• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • তীব্র গরমে প্রাণ গেলো ১১ জাপানির

    তীব্র দাবদাহের জেরে জাপানে মারা গেলেন ১১ জন। এছাড়া অসুস্থ ৫,৬৬৪ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাপান সরকার প্রকাশিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গিয়েছে।

    বর্ষার পরে জাপানের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গরমে কাহিল হয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জনের শারীরিক পরিস্থিতি এমনই যে, তিন সপ্তাহের আগে তাঁদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    দাবদাহে নিহত ১১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যু দেখা দিয়েছে আইচি প্রিফেকচারে। এখানে গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। এছাড়া, ওসাকা ও টোকিও প্রিফেকচারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন যথাক্রমে ৩৮৮ ও ২৯৯ জন।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহে আরও চড়বে তাপমাত্রা। এর জেরে বাসিন্দাদের প্রচুর পরিমাণে তরল পান এবং যথা সম্ভব রোদের কম বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।

    জাপানে গত এক সপ্তাহে ৫ হাজারেরও বেশি লোক তাপদাহে আক্রান্ত

    জাপান জুড়ে প্রচণ্ড উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে রবিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে সারা দেশ থেকে ৫ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লোককে তাপদাহে আক্রান্ত হওয়ার দরুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যা এর আগের এক সপ্তাহ থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি।

    অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানায়, ৫ হাজার ৬৬৪ জন রোগীর মধ্যে ২ হাজার ৯৭৮ জনের বয়স ৬৫ বা তার চেয়ে বেশি এবং ১১ জন নিহত হন।

    কর্মকর্তারা বলছেন, ১ হাজার ৯৯৩ জন রোগী বাড়িতে এবং ৯৫৭ জন রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    গত সপ্তাহে জাপানের অনেক অংশে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়।

    আবহাওয়া কর্মকর্তারা সতর্ক করছেন যে, তাপ তরঙ্গ আগামী এক সপ্তাহ বা তার থেকেও বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কর্মকর্তারা তাপদাহের বিরুদ্ধে পূর্ব সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

    কণ্ঠ হারাল মিনি মাউস

    তিন দশক ধরে পর্দার ‘মিনি মাউস’ ছিলেন তিনি। মানে মিকির সঙ্গী মিনির কণ্ঠটি ছিল তারই। পঁচাত্তর বয়সে মারা গেলেন সেই রুসি টেলর। ডিজনির পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান বব ইগার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রুসি টেলরের মৃত্যুতে মিনি মাউস তার কণ্ঠ হারাল।’ ক্যালিফর্নিয়ার গেøনডেলে থাকতেন রুসি। গত শুক্রবার নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তার। তবে মৃত্যুর কারণ জানাননি ডিজনি কর্তৃপক্ষ। বব তার বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিনি আর রুসি একসঙ্গে কাজ করেছেন। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনোদন জুগিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, রুসির কাজ ভবিষ্যতেও মানুষকে বিনোদন জোগাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি।’

    ১৯৪৪ সালের ৪ মে ম্যাসাচুসেটসে জন্মেছিলেন রুসি। ১৯৮৬ সালে ডিজনির একটি অডিশনে প্রায় ২০০ জনের মধ্যে তাকে বেছে নেওয়া হয় মিনির হয়ে কথা বলার জন্য। তার পর থেকে এত দিন মিকি-মিনির ভক্তেরা তার গলাই শুনে এসেছেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে রুসি নিজেই জানিয়েছিলেন ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়ের কথা। তার মিনি মাউস হয়ে ওঠার গল্প।

    ডিজনিল্যান্ডে গিয়ে খোদ ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে দেখা হয়েছিল রুসির। তখন তিনি বালিকা। ওয়াল্ট ডিজনিকে তখন রুসি জানিয়েছিলেন বড় হয়ে তারই সৃষ্টি কোনও কার্টুন চরিত্রের হয়ে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মিনির চরিত্রের জন্য অডিশনের সুযোগ আসে। বাকিটা ইতিহাস। শুধু মিনি-ই নয়। পেবলস ফ্লিনস্টোন, স্ট্রবেরি শর্টকেক-এর মতো কার্টুন চরিত্রের হয়েও কণ্ঠ দিয়েছেন রুসি। কাজ করেছেন ডাক টেলস সিরিজে। রুসি বলেছিলেন, ‘আমি কখনও বিখ্যাত হতে চাইনি। যে চরিত্রের হয়ে কাজ করছি, জানতাম সেটি বিখ্যাত। আমি সেটাকেই মেনে নিয়েছি।’

    আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েই বাস্তব মিকি মাউসের সঙ্গে দেখা হয় মিনির। ওয়েন অলউইন ১৯৭৭ সাল থেকে মিকি মাউসের জন্য কণ্ঠ দিয়ে এসেছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ‘মিকি মাউস’। রুসির সঙ্গে ওয়েনের সাক্ষাতের পরেই জমে উঠেছিল প্রেম। ১৯৯১ সালে রুসি আর ওয়েনের চার হাত এক হয়। তবে বিয়েটা খুব গোপনেই সেরেছিলেন ‘মিকি’ আর ‘মিনি’। রুসি জানিয়েছেন, মিকি আর মিনি যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ, গোটা বিশ্ব সেটা জানুক, তা চাননি তারা। তবে এক কথায় সুখি দম্পতির উদাহরণ ছিলেন তারা। রুসির কথায়, ‘আমরা একসঙ্গে সবচেয়ে ভাল মুহ‚র্তগুলো কাটিয়েছি। একসঙ্গে হেসেছি। প্রচুর গান শুনেছি। সারাক্ষণ আমাদের বাড়িতে কিছু না কিছু বাজত।’ সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।

    হাকাতা ও বুসানের মধ্যে চলবে নতুন উচ্চ গতিসম্পন্ন ফেরি

    সোমবার জেআর কিউশু গ্রুপ ঘোষণা দেয় যে ‘কুইন বিটল’ নামের ফেরিটি আগামী বছরের ১৫ই জুলাই থেকে পরিসেবা কার্যক্রম শুরু করবে।

    নৌযানটির মোট ধারণক্ষমতা পাঁচশো ২ জন যাত্রী, যা বর্তমানে ব্যবহৃত বিটল ফেরির তুলনায় ২.৬ গুণ বেশি। ফেরিটিতে একটি বিজনেস ক্লাস অঞ্চল, শুল্কমুক্ত দোকান এবং ক্যান্টিন রয়েছে।

    এছাড়াও, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ঢালু পথ ও লিফট, শিশুদের জন্য একটি কক্ষ এবং ব্রেস্ট ফিডিংয়ে জন্য নির্দিষ্ট স্থানসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা রয়েছে।

    ঐতিহাসিক এবং বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের মধ্যে এখন টানাপড়েন চলছে। জেআর কিউশু গ্রুপের প্রেসিডেন্ট তোশিহিকো আওইয়াগি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই ফেরি দুই দেশের মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে আদান-প্রদান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

    ৩ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে আবারো বাংলাদেশের ভোট চায় জাপান। এর বিপরীতে বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের কাছে সরব সমর্থন চায় বাংলাদেশ। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো আজ সোমবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে ৩ দিনের সফরে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করবেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
    কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের ভোটে জাপানের অংশ নেওয়ার ঘোষণা অনেক আগেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। জাপান চাচ্ছে, গত ২০১৬-২০১৭ মেয়াদের মতো এবারো বাংলাদেশ এই পদে জাপানকে ভোট দিক। সেবার বাংলাদেশ ওই পদে প্রার্থী হলেও পরবর্তী সময়ে জাপানকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।
    ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, তারো কোনোর সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেবে ঢাকা। জাপানের কাছে আরো বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পক্ষে টোকিও’র সরব সমর্থন চাওয়া হবে।

    জাপানের ফুকুশিমায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শেষ বন্দরটি আবার চালু

    উত্তর জাপানের ফুকুশিমা জেলার ২০১১ সালের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি মৎস্য বন্দরের মধ্যে শেষটি বর্তমানে আবার চালু করা হয়েছে।

    পুনরুদ্ধার কর্মকাণ্ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ৮ বছর ৪ মাসের মধ্যে প্রথম শুক্রবার তোমিকা বন্দর আবার চালু করা হয়।

    ২০১১ সালের ১১ই মার্চের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে ২০ মিটারেরও বেশি উঁচু এক ৎসুনামিতে বন্দরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং এখানে নোঙ্গর করা অধিকাংশ নৌকা ভেসে যায়। কাছের ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনা সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়ার পরে এলাকাটি একটি প্রবেশ নিষেধ স্থান হিসেবেও চিহ্নিত হয়।

    ২ বছর আগে প্রবেশ নিষেধ এলাকার আদেশ তুলে নেয়ার পরে এই বন্দরের পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়।

    শুক্রবারের এক অনুষ্ঠানে, দুর্ঘটনার পরে পাশের সব বন্দরে চলে যাওয়া ৫টি মাছ ধরার নৌকা তাদের পতাকা উড়িয়ে এই বন্দরে ফিরে আসে। এই পতাকা প্রচুর মাছ ধরা পড়ার প্রতীক।
    দুর্যোগের আগে, এই বন্দরে প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ফ্ল্যাটটফিশের পাশাপাশি স্যামন ও জাপানি সুজুকি মাছ ধরা পড়তো।

    জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরীয় আইনপ্রনেতাদের বৈঠক

    গতকাল জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রনেতারা ওয়াশিংটনে এক বার্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। জাপান এবং দক্ষিণ কোরীয় রাজনীতিবিদরা, উভয় দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে তাদের সরকারদের প্রতি আহ্বান জানানোর জন্য কাজ করতে মতৈক্যে পৌঁছান।

    ১৭ জন আইনপ্রনেতা এবং অন্যান্যরা, প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধ কালীন শ্রম সমস্যা এবং জাপানের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার ক্রম বর্ধমান উত্তেজনা আলোচ্য সূচীর প্রধান বিষয় ছিল।

    দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে রপ্তানির জন্য জাপানের আরও কঠোর পরীক্ষা নিরীক্ষা, যুদ্ধ কালীন শ্রম সমস্যা সম্পর্কিত বিরোধের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হতে পারে বলে জানা গেছে।

    জবাবে জাপানী প্রতিনিধিদল বলে যে, এই ব্যবস্থা শ্রম সমস্যার সাথে সম্পর্কিত নয়। তাঁরা বলেন যে, নিরাপত্তা সম্পর্কিত সম্পদসহ সেমিকন্ডাক্টরের জন্য ব্যবহৃত বস্তুর উপর নিয়ন্ত্রণ গত কয়েক বছর ব্যাপী গুরুতর সমস্যা হিসাবে বিদ্যমান ছিল।

    মার্কিন আইনপ্রনেতারা, মুক্ত বিশ্বের সম্মুখীন সমস্যাদি সমাধানের জন্য ত্রি পক্ষীয় সহযোগিতাকে জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন বলে জানা গেছে।

    জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রনেতারা, উভয় দেশের সংসদ দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কি করতে পারে তা’ বিবেচনা করে দেখতে একমত হন।

    ডানচীর জন্য আবেদন

    Posted by admin on July 25
    Posted in Uncategorized 

    ডানচীর জন্য  আবেদন

    প্রিয় পাঠক
    যে ভাইয়েরা ডানচীর জন্য  আবেদন করতে ইচ্ছুক (টোকিও ২৩-কু),  আগামী মাসের  ১ তারিখ(আগষ্ট) থেকে ফরম দেওয়া শুরু হবে, জমা দেওয়া শেষ তারিখ ৯-ই আগষ্ট।
    টোকিও ২৩-কু মধ্যে যে ভাই/বোনেরা বসবাস করছেন , তারাই আবেদন করতে পারবেন , বিস্তারিত জানতে হলে নিজ নিজ ওয়াড অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
    অথবা
    JKK
    0570-03-0071
    03-6812-1171
    জাযা কুমুল্লাহু খাইরান।
    AssalamuAlaikum wr wb
                        (Tokyo-23)
    The brothers who want to apply for Danchi  (Tokyo-23), will start forming on  1st August, the last date for submission is  9th August.
    The brothers who live in Tokyo-23 ku can contact the person, contact the respective ward office to find out more.
    JKK
    0570-03-0071
    03-6812-1171

    চীন-রাশিয়ার যৌথ বিমান টহল জাপান-দ. কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া

    চীনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যৌথ বিমান টহল চালানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া। জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরের পূর্ব পরিকল্পিত একটি রুটে এই টহল চালানো হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চারটি বোমারু বিমানের টহলে সহায়তা দেয় যুদ্ধ বিমান। যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে এর জবাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউল দাবি করেছে, মঙ্গলবার সকালে রুশ বিমান অনধিকার প্রবেশ করলে যুদ্ধবিমান দিয়ে অগ্নিতরঙ্গ ও মেশিনগানের গুলি ছুঁড়ে সতর্ক করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান। বিতর্কিত দোকদো/তাকেশিমা দ্বীপের আকাশে এই অনধিকার প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দখলকৃত এই অঞ্চলটির কর্তৃত্ব জাপানও দাবি করে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি মঙ্গলবার সকালে চীন ও রাশিয়ার বিমান কোরিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চলে (কেএডিআইজেড) প্রবেশ করে। এছাড়া আলাদাভাবে রাশিয়ার একটি এ-৫০ যুদ্ধবিমান দ্বীপের কাছে দুইবার সিউলের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। গত কয়েক বছরে বিভিন্নকারণে ওই অঞ্চলে রাশিয়া ও চীনের বোমারু ও পরিদর্শন বিমান প্রবেশ করেছে। তবে এবারই প্রথমবার রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটলো বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরপেক্ষ সমুদ্রসীমায় পূর্ব পরিকল্পিত রুটে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী টিউ-৯৫এমএস বিমান চীনের হং-৬কে বোমারু বিমানের সঙ্গে যোগ দেয়। এসব বিমানকে সহায়তা দেয় এ-৫০ ও কংজিং-২০০০ যুদ্ধবিমান। টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, চীন ও রাশিয়ার যৌথ টহলের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার পাইলটেরা বিতর্কিত দোকদো/তাকেশিমা দ্বীপের ওপর বিপদজনক মহড়া চালায়। ওই দ্বীপ থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে টহল চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই বিবৃতিতে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টা নাগাদ পাঁচটি বিমান কেএডিআইজেড-এ প্রবেশ করে। তাদের গতিরোধ করতে দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-১৫ ও এফ-১৬ বিমান মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, অনধিকার প্রবেশের সময় দশটি অগ্নিতরঙ্গ ও মেশিনগানের ৮০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। রাশিয়ার একটি এ-৫০ বিমান আকাশসীমা ত্যাগ করে আবারও প্রবেশ করলে আরও দশটি অগ্নিতরঙ্গ ও ২৮০ রাউন্ড মেশিনগানের গুলির মুখে পড়ে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। বিবিসি।

    বিশ্ব জুড়ে ১০ হাজারের বেশি কর্মী ছাটাই করবে নিসান

    শিল্প সূত্র সমূহ বলছে জাপানের নিসান মোটর আগামী কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী ১০ হাজারের বেশি কর্মীকে ছাটাই করবে। হ্রাসের এই সংখ্যা হচ্ছে মে মাসে প্রচারিত ঘোষণার প্রায় দ্বিগুণ এবং এর অনেকগুলোই হবে বিদেশে কোম্পানির পরিচালিত কর্মকাণ্ডে।

    যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্যান্য প্রধান বাজারে বিক্রি মন্থর হয়ে আসার পূর্বাভাসের মুখে মোটরগাড়ি নির্মাতা কর্মী ছাটাই করছে। কোম্পানির ২০১৮ অর্থ বছরের পরিচালনা মুনাফা পূর্ববর্তী বছরের চাইতে প্রায় চল্লিশ শতাংশ হ্রাস পায়।

    বিভিন্ন সূত্র বলছে নিসান এছাড়াও বিদেশের কারখানায় উৎপাদন দক্ষতা উন্নত করে নেয়া পর্যালোচনা করে দেখার পরিকল্পনা করছে। বিক্রি মন্থর হয়ে আসার বাইরে নিসানকে এখনও সাবেক চেয়ারম্যান কার্লোস গনের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে সুনাম-হানির সমস্যার মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সেই কেলেঙ্কারির ফলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যবস্থা নতুন করে তৈরি করে নেয়া মোটরগাড়ি নির্মাতার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দেয়।

    প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতার নয়, নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা-সেটা জানতে চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বলেছি তাকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা আমাদের নেই।
    বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মাল্টা সফর শেষে বুধবার ঢাকায় ফিরেছেন।
    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম আমি। বাংলাদেশ সরকার থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি যোগ দেন। তবে প্রিয়া সাহা সেখানে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেননি।
    ড. মোমেন বলেন, প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রেফতার বা মামলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাকে বলেছি, প্রিয়া সাহাকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে চাই না। আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত।
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশের নারী প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান উধাও হয়ে গেছে। তার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা এটা করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
    প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। সে সময় ট্রাম্পের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে তার বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রিয়া সাহা ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকও করেন।

    আজ থেকে শুরু হচ্ছে টোকিও অলিম্পিকের বর্ষ গণনা

    আজ হচ্ছে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী প্রস্তুতি এগিয়ে যেতে থাকা ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগের ঠিক এক বছর।

    আগামী বছর ২৪ শে জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে জাপান ১৯৬৪ সালের পর দেশে আয়োজিত প্রথম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সারা বিশ্বের লোকজনকে স্বাগত জানাবে। সতেরো দিন ধরে চলা প্রতিযোগিতায় হাজারও ক্রীড়াবিদরা ৩৩টি ভিন্ন ধরণের খেলাধুলার রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩৩৯টি ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

    জাপানের অলিম্পিক দলের সদস্যদের বাছাই করে নেয়ার প্রক্রিয়া এই গ্রীষ্মে পুরোদমে চলতে থাকবে।

    বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান বিশ্ব সাতার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রবীণ সাঁতারু কেন তেরাউচি সহ চারজন জাপানি ক্রীড়াবিদ টোকিও গেমসের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তেরাউচির জন্য এটা হবে ষষ্ঠ অলিম্পিক।

    আগামী মাসে সেইলিং ও স্পোর্টস ক্লাইম্বিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে। অন্য জাপানি প্রতিযোগীদের চাইতে ভাল ফলাফল যারা করবেন এবং অন্যান্য কিছু শর্ত পূরণ করতে পারবেন, অলিম্পিকে অংশ নেয়ার যোগ্যতা তারা নিশ্চিতভাবে অর্জন করবেন।

    অলিম্পিক দলের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে একজন করে সদস্য ঠিক করে নেয়ার ম্যারাথন গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

    ক্রীড়াবিদদের জন্য অলিম্পিক ভিলেজ এবং ৪২টি ভেনুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ভেনুগুলো তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মসৃণভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন কিংবা দর্শকদের পথ প্রদর্শনকে প্রভাবিত করা কোন সমস্যা দেখা দেয় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতা সেখানে অনুষ্ঠিত হবে।

    ভূমিধ্বস সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি নাগাসাকি জেলায় জারি করা বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ সতর্কতা তুলে নিয়েছে। তবে ভূমিধ্বস ও অন্যান্য বিপর্যয় নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্ক থাকার আহ্বান এলাকাবাসীদের প্রতি জানানো হয়।

    আজ সকালে এজেন্সি ৫ মাত্রার জরুরি সতর্কতা জারী করেছিল। ৎসুশিমা ও গোতো শহর এবং শিন-কামিগোতো ও ওজিকা টাউন ও সেই সাথে সাইকাই এবং সাসেবো শহরের কিছু অংশের জন্য সেটা প্রযোজ্য ছিল।

    মৌসুমি ঝড় দানাস কিউশু জুড়ে অনেক এলাকায় মুষল ধারার বর্ষণ নিয়ে আসে।

    আবহাওয়া এজেন্সির কর্মকর্তারা বলছেন পশ্চিম জাপান জুড়ে উষ্ণ, আর্দ্র বায়ু বইতে থাকায় অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা আগামীকাল পর্যন্ত বজায় থাকবে। তাঁরা বলছেন স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যাওয়া সহ বজ্রপাত পশ্চিম জাপানে আঘাত হানতে পারে।

    ভিনগ্রহের প্রাণী দেখতে আমেরিকায় ফেসবুক ইভেন্ট: সতর্ক করে দিয়েছে সামরিক বাহিনী

    এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন এলিয়েন বলে যদি কোন কিছুর খোঁজ পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও না কোথাও এলিয়েন বলে নিশ্চয়ই কিছু আছে, আবার কেউ বলেছেন, এই দাবি একেবারেই অবাস্তব।

    এরকম কল্পকাহিনী নিয়ে অনেক সাহিত্য ও চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। কিন্তু ভিনগ্রহ থেকে আসা এরকম কোন প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি আজ পর্যন্ত।

    কিন্তু অনেকেই আছেন যারা বিশ্বাস করেন এলিয়েনের অস্তিত্বের কথা। শুধু তাই নয়, তারা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই এরকম কিছু এলিয়েন কোনএক সময় নেমে এসেছিল এবং সরকার তাদেরকে নেভাডার এরিয়া ৫১ নামের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে।

    এই ধারণায় বিশ্বাসীদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে এবং এলিয়েন দেখার আশায় তারা এখন সেখানে যাওয়ারও পরিকল্পনা করছে।

    ঘটনাটি শুরু হয় কৌতুকের মাধ্যমে। এলিয়েন দেখার জন্যে নেভাডার প্রত্যন্ত ওই এলাকাটিতে যাওয়ার একটি ইভেন্টেও খোলা হয় ফেসবুকে।

    ইভেন্টের নাম দেওয়া হয়: স্টর্ম এরিয়া ৫১, দে ক্যান্ট স্টপ অল অফ আস। অর্থাৎ চলো যাই এরিয়া ৫১, তারা আমাদের সবাইকে থামাতে পারবে না।

    গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ২০শে সেপ্টেম্বরের এই ইভেন্টে ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ সাইন-আপ করেছে। এছাড়াও ‘আগ্রহী’ হিসেবে মার্ক করেছে আরো ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

    এরকম পরিস্থিতিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কেউ যে এরিয়া ৫১ এর ধারে-কাছেও না যায়।

    নেভাডার এই এলাকাটি বিমান বাহিনীর অত্যন্ত গোপনীয় একটি ঘাঁটি কিন্তু ইভেন্টে সই করা বহু মানুষ বিশ্বাস করে সেখানে ভিনগ্রহ থেকে আসা প্রাণীদের রাখা হয়েছে।

    বিমান বাহিনীর সতর্কতাকে পাত্তা দিচ্ছে না অনেক উৎসাহী ব্যক্তি। হাজার হাজার মানুষ সেখানে মন্তব্য করেছেন এরকম: “আমরা তাদের বুলেটের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছুটতে পারি। এলিয়েনদের দেখতে দাও।”

    বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রকে বলেছেন, তারা এই ইভেন্ট হতে দেবেন না। তিনি বলেন, “আমরা আমেরিকা ও তার সম্পদ রক্ষার জন্যে প্রস্তুত।”

    ফেসবুকে এই ইভেন্টের একজন আয়োজনকারী জ্যাকসন বার্নেস ইভেন্ট পাতায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “এটা একটা কৌতুক। এই পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুনোর কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই।”

    “আমি শুধু ভেবেছি এটা খুব মজার বিষয় হবে। এখন লোকজন যদি সত্যিই এরিয়া ৫১-তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমি এর জন্যে দায়ী হবো না।”

    কিন্তু বিমান বাহিনী এরকম একটি ইভেন্টকে এখন আর “মজার বিষয়” হিসেবে নিচ্ছে না।

    “এরিয়া ৫১ হচ্ছে মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ রেঞ্জ। আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর লোকজনকে যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এরকম একটি জায়গায় আসার ব্যাপারে আমরা লোকজনকে নিরুৎসাহিত করছি,” বলেন বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র।

    নেভাডার এই এরিয়া ৫১ সম্পর্কে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি। এর আগে এই এলাকাটিকে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু ইউ-টু নামের একটি গোয়েন্দা বিমানের ব্যাপারে গোপন তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ প্রথমবারের মতো এরিয়া ৫১-এর কথা স্বীকার করে।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই এলাকাটিকে ঘিরে এতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় সেকারণেই সেখানে এলিয়েন লুকিয়ে রাখার মতো “ষড়যন্ত্র তত্ত্বের” জন্ম হয়েছে।

    এই তত্ত্বকে ঘিরে গুজবের ডালপালা এতোই বিস্তৃত হয়েছে যে অনেকেই মনে করেন যারা এই ইভেন্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে।

    ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বাসীদের অনেকে মনে করেন এলিয়েনের জীবন ও ইউএফও সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কাছে অনেক তথ্য আছে কিন্তু সেগুলো তারা জনগণের কাছে গোপন রেখেছে।

    তারা বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে নেমে আসা এরকম কিছু এলিয়েনকে আটক করে কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এরকম ধারণা সবসময়ই অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

    এরিয়া ৫১-তে কাজ করেছেন এরকম এক ব্যক্তি বব লাজার ১৯৮৯ সালে টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যখন এরকম কিছু দাবি করেন তখনই এই “ষড়যন্ত্র তত্ত্ব” তীব্র হতে শুরু করে।

    সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে তার উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে যাকে কেন্দ্র করে লোকজনের মধ্যে এলিয়েনের ব্যাপারে আবারও আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

    মি. লাজার যেসব দাবি করেছেন সেবিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারেন নি।

    জাপানের সামগ্রীর উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করবে দক্ষিণ কোরিয়া

    দক্ষিণ কোরিয়া উচ্চ প্রযুক্তির কিছু পণ্যের জন্য জাপানের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার উপায় খুঁজে দেখছে। দেশটির অর্থ ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হং নাম-গি বলেছেন, সরকার শিগগিরই জাপানের রপ্তানি হ্রাস মোকাবেলার বিস্তারিত পদক্ষেপ ঘোষণা করবে।

    সেমিকন্ডাক্টর ও অন্যান্য পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করায় জাপানের সমালোচনা তিনি করেন। চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে সেই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হয়।

    হং বলেছেন, “সুনির্দিষ্ট একটি দেশের উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায় বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নিয়মাবলীর বিবেচনায় গভীর উদ্বেগের একটি বিষয়।” দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষতি সেটা করতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    হং বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টি বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনে উত্থাপন করবে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের বোধগম্যতা প্রত্যাশা করবে।

    তিনি আরও উল্লেখ করেন যে জাপানের দমনমূলক পদক্ষেপে ক্ষতি হওয়া ব্যবসাকে সহায়তা করার উপায় যুক্ত করে নেয়ার জন্য তাঁর সরকার বাজেট ঠিক করে নিতে সংসদের সাথে কাজ করবে।