• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • পবিত্র কুরআন সঙ্গে নিয়ে মহাকাশ যাচ্ছেন নভোচারী

    মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন প্রথম কোনো আরব্য যুবক হাজা আল-মানসুরি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন নভোচারী জেসিকা মেয়ার ও রাশিয়ান কমান্ডার ওলেগ স্ক্রিপোচকার। এদের মধ্যে হাজা আল-মানসুরি মুসলিম নভোচারী।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী দৈনিক গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশ নভোচারী হলেন হাজা আল-মানসুরি। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) সাইটের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহাকাশযান ‘সয়ুজ এমএস ১৫’ -এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে। এ মহাকাশ ভ্রমণটি কাজাখিস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম স্পেস বেস থেকে শুরু হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারের’ সহকারী মহাপরিচালক সালেম আল মেরি বলেন, ‘এটিই প্রথম আমাদের মহাকাশ কর্মসূচী। এই মিশনের মাধ্যমে জাতীয় দক্ষতার বিকাশ ঘটে। এটি আমাদের পৃথিবীতে উন্নত জীবনে সহায়তা করবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস) বিশ্বের ১৮টি দেশ থেকে ২৩০টির বেশি নভোচারী পেয়েছে। আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯তম দেশ হবে।’

    প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন জানিয়েছে, মহাকাশ সফরে ১০ কেজি পণ্য বহন করতে পারবেন হাজা আল-মানসুরি। সে হিসেবে তিনি মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন পবিত্র কুরআনের একখণ্ড পাণ্ডুলিপি, পারিবারিক ছবি, খাঁটি সিল্কে বোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা, ‘কিসাতি’ (আমার গল্প) নামক একটি গ্রন্থ, শায়খ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহায়ানের ছবি এবং ‘আল গাফ’ গাছের ৩০টি বীজ।

    মিয়ানমারে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবে জাপানি দূত

    মিয়ানমারে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সেদেশের সরকারের সাথে সহযোগিতা শুরু করেছে মিয়ানমারে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস।

    দু’বছর আগে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের উপর একটি সামরিক দমনাভিযান চালানোর ফলে উদ্ভূত সহিংস সংঘাতের পর মিয়ানমারের সংখ্যালঘু ৭ লক্ষেরও অধিক রোহিঙ্গা অধিবাসী নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

    মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য একটি কর্মসূচি নিয়ে সম্মত হলেও এখনও পর্যন্ত কার্যকরভাবে সেটি শুরু করা যায়নি।

    গত এপ্রিল মাস থেকে এপর্যন্ত আনুমানিকভাবে আড়াইশো’রও অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অনেকটা চুপিসারেই মিয়ানমার ফিরে গেছেন।

    মিয়ানমার ফেরত ঐ সব রোহিঙ্গা অধিবাসীদের বর্তমান অবস্থা তদন্তে সহায়তা করার জন্য জাপানি দূতাবাসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সেদেশের সরকার।

    গতকাল দেশের উত্তরাংশের রাখাইন রাজ্যের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্রে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাপানি দূত ইচিরো মারুইয়ামা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশে ফিরে আসা মোট ১২ জন রোহিঙ্গা অধিবাসীর সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।

    ঐ ১২ ব্যক্তি বলেন, তারা তাদের বাড়িঘর হারিয়ে এখন আত্মীয়স্বজনের সাথে অবস্থান করছেন। তারা আরও বলেন যে কৃষিকাজ বা মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার ইচ্ছা তাদের রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে পুনরায় হামলার শিকার হওয়ার ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের এই প্রত্যাশা পূরণে সহায়তার আহ্বান তারা জানান।

    জাপানি দূত বলেন, এক্ষেত্রে, ঠিক কি ধরণের সহায়তার প্রয়োজন হবে, সেটি সনাক্ত করার পাশাপাশি দূতাবাস মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দেয়া’সহ সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘ এজেন্সিগুলোর সাথে প্রচেষ্টা সমন্বয় করে নিবে।

    জাপানে বন্যা ও ভূমিধসের আশংকা, ৭ লাখ লোককে সরানোর নির্দেশ

    ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা ও ভূমিধসের আশংকায় জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ৭ লাখ লোককে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে হয়েছে। খবর এএফপি, সিএনএ।

    জাপানের আবহাওয়া সংস্থা কিউশুর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারির পর লোকজন সরিয়ে নেয়ার এ নির্দেশ জারি করা হয়।

    এতে বলা হয়, ব্যাপক মহাবিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকায় লোকজনের জীবন রক্ষার লক্ষ্যে এ নির্দেশ দেয়া হলো। প্রবল বর্ষণের কারণে প্রয়োজনে এ অঞ্চলের ১০ লাখের বেশি লোককে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

    তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ ও সতর্কবার্তা জারি করলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। এদিকে সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কাবস্থায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

    দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, তারা ইতোমধ্যে সাগা অঞ্চলের অনেক বাড়ি বন্যা কবলিত হওয়ার খবর পেয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করতে সেখানে কাজ করছে।

    বুধবার সকালে জরুরি ভিত্তিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাপান আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, ‘আমরা বিভিন্ন নগরীতে নজিরবিহীন পর্যায়ের বর্ষণ হতে দেখছি। এসব নগরীর জন্য আমরা বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছি।’

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সুশৃঙ্খল ব্রেক্সিটের আহ্বান জানিয়েছেন

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব ন্যূনতম করার লক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল ব্রেক্সিট নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানোর জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    আবে এবং জনসন ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন’এর শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি সোমবার বৈঠক করেন।

    তাদের প্রথম শীর্ষ বৈঠকে, আবে জনসন’কে বলেন, তিনি আশা করছেন, বৃটেন তাদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছে আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকবে।

    জনসন প্রত্যুত্তরে বলেন, তার সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে মসৃণভাবে বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে এবং জাপানি ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোর স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখবে।

    উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে আমাজনের দাবানল

    দগ্ধ ‘বিশ্বের ফুসফুস’ বলে খ্যাত আমাজন। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পুড়ছে এর অরণ্য। ফলে উদ্বেগও বাড়ছে। আমাজনকে বাঁচাতে উদ্যোগী পুরো বিশ্ব। কিন্তু আলোচনাতেই ব্যস্ত সবাই। কেবল গাছপালা পুড়ে বিপুল পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড বাতাসে মেশা নয়, আরো বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশংকা মাটিতে মিশে থাকা কার্বণ কণাও পুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইডরূপে মিশে যেতে পারে বাতাসে। প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে ব্রাজিল। সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। আর বলিভিয়া বিমান থেকে পানি ঢালছে। খবর বিবিসির।

    ব্রাজিলে আমাজনের জঙ্গলে হাজার হাজার জায়গায় আগুন জ্বলছে। গত এক দশকে এত ব্যাপক মাত্রায় সেখানে দাবানল সৃষ্টি হয়নি। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনা রাজ্য ও মাতো গ্রোসো ডো সুল এলাকাতে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি আপলোড করেছেন অনেক বিখ্যাতরা যা কয়েক দশকের পুরানো বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং অনেক ছবি আদৌ ব্রাজিলের নয় বলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

    এ বছর আগুন লাগার ঘটনা বেশি

    ২০১৯ সালে ব্রাজিলের স্পেস এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, ব্রাজিলে আমাজনের উষ্ণমন্ডলীয় বনাঞ্চলে রেকর্ডসংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। দ্য ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলেছে, তাদের উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে একই সময়ের তুলনায় এ বছর আগুন লাগার ঘটনা ৮৫ ভাগ বেড়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, এবছরের প্রথম আট মাসে ব্রাজিলের জঙ্গলে ৭৫ হাজারের বেশি দাবানল হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুরো ২০১৮ সালে বনাঞ্চলে মোট আগুন লাগার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৫৯। শুকনো মৌসুমে আমাজনের জঙ্গলে দাবানল একটা প্রচলিত ঘটনা। সেখানে শুকনো মৌসুমের সময়কাল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। এই দাবানল তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে, যেমন বাজ পড়লে। কিন্তু কৃষক এবং কাঠুরেরাও ফসল উত্পাদনের জন্য অথবা পশু চরানোর জন্য জমি পরিষ্কার করার কারণে জঙ্গলে আগুন দিয়ে থাকে।

    আন্দোলনকারীরা বলছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর পরিবেশবিরোধী কথাবার্তা এভাবে জঙ্গল সাফ করার কাজকে আরো উত্সাহিত করেছে। এর জবাবে বলসোনারো এর দায় চাপিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নিজেরাই এই আগুনগুলো লাগিয়েছে। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে এই দাবানল বন্ধ করার মতো সম্পদ সরকারের হাতে নেই। তবে সমালোচনার মুখে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বলসোনারো এক আদেশে সেনা মোতায়েনে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজভেদোকে।

    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চল

    রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনাস্ সব এলাকাতেই গত চার বছরের (২০১৫-২০১৮) তুলনায় গড়ে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। রোরাইমাতে দাবানলের ঘটনা বেড়েছে ১৪১ ভাগ, রনডোনিয়াতে ১১৫ ভাগ এবং আমাজোনাসে ৮১ ভাগ। দক্ষিণে মাতো গ্রোসো ডো সুল রাজ্যে আগুন লাগার হার বেড়েছে ১১৪ ভাগ। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় রাজ্য আমাজোনাস্ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। জ্বলন্ত আগুন থেকে পরিমাণে ধোঁয়া ও কার্বন নির্গত হচ্ছে। আগুন থেকে সৃষ্ঠ ধোঁয়া আমাজনের গোটা এলাকাজুড়ে এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (ক্যামস্) তথ্য অনুযায়ী, এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিকের উপকূল পর্যন্ত। এমনকি ৩২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সাও পাওলোর আকাশ এই ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। আগুন থেকে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে যার পরিমাণ এ বছর ২২৮ মেগাটনের সমপরিমাণ দাঁড়িয়েছে। ক্যামস্ বলছে, এই পরিমাণ ২০১০ সালের পর সবচেয়ে বেশি। ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইডও নির্গত হচ্ছে।

    ক্যামস্’র প্রকাশ করা মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, খুবই চড়া মাত্রায় বিষাক্ত এই গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ছড়িয়ে এখন আরো দূরে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাজন অরণ্যাঞ্চলে ৩০ লাখ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। সেখানে বসবাস করেন ১০ লাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এই বনাঞ্চল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিশাল অরণ্যাঞ্চলের গাছপালা প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন টন কার্বন শুষে নিয়ে বিশ্বের উষ্ণায়ন মোকাবেলা করে। কিন্তু গাছ যখন কাটা হয় অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয় তখন যে কার্বন গাছের মধ্যে সঞ্চিত থাকে তা বায়ুমন্ডলে আবার মিশে যায় এবং উষ্ণমন্ডলীয় এসব বৃক্ষের কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    প্রভাব আরো যেসব দেশে

    ৭ দশকি ৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত আমাজন বেসিনের আরো বেশ কিছু দেশ এ বছরের ব্যাপক দাবানলের কবলে পড়েছে। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক আগুনের ঘটনা ঘটেছে ভেনিজুয়েলায়। সেখানে দাবানল হয়েছে ২৬ হাজারটি। তৃতীয় স্থানে বলিভিয়া যেখানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১৭ হাজারের বেশি। বলিভিয়া সরকার দেশের পূর্বাঞ্চলে দাবানল নেভানোর কাজে সহায়তা করার জন্য একটি বিমানের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ভাড়া করেছে। প্রায় ছয় বর্গমিটার এলাকাজুড়ে আছে বলিভিয়ার বনাঞ্চল। ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জরুরিকালীন কর্মী। আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পশুপাখিদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে।

    জাপানে ব্যাংক কর্মীর সংখ্যা হ্রাস

    জাপানে, চলতি বছর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত গত এক বছরে ব্যাংক কর্মীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬২৯ জনের বেশী হ্রাস পেয়েছে। এটি হচ্ছে, ২০০৬ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ হ্রাস।

    একটি গবেষণা কোম্পানি অনুযায়ী, চলতি বছর মার্চের শেষে সমগ্র জাপানের ৮১টি ব্যাংকের মোট কর্মীর সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৮ জন ছিল। এগুলোর মধ্যে ৬২টি বা ৮০ শতাংশ ব্যাংক নিজেদের কর্মী সংখ্যা হ্রাস করেছে।

    ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো, দক্ষতার সঙ্গে কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং বিপুল পরিমাণ তথ্য উপাত্তের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করে নিতে সক্ষম হচ্ছে।

    ইন্টারনেট ব্যাংকিংএর এই যুগে, সরাসরি ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে চলায় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা পুনর্বিন্যাস করে নেয়া ব্যাংকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

    জাপানের একটি অনলাইন শেয়ার লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী কোম্পানি মানেক্সের শীর্ষ বিশ্লেষক নানা ওৎসুকি, মুনাফা অর্জনের জন্য কর্মীর উপর নির্ভরশীল প্রচলিত ব্যবসার ধরণ পরিবর্তনমূলক যুগে প্রবেশ করছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি, এই প্রবণতা সবেমাত্র আরম্ভ হয়েছে এবং এটি আরও তরান্বিত হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

    এশিয়ার অন্যান্য দেশকে সাহায্য করবে জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া

    জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের মত ক্ষেত্রগুলোতে এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।

    জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মন্ত্রী কাং গিওন-হোয়া গতকাল বেইজিংয়ে তাঁদের বৈঠকে ‘ত্রিপাক্ষিক প্লাস এক্স সহযোগিতা’ – এই নামের একটি দলিল প্রস্তুত করেছেন।

    এশিয়া এবং এর বাইরে যৌথভাবে অভিন্ন টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নেয়ায় সাহায্য করতে দেশগুলোর ইচ্ছা দলিলে তুলে ধরা হয়।

    এতে বলা হয়েছে, “এশিয়ায় প্রচুর সংখ্যক উন্নয়নশীল দেশের উপস্থিতি এবং মারাত্মক রকমের অসম ও অপর্যাপ্ত যে উন্নয়নের মুখোমুখি এশিয়াকে হতে হচ্ছে – সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র ও মডেলের খোঁজ করা আবশ্যকীয়।”

    দলিলে দৃষ্টান্ত হিসেবে টেকসই অর্থনীতি, প্রতিবেশ ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকে সহযোগিতার বড় ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচন এবং নাগরিক পর্যায়ের বিনিময়ও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    স্বেচ্ছা প্রণোদিত, সম-পর্যায়ের, মুক্ত, স্বচ্ছ এবং সকলের জন্য যে ফলাফল হবে লাভজনক – সেরকম সহযোগিতার জন্য সুনির্দিষ্ট মডেল ও প্রকল্প খুঁজে দেখার পরিকল্পনা তিনটি দেশ করছে।

    প্রসঙ্গ : কুরবানীর গোশত বিতরণ

    মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম

    কুরবানীর দিন দুপুরের পর থেকে একটা সাধারণ দৃশ্য সকলেরই চোখে পড়ে। কুরবানীদাতার বাড়ির দরজায় একদল মানুষের ভিড়। তাদের কেউ একা এবং কেউ পরিবারসহ। কেউ পেশাদার ভিক্ষুক এবং কেউ গরীব কর্মজীবি, যার নিজের কুরবানী দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আজ তারা সবাই এক কাতারে। কুরবানীর গোশত সংগ্রহের জন্য তারা দলে দলে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। কুরবানীদাতা নিজে বা তার পক্ষ থেকে কোনও লোক তাদের হাতে হাতে এক-দুই টুকরা করে গোশত বিতরণ করছে। হাতে গোশত বিতরণ করছে আর মুখে কাউকে ধমকাচ্ছে, কাউকে বকছে, কাউকে তাড়া করছে এবং কারও উদ্দেশ্যে বিশেষ কোনও মন্তব্য করছে।

    এ দৃশ্য কতটা সুখকর? কুরবানী একটি মহান ইবাদত। তার সাথে এ দৃশ্য খাপ খায় কি? কুরবানী করা ওয়াজিব, এর গোশত বিতরণ সুন্নত এবং এর গোশত খাওয়াও সুন্নত। ঈদুল আযহার নামকরণই করা হয়েছে এ মহান ইবাদতটির নামে। আল্লাহ তাআলা এ দিন নামায আদায়ের পাশাপাশি কুরবানী করারও হুকুম দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে-

    فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انْحَرْ.

    সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য নামায পড় ও কুরবানী দাও। -সূরা কাউসার (১০৮) : ২

    প্রথমে নামাযের হুকুম, তারপর কুরবানীর। যেন বলা হচ্ছে- নামাযের মাধ্যমে প্রথমে আল্লাহর সামনে আত্মনিবেদিত হও, তারপর সে আত্মনিবেদনের নিদর্শনস্বরূপ কুরবানী কর। এজন্যই কুরবানী করতে হয় ঈদের নামায আদায়ের পর, তার আগে নয়। হাদীসে ইরশাদ হয়েছে-

    مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ الصّلَاةِ فَلْيُعِدْ.

    কেউ নামায আদায়ের আগে যবাহ করলে সে যেন (নামাযের পর) পুনরায় যবাহ করে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৬২; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৩৯৬; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১৫৩

    যেহেতু এ যবাহ কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে, সে হিসেবে এর গোশত কারও জন্যই খাওয়া জায়েয হওয়ার কথা ছিল না, কিংবা আর সকলের জন্য খাওয়া জায়েয হলেও কুরবানীদাতার জন্য খাওয়ার অনুমতি থাকার কথা নয়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা বড়ই মেহেরবান। তিনি এটা সকলের জন্যই খাওয়া বৈধ করে দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন-

    فَكُلُوْا مِنْهَا وَاَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَ الْمُعْتَرَّ، كَذٰلِكَ سَخَّرْنٰهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ.

    তখন তার গোশত থেকে নিজেরাও খাও এবং ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকেও খাওয়াও এবং তাকেও, যে নিজ অভাব প্রকাশ করে। এভাবেই আমি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। -সূরা হজ্ব (২২) : ১৩৬

    নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে ইরশাদ করেছেন-

    كُلُوْا وَادّخِرُوْا وَتَصَدّقُوْا.

    তোমরা খাও, জমা করে রাখ এবং দান-খয়রাত কর। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭২; সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৪৪২৬; মুআত্তা মালিক, হাদীস ২১৩৫

    এভাবে কুরবানীর গোশত নিজে খাওয়ার এবং অন্যকে খাওয়ানোর জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এ যেন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আতিথেয়তা। সমস্ত মুসলিম এ দিনগুলোতে আল্লাহর মেহমান। তাঁর জন্য নিবেদিত পশুর গোশত তিনি মুসলিমদের জন্য অবারিত করে দিয়েছেন, যাতে তারা তা খেয়ে খেয়ে তাঁর অনুগ্রহের শুকর আদায় করে। আল্লাহ তাআলার যিয়াফত ও আতিথেয়তা গ্রহণ করার মধ্যেই বন্দেগীর মাহাত্ম্য। কাজেই কুরবানীর গোশত খাওয়া উদরপূর্তিমাত্র নয়; বরং এর মধ্যে রয়েছে ইবাদতের মহিমা। আর এর গোশত বিতরণও নয় গরীবের প্রতি করুণা; বরং এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যিয়াফতের প্রতিনিধিত্ব। কুরবানীদাতা যেন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের মেহমানদারী করছে। তো এটা ইবাদত ছাড়া আর কী? ইবাদত বলেই গোশত বিতরণে এ নিয়মকে মুস্তাহাব করে দেওয়া হয়েছে যে, সবটা গোশত তিন ভাগ করা হবে। তার এক ভাগ নিজেরা খাওয়া হবে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের দেওয়া হবে আর এক ভাগ দেওয়া হবে গরীব-মিসকীনদের।

    সুতরাং স্পষ্ট হয়ে গেল যে, কুরবানীর পশু জবাই, তার গোশত বিতরণ ও গোশত খাওয়া সবটাই ইবাদত। ইবাদত করার দ্বারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ হয় ও বিপুল ছাওয়াব পাওয়া যায়। কুরবানীর আদ্যোপান্ত যখন ইবাদত, তখন এর দ্বারাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও ছাওয়াব অর্জিত হবে বৈ কি। তা হবে কুরবানীর পশু যবাহ করার দ্বারা, তার গোশত খাওয়ার দ্বারা এবং গোশত বিতরণ করার দ্বারা। তা কত এর ছাওয়াব?

    হাদীসে আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- কুরবানীর দিন আদম সন্তান এমন কোনও আমল করতে পারে না, যা আল্লাহ তাআলার কাছে রক্তপ্রবাহ অপেক্ষা বেশি প্রিয়। কিয়ামতের দিন কুরবানীর পশু তার শিং, তার ক্ষুর ও পশমসহ হাজির হবে। যবাহের পর তার রক্ত মাটিতে পড়ার আগে আল্লাহ তা‘আলার কাছে কবূল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা এর দ্বারা মনেপ্রাণে খুশি হয়ে যাও। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫৬৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২৬

    (قال الترمذي : هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب)

    অবশ্য এর জন্য শর্ত হচ্ছে ইবাদতটি করা হবে এর জাহিরী ও বাতিনী যাবতীয় রীতি-নীতিসহ। গোশত বিতরণের উল্লিখিত রেওয়াজ ও দৃশ্য সে রীতি-নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কি?

    ইবাদতে বিনয়-নম্রতা কাম্য। মন থাকবে আল্লাহ অভিমুখী, তাঁর ভয়ে কম্পিত, তাঁর ইশক ও মহব্বতে তাড়িত এবং তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তিতে আপ্লুত। মনের এ ভাবাবেগ অব্যাহত থাকা বাঞ্ছনীয় ইবাদতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটা সময়। তবে আমরা দুর্বল। আমাদের আছে নফসের নানারকম উৎপাত। আছে শয়তানের উপর্যুপরি প্ররোচনা। এ অবস্থায় ইবাদতের সঙ্গে মনের গভীর সংযোগ বজায় রাখা আমাদের পক্ষে একটু কঠিনই। অসীম দয়াময় আল্লাহ আমাদের এ দুর্বলতাকে ওযর হিসেবে দেখবেন বলে আমরা আশা করতেই পারি। কিন্তু আমাদের বাহ্যিক ধরন-ধারণও যদি ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, উপরন্তু আমাদের কর্মপন্থা দ্বারা যদি ইবাদতের মহিমা ক্ষুণ্ন হয় আর এ অবস্থায় প্রকাশ্য কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করে যাই, তবে সত্যিকার অর্থে তা ইবাদত হবে কতটুকু? আমাদের দ্বীন কি এরকম ইবাদতেরই আদেশ আমাদের করেছে? না ইবাদতের নামে এমনসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা বাঞ্ছনীয়?

    যে দৃশ্যের কথা বলা হল, কুরবানীর মহান ইবাদতের সঙ্গে তা আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কেননা গোশত বিতরণের প্রচলিত পদ্ধতি বিনয়নিষ্ঠ নয়। এর মধ্যে আছে অহমিকার আভাস। লোকজন আমার বাড়ির দুয়ারে ছুটে এসেছে। আমার হাত থেকে গোশত নেওয়ার জন্য হাত পেতে রেখেছে। আমি বিরক্তির সাথে দুই-এক টুকরা গোশত সেসব হাতে বিলিয়ে যাচ্ছি কিংবা সাগ্রহে বিতরণ করে দুর্বলের প্রতি করুণা করার অহমবোধে আপ্লুত হচ্ছি। এ ভাবধারা আর যাই হোক, মহান ইবাদতের সাথে খাপ খায় না। ইবাদতকালে মনের ভাব কেমন হবে সে সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে-

    وَ الَّذِیْنَ یُؤْتُوْنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّ قُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ اَنَّهُمْ اِلٰی رَبِّهِمْ رٰجِعُوْنَ.

    আর যারা যা দেওয়ার তা দেয় ভীত-কম্পিত হৃদয়ে এজন্য যে, তাদেরকে নিজ প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে -সূরা মু’মিনূন  (২৩) : ৬০

    আল্লাহর উদ্দেশ্যে যে-কোনও ইবাদত ও যে-কোনও দান-বিতরণ এরকম ভীত-কম্পিত মনেই হওয়া উচিত। এটাই ইবাদতের প্রাণশক্তি।

    হাঁ, ইবাদতের প্রাণশক্তি হচ্ছে তাকওয়া ও আল্লাহভীতি। নামায, রোযাসহ প্রতিটি ইবাদতের মধ্যে এ প্রাণশক্তি থাকা অপরিহার্য। মূলত এসব ইবাদতের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলা বান্দার কাছে যা চান তা কেবল তাকওয়াই। কুরবানী সম্পর্কেও আল্লাহ তাআলা বলেছেন-

    لَنْ یَّنَالَ اللهَ لُحُوْمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰكِنْ یَّنَالُهُ التَّقْوٰی مِنْكُمْ .

    আল্লাহর কাছে তাদের (কুরবানীর পশুর) গোশত পৌঁছে না আর তাদের রক্তও না, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া ও আল্লাহভীতিই। -সূরা হজ্ব (২২) : ৩৭

    যার অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, সে তার কাছে আল্লাহর বান্দাদের হাত পাতায় খুশি হতে পারে না। হাদীসে প্রকৃত মুমিন তাকেই বলা হয়েছে, যে নিজের জন্য যা পসন্দ করে, অন্য মুমিনের জন্যও তাই পসন্দ করে থাকে আর নিজের জন্য যা অপসন্দ করে, অন্যের জন্যও তা অপসন্দ করে। কোনও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মুমিন অন্যের কাছে হাত পাতা ও অন্যের দুয়ারে ধরনা দেওয়া পসন্দ করে কি? তাহলে সে অন্যের জন্য কেন তা পসন্দ করবে? কেন সে এতে খুশি হবে যে, কুরবানীর গোশতের জন্য তার মুমিন ভাই-বোনেরা তার দুয়ারে এসে ধরনা দেবে? এতে খুশি হওয়া তখনই সম্ভব, যখন সে নিজেকে তাদের তুলনায় বড় মনে করবে। ইবাদত শিক্ষা দেয় নিজেকে সব মুমিন অপেক্ষা ক্ষুদ্র ভাবতে। বিশেষত কুরবানী তো আত্মত্যাগেরই উদ্বোধক। আমিত্ব ত্যাগ ও অহমিকা বিসর্জনের মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহ তা‘আলার সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র বান্দারূপে দেখতে না পেলে কুরবানী দ্বারা বিশেষ কী অর্জিত হল? যদি প্রকাশ্যে পশু যবাই হয় অপরদিকে অন্তরস্থ পাশবিকতা হয় আরও পরিপুষ্ট, তবে সে কুরবানী কেবলই অনুষ্ঠানসর্বস্বতা।

    ইসলাম মানুষকে আনুষ্ঠানিক বানাতে আসেনি। তার উদ্দেশ্য আপন শিক্ষায় মানুষের দেহমন বিকশিত করে তোলা। অহমিকা বিলোপ ছাড়া সে বিকাশ কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। বস্তুত কুরবানীর গোশত বিতরণের বর্তমান রেওয়াজ অহমিকার বিলোপ নয়; বরং তার বাড়-বাড়ন্তেই ভূমিকা রাখে। সে কারণে এ রেওয়াজ বিলুপ্ত হওয়া উচিত। তা হবে তখনই, যখন কুরবানীদাতা তার কুরবানীর গোশত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবে।

    কুরবানীর গোশত নিয়ে মুসলিম ভাই-বোনদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ানো বিনয়-ন¤্রতার পরিচায়ক। এটা অহমিকা নিরাময়ের এক কার্যকরী ওষুধও বটে। আপন সামর্থ্য অনুযায়ী এক পোটলা গোশত নিয়ে নিজে মুসলিম ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া আর গোশতের আশায় কুরবানীদাতার দুয়ারে সে ভাইয়ের হাজির হওয়া কিছুতেই এক কথা নয়। প্রথম পন্থায় গোশত বিতরণ ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর দ্বারা আল্লাহর বান্দার ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করা হয়, তার সামনে নিজ বিনয়-ন¤্রতা প্রকাশ করা হয় এবং তার প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও মমত্বের আচরণ করা হয়। এসবই তাকওয়া ও আল্লাহভীরুতাপূর্ণ কাজ, যা কিনা ইবাদতের সারবস্তু। কুরবানী যখন এক ইবাদত, তখন তার গোশত এভাবেই বিতরণ করা বাঞ্ছনীয়। এর দ্বারা এ কথা বোঝানো উদ্দেশ্য নয় যে, যারা দুয়ারে দুয়ারে হাত পেতে বেড়ায় তাদেরকে কুরবানীর গোশত দেওয়া যাবে না বা দেওয়া জায়েয হবে না। তাদেরকে কুরবানীর গোশত দেওয়া জায়েয হবে বৈ কি, কিন্তু ইসলাম যে বিনয়, সৌন্দর্য এবং ভ্রাতৃত্ব ও মমত্ববোধের তা‘লীম দেয়, তার যথার্থ অনুশীলনের জন্য মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণই বাঞ্ছনীয়।

    তা বাঞ্ছনীয় আরও এক কারণে। কুরবানীর গোশত বিতরণ যখন একটি ইবাদত, তখন এ বিতরণ কিছুতেই ভিক্ষাদানের মত হওয়া উচিত নয় আর এর গ্রহণও হওয়া উচিত নয় ভিক্ষাগ্রহণের মত। কেননা ইবাদত হচ্ছে পুণ্য ও মহত্ব, আর ভিক্ষা করা পাপ ও ক্ষুদ্রতা। ভিক্ষাকে বৃত্তি বানানো ইসলামী শিক্ষার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। প্রচলিত অনেক ধর্মে এটা একটা মহৎ কাজ হলেও আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল ও আত্মনিবেদনের শিক্ষাসম্পন্ন ইসলামে এর বৈধতা অস্বীকৃত। ভিক্ষাবৃত্তির বৈধতা তো দূরের কথা, সাময়িকভাবেও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারও কাছে হাত পাতার ইজাযত দেননি। তিনি বরং সাহাবায়ে কিরামের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, যেন তারা কখনও কারও কাছে হাত না পাতেন। এ প্রতিশ্রুতি তারা অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা করেছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে উটের পিঠে থাকা অবস্থায় হাত থেকে লাঠিটি পড়ে গেলে তাও তুলে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করেননি। নিজের কাজ নিজে করা হবে, নিজ অন্ন-বস্ত্র সংস্থানের জন্য নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে, কোনওক্রমেই অন্যের গলগ্রহ হওয়া যাবে না এবং অলস সময় কাটানো নয়, সদা কর্মব্যস্ত থাকা হবে- এ শিক্ষাই ইসলাম আমাদের দিয়েছে।

    যে ভিক্ষাবৃত্তিকে ইসলাম জায়েয রাখেনি এবং সাময়িকভাবে হলেও যে হাত পাতাকে ইসলাম পসন্দ করেনি, একজন মুসলিম নিজে তো কোনওক্রমে তা করবেই না; বরং অন্য কেউ তা করুক তাও তার কাছে কাম্য হতে পারে না। সুতরাং এ জাতীয় কর্মকা-কে একজন প্রকৃত মুসলিম আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না, তাই তো স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এ কি অবস্থা যে, আমাদের সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি ও মওসুমী হাত পাতার ব্যাপারটা একটা রেওয়াজে পরিণত হয়ে গেল! আবার সে রেওয়াজ পবিত্র ইবাদতের অনুষঙ্গ হয়ে উঠল। ইবাদতের মওসুমে এখন ভিক্ষাদান ও ভিক্ষাগ্রহণের বাড়তি শোরগোল। ইবাদতের কেন্দ্রসমূহ বা কেন্দ্রের চত্বরগুলো আজ ভিক্ষা লেনদেনের জমজমাট বাজারে পরিণত।

    আজ মসজিদের দরজায় ভিক্ষুকের ভিড়। জুমু‘আ, শবে বরাত এবং রমযান ও শবে কদরে তাদের বাড়তি দৌড়ঝাঁপ। তারাই যাকাত, ফিতরার অর্থ ও কুরবানীর গোশত বিতরণের ক্ষেত্র। যাকাতদাতা ঢাকঢোল পিটিয়ে ফকীর জড়ো করছে। ফিতরাদাতা তার দুয়ারে বা মসজিদের দরজায় ফকীর খুঁজছে। কুরবানীদাতার দুয়ারে কুরবানীর গোশত নিয়ে কাড়াকাড়ি হচ্ছে। অথচ যাকাত-দান ইসলামের প্রধান চার ইবাদতের একটি। ফিতরাও একটি অবশ্যপালনীয় ইবাদত। কুরবানী সম্পর্কে সকলের জানা যে, এটি একটি মহান ইবাদত এবং আমাদের মহান পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস-সালামের আল্লাহপ্রেম ও অকল্পনীয় ত্যাগের স্মারক। এর প্রত্যেকটি পালন করার কথা গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তি ও পরম আল্লাহভীতির সঙ্গে। সে শ্রদ্ধাভক্তি ও আল্লাহভীতির সঙ্গে কোনওরকম ভিক্ষাবৃত্তির কলঙ্ক যুক্ত হবে কেন? কেনই বা হাত পাতার মলিনতায় তা আচ্ছন্ন হবে? কথা তো ছিল যাকাতদাতা নিজে খুঁজে বেড়াবে, কোথায় আছে ধনীর পাঁচশ’ বছর আগে জান্নাতে যাওয়ার সুসংবাদপ্রাপ্ত সেই গরীব মুসলিম, যার হাতে সে গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তির সঙ্গে যাকাতের অর্থ তুলে দেবে এবং এভাবে তা তুলে দিতে পেরে নিজেকে একজন সৌভাগ্যবান গণ্য করবে। ফিতরাদাতা পৌঁছে যাবে তার অসচ্ছল মুসলিম ভাইয়ের দুয়ারে আর তার হাতে ফিতরার অর্থ আদায় করে আল্লাহর কাছে কবূলিয়াতের আশাবাদী হবে। কুরবানীদাতা কুরবানীর গোশত যেমন মহব্বত ও আন্তরিকতার সাথে নিজ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে পৌঁছায়, তেমনি অভাবগ্রস্তদের বাড়িতেও গুরুত্বের সঙ্গে তা পৌঁছিয়ে দেবে আর মনে ভয় রাখবে, পাছে তার কোনও ত্রুটির কারণে এ বিতরণ আল্লাহ তাআলার কাছে অগ্রাহ্য হয়ে যায়।

    কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ যে গরীবদের দিতে বলা হয়েছে, আমরা যেন তার অর্থ করে নিয়েছি প্রচলিত অর্থে যারা ফকীর-মিসকীন তাদেরকে দেওয়া। অর্থাৎ যারা মানুষের দুয়ারে হাত পেতে বেড়ায় তাদেরকে। অস্বীকার করব না যে, তারাও একটি খাত। কিন্তু আপত্তি হয় তখনই, যখন দুয়ারে ধরনা না দেওয়া গরীব নর-নারীর কোনও খবর নেওয়া হয় না আর তাদের বাড়িতে গোশত পৌঁছানোর চেষ্টা না থাকায় কুরবানীর দিন হয় তারা কুরবানীর গোশত খাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকে, নয়তো ফকীর-মিসকীনদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে নিজ ছেলেমেয়েদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে। প্রকৃতপক্ষে সেটা তো কুরবানীর গোশত খাওয়া হল না। এটা অন্য সময়ের বাজার থেকে কেনা গোশতের মতই হল। এটা আমাদের অবহেলারই অনিবার্য ফল যে, একদিকে প্রকৃত গরীবের একাংশ কুরবানীর দিন কুরবানীর গোশত খেতে পায় না আর অপর এক অংশ কুরবানীদাতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ানোর প্ররোচনা পায় আর এভাবে ভিক্ষাকর্মের বাড়-বাড়ন্ত হয়, যা কিছুতেই কাম্য ছিল না।

    আজ কুরবানীর গোশত সম্পর্কেও বলতে হচ্ছে যে, তা গরীব ও অভাবগ্রস্তের বাড়িতে পৌঁছিয়ে দেওয়া চাই, যে কুরবানী করাই হয় ত্যাগের মানসিকতায় এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও ছাওয়াব লাভের আশায়। অথচ আমাদের ঐতিহ্য ছিল কতই না উচ্চমার্গীয়। একদা আমরা এই মুসলিম উম্মাহ্ সাধারণ দান-অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতাও মানুষের দ্বারে-দ্বারে পৌঁছে দিতাম। এ ঐতিহ্যের উদ্বোধন হয়েছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাতে এবং তাও তাঁর নবুওয়াতপ্রাপ্তির আগেই। নবুওয়াতের গুরুভারে তিনি যখন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত, তখন আম্মাজান খাদীজা রা. তো সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাঁকে সান্ত¡না যুগিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আল্লাহ তাআলা কিছুতেই আপনাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দিতে পারেন না, কিছুতেই তিনি আপনাকে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। কারণ আপনি আত্মীয়তা রক্ষা করেন, আয়-রোজগারে যারা অক্ষম তাদের ভার বহন করেন, নিঃস্ব ও অভাবগ্রস্তদের রোজগার করে দেন, অতিথির সেবা করেন এবং বিপন্ন মানুষের সাহায্য করেন। নবুওয়াতপ্রাপ্তির পরও তাঁর এ কল্যাণধারা অব্যাহত থেকেছে; বরং তা প্রবাহিত হয়েছে আরও প্রবল বেগে। তাঁর পর তাঁর খলীফাগণও সেবার প্রেরণায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক রা. ও হযরত উমর ফারূক রা.-এর এ জাতীয় ঘটনাবলী জগৎজোড়া মশহুর। তাঁরা খুঁজে বেড়াতেন কোথায় কার কী সমস্যা, কার কী প্রয়োজন। যার প্রয়োজন এবং যার অভাব, সে কখন তাঁর দুয়ারে এসে হাত পাতবে সে অপেক্ষা তাঁরা করতেন না। এভাবেই চলেছে যুগ যুগ। তাঁদের উত্তরসূরীগণ এ আদর্শের চর্চায় কখনও কসুর করেননি। এমনকি এই অধঃপতন ও অবক্ষয়ের যুগেও অনেকে আছেন, যারা বিপন্ন মানুষের কাছে ছুটে যান এবং সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে অভাবগ্রস্তের বাড়িতে পৌঁছে যান। আজও এরকম লোকের সন্ধান মেলে, যারা কুরবানীর গোশত নিয়ে নিজ বাড়িতে বসে থাকে না; বরং যারা কুরবানী দিতে পারে না, গভীর মমতার সাথে তাদের জীর্ণ কুটিরে তা পৌঁছে দেয়। আমরা তাদের থেকে শিক্ষা নিতে পারি।

    এতটুকু কষ্ট আমরা আনন্দের সঙ্গেই করতে পারি যে, আপন এলাকায় কারা কারা কুরবানী দেয় না বা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না তার খোঁজ নেব এবং আগে থেকেই তাদের একটা তালিকা তৈরি করে রাখব। তারপর কুরবানীর দিন সে তালিকা অনুযায়ী কুরবানীর গোশত তাদের বাড়ি পৌঁছে দেব।

    দরকার এ ব্যাপারে গণসচেতনতা তৈরির। প্রত্যেক মহল্লার কুরবানীদাতাদের চিন্তা-চেতনায় প্রচলিত পদ্ধতিতে গোশত বিতরণের কী ক্ষতি এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণের কী ফায়দা তা যদি সঞ্চার করে দেওয়া যায়, তবে আমরা সহজেই আমাদের হারানো ঐতিহ্যে ফিরে যেতে পারি। প্রত্যেক মহল্লার কুরবানীদাতাগণ যদি আগে থেকেই তালিকা তৈরি করে ফেলে এবং সে অনুযায়ী কুরবানীর গোশত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়, তবে কুরবানীর দিন আঁকা হয়ে যেতে পারে সামাজিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক নয়নাভিরাম দৃশ্য, যেখানে থাকবে না কুরবানীদাতার বাড়ির দরজায় ফকীর-মিসকীন ও গরীব-দুঃখীর ভিড়; বরং কুরবানীদাতা বা তার লোকজনকেই দেখা যাবে গরীব-মিসকীনদের বাড়িতে বাড়িতে ছোটাছুটি করছে। সেখানে গোশত বিতরণে ভিক্ষাদানের দৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না; বরং তাতে ইবাদতের মহিমা ভাস্বর হয়ে আছে এবং কুরবানীদাতা অনুভব করছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অভাবগ্রস্ত ভাইদের যিয়াফত করতে পারার অমলিন আনন্দ।

    وصلى الله تعالى على سيدنا ونبينا محمد وعلى آله وصحبه وبارك وسلم.

     

    পরিশিষ্ট : হযরত মাওলানা আবুল বাশার ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় কুরবানীর হাকীকত ও রূহ বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি আমাদের সমাজে প্রচলিত অথচ সংশোধনযোগ্য একটি প্রথা চিহ্নিত করে দিয়েছেন।

    এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা যে, নিজ নিজ এলাকা ও মহল্লায় যারা কুরবানী দিতে অক্ষম তাদের তালিকা প্রস্তুত করা। যাতে ইকরাম ও সম্মানের সঙ্গে তাদের ঘরে ঘরে গোশত পৌঁছে দেয়া যায়।

    আরো সহজতার জন্য এমনও করা যেতে পারে যে, কোনো জায়গায়- উদাহরণস্বরূপ মসজিদের সামনে কুরবানীদাতাগণ যে যে পরিমাণ গোশত অসামর্থ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করতে আগ্রহী তা নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দেবেন। এরপর সেখান থেকে তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের ঘরে গোশত পৌঁছে দেয়া হবে। শর্ত হল, এক্ষেত্রে কারো ওপর  কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। কেউ যদি নিজের অংশ নিজেই প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায় সে সুযোগ যেন থাকে; তাকে এখানে জমা করতে বাধ্য করা যাবে না। আর এখানে যারা জমা করবে তাদেরকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা দিতে বাধ্য করা যাবে না। মোটকথা, যা-ই করা হবে এবং যতটুকুই করা হবে, প্রত্যেকে সন্তুষ্টচিত্তে ও স্বতস্ফূর্তভাবে করবে।

    বিভিন্ন এলাকায় কুরবানীর গোশত বিতরণের ক্ষেত্রে আরো কিছু প্রথা চালু আছে, যেগুলো সংশোধনযোগ্য। যেমন :

    এক. পুরো সমাজের সব কুরাবনীর পশু নির্ধারিত স্থানে জবাই করা। শুধু এতটুকুতে তো সমস্যা ছিল না। ইনতিজামের খাতিরে এমন করতে কোনো বাধা নেই। সমস্যা হল, প্রত্যেক কুরবানীর একটি অংশ বাধ্যতামূলকভাবে বিতরণের জন্য নিয়ে নেয়া হয়। এরপর সেগুলোকে একত্র করে সমানভাবে ভাগ করে সমাজের প্রত্যেককে অর্থাৎ যারা কুরবানী করেছে আর যারা করেনি সবাইকে একেক অংশ দিয়ে দেওয়া হয়। এটা গলদ তরিকা। যা অবশ্যই সংশোধনযোগ্য। এ সম্পর্কে আলকাউসারে (ডিসেম্বর সংখ্যা, ২০০৭ঈ., পৃষ্ঠা ৩৩-৩৫) বিস্তারিত লেখা হয়েছে। আগ্রহী পাঠকগণ তা মুতালাআ করতে পারেন।

    দুই. নিজেদের কুরবানীর বাইরে সমাজের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক পশু কুরবানী করা, যাতে সমাজের সকল কুরবানীদাতার অংশগ্রহণ করা জরুরি। এরপর সেগুলোর গোশত সমাজের অসামর্থ্যবান লোকদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া।

    এই পদ্ধতিও সংশোধনযোগ্য। কারণ যে কোনো আমল, যার বিষয়ে শরীয়ত শুধু তারগীব ও উৎসাহ প্রদান করেছে এবং তা পালন করা মানুষের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিয়েছে, এমন কাজকে সমাজের পক্ষ থেকে এমনভাবে আবশ্যকীয় বানিয়ে দেওয়া যে, শুধু সামাজিক চাপের কারণে মানুষ তা করতে বাধ্য হয়- শরীয়তের দৃষ্টিতে এমনটা করা বৈধ নয়।

    প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, কুরবানীর ক্ষেত্রে অসামর্থ্যবান ব্যক্তিদের খেদমত করার একটি সূরত এটাও যে, যাদের তাওফীক আছে তারা কুরবানীর পশু ক্রয় করে অসামর্থ্যবান ব্যক্তিদের দিয়ে দিবে। তারা নিজেরা কুরবানী করবে। কিংবা তাদেরকে অর্থ দিয়ে দেবে। আর তারা নিজেরা পশু ক্রয় করে কুরবানী করবে।

    কেউ কেউ তাদের নফল কুরবানী (পশু কিংবা তার মূল্য) অসামর্থ্যবান ব্যক্তিদের হাতে দিয়ে তাদেরকেই এর গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেয়। এই সূরতও জায়েয। তবে তার চেয়ে ভালো পদ্ধতি হল, কুরবানীটাই যেন তাদের পক্ষ থেকে হয় সে সুযোগ করে  দেয়া। অর্থাৎ পশু কিংবা তার মূল্য তাদেরকে হাদিয়া বা সদকা দিয়ে দেওয়া।

    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কুরবানীসহ সকল ইবাদত ইখলাসের মাধ্যমে পবিত্র করার এবং সুন্নতের মাধ্যমে আলোকিত ও বরকতপূর্ণ করার তাওফীক দান করুন- আমীন। -বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

    টুইটার এবং ফেসবুক হংকং বিষয়ে কিছু একাউন্ট স্থগিত করে রেখেছে

    মার্কিন সামাজিক মাধ্যম কোম্পানি, টুইটার এবং ফেসবুক জানিয়েছে যে, তারা হংকং’এর চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিরুদ্ধ মনোভাব প্রকাশ করা কিছু একাউন্ট স্থগিত করে রেখেছে। তারা জানাচ্ছে, তারা এইসব একাউন্টে চীনা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেছে।

    টুইটার সোমবার জানায়, তারা ৯৩৬টি একাউন্ট স্থগিত করে রেখেছে যেগুলো চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা এও জানায়, এইসব একাউন্টে এমন সব বিষয়বস্তু রয়েছে যা হংকং’এর প্রতিবাদ বিক্ষোভের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

    টুইটার জানায়, তাদের সমীক্ষায় এইসব একাউন্টে চীনা কর্তৃপক্ষের পদ্ধতিগতভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি তারা দেখতে পায়।

    ফেসবুকও সোমবার জানায়, তারা ৫টি একাউন্ট এবং ৭টি পেজ স্থগিত করে রাখে, এগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে প্রতিবাদকারীদের সন্ত্রাসী বলে চিত্রিত করা হয়। তারা এও জানায়, এইসব পোস্ট ভুয়া একাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়, যেগুলোকে সংবাদ মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফেসবুক আরও জানায়, তারা সম্ভাব্য সংশ্লিষ্ট থাকা ব্যক্তিদের চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশের বিষয়টি উন্মোচন করেছে।

    গান শোনাবে রাস্তা!

    Posted by admin on August 19
    Posted in Uncategorized 

    গান শোনাবে রাস্তা!

    গাড়ি চালকদের একঘেয়েমি কাটাতে বেশ কয়েকটি ‘মিউজিক্যাল রোড’ তৈরি করেছে জাপান। ২০১৬-র হিসেব বলছে, গোটা দেশে ৩০টিরও বেশি মিউজিক্যাল রোড রয়েছে এখানে। মিউজিক্যাল রোডের স্রষ্টা জাপানের ইঞ্জিনিয়র শিজুয়ো শিনোদা। তার পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিউজিক্যাল রোড তৈরি করেছে জাপান।

    শব্দ তৈরীর জন্য রাস্তাতেই এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কোথাও স্বল্প ব্যবধানে, কোথাও আবার বেশি ব্যবধানে রাস্তার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে সরু চ্যানেল কেটেছেন তারা। গাড়ি যখন ওই চ্যানেলগুলোর উপর দিয়ে যায়, তখন একটা কম্পন তৈরি হয়। আর সেই কম্পনেই সৃষ্টি হয় সুরের। চ্যানেলগুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, সেগুলো কখনও জাপানের লোকগাথা, কখনও জনপ্রিয় গানের সুর সৃষ্টি করে। রাস্তায় যেখানে স্বল্প ফারাকের চ্যানেল রয়েছে সেখানে দ্রুত লয়ের সুর সৃষ্টি হয়। আবার যেখানে বেশি ফারাকের চ্যানেল রয়েছে সেখানে ঢিমে লয়ের সুর সৃষ্টি হয়।

    এই রাস্তাগুলো রয়েছে হোক্কাইডো, হিরোশিমা, কিমিনো, মাউন্ট ফুজি এবং গুনমাতে। কিমিনো শহরের মিউজিক্যাল রোড দিয়ে গেলেই বাজতে শুরু করে জাপানের প্রিয় লোকগাথা ‘নিয়াগেত গোরান ইয়োরু’। আবার গুনমা শহরের মিউজিক্যাল রোডে যেমন শোনা যায় সে দেশের জনপ্রিয় গান ‘মেমরিজ অব সামার’। সূত্র : জাপান টাইমস।

    জাপান অলিম্পিকের জন্য ব্যক্তিগত বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করছে

    জাপান সরকার, আগামী গ্রীষ্মে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের সময় আগত পর্যটকদের জন্য ব্যক্তিগত বাড়িতে থাকার একটি পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে।

    পর্যটন সংস্থা, পৌর সরকারগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যক্তিগত বাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনা জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ পোষণ করছে।

    পরিকল্পনাটিতে, বৃহদাকারের অনুষ্ঠান চলাকালে আবাসস্থলের ঘাটতি থাকা এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য ব্যক্তিগত বাড়ি ভাড়া দেয়ার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ জানানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    সরকার, ব্যক্তিগত বাড়ি ভাড়ায় দেয়ার সাধারণ ঘটনার তুলনায় এর আবেদন প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ বলে জানায়।

    সম্প্রতি পর্যটন সংস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনাটির জন্য প্রণীত নির্দেশনা সংশোধন করে আবাসস্থলের ঘাটতি এবং বেসরকারি অংশীদারদের কাছে পুনরায় ঠিকা দেয়া সম্ভব কাজের তালিকা হিসেব করার একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে।

    মন্ত্রণালয়, পৌর সরকারগুলো নাগরিকদের অনুরোধ জানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য একটি নমুনাও তৈরি করেছে।

    সংস্থাটি, নতুন পথ নির্দেশিকাটি ব্যবহারের জন্য পৌর সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে।

    ক্রোসা ধাবিত হচ্ছে উত্তর জাপানের দিকে

    গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ক্রোসা বর্তমানে জাপানের উত্তরাঞ্চলের দিকে ধাবিত হওয়ায় শনিবার দেশের ঐ অংশে মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস করা হয়েছে।

    পশ্চিম জাপানে আঘাত হেনে উত্তরের দিকে এগিয়ে চলা ক্রোসা’র প্রভাবে জাপানের ব্যাপক এলাকা জুড়ে প্রবল বর্ষণে ফুলেফেঁপে উঠছে বহু নদীর জল।

    এই ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৪৯জন। গিফু শহরের নাগারা নদীতে পর্যটনে ব্যবহৃত ২০ জন যাত্রী বহন করার মত চারটি প্রমোদতরী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেসে চলে যায়।

    এরপর শুক্রবারের সব পর্যটন ট্যুর স্থগিত করা হয়। উজানে প্রবল বৃষ্টিতে এই নদীর জল উপচে পড়ছে।

    জাপানে এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটির মরশুমের চূড়ান্ত পর্যায়ে বহু লোক ভ্রমণে বেরিয়েছেন। এই ঝড় আঘাত হানার ফলে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে পরিবহণ পরিষেবা।

    শুক্রবার বিভিন্ন বিমান কম্পানি অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৫০টি ফ্লাইট বাতিল ক’রে দেয়। জনৈক যাত্রী বলেন, “এমন সাঙ্ঘতিক বাতাস যে আমার ভয় হচ্ছিল বিমান ঠিক মত অবতরণ করতে পারবে কি না। নিরাপদে ফিরে আসতে পেরে আমি স্বস্তি বোধ করছি”।

    হোক্কাইদোতে শনিবার দুপুরের পর চব্বিশ ঘন্টায় দু’শো মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস করা হয়েছে, আর তোহোকু অঞ্চলে পূর্বাভাস রয়েছে দেড়শো মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের।

    কাশ্মীরে ভারতের গৃহীত পদক্ষেপের বিরোধিতায় জাপান প্রবাসী পাকিস্তানীদের সমাবেশ

    ভারত শাসিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ভারত বাতিল ক’রে দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় জাপানে প্রায় ৭০ জন প্রবাসী পাকিস্তানী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

    বৃহস্পতিবার টোকিওস্থ পাকিস্তানী দূতাবাসে তারা সমবেত হন। ভারত গতসপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ক’রে নেয়।

    প্রতিবাদকারীরা বলেন ভারত এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরে রাজ্যটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে যার ফলে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিদের মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

    একজন প্রতিবাদকারী বলেন, ইন্টারনেট ও টেলিফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ক’রে দেওয়ার ফলে তিনি ভারত শাসিত কাশ্মীরে তার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

    আরেক প্রতিবাদকারী এই বলে দাবি করেন যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করছে।

    প্রতিবাদকারীরা বলেন তার চান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সমস্যাটি সমাধানে এগিয়ে আসুক।

    জাপানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন যে তিনি চান কাশ্মীরে কী ঘটছে জাপানের মানুষ সে সম্বন্ধে অবগত হন।
    তিনি বলেন কাশ্মীরে জনগণের অধিকার হরণে ভারতকে বাধা দিতে হবেই।

    ৮০০ পয়েন্ট মূল্য হারিয়েছে ডাও জোন্স শেয়ার সূচক

    শেয়ার ব্যবসায়ীরা সরকারি বণ্ডের সুদের হারকে মন্দার নতুন এক চিহ্ন হিসেবে ব্যাখ্যা করায় নিউ ইয়র্কে গতকাল শেয়ারের মূল্যে ধ্বস নামে।

    ডাও জোন্স শিল্প সূচক ২৫,৪৭৯ পয়েন্টে দিন শেষ করেছে। এই মূল্য হচ্ছে আগের দিনের চাইতে ৮০০ পয়েন্ট কিংবা ৩ শতাংশের বেশি কম। চলতি বছরে এটা ওয়াল স্ট্রিটে সবচেয়ে বড় দরপতন।

    দীর্ঘ মেয়াদী সরকারি বণ্ডের থেকে পাওয়া লাভের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে স্বল্প মেয়াদী সরকারি বণ্ডের চাইতে সামান্য নিচে অবস্থান করায় এরকম ঘটে।

    বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যেকার সাম্প্রতিক বাণিজ্য সংঘাত এবং হংকংয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মত উপাদানের কারণে বণ্ডের বাজারের দিকে তহবিল ধাবিত হচ্ছে।

    জাপানের নিইগাতা ও ইয়ামাগাতা’য় দিনেরবেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে

    মারাত্মক এক মৌসুমী ঝড়ের বয়ে আনা উষ্ণ বায়ু জাপান সাগরের দিকে মুখ করে থাকা এলাকায় এক তাপ বলয় বয়ে এনেছে। বিশেষ করে হোকুরিকো অঞ্চল ও উত্তর-পূর্ব জাপানে উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

    নিইগাতা জেলার তাইনাই শহরে, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে তাপমাত্রা ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়, তেরাদোমারি এলাকার নাগাওকা শহরে তাপমাত্রা উঠে যায় ৪০.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। সানজো শহরে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

    ইয়ামাগাতা জেলায়, নেযুগাসেকি এলাকার ৎসুরুওকা শহরে তাপমাত্রা উঠে যায় ৪০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে এবং ইশিকাওয়া জেলার শিকা শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

    আবহাওয়া এজেন্সি জানাচ্ছে, মারাত্মক এক মৌসুমী ঝড় ক্রোসা থেকে আসা উষ্ণ বায়ু দেশকে দু’ভাগ করা পাহাড়ের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বহমান বাতাসের সৃষ্টি করছে যা শেষ পর্যন্ত জাপান সাগরের দিকে বয়ে যাচ্ছে।