• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে ফেসবুক!

    ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ফেসবুকে ১০০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা ফেসবুকের মোট গ্রাহকের ৫০শতাংশ। এমন দাবি করেছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সহপাঠী অ্যারন গ্রিনস্প্যান।

    সম্প্রতি অ্যারন গ্রিনস্প্যান ‘রিয়েলিটি চেক’ নামে ৭০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ওই রিপোর্টে তিনি বলেছেন, ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে যে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গ্রাহকদের, তা এতদিন পরিষ্কার করে জানায়নি ফেসবুক।

    তিনি ওই রিপোর্টে আরো জানান, ‘ফেসবুকের যত প্রোফাইল রয়েছে তার ৫০ শতাংশই ভুয়া। ওইসব নকল প্রোফাইলের মাধ্যমে ফেসবুকের অনেক গ্রাহকই প্রতারিত হয়েছে, নকল খবর ছড়িয়েছে, বিভিন্ন দেশের প্রশাসনও এর ফাঁদে পড়েছে।’

    তবে গ্রিনস্প্যানের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ফেসবুক জানায়, অ্যারন গ্রিনস্প্যান দাবি মিথ্যা।

    ফেসবুক আরো জানায়, মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা গ্রিনস্প্যানের হিসাবের অনেক কম। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ একটি প্রতিবেদনও লেখেন।

    সেখানে মার্ক জানান, ‘ফেসবুকে এখনও কিছু খারাপ কনটেন্ট রয়েছে। তবে এর জন্য দায়ী কিছু মানুষ এবং ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স সিস্টেমের গোলযোগ। আমাদের সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।’

    গ্রিনস্প্যান একজন ফেসবুক সমালোচক বলেই পরিচিত। এর আগে তিনি নিজেকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবি করেছিলেন। মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু গ্রিনস্প্যান ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একই স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন।

    গ্রিনস্প্যানের দাবি, ২০০৪ সালে হার্ভার্ডে থাকাকালীন তিনি প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট চালু করেন। পরে সেটারই নকল করে মার্ক ফেসবুক নিয়ে আসেন।

    জাপানের কাছে এইজিস ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে মার্কিন প্রশাসন

    প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসন জাপানের কাছে প্রায় ২১৫ কোটি ডলার মূল্যে নতুন ভূমি ভিত্তিক এইজিস ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

    প্রশাসন মঙ্গলবার জানায়, তারা জাপানের কাছে দু’টি এইজিস অ্যাশর ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি অনুমোদনের বিষয়টি কংগ্রেসকে অবহিত করেছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানকে শক্তিশালী ও কার্যকর আত্মরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করাটা মির্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    এতে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যবস্থার প্রস্তাবিত বিক্রয়ের ফলে অঞ্চলটিতে মৌলিক সামরিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন হবে না।

    জাপান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আকিতা’র শহরগুলোতে অবস্থিত আত্মরক্ষা বাহিনী’র প্রশিক্ষণ শিবিরগুলোতে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ামাগুচি জেলার হাগিতে এই ব্যবস্থা স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

    এই বিক্রির জন্য চূড়ান্তভাবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।

    গত নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন জাপানের কাছে ৫৬ কোটি ১০ লাখ ডলারে ১৩টি নতুন প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র এসএম-থ্রি ব্লক টুএসহ ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করে।

    বদলে যাচ্ছে জি-মেইল, নজর রাখুন আপনার অ্যাকাউন্টে

    নতুন বছরের শুরুতেই ই-মেইল সার্ভিসে তিনটি নতুন ফিচার নিয়ে এলো গুগল। সম্প্রতি কোম্পানিটি জানিয়েছে, শিগগিরই তিনটি নতুন ফিচার পৌঁছে যাবে গ্রাহকের কাছে।

    এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুগল নতুন ফিচারে ই-মেইল কম্পোজ করার সময় অনডু/রিডু করা যাবে। ‘ই-মেইল কম্পোজ করার সময় আনডু করা যাবে। আনডু করলে প্রয়োজন রিডু। তাই আনডুর সাথে রিডু অপশানও যোগ করেছি আমরা।

    ইমেল কম্পোজ করার সময় ফর্ম্যাটিংয়ে যে কোন লেখাকে বোল্ড, ইটালিক বা আন্ডারলাইন করা গেলেও জিমেল এ এতদিন কোন লেখা স্ট্রাইকথ্রু করার অপশান ছিল না। নতুন ফিচারে ইমেলের মধ্যে যে কোন লেখা স্ট্রাইকথ্রু করা যাবে।

    এছাড়াও জিমেল থেকে যে কোন মেসেজ ডাউনলোড করা যাবে। ই-মেইল ফর্ম্যাটে সেভ হবে ফাইল। অ্যাটাচমেন্ট হিসাবে মেসেজগুলি ডাউনলোড করা যাবে।

    গত বছর অগাস্ট মাসে জি-মেইলকে আরো সুরক্ষিত করতে নতুন কনফিডেনশিয়াল মোড নিয়ে এসেছিলো গুগল। যেমন: আপনি ই-মেইল মারফত আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য পাঠাতে চান। কনফিডেনশিয়াল মোড অন থাকলে সেই ইমেল নিজে থেকেই কিছুদিন পরে যাঁকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইনবক্স থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।

    এর সাথেই যাকে পাঠালেন তিনি এই ইমেল কখনই ফরওয়ার্ড করতে পারবেন না। এইভাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্য লোকের হাতে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

    টেনিসের নারী এককের র‍্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠলেন নাওমি ওসাকা

    টেনিসের নারী এসোসিয়েশন বা ডব্লিউটিএ জানিয়েছে যে জাপানের টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের পর নারী এককের র‍্যাংকিং-এ বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় হয়েছেন। তিনি এশিয়ার প্রথম এককের খেলোয়াড় হিসেবে টেনিস র‍্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠলেন।

    ডব্লিউটিএ সোমবার তাদের সর্বশেষ র‍্যাংকিং প্রকাশ করেছে।

    অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বে ১২১তম

    সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২১তম। ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুত করা সূচকে বাংলাদেশের প্রাপ্ত নম্বর ৫৫.৬। গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে সাত ধাপ। নম্বর বেড়েছে বেড়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের জানিয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর গড় নম্বর (৬০.৬) ও বৈশ্বিক গড় নম্বর (৬০.৮)। যার অর্থ, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা এখনও ‘প্রায় না থাকার সমান’ (মোস্টলি আনফ্রি)। তবে বাংলাদেশে মজুরি বৃদ্ধির তুলনায় বেড়েছে উৎপাদনশীলতা। ব্যবসা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ আগের চেয়ে কিছুটা সরল হয়েছে। বিনিয়োগে আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ১৯৭৩ সালে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক’ প্রকাশ করে থাকে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাত্রা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আইনের শাসন, সরকারি আয়-ব্যয়ের পরিমাণ, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নগত দক্ষতা এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভিত্তি করে নম্বর হিসেব করা হয়। সংস্থাটির প্রণীত ২০১৯ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২১তম। ভারতের অবস্থান ১২৯তম। পাকিস্তানের ১৩১তম। নেপাল আছে ১৩৬তম অবস্থানে। শ্রীলঙ্কার ১১৫তম। চীনের অবস্থান তালিকায় ১০০তম। প্রথম তিনে আছে যথাক্রমে হংকং, সিঙ্গাপুর ও নিউ জিল্যান্ড। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
    ‘আইনের শাসন’ বিভাগের ‘সম্পত্তির মালিকানা’ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা শাখায় বাংলাদেশ ৩৬.১, ‘বিচার বিভাগের কার্যকারিতা’ শাখায় ৩৪.৫ ও ‘সরকারের নিষ্ঠা’ বিভাগে ২৪.৪ পয়েন্ট পেয়েছে। এ বিভাগের সবগুলো শাখায় বাংলাদেশ উন্নতি করলেও হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, বাংলাদেশে সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত আইনগুলো সেকেলে। ভূমি নিয়ে বিরোধ খুব সাধারণ ঘটনা। বিচার বিভাগ শ্লথ এবং স্বাধীনতার অভাব রয়েছে। চুক্তি কার্যকর এবং মতবিরোধ নিরসনের প্রক্রিয়া অপর্যাপ্ত। দুর্নীতির মহামারি, অপরাধ প্রবণতা, দুর্বল আইনের শাসন এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ সরকারের জবাবদিহিতাকে খর্ব করেছে। বড় আকারের দুর্নীতি খুবই সাধারণ ঘটনা। সম্প্রতি এমন দুইটি ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধান বিচারপতির।
    ‘সরকারের আকার’ বিভাগে ‘করের বোঝা’ শাখায় বাংলাদেশ ৭২.৭, ‘সরকারি ব্যয়’ শাখায় ৯৪.৫ ও ‘রাজস্ব সক্ষমতা’ বিভাগে ৭৭.৬ পয়েন্ট পেয়েছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ এবং কর্পোরেট কর হার ৪৫ শতাংশ। এছাড়াও আছে মূল্য সংযোজন কর। কর থেকে আসা আয়ের প্রমাণ মোট দেশজ আয়ের ৮.৮ শতাংশের সমান। গত তিন বছরে সরকারি ব্যয় বেড়েছে জিডিপির ১৩.৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতির গড় হয়েছে জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপির ৩২.৪ শতাংশে।
    ‘নীতিনির্ধাণের কার্যকারিতা’ বিভাগের ‘ব্যাবসার স্বাধীনতা’ শাখায় বাংলাদেশ ৫০.৯, ‘শ্রমের স্বাধীনতা’ শাখায় ৬৮.২ ‘মুদ্রানীতি’ শাখায় ৬৯.৯ পয়েন্ট পেয়েছে। শ্রমের স্বাধীনতা শাখায় বাংলাদেশর নম্বর বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মতে, বাংলাদেশে ব্যবসা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ আগের চেয়ে কিছুটা সরল হলেও এখনও প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ। বেসরকারি খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা অনুপস্থিত। শ্রম বাজার এখনও অসংগঠিত। তবে উৎপাদনশীলতা মজুরির চেয়ে খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে । সরকার খাদ্য, বিদ্যুৎ ও কৃষিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
    মুক্ত বাজার বিভাগের বাণিজ্য স্বাধীনতা শাখায় বাংলাদেশ ৬৩.৩, বিনিয়োগ স্বাধীনতা শাখায় ৪৫ এবং আর্থিক স্বাধীনতা শাখায় ৩০ পয়েন্ট পেয়েছে। হেরিটেজ ফাউন্ডেশন লিখেছে, সরকার বিনিয়োগ তরান্বিত করতে আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিবর্তনের গতি খুব কম। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এখনও আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়ে গেছে। প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশিদের ৫৪ শতাংশেরই ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাণিজ্য স্বাধীনতা বিভাগে বাংলাদেশ আগের চেয়ে এগিয়েছে; বিনিয়োগ স্বাধীনতায় পিছিয়েছে।

    নাওমি ওসাকা আনন্দিত এবং বিস্মিত

    জাপানি টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা, অস্ট্রেলিয়া ওপেনে মহিলাদের সিঙ্গেলসে বিজয় অর্জন নিয়ে আনন্দিত হলেও বিস্মিত বলে জানিয়েছেন।

    চেক প্রজাতন্ত্রের পেট্রা কুভিতোভাকে পরাজিত করে পরপর ২য় গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ের একদিন পর ওসাকা আজ মেলবোর্নে, সাংবাদিকদের কাছে উক্ত মন্তব্য করেন।

    এই বিজয়ের মাধ্যমে ওসাকা, মহিলাদের সিঙ্গেলসের বিশ্ব র‍্যাংকিংএ শীর্ষ স্থান দখল করেন।

    ওসাকা, বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকারী মহিলা টেনিস খেলোয়াড়ের অধিকারী হওয়ার অর্থ তাঁর কাছে এক বিশাল অর্জন বলে উল্লেখ করেন। তিনি, শৈশব থেকে এটি তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে জানান।

    ওসাকা, নিজের বর্তমান আবাস যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর আগামী মাসে কাতারে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।

    একটি জাহেলী কথা

    Posted by admin on January 25
    Posted in Uncategorized 

    একটি জাহেলী কথা

    নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!

    কোনো মুমিন নামায তরক করতে পারে না। নামায পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। কিছু মানুষ নিজের এ অন্যায় ঢাকতে একটি বাক্যের আশ্রয় নেয়- নামায না পড়লে কী হয়েছে, ঈমান ঠিক আছে!

    এটি একটি জাহেলী বাক্য; শয়তানের বানানো বাক্য, যা দ্বারা সে মুমিনকে ধোঁকায় ফেলে রাখে। কোনো মুমিন এমন কথা বলতে পারে না। যার ঈমান ঠিক আছে সে কি নামায তরক করতে পারে?

    ঈমানের প্রধান আলামতই তো হল নামায। নামাযই ঈমান-কুফরের পার্থক্যরেখা। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

    بَيْنَ الرّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصّلَاةِ

    ব্যক্তি ও শিরক-কুফরের মাঝের পার্থক্যরেখা হল, নামায। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮২

    জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হল-

    مَا كَانَ يُفَرِّقُ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالْإِيمَانِ عِنْدَكُمْ مِنَ الْأَعْمَالِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ؟ قَالَ: الصّلَاةُ.

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  যুগে আপনাদের কাছে কোন্ জিনিস ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী ছিল? তিনি বললেন, নামায। -শারহু উসূলি ই‘তিকাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ, বর্ণনা ১৫৩৮

    সুতরাং আমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হব; কখনো নামায পরিত্যাগ করব না এবং এজাতীয় শয়তানী ধোঁকার বাক্য মুখে আনব না।

    সূত্র: আল-কাউসার পত্রিকা

    অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে নাওমি ওসাকা

    প্রথম জাপানি টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে নাওমি ওসাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সিঙ্গেলসের ফাইনালে উঠেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হচ্ছে টেনিসের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতার একটি।

    মহিলা সিঙ্গেলসের সেমি ফাইনালে ওসাকা আজ চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিস্কোভাকে তিন সেটে পরাজিত করেন।

    শনিবার ওসাকা তাঁর পরপর দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলবেন। গত বছর তিনি ইউ এস ওপেনে মহিলাদের সিঙ্গেলসে বিজয়ী হন।

    ফুকুশিমা পরমাণু দুর্ঘটনায় এক কিশোরীর উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা

    ২০১১ সালের ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু দুর্ঘটনার কারণে ১১ বছরের এক কিশোরী সম্ভবত অতি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছিল।

    জাপানের তেজস্ক্রিয়তা বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউট বলছে, ঐ পরমাণু দুর্ঘটনার দু’মাস পরের এক বৈঠকে তারা এই সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে।

    তবে ইন্সটিটিউটটি বলছে, প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তারা তখন বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

    দুর্ঘটনার অব্যবহিত পরই মেয়েটির শরীরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন মেয়েটি বাইরে খেলা করছিল।

    একজন কর্মকর্তা তখন ঐ কিশোরীর থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রায় ১০০ মিলিসিয়েভার্টস “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” বা সমমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা সনাক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, এই “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” হচ্ছে শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ ঠিক কি পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছে, সেটি নির্ণয় করার একটি প্রচলিত পরিমাপক।

    বলা হয়ে থাকে, একটি পরমাণু দুর্ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় আয়োডিন শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    দুর্ঘটনার আগে প্রণীত নির্দেশিকায় উল্লেখ ছিল যে ১০০ মিলিসিয়েভার্টস বা তার চাইতে বেশি তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের আয়োডিন ট্যাবলেট সেবন করতে দেয়া উচিত যাতে তাদের থাইরয়েড গ্রন্থিতে সেই তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে না পারে।

    জাপানে ভাড়ায় পাওয়া যাচ্ছে ‘বোন’

    জাপান মানেই সুসজ্জিত ভবনে ভরা আলো–ঝলমল নগর আর কর্মব্যস্ত সবার ছুটে চলা। অথচ এই নগরেই গড়ে উঠেছে বিচিত্র পেশা—‘ভাড়াটে বোন’ সরবরাহ। অর্থের বিনিময়ে বোন হিসেবে কাজ করেন তারা।
    ‘ভাড়াটে বোন’ পেশা গড়ে উঠার যা জানা যায়, তা বেশ ভয়াবহ। অনেকটা আলোর নিচে অন্ধকারের মতো ঘটনা। হিকিকোমোরি নামের একটি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্ম। এতে আক্রান্ত তরুণ-তরুণী সমাজ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। তারা ঘরবন্দী হয়ে যান। মা-বাবা বা আপনজনদের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। বরং কিছু জানতে চাইলে বিরক্ত হন, কখনো বা সহিংস আচরণ করেন। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হতে পারেন যে–কেউ। তবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বয়সী অল্প কিছু মেয়ের মধ্যেও এমনটা দেখা যায়। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত সন্তান থাকাটা সমাজের চোখে লজ্জাজনক। তাই পরিবার তাদের কথা গোপন রাখে। কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাবে, সেই চিন্তায় অস্থির থাকে। জাপানে তরুণ প্রজন্মের প্রায় পাঁচ লাখ এই সমস্যায় আক্রান্ত। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়।
    বিবিসির সাংবাদিক কথা বলেন কেনতা নামের হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত এক তরুণের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আমি মেয়েদের সঙ্গে বেশি মিশতাম। এ জন্য সবাই আমাকে খ্যাপাত। বলত, তুমি ছেলে না মেয়ে? আমার ভীষণ খারাপ লাগত। আমি খুবই অসুখী বোধ করতাম। নিঃসঙ্গ বোধ করতাম। সারাক্ষণ কাঁদতাম। মা-বাবাকে দোষারোপ করতাম। নিজের ওপর রাগ হতো, সমাজের ওপর রাগ হতো। এমন পরিস্থিতি পর্যন্ত হয়েছে যে, বাবা-মা পুলিশ ডেকেছে। মুক্তি পেতে আমি ওষুধ খাচ্ছিলাম। আমি সারা রাত ভিডিও গেম খেলে, সারা দিন ঘুমাতাম।’
    কেনতার মতো মানুষকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে নিউ স্টার্ট নামের একটি সংগঠন। তারাই ভাড়ায় বোন সরবরাহ করার ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের এই উদ্যোগ যে কাজে লাগছে, সেই প্রমাণও মিলেছে। নিউ স্টার্টের হয়ে ভাড়ায় কাজ করেন, এমন এক বোন আয়াকো। এই বিশেষায়িত দলে আছেন তার মতো আরও অনেক নারী। হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত তরুণদের সহায়তা করার জন্য এই তরুণীদের ভাড়ায় নেওয়া হয়। তাদের মূল কাজ ওই তরুণদের নিজের ঘরের বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া। সমাজে আবার মিশে যেতে সহায়তা করা।
    তরুণেরা কেন হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, এর কোনো কারণ জানা যায়নি। এর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাও নেই। তবে নিঃসঙ্গতা থেকে এমনটা হতে পারে ধরে নিয়েই কাজ শুরু করে নিউ স্টার্ট। চেষ্টা করে তরুণদের নতুন পথে নিয়ে যেতে, তাদের সামনে নতুন জগৎ মেলে ধরতে।
    যে তরুণীরা হিকিকোমোরিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সারাতে কাজ করেন, তারা কেউই চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী নন। একেবারেই সাধারণ যোগ্যতার। তবে তাদের আয় শুনলে কপালে চোখ উঠে যেতে বাধ্য। মাসে এক লাখ ইয়েনের বেশি আয় তাদের। আয়াকো নামের ভাড়াটে বোন বললেন, ‘আমি কোনো কৌশল জানি না। আমি শুধু তাদের সঙ্গে তাদের মতো করে মেশার চেষ্টা করি।’ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। আয়াকোর সাহচর্যে বদলে যেতে শুরু করে কেনতা। ছয় মাস ধরে কেনতার ভাড়াটে বোন হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কেনতা এখন বাড়ির বাইরে বের হন। কেনতা বলেন, ‘আমি আমার ভাড়ায় আনা বোনকে দেখে খুশি হই। গল্পগুজব করি। দুজনে মিলে বাইরে খাওয়াদাওয়া করতে যাই। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেন। আমার নিজেকে আর একা মনে হয় না। ভালো লাগতে শুরু করে। তিনি আমাকে প্রেরণা দেন। নিজের ওপর বিশ্বাস ফিরে আসছে আমার।’
    এভাবে ভাইবোনের মতো থাকতে থাকতে অনেক সময় উভয়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সেটা সব সময় নয়। আয়াকোর ভাষ্য, তাঁদের সাহচর্য পেয়ে সবাই যে খুব খুশি হয় বা তাদের সঙ্গে প্রাণ খুলে মজা করে, এমনটা সব সময় হয় না। তবে কেনতার মতো অনেকেই তাদের ভালোভাবে মেনে নেন। কেনতাও বললেন, ‘আমি যখন আর তাকে দেখব না, তখন খুব খারাপ লাগবে। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আনন্দও আমার মধ্যে তখন প্রবলভাবে কাজ করবে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’ আয়াকো জানালেন, তিনি রোগীদের সঙ্গে ভণিতা করেন না। কারণ, সেটা তারা বুঝে ফেলে। তার ভাষায়, ‘আমি যা, যেমন, সেটাই তাদের সামনে তুলে ধরি। সেভাবেই কাজ করি।’ তবে এ পেশায় টিকতে হলে ধৈর্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য তার।
    ঠিক কী কারণে হিকিকোমোরি হয়, তার কারণ বেশ জটিল। মনোবিজ্ঞানী তামাকি সাইতো বলেন, জাপানে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের কম। অথচ হিকিকোমোরিতে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ। অনেকে ভাবেন, হিকিকোমোরিতে আক্রান্তরা অলস। আবার কেউ কেউ ভাবেন, তারা বিপজ্জনক কিংবা তারা ভয়াবহ অপরাধী হতে যাচ্ছে। আসলে বিষয়টা এমন না।
    ভাড়ায় বোন সরবরাহের পাশাপাশি ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থাও আছে নিউ স্টার্টের। আছে খণ্ডকালীন কাজের ব্যবস্থাও। তবে সেগুলো জনসেবামূলক কাজ। এখানে যারা আসেন, তারা ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। ভিডিও গেম খেলা নিষিদ্ধ। শুধু টিভি দেখতে পারেন, তাও সবাই মিলে এক জায়গায় বসে। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে এখানে প্রায় দুই হাজার লোক থেকেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি এক বছরের মতো এখানে থেকে স্বাভাবিক হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মিশে গেছেন মূল স্রোতে। সূত্র: বিবিসি।

    ১১৩ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যু

    আজ ১শ ১৩ বছর বয়সী একজন জাপানি পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।
    গত বছরের এপ্রিল মাসে গিনিস বিশ্ব রেকর্ড মাসাযো নোনাকা’কে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি দিয়েছিল।

    জাপানের উত্তরের দ্বীপ হোক্কাইদোর অধিবাসী নোনাকা ১৯০৫ সালের জুলাই মাসে জন্মগ্রহণ করেন।

    আজ সকালে নোনাকার পরিবারের সদস্যরা তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধের বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপর চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরিবারের মতে, দৃশ্যত, গতকাল তিনি সুস্থই ছিলেন।
    নাতনি ইউকো নিজের পরিবারকে একটি সুখী জীবন কাটাতে সুযোগ দেয়ার জন্য নোনাকা’কে ধন্যবাদ জানান।
    তিনি বলেন, নোনাকা’র অভাব অনুভব করলেও তার মধ্যে একারণে কোন দু:খবোধ নেই যে জীবনের শেষ মুহূর্তে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে মর্যাদার সাথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম গ্রহণকারী নারী সাংবাদিক গ্রেপ্তার

    যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত শুক্রবার ইরানি টেলিভিশনের এক নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একটি মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ওই অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন বলে খবরে বলা হয়েছে। এএফপি।

    ইরানি বংশোদ্ভুত সাংবাদিক মার্জিয়া হাশেমি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইরানের ইংলিশভাষী চ্যানেল প্রেস টিভির উপস্থাপিকা।

    এছাড়া হাশেমি একজন ইরানিকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতি এবং মুসলিম ও আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের সমালোচনা করে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন। তার এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।

    ওয়াশিংটনে এক শুনানীতে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার প্রধান বিচারক বেরিল হোয়েল রায়ে বলেন, হাশেমিকে ওয়াশিংটনের একটি মামলার হুলিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    রায়ে তার আগের নাম মেলানি ফ্রাঙ্কলিন উল্লেখ করা হয়। ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজদারী আইন লংঘনের’ একটি মামলায় গ্র্যান্ড জুরির সামনে সাক্ষ্য দেয়া শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

    রায়ে আরো বলা হয়, ‘ফ্রাঙ্কলিনের পক্ষে একজন এটর্নী নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং তাকে কোন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়নি।’

    প্রেস টিভি জানিয়েছে, হাশেমিকে রবিবার সেন্ট লুইস বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সেখানে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন।

    এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ বুধবার বলেন, ‘মার্জিয়া হাশেমির গ্রেপ্তার একটি অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক আচরণ এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে পদদলিত করার প্রমাণ।’

    জাপানের রাডারের নতুন প্রমাণ

    জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রনালয়, গতমাসে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর একটি জাহাজের গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডার জাপানের একটি প্রহরা বিমানকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবিকে সমর্থন করা নতুন প্রমাণ প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে।

    মন্ত্রণালয়, গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডার শনাক্তকরণের সময় একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শব্দ শোনা যায় বলে জানায়।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, আত্মরক্ষা নৌবাহিনীর বিমানে ধারণকৃত অব্যাহত উঁচু শব্দ থেকে গোলা নিয়ন্ত্রণ রাডারের রেডিও সংকেত শনাক্তকরণের আভাষ পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন।

    উক্ত ঘটনা নিয়ে মত বিনিময় করতে গত সোমবার দুদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হন।

    জাপান, উভয় দেশের রেডিও তরঙ্গের উপাত্ত উপস্থাপনের প্রস্তাব দিলেও দক্ষিণ কোরিয়া রাজি হয়নি। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন মুখপাত্র, প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত অপমানজনক বলে অভিহিত করেন।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রনালয়, নতুন প্রমাণের মাধ্যমে গোপনীয় সামরিক উপাত্ত শনাক্তকরণের বিষয়ে জাপানের অবস্থানের বৈধতা দেবে বলে উল্লেখ করে।

    মন্ত্রণালয় দ্রুত হলে আগামী সপ্তাহে, উক্ত প্রমাণ জনসমক্ষে প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

    জাপান-দ: কোরিয়া বরফ গলাতে সংলাপ প্রয়োজন: কান

    দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কান গিয়োন-হোয়া বলেছেন, জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে সংলাপ প্রয়োজন। তবে জাপানের আলোচনার অনুরোধে তাদের সরকার সম্মত হবে কিনা সেটা তিনি স্পষ্ট করেননি।

    যুদ্ধকালীন শ্রম এবং জাপানের নৌ-আত্মরক্ষা বাহিনীর টহল বিমানের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌ-বাহিনীর জাহাজের গোলা-নিয়ন্ত্রণ রাডার তাক করা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে।

    কান বুধবার সউলে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব সমস্যার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকের ন্যায় সুযোগসমূহের মাধ্যমে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ভবিষ্যত-মুখী করে এগিয়ে নিতে চান।

    যেসব কোরীয় নাগরিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি কোম্পানিগুলো তাদেরকে কারখানায় শ্রম দিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত তাদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আদেশ দিয়েছে। পরে এক নিম্ন আদালত সেদেশে বিদ্যমান সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেয়। কান বলেন, তার সরকার বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এবং ভুক্তভোগীদের স্বস্তি প্রদান ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষায় কী করণীয় সেটা বিবেচনা করছে।

    জাপান সরকার বলছে, ১৯৬৫ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সময় এ সম্পর্কিত দাবি সম্পূর্ণরূপে ও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

    সরকার সম্পদ ও দাবি নিষ্পত্তির বিষয়ে ১৯৬৫ সালের চুক্তির ভিত্তিতে আলোচনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    বয়ো:প্রাপ্তি দিবস উদ্‌যাপিত

    পশ্চিম জাপানের একদল তরুণ দেশটির সবচেয়ে উঁচু ভবনে সিঁড়ি বেয়ে উঠে বয়ো:প্রাপ্তিতে পদার্পনের আচার অনুষ্ঠান পালন করেছে।

    সোমবার বয়ো:প্রাপ্তি দিবসে জাতীয় ছুটির দিনে যেসব নাগরিকের বয়স ২০ বছর হয়েছে তাদের সম্মান জানানো হয়। জাপানে বয়ো:প্রাপ্তির আইনগত বয়স হল ২০ বছর। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাপানজুড়ে দিনটিকে পালন করা হয়।

    ওসাকা শহরে দিবসটি পালন উপলক্ষে ২০ বছর বয়সী একদল তরুণ “চলুন বয়ো:প্রাপ্তিতে পদার্পন করি” মন্ত্র নিয়ে ৩০০ মিটার উঁচু আবেনো হারুকাস ভবনে আরোহণ করে।

    ১০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী কিমোনো বা নতুন স্যুট পড়ে এবং সাদা কাপড়ে তাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাশা লিখে নিয়ে এক হাজার ছয়শো’ ৩৭ ধাপ সিঁড়ি পাড়ি দেয়। ৬০ তলা ভবনে আরোহণ তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।