• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • আফ্রিকায় জাপানী বিনিয়োগ টিক্যাডের আলোচনা

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে, চলতি বছর টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন বা টিক্যাডের বৈঠকে জাপানের বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করার বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

    আজ আবে, ওসাকায় চলমান জি ২০ শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

    আবে, চলতি বছরের টিক্যাডের বৈঠকে জাপান এবং আফ্রিকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের উপর আলোকপাত করা হবে বলে উল্লেখ করেন। এবছর অগাস্ট মাসে, টোকিওর অদূরে অবস্থিত ইয়োকোহামায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

    আবে, সম্মেলনটি সফল করতে দক্ষিণ আফ্রিকার সহযোগিতার জন্য রামাফোসার প্রতি আহ্বান জানান।

    জবাবে রামাফোসা, জাপানী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আরও বেশী বিনিয়োগের আশাবাদ প্রকাশ করে তাঁর দেশের সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

    দুই নেতা, বিশ্বের সমুদ্রগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেন। আবে, এইধরনের বর্জ্য হ্রাসে সহায়তা করতে জাতিসংঘের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় ২০ লাখ ডলার প্রদান করতে জাপানের প্রস্তুতির বিষয় উল্লেখ করেন।

    আবে, প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প সামগ্রী প্রবর্তন এবং পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই সহায়তা প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

    ওসাকায় ট্রাম্প-জিনপিং বাণিজ্য বৈঠক শনিবার

    জাপানের বাণিজ্যিক শহর ওসাকায় আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এ সম্মেলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়টিই এখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামীকাল শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বহুল আকাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য আলোচনা হবে। স্থানীয় সময় বেলা ১১.৩০টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।

    চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বাণিজ্য আলোচনাকে ঘিরে সারাবিশ্বের নজর এখন জি-২০ সম্মেলনের দিকে। কেননা দুই দেশের মধ্যে এ নিয়ে জল অনেকটা গড়িয়েছে। বৈরিতার অনেকটা পথ তৈরি হয়েছে। তাই বিশ্লেষকরা আশা করছেন, দুই নেতার এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে যে বিরোধ রয়েছে তা অনেকটা দূরীভূত হবে। মূলত চীন থেকে আমদানি করা ভোগ্যপণ্যসহ অন্যান্য পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য বিরোধ মেটানোই এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মূল উদ্দেশ। তবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধই যে শুধু জি-২০ সম্মেলনে আলোচনা হবে তা নয়, এর সঙ্গে আরো অনেক বিষয়েই আলোচনা হবে।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এবারের জাপান সফরে নয়টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকটি হবে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায়, ট্রাম্পের সঙ্গে জি-২০ সম্মেলনে যাওয়া হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলি সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন। একই দিন ট্রাম্প বৈঠকে বসবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে। এ দুই নেতা এরপর আরেকটি বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে। ট্রাম্প পরে মোদির সঙ্গেও একান্তে আলোচনা করবেন।

    ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরোর সঙ্গেও শুক্রবার ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা বলে গিডলি জানিয়েছেন।

    এবারের শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরে আরো ৮টি দেশ এবং ৯টি বহুজাতিক সংস্থাসহ মোট ৩৭টি দেশ ও সংস্থাকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জি-২০ সম্মেলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, পরিবেশ ও শক্তি, শ্রমবাজার, নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে।

    জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল অর্থনৈতিক আইন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব

    ওসাকায় আয়োজিত জি-টোয়েন্টি’র শীর্ষ সম্মেলনে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে ডিজিটাল অর্থনীতি সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি নতুন আন্তর্জাতিক কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন। জাপান সরকার একে “ওসাকা ট্র্যাক” বলে অভিহিত করে।

    বিশ্বনেতারা এ বিষয়ে তাদের অবস্থান অনুধাবনের উদ্দেশ্যে শুক্রবার এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেন। আবে চলতি বছরের গোড়ার দিকে দাভোস’এর বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে প্রথমবারের মত তার এই ধারণা উত্থাপন করেন।

    আবে উপাত্ত প্রবাহের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার জন্য জি-টোয়েন্টি’র অন্যান্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই দ্রুত অগ্রসরমান ডিজিটালকরণের ব্যাপক সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য, এই প্রবণতাকে সামাল দেয়ার মত আন্তর্জাতিক আইন অপরিহার্য”।

    আবে আরও বলেন, “বিশেষ করে, উপাত্ত প্রবাহ এবং ই-কমার্সের জন্য আইন প্রণয়ন করা দরকার যা হবে ডিজিটাল যুগের চালিকাশক্তি”।

    ক্রমবর্ধমান আন্ত:সংযুক্ত ডিজিটাল যুগের নতুন জ্বালানিকে উপাত্ত বলে অভিহিত করা যেতে পারে। প্রতি মিনিটে বিশাল পরিমাণের তথ্য সৃষ্টি হচ্ছে। উপাত্ত আবার আন্ত:সীমান্ত লেনদেনেরও চাবিকাঠি যা কিনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি মূলভিত্তিতে পরিণত হয়েছে।

    তবে, উপাত্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সংরক্ষণবাদ সারা বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি বিষয়।

    চীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের তথ্য দেশের অভ্যন্তরের সার্ভারে মজুদ করতে বাধ্য করে এবং উপাত্ত বাইরে পাঠানোর উপর নিয়ন্ত্রণও আরোপ করে।

    সুইস ব্যাংকে বেড়েছে বাংলাদেশিদের টাকা

    সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ আবারো বেড়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। জমাকৃত এ টাকার পরিমাণ দেশের কমপক্ষে ১২টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সমান।

    ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে বছরে এক হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

    সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, নাগরিকত্ব গোপন রেখেছে- এমন বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থ এই হিসাবের মধ্য রাখা হয়নি। এছাড়া গচ্ছিত সোনা কিংবা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক হিসাবও বাইরে রাখা হয়েছে।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বাড়ে। ২০১৭ সালে খানিকটা কমলেও ২০১৮ সালে এসে তা আবারো বেড়েছে।

    অপরদিকে সুইস ব্যাংকে বিশ্বের অন্যান্য কয়েকটি দেশের আমানতও বেড়েছে। এতে এ বছরও বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে সুইস ব্যাংকে সারা বিশ্বের আমানত রাখা কমেছে। আগামী বছরে ২০১৯ সালের রিপোর্ট প্রকাশিত হবে।

    মৌসুমি ঝড়ের প্রভাবে জাপান জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

    জাপানের দক্ষিণের দ্বীপ কিয়ুশুর পূর্ব উপকূলের অদূরের একটি মৌসুমি নিম্নচাপ মৌসুমি ঝড়ে উন্নীত হওয়ায় সেটি দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের উপর ভারী বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি করতে পারে।

    জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি বলছে, দেশজুড়ে বিস্তৃত একটি আবহাওয়া পরিস্থিতির দিকে উষ্ণ, আর্দ্র বায়ু ধাবিত হওয়ায় দেশের পশ্চিম অংশের কানসাই অঞ্চলের উপর বৃষ্টি-মেঘের সৃষ্টি হয়েছে।

    জাপান সাগরের অদূরের আরেকটি নিম্নচাপ ব্যবস্থা’সহ এই আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও উত্তরের দিকে অগ্রসর হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যা একটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আবহাওয়ার অবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত পশ্চিম জাপানে এবং আগামীকাল পুরো দিন উত্তরপূর্ব ও পূর্ব জাপানে বৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বজ্র-বৃষ্টিও হতে পারে।

    ভারত জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফ্রান্সে সাকিব

    প্রাথমিক পর্বের শেষ তিনটি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য একরকম ছিল নক আউট ম্যাচ। তার প্রথমটি জেতা হয়েছে। গতপরশু সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে। ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। তার রেকর্ডে রাঙা এক জয়ে রঙিন হয়েছে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্নও। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তাকিয়ে পরের ম্যাচের দিকে। আগামী ২ জুলাই, বার্মিংহামে। যেখানে অপেক্ষায় টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভারত।

    ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের ম্যাচের আগে প্রায় সপ্তাহখানেকের বিরতি। টানা ম্যাচ খেলা ও ভ্রমণের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দিতে তাই ক্রিকেটারদের আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটিতে পরিবারসমেত ফ্রান্সে গেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফ্রান্স হয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তবে যাবার আগে শুনিয়ে গেলেন আশার কথাও।
    ৭ ম্যাচে পয়েন্ট ৭ নিয়ে তালিকার পাঁচে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচের একটি জিতলেও অন্যান্য ম্যাচের সমীকরণ মিলিয়ে সেমি-ফাইনালে খেলা সম্ভব। তবে দুটি ম্যাচ জিতলে সম্ভাবনা খানিকটা উজ্জ্বল হবে। সাকিব তাকিয়ে সেই সম্ভাবনার দিকে। তবে বাংলাদেশ এগোতে চায় প্রতিটি ম্যাচ ধরে। ব্যাটে-বলে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দলগুলির একটি ভারত। তবে নিজেদের সেরাটা দিলে জয় খুবই সম্ভব, বিশ্বাস সাকিবের, ‘ভারতের বিপক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ আসছে। তারা শীর্ষ দলগুলির একটি, তাদের লক্ষ্য শিরোপা জয়। আমাদের কাজটি সহজ হবে না। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা। অভিজ্ঞতা সাহায্য করে বটে, তবে অভিজ্ঞতাই শেষ কথা নয়। ভারতকে হারাতে হলে নিজেদের সেরাটা খেলতে হবে আমাদের। তাদের এমন সব ক্রিকেটার আছেন, যারা একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। যেটা বললাম, নিজেদের সেরাটা দিতে হবে আমাদের এবং আমাদের সামর্থ্য আছে জয়ের।’

    ছুটি কাজে লাগাতে যার যার মতো পরিকল্পনা করছেন দলের বাকি সদস্যরাও। টাইগার দলনেতা মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন আর আবু জায়েদ রাহী এখনই দলের বাকিদের সঙ্গে বার্মিংহামে যাচ্ছেন না। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ সেখানেই। এই ছুটির মাঝে বাংলাদেশ দলের কোনো অফিসিয়াল অনুশীলন সেশন নেই। তার আগে ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে ঐচ্ছিক অনুশীলন সারবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন শুরু হবে ভারত ম্যাচের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি।

    বাংলাদেশের হাতে থাকা দুটি ম্যাচই এখন নক-আউটে রূপ নিয়েছে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা ফল করার কোনো বিকল্প নেই। আগামী ২ জুলাই বার্মিংহামের এজবাস্টনে বিরাট কোহলিদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচ ৫ জুলাই

    জাপানে যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরতর আইনের আহবান ভুক্তভোগীদের

    জাপানে যৌন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের ধারা আরও কঠোর করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন যৌন সহিংসতার ভুক্তভোগী এবং তাদের সমর্থকেরা।

    আজ আইন মন্ত্রণালয়ে যাওয়া তিনটি গ্রুপের প্রতিনিধিরা ৪৫ হাজারেরও বেশি লোকের স্বাক্ষরকৃত একটি আবেদন জমা দেন।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে মধ্য জাপানের নাগোইয়া জেলা আদালতের ওকাযাকি শাখার দেয়া এক রায়ের পর এই প্রচার কার্যক্রমের সূচনা ঘটে।
    ঐ রায়ের মাধ্যমে নিজের কন্যাকে যৌন নিপীড়ন করা এক পুরুষ ব্যক্তিকে আদালত খালাস দেয়। এতে উল্লেখ করা হয় যে তিনি তার কন্যার সম্মতি না নিয়েই যৌন সম্পর্কে মিলিত হন। তবে, ঐ ব্যক্তি যে কন্যার প্রতিরোধ অক্ষমতার সুযোগ নিয়েছিলেন, বাদীর আইনজীবীর এরকম যুক্তি বাতিল করে দেয়া হয় রায়ে।

    আইনি ধারার আওতায়, যৌন সহিংসতার ভুক্তভোগীদের অবশ্যই এটি প্রমাণ করতে হয় যে তারা প্রতিরোধ করতে সমর্থ হননি এবং আক্রমণকারী সে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিল।

    আজ দাখিল করা আবেদনটিতে এটি উল্লেখ করা হয় যে বিভিন্ন দেশের আইনি ধারায় সম্মতি বিহীন যৌন সম্পর্ককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার জন্য সম্মতির অভাবকেই একমাত্র আবশ্যকতা বলে জাপানি আইনের ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনে বলা হয়েছে।

    জাপানের ভূমিকম্প দুর্গত ইয়ামাগাতা জেলায় স্বেচ্ছাসেবীরা ধ্বংসাবশেষ সরাতে সাহায্য করছেন

    গত মঙ্গলবার উত্তর জাপান উপকূলে একটি ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আজ ইয়ামাগাতা জেলায় ভূমিকম্পের ধ্বংসাবশেষ সরাতে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

    জাপানি ভূমিকম্প পরিমাপকের ০ থেকে ৭ মাত্রার মধ্যে মাইনাস-৬ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা ৎসুরুওকা শহরে বাড়ি-ঘরের ছাদের উপর থেকে অনেক টাইলস ভূমিতে পড়ে যায়। ৎসুরুওকা, ইওয়াতে জেলা এবং টোকিওর ১৪ জন স্বেচ্ছাসেবী আজ তিনটি নির্দিষ্ট স্থানে এসব ধ্বংসাবশেষ সরানো এবং আলাদা করতে সাহায্য করেন।

    বয়স চল্লিশের কোঠায় থাকা একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন যে তার নিজ শহরও একটি বড় ধরণের ভূমিকম্পে আক্রান্ত হবার কারণে তিনি কিছু একটা করতে চান। একজন নগর কর্মকর্তা বলেন, ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজে তাদের অনেক লোকের প্রয়োজন রয়েছে এবং এক্ষেত্রে, স্বেচ্ছাসেবীরা চমৎকার কাজ করছেন।

    ২০২০ অলিম্পিকের বাঁছাই পর্বে খেলার লক্ষ্য নির্ধারণ ৩৭ জন শরণার্থীর: আইওসি

    আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি ৩৭ জন শরণার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যাদেরকে অলিম্পিক বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে এবং কমিটি আশা করছে, আগামী বছরের টোকিও গেমসে তারা খেলার যোগ্যতা অর্জন করবেন।

    আইওসি’র প্রেসিডেন্ট থমাস বাক বৃহস্পতিবার সুইস শহর লজান’এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শরণার্থীদের এই গ্রুপ ২০১৬ সালে রিও ডে জানেইরো’র ১০ সদস্যের দলের চেয়ে বড় হবে।

    তিনি এও বলেন, রিও গেমসে অংশগ্রহণ করা ১০ জন সহ এই ৩৭ জন খেলোয়াড়কে অলিম্পিক বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সিরিয়া ও আফগানিস্তানের শরণার্থীরাও রয়েছেন।

    তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণের জন্য বড় বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরে আগামী বছরের জুন মাসের বাঁছাই পর্বের খেলায় যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।

    জাপানের ব্যবসায়িক মনোভাবের অবনতি

    বিশ্লেষকরা, ব্যাংক অফ জাপানের ত্রৈমাসিক তানকান জরীপে পরপর ২য় বারের মত বৃহদাকারের নির্মাতা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক মনোভাব দুর্বল বলে প্রতীয়মান হয়েছে বলে অনুমান করছেন।

    প্রায় ১০ হাজার কোম্পানির নির্বাহীরা দেশের অর্থনীতি নিয়ে কিধরণের মনোভাব পোষণ করছে তা পরিমাপ করে তানকান তৈরি করা হয়।

    আগামী ১লা জুলাই জরীপের ফলাফল প্রকাশের আগে ১৪টি বেসরকারি খাতের সংস্থার বিশ্লেষকরা তাঁদের পূর্বাভাষ প্রকাশ করেন। এগুলোর মধ্যে ১৩টি ব্যবসায়িক মনোভাবের অবনতি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন।

    বিশ্লেষকরা, পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকে ব্যাংক অফ জাপানের জরীপে ১২ পয়েন্ট রেকর্ড করা হলেও এবার বৃহদাকারের নির্মাতা কোম্পানিগুলোর এই সূচক ৭ থেকে ১২র মধ্যে হবে বলে অনুমান করছেন।

    তাঁরা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য বিরোধের ফলে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    তাঁরা অপর কারণ হিসেবে, চীনের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর উদ্বেগ বলে উল্লেখ করেন।

    চালক অসুস্থ হয়ে পড়লেও, নতুন ব্যবস্থা বাস থামিয়ে দেবে

    জাপানি একটি মটরগাড়ি নির্মাতা আগামী মাসে বাজারে নতুন এক ধরনের বাস বিক্রি করা শুরু করবে যেগুলো চালক হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেও, স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যেতে পারবে।

    হিনো মটরস এই জরুরি চালোনা বন্ধ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে, কেননা হঠাৎ করে অসুস্থতার জন্য অচেতন হয়ে পড়া বাসচালক সংশ্লিষ্ট বাস দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।

    কোম্পানিটি জানাচ্ছে, এই ব্যবস্থা তাদের বড় পর্যটন বাসে জুলাই মাস থেকে সংযোজন করা হবে।

    এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মহাসড়কে ব্যবহার করার জন্য ডিজাইন করা হয়। একটি অবলোহিত রশ্মী ব্যবহার করা ক্যামেরা চালকদের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে কিনা বা তারা স্টিয়ারিং হুইলের উপর ঝুঁকে পড়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে।

    তারপর ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাস থামিয়ে দেবে যখন ক্যামেরাটি নিশ্চিত হবে যে বাসটি এর রাস্তার লেনের বাইরে বেরিয়ে পড়েছে।

    বাসের গতি কমে গেলে এই ব্যবস্থা ব্রেকের লাইট জ্বালাবে এবং বাসের হর্ণ বাজাবে অন্যান্য চালকদের সতর্ক ক’রে দেয়ার জন্য।

    কোম্পানিটি এও জানাচ্ছে, এটি এ ধরনের প্রথম ব্যবস্থা যা বাণিজ্যিক গাড়িতে বসানো হবে।

    হিনো মটরসের হিরোকাযু ওকুইয়ামা বলছেন, অনেক যাত্রী থাকা একটি বাস বা একটি বড় ট্রাক সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।

    তিনি এও বলছেন, কোম্পানিটি এই সর্বাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য কাজ করে যাবে।

    শিশু সন্তানের দেখাশোনায় জাপানি বাবাদের ছুটি নিতে অনীহা

    ইউনিসেফ বলছে শিশু সন্তানের দেখাশোনার জন্য জাপানে পিতাদের অনেক ছুটি দেওয়া হলেও খুব কম পিতাই তা ব্যবহার করেন। জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংগঠনটি বলছে এর জন্য জাপানে কর্মী ঘাটতি এবং কর্মসংস্কৃতি দায়ী।

    জাতিসংঘ শিশু তহবিল ৪১টি শিল্পোন্নত দেশের “পরিবার-বান্ধব নীতি” নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার।

    প্রতিবেদনে বলা হয় এর মধ্যে কেবল অর্ধেক সংখ্যক দেশে মায়েদের ছোট শিশুদের দেখাশোনার জন্য অন্ততপক্ষে ৬ মাসের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। শিশুসন্তানের দেখাশোনার জন্য বাবা মাকে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে যে সব দেশে, সেখানে তুলনায় কম সংখ্যক বাবা এই সুবিধার সদ্‌ব্যবহার করেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানেই এখন বাবাদের জন্য সবচেয়ে লম্বা সবেতন ছুটির ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু ২০১৭ সালে প্রতি ২০ জন বাবার মধ্যে কেবল ১ জন এর সদ্‌ব্যবহার করেছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয় ছুটি না নেওয়ার কারণ হিসেবে জাপানি বাবারা এর জন্য কর্মস্থলে কর্মী সংখ্যায় ঘাটতি এবং “ছুটি নেওয়ার অনুকূল পরিবেশের অভাব”এর কথা উল্লেখ করেন।

    ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয় শিশুসন্তানের দেখাশোনার জন্য বাবারা ছুটি নিলে, পারিবারিক বন্ধন আরও জোরদার হয়। তাছাড়া এতে মায়ের ওপর চাপ কমে এবং লিঙ্গ সমতা’র উন্নতি হয়।

    বৃষ্টিতে ভাসল বাংলাদেশের আশা

    গত ক’দিন থেকেই বৃষ্টির দখলে ব্রিস্টল। বৃষ্টি মাথায় করেই কার্ডিফ থেকে এখানে এসেছিল বাংলাদেশ দল। একদিন অনুশীলনও করতে পারেনি বেরসিক এই বৃষ্টির খপ্পরে পড়ে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল ম্যাচের দিনেও বৃষ্টির। সেই ভবিষ্যদ্বানী সত্য করে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গতকাল দিনটা শুরু হয়েছে ব্রিস্টলে। সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হবে কি না এ নিয়েই দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। মাঝখানে কিছুটা সময় বৃষ্টি বন্ধ হলে আশার আলো ফুটেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু আবার বৃষ্টি শুরু যে হয়েছিল, সেটা আর থামেনি। দুই আম্পায়ার তাই নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। আশাভঙ্গ হয় মাশরাফিদের।

    স্থানীয় সময় সকাল ১২টা ১৫ মিনিটে দুই আম্পায়ার মাঠ পরিদর্শন করে টস কখন হবে সে সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠ পর্যবেক্ষণেই যাওয়া হয়নি আম্পায়ারদের। বাংলাদেশ সময় ৬টা ৪৫ মিনিটের (স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) দিকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মাঠে নামেন দুই আম্পায়ার। কিছুক্ষণ আলোচনার পর জানিয়ে দেন আর মাঠে নামা সম্ভব নয় কারও পক্ষে।

    প্রথমে জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। কারণ কম পক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ খেলতে চাইলে এর পর আর শুরু করা যেত না। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে মাঠ অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আম্পায়ারদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগ হয়ে গেছে দুই দলের মধ্যে। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দুই ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত পয়েন্টসহ শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে গেছে টেবিলের পাঁচে। তবে, বড় ক্ষতিটা করে গেল বাংলাদেশের।

    এই তারিখ, এই ভেন্যু, এই প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে আলাদা করেই লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচ। হাতছানি ছিল সম্ভাব্য একটি জয়ের। বৃষ্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে। চার ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াল এখন ৩। টানা দুই ম্যাচ থেকে একটি করে পয়েন্ট পেয়ে চার ম্যাচে লঙ্কানদের পয়েন্ট ৪।
    আবহাওয়ার পূবাভাসে বৃষ্টির শঙ্কা ছিলই। তবু একটু আশা ছিল ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বলে, শেষ মূহুর্তে যা পরিবর্তন হয় অনেক সময়ই। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি এ দিন। ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট না পেলে অনেক কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এখন সামনে এগোতে হবে দলকে।
    বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার, টন্টনে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ দল ব্রিস্টল থেকে টন্টনে যাবে আগামীকাল।

    ব্রিস্টলে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। এর আগে শুক্রবার শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচেও হতে পারেনি টস। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে তিন ম্যাচ পরিত্যক্ত হলো বৃষ্টির বাধায়। গত সোমবার সাউথ্যাম্পটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে খেলা হয় মোটে ৭ ওভার ৩ বল।
    বিশ্বকাপের ইতিহাসে নতুন রেকর্ডই হলো এদিন। এর আগে কোন বিশ্বকাপে দুটির বেশি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়নি। ১৯৯২ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে দুটি করে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।

    জাপানের জায়েন্ট পান্ডা

    জাপানে বর্তমানে টোকিওর উয়েনো চিড়িয়াখানাসহ তিনটি স্থাপনায় ১০ টি জায়েন্ট পান্ডা রয়েছে। কালো এবং সাদা রঙের এই ভাল্লুকগুলো জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণীদের অন্যতম। ১৯৭২ সালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঠিক পরে জাপান চীনের কাছ থেকে দুটি জায়েন্ট পান্ডা পেয়েছিল এবং এরপর থেকেই সারা দেশ জুড়ে এই প্রাণীকে নিয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।

    বিপদজনক প্রজাতি এবং ফুল ও লতাগুল্মের ব্যবসা সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক চুক্তির আওতায় জায়েন্ট পান্ডার বাণিজ্যিকীকরণ নিষিদ্ধ। বর্তমানে চীন প্রজনন গবেষণা কর্মসূচির অংশ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে তার পান্ডাদের ভাড়া দেয়। যে সব স্থাপনা ঐ প্রাণীগুলোকে ভাড়া নেবে তাদেরকে বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে হবে। উয়েনো চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার এবং তারা প্রায় প্রতি বছর দুটি পান্ডার জন্য ১০ কোটি ইয়েন বা প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করে থাকে। এই দুই পান্ডা হল শান শান এর বাবা মা।

    দৃশ্যতঃ কোন্‌ দেশকে পান্ডা ভাড়া দেয়া হবে তা চীন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণকারী একটি গ্রুপের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান, পান্ডা ভাড়া দেয়া দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

    জায়েন্ট পান্ডার প্রজনন প্রক্রিয়া খুব কঠিন। তবে পশ্চিম জাপানের ওয়াকাইয়ামা জেলার এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক সফল ভাবে এই কাজ করতে পেরেছে এবং ১৬টি জায়েন্ট পান্ডাকে লালনপালন করছে তারা।এই সংখ্যা হল চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন চীনের সাথে যৌথ গবেষণা এবং চীনা গবেষকদের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতার কারণে ভালো ফল পাওয়া গেছে। স্থাপনাতে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে তা পান্ডাদের জন্য উপযুক্ত আবাসভূমি বলে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন।

    মুমিনের নৈতিক গুণাবলি-২

    উবায়দুর রহমান খান নদভী

    মুমিনের নৈতিক গুণাবলি আলোচনা করতে গিয়ে গত নিবন্ধে আমরা বলেছিলাম প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা কোনো ভুল কাজ করে ফেললে তার পুনরাবৃত্তি করে না এবং নিজেদের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। কোনো অশ্লীল কাজ ও সীমালঙ্ঘন করে ফেললে আল্লাহর জিকির করে। এই জিকিরের বদৌলতে তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা বলে স্বীকৃতি লাভ করে ধন্য হয়। উত্তম নৈতিক গুণাবলির অধিকারী মুমিনদের জন্য অফুরন্ত পারিশ্রমিক রয়েছে।
    পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “এদের দু’বার পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে। কারণ, এরা ধৈর্যশীল এবং এরা ভালোর দ্বারা মন্দের মোকাবেলা করে এবং তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারা যখন অসার ও বেহুদা বাক্য শ্রবণ করে তখন তারা তা উপেক্ষা করে চলে এবং বলে, আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য, তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য। তোমাদের প্রতি সালাম ও নিরাপত্তা, আমরা অজ্ঞদের সঙ্গ চাই না।’ (আল কোরআন)।

    এখানে মুমিনদের যে বিশেষ গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে তা এই যে, তারা অসার বাক্য শ্রবণ করতে আগ্রহী নয় এবং মন্দের প্রতিফল মন্দের দ্বারা দেয় না; বরং ভালো দ্বারা দেয়। এদের অন্য গুণাবলি সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা কর্তব্য পালন করে।’ এবং অন্য গুণাবলি সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, তারা কর্তব্য পালন করে এবং সেদিনের ভয় করে, যেদিনের পরিব্যাপ্তিও হবে ব্যাপক।

    আহার্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্তে¡ও তারা অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দীকে আহার দান করে এবং বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি। আমরা তোমাদের নিকট থেকে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়। এই আয়াতসমূহে এবং অনুরূপ অন্যান্য আয়াতসমূহের যে বিশ্লেষণ রাসূল সা. বর্ণনা করেছেন, তা হাদিসের বিভিন্ন গ্রন্থে সংরক্ষিত আছে। এই হাদিসগুলোকে নৈতিক চরিত্রের বিভিন্ন গুণের সাথে পরিবেশন করা হলে বোঝা যাবে, রাসূল সা.-এর শিক্ষাক্রমে নৈতিক শিক্ষা বলতে কী বোঝায় এবং নৈতিকতার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কতটুকু?

    ইসলামে নৈতিক চরিত্রের গুরুত্ব কতখানি তা রাসূল সা.-এর এই দোয়া থেকেই আঁচ করা যায়। যা তিনি নামাজ শেষে পাঠ করতেন, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাকে উত্তম থেকে উত্তম নৈতিকতার পথ প্রদর্শন করুন। আপনি ছাড়া আমাকে উত্তম চরিত্রের পথ দেখানোর কেউ নেই এবং মন্দ চরিত্রকে আমা থেকে দূরীভ‚ত করুন। আপনি ছাড়া মন্দ চরিত্র দূরীভ‚ত করার কেউ নেই।’
    হাদিসে বর্ণিত এই শব্দাবলির প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল সা. স্বীয় নৈকট্য ও প্রার্থনা কবুলের উত্তমলগ্নে আল্লাহপাকের দরবারে যে বস্তুটি কামনা করেছেন, তা হলো হুসনে আখলাক বা উত্তম চরিত্র। ইসলামে ঈমানের চেয়ে বড় জিনিস আর আছে কি? কিন্তু ঈমানের পরিপূর্ণতা উত্তম চরিত্রের দ্বারাই সম্ভব।

    রাসূল সা. বলেছেন, মুমিনদের মাঝে পরিপূর্ণ ঈমান ওই ব্যক্তিরই আছে, যার চরিত্র সর্বোত্তম। এ হাদিসটি তিরমিজী, ইবনে হাম্বল, আবু দাউদ ও হাকেমে বর্ণিত আছে। এতে বোঝা যায়, ইসলামে ঈমানের পরিপূর্ণতা যে মানদন্ডের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা হলো উত্তম চরিত্র। এটি এমন একটি ফল যদ্বারা ঈমানরূপ বৃক্ষের পরিচয় পাওয়া যায়।
    বস্তুত ইসলামে নামাজ এবং রোজার যে গুরুত্ব রয়েছে তা অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কিন্তু উত্তম চরিত্র কখনো কখনো এর স্থলাভিষিক্ত বলে ধরা হয়। রাসূলে আকরাম সা. বলেছেন, ‘মানুষ উত্তম চরিত্রের দ্বারা এই মরতবা লাভ করতে পারে, যা দিনভর রোজা রাখলে, রাতভর ইবাদত করলে অর্জন করা যায়। এ হাদিসটি কয়েকটি সমার্থবোধ পরিবর্তনসহ আবু দাউদ, ইবনে হাম্বলসহ বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত আছে।

    এতে বোঝা যায়, নফল নামাজে রাতভর জাগ্রত থাকা এবং নফল রোজায় দিনভর ক্ষুৎপিপাসায় কাতর থাকার ফলে যে দরজা হাসিল করা যায়, ঠিক সেই মরতবা উত্তম চরিত্রের দ্বারাও অর্জন করা যায়। উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ইবাদত ও আনুগত্যের আধিক্য আরো বাড়িয়ে তোলে।
    ইসলামের দৃষ্টিতে সব মানুষই সমান, কিন্তু ইসলামে উত্তম চরিত্র এমন একটি মানদন্ড, যার দ্বারা পরস্পর মানুষের দরজা ও মরতবা পৃথক হয়ে যায়।