জাপানে জাতীয় নিরাপত্তা বিল আইনে পরিণত
জাপানের ডায়েট জাতীয় নিরাপত্তা বিলকে কার্যকর করেছে। ঐতিহাসিক এই পরিবর্তনের ফলে কয়েক দশক ধরে চলা দেশের নিরাপত্তা নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
উচ্চকক্ষের আইনপ্রণেতারা দেশের সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সম্প্রসারিত ভূমিকার সাথে সম্পৃক্ত কয়েকটি বিলের সমন্বয়ে গঠিত বিলটি পাস করেছে, যার মাধ্যমে দেশে সমষ্টিগত আত্মরক্ষার পথ উন্মুক্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র ক্ষমতাসীন জোট উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তিনটি ছোট ছোট বিরোধীদলও প্রস্তাবটিকে সমর্থন দিয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইতিমধ্যেই বিলটিকে অনুমোদন করেছে।
বিরোধী আইনপ্রণেতারা ভীষণভাবে আইনটির বিরোধীতা করেন এবং বলেন এ নিয়ে আরো বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন বিলটি অসাংবিধানিক এবং এর ফলে জাপানের বিদেশের যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে।
তারা বিভিন্ন কৌশলে বিলটি পাস করা বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এবং নিন্দা প্রস্তাব ইত্যাদি। গোপন ব্যালটে এসব বিলের উপর ভোট গ্রহণের সময় বিরোধী আইনপ্রণেতাদের অনেকেই ইচ্ছেকৃত ভাবে শম্বুক গতিতে ব্যালট প্রদানের জন্যে হাঁটেন, যাতে এভাবেও কিছুটা সময় ক্ষেপণ যায়
কিন্তু এতো কিছু সত্বও বিরোধীরা বিলটিকে আইনে পরিণত হওয়া ঠেকাতে পারেননি।