• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • সিআইএর প্রথম নারী পরিচালক জিনা হাসপেল

    যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পেয়েছেন ট্রাম্প মনোনীত প্রার্থী জিনা হাসপেল। সংগঠনটির ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন নারী পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক ভোটে ৫৪ সিনেটরের সমর্থন পেয়ে সিআইএ প্রধানের পদ নিশ্চিত করেন হাসপেল। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
    খবরে বলা হয়, ৯/১১ হামলার পর সিআইএ’র বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ (মুখ ঢেকে পানি ঢালা) ও অন্যান্য নির্মম কৌশল প্রয়োগে নিজের সংশ্লিষ্টতার কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন হাসপেল। সমালোচনাকারীদের মধ্যে মানবাধিকার গ্রুপ, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট এমনকি কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও রয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার ৫৪-৪৪ ভোটে নিজের অনুমোদন নিশ্চিত করে সকল সমালোচনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। এর আগের দিন সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছ থেকে ১০-৫ ভোটে অনুমোদন পান হাসপেল।
    সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান, সিনেটর রিচার্ড বার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, সিআইএ’র নেতৃত্ব দেয়ার জন্য হাসপেলই সবচেয়ে উপযুক্ত মানুষ। তিনি বলেন, হাসপেল তার ক্যারিয়ার জুড়ে নৈতিকতা ও বৈধতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। উল্লেখ্য, হাসপেল ৩৩ বছর ধরে সিআইএ’র বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
    সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্রেট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারসহ আরো চারজন ডেমোক্রেট হাসপেলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে ওয়ার্নার বলেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্টের নির্যাতন ফিরিয়ে আনার মতো অবৈধ ও নীতি বহির্ভূত আদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবেন। তবে হাসপেলের নিয়োগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিরোধিতা করেছিলেন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য ওয়ার্নার।

    এবছরও রোজা করতে পারবেন না চীনের মুসলিমরা

    এবছরও রোজা করতে পারবেন না চীনের মুসলিমরা। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলিমদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
    কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা রোজা রাখতে পারবেন না। পাশাপাশি মুসলিম মালিকদের রেস্তোরাঁ খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনা সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷
    শিনজিয়াং অঞ্চলে মূলত চিনের মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষরা বসবাস করে। গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। শিনজিয়াংয়ের জিংহি কাউন্টির সরকারি খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘পুরো রমজান মাসে হোটেল, রেস্তোরাঁ-সহ যাবতীয় খাবারের দোকান খোলা রাখতে হবে।
    উইঘুরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করেছে, এর ফলে জাতিগত উত্তেজনা বাড়বে। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে জাতিগত দাঙ্গায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

    জাপানে ২৫ সেকেন্ড আগে ট্রেন ছাড়ায় ক্ষমা চাইল রেল কর্তৃপক্ষ

    সকাল ৭:১২ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২৫ সেকেন্ড আগে স্টেশন থেকে বেরিয়ে যায় ট্রেনটি। এরকম ‘অমার্জনীয়’ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। জাপানের নোটোগোয়া স্টেশনের ঘটনা এটি।
    সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে একটি এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল সাতটা দশ মিনিটের কিছু পর ওই স্টেশনে ঢোকে।
    জাপান টুডের খবর অনুযায়ী, ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল ৭টা ১২ মিনিটে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ২৫ সেকেন্ড আগেই প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে যায় ট্রেনটি।ট্রেনের চালক ভেবেছিলেন স্টেশন থেকে ট্রেনটি বেরনোর সময় ৭টা ১১ মিনিট। দেরি হয়ে গিয়েছে ভেবে সময়ের আগেই তাই পরের স্টেশনের জন্য রওনা দেন চালক।
    ট্রেন চালানোর জন্য নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলে জাপানের রেল কৃর্তপক্ষ। তার জন্য একটা আলাদা গর্ব অনুভব করে জাপান। তবুও তার মাঝে দু’একটা এমন ঘটনা ঘটে যায়। তবে এটাও ঠিক জাপানে ট্রেন কখনও দেরিতে ছাড়ে না। সময়ের আগে যাবে কিন্তু এক সেকেণ্ড দেরি করবে না।
    সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন এক ব্যক্তি ট্রেনটি মিস করেন। এর পর তিনি স্টেশন-ইন-চার্জের কাছে অভিযোগ করেন। স্টেশন ম্যানেজার গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তিনি আবার উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেন। এর পরেই ওয়েস্ট জাপান রেলওয়ে কোম্পানি ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন এমন ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে মাত্র ২০ সেকেন্ড আগে ট্রেন বেরিয়ে যাওয়ায় জাপান রেল কর্তৃপক্ষ ‘গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ’ করেছে।

    স্বাধীনতার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়লেন তিনি

    হুইল চেয়ারে বসেই দখলদার ইহুদি শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে শহীদ হয়ে গেলেন মুক্তিপাগল ফিলিস্তিনি ফাদি আবু সালাহ। গতকাল জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর নিহত ৫৮ জন শহীদ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিনিও একজন।

    এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভে ইব্রাহিম আবু সুরিয়া (২৯) নামের আরেক পঙ্গু ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছিলেন। তার নিহতের সংবাদ সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়।

    কিশোরকাল থেকেই আবু সালাহ ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে ঘরে বসে থাকেননি কখনো। একটা সময় ইসরাইলের কারাগারেও ঠাঁই হয়েছিল তার। পরবর্তীতে মুক্ত হয়ে মাতৃভূমিকে ইহুদি শক্তির হাত থেকে উদ্ধার করতে আবারও নেমে পড়েন প্রতিবাদী ভূমিকায়। একটা সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে পা হারিয়ে পঙ্গুত্বকেই বরণ করেছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে গেলেন সংগ্রামী এ ফিলিস্তিনি।

    ২৯ বছর বয়সী আবু সালাহ ফিলিস্তিনি তরুণদের প্রতি সবসময় আহবান করতেন, ‘প্রতিমুহূর্তে আমাদের প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে’।

    রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছেই আরাবাহ নামক গ্রামের বাসিন্দা হচ্ছেন আবু সালাহ।

    অল্প বয়সেই বিয়ে করা এ তরুণ একটা সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন বেশ কয়েক বছর। পরবর্তীতে এক মার্কিন সমঝোতায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রচেষ্টায় ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান আবু সালাহ। তার সাথে আরও ৮৯ জন ফিলিস্তিনি বেরিয়ে আসে দখলদারদের কারাগার থেকে।

    ২০০৮ সালে গাজায় তিন সপ্তাহ ব্যাপী ইসরাইলি সেনা ও হামাসের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধে প্রাণ হারায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি। পরবর্তীতে ছয় মাস ধরে চলা এক ইসরাইলে আগ্রাসানে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হন। সে সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে পা হারান ফাদি আবু সালেহ। ডিসেম্বরে নিহত ইব্রাহিম আবু সুরিয়াও সে সময় পা হারিয়েছিলেন।

    সুরিয়ার মতোই ইসরাইলি সেনার গুলির জবাবে গুলতি নিয়ে তার পাথর নিক্ষেপের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আবু সালাহর এ লড়াইয়ের কাহিনী। পরবর্তীতে নিহতের ছবিও আলোচনায় ওঠে আসে একইভাবে।

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদে দেখা যাচ্ছে, এ বছরেরও কয়েকমাস ধরে চলমান বিক্ষোভে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পশ্চিম তীর থেকে এসে গাজাতেই আশ্রয় নেন তাঁবু গেড়ে। চার শিশু সন্তানকে নিয়ে সেখানেই অস্থায়ীভাবে সংসার গাড়েন তিনি।

    ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর ও ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদের নাকবা দিবস উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে গাজায় জড়ো হতে থাকেন ফিলিস্তিনিরা।

    ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইহুদিবাদী ইসরাইল সাড় সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ করে তা দখল করে নেয়। এদিনটি নাকবা দিবস হিসেবে গত ৭০ বছর ধরে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা।

    গত সোমবার জড়ো হওয়া প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে সকাল থেকেই হুইল চেয়ারে করে নেমে পড়েন সালাহ। একটা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনারা নির্বিচারে গুলি চালালে তিনিও প্রতিরোধ করা শুরু করেন। দুপুরের পরেই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন এ লড়াকু ফিলিস্তিনি।

    জাপানি সহায়তায় ভিয়েতনামে নতুন বন্দর নির্মিত

    উত্তর ভিয়েতনামে জাপানি সহায়তায় বড় বড় মালবাহী জাহাজ নোঙর করতে পারা একটি নতুন আন্তর্জাতিক প্রবেশপথ বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

    এই নতুন বন্দরটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাই ফোন’এ নিট ব্যয় ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারে নির্মিত হয়। জাপান সরকারি উন্নয়ন তহবিল থেকে এই ব্যয়ের ৮০% প্রদান করে। জাপানি কোম্পানিগুলো এই বন্দর পরিচালনায়ও অংশ নেবে।

    উত্তর ভিয়েতনামে কোন বড় বন্দর নেই যেখানে বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারে। ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে যাওয়া কন্টেইনারগুলোকে সিংগাপুর ও হংকং’এর বন্দরে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে একবার আরও বড় জাহাজে তুলতে হয়।

    নতুন বন্দরের ১৪ মিটার গভীর পানির কারণে বড় ধরনের জাহাজ এর জেটিতে ভিড়তে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বন্দর ব্যবহার করার কারণে জাহাজের জন্য বিতরণ ব্যয় অনেকটাই কমে আসবে।

    আসছে রমাযানুল মুবারক : আমাদের জীবন ও কর্ম আলোকিত হোক মাহে রমযানের শিক্ষায়

    বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আসছে শা‘বান ও রমযান। বর্তমান সংখ্যাটি শা‘বান-রমযান যৌথ সংখ্যা। রমাযানুল মুবারকের নাম আমাদের মন-মানসে এক নতুন অনুভূতি জাগ্রত করে। স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতার অনুভূতি। এই মাসটি একটি মহিমান্বিত মাস, যার ফযীলত ও মর্যাদা কুরআন মাজীদে উল্লেখিত হয়েছে। এই মাস মুমিনের নব চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার মাস। আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অন্বেষণে অগ্রণী হওয়ার মাস। স্বয়ং আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল হতেন। তাঁর সাহাবীগণকেও ইবাদত-বন্দেগীতে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাই মুমিনের কাছে এই মাস আলাদা মহিমা ও তাৎপর্য নিয়ে আগমন করে। মুমিনের কর্তব্য, ইবাদত-বন্দেগীতে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি চাল-চলন, আচার-আচরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি সবক্ষেত্রে একটি আদর্শিক ছাপ রাখার চেষ্টা করা।

    প্রতি রমযানেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। যদিও অনেক বিত্তশালী মুসলিম এ মাসে প্রচুর দান করে থাকেন, অনেকে যাকাত দিয়ে থাকেন, দুস্থ-অসহায়ের খোঁজ-খবর নিয়ে থাকেন, রোযাদারদের ইফতার করিয়ে থাকেন, কিন্তু এইসব নেক আমল ও জনকল্যাণমূলক কাজ চাপা পড়ে যায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কাছে। একারণে মুসলিম ব্যবসায়ীদের কর্তব্য, কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করে হলেও রমাযানুল মুবারকে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করা। এতে যেমন মুসলমানদের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে তেমনি মানবসেবারও ছওয়াব পাওয়া যাবে।

    রমাযানুল মুবারককে উপলক্ষ করে আমাদের সমাজে যদি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে সেটি হবে অতি সুখের ব্যাপার। ইসলামে নিষিদ্ধ বিষয়াদি- সুদ, ঘুষ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, ইভটিজিং, মাদকের ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়া উচিত। রমাযানুল মুবারকের ভাবমর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রচারমাধ্যমগুলো যদি এইসব অনাচার নির্মূলে সংকল্পবদ্ধ হয় তাহলে সুফল আসতে পারে। এই ইতিবাচক ও জাতিগঠনমূলক কর্মকা-ের পরিবর্তে গোটা রমযান মাস জুড়েই অব্যাহত থাকে অশ্লীল বিনোদনমূলক প্রচার ও সম্প্রচার । বিশেষত ঈদ-বিনোদনের নামে নাটক-সিনেমার যে সয়লাব এদেশের মিডিয়াগুলোতে বয়ে যায় তাতে যেকোনো সচেতন মুসলিমেরই মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার কথা। সস্তা বিনোদনের স্থলে মিডিয়াকে জাতি ও চরিত্রগঠনে কাজে লাগানো আমাদের কর্তব্য। মাহে রমযানের ভাবমর্যাদা ও মুসলিমমানসে এর প্রভাবকে সফলভাবে কাজে লাগানো গেলে এপথে অনেকদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব।

    এই পবিত্র মাসের বিশেষ ফরয ইবাদত হচ্ছে সওম। ঈমানের পর যে চারটি বিষয়কে ইসলামের রোকন বলা হয়েছে সওম তার অন্যতম। কাজেই যার উপর সওম ফরয এমন প্রত্যেকের কর্তব্য, যতেœর সাথে এই ফরয ইবাদতটি আদায় করা। ইসলামে ফরয ইবাদত-আমলের গুরুত্বই সবচেয়ে বেশি, এর মাধ্যমেই অর্জিত হয় আল্লাহ্র সবচেয়ে বেশি নৈকট্য। কাজেই নফল ইবাদত-আমলে কিছু ত্রুটি হলেও ফরয-ওয়াজিবে ত্রুটি হওয়া উচিত নয়; বরং গুরুত্বের সাথে তা পালন করা উচিত। একইসাথে কর্তা ব্যক্তিদের দায়িত্ব রোযাদার কর্মীর কাজের ভার কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করা। এটি যেমন এক রোযাদার বান্দার উপর অনুগ্রহ তেমনি একটি ফরয ইবাদত আদায়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা। পাশাপাশি তা ফরয আদায়ে উৎসাহিত করারও একটি উপায়।

    যারা রোযা রাখেন তাদের জন্যেও রয়েছে উন্নতির সুযোগ। কারণ পানাহার ও স্ত্রী-মিলন থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি রোযাদারের কর্তব্য, সব রকমের অন্যায়-অনাচার থেকেও বেঁচে থাকা। কটূক্তি-ঝগড়া-বিবাদ ও অশোভন উচ্চারণ থেকেও বেঁচে থাকা। হাদীস শরীফে আছে, ‘যখন তোমাদের রোযার দিন আসে তখন তোমরা অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং চিৎকার-চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকবে। কেউ যদি ঝগড়া-বিবাদে প্রবৃত্ত হয় তাহলে বলবে, আমি রোযাদার।’ কাজেই রোযাদারের রোযার পূর্ণতা সাধনের জন্য সবরকমের অন্যায়-অশোভন কাজ থেকে বিরত থাকাও কর্তব্য। বলা বাহুল্য, মুমিন যদি একমাস এভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রিত রাখার চেষ্টা করে, ইনশাআল্লাহ তার স্বভাব-চরিত্রে, কথা ও কাজে পরিবর্তন সাধিত হবে। এভাবেই রোযা মানবজীবনে শুদ্ধি ও পরিশুদ্ধির বার্তা নিয়ে আসে।

    মাহে রমযানের আরেক বিশেষ ইবাদত তারাবী। গোটা মুসলিম জাহানে তারাবীর নামায অত্যন্ত আগ্রহ-উদ্দীপনার সাথে আদায় হয়ে থাকে। তারাবী অতি বরকতময় সুন্নত। আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুবারক যামানা থেকেই তারাবী মাহে রমযানের অতি ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। ঐকান্তিকতা ও একনিষ্ঠতার সাথে এই  ইবাদতে মশগুল থাকা কাম্য। কোনো কোনো জায়গায় তারাবীর রাকাত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক হতে  শোনা যায়। কোনো কোনো মহল থেকে নানা প্রকারের লিফলেট ইত্যাদিও বিতরণ হয়। এই সকল কর্মকা- খুবই অশোভন ও অনুচিত। এ সংক্রান্ত বিচ্ছিন্ন মতামতের অসারতা প্রমাণ করে গবেষক আলেমগণ দলীলভিত্তিক পর্যাপ্ত আলোচনা করেছেন। কাজেই সাধারণ মুসলমানের কর্তব্য, কল্যাণ-অন্বেষার এই মাসে অর্থহীন বিবাদ-বিতর্কে না জড়ানো। আলিমগণের নির্দেশনা অনুসারে ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা। কেউ বিতর্ক করতে এলে তাকে বলে দেওয়া যে, বিষয়টি আলিমদের সাথে আলোচনা করুন।

    তারাবীর নামাযের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ের রেওয়াজও ক্রমবর্ধমান। আর তা হচ্ছে মেয়েদের মসজিদের জামাতে শামিল হওয়া। এই প্রবণতাকে উৎসাহিত করার উপায় নেই। কারণ একে তো মেয়েদের জন্য নিজ ঘরে নামায পড়াই কাম্য, যা সহীহ হাদীস-আছার দ্বারা প্রমাণিত, তাছাড়া নারী-পুরুষ উভয় শ্রেণির মাঝেই প্রকৃত দ্বীনদারীর ক্রমাবনতি বিষয়টিকে আরো নাযুক করে দিয়েছে। একারণে উম্মাহ্র ফকীহ-মুজতাহিদগণের কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত অনুসারে মেয়েরা যদি নিজ গৃহে নামায আদায়ে সম্মত হন তাহলে সেটিই তাদের জন্য অধিকতর পুণ্য ও কল্যাণের বিষয় হতে পারে।

    মাহে রমযান ঈমান ও ইহতিসাবের ক্ষেত্রে অগ্রসরতার মাস। ঈমান মানে বিশ্বাস, আর ইহতিসাবের মর্মার্থ প্রত্যাশা। এই মাসের সকল ইবাদত-আমলে ঈমান ও ইহতিসাব তথা আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস ও প্রত্যাশার প্রেরণা জাগরূক রাখা কর্তব্য। হাদীস শরীফে এ মাসের সিয়াম-কিয়ামে ঈমান ও ইহতিসাবের চেতনা জাগ্রত রাখার উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও প্রত্যাশা নিয়ে রমযানের রোযা রাখে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও প্রত্যাশা নিয়ে রমযানের রাতে আল্লাহ্র ইবাদতে দাঁড়ায় তারও পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। তাই রমযান মাস ঈমানী চেতনায় অগ্রগামী হওয়ার মাস। আল্লাহ তাআলা যা যা সংবাদ দিয়েছেন সকল সংবাদে দৃঢ় বিশ্বাস, যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার গভীর প্রত্যাশা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশাই আল্লাহ্র ইচ্ছায় মুমিনকে পরিচালিত করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টির পথে। আমল ও ইবাদতকে করে তোলে সার্থক ও প্রাণবন্ত। অধিকারী করে দুনিয়া-আখেরাতের সৌভাগ্য  ও প্রাপ্তির। এই একমাসের অনুশীলনের মাধ্যমে মুমিনের  গোটা জীবনটি হয়ে উঠতে পারে ঈমান ও ইহতিসাবের জীবন; বিশ্বাস ও প্রত্যাশায় আলোকিত জীবন।

    রমাযানুল মুবারকের শেষ দশ দিন আরও বরকতময়। এই দশকের যে কোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার অধিক সম্ভাবনা। তাই এসময়টা সর্বোচ্চ আগ্রহ নিয়ে ইবাদতে মশগুল থাকা কাম্য ছিল। অথচ এখন আমাদের সমাজে চালু হয়েছে ঈদশপিংয়ের সংস্কৃতি, যার চক্করে পড়ে অনেক দ্বীনদার মানুষেরও দশকের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। অন্তত দ্বীনদার মানুষের এই ক্ষতিকর রেওয়াজ  থেকে বেরিয়ে আসা কর্তব্য।

    এই মহিমাপূর্ণ মাসের জন্য আমাদের আরো কর্তব্য একটু আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া। এই প্রস্তুতি চেতনাগত, বিশ্বাসগত ও ব্যবস্থাপনাগত। মুমিন যখন ভালো কাজের সংকল্প করে এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা করে অগ্রসর হয় আল্লাহ তাআলা তার জন্য পথ খুলে দেন। শা‘বান থেকেই ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিতে থাকা যায়। আর ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান’ অর্থাৎ চৌদ্দ শা‘বান দিবাগত রাতে  (শবে বরাতে) সুন্নাহসম্মত পন্থায় ইবাদত-বন্দেগীও আল্লাহ্র নৈকট্য ও ক্ষমার এক বড় উপায়। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও শত্রুতা পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। কাজেই এ রাতের কদরদানী কর্তব্য।

    এ রাতকে ঘিরেও আমাদের সমাজে রয়েছে নানা প্রান্তিকতা। কেউ এ রাতকে শবে কদরের চেয়েও বেশি ফযীলতের মনে করে। এটা ভুল। কেউ নানা রকমের রসম-রেওয়াজে লিপ্ত হয়। এটাও বর্জনীয়। অন্যদিকে কেউ কেউ এ রাতের আলাদা গুরুত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। এটাও প্রান্তিকতা। এই সকল প্রকারের প্রান্তিকতা থেকে বেঁচে এই রাতে সাধ্যমত ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা ভালো ও কাম্য।

    মাহে রমযান আমাদের সবার জীবনে মোবারক হোক। ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসুক। আমাদের ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবন থেকে সকল আবিলতা দূর হয়ে যাক। আমাদের চিন্তা-ভাবনা মন-মানস, কর্ম ও আচরণ উজ্জ্বল হয়ে উঠুক মাহে রমযানের শিক্ষায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের ক্ষমা করুন ও কবুল করুন- আমীন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারী

    জাপানের হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে আণবিক বোমা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক নারী, কয়েক দশক আগে তাঁর স্নাতক পাশ করা একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেছেন।

    গতকাল মিয সেৎসুকো থারলো, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত লিঞ্চবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।

    তিনি, গতবছর পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ চুক্তি সম্পাদনে অবদান রাখাসহ দীর্ঘ দিন ধরে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে আসার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

    নিজ শহর হিরোশিমায় বোমা পতনের সময় মিয থারলোর বয়স ছিল ১৩ বছর। বক্তৃতায় তিনি, সেসময় নিজের অনেক বন্ধুকে হারান বলে জানান।

    মিয থারলো, এখনও সারাবিশ্বে ১৫ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং এগুলো আমাদের সবার এবং আমাদের প্রিয়জনদের জন্য বিপন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি, আর কোন অবস্থাতেই আমরা এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মেনে নিতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন।

    মিয থারলো, ১৯৫৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় থেকেই আণবিক বোমার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পরবর্তীতে তিনি, সারাবিশ্বে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কাজ আরম্ভ করেন।

    বর্তমানে কানাডায় বসবাসরত মিয থারলো, গতবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সংগঠন পরমাণু অস্ত্র বিলুপ্ত করণের আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান নামক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি, গতবছর ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।

    চীনের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে আশাবাদী জাপানীরা

    জাপানের জনগণ টোকিও-বেইজিংয়ের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কাকিয়াংয়ের জাপান সফর শেষ হওয়ার পরপরই তারা এ ধরনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেন। খবর সিনহুয়ার।
    শুক্রবার লি জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের আমন্ত্রণে টোকিও সফরে আসেন। এটি ছিল তার একটি সরকারি সফর। বিগত আট বছরের মধ্যে এই প্রথম চীনের কোনো প্রধানমন্ত্রী জাপান সফর করলেন।
    সফরকালে চীনের প্রধানমন্ত্রী আরো স্থায়ী ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আহবান জানান। এ বছর এশিয়ার এ দু’দেশের মধ্যে শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের ৪০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে লি’র বক্তব্যকে অ্যাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি পূর্ব এশিয়ার এ দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করার আহবান জানান।
    টোকিওতে চৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকাসা কুরিইয়ামা সিনহুয়াকে বলেন, ‘উভয় দেশের ব্যাপারে তাদের পারস্পরিক জল্পনা-কল্পনা নির্ভর ধারণা দূর করতে চীন ও জাপানের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
    তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে আমাদের দু’দেশের নেতারা তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারেন।’

    মেসির পায়ে উঠছে গোল্ডেন শ্যু

    লিভারপুলের তারকা মোহামেদ সালাহকে পিছনে ফেলে ইউরোপীয়ান ফুটবলে এবারের মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার গোল্ডেন শ্যু পাবার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বার্সেলোনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
    যদিও মাত্র মাসখানেক আগে ইউরোপের সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলে এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে সালাহই ফেবারিট ছিলেন। কিন্তু মার্চের শেষে লিভারপুলের এই মিশরীয় তারকা প্রিমিয়ার লিগে মাত্র তিন গোল করে পিছিয়ে গেছেন। এই সময়ে মেসি লা লিগায় করেছেন আটটি গোল।
    ঘরোয়া লিগে সর্বমোট ৩৪ গোল করে মেসি সালাহ’র থেকে তিন গোল এগিয়ে রয়েছেন। সালাহ’র হাতে রয়েছে আর মাত্র একটি ম্যাচ। রবিবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লিগে এই মৌসুমের শেষ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ লিভারপুল ব্রাইটনকে আতিথ্য দিবে। অন্যদিকে লা লিগা শেষ করতে বার্সেলোনার হাতে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। সোমবার লেভান্তের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচের এক সপ্তাহ পরে শেষ ম্যাচে ক্যাম্প ন্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে আতিথ্য দিবে কাতালান জায়ান্টরা।
    গোল্ডেন শ্যু টেবিলে মূলত গোলের সংখ্যার থেকে পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল করলে দুই পয়েন্ট যোগ হয়। এবারের মৌসুমে বেনফিকার হয়ে লিগে জোনাস ৩৩টি গোল করেছেন। কিন্তু পর্তুগীজ লীগে গোল করলে ঐ খেলোয়াড়েরর নামের পাশে দেড় পয়েন্ট যোগ হয়। যে কারণে তালিকায় জোনাসের অবস্থান নবম। ২৯টি করে গোল করে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লিওয়ানোদোস্কি ও ল্যাজিওর সিরো ইমোবিলে। প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর এডিনসন কাভানি, ইন্টার মিলানের মাওরো ইকার্দি ও টটেনহ্যাম হটস্পারের হ্যারি কেন করেছেন ২৮টি করে গোল।
    ইতোমধ্যেই মেসি এই পুরস্কারটি চারবার অর্জন করেছেন। এবার ৩৪ গোল করে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। ৩১ গোল করে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোও চারবার গোল্ডেন শ্যু পেয়েছেন, যার মধ্যে ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রথমবার তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে এই পুরস্কার জয় করেছিলেন। এবারের মৌসুমে রোনাল্ডো ২৫ গোল করে অষ্টম স্থানে আছেন।
    ২০০৮ সাল থেকে ১২জন বিজয়ীর মধ্যে ১১জনই ছিলেন লা লিগার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে লুইস সুয়ারেজ এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।

    শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে আজ জাপানে এসে পৌঁছেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী

    দক্ষিণ কোরিয়া যুক্ত থাকা একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবের সংগে একটি দ্বিপক্ষীয় সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য জাপান এসে পৌঁছেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেচিয়াং।

    নিজ পদে আসীন হবার পর এটি মি: লি’র প্রথম জাপান সফর। অন্যদিকে, গত ৭ বছরের মধ্যে কোন চীনা প্রধানমন্ত্রীও এবার প্রথম জাপান সফরে এলেন।

    আগামীকাল মি: লি দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন এবং মি: আবের সংগে একটি ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে অংশগ্রহণের পাশাপাশি মি: আবের সাথেও পৃথকভাবে আলোচনায় বসবেন।

    শীর্ষ বৈঠকগুলোতে চীন উত্তর কোরিয়াকে সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে এবং বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ নিয়ে সহযোগিতা চাইবে।

    গতমাসের আন্ত:কোরীয় শীর্ষ বৈঠকে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণায় কোরীয় যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্থলে একটি স্থায়ী শান্তি কাঠামো প্রণয়নের জন্য দুই কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সম্ভব হলে চীনের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের আহবান জানানো হয়।

    চীন দৃশ্যত এই প্রক্রিয়ায় জাপানের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

    অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ক্রমশ জোরালো হওয়ার প্রেক্ষাপটে সংরক্ষণবাদ নিয়েও জাপানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা করছে বেইজিং।

    জামিন বহালে যুক্তি দিচ্ছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী

    জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে।

    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় এ শুনানি শুরু হয়।

    শুনানির প্রথম দিন মঙ্গলবার দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

    কেন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল হওয়া উচিৎ- সে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের সামনে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন তারা।

    দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

    বুধবার সকালে তিনি তার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন। পরে জামিন বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন খালেদার আরেক আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

    বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও সানউল্লাহ মিয়াও উপস্থিত আছেন শুনানিতে।

    এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে আদালতে দেখা গেছে।

    রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে আছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

    দুর্নীতি দমন কমিশনের এ মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা রয়েছেন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে।

    জজ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আপিল বিভাগ তা স্থগিত করে দিলে খালেদার মুক্তি আটকে যায়।

    হাই কোর্টে আপিল চলমান থাকা অবস্থায় ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জামিন পাবেন কি না- তা আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

    অবশ্য জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন হলেও অন্য মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার ‘মুক্তি বিলম্বিত করার কৌশল’ সরকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে।
    বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই।

    রমনা থানায় দুদকের করা এই মামলার বিচার চলে পুরো দশ বছর। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

    পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

    দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ১৪ মার্চ জামিন স্থগিত করে নিয়মিত আ লিভ টু আপিল করতে বলে।

    এরপর ১৯ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে ৮ মে শুনানির দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে খালেদার জামিন স্থগিতই থাকে।

    ব্রিটিশ নাগরিক পরিচয়ে কোম্পানি খোলেন তারেক

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিক পরিচয়ে ২০১৫ সালে ‘হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্টস লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বহাল থাকা-না থাকা নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যে তারেক রহমানের এমন তথ্য প্রকাশ পাওয়ায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমানও প্রাইভেট লিমিটেড ওই কোম্পানির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। কোম্পানির নথি অনুসারে ১০০ শেয়ারের ৫০ শতাংশ হচ্ছে তারেক রহমানের এবং বাকি ৫০ শতাংশ তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের। কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর ০৯৬৬৫৭৫০। নিবন্ধন তারিখ ১ জুলাই, ২০১৫। কোম্পানিটি ‘চ্যারিটি ইন করপোরেট’ হিসেবে ছোট ব্যবসা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।
    ব্রিটিশ সরকারের কোম্পানিস হাউসে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বিবরণীতে তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন, তার বসবাসস্থল- ইংল্যান্ড, জন্ম তারিখ ২০-১১-১৯৬৭, জাতীয়তা-ব্রিটিশ, পেশা-পরিচালক। companycheck.co.uk সাইটেও ‘হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্টস’ কোম্পানির পরিচালক হিসেবে তারেক রহমানের পরিচয় ব্রিটিশ নাগরিক উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য তারেক রহমান  পরবর্তী সময়ে নাগরিকত্বের তথ্য সংশোধন করান। কোম্পানিস হাউসে পরের বছর ৩০ জুন জমা দেওয়া ‘কনফারমেশন স্ট্যাটমেন্ট’-এ তারেক রহমান নিজেকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেন। কোম্পানিতে ব্যবহূত ঠিকানা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনের বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা। তবে তারেক রহমানের এই কোম্পানিটি ঠিক কোন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সে সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন না বলে জানান।
    জানা গেছে, ২০১৫ সালে কোম্পানির নিবন্ধন গ্রহণের সময় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী দুজনের ঠিকানাই ‘৩ কটসওয়ার্ল্ড ক্লোজ, কিংসটন আপন টেমস, ইংল্যান্ড, কেটি২ ৭জেএন’ উল্লেখ করা হয়। এ ঠিকানায় তারেক রহমান বর্তমানে সস্ত্রীক বসবাস করছেন। তবে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর ঠিকানা পরিবর্তন করেন তারেক রহমান। পরিবর্তিত ঠিকানা : স্যুট ওয়ান ২, হাইডনস রোড, লন্ডন, এসডাব্লিউ১৯ ১এইচএল। নিয়ম অনুসারে ২০১৭ সালের ৩০ জুনও তারেক রহমান আরেক দফা ‘কনফারমেশন স্ট্যাটমেন্ট’ জমা দেন। তবে সে সময় কোনো তথ্য সংযোজন-বিয়োজন করা হয়নি বলে জানাচ্ছে  কোম্পানিস হাউস।
    ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি’ হিসেবে নিবন্ধিত ‘হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্টস লিমিটেড’ এখন সক্রিয় বলে জানাচ্ছে ব্রিটেন সরকারের সাইটটি। ব্যবসার ধরন বলা হচ্ছে ‘পাবলিক রিলেশন ও কমিউনিকেশনস অ্যাকটিভিটিস’। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির হিসাবের তথ্য জমা দেওয়া আছে; পরবর্তী হিসাব দিতে হবে এ বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। কোম্পানিস হাউস সাইটে তারেক রহমানের কোম্পানির যেসব নথিপত্র সংযোজন করা হয়েছে, তাতে ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ২৮৭০ পাউন্ডের হিসাব রয়েছে। তবে ব্যাংকে ও হাতে নগদ ৩৮ পাউন্ড থাকার কথা বলা আছে। কোম্পানির পরিচালক হিসেবে তারেক রহমানের দেওয়া পরের বছরের এক নথিতে বলা হয়েছে, তাদের স্থাবর সম্পত্তি ২১৫২ পাউন্ড এবং চলতি সম্পদ ৯৬০৩ পাউন্ড। ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটি মাইক্রো কোম্পানি হিসাবে ১ আগস্ট ২০১৬ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৭ সালের ব্যবসা সংক্রান্ত প্রথম রিটার্ন জমা দেয়।
    এ সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্তই এখন পাওয়া যাচ্ছে beta.companieshouse. gov.uk/company/09665750 ঠিকানায়। সাইটে ঢুকে ‘ফাইলিং হিস্ট্রি’তে ক্লিক করতে হবে। উল্লিখিত তথ্যানুযায়ী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিক হিসাবেই বসবাস করছেন ব্রিটেনে। কোম্পানি হাউজে তারেক রহমানের শুরুতে দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বিবরণী অনুযায়ীও তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।

    ইন্দোনেশিয়া ও জাপান সফরে চীনা প্রধানমন্ত্রী

    ইন্দোনেশিয়া ও জাপানে সরকারি সফরের উদ্দেশ্যে রবিবার বেইজিং ত্যাগ করেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। তিনি জাপানে সপ্তম চীন-জাপান রক লিডার সভায় যোগ দেবেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে’র আমন্ত্রণে লি এই সফর করছেন। খবর সিনহুয়া’র।
    চীনা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন, স্টেট কাউন্সিলর জিয়াও জি এবং স্টেট কাউন্সিলের মহাসচিব হি লাইফিং। এছাড়া ন্যাশনাল কমিটি অব দ্যা চাইনিজ পিপলস পলিটিকাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স এর ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ইনচার্জ অব দ্যা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিফর্ম কমিশনের মিনিস্টারও রয়েছেন। সিনহুয়া।

    তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি বিএনপির

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অবাধ। কিন্তু এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভবপর হবে না। সেই জন্য এ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আনতে হবে। যারা দলীয় কোনো পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

    ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমরা যতই জাতীয় নির্বাচনের কাছাকাছি যাচ্ছি এই সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যত রকমের কৌশল করা যায়, সেগুলো তারা করছে। যাতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়। অর্থাৎ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে বাংলাদেশের মানুষ না পায়। বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যাতে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার সমস্ত আয়োজন আমরা দেখতে পাচ্ছি।

    তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বার বলেছি এবং আবারও বলছি, নির্বাচন কমিশন যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে সবগুলো সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের জয়লাভ করানোর জন্য। আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, আমাদের সমস্ত রকমের অসুবিধা সৃষ্টি করার জন্য।’

    বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংবিধানের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে সীমা নির্ধারণের চূড়ান্ত যে সংশোধনী তারা (নির্বাচন কমিশন) ছাপিয়েছেন তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং এ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে এই জন্য যে, তাদের পক্ষে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সরকারসমর্থিত প্রার্থীরা এবং তাদের সমর্থকরা অব্যাহতভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে আমরা নির্বাচনে যেতে চাইলেও না যেতে পারি। সরকারসমর্থিত প্রার্থীদের সুবিধার জন্য সীমানা পুনর্র্নিধারণে ব্যবস্থা তারা (নির্বাচন কমিশন) করেছে, এটা তারই প্রমাণ। সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বারবার প্রমাণ করে চলেছে যে, এ কমিশন সরকারেরই একটি আজ্ঞাবাহক প্রতিষ্ঠান। এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে কোনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভবপর নয়।

    নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ফেডারাল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি নেতা আবু নাসের রহতম উল্লাহ প্রমুখ।

    ফ্লোরিডায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে স্পেস এক্স

    বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে নাসা’র ব্লক-৫ এ এই পরীক্ষা চালায়। এখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে পাঠানো হতে পারে। এসব তথ্য জানিয়ে শুক্রবার রাতে একটি টুইট বার্তা দিয়েছে স্পেস এক্স।
    স্পেস এক্স বলছে, শুক্রবারের ‘স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট’ নামের ওই পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ যান ফ্যালকন-৯ এ কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। এটি সম্পূর্ণ কার্যকর। এখন এই পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য কিছুদিনের মধ্যেই যাচাই করা হবে এবং তথ্য পর্যালোচনা শেষে শিগগির উৎক্ষেপণ তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
    এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর প্রকল্প পরিচালক মেজবাহ উজ্জামানের সঙ্গে ফ্লোরিডা থেকে টেলিফানে যোগাযোগ করা হলে তিনিও উৎক্ষেপণ পরী্ক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানান। তবে এর বেশী তথ্য তার কাছে নেই বলেও জানান তিনি।
    বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় স্পেস এক্স একটি পরীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনার জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে স্পেস এক্স-এর সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টার পর (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা) পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
    এর আগে বিটিআরসি বলেছিল যে মে মাসের ৪ তারিখ মহাকাশে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। ক’দিন পরে সুনির্দ্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বদলে যায় উৎক্ষেপণের ওই তারিখ। এরপর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয় ৭ মে। এই তারিখে উেক্ষপণ হবে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানানো হয়। তবে শুক্রবার সকালে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কোনো দিন তারিখ জানাবে না বিটি্আরসি।