• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • পদদলনে ইরানিরা দায়ী: সৌদি গণমাধ্যম

    সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনায় ইরান সৌদি সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দোষারোপ করার পর এবার সৌদি গণমাধ্যম ইরানের হাজিদের দোষারোপ করেছে। দৈনিক আশরাক আল আসওয়াতের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এই কথা দাবি করা হয়েছে।
    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০০ ইরানির একটি দল নির্দেশনা না মেনে ভুল সড়কে গেলে অতিরিক্ত চাপে পদদলনের এই ঘটনা ঘটে।
    ইরানি হজযাত্রীদের তত্ত্বাবধানে থাকা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রায় তিনশ ইরানির ঐ দলটি নিয়ম না মেনে মুজদালিফা থেকে জামারাতের দিকে অগ্রসর হয়। মুজদালিফা থেকে তাদের নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে যেতে বলা হলেও তারা আগে পাথর নিক্ষেপ করার জন্য জামারাতের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরপর তারা আবার উল্টো পথে ২০৪ নম্বর সড়ক ধরে এগোতে থাকলে হজযাত্রীদের আরেকটি দলের সামনে পড়লে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে পদদলের ঘটনা ঘটে।
    কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, জামারাতের টানেলে থাকা ক্যামেরার ছবির মাধ্যমে এটা আরো সুস্পষ্ট করা সম্ভব যে, ইরানের হাজিরা জামারাতের দিকে যাওয়ার কারণে এই পদদলনের ঘটনা ঘটেছে।
    গত বৃহস্পতিবার হজের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর ছুড়তে যাওয়ার পথে পদদলনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭৬৯ জন নিহত ও ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার।

    জাপান সহ চারটি দেশ এক বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সংস্কারের সুনির্দিষ্ট ফলাফলের অঙ্গীকার করলো

    জাপান, ব্রাজিল, জার্মানি এবং ভারত আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতিসংঘ সংস্কারের সুনির্দিষ্ট ফলাফল বের করে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। চারটি দেশ জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হতে ইচ্ছুক।

    বর্তমান বিশ্বের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব ও সংকট মোকাবেলায় একটি “আরো প্রতিনিধি সমৃদ্ধ, বৈধ এবং কার্যকর” কাউন্সিল গঠনের প্রয়োজন -কথিত ৪ জাতি গ্রুপের একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়। নিউ ইয়র্কে তারা এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার পর এই বিবৃতি প্রদান করেন।

    একটি সম্প্রসারিত এবং সংস্কারকৃত কাউন্সিলে জি-৪ দেশ গুলো “স্থায়ী সদস্যপদের জন্য বৈধ প্রার্থী”, নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে “সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে সুনির্দিষ্ট ফলাফল নিশ্চিত করতে তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুন করার সংকল্প ব্যক্ত করেন” বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রউসেফ, জার্মান চ্যান্সেলার এঞ্জেলা মার্কেল এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১১ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম বৈঠকে যোগ দেন।

    এ বছর প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে জাতিসংঘ, চারটি দেশ স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যে আহ্বান জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, বর্ধিত সদস্যের কাউন্সিল একাবিংশ শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক চাহিদা ও বাস্তবতাকে অপেক্ষাকৃত আরো ভালো ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।

    বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে স্থায়ী ৫টি সদস্য দেশ- ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং আমেরিকা।

    জি-৪ নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন ২০০৫ সাল থেকে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি, ২০০৫ সালে সকল দেশের নেতৃবৃন্দ সম্মিলিত ভাবে জাতিসংঘকে সার্বিকভাবে দ্রুততর সংস্কারের বিষয়ে একমত পোষণ করেছিলেন।

    তারা আফ্রিকা’র স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করার পক্ষে সমর্থন দেন এবং গড়ে ওঠা ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র সহ ছোট ও মাঝারি আকারের দেশ গুলোর পর্যাপ্ত ও অব্যাহত প্রতিনিধিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হিসেবে নতুন ৩ বছর মেয়াদের শুরুতে, দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জি,ডি,পি,-কে বাড়িয়ে রেকর্ড ৫ লক্ষ কোটি ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

    মি: আবে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বলেন, তিনি অর্থনীতির উপর অগ্রাধিকার দেয়া অব্যাহত রাখবেন। ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রেণেতারা আজ সকালের দিকে তাকে তার পুন:নির্বাচিত হওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রদান করে।

    তিনি বলেন, জাপানে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণ এবং মানব সম্পদ সম্প্রসারণের জন্য দেশের জি,ডি,পি, বাড়িয়ে ৬০০ লক্ষ কোটি ইয়েন করার একটি নতুন সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের মাধ্যমে তার প্রশাসন সাহসের সাথে নীতিমালাকে এগিয়ে নেবে।

    মিনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭, একজন বাংলাদেশি

    সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধিপাচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে সৌদির আল আরাবিয়ায় কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮’শ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
    নিহতের নাম ফিরোজা খানম। তিনি জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা মোল্লাবাড়ি এলাকার খন্দকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

    ফিরোজা খানমের ছোট ছেলে খন্দকার ফরিদুল ইসলামের কাছ থেকে জানা গেছে যে, তিনি হাটচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষে অবসরে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার মা ও বড় ভাই খন্দকার মোজাহারুল ইসলাম শামীম হজ্বে গিয়েছিলেন। আজ বিকালে ভাই ফোন করে মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।”
    তবে হতাহতের তালিকায় আরও বাংলাদেশি আছেন কি না তা জানাতে পারেননি জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ্ব অফিসার মো. আসাদুজ্জামান।

    তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “হাসপাতালে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা জেনেছি, বাংলাদেশি কয়েকজনও হতাহতের মধ্যে আছেন।”

    উল্লেখ্য, হজ্বের দিন সকালে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১০টার দিকে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

    হজ্ব করতে আসা ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা আরাফাত পর্বত থেকে মক্কায় ফেরার পথে মিনায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে গত মাসে ক্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১০৯ জন হাজি মারা যান, আহত হন আরো ৪০০ জন। হজে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে মিনায় শয়তানের উপরে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপের সময়ে ৩৬৪ জন নিহত হয়েছিল।

    জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে অভিযোগ তুললেন ওকিনাওয়া গভর্নর

    ওকিনাওয়া গভর্নর তাকেশি ওনাগা সোমবার মার্কিন ঘাঁটি ইস্যুতে জাপান সরকারের সমালোচনা করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অভিযোগ করেছেন।

    জাপানের সর্ব দক্ষিণের প্রিফেকচারটি দেশের মোট আয়তনের ০.৬ শতাংশ, অথচ জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সাথে ভাগ করে ব্যবহার করা ঘাঁটি গুলো বাদে মার্কিন ঘাঁটি গুলোর ৭৩.৮ শতাংশ অবস্থান করছে এই প্রিফেকচারটিতেই -ওনাগা বলেন।

    মার্কিন ঘাঁটির কারণে অপরাধ, দুর্ঘটনা এবং পরিবেশ গত সমস্যা বাড়ছে যা স্থানীয় জনগনের স্বাভাবিক জীবনকে প্রভাবিত করছে, ওনাগা জোর দিয়ে বলেন, মানবাধিকার এবং ওকিনাওয়া’র জনগনের আত্মনির্ধারণের অধিকারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

    ওনাগা প্রশ্ন তুলে বলেন, কেমন করে একটি দেশ যে তার নিজ নাগরিকদের স্বাধীনতা, সমতা, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারে না, তা সে অন্য দেশের সাথে অংশীদার করে।

    তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি ফুতেনমা’কে ওকিনাওয়া’র অপর একটি শহর নাগো’র হেনোকো অঞ্চলে স্থানান্তর সংক্রান্ত জাপান-মার্কিন চুক্তির সমালোচনা করেন।

    জেনেভা’র জাতিসংঘ কার্যালয়ের জাপানি দূত মিসাকো কাজি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ওনাগা’র বক্তব্যের জাবাব দিয়েছেন।

    তিনি উল্লেখ করেন মার্কিন নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি ফুতেনমা’কে হেনোকো’তে স্থানান্তরই হলো মার্কিন বাহিনীর অবস্থান ও ঝুঁকি এড়ানোর একমাত্র পথ।

    কাজি বলেন ওকিনাওয়া’র সাবেক গভর্নরের অনুমোদন এবং প্রাসঙ্গিক আইনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

    তিনি বলেন সরকার বিষয়টিকে উপলব্ধি করার জন্যে প্রিফেকচারটিকে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

    কুরবানীর মাসায়েল

    Posted by admin on September 23
    Posted in Uncategorized 

    কুরবানীর মাসায়েল

    কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব।

    সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫

    ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।

    কার উপর কুরবানী ওয়াজিব

    মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

    আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫

    নেসাবের মেয়াদ

    মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২

    কুরবানীর সময়

    মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫

    নাবালেগের কুরবানী

    মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

    মুসাফিরের জন্য কুরবানী

    মাসআলা : ৫.  যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫

    নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী

    মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫; ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

    দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম

    মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২

    কুরবানী করতে না পারলে

    মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫

    প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে

    মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ বুখারী ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

    রাতে কুরবানী করা

    মাসআলা : ১০.  ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

    কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের পর যবাই করলে

    মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১

    কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে

    মাসআলা : ১২.  উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

    নর ও মাদা পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫

    কুরবানীর পশুর বয়সসীমা

    মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে।

    উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৫-২০৬

    এক পশুতে শরীকের সংখ্যা

    মাসআলা : ১৫. একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু কয়েকজন মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮

    সাত শরীকের কুরবানী

    মাসআলা : ১৬. সাতজনে মিলে কুরবানী করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরীকের কুরবানীই সহীহ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

    মাসআলা : ১৭. উট, গরু, মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কুরবানী করা জায়েয। -সহীহ মুসলিম ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭

    কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলে

    মাসআলা : ১৮. যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯

    কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশ

    মাসআলা : ১৯. কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে।-তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/১৬৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩৬২

    মাসআলা : ২০. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না।

    মাসআলা : ২১. যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানী দেওয়ার নিয়তে কিনে আর সে ধনী হয় তাহলে ইচ্ছা করলে অন্যকে শরীক করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একা কুরবানী করাই শ্রেয়। শরীক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরীব হয়, যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়, তাহলে সে অন্যকে শরীক করতে পারবে না। এমন গরীব ব্যক্তি যদি কাউকে শরীক করতে চায় তাহলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিবে।-কাযীখান ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১০

    কুরবানীর উত্তম পশু

    মাসআলা : ২২. কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।-মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

    খোড়া পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ২৩. যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭

    রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ২৪. এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

    দাঁত নেই এমন পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ২৫. যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮

    যে পশুর শিং ভেঙ্গে বা ফেটে গেছে

    মাসআলা : ২৬. যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে

    মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭

    কান বা লেজ কাটা পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ২৭. যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮

    অন্ধ পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ২৮. যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪

    নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে

    মাসআলা : ২৯. কুরবানীর পশু হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি আরেকটি কেনা হয় এবং পরে হারানোটিও পাওয়া যায় তাহলে কুরবানীদাতা গরীব হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) দুটি পশুই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ধনী হলে কোনো একটি কুরবানী করলেই হবে। তবে দুটি কুরবানী করাই উত্তম। -সুনানে বায়হাকী ৫/২৪৪, ইলাউস সুনান ১৭/২৮০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৯, কাযীখান ৩/৩৪৭

    গর্ভবতী পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ৩০. গর্ভবতী পশু কুরবানী করা জায়েয। জবাইয়ের পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সেটাও জবাই করতে হবে। তবে প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কুরবানী করা মাকরূহ। -কাযীখান ৩/৩৫০

    পশু কেনার পর দোষ দেখা দিলে

    মাসআলা : ৩১. কুরবানীর নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানী জায়েয হয় না তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানী করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

    পশুর বয়সের ব্যাপারে বিক্রেতার কথা

    মাসআলা : ৩২. যদি বিক্রেতা কুরবানীর পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। -আহকামে ঈদুল আযহা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ. ৫

    বন্ধ্যা পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ৩৩. বন্ধ্যা পশুর কুরবানী জায়েয। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

    নিজের কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা

    মাসআলা : ৩৪. কুরবানীর পশু নিজে জবাই করা উত্তম। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানীদাতা পুরুষ হলে জবাইস্থলে তার উপস্থিত থাকা ভালো। -মুসনাদে আহমদ ২২৬৫৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২২-২২৩, আলমগীরী ৫/৩০০, ইলাউস সুনান ১৭/২৭১-২৭৪

    জবাইয়ে একাধিক ব্যক্তি শরীক হলে

    মাসআলা : ৩৫. অনেক সময় জবাইকারীর জবাই সম্পন্ন হয় না, তখন কসাই বা অন্য কেউ জবাই সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই উভয়কেই নিজ নিজ যবাইয়ের আগে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়তে হবে। যদি কোনো একজন না পড়ে তবে ওই কুরবানী সহীহ হবে না এবং জবাইকৃত পশুও হালাল হবে না। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৪

    কুরবানীর পশু থেকে জবাইয়ের আগে উপকৃত হওয়া

    মাসআলা : ৩৬. কুরবানীর পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয নয়। যেমন হালচাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা ইত্যাদি।সুতরাং কুরবানীর পশু দ্বারা এসব করা যাবে না। যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দিবে।-মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, নায়লুল আওতার ৩/১৭২, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০০

    কুরবানীর পশুর দুধ পান করা

    মাসআলা : ৩৭. কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর

    কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। -মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭,

    রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

    কোনো শরীকের মৃত্যু ঘটলে

    মাসআলা : ৩৮. কয়েকজন মিলে কুরবানী করার ক্ষেত্রে জবাইয়ের আগে কোনো শরীকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিসরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করার অনুমতি দেয় তবে তা জায়েয হবে। নতুবা ওই শরীকের টাকা ফেরত দিতে হবে। অবশ্য তার

    স্থলে অন্যকে শরীক করা যাবে। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫১

    কুরবানীর পশুর বাচ্চা হলে

    মাসআলা : ৩৯. কুরবানীর পশু বাচ্চা দিলে ওই বাচ্চা জবাই না করে জীবিত সদকা করে দেওয়া উত্তম। যদি সদকা না করে তবে কুরবানীর পশুর সাথে বাচ্চাকেও জবাই করবে এবং গোশত সদকা করে দিবে।-কাযীখান ৩/৩৪৯, আলমগীরী ৫/৩০১, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩

    মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী

    মাসআলা : ৪০. মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা জায়েয। মৃত ব্যক্তি যদি ওসিয়ত না করে থাকে তবে সেটি নফল কুরবানী হিসেবে গণ্য হবে। কুরবানীর স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কুরবানীর ওসিয়ত করে গিয়ে থাকে তবে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। গরীব-মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। -মুসনাদে আহমদ ১/১০৭, হাদীস ৮৪৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, কাযীখান ৩/৩৫২

    কুরবানীর গোশত জমিয়ে রাখা

    মাসআলা : ৪১. কুরবানীর গোশত তিনদিনেরও অধিক জমিয়ে রেখে খাওয়া জায়েয।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, সহীহ মুসলিম ২/১৫৯, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৮, ইলাউস সুনান ১৭/২৭০

    কুরবানীর গোশত বণ্টন

    মাসআলা : ৪২. শরীকে কুরবানী করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েয নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১

    মাসআলা : ৪৩. কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০

    গোশত, চর্বি বিক্রি করা

    মাসআলা : ৪৪. কুরবানীর গোশত, চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েয নয়। বিক্রি করলে পূর্ণ মূল্য সদকা করে দিতে হবে। -ইলাউস সুনান ১৭/২৫৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১

    জবাইকারীকে চামড়া, গোশত দেওয়া

    মাসআলা : ৪৫. জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসাবে গোশত বা তরকারী দেওয়া যাবে।

    জবাইয়ের অস্ত্র

    মাসআলা : ৪৬. ধারালো অস্ত্র দ্বারা জবাই করা উত্তম।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

    পশু নিস্তেজ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা

    মাসআলা : ৪৭. জবাইয়ের পর পশু

    নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরূহ। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩

    অন্য পশুর সামনে জবাই করা

    মাসআলা : ৪৮. এক পশুকে অন্য পশুর সামনে জবাই করবে না। জবাইয়ের সময় প্রাণীকে অধিক কষ্ট না দেওয়া।

    কুরবানীর গোশত বিধর্মীকে দেওয়া

    মাসআলা : ৪৯. কুরবানীর গোশত হিন্দু ও অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েয।-ইলাউস সুনান ৭/২৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০

    অন্য কারো ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে চাইলে

    মাসআলা : ৫০. অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।

    কুরবানীর পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে

    মাসআলা : ৫১. কুরবানীর পশু যদি চুরি হয়ে যায় বা মরে যায় আর কুরবানীদাতার উপর পূর্ব থেকে কুরবানী ওয়াজিব থাকে তাহলে আরেকটি পশু কুরবানী করতে হবে। গরীব  হলে (যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়) তার জন্য আরেকটি পশু কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯

    পাগল পশুর কুরবানী

    মাসআলা : ৫২. পাগল পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যদি এমন পাগল হয় যে, ঘাস পানি দিলে খায় না এবং মাঠেও চরে না তাহলে সেটার কুরবানী জায়েয হবে না। -আননিহায়া ফী গরীবিল হাদীস ১/২৩০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৫২

    নিজের কুরবানীর গোশত খাওয়া

    মাসআলা : ৫৩. কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর গোশত খাওয়া মুস্তাহাব। -সূরা হজ্ব ২৮, সহীহ মুসলিম ২২/১৫৯, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৯০৭৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪

    ঋণ করে কুরবানী করা

    মাসআলা : ৫৪. কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণের টাকা দিয়ে কুরবানী করলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানী করা যাবে না।

    হাজীদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী

    মাসআলা : ৫৫. যেসকল হাজী কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানী ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজী কুরবানীর কোনো দিন মুকীম থাকবে সামর্থ্যবান হলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানী করা জরুরি হবে। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫, ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৬৬

    নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা

    মাসআলা : ৫৬. সামর্থ্যবান ব্যক্তির রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবানী করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা.কে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানী দিতেন। -সুনানে আবু দাউদ ২/২৯, জামে তিরমিযী ১/২৭৫, ইলাউস সুনান ১৭/২৬৮, মিশকাত ৩/৩০৯

    কোন দিন কুরবানী করা উত্তম

    মাসআলা : ৫৭. ১০, ১১ ও ১২ এ তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। -রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬

    খাসীকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী

    মাসআলা : ৫৮. খাসিকৃত ছাগল দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। -ফাতহুল কাদীর ৮/৪৯৮, মাজমাউল আনহুর ৪/২২৪, ইলাউস সুনান ১৭/৪৫৩

    জীবিত ব্যক্তির নামে কুরবানী

    মাসআলা : ৫৯. যেমনিভাবে মৃতের পক্ষ থেকে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরবানী করা জায়েয তদ্রূপ জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার ইসালে সওয়াবের জন্য নফল কুরবানী করা জায়েয। এ কুরবানীর গোশত দাতা ও তার পরিবারও খেতে পারবে।

    বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির কুরবানী অন্যত্রে করা

    মাসআলা : ৬০. বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জন্য নিজ দেশে বা অন্য কোথাও কুরবানী করা জায়েয।

    কুরবানীদাতা ভিন্ন স্থানে থাকলে কখন জবাই করবে

    মাসআলা : ৬১. কুরবানীদাতা এক স্থানে আর কুরবানীর পশু ভিন্ন স্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়; বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করা যাবে। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৮

    কুরবানীর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করা

    মাসআলা : ৬২. কুরবানীর চামড়া কুরবানীদাতা নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেউ যদি নিজে ব্যবহার না করে বিক্রি করে তবে বিক্রিলব্ধ মূল্য পুরোটা সদকা করা জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

    কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিয়ত

    মাসআলা : ৬৩. কুরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে মূল্য সদকা করে দেওয়ার নিয়তে বিক্রি করবে। সদকার নিয়ত না করে নিজের খরচের নিয়ত করা নাজায়েয ও গুনাহ। নিয়ত যা-ই হোক বিক্রিলব্ধ অর্থ পুরোটাই সদকা করে দেওয়া জরুরি। -ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১, কাযীখান ৩/৩৫৪

    কুরবানীর শেষ সময়ে মুকীম হলে

    মাসআলা : ৬৪. কুরবানীর সময়ের প্রথম দিকে মুসাফির থাকার পরে ৩য় দিন কুরবানীর সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার উপর কুরবানী ওয়াজিব থাকবে না। অর্থাৎ সে কুরবানী না দিলে গুনাহগার হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯

    কুরবানীর পশুতে ভিন্ন ইবাদতের নিয়তে শরীক হওয়া

    মাসআলা : ৬৫. এক কুরবানীর পশুতে আকীকা, হজ্বের কুরবানীর নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৬, আলমাবসূত সারাখছী ৪/১৪৪, আলইনায়া ৮/৪৩৫-৩৪৬, আলমুগনী ৫/৪৫৯

    কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা

    মাসআলা : ৬৬. ঈদুল আযহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানীর গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এই সুন্নত শুধু ১০ যিলহজ্বের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। -জামে তিরমিযী ১/১২০, শরহুল মুনয়া ৫৬৬, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬, আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৩

    কুরবানীর পশুর হাড় বিক্রি

    মাসআলা : ৬৭. কুরবানীর মৌসুমে অনেক মহাজন কুরবানীর হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কুরবানীদাতার জন্য নিজ কুরবানীর কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েয হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনে শুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫, কাযীখান ৩/৩৫৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১

    রাতে কুরবানী করা

    মাসআলা : ৬৮.  ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েয। তবে রাতে আলোস্বল্পতার দরুণ জবাইয়ে ত্রুটি হতে পারে বিধায় রাতে জবাই করা অনুত্তম। অবশ্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতে জবাই করতে কোনো অসুবিধা নেই। -ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১০

    কাজের লোককে কুরবানীর গোশত খাওয়ানো

    মাসআলা : ৬৯. কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকেও গোশত খাওয়ানো যাবে।-আহকামুল কুরআন জাস্সাস ৩/২৩৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলবাহরুর রায়েক ৮/৩২৬, ইমদাদুল মুফতীন

    জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া

    মাসআলা : ৭০. কুরবানী পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েয। তবে কুরবানীর পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না। -কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫

    মোরগ কুরবানী করা

    মাসআলা : ৭১. কোনো কোনো এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে মোরগ কুরবানী করার প্রচলন আছে। এটি না জায়েয। কুরবানীর দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়, তবে কুরবানীর নিয়তে করা যাবে না। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৪, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৬/২৯০, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২০০ ষ

    জাতীয় নিরাপত্তা বিলঃ নতুন স্তরে জাপানের নিরাপত্তা

    জাপানের বহুল আলোচিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল আইনে পরিণত হয়েছে যা দেশটির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন একটি মাত্রা দেবে।

    আইনটি পাস হওয়ার ফলে জাপান-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন গতি সঞ্চারিত হবে এবং জাপান অস্থিতিশীল পূর্ব এশিয়ার উত্তেজনা মোকাবেলা করার জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারবে।

    উত্তর কোরিয়া তার উস্কানিমূলক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে, সাথে পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি পুরোদমে চলছে। কোরিয় উপদ্বীপ আকস্মিক কোনো ঘটনার পথেই যেন চলছে।

    ২০১০ সালের নভেম্বরে উ.কোরিয়া দ.কোরিয়ার ইয়ংপিয়েং দ্বীপে বোমাবর্ষণ করে। বেশ কয়েকজন ঐ ঘটনায় নিহত হন।

    সে সময় আমেরিকা দ্রুত জাপানের কানাগাওয়া প্রিফেকচারের ইয়োকোসুকা ঘাঁটি থেকে সেখানে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করে, সেখানে দ.কোরিয়ার সাথে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে উ.কোরিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে।

    জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাস হওয়ার ফলে কোরিয়ান উপদ্বীপে কোনো ঘটনা ঘটলে জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্স মার্কিন রণতরীর ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, মাইনসুইপার জাহাজ মোতায়েন করে নৌপথ নিরাপদ করতে পারবে।

    তা ছাড়াও কোরিয়ান উপদ্বীপে জ্বালানি, রসদ সরবরাহের মতো কৌশলগত সহযোগিতা করতে সমর্থ হবে। অস্ট্রেলিয়াও তার তৎপরতা শুরু করেছে -জাপান তাদেরকেও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে পারবে।

    যদিও বিরোধী দল গুলো দাবি করছে নিরাপদ সমুদ্র নিশ্চিত করতে এসডিএফ এর প্রয়োজন নেই কিন্তু অপোরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে নিরাপদ সমুদ্র খুবই জরুরি, জনগনের প্রাত্যাহিক প্রয়োজন মেটানোর উপকরণ রক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মনে করেন মধ্যপ্রাচ্যের হরমুজ প্রণালী দিয়ে আসার সময় ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ চীন সাগর এবং পূর্ব চীন সাগরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় এই সরবরাহ জাপানের অর্থনীতির প্রাণধারা বজায় রাখে।

    নৌ সেলফ ডিফেন্স ফোর্স অতীতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ গুলোকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সহায়তা দিতে দু’টি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করে।

    চীনা সামরিক বাহিনী ওকিনাওয়া প্রিফেকচারের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের নিকট ক্রমেই উস্কানিমূলক তৎপরতা বৃদ্ধি করছে। ইতিমধ্যেই জাপানি জাহাজ গুলোর প্রতি রাডার লক এবং চীনা জঙ্গী বিমানের অস্বাভাবিক রকম নিকটে চলে আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। নিরাপত্তা আইনের ফলে এসডিএফ এবং মার্কিন বাহিনী একে অপরকে রক্ষার কাজে সহায়তা করতে পারবে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধতণ কর্মকর্তা বলেছেন “চীনের সাথে যে কোনো ধরনের সাংঘার্ষিক অবস্থা এড়াতে জাপান ও আমেরিকা’র ঐক্যবন্ধন প্রদর্শন খুবই জরুরি”।

    সরকার আইনটি পাস করতে বেশ তাড়াহুড়ো করেছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র ভাষায় “জাপানের চারপাশের নিরাপত্তা পরিবেশ ক্রমেই গুরুতর হয়ে উঠছে”।

    জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গেন নাগাতানি চীনের ক্রম ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার ব্যাপারে উদ্বেগ করেছেন। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রতিবছরই বিপুল ভাবে বাড়ছে।

    দক্ষিণ চীন সাগরে চীন এখন সাগর ভরাট করে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে, যেখানে ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন দেশ তাদের সার্বভৌমত্য দাবি করে থাকে।

    উচ্চকক্ষের বিশেষ কমিটিতের বৈঠকে আবে বলেন “যদি কিছু ঘটে যাওয়ার পর আমরা এই আইন করি তবে তাতে অনেক দেরী হয়ে যাবে” তিনি বলেন “ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমাদেরকে আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে”।

    ইসলাম গ্রহণ করেছেন জ্যানেট জ্যাকসন!

    মার্কিন গায়িকা ও মাইকেল জ্যাকসনের বোন জ্যানেট জ্যাকসন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ২০১২ সালে কাতারের মুসলমান শিল্পপতি ওয়াসাম আল মানাকে বিয়ে করেন তিনি।
    গুঞ্জন উঠেছে, বিয়ের পরই তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হন। এরপর থেকেই কনসার্টে খোলামেলা পোশাক পরিধান এবং আবেদনময়ী নাচের ভঙ্গিও কমিয়ে দেন।
    এক সূত্রটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান পত্রিকাকে বলেছে, নতুন ধর্মের মধ্যে জ্যানেট যেন আপন ঘর খুঁজে পেয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে তার পরিবার ও বন্ধুদের জানিয়েছেন। তারা সবাই জ্যানেটের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছেন।
    সূত্রটি আরো জানিয়েছেন, জ্যানেট অনেকটা সময় ধরে ইসলাম এবং অনুসারীদের নিয়ে পড়াশোনায় ব্যয় করেছেন। অশালীন ভঙ্গীতে নাচ ও যৌনাবেদনময় গানের কথা এখন তার জন্য অতীতের বিষয়।

    জাপানে জাতীয় নিরাপত্তা বিল আইনে পরিণত

    জাপানের ডায়েট জাতীয় নিরাপত্তা বিলকে কার্যকর করেছে। ঐতিহাসিক এই পরিবর্তনের ফলে কয়েক দশক ধরে চলা দেশের নিরাপত্তা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।

    উচ্চকক্ষের আইনপ্রণেতারা দেশের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সম্প্রসারিত ভূমিকার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকটি বিলের সমন্বয়ে গঠিত বিলটি পাস করেছে, যার মাধ্যমে দেশে সমষ্টিগত আত্মরক্ষার পথ উন্মুক্ত হলো।

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র ক্ষমতাসীন জোট উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তিনটি ছোট ছোট বিরোধীদলও প্রস্তাবটিকে সমর্থন দিয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইতিমধ্যেই বিলটিকে অনুমোদন করেছে।

    বিরোধী আইনপ্রণেতারা ভীষণভাবে আইনটির বিরোধীতা করেন এবং বলেন এ নিয়ে আরো বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন বিলটি অসাংবিধানিক এবং এর ফলে জাপানের বিদেশের যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে।

    তারা বিভিন্ন কৌশলে বিলটি পাস করা বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এবং নিন্দা প্রস্তাব ইত্যাদি। গোপন ব্যালটে এসব বিলের উপর ভোট গ্রহণের সময় বিরোধী আইনপ্রণেতাদের অনেকেই ইচ্ছেকৃত ভাবে শম্বুক গতিতে ব্যালট প্রদানের জন্যে হাঁটেন, যাতে এভাবেও কিছুটা সময় ক্ষেপণ যায়

    কিন্তু এতো কিছু সত্বও বিরোধীরা বিলটিকে আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে পারেননি।

    বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গেম শোটোকিও গেম শো শুরু

    বৃহস্পতিবার থেকে টোকিও গেম শো ২০১৫ শুরু হয়েছে। এ বছর প্রদর্শনীতে রেকর্ড ৪৮০টি প্রতিষ্ঠান তাদের সর্বাধুনিক গেম গুলো নিয়ে এখানে হাজির হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪৬টি প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরের, ফলে প্রদর্শনীর ইতিহাসে বিদেশি প্রতিষ্ঠান গুলো প্রথমবারের মতো স্থানীয়দের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে।

    চারদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে টোকিওর বাইরে মাকুহারি মেসসে কনভেনশন সেন্টারে। ১,০২১ শিরোনামের বিভিন্ন গেম এখানে রয়েছে, যার মধ্যে ৫১০টি স্মার্টফোনের জন্যে। স্মার্টফোনের গেম “ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস”র জন্যে খ্যাত ফিনল্যান্ডের কোম্পানি সুপারসেল প্রথমবারের মতো মেলায় একটি বুথ নিয়েছে।

    সনি কম্পিউটার এন্টারটেইনমেন্ট এর প্লেস্টেশন ভিআর এবং অন্যান্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট গুলো প্রদর্শনীতে সকলের নজর কাড়ছে।

    টোকিও গেম শো জনসাধারণের জন্যে খোলা থাকবে দু’দিন, শনিবার ও রোববার। আয়োজকরা আশা করছেন ২ লক্ষ ২০ হাজার দর্শক প্রদর্শনীটি দেখতে আসবেন।

    চিলির ভূমিকম্প থেকে জাপানে ৮০ সেঃমিঃ সুনামির আঘাত

    জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ছোট আকারের সুনামি আঘাত হেনেছে। মধ্য চিলি’তে ভূমিকম্প আঘাত হানার পরদিন জাপানে সুনামি আঘাত হানে।

    ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি উত্তর-পূর্ব জাপানের ইওয়াতে প্রিফেকচারের কুজি বন্দরে আঘাত হানে এবং হোক্কাইদো’র এরিমো’তে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৫০ সেন্টিমিটার, ইবারাকি প্রিফেকচারের ওয়ারাই’তে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৪০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব জাপানের অন্যান্য স্থানে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

    তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগ আগেই হোক্কাইদো’র পূর্বাঞ্চল, উত্তর জাপান এবং তোহোকু ও কানতো অঞ্চলে সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছিলো। ভোর ৬টা থেকে সুনামির ঢেউ উপকূলে এসে আছড়ে পড়তে থাকে।

    জাপানের বিস্তৃত অঞ্চলের উপকূল জুড়ে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভোর ৩টায় সুনামি সতর্কতা দেয়া হয়। হোক্কাইদো থেকে শুরু করে ওকিনাওয়া পর্যন্ত উপকূলাঞ্চল জুড়ে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।

    ২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাত সহ্য করা ইওয়াতে’র শহর ওৎসুচি থেকে জনগনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়াও নুমাজু, শিজুওকা এবং টোকিওর মিনামি ওয়ার্ডে’র ওদাইবা ওয়াটার ফ্রন্টে সতর্কতা জারি করা হয়।

    শহরটির অধিবাসীরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন। স্কুল গুলো বন্ধ ছিলো, সাইরেন বাজিয়ে সকলকে সাগর তীর থেকে সরে আসার সংকেত প্রেরণ করা হয় অপরদিকে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা এলাকা জুড়ে টহল দিতে থাকেন।

    মিয়াগি প্রিফেকচারের অধিবাসী আইউকো তাকাহাশি (৬৫) সারারাত উঁচু একটি স্থানে কাটিয়ে দেন। তার চোখে ২০১১’র স্মৃতিই ভেসে আসে। সুনামিতে তার ঘর ভেসে গিয়েছিলো।

    “আমি খুবই ভয় পেয়ে গেছি, সতর্কতা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমি আর সেখানে ফিরে যাচ্ছি না” তিনি বলেন।

    মিয়াগি’র ওনাগাওয়া’র নাবিক ইয়োশিহিকো আবে (৫৯) বলেন, তিনি সুনামির সতর্কতা থাকায় সাগরে যাবেন না। তিনি বলেন “সুনামি নিয়ে আমার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে”।

    বৃহস্পতিবার চিলিতে ৮.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানলে এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    ১০ মিনিটে মাথা ব্যথা দূর করতে

    মাঝে মধ্যেই একটু আধটু মাথা ব্যথায় ভুগতে হয় না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল হতে পারে। অনেক সময় আমরা ভাবি, রাতে ভালো ঘুম হয়নি বলেই হয়তো এই ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। দাঁতে দাঁত চাপা কিংবা দীর্ঘক্ষণ ঠোঁট আড়ষ্ট হয়ে থাকা থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। কারো মাইগ্রেন আবার কারো এমনিতেই। এই ব্যথা হুট করে শুরু হয়ে যায় এবং এতোটাই তীব্র যে কোনো কাজই ঠিক মত করা যায় না। মাথা ব্যথা কখনো মাথার এক পাশে আবার কখনো উভয় পাশেই প্রচন্ড চাপ অনুভূত হয়ে ব্যথা হয়। অনেকে দুচোখে ঝাপসা দেখে থাকেন এই সময়। বিশেষ করে মাইগ্রেনের ব্যথার কোনো স্থায়ী উপশম নেই। তবে ব্যথা শুরু হওয়ার পর তা দ্রুত দূর করার জন্য করতে পারেন কিছু দারুণ কৌশল, তা তুলে ধরা হলো এখানে।
    আদা চিবোন এবং আদা চা পান করুন। আদায় রয়েছে ‘প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সিনথেসিস’ যা অ্যাসপিরিন এবং ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহার করা হয়। তাই মাথা ব্যথা শুরু হওয়া মাত্র আদা ছিলে নিয়ে চিবনো শুরু করুন। এতে ব্যথা উপশম হবে দ্রুত। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা সামান্য ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে সামান্য মধু দিয়ে পান করতে পারেন আদা চা। এতেও দূর হবে মাথা ব্যথা দ্রুত।
    পিপারমিন্ট অয়েল ম্যাসাজ করুন বাজারে পিপারমিন্ট অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। যারা মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা পিপারমিন্ট অয়েল হাতের নাগালে রাখতে পারেন। এছাড়া বাসায় তৈরি করতে পারেন পিপারমিন্ট অয়েল।
    কিছু তাজা পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে সামান্য পিষে নিন। এরপর এতে ১ কাপ অলিভ অয়েল কিংবা অ্যালমন্ড অয়েল দিয়ে রেখে দিন ২৪ ঘণ্টা। পুদিনা পাতা ছেঁকে তেল আলাদা করুন। এভাবে একই তেলে আবার একই ভাবে পুদিনা পাতা পিষে ২-৩ দিন একই পদ্ধতি পালন করুন। তৈরি হয়ে যাবে পিপারমিন্ট অয়েল। এই তেল দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা দ্রুত দূর হয়।
    কাঠবাদাম বাদাম খান। অনেকে মাথা ব্যথা শুরু হতেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই ওষুধ না খেয়ে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তখন ব্যথা কমানোর জন্য একমুঠো বা দুইমুঠো কাঠবাদাম খান। কাঠবাদামে রয়েছে ‘স্যালিসিন’, যা ব্যথা উপশমে কাজ করে।

    তীব্র বিশৃঙ্খলার মধ্যে জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা বিলের উপর ভোট গ্রহণ

     জাপানের বিরোধী আইনপ্রণেতারা এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বুধবার রাতে প্রবল বিক্ষোভ করেছেন, আর এরই মধ্যে সরকারি দল দ্রুততার সাথে বিলটি পাশ করিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিলটি পাস হলে জাপানের সেনাবাহিনীর কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাবে।

    বিলের প্রস্তাবানুসারে হামলার শিকার হলে জাপান বন্ধুপ্রতীম দেশ গুলোকে রক্ষায় সামরিক বাহিনী প্রেরণ করতে পারবে। ফলে আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা মিশনে জাপান আরো নিবিড় ভাবে কাজ করতে পারবে।

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিলটি পাস করা জরুরি। বিরোধীদল গুলো বলছে বিলটি জাপানের সংবিধান বিরোধী এবং এর ফলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে জাপানের জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।

    বিরোধী দলগুলো বিলটি আটকানর আপ্রাণ চেষ্টা চালবে। এমকি তারা অনাস্থা প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড় হয়েছেন।

    তারা সকলে বিলটিকে “এখনই বাতিল করো”, “যুদ্ধ বিলকে না” ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকে।

    বিরোধী নেতা কাৎসুইয়া ওকাদা বলেছেন এটি খুবই “ভয়ানক” তিনি বলেন “আমাদের বিলটিকে রুখতে একসাথে কাজ করে যেতে হবে”।

    তবে এতো কিছু সত্বেও বিলটি নির্বিঘ্নেই পাশ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে কেননা ক্ষমতাসীন দল উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপভোগ করছে।

    জাপানের হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবে

    কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর জাপানের হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। গত জুন মাসে ভোট দানের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২০ থেকে কমিয়ে ১৮তে আনার পর স্কুলের গাইডলাইনে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

    ৪৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্কুল গাইডলাইনে রাজনীতিকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা ঘটছে।

    রাজনীতিতে ছাত্রছাত্রীরা সক্রিয় হতে পারলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি করার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া যাবে।

    খসড়া প্রস্তাবে শিক্ষাকে নিরপেক্ষ রাখতে শিক্ষকদেরকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    খসড়ায় বলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছায় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন সেটা স্কুলের কর্মকান্ডের জন্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াছে সেক্ষেত্রে তারা এ ধরনের রাজনৈতিক সংশ্রবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন।

    ১৯৬৯ সালে বর্তমানে প্রচলিত গাইডলাইনটি তৈরি করা হয়েছিলো। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তি বিরোধীতা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিলো। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চরমপন্থী আচরণের মাধ্যমে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার তৎপরতা চালায়।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিবেচনায় টোকিও বিশ্বের ২য় ঝুঁকিপূর্ণ শহর

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় টোকিও হলো বিশ্বের ২য় ঝুঁকিপূর্ণ শহর, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হচ্ছে তাইপে। জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লয়েড’স।

    যেসব কারণে টোকিও’কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ভূমিকম্প, বন্যা সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা বাজার বিপর্যয়, পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট হুমকি।

    লয়েড’স এর শহর ঝুঁকি সূচক ২০১৫-২০২৫ এ উল্লেখ করা হয়েছে প্রাকৃতিক এবং মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ থেকে জাপান ৩৯ লক্ষ কোটি ইয়েন বা ৩২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারাতে পারে।

    প্রতিবেদনে বিশ্বের ৩০১টি শহরের প্রাকৃতিক ও মানব-সৃষ্ট বিপর্যয়ের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।

    বিগত দুর্যোগের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হুমকিকে কম্পিউটার সফফটওয়্যারের মাধ্যমে সিমুলেশনে প্রতিপাদন করা হয়। সূচকে ১৮টি ঝুঁকি বিবেচনায় আনা হয়। যার মধ্যে আছে, ভূমিকম্প, বন্যা, মহামারি, আগ্নেয়গিরির তৎপরতা, সুনামি এবং খরা সাথে রয়েছে বাজার বিপর্যয়, তেলের মূল্য, সাইবার হামলা, সার্বোভৌমত্ব, পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং সন্ত্রাসী হামলা ইত্যাদি।

    জাপানের ১৩টি শহর এই প্রতিবেদনের আওতায় এসেছে। টোকিও অর্থনৈতিক দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে, এরপর আছে ওসাকা। বিশ্ব র‌্যাংকিং এ ওসাকা বিশ্বের ৮ম ঝুঁকিপূর্ণ শহর। ইয়োকোহামা জাপানের ৪র্থ ঝুঁকিপূর্ণ শহর।

    প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বে দুর্যোগের ক্ষেত্রে টোকিও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    জাপানে আগামী এক দশকে বড় ঝুঁকির ক্ষেত্র গুলো হচ্ছে বন্যা, সুনামি, তেলের মুল্য, বিদ্যুৎ গোলোযোগ এবং সৌরঝড়। ঝুঁকির মুখে থাকা দেশ হিসেবে জাপানের অবস্থান ১০।