মিনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭, একজন বাংলাদেশি

সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধিপাচ্ছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে সৌদির আল আরাবিয়ায় কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮’শ জনের বেশি। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
নিহতের নাম ফিরোজা খানম। তিনি জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা মোল্লাবাড়ি এলাকার খন্দকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

ফিরোজা খানমের ছোট ছেলে খন্দকার ফরিদুল ইসলামের কাছ থেকে জানা গেছে যে, তিনি হাটচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষে অবসরে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার মা ও বড় ভাই খন্দকার মোজাহারুল ইসলাম শামীম হজ্বে গিয়েছিলেন। আজ বিকালে ভাই ফোন করে মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।”
তবে হতাহতের তালিকায় আরও বাংলাদেশি আছেন কি না তা জানাতে পারেননি জেদ্দায় বাংলাদেশের হজ্ব অফিসার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “হাসপাতালে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা জেনেছি, বাংলাদেশি কয়েকজনও হতাহতের মধ্যে আছেন।”

উল্লেখ্য, হজ্বের দিন সকালে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১০টার দিকে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

হজ্ব করতে আসা ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা আরাফাত পর্বত থেকে মক্কায় ফেরার পথে মিনায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে গত মাসে ক্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১০৯ জন হাজি মারা যান, আহত হন আরো ৪০০ জন। হজে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে মিনায় শয়তানের উপরে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপের সময়ে ৩৬৪ জন নিহত হয়েছিল।