়ানিতে, ইবনু কাসির তার তাফসীরে ইবনে কাসিরে, শায়খ ইসমাইল হাক্কি রহ. তার তাফসীরে রুহুল বয়ানে, ইমাম কুরতুবী তার তাফসীরে কুরতুবিতে, আশরাফ আলী থানভী রহ. তার তাফসীরুল বায়ানুল কোরআনে, মুফতি শফি রহ. তার তাফসীরে মাআরেফুর কোরআনে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় শবে বরাতের আলোচনা করেছেন।
    পবিত্র শবে বরাত সম্পর্কে কোরআনুল কারীমে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদীস শরিফে সুস্পষ্টভাবে এর গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। এ সকল বর্ণনার মধ্যে কিছু বর্ণনা সম্পর্কে পৃথিবীর সকল মুহাদ্দিসীনে কেরাম সহিহ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিছু বর্ণনা হাসান, কিছু যয়িফ বলেছেন। একথা সত্য যে কোনো বিষয়কে প্রমাণের জন্য একটি সহিহ হাদীসই যথেষ্ট।
    আর এ বিষয়ে মুহাদ্দিসীন, ফুকাহা ও অন্যান্য ওলামায়ে-কেরামের অধিকাংশ একমত যে, ফযিলতের ক্ষেত্রে যয়িফ হাদীসের ওপর আমল করা জায়েজ এবং ‘যয়িফ’ সনদের হাদিস দ্বারাও কোনো আমল মুস্তাহাব হওয়া প্রমাণিত হয়। তাছাড়া হাদিসে শবে বরাত পালন বা ফযিলতের বিপক্ষে কোনো বর্ণনার প্রমাণও নেই।

    জাপানে ইংরেজি শিক্ষা

    জাপানে ইংরেজি শিক্ষা সংলাপের দক্ষতা অর্জন নয়, বরং ব্যাকরণ শিক্ষা ও ইংরেজি বাক্যের অনুবাদের উপর মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপিত হওয়ায় সমালোচিত হচ্ছে। এর একটি কারণ হচ্ছে এরকম যে জাপান হচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্র এবং দৈনন্দিন জীবনে লোকজনকে ইংরেজি বলতে হয় খুব কম। তবে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে জাপানের লোকজনের যে ইংরেজিতে কথা বলা দরকার, সেই বিশ্বাস থেকে সরকার স্কুল পর্যায়ের ইংরেজি শিক্ষায় সংস্কার বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। জাপানের জনগণের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যেন এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠতে পারে, সরকার সেজন্য পড়া এবং লেখার বাইরে শ্রবণ ও কথা বলার দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্য ধরে নিয়েছে।

    ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হতে যাওয়া শিক্ষা বর্ষ থেকে প্রাইমারি স্কুলে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দেয়া আনুষ্ঠানিক একটি বিষয় হয়ে উঠবে। এছাড়া সেই একই বছর থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার আগে জাতীয় পর্যায়ে একক মানসম্মত শিক্ষাগত মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থাও নবায়ন করে নেয়া হবে। নতুন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের কথা বলার দক্ষতা সহ ইংরেজি ভাষার সামর্থ্যের মূল্যায়নে বেসরকারি খাতের পরীক্ষা পদ্ধতি কাজে লাগানো হবে।

    সংস্কারের কার্যকারিতা নিয়ে কিছু লোকজন আশাবাদী হলেও অন্যরা আবার উদ্বিগ্ন যে শিক্ষকদের মধ্যে সামর্থ্যের ঘাটতির মত কারণে স্কুল এখনও সংস্কার কার্যকর করতে প্রস্তুত নয়।