বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারী

জাপানের হিরোশিমায় ১৯৪৫ সালে আণবিক বোমা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক নারী, কয়েক দশক আগে তাঁর স্নাতক পাশ করা একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেছেন।

গতকাল মিয সেৎসুকো থারলো, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত লিঞ্চবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।

তিনি, গতবছর পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ চুক্তি সম্পাদনে অবদান রাখাসহ দীর্ঘ দিন ধরে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে আসার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

নিজ শহর হিরোশিমায় বোমা পতনের সময় মিয থারলোর বয়স ছিল ১৩ বছর। বক্তৃতায় তিনি, সেসময় নিজের অনেক বন্ধুকে হারান বলে জানান।

মিয থারলো, এখনও সারাবিশ্বে ১৫ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং এগুলো আমাদের সবার এবং আমাদের প্রিয়জনদের জন্য বিপন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি, আর কোন অবস্থাতেই আমরা এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মেনে নিতে পারি না বলেও মন্তব্য করেন।

মিয থারলো, ১৯৫৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় থেকেই আণবিক বোমার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পরবর্তীতে তিনি, সারাবিশ্বে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কাজ আরম্ভ করেন।

বর্তমানে কানাডায় বসবাসরত মিয থারলো, গতবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সংগঠন পরমাণু অস্ত্র বিলুপ্ত করণের আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান নামক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি, গতবছর ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।