• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপানের হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবে

    কয়েক দশক ধরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর জাপানের হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। গত জুন মাসে ভোট দানের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২০ থেকে কমিয়ে ১৮তে আনার পর স্কুলের গাইডলাইনে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

    ৪৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্কুল গাইডলাইনে রাজনীতিকে অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা ঘটছে।

    রাজনীতিতে ছাত্রছাত্রীরা সক্রিয় হতে পারলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি করার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া যাবে।

    খসড়া প্রস্তাবে শিক্ষাকে নিরপেক্ষ রাখতে শিক্ষকদেরকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    খসড়ায় বলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা স্বেচ্ছায় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন সেটা স্কুলের কর্মকান্ডের জন্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াছে সেক্ষেত্রে তারা এ ধরনের রাজনৈতিক সংশ্রবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন।

    ১৯৬৯ সালে বর্তমানে প্রচলিত গাইডলাইনটি তৈরি করা হয়েছিলো। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তি বিরোধীতা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিলো। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চরমপন্থী আচরণের মাধ্যমে ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার তৎপরতা চালায়।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিবেচনায় টোকিও বিশ্বের ২য় ঝুঁকিপূর্ণ শহর

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় টোকিও হলো বিশ্বের ২য় ঝুঁকিপূর্ণ শহর, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হচ্ছে তাইপে। জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লয়েড’স।

    যেসব কারণে টোকিও’কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ভূমিকম্প, বন্যা সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা বাজার বিপর্যয়, পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট হুমকি।

    লয়েড’স এর শহর ঝুঁকি সূচক ২০১৫-২০২৫ এ উল্লেখ করা হয়েছে প্রাকৃতিক এবং মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ থেকে জাপান ৩৯ লক্ষ কোটি ইয়েন বা ৩২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারাতে পারে।

    প্রতিবেদনে বিশ্বের ৩০১টি শহরের প্রাকৃতিক ও মানব-সৃষ্ট বিপর্যয়ের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়।

    বিগত দুর্যোগের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হুমকিকে কম্পিউটার সফফটওয়্যারের মাধ্যমে সিমুলেশনে প্রতিপাদন করা হয়। সূচকে ১৮টি ঝুঁকি বিবেচনায় আনা হয়। যার মধ্যে আছে, ভূমিকম্প, বন্যা, মহামারি, আগ্নেয়গিরির তৎপরতা, সুনামি এবং খরা সাথে রয়েছে বাজার বিপর্যয়, তেলের মূল্য, সাইবার হামলা, সার্বোভৌমত্ব, পারমাণবিক দুর্ঘটনা এবং সন্ত্রাসী হামলা ইত্যাদি।

    জাপানের ১৩টি শহর এই প্রতিবেদনের আওতায় এসেছে। টোকিও অর্থনৈতিক দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে, এরপর আছে ওসাকা। বিশ্ব র‌্যাংকিং এ ওসাকা বিশ্বের ৮ম ঝুঁকিপূর্ণ শহর। ইয়োকোহামা জাপানের ৪র্থ ঝুঁকিপূর্ণ শহর।

    প্রতিবেদনে বলা হয় বিশ্বে দুর্যোগের ক্ষেত্রে টোকিও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    জাপানে আগামী এক দশকে বড় ঝুঁকির ক্ষেত্র গুলো হচ্ছে বন্যা, সুনামি, তেলের মুল্য, বিদ্যুৎ গোলোযোগ এবং সৌরঝড়। ঝুঁকির মুখে থাকা দেশ হিসেবে জাপানের অবস্থান ১০।