• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • জাপান যাচ্ছে তিন মাসের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে ৫০ জন

    বাংলাদেশের হাইটক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণে যাচ্ছে ৫০ জনের একটি দল। জাপানের ফুজিত্সু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ডাটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস, রবোটিক্স, ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ৯০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

    বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময়কালে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে একটি মেধানির্ভর অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চায়। এর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মাধ্যমে ৩৪১১ জন EEE/CSE/IT/Computer Science/ Software EngineeringSoftware Engineering গ্রাজুয়েটে র মধ্যথেকে ২০০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। মেধাক্রম অনুসারে প্রথম ৫০ জন জাপান যাচ্ছে। আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা দক্ষ আইটি কর্মী পাব।

    মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫,০০০ বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার); ১২টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৭,০০০ বর্গফুট) ক্যান্টিন ও এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); আটটি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬,০০০ বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।

    মুদ্রা সহজীকরণ নীতি বহাল রাখছে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

    জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান মুদ্রা সহজীকরণ নীতি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে ব্যাংক অব জাপান বলছে বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়ে আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্য গতি হারিয়ে ফেলে কিনা সেদিকে তারা ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে।

    আজ দু’দিনের এক বৈঠকের শেষে ব্যাংক অব জাপানের কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দেন।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই গতিতে সরকারি বন্ড কেনা অব্যাহত রাখবে। ১০-বছর মেয়াদী মুখ্য বন্ডের সুদ শূন্য শতাংশের কাছে ধরে রাখার লক্ষ্য ব্যাংক নির্ধারণ করেছে।

    স্বল্প মেয়াদী লক্ষ্যের বেলায় সুদের হার মাইনাস ০.১ শতাংশে বহাল থাকবে। এর অর্থ হল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ব্যাংক অব জাপানকে সুদ পরিশোধ অব্যাহত রাখবে।

    যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় ইতিমধ্যে এদের মুদ্রা সহজীকরণ কর্মসূচী গতিশীল করে নিয়েছে। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দৃশ্যত এরকম সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে পরিস্থিতি এখনও পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজনীয় করে তুলছে না।

    জুলাই মাসে ব্যাংক অব জাপান ঘোষণা করেছিল যে প্রয়োজন দেখা দিলে ব্যাংক মুদ্রা নীতি আরও সহজ করে তুলতে ইচ্ছুক।

    চিবা জেলায় বসবাসকারী অনেক মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়

    টাইফুন ফাক্সাই চিবা জেলায় আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরেও কয়েক হাজার বাড়িঘরে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ এখন পর্যন্ত পুনরায় চালু না হওয়ায় সেখানকার অনেক মানুষকে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে।

    সেপ্টেম্বর মাসের ৮ ও ৯ তারিখ বৃহত্তর টোকিও এলাকার ওপর দিয়ে টাইফুনটি বয়ে যায়। চিবা জেলায় ৬ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।

    টোকিও বিদ্যুৎ শক্তি কোম্পানি বলছে, ৮০ হাজারের কাছাকাছি পরিবার এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। কোম্পানিটি আরও বলছে, প্রায় ২০টি পৌর অঞ্চলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে।

    রবিবার পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার বাড়িতে কলের পানি ছিল না।

    কিছু কিছু এলাকায় সরকারি ঘোষণা ব্যবস্থা, ফোন এবং অনলাইন নেটওয়ার্ক এখনও অনুপস্থিত রয়েছে।

    জাপানে নিজ শহরে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নারী উদ্‌যাপন করলেন প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দিন

    জাপানের একজন স্থানীয় গভর্ণর দেশটির প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রতি বার্ষিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নারীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

    এই প্রবীণ নারী হচ্ছেন জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ফুকুওকা শহরের ১১৬ বছর বয়সী কানে তানাকা। তিনি মার্চে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

    সোমবার ফুকুওকা জেলার গভর্ণর হিরোশি ওগাওয়া তানাকা’র বৃদ্ধ পরিচর্যা কেন্দ্রে যেয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

    যখন গভর্ণর তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তখন তানাকা তাকে “অনুগ্রহ করে দীর্ঘজীবী হন” বলে উৎসাহ দিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করেন।

    ১০০ বছরেরও বেশি বাঁচার জন্য যারা তাকে শক্তি দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তানাকা বলেন তিনি তার শক্তি অন্যদের দিয়ে যেতে চান।

    শিক্ষা খাতে সরকারী ব্যয়ে জাপানের অবস্থান সর্বনিম্নে

    ওইসিডির পরিচালিত এক সমীক্ষায়, শিক্ষা খাতে জাপানের সরকারী ব্যয়ের পরিমাণ জিডিপির শতকরা হিসেবে জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে থাকার বিষয় প্রতীয়মান হয়েছে।

    ওইসিডি, ২০১৬ সালে সংস্থার পরিচালিত এক সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে, শিক্ষা খাতে জাপানের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারগুলো দেশটির জিডিপির ২.৯ শতাংশ ব্যয় করে বলে উল্লেখ করা হয়।

    এ সংখ্যা, ওইসিডির গড় ৪ শতাংশের চেয়ে অনেক কম। এটি, ৩৫টি সদস্য দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।

    এদিকে, জাপানের পরিবারগুলো শিক্ষা খাতের ২২ শতাংশ ব্যয় বহন করে যা ওইসিডির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক উচ্চ। আবার, উচ্চ শিক্ষার জন্য পরিবারগুলো ৫৩ শতাংশ ব্যয় বহন করে।

    ওইসিডির শিক্ষা ও দক্ষতা বিষয়ক পরিচালক আন্দ্রেয়াস শুলাইহার, শিক্ষা খাতে ব্যয়ের অনুপাত কম হওয়া সত্ত্বেও জাপান ভাল করছে যাকে কার্যকর বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    তবে তিনি, ব্যক্তিগত ব্যয়ের উপর নির্ভর করলে অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধা ভোগী লোকজন বাদ পড়তে পারে এবং ব্যবস্থাটি টেকসই হবে না বলে সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

    ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিন্দা

    জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি, গতকাল সৌদি আরবের তেল স্থাপনাগুলোর উপর চালানো ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

    মোতেগি আজ, এবিষয়ে একটি মন্তব্য প্রকাশ করেন।

    তিনি, পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাপানসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্থিতিশীল তেল সরবরাহ অপরিহার্য্য বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় এবং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের সঙ্গে অব্যাহত ভাবে জড়িত থাকতে জাপান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    মাথায় গজিয়েছে সিং

    Posted by admin on September 15
    Posted in Uncategorized 

    মাথায় গজিয়েছে সিং

    অনিচ্ছাকৃত অন্যের মাথায় মাথা ঠুঁকে গেলে আরও একবার মাথাটা ঠুঁকে নেন অনেকে। এই ভয়ে, মাথায় না সিং গজায়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও সমাজে এ বিশ্বাসের প্রচলন রয়েছে দীর্ঘদিনই। কিন্তু এবার বাস্তবেই এমনটা হয়েছে। মাথায় ঠোঁকা খেয়ে না হলেও মাথায় আঘাত পেয়ে আস্ত একটি সিং গজিয়েছে এক ব্যক্তির!
    শ্যামলাল যাদব (৭৪) ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার রহলি গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। তারপরই মাথার সামনের অংশটা ফুলে যায়। আর তারপরই সেখানে সিংয়ের মতোই একটি পিন্ড গজিয়ে ওঠে।

    যতদিন যায়, আরও উঁচু হতে থাকে সেই সিং। প্রথম প্রথম মাথার তালুতে এই অদ্ভুত জিনিসটি দেখে বেশ অবাক হতেন শ্যামলাল। তবে পরে বিষয়টির তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। অনেক সময় নিজে নিজেই সেটি কেটে ফেলার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু তা ক্রমেই সিংয়ের আকার ধারণ করে।

    শেষ পর্যন্ত তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কিন্তু চিকিৎসকরাও প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি এ বস্তু কীভাবে মাথায় আবির্ভূত হল? তবে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি আসলে সেবাসিয়াস হর্ন, যা ডেভিলস হর্ন নামেও পরিচিত। শরীরের যে অংশটি সবচেয়ে বেশি রোদ পায়, সাধারণত এটি সেখানেই গজিয়ে ওঠে।
    শ্যামলালের মাথায় আঘাত লাগার পরই এটি দেখা দিয়েছিল। তবে এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স¤প্রতি শ্যামলালের মাথা থেকে সিং কেটে ফেলেন।

    কিশিওয়াদায় দানজিরি উৎসব আরম্ভ

    পশ্চিম জাপানের ওসাকা জেলার কিশিওয়াদা শহরে, বিপুল সংখ্যক লোকজন সড়কের উপর দিয়ে ৪ টন ওজনের রথ টানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া পুরুষ দলগুলোকে উৎসাহিত করেছেন।

    শরতকালে প্রচুর ফসলের আশায় ৩শ বছরের বেশী আগে কিশিওয়াদা দানজিরি উৎসবটি আরম্ভ হয়।

    আজ দলগুলোর পুরুষ সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী হাপ্পি কোট পরিধান করে প্রচণ্ড গতিতে সড়কের মোড়গুলো দিয়ে ৩৪টি রথ টেনে নিয়ে যান। এসময় রথের ৪ মিটার উঁচুতে অবস্থানকারী নির্দেশক চিৎকার করে দিক নির্দেশনা দেন।

    বার্ষিক উৎসবটি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।

    টোকিও ২০২০র জন্য চেহারা সনাক্তকরণ ব্যবস্থার উন্মোচন

    যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে একটি চেহারা সনাক্তকরণ ব্যবস্থা উন্মোচন করেছে, আগামী বছর টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক চলার সময় নিরাপত্তা পরীক্ষায় যেটা ব্যবহার করা হবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের চিপ নির্মার্ণের বৃহদাকার কোম্পানি ইনটেল এবং জাপানের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নির্মাতা এন ই সি গতকাল নেও ফেস সনাক্তকরণ যন্ত্র দেখায়, যেটার আকার হচ্ছে উচ্চতায় প্রায় দেড় মিটার এবং প্রস্থে ৩০ সেন্টিমিটার।

    প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার জায়গায় ক্রীড়াবিদ, সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রবেশ স্থানে এবং ক্রীড়াবিদদের থাকার জায়গায় এটা ব্যবহার করা হবে।

    অলিম্পিকের আয়োজকদের দেয়া পরিচয়পত্র স্ক্যান করে নিয়ে এর ঠিক পরপর তিন লক্ষের বেশি নথিবদ্ধ লোকজনের নথিবদ্ধ হওয়ার আগে জমা দেয়া উপাত্ত ও প্রবেশ পথে তোলা ছবির সাথে তুলনা করে পরিচয় ঠিক করে নেয়া হবে।

    দুই কোম্পানি বলছে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের নিরাপত্তা প্রহরীদের জায়গায় এবারই প্রথম এজাতীয় চেহারা সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

    তারা বলছে এই ব্যবস্থা আরও বেশি নির্ভরযোগ্য পরিচিতি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে এবং পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখার লাইনের দৈর্ঘ্য হ্রাস করবে।

    চিবা জেলায় ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরে আসছে

    সোমবার আঘাত হানা তাইফুনের চারদিন পর জাপানে কয়েক লক্ষ বাড়িঘরকে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে।

    পরিষেবা কোম্পানি বলছে দ্রুত হলে শুক্রবারের আগে চিবা জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নাও হতে পারে।

    সোমবার ভোরে তাইফুন ফাক্সাই ভূমিতে আঘাত হানার সময় সেই অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ঝড় জেলার ৬ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল, এবং আজ দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিল।

    একই সাথে পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকায় এলাকাবাসীরা আত্মরক্ষা বাহিনীর পাঠানো পানির ট্যাংক থেকে পান করার পানি সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    পানি সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে আর কতদিন লাগবে তা পরিষ্কার নয়।

    জাপানে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বিদ্যুত বিভ্রাট, হিটস্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু

    জাপানে হিটস্ট্রোকে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে টোকিও ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার পর প্রায় ৫ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খবর এএফপি’র।

    টোকিও’র পূর্বের চিবা অঞ্চলের এক কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, মঙ্গলবার ৯৩ বছর বয়সী এক নারী ও ৬৫ বছর বয়সী এক পুরুষকে অচেতন অবস্থায় তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।

    তিনি জানান, মঙ্গলবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের লক্ষণ দেখা দেয়ায় কমপক্ষে আরো ৪৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সোমবার ঘূর্ণিঝড় ফাসাই’র আঘাতের পর বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি বিরাজ করছে।

    টোকিও ইলেক্ট্রিক কোম্পানির (টেপকো) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার সকাল নাগাদ ৪ লাখ ৫৬ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

    বিদ্যুত বিভ্রাটের জন্য গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে টেপকো হিটস্ট্রোক এড়াতে সকলকে অনুগ্রহ করে ঠান্ডা স্থানে অবস্থান করার এবং প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছে।

    স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, অনেক পানি পরিশোধন কেন্দ্রে বিদ্যুত না থাকায় মঙ্গলবার ৮৪ হাজার বাড়িতে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার বিদ্যুত সঞ্চালন ফের চালু করায় পানি সরবরাহ ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে।

    নতুন মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে মন্ত্রীসভা রদবদল করেছেন এবং নিম্নোক্তদের মন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

    তারো আসো উপ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে স্বপদে বহাল আছেন। সানায়ে তাকাইচি স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রীর পদে ফিরে এসেছেন। কাৎসুইয়ুকি কাওয়াই বিচার মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রী হচ্ছেন তোশিমিৎসু মোতেগি। আন্তঃ প্রশান্ত মহাসাগর অংশীদার এবং জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় জাপানের শীর্ষ আলোচক হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইতিমধ্যে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।

    শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হলেন কোইচি হাগিউদা। কাৎসুনোবু কাতো স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীসভায় ফিরে এসেছেন।

    তাকু এতো কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইসশু সুগাওয়ারা হচ্ছেন অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী।

    কাযুইয়োশি আকাবাকে ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলেন মন্ত্রীসভায় ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকারের ছোট অংশীদার কোমেই পার্টির একমাত্র সদস্য।

    নতুন পরিবেশ মন্ত্রী হয়েছেন শিনজিরো কোইজুমি। ৩৮ বছর বয়সে তিনি হলেন জাপানের যুদ্ধোত্তর ইতিহাসে মন্ত্রীসভার তৃতীয় কনিষ্ঠতম সদস্য।

    তারো কোনোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এনে নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

    ইয়োশিহিদে সুগা চীফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিসেবে স্বপদে বহাল আছেন।

    কাযুনোরি তানাকা পুনর্গঠন মন্ত্রী হয়েছেন। ২০১১ সালের দুর্যোগে বিধ্বস্ত জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার পুনরুদ্ধার তিনি তত্ত্বাবধায়ন করবেন।

    রিউতা তাকেদা হলেন জন প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত জাতীয় জন নিরাপত্তা কমিশনের প্রধান। পুলিশ প্রশাসনের দেখাশোনা তিনি করবেন।

    সেইইচি এতো হচ্ছেন সমগ্র নাগরিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে জড়িত করার দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী। জাপানের বৃদ্ধ হয়ে আসা সমাজে বলিষ্ঠ অর্থনীতি বজায় রাখা ও এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় তিনি নেতৃত্ব দেবেন।

    নাওকাযু তাকেমোতো পেয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি নীতির মন্ত্রণালয়। ইয়াসুতোশি নিশিমুরা হলেন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। সেইগো কিতামুরাকে আঞ্চলিক পুনঃ উদ্দীপনা মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।

    সেইকো হাশিমোতো হচ্ছেন টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমসের মন্ত্রী। গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে।

    রাশিয়ার সমাধিতে ২ হাজার বছরের প্রাচীন ‘স্মার্টফোন’!

    রাশিয়ায় প্রাচীন সমাধি থেকে পাওয়া গেল দুই হাজার বছরের বেশি পুরনো ‘স্মার্টফোন’। রাশিয়ার বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে আলা-তে লেকের নীচে সন্ধান পাওয়া এক সম্ভ্রান্ত মহিলার সমাধিতে পাওয়া গিয়েছে বিস্ময়কর এই সামগ্রী।

    সায়ানো-শুশেনস্কায়া বাঁধের কাছে ওই লেকের পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। পানি সরতেই সন্ধান পাওয়া যায় প্রাচীন সমাধির। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সমাধিটি ২,১৩৭ বছর আগে জিঅংনু আমলের এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত হুন যুবতীর, যিনি দক্ষিণ রাশিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। মনে করা হচ্ছে, আইফোনের মতো দেখতে বস্তুটি আদতে তার পোশাকে এঁটে থাকা বেল্টের বকলস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

    প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান পাভেল লিয়াসের মতে, ‘জিঅংনু আমলের এই হুন যাযাবর সম্প্রদায়ের সমাধিতে পাওয়া আইফোন সদৃশ বস্তুটি নিঃসন্দেহে আবিষ্কারের অন্যতম আকর্ষণ। নাতাশা নামের ওই মহিলার পোশাকেই একমাত্র এমন বেল্ট দেখা গিয়েছে। বেল্টের নকশায় থাকা চিনা উ্যঝু মুদ্রাগুলি সমাধির সময়কাল নির্ধারণে সহায়ক হয়েছে।’

    স্মার্টফোনের মতো আকৃতির বকলসটি লম্বায় প্রায় সাড়ে সাত ইঞ্চি। কালো জেমস্টোন জেটে তৈরি বর্গাকৃতির বকলসের উপর লাল-সাদা পাথরের বিন্দু সারিবদ্ধ হিসেবে বসানো রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

    ৩,৭০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ

    কানাগাওয়া জেলার এবিনা শহর এবং ইযু ওশিমা দ্বীপের প্রায় দেড় হাজার বাসভবন বা ৩,৭০০ ব্যক্তির প্রতি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার এই পরামর্শে পাঁচ মাত্রার সতর্কতায় মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪।

    এছাড়া প্রধানত কানাগাওয়া ও শিযুওকা জেলার প্রায় ৯ লক্ষ ৫০ হাজার বাসভবন বা ২০ লক্ষ লোকজনের প্রতি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখার উপদেশ দেয়া হয়েছে, যেটা হচ্ছে ৩ মাত্রার সতর্কতা।

    বিয়েতে বানরের বাধা

    Posted by admin on September 8
    Posted in Uncategorized 

    বিয়েতে বানরের বাধা

    মেয়ে দেখতে ভাল। পড়াশোনাও করেছে। বাড়ির কাজকর্মও জানে। বিয়েতে মেয়ে যেমন রাজি, তেমনি আবার মত রয়েছে পরিবারেরও। বিয়ের প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি নেই। এরপরও বিয়ে হচ্ছে না ভারতের বিহারের ভোজপুরের রতনপুর গ্রামের তরুণীদের। কারণ তাদের বিয়েতে প্রধান বাধা শুধুমাত্র একদল বানর।
    ভাবছেন চার পায়ের প্রাণীদের জন্য আবার কারও বিয়ে ভাঙতে পারে? কিন্তু এটাই বাস্তব। কারণ জানলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন। পাটনা শহর থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোজপুরের রতনপুর গ্রাম।
    রাস্তাঘাট এক প্রকার। তবে উন্নতির আলো একেবারে পৌঁছায়নি সে কথাও বলা যাবে না। তবে এই গ্রামে মূল সমস্যা বানর। প্রায়ই এলাকায় তান্ডব চালায় বানরের দল। গ্রামবাসীদের কাছে বানর রীতিমত ত্রাস। আঁচড়ানো, কামড়ানোর মতো অত্যাচারের ঘটনা লেগেই আছে। গ্রামের লোকজন আতঙ্কে থাকেন। বুঝে শুনে বাড়ির বাইরে বের হন।

    বাইরে থেকে আসা লোকজন এসবের কিছুই জানেন না। তাই গ্রামে এসেই একবার হামলার শিকার হন একদল মানুষ। তারা গ্রামে এসেছিলেন বরযাত্রী হিসাবে। হইচইয়ের ফলে বিরক্ত হয় বানরের দল। একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বরযাত্রীদের উপর। বানর দলের হামলায় পন্ড হয়ে যায় বিয়ে।
    ওই ঘটনার পর থেকে রতনপুর গ্রামে ছেলের বিয়ে দিয়ে আর বিপদ ডেকে আনতে চান না কেউই। তাই নিরুপায় অবস্থা কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের। তাদের বক্তব্য, ‘কেউ বরযাত্রী নিয়ে আসতে রাজি হচ্ছেন না। তাই মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। ওরা কুমারী থেকে যাচ্ছে।’ বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বন দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। কবে বানরের কবল থেকে মুক্তি পাবে গ্রাম, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।