তীব্র বিশৃঙ্খলার মধ্যে জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা বিলের উপর ভোট গ্রহণ

 জাপানের বিরোধী আইনপ্রণেতারা এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বুধবার রাতে প্রবল বিক্ষোভ করেছেন, আর এরই মধ্যে সরকারি দল দ্রুততার সাথে বিলটি পাশ করিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিলটি পাস হলে জাপানের সেনাবাহিনীর কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাবে।

বিলের প্রস্তাবানুসারে হামলার শিকার হলে জাপান বন্ধুপ্রতীম দেশ গুলোকে রক্ষায় সামরিক বাহিনী প্রেরণ করতে পারবে। ফলে আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা মিশনে জাপান আরো নিবিড় ভাবে কাজ করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিলটি পাস করা জরুরি। বিরোধীদল গুলো বলছে বিলটি জাপানের সংবিধান বিরোধী এবং এর ফলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে জাপানের জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।

বিরোধী দলগুলো বিলটি আটকানর আপ্রাণ চেষ্টা চালবে। এমকি তারা অনাস্থা প্রস্তাব সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড় হয়েছেন।

তারা সকলে বিলটিকে “এখনই বাতিল করো”, “যুদ্ধ বিলকে না” ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকে।

বিরোধী নেতা কাৎসুইয়া ওকাদা বলেছেন এটি খুবই “ভয়ানক” তিনি বলেন “আমাদের বিলটিকে রুখতে একসাথে কাজ করে যেতে হবে”।

তবে এতো কিছু সত্বেও বিলটি নির্বিঘ্নেই পাশ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে কেননা ক্ষমতাসীন দল উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপভোগ করছে।