চিলির ভূমিকম্প থেকে জাপানে ৮০ সেঃমিঃ সুনামির আঘাত

জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ছোট আকারের সুনামি আঘাত হেনেছে। মধ্য চিলি’তে ভূমিকম্প আঘাত হানার পরদিন জাপানে সুনামি আঘাত হানে।

৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতার সুনামি উত্তর-পূর্ব জাপানের ইওয়াতে প্রিফেকচারের কুজি বন্দরে আঘাত হানে এবং হোক্কাইদো’র এরিমো’তে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৫০ সেন্টিমিটার, ইবারাকি প্রিফেকচারের ওয়ারাই’তে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৪০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব জাপানের অন্যান্য স্থানে সুনামির উচ্চতা ছিলো ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জাপানের আবহাওয়া বিভাগ আগেই হোক্কাইদো’র পূর্বাঞ্চল, উত্তর জাপান এবং তোহোকু ও কানতো অঞ্চলে সুনামি আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছিলো। ভোর ৬টা থেকে সুনামির ঢেউ উপকূলে এসে আছড়ে পড়তে থাকে।

জাপানের বিস্তৃত অঞ্চলের উপকূল জুড়ে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভোর ৩টায় সুনামি সতর্কতা দেয়া হয়। হোক্কাইদো থেকে শুরু করে ওকিনাওয়া পর্যন্ত উপকূলাঞ্চল জুড়ে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।

২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাত সহ্য করা ইওয়াতে’র শহর ওৎসুচি থেকে জনগনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়াও নুমাজু, শিজুওকা এবং টোকিওর মিনামি ওয়ার্ডে’র ওদাইবা ওয়াটার ফ্রন্টে সতর্কতা জারি করা হয়।

শহরটির অধিবাসীরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন। স্কুল গুলো বন্ধ ছিলো, সাইরেন বাজিয়ে সকলকে সাগর তীর থেকে সরে আসার সংকেত প্রেরণ করা হয় অপরদিকে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা এলাকা জুড়ে টহল দিতে থাকেন।

মিয়াগি প্রিফেকচারের অধিবাসী আইউকো তাকাহাশি (৬৫) সারারাত উঁচু একটি স্থানে কাটিয়ে দেন। তার চোখে ২০১১’র স্মৃতিই ভেসে আসে। সুনামিতে তার ঘর ভেসে গিয়েছিলো।

“আমি খুবই ভয় পেয়ে গেছি, সতর্কতা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমি আর সেখানে ফিরে যাচ্ছি না” তিনি বলেন।

মিয়াগি’র ওনাগাওয়া’র নাবিক ইয়োশিহিকো আবে (৫৯) বলেন, তিনি সুনামির সতর্কতা থাকায় সাগরে যাবেন না। তিনি বলেন “সুনামি নিয়ে আমার যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে”।

বৃহস্পতিবার চিলিতে ৮.৩ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানলে এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।