ফুকুশিমা পরমাণু দুর্ঘটনায় এক কিশোরীর উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা

২০১১ সালের ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু দুর্ঘটনার কারণে ১১ বছরের এক কিশোরী সম্ভবত অতি উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছিল।

জাপানের তেজস্ক্রিয়তা বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় ইন্সটিটিউট বলছে, ঐ পরমাণু দুর্ঘটনার দু’মাস পরের এক বৈঠকে তারা এই সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে।

তবে ইন্সটিটিউটটি বলছে, প্রাপ্ত উপাত্ত বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তারা তখন বিষয়টি প্রকাশ করেনি।

দুর্ঘটনার অব্যবহিত পরই মেয়েটির শরীরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল। জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন মেয়েটি বাইরে খেলা করছিল।

একজন কর্মকর্তা তখন ঐ কিশোরীর থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রায় ১০০ মিলিসিয়েভার্টস “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” বা সমমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা সনাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, এই “একুইভ্যালেন্ট ডোজ” হচ্ছে শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ ঠিক কি পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে এসেছে, সেটি নির্ণয় করার একটি প্রচলিত পরিমাপক।

বলা হয়ে থাকে, একটি পরমাণু দুর্ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয় আয়োডিন শরীরে প্রবেশ করলে মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দুর্ঘটনার আগে প্রণীত নির্দেশিকায় উল্লেখ ছিল যে ১০০ মিলিসিয়েভার্টস বা তার চাইতে বেশি তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের আয়োডিন ট্যাবলেট সেবন করতে দেয়া উচিত যাতে তাদের থাইরয়েড গ্রন্থিতে সেই তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে না পারে।