• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • স্বাধীনতার জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়লেন তিনি

    হুইল চেয়ারে বসেই দখলদার ইহুদি শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে শহীদ হয়ে গেলেন মুক্তিপাগল ফিলিস্তিনি ফাদি আবু সালাহ। গতকাল জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর নিহত ৫৮ জন শহীদ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিনিও একজন।

    এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভে ইব্রাহিম আবু সুরিয়া (২৯) নামের আরেক পঙ্গু ফিলিস্তিনি গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছিলেন। তার নিহতের সংবাদ সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়।

    কিশোরকাল থেকেই আবু সালাহ ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে ঘরে বসে থাকেননি কখনো। একটা সময় ইসরাইলের কারাগারেও ঠাঁই হয়েছিল তার। পরবর্তীতে মুক্ত হয়ে মাতৃভূমিকে ইহুদি শক্তির হাত থেকে উদ্ধার করতে আবারও নেমে পড়েন প্রতিবাদী ভূমিকায়। একটা সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে পা হারিয়ে পঙ্গুত্বকেই বরণ করেছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে গেলেন সংগ্রামী এ ফিলিস্তিনি।

    ২৯ বছর বয়সী আবু সালাহ ফিলিস্তিনি তরুণদের প্রতি সবসময় আহবান করতেন, ‘প্রতিমুহূর্তে আমাদের প্রতিরোধ জারি রাখতে হবে’।

    রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছেই আরাবাহ নামক গ্রামের বাসিন্দা হচ্ছেন আবু সালাহ।

    অল্প বয়সেই বিয়ে করা এ তরুণ একটা সময়ে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলেন বেশ কয়েক বছর। পরবর্তীতে এক মার্কিন সমঝোতায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রচেষ্টায় ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান আবু সালাহ। তার সাথে আরও ৮৯ জন ফিলিস্তিনি বেরিয়ে আসে দখলদারদের কারাগার থেকে।

    ২০০৮ সালে গাজায় তিন সপ্তাহ ব্যাপী ইসরাইলি সেনা ও হামাসের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধে প্রাণ হারায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি। পরবর্তীতে ছয় মাস ধরে চলা এক ইসরাইলে আগ্রাসানে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হন। সে সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে পা হারান ফাদি আবু সালেহ। ডিসেম্বরে নিহত ইব্রাহিম আবু সুরিয়াও সে সময় পা হারিয়েছিলেন।

    সুরিয়ার মতোই ইসরাইলি সেনার গুলির জবাবে গুলতি নিয়ে তার পাথর নিক্ষেপের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আবু সালাহর এ লড়াইয়ের কাহিনী। পরবর্তীতে নিহতের ছবিও আলোচনায় ওঠে আসে একইভাবে।

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদে দেখা যাচ্ছে, এ বছরেরও কয়েকমাস ধরে চলমান বিক্ষোভে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পশ্চিম তীর থেকে এসে গাজাতেই আশ্রয় নেন তাঁবু গেড়ে। চার শিশু সন্তানকে নিয়ে সেখানেই অস্থায়ীভাবে সংসার গাড়েন তিনি।

    ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর ও ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি উচ্ছেদের নাকবা দিবস উপলক্ষে গত এক সপ্তাহ ধরে গাজায় জড়ো হতে থাকেন ফিলিস্তিনিরা।

    ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইহুদিবাদী ইসরাইল সাড় সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ করে তা দখল করে নেয়। এদিনটি নাকবা দিবস হিসেবে গত ৭০ বছর ধরে পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা।

    গত সোমবার জড়ো হওয়া প্রায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে সকাল থেকেই হুইল চেয়ারে করে নেমে পড়েন সালাহ। একটা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ এ বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনারা নির্বিচারে গুলি চালালে তিনিও প্রতিরোধ করা শুরু করেন। দুপুরের পরেই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন এ লড়াকু ফিলিস্তিনি।

    জাপানি সহায়তায় ভিয়েতনামে নতুন বন্দর নির্মিত

    উত্তর ভিয়েতনামে জাপানি সহায়তায় বড় বড় মালবাহী জাহাজ নোঙর করতে পারা একটি নতুন আন্তর্জাতিক প্রবেশপথ বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

    এই নতুন বন্দরটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাই ফোন’এ নিট ব্যয় ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারে নির্মিত হয়। জাপান সরকারি উন্নয়ন তহবিল থেকে এই ব্যয়ের ৮০% প্রদান করে। জাপানি কোম্পানিগুলো এই বন্দর পরিচালনায়ও অংশ নেবে।

    উত্তর ভিয়েতনামে কোন বড় বন্দর নেই যেখানে বড় বড় জাহাজ ভিড়তে পারে। ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে যাওয়া কন্টেইনারগুলোকে সিংগাপুর ও হংকং’এর বন্দরে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে একবার আরও বড় জাহাজে তুলতে হয়।

    নতুন বন্দরের ১৪ মিটার গভীর পানির কারণে বড় ধরনের জাহাজ এর জেটিতে ভিড়তে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বন্দর ব্যবহার করার কারণে জাহাজের জন্য বিতরণ ব্যয় অনেকটাই কমে আসবে।