• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • দুই মামলায় খালেদার জামিন, একটিতে খারিজ

    কুমিল্লায় হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে নড়াইলে দায়ের মানহানির অপর মামলায় তার জামিন আবেদন উপস্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
    সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
    আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
    এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখে গত ১৬ মে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
    খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য উপরের তিনটিসহ মোট ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

     

    তোচিনোশিন ওযেকি চ্যাম্পিয়নে উন্নীত

    জাপান সুমো সমিতি, জর্জিয়ার সুমো কুস্তিগির তোচিনোশিনকে ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়ার ২য় সর্বোচ্চ র‍্যাংক ওযেকিতে উন্নীত করার আলোচনা করতে আগামী বুধবার বোর্ডের একটি জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছে। উল্লেখ্য, এই বৈঠক আহ্বানের অর্থ হচ্ছে কার্যত পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।

    তোচিনোশিন, চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রথমবারের মত গ্র্যান্ড সুমো প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেন।

    তিনি, সর্ব সাম্প্রতিক তিনটি প্রতিযোগিতায় ৩৭টি বিজয় লাভ করেন যা ওযেকি র‍্যাংকে উন্নীত হতে বিবেচনার জন্য প্রয়োজনীয় জয়ের সংখ্যার চেয়ে বেশী।

    আগামী বুধবার সমিতির বোর্ডের বৈঠকের পর, আনুষ্ঠানিকভাবে তোচিনোশিনের পদোন্নতি হবে।

    উল্লেখ্য, তিনি হবেন ওযেকি র‍্যাংকে উন্নীত হওয়া জর্জিয়ার প্রথম সুমো কুস্তিগির।

    আজ, গ্রীষ্মকালীন সুমোর গ্র্যান্ড প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। ইয়োকোযুনা বা গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন কাকুরিউ, পরপর ২য় বারের মত চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জিতে নেন। তোচিনোশিন, ১৩টি জয় ও ২টি পরাজয় নিয়ে ২য় স্থান লাভ করেন।

    হিন্দু কবির কবিতায় মহানবীর প্রশংসা

    ভারতে যখন মুসলমানদের নামাজ পড়ার জায়গা ও ঐতিহাসিক মুসলিম ব্যক্তিত্বদের ভাবমর্যাদা বিনষ্ট করা নিয়ে উত্তেজনা চলছে তখন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রশস্তি করে কবিতা (‘নাতিয়া শায়েরি’) রচনা করে চলেছেন এক হিন্দু পÐিত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
    যার কবিতায় উঠে এসেছে মহানবীর প্রশংসা, তিনি হচ্ছেন পÐিত রাম সাগর পৃথ্বিপাল ত্রিপাঠী। তিনি অবশ্য পরিচিতি শুধু সাগর ত্রিপাঠি নামে। তার পরিবার আবার অযোধ্যার রাম লীলা বিন্যাস মন্দির ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষক। কিন্তু ৬৮ বছর বয়সী সাগর ত্রিপাঠী নিজেকে পরিচিত করেছেন ভিন্ন ভাবে, শায়রি বা কবিতার মাধ্যমে। তার কবিতায় আসছে স্রষ্টার প্রশস্তির সঙ্গে মুহাম্মদ (সা.) এর প্রশংসা। তিনি বিশ^ ব্রাহ্মণ পরিষদেরও সভাপতি।
    কেন? এর উত্তরে সাগর ত্রিপাঠী টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “নবী মুহাম্মদ শুধু মুসলিমদের নন, তিনি বিশ্ব মানবের। তাই তার কাছে করুণা চাওয়ায় কোনো ভুল নেই।”
    একটি শের-এ তিনি বলেছেন, ‘সিরফ এক কওম কি নেহি হ্যায় ও/ রহমতে আলামিন হ্যায় আকা (তিনি শুধু একটি কওমের নন, তিনি সারা বিশে^র জন্য আল্লাহর রহমত)।
    ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে নয়, মুহাম্মদ (সা.)কে সাগর ত্রিপাঠী দেখেন মানবতার প্রতীক হিসেবে, সা¤প্রদায়িকতার স¤প্রীতির প্রচারক হিসেবে।
    টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মুম্বাইয়ের কোলাবায় সাগর মুখী যে ফ্ল্যাটে সাগর ত্রিপাঠী থাকেন, সেখানে তার অর্জিত বিভিন্ন পুরস্কারের সঙ্গে রয়েছে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন, মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী। সেই সঙ্গে আছে হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ গীতা ও রামায়ণ। তার বসার ঘরে বিশাল সোফার পেছনে রয়েছে কিছু জায়নামাজ, যাতে তার মুসলিম ভক্তরা এলে নামাজ পড়তে পারেন।
    সাগর ত্রিপাঠি উর্দু ও দেবনাগরীতে কবিতা রচনা করেন। তার কবিতায় গঙ্গা-যমুনা তাহজিব-এর (যৌথ সংস্কৃতি) প্রকাশ দেখা যায়।
    অযোধ্যার পÐিত পরিবারের একজন হয়ে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, আমি বেশি কিছু বলতে চাই না।
    “তবে এটুকু বলতে পারি, যদি মানুষ তাদের অহমবোধ ছাড়ে, আর রাজনীতিকরা দ‚রে থাকে, তবে এই সমস্যার সমাধান সহজেই সম্ভব।”
    উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর জেলায় জন্ম নেওয়া সাগর ত্রিপাঠীর কবি হয়ে ওঠা সহজ ছিল না। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর পরিবার চাইছিল, তাদের ছেলে হবে সরকারি কর্মকর্তা। কিন্তু উর্দু কবি রঘুপতি সাহাই ফিরাক গোরখপুরীর প্রভাবে কবি জীবনই বেছে নেন সাগর ত্রিপাঠী।
    “আমার মনে হয়েছিল, আমি বরং তার জন্য চা-পানি আনা নেওয়া করব, আর তার কবিতা শুনব,” হাসতে হাসতে বলেন সাগর ত্রিপাঠী।
    তরুণ বয়সে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমানোর পর অর্থ রোজগার ভালোই করেছিলেন তিনি।
    “কিন্তু তার মধ্যেও আমি মনের মাঝে এক ধরনের শ‚ন্যতা অনুভব করতাম, মনে হত কী যেন নেই, আমার সেই শ‚ন্যতা ভরিয়ে দিয়েছে কবিতা।”
    ত্রিপাঠি তার বই বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ গরিব মুসলমান ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য ব্যয় করেন।
    সাগর ত্রিপাঠীর প্রশংসা করে খ্যাতিমান উর্দু কবি আবদুল আহাদ সা‘জ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “সমকালীন উর্দু মুশায়রা (কবিতার আসর) জগতে সাগর সাহেব একটি গুরুত্বপ‚র্ণ নাম, তার অবদান প্রশংসার দাবি রাখে।”