• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • অ্যামাজন থেকে আসতে পারে পরবর্তী মহামারি ভাইরাস!

    বিশ্বের পরবর্তী মহামারি ভাইরাস অ্যামাজন বন থেকে আসতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রাজিলের পরিবেশবিদ ডেভিড লাপোলা। ডেভিড লাপোলা মনে করেন প্রাণীর আবাসস্থলে মানুষের আক্রমনের কারণেই করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছে। আর অ্যামাজনে যেভাবে বন উজার করা হচ্ছে এতে অচিরেই আরেকটি মহামারি দেখা দিতে পারে বলে জানান ডেভিড লাপোলা।

    গবেষকরা বলছেন, বন্য অঞ্চলে নগরায়ন করলে প্রাণী থেকে বিভিন্ন রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বাদুড়ের মধ্যেই নতুন করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছিল। যা অন্য কোন প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের দেহে পৌঁছেছে।

    পরবর্তী মহামারি ভাইরাসের বিষয়ে পরিবেশবিড ডেভিড লাপোলা বলেন, অ্যামাজন অনেক বিশাল ভাইরাসের ঘাঁটি। আপনি যখন পরিবেশগত বৈষম্য তৈরি করবেন তখনই একটি ভাইরাস সামনে চলে আসতে পারে। আমাদের উচিৎ হবে আমাদের ভাগ্যকে পরীক্ষা না করা।

    জানা গেছে, গত বছর অ্যামাজনের ব্রাজিলিয়ান অংশে বন উজার করার হার বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। ব্রাজিলিয়ান অ্যামাজনের ওই অংশে গত বছর প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন উজার করা হয়েছে। যা আকারে প্রায় লেবাননের সমান।

    ব্রাজিল ন্যাশনাল স্পেস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অ্যামাজনের ব্রাজিলিয়ান অংশের ১ হাজার ২০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বন উজার করা হয়েছে। এএফপি।

    বিশেষ সতর্ক এলাকায় জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে শেষ হতে পারে

    জাপান সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার সময় দেশের অবশিষ্ট অংশের সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে বিশেষ সতর্ক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১৩টি জেলার কয়েকটিকে অন্তর্ভুক্ত রাখা বিবেচনা করে দেখছে।

    বর্তমানে নির্ধারিত সময়সীমা চলতি মাসের ৩১ তারিখে জরুরি অবস্থার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে তা তুলে নেয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বৃহস্পতিবার বৈঠকে মিলিত হবে। গত দু’সপ্তাহে প্রতি এক লক্ষ জনের মধ্যে নতুন সংক্রমণের সংখ্যার মত বিভিন্ন উপাদান প্যানেল বিবেচনা করে দেখবে।

    ১৩টি বিশেষ সতর্ক এলাকার বাইরের ৩৪টি জেলার সবকয়টি থেকে জরুরি অবস্থা সরকার তুলে নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সাথে ১৩টি জেলার মধ্যে কয়েকটি; বিশেষত আইচি, ফুকুওকা, ইবারাকি, ইশিকাওয়া এবং গিফু জেলাকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা সরকার বিবেচনা করে দেখছে।

    টোকিও এবং প্রতিবেশী জেলাগুলোতে, প্রচুর সংখ্যক যাত্রীর নিয়মিতভাবে ওসাকা ভ্রমণ করা হিওগো জেলা এবং নতুন সংক্রমণ দেখা দেয়া এখনও অব্যাহত থাকা হোক্কাইদো জেলায় জরুরি অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের আরেকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পর্যন্ত এসব এলাকার লোকজনকে এখনও বাড়িতে থাকতে বলা হবে।

    এশিয়ায় সর্বোচ্চ ঝুঁকির দিকে বাংলাদেশ

    বিশ্ব জুড়ে এখন সবচেয়ে বড়ো আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত সাত দিনে ৪২ হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে সংক্রমিত হন ৫ হাজার ৭৩১ জন। এক সপ্তাহে আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।

    তবে এই হার এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমই। কারণ এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর এপ্রিলের শেষ সাত দিনে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ‘করোনা’ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৬০ জন।

    গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৮টি ল্যাবে ৬ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৯৬৯ জন। ১১ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭টি ল্যাবে ৭ হাজার ২০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রেকর্ড ১ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ১০ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন। গত ৯ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৪৬৫টি নমুনা। এর মধ্যে ৬৩৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৮ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৭০৯ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমিত হন ৭০৬ জন। গত ৬ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্ত শনাক্ত হন ৭৯০ জন। গত ৫ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫ হাজার ৭১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮৬ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার দুই মাস চার দিন পূর্ণ হয়েছে গতকাল। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা যেমন ছিল, বাংলাদেশেও একই রকম প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, বাড়ছে সংক্রমণের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, গত দুই সপ্তাহের কোনো দিনই নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৫০০-এর নিচে ছিল না। গত ১১ মে রেকর্ড ১ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। দেশে প্রথম সংক্রমণের দুই মাস তিন দিনের মাথায় এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২১ জানুয়ারি। দেশটিতে ৫৬ দিনের মাথায় প্রথম এক দিনে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। স্পেনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। দেশেটিতে ৪১ দিনের মাথায় প্রথম এক দিনে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, চলতি মে মাসের আরো ১৮ দিন বাকি আছে। করোনার অবস্থা বুঝতে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাস এ পর্যন্ত নয়বার চরিত্র পরিবর্তন করেছে। এ কারণে বিশ্বের গবেষকেরা এর টিকা বের করতে পারেননি। টিকা বের হওয়া অনিশ্চিত। এর কোনো ওষুধ নেই। আগামী জুন মাস না গেলে দেশের অবস্থা বোঝা যাবে না। পরীক্ষা যত বাড়ছে, আক্রান্তের সংখ্যা তত বাড়ছে। মে মাস ক্রিটিক্যাল হবে।

    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী জুন মাস কীভাবে যাবে বলা মুশকিল। মানুষের আচরণ দেখে বোঝা যায় সংক্রমণের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশের মানুষের সবকিছুতেই এলোমেলো ভাব। মানুষ আড্ডা দিতে পছন্দ করে। নিয়ম মানতে চায় না। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না অনেকেই। তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের তুলনায় যেহেতু দেশে চিকিত্সার ব্যবস্থা নেই, তাই সবারই উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নইলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নমুনা পরীক্ষার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ভাগ সংক্রমিত হন। করোনায় বেশি আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে। মোট আক্রান্তের ৮৩ ভাগই ঢাকায়। এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার জাপানে বিধিনিষেধ আংশিকভাবে তুলে নেয়া হতে পারে

    দেশের কিছু অংশে নির্ধারিত সময়ের আগেই জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা আগামী বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসা ৩০টিরও বেশি জেলায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো গতকাল সাংবাদিকদের বলেন যে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাথে পরামর্শ করার পর তিনি এ সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিবেন।

    সংক্রমণ রোধ এবং অর্থনীতি খুলে দেয়ার মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য এই প্যানেলে এখন থেকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

    উল্লেখ্য, গত মাসের ৭ তারিখ সরকার টোকিও’সহ আরও ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেয়। পরে এটি দেশব্যাপী বিস্তৃত করে নেয়া হয় এবং চলতি মাসের ৩১ তারিখ সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

    তবে, টোকিও’সহ অন্যান্য ১৭টি জেলায় বিধিনিষেধ বহাল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    গতকাল রাজধানীতে ১৫টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গভর্নর কোইকে ইউরিকো অধিবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাপান এবং বিদেশের উদাহরণের দিকে তাকালে আমরা ঠিক জানিনা যে কখন আবার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঢেউ উঠবে।”

    করোনাভাইরাসে মৃতদের ৩০ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে পরিচর্যা গৃহে: যুক্তরাষ্ট্র

    বয়োবৃদ্ধ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নার্সিং হোম বা পরিচর্যা গৃহগুলোর জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যার ৩০ শতাংশেরও বেশি বর্ধিত পরিচর্যা গৃহগুলোতে হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হল।

    গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা মোট মৃত্যুর প্রায় ৩৮ শতাংশ বা প্রায় ২৫ হাজার মৃত্যু পরিচর্যা গৃহগুলোতে হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য সেবার পরিসংখ্যান রাখা একটি মার্কিন সংস্থা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এখন মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    গভর্নর এন্ড্রু কুওমো রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার হল পরিচর্যা গৃহের লোকদের সুরক্ষা দেয়া।

    সকল পরিচর্যা কেন্দ্রের কর্মীদের সপ্তাহে দু’বার করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করানোর অনুমতি দেয়া একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন কুওমো।

    সংক্রমিত ব্যক্তিদের আলাদা করে রাখা বা আরও বেশি সংক্রমণ রোধের যথেষ্ট সক্ষমতা না থাকা স্থাপনাগুলোকে অবশ্যই সেখান থেকে অধিবাসীদের অন্য স্থাপনায় সরিয়ে নিতে হবে।

    এই নির্বাহী আদেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর কাজের লাইসেন্স স্থগিত বা প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে।

    উল্লেখ্য, শুধুমাত্র নিজেদের আপনজনকে চিরবিদায় জানানো ব্যতিরেকে পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা অধিবাসীদের সাথে তাদের পরিবারের সাক্ষাৎ বর্তমানে নিষিদ্ধ করেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য।

    জুলাই মাসে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা শুরু হতে পারে: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের একটি টিকার ক্লিনিকাল বা মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষা দ্রুত হলে আগামী জুলাই মাসে শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    সোমবার সংসদের নিম্ন কক্ষের বাজেট কমিটিতে আবে এই তথ্য উন্মোচন করেন।

    তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই মানবদেহে টিকার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।

    আবে বলেন, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় সংক্রামক রোগ ইন্সটিটিউট’সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে টিকার উন্নয়ন কাজ চলছে।

    আবে বলেন, সারা বিশ্বের প্রজ্ঞাকে একত্রিত করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে টিকা কর্মসূচি শুরুর প্রত্যাশা তিনি করেন।

    তিনি এটিও পুনর্ব্যক্ত করেন যে চলতি মাসের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯’এর চিকিৎসায় ফ্লু-রোধী ওষুধ এভিগানের অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্য ধরে নিয়েছে সরকার।

    চীনে ফের বাড়ছে সংক্রমণ, শহর লকডাউন

    চীনে ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ১৭ আক্রান্ত হয়েছে। এর আগের দিন রবিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪ জন।

    এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে ৭ জন বাইরে থেকে আসা। এছাড়া ৫ জন উহানের। গত বছরের ডিসেম্বরে উহান থেকেই সর্বপ্রথম করোনার আবির্ভাব ঘটে।

    সংক্রমণ বাড়ায় দেশটির শুলান শহরে ইতিমধ্যে লকডাউন দেয়া হয়েছে। শহরটিতে এক লন্ড্রি থেকে সংক্রমণ হয়েছে ১১ জন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী এক নারী থেকে শুরু হয়েছে সংক্রমণ। তার পরিবারের অধিকাংশই এখন কোভিড-১৯ রোগী।

    চীন সরকার এই শহরে সর্বোচ্চ ঝুঁকি ঘোষণা দিয়ে সকল জমসমাগম নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।

    এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৯১৮ জন। মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮ হাজার ১৪৪ জন।

    অনেকগুলো জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা

    জাপান সরকার, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সমগ্র দেশব্যাপী জারি করা জরুরি অবস্থা পূর্ব পরিকল্পিত ৩১শে মে’র আগেই বিশেষ সতর্কাবস্থা না থাকা সর্বোচ্চ ৩৪টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে।

    রবিবার প্রচারিত এনএইচকে’র এক অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি, আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত শোনার পর সরকার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের বিষয় বিবেচনা করবে বলে জানান।

    নিশিমুরা, এইধরনের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাপ্তাহিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস এবং আঞ্চলিক জনসংখ্যার অনুপাতে সংক্রমণের হার বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, নতুন সংক্রমণের কোন ঘটনা নেই এমন জেলাগুলো থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানান। তিনি, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে টোকিও ও ওসাকা জেলা অন্তর্ভুক্ত থাকা বিশেষ সতর্কতা বিরাজমান থাকা ১৩টি জেলা থেকেও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

    স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রী কাতো কাৎসুনোবু, বিক্রি হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও কর্মীদের চাকুরিচ্যুত না করা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রদেয় কর্মসংস্থানের ভর্তুকির বিষয় উল্লেখ করেন।

    তিনি, আবেদনের প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে সহজীকরণের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের অন্তত দুই সপ্তাহ পর ভর্তুকির অর্থ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান।

    তিনি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ছুটিতে থাকতে বাধ্য হওয়া প্রত্যেক কর্মীর জন্য সরকারের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ দৈনিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৩০ ইয়েন বা প্রায় ৮০ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি করার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।

    জাপানের বাণিজ্য ও শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান মিমুরা আকিও’ও উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

    তিনি, বিভিন্ন কোম্পানির দেউলিয়া হওয়া ও ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপ সমাজের বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তুকি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার রেকর্ড ১৪.৭ শতাংশে উন্নীত

    করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির উপর আঘাত হানার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার গতমাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    শ্রম মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায় যে এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার মার্চ মাস থেকে ৪.৪ শতাংশ বেড়ে ১৪.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৪৮ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ মন্দাবস্থা।

    মন্ত্রণালয় বলছে, অপ্রাতিষ্ঠানিক বেতনভোগীদের সংখ্যা এর আগের মাসের তুলনায় ২ কোটিরও বেশি কমেছে। ১৯৩৯ সালে রেকর্ড রাখা আরম্ভের পর থেকে এটি সর্বোচ্চ হ্রাস।

    সাম্প্রতিক এই উপাত্তে দেখা গেছে যে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকার মাঝে বিস্তৃত ধরণের শিল্পের নিয়োগকারীরা কাজের সংখ্যার হ্রাস অব্যাহত রেখেছে।

    এদিকে, অনেক অঙ্গরাজ্যেই বাণিজ্যিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হচ্ছে। তবে কিছু বিশ্লেষক এই পূর্বাভাষ দিচ্ছেন যে অনেক চাকুরিদাতাই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় একটি ঢেউ আঘাত হানার আশংকা করায় বেকারত্বের হার কিছুকাল ধরে ১০ শতাংশের উপরেই অবস্থান করবে।

    কোভিড-১৯ এর জন্য ঔষধের ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরু করেছে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়

    টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গ্রুপ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্ভাব্য চিকিৎসা দেয়ার মত একটি ঔষধের ক্লিনিকাল বা মানব দেহে প্রয়োগের পরীক্ষা শুরু করেছে।

    নাফামোস্ট্যাট মেসাইলেট সাধারণত অগ্ন্যাশয়ের জটিলতা’সহ রক্ত জমাট বাধার মত অন্যান্য রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ফুথান ব্র্যান্ড নামে বাজারজাত করা হয়।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি শরীরে রক্ত জমাট বাধার পর করোনাভাইরাসবাহী অনেক ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতির কিছু খবর পাওয়া গেছে।

    টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়’সহ জাপানের অন্য পাঁচটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১শ ৬০ জন রোগীর উপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।

    রোগীদের দু’টি দলে ভাগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি দলের উপর ফুথান এবং ভাইরাস রোধী এভিগান ঔষধ যৌথভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর অন্য গ্রুপকে শুধুমাত্র এভিগান দেয়া হচ্ছে।

    গবেষকরা দেখতে চাইছেন, করোনাভাইরাস উপসর্গের চিকিৎসায় ফুথান কার্যকরী এবং নিরাপদ কিনা। তারা বলছেন, গবেষণাগার পরীক্ষায় দেখা গেছে এটি সম্ভবত ভাইরাসের বিস্তারকে দমন করতে পারে।

    জাপানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার নতুন সম্ভাবনা

    জাপান কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে চিকিৎসা কর্মীদের হাতে অন্য একটি হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ভাইরাস-রোধী ওষুধ অনুমোদনের মাধ্যমে একটি নতুন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

    জাপান অতি দ্রুত রেমডেসিভির ওষুধের অনুমোদন দেয়।

    যুক্তরাষ্ট্র চলতি মাসের শুরুতে এই ওষুধের জরুরি ব্যবহারের স্বীকৃতি দেয়। ইবোলা’র চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির’এর উন্নয়ন করে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্স।

    তবে, রেমডেসিভির’এর সরবরাহ সম্ভবত সীমিত। তাই সরকার মারাত্মক উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে প্রধানত এই ওষুধ সহজলভ্য করার পরিকল্পনা করছে।

    জাপানে কোভিড-১৯’এর জন্য অন্য একটি চিকিৎসা পদ্ধতিরও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

    কিতাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বাধীন একটি দল জানাচ্ছে, তারা প্রশমিত করার একটি অ্যান্টিবডি কৃত্রিমভাবে উৎপন্ন করেছে।

    তারা জানাচ্ছে, বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে দেখা যায় যে এই অ্যান্টিবডি থাকা অধিকাংশ কোষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়নি।

    যখন কোষগুলো একটি ভাইরাসে সংক্রমিত হয় তখন প্রশমিত করার একটি অ্যান্টিবডি মানব শরীরে তৈরি হয়।

    এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসের সাথে একটি বন্ধন তৈরি করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কোষের উপরিভাগের রিসেপ্টরে এসে লেগে যাওয়াকে রোধ করে।

    কিতাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাতাইয়ামা কাযুহিকো বলেন, “একটি অ্যান্টিবডি ওষুধের সম্ভাবনা থেকে চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভব হওয়া আরও বেশি বিকল্পের সৃষ্টি করবে। আমি আশা করছি এটা একটা নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠবে।”

    জাপানের পারিবারিক ব্যয় মার্চ মাসে কমে গেছে

    জাপানে মার্চ মাসে পারিবারিক ব্যয় কমে গেছে, কারণ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর মাঝে অনেক পরিবারের লোকজন বাড়িতে অবস্থান করেছেন।

    অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, দু’জন বা ততোধিক সদস্য থাকা পরিবারের গড় ব্যয় ছিল ২ লক্ষ ৯২ হাজার ২১৪ ইয়েন বা প্রায় ২ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার।

    এই ব্যয় মূল্য-সমন্বয় অর্থে এক বছর আগের একই মাসের থেকে ৬% কম।

    জাপানের বিভিন্ন পরিবার গত অক্টোবর মাসে সরকারের ভোগ্যপণ্য কর বাড়ানোর পর থেকে প্রতি মাসে কম ব্যয় করছে।

    প্যাকেজ ট্যুর সংক্রান্ত ব্যয় মার্চ মাসে ৮৩% হ্রাস পায়। হোটেল ভাড়া নেয়ার ব্যয় কমে যায় ৫৫%। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেন, “আমার মনে হয়, এই ব্যাপকহারে কমে যাওয়া লোকজনকে বাড়িতে থাকার অনুরোধের কারণে হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করছি, এই সংখ্যা এপ্রিল মাসে জরুরি অবস্থার কারণে আরও বেশি নেতিবাচক হবে”।

    করোনাভাইরাস সতর্কতায় থাকা জেলার কর্মচারীদের প্রতি বাড়িতে থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হবে

    জাপান সরকার করোনাভাইরাস জনিত বিশেষ সতর্কতায় থাকা টোকিও এবং ১২টি জেলার বিভিন্ন কোম্পানির প্রতি কাজে যেতে হওয়া কর্মচারীর সংখ্যা কমপক্ষে ৭০ শতাংশ হ্রাসের আহ্বান জানাবে।

    ওসাকা সহ ছয়টি জেলা ও টোকিওতে সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার হচ্ছে ঠিক এক মাস।

    প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো এরপর জরুরি অবস্থা সারা দেশজুড়ে সম্প্রসারিত করে নেয়া ছাড়াও প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী মে মাসের ৬ তারিখের পরিবর্তে জরুরি অবস্থার মেয়াদ চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছেন।

    বুধবার আবে অনলাইনের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনার পর জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিকল্পনার পুনরুল্লেখ করেন।

    তিনি বলেছেন, যার উপর ভিত্তি করে সেই সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করবেন সেইসব শর্তাবলী নির্ধারণ করে নেয়ার অনুরোধ তিনি বিশেষজ্ঞদের করবেন।

    জাপানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে

    বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাসে নিশ্চিত করে সংক্রমিতের সংখ্যা হল ১৫ হাজার ৪৮৬।

    এই হিসাবের মধ্যে বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টিন স্টেশনগুলোতে পরীক্ষা করা লোকজন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, কোয়ারেন্টিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং সরকারী চাটার্ড বিমানে করে চীন থেকে জাপানে ফিরে আসা ব্যক্তিরাও অর্ন্তভুক্ত রয়েছেন। পশ্চিম জাপানের নাগাসাকিতে নোঙর করা কোস্টা আটলান্টিকা নামের প্রমোদতরীতে আক্রান্ত ক্রু সদস্যরাও এতে অর্ন্তভুক্ত।

    ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়োকোহামা শহরে ডায়মণ্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে কোয়ারেন্টিন করা অতিরিক্ত ৭১২ টি সংক্রমণের ঘটনাকে অর্ন্তভুক্ত করা হলে এই সংখ্যা ১৬ হাজার ১৯৮ তে গিয়ে দাঁড়াবে।

    ডায়মণ্ড প্রিন্সেসের ১৩ জনকে নিয়ে জাপানে মৃতের সংখ্যা হল ৫৯২।

    উহানে খুলল শতাধিক স্কুল, ক্লাসে ফিরল শিক্ষার্থীরা

    মহামারি করোনা ভাইরাসের উত্পত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে শতাধিক স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে গ্রেড নাইন ও গ্রেড টুয়েলভের শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে। পরে ধাপে ধাপে অন্য শিক্ষার্থীদেরও ক্লাস শুরু হবে।

    ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের একটি বাজার থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারি থেকে শহরটিকে কড়া লকডাউনের মধ্যে রাখা হয়। সেখানে থেকে কাউকে বের হতে এবং ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শহরের ভেতরেও চলাচল খুব সীমিত করা হয়। গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। ভাইরাসের প্রকোপ অনেকখানি কমে আসায় এপ্রিলের শুরু দিক থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হতে থাকে। এরই মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হয়েছে। এরকম অবস্থায় বুধবার থেকে আংশিকভাবে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হলো।

    হুবেই প্রদেশ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার উহান শহরের ১২১টি স্কুল খুলেছে। এর মধ্যে ৮৩টি হাই স্কুল এবং ৩৮টি কারিগরি স্কুল রয়েছে। এদিন প্রায় ৫৭ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী স্কুলে যোগ দিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার আগে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করানো হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে স্কুলগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

    চীনে চলতি গ্রীষ্মে গ্রেড নাইনের শিক্ষার্থীদেরকে বড়ো একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এছাড়া গ্রেড টুয়েলভের শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়। উল্লেখ্য, দেশটির অন্য শহরগুলোতে গত মার্চ থেকেই গ্রেড টুয়েলভের শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু করেছে। তবে রাজধানী বেইজিংয়ে এখনো বিভিন্ন স্কুল বন্ধই রয়েছে। বিশেষ করে প্রাইমারি স্কুল আপাতত বন্ধই থাকছে। বুধবার স্কুল খুলে দেওয়ার মাধ্যমে উহানের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। শুধু উহানই নয়, হুবেই প্রদেশে অন্যান্য শহরগুলোতেও ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

    করোনা ভাইরাসের কারণে প্রথম দিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল চীন। তবে নানামুখী প্রচেষ্টার সফলতার মাধ্যমে সেখানকার পরিস্থিতির এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীনের সীমানা পেরিয়ে এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাস।