• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • তাজমহলের রং বদলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত ভারত

    সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি তাজমহল দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান অন্তত ৭০ হাজার পর্যটক। সেই তাজমহলের রং বদলের খবরে উদ্বেগ পৌঁছেছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টেও। সুপ্রিম কোর্ট এবার সরকারকে নির্দেশনা দিয়ে বলেছে যে, দরকার হলে সমস্যা সমাধানে বিদেশীদের সহায়তা নিতে।
    কোর্ট সরকারকে বলেছে, ‘এমনকি আপনাদের বিশেষজ্ঞ আছে কিন্তু তার ব্যবহার আপনারা করছেন না অথবা বিষয়টিকে আপনারা গুরুত্বই দিচ্ছেননা।’ একই সঙ্গে তাজমহলের রং বদলকে কোর্টের তরফ থেকে উদ্বেগজনক পরিবর্তন হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে।
    সপ্তদশ শতকে সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি এই অসাধারণ স্থাপনা ইতোমধ্যেই হলুদ আকার ধারণ করেছে এবং সেটি এখন বাদামী ও সবুজ হয়ে যাচ্ছে বলে বলছে আদালত। দূষণ, নির্মাণকাজ ও কীটপতঙ্গের মল তাজমহলের এ অবস্থার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
    পরিবেশবাদীদের জমা দেয়া ছবি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আদালত সরকারকে ভারত কিংবা প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
    এর আগে ভারত সরকার তাজমহলের আশেপাশের অনেক কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলো, কারণ অনেক দিন ধরেই তাজমহলের রং বদলের খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছিলো। তাজমহল যে যমুনা নদীর তীরে সেই নদীর অবস্থা শোচনীয়। সেখানকার কীটপতঙ্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাজমহলের দেয়াল।
    মুগল সম্রাট শাহজাহানের সময়ে আগ্রা শহরে তৈরি হয়েছিলো তাজমহল, যা দেখতে প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ভিড় করে সেখানে। নোংরা হওয়ার সমস্যা তাজমহলের জন্য নতুন নয়, এমনকি গত দু দশকে পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে অনেক বার। কিন্তু সমস্যাটি আসলে দিন দিন প্রকটই হচ্ছে।
    গত জানুয়ারিতেও একবার কাদামাটি পরিষ্কার করা হয়েছে এবং বছরের শেষ দিকে আবারো পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কথা রয়েছে। এর মধ্যেই প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনার নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৯ই মে তাজমহল বিষয়ে আবার শুনানি হবে আদালতে।-বিবিসি বাংলা।

    শ্রমিকদের সাথে অসদাচরণ জান্নাতের পথে বাধা

    মালিক শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। মালিক কারখানার পূঁজি যোগান দান করেন। শ্রমিক শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে মালিকের পূঁজির বিকাশ ঘটান। শ্রমিকের শ্রমের সাথে শিল্প কারখানার উৎপাদন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যাদের শ্রমের বিনিময়ে কারখানার মালিকের পূঁজির বিকাশ হয়। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে আল্লাহ খুশি হন। শ্রমিকদের মন প্রফুল্ল থাকলে কারখানার উৎপাদনে গতি আসে। শ্রমিকরা কাজের প্রতি বেশি মনোযোগি হন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পিতা মাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এতীম মিসকিন, আত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পথচারী সঙ্গী ও তোমার অধিকারভ‚ক্তদের সাথেও।’ (সূরা নিসা: ৩৬)।

    শ্রমিক শিল্প কারখানার উৎপাদনের প্রধান হাতিয়ার। শ্রমিকের সাথে দুর্ব্যবহারকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, দাস-দাসী বা চাকর-চাকরানিদের সাথে দুর্ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (জামে তিরিমিযি: ১৯৪৬)। হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির সাথে আমার বিতর্ক হবে। ১. ঐ ব্যক্তি, যে আমার নামে কোনো চুক্তি করে তা ভঙ্গ করেছে। ২. সেই ব্যক্তি, যে কোনো স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভক্ষণ করেছে। ৩. সেই ব্যক্তি যে মজুরের দ্বারা কাজ পুরোপুরি ভাবে করে নিয়েছে, তার মজুরি দেয়নি। (বুখারী:২২৭০)।
    ইসলাম কখনোই ভিক্ষাবৃত্তিকে পছন্দ করেনা। যিনি নিজ হাতে উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার হাত সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন। মেহনত করে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা নবী রাসূলদের সুন্নত। নবী রাসূলগণ মেহেনত করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। হযরত আদম (আ.) এর চাষাবাদ করছেন। হযরত দাউদ (আ.) এর কর্মকারের কাজ করেছেন। হযরত নূহ (আ.) ছুতারের কাজ করেছেন। হযরত ইদ্রিছ (আ.) দরজির কাজ করছেন। হযরত মুছা (আ.) বকরি চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। হযরত রাসূল (সা.) এর নিকট কোনো একজন ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইতে আসলে তিনি ভিক্ষুকের নিকট থাকা বাটি এবং কম্বল বাজারে বিক্রি করে কুঠার কিনে বন থেকে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করার জন্য কাঠুরিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    অধীনস্তদের সাথে ভালো ব্যবহার করা রাসূল (সা.) সুন্নত। আমেরুল মোমেনিন হযরত উমর (রা) আরবের মরু ভ‚মিতে পথ চলার সময় ভৃত্যকে উটের পিঠে বসিয়ে নিজের উটের লাগাম ধরে টেনেছেন। পদ পদবী যা হউক, ইসলাম মানবতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। যার পুঁজি আছে তিনি মালিক। আর যার পুঁজি নেই তিনি শ্রমিক। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে শুধু পূঁজির পার্থক্য। মানবতা কিংবা মানবিকতার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
    শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, তোমরা মজুরের শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি দিয়ে দাও। (ইবনে মাজাহ: ২৪৪৩)। হযরত আবূ হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো খাদিম তার নিকট খাবার নিয়ে আসলে তাকেও নিজের সাথে বসানো উচিত। যদি তাকে একত্রে না বসাও তবে অন্ততঃ দুই এক লোকমা খাবার তার মুখে তুলে দেওয়া উচিত। কেননা সে এই খাবার (পরিবেশন) এর জন্য পরিশ্রম করেছে। (বুখারীঃ ২৩৮৮)। শ্রমিকের সাথে উত্তম ব্যবহার করার জন্যে আল্লাহ সকলকে তৌফিক দান করুক। আমীন।