• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • করোনার চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ব্যবহার করছে চীন

    চীনে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের আক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া পর্যবেক্ষণ করছে টেনসেন্ট নিউজ। তাদের তথ্য অনুসারে, নিশ্চিতভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫১৫ জন, আর সন্দেহভাজন আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৩ জন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য কোনো টিকা ও রোগ উপশমকারী ওষুধ না থাকায় চীন জরুরিভিত্তিতে এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।

    চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (এনএইচসি) বেইজিং শাখা বলেছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য লোপিনাভাইর ও রিটোনাভাইর-এর সমন্বয় ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এইচআইভির সংক্রমণ প্রতিরোধে কালেট্রা নামে আবভিয়ে কোম্পানি এটি বাজারজাত করে থাকে। একে অ্যালুভিয়া নামেও ডাকা হয়।

    এনএইচসি জানিয়েছে, ভাইরাসটির সংক্রমণের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ না থাকার কারণে রোগীদের দিনে দুইবার দুটি লোপিনাভাইর ও রিটোনাভাইর ট্যাবলেট ও দিনে দুইবার এক ডোজ আলফা-ইন্টারফেরন নেবুলাইজারের মাধ্যমে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট জানিয়েছে, নতুন করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় লোপিনাভাইর ও রিটোনাভাইর ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষায় একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বেইজিংয়ের পিকিং ইউনিভার্সিটি ফাস্ট হসপিটালের শ্বসন বিশেষজ্ঞ ওয়াং গুয়াংফা করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছেন, তার চিকিৎসক তাকে নতুন ভাইরাসের চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং তার ওপর প্রয়োগ করেছেন। চীনা সরকার এই ভাইরাসের আক্রমণকে সার্স দুর্যোগের শ্রেণিতে রেখেছে। এর অর্থ হলো, দেশটিতে যারা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবেন তাদের অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে।

    করোনাভাইরাসের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু মধ্য-ডিসেম্বরে

    চীনের গবেষকরা বলছেন, গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে উহানে মানুষ থেকে মানুষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়।

    চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের বিজ্ঞানী অন্তর্ভুক্ত থাকা এক দল গবেষক গতকাল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন।

    চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে উহানে নিশ্চিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট প্রথম ৪শ ২৫টি নিউমোনিয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট উপাত্ত তারা বিশ্লেষণ করেন।

    এর ফলাফলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৪৭ জন রোগী গতমাসেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন এবং এমন প্রমাণও তারা পেয়েছেন যে পরস্পর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে মধ্য-ডিসেম্বর থেকেই মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ ঘটেছে।

    এর মানে হল, ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র কাছে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের প্রথম তথ্য জানানোর আগেই এধরণের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

    গবেষকরা বলছেন, অনুমিত হিসাব অনুযায়ী এই রোগের গড় সুপ্তাবস্থার কাল বা সংক্রমণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়ার মধ্যকার সময় বা বিলম্ব ছিল ৫.২ দিন। তারা আরও বলছেন যে প্রতি রোগী থেকে গড়ে অন্য ২.২ ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় প্রতি সাতদিনে এই মহামারি দ্বিগুণ আকার ধারণ করে।

    গবেষকরা ক্লিনিক এবং জরুরি বিভাগগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষার সরঞ্জাম যোগান দেয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন যাতে সংক্রমণের ঘটনাসমূহ যত দ্রুত সম্ভব সনাক্ত করা যায়।