• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিদ্যুৎ সরবরাহে গোলোযোগের কারণে ভূমিকম্পের ভুল এলার্ম

    জাপানের আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন তাদের সিসমিক সিস্টেমে বিদ্যুৎ সরবরাহের গোলোযোগের কারণে এ মাসের গোড়াতে টোকিও উপসাগর থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে বলে একটি ত্রুটিপূর্ণ এলার্ম বেজে ওঠে।

    আগষ্টের ১ তারিখ আবহাওয়া বিভাগ ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে সতর্কতা জারি করে।

    তবে তারা সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাহার করে নেয় কিন্তু ইতিমধ্যেই রেলওয়ে কোম্পানি গুলো সাময়িক ভাবে তাদের ট্রেন গুলোকে থামিয়ে দেয়।

    কর্মকর্তারা বলেছেন টোকিও’র নিকট ফুৎসু সিসমোমিটারে বিদ্যুত সরবরাহে গোলোযোগ ঘটে, ফলে কম্পন সেন্সর অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভূকম্পন সতর্ক বার্তা প্রেরণ করে।

    কর্মকর্তারা বলেছেন বিদ্যৎ সরবরাহের ত্রুটির কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি কিন্তু বজ্রপাত এর একটি কারণ হতে পারে।

    পাসওয়ার্ড মনে রাখার যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে চাইছে গুগল

    স্মার্টফোন বা অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার কথা ভেবে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় স্মার্টফোন বা অনলাইন ব্যবহারকারীদের। কিন্তু পাসওয়ার্ড মনে রাখাটা প্রায় সবার কাছেই বিরক্তিকর।
    তা স্বত্বেও পাসওয়ার্ড ব্যবহার ও মনে রাখা ছাড়া গত্যন্তর নেই কারো। মনে রাখার সুবিধার্থে অনেকে একাধিক অনলাইন অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু এ নিয়েও দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরাও মনে করেন, প্রচলিত পাসওয়ার্ড পদ্ধতি যথেষ্ট বিরক্তিকর আর সেকেলে। এমনকি, এই পাসওয়ার্ড সহজেই হ্যাকও হয়ে যেতে পারে।
    এই বাস্তবতায় প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝক্কি থেকে মুক্তি দিতে চাইছে গুগল। এ জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘ড্যাশলেইন’-এর সাথে অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
    এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার ড্যাশলেইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গুগলের সাথে নতুন এক প্রজেক্টে কাজ করছে, যা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব মোবাইল অ্যাপে সহজে ও নিরাপদে লগ ইন থাকার সুযোগ দেবে। শুধু মোবাইল অ্যাপেই নয়; এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য পাসওয়ার্ড তৈরি, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা যাবে। এতে পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকারই হবে না।
    গুগল-ড্যাশলেইনের এই প্রজেক্টের নাম ‘ইউ অনলি লগ ইন ওয়ান্স’; সংক্ষেপে ওয়াইওএলও। যেসব কোম্পানি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার তৈরি করতে চায় তারাও এই প্রজেক্টে জড়িত হতে পারবে।
    পাসওয়ার্ড মনে রাখার যন্ত্রণা থেকে ব্যবহারকারীদের বাঁচাতে বছর খানেক আগ থেকে নানা ঘোষণা দিয়ে আসছে গুগল। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এক ঘোষণায় জানায়, পাসওয়ার্ডের ঝক্কি দূর করতে বিকল্প পদ্ধতি তৈরি করেছে তারা। এ পদ্ধতি ব্যবহারে পাসওয়ার্ডের বদলে শুধু ‘ইয়েস’ বা ‘নো’ অপশনে ক্লিক করেই জিমেইল, ইউটিউবের মতো সেবার আকাউন্টে প্রবেশের সুযোগ পাবেন গ্রাহক।
    এই ঘোষণার ঠিক পাঁচ মাস পরে প্রতিষ্ঠানটি আবার ঘোষণা দেয়, ‘ট্রাস্ট এপিআই’ নামের নতুন ধরনের রিকগনিশন সফটওয়্যার আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই প্রযুক্তি অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের সাহায্যে কাজ করবে, যা ব্যবহারকারীকে তার টাইপ, কথা বলা, হাঁটাচলা ইত্যাদির মাধ্যমে চিনবে। এতে আলাদা করে আর পাসওয়ার্ড দিতে হবে না।

    চীনের ডুবে যাওয়া নৌকা উদ্ধারে জাপানের উদ্যোগের প্রশংসায় বেইজিং

    পূর্ব চীন সাগরে ডুবন্ত চীনা মাছ ধরার নৌকা উদ্ধার করায় জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বেইজিং। এই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের চলমান বিরোধের মধ্যে এই ঘটনা ঘটলো।
    জানা গেছে, চীনা মাছ ধরার নৌকাটি জাপানের জলসীমায় গ্রিসের পতাকাধারী ৩০০ মিটার লম্বা বাণিজ্য জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাপানি কোস্টগার্ড ওই মাছ ধরার নৌকা থেকে ছয় জনকে জীবিত উদ্ধার করে, নিখোঁজ আটজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করছে তারা।
    উল্লেখ্য, জাপানে সেনকাকু ও চীনে দিয়াওয়ু নামে পরিচিত জনমানবহীন দ্বীপপুঞ্জ দুই দেশের দীর্ঘ বিরোধের কারণ। বেইজিং জাপানের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। অথচ মাত্র গত সপ্তাহেই জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্পষ্ট অবনতি হয়েছে।

    সম্রাটের বক্তব্যে আবে প্রতিক্রিয়া

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন তিনি জাপানি জনগনের উদ্দেশ্যে সম্রাট আকিহিতোর ভাষণকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন।

    সোমবার সম্রাট এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তার পদত্যাগের ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয়ার অল্প পর আবে তার লিখিত মন্তব্য মিডিয়ার সামনে পাঠ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি সম্রাটের গুরু দায়িত্বের কথা বিবেচনা করছেন এবং সম্রাট তার বয়সের আলোকে এ কথা ভাবছেন বলে তিনি মনে করেন।

    আবে বলেন তিনি সতর্কতার সাথে বিবেচনা করবেন সরকার সম্রাটের জন্যে কী করতে পারে।

    টোকিওতে শোভাযাত্রায় ককটেল হামলা, আহত ১৫

    জাপানের রাজধানী টোকিওর এক শোভাযাত্রায় ককটেল হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
    সোমবার পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। শোভাযাত্রাটি একটি আবাসিক এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশের একটি ভবন থেকে কয়েকটি হাতবোমা ছোড়া হয়।
    এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরে দমকলকর্মীরা ঐ অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে এক ব্যক্তিকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পান।
    নিহত ব্যক্তিটির এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ঐ বৃদ্ধের স্ত্রী মারা যাবার পর তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। প্রতিবেশীর অভিযোগ, শোভাযাত্রার মাত্রাতিরিক্ত শব্দ ব্যক্তিটির জন্য বিরক্তিকর ছিল।

    দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আহতদের অধিকাংশের শরীর পুড়ে গেছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

    সাঁতার থেকে আসলো জাপানের প্রথম স্বর্ণ

    জাপানের কোসুকে হাগিনো ৪০০ মিটার মিটার ইভেন্টে চলতি রিও অলিম্পিকে জাপানের জন্যে প্রথম স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন।

    স্থানীয় সময় শনিবার হাগিনো ৪ মিনিট ০৫ সেকেন্ডে সময় নিয়ে স্বর্ণ জেতেন। তার পেছনে ছিলেন করেছিলেন আমেরিকার চেস কালিসজ।

    খালিসজ সময় নেনে ৪ মিনিট ৭.৭৫ সেকেন্ড, এ ইভেন্টে জাপানের দাইইয়া সাতো ৪ মিনিট ৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক পান।

    অন্ধকার সরিয়ে ছুটল আলোর ফোয়ারা  

    ভেন্যুতে ৪২টি ডিসিপ্লিন, ৩০৬টি ইভেন্টে মেডেল মোট ৪২২৪টি। আলো ঝলমলে এই মেডেলগুলো গলায় জড়িয়ে দেশকে গর্বে ভরিয়ে দিতে বিশ্বের ২০৭টি দেশ থেকে ব্রাজিলে এরই মধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন ১১৩৬০ জন অ্যাথলেট। তাদের সাথে আসা অফিসিয়াল মিলে সংখ্যাটি ১৮ হাজার ছাড়িয়ে। ১৭ দিনের এই মহাযজ্ঞ নির্বিঘœ করতে আছে ৫ হাজার সেবাকর্মী, ৮৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী। শুধু অ্যাথলিট কিংবা আয়োজকই নয়, লড়াইটা অলিম্পিকের সাক্ষী হতে সাম্বার দেশে আগত ৫ লাখ ট্যুরিস্টেরও। বজ্রবিদ্যুৎ বোল্টের ক্ষীপ্রতা আর জলমানব ফেল্পসদের জলকেলি দেখতে টিকিট যে আছে মাত্র ৭৫ লাখ। লক্ষ্য একটাই- অলিম্পিক। এক অলিম্পিকই যে পারে এমন পরিসংখ্যানে নিজেদের আলোকিত করতে। শুধু আকারেই নয়, মাহাত্বেও এই আসরকে সবার ওপরেই রাখেন ক্রীড়াবোদ্ধারা। প্রাচীন গ্রীক নগরী অলিম্পিয়া থেকে খৃস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দী থেকে যার যাত্রা শুরু। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ আধুনিক অলিম্পিক এসে দাঁড়িয়েছে ৩১তম আসরে। এতক্ষণে ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকান স্টেডিয়ামে আলোর রোশনাই আর সাম্বার তালে বিশ্ব মাতিয়ে পর্দা উঠে গেছে এবারের গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। শুধু আয়োজন এবং অংশগ্রহণের ব্যাপকতা নয়, জাঁকজমক উদযাপনের ক্ষেত্রেও অলিম্পিকের তুলনা নেই। গেমসটির প্রতিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বরাবরই আগেরটিকে ছাড়িয়ে যায়। প্রথমবারের মত লাতিন আমেরিকায় হওয়া এবারের আসরের স্বাগতিক ব্রাজিলও ঘোষণা দিয়েছিল- যে তাদের উদ্বোধনী আয়োজন ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিককে ছাড়িয়ে যাবে। যদিও অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত দেশটিতে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে ব্রাজিলের উৎসবপ্রিয় জনমানুষের মনে ছিল প্রচ- ক্ষোভ। লন্ডন অলিম্পিক থেকেও বাজেটও কম রিওতে। তবে এসবই তুচ্ছ হয়ে গেছে অলিম্পিকের জৌলুস আর ঐতিহ্যের কাছে। শ্রমিক অসন্তোস, নিরাপত্তা শঙ্কা, জিকা ভাইরাস আতঙ্ক, ডোপ পাপী রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এর কিছুই পারেনি আসরের রং এতটুকু ফিকে করতে। সৃষ্টি থেকে ব্রাজিলের বেড়ে ওঠা, ফুটবলের দেশের ঐতিহ্য- সব তুলে আনা হয় তিন ঘণ্টার প্যাকেজে। তার ভেতর অবশ্য অনেকটা সময় যায় মার্চপাস্টে। কিন্তু ঘুড়ে ফিরে আসে সাম্বার সঙ্গে সুপার মডেলদের নাচের বিষয়টি। শুধু ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী সাম্বা নৃত্যই নয়, ছিলো আরো অনেক চমক। রিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে হাজির ছিলেন প্রায় ৮০ হাজার দর্শক। তাদের সাথে টিভিতে সরাসরি দেখে অনুষ্ঠানটি দেখেন বিশ্বের তিন বিলিয়ন মানুষ। উদ্বোধনী আয়োজনে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী বৈচিত্রপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাই পেয়েছিলো আধিক্য। সহস্রাধিক অ্যাথলেট জাতীয় পতাকা হাতে প্যারেড করেন। ব্রাজিলের এক ডজন ‘সাম্বা স্কুল’ থেকে আসা ২ শতাধিক নৃত্যশিল্পী বিশেষ পোশাক পরে সাম্বার তালে নাচেন, সুরের মায়াজালে দর্শকদের মোহিত করেছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত সব সঙ্গীতশিল্পী। সাম্বা নৃত্যে বাছাই করা হয়েছে আকর্ষণীয় একশজন মেয়েকে। তাদের পোশাকও ছিলো বেশ আবেদনময়ী। পরার পরও নারী শরীরের আশি শতাংশ-ই দেখা যায়। বিশ্বখ্যাত পিয়ানোবাদক পাওলো জোবিমের তৈরি সঙ্গীতের মূর্ছনার মধ্য দিয়ে মঞ্চে আসবেন ‘সেক্স বম্ব’ ব্রাজিল-কন্যা বুন্দচেন। বোসানোভা জ্যাজ গান, ‘দ্য গার্ল ফ্রম ইপানেমা’র সঙ্গে নাচবেন তিনি। সঙ্গে একশো সঙ্গী। যারা অনেকেই ব্রাজিলের উঠতি এবং পরিচিত মডেল। এই নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ‘ফিউচারিস্ট গেটওয়ে’র সাম্বা থিম। এর পরই লাইট এন্ড সাউন্ড শো-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় ব্রাজিলে পর্তুগীজ উপনিবেশের ইতিহাস। এই পর্ব শেষে আলো নিভে যাওয়ার পর মঞ্চ আলোকিত করেন ব্রাজিলের সুন্দরী এবং সুপারমডেলরা। যাদের মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণ ছাড়িয়েছে কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান মডেল বান্ডচ্যান ক্যাটওয়াক। ক্যাটওয়াকের বড় একটি অংশজুড়ে ছিল মেইনস্ট্রিম ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত ধারণা বদলে দেয়া ট্রান্সজেন্ডার মডেল লি-টি। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কোনও ট্রান্সজেন্ডার মডেল মঞ্চ মাতিয়েছেন। আর এর সবই নিজ হাতে তদারকি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত পরিচালক। শতাব্দী প্রাচীন এই ক্রীড়া আয়োজনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অলিম্পিক মশাল। এই মশাল বহন করা অনেক সম্মানের এবং সম্মানীয় বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গই সাধারণত এই মশাল বহন করেন। এই মশাল ধীরে ধীরে অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দিকে এগিয়ে চলে। শেষ মুহূর্তে মশাল দিয়ে স্টেডিয়ামের মূল বিশাল মশালটি প্রজ্বালন করেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। রোগা শরীরে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে এমন উপলক্ষ্যকে আরো হাজারগুণে আলোকিত করে তোলেন ব্রাজিলিয়ান গ্রেট। হাতে লাঠি নিয়ে যখন মশালটি নিয়ে এগুচ্ছিলেন প্রজ্বলিত করতে, তখন অনেকেরই মনে উঁকি দিয়ে গেছে সদ্য মরহুম আরেক কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলির অবয়ব। গেল লন্ডন অলিম্পিকের মশালটি প্রজ্জ্বলিত হয়েছিলো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুষ্টিযোদ্ধার হাতেই। আজ তিনি নেই, আছে কেবল স্মৃতি। এই স্মৃতি সাথে করেই শুরু হয়ে গেল এবারের অলিম্পিকের পথচলা।

    টোকিওতে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হচ্ছে  ট্যাক্সি সেবা

    জাপানের ভূমি, অবকাঠামো এবং পরিবহন মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাজধানী টোকিও’তে কিছু কিছু ট্যাক্সির ভাড়া কমানোর কথা বিবেচনা করছে। জনগন যাতে সহজে আরামদায়ক ট্যাক্সি সুবিধা পেতে পারেন সে জন্যে ৭৩০ ইয়েন থেকে কমিয়ে ৪১০ ইয়েন এ নামানো হচ্ছে।

    সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২৩ কোম্পানির ৪০টি ট্যাক্সি এই পরীক্ষামূলক যাত্রায় অংশ নিচ্ছে। শিমবাশি, আসাকুসা এবং শিনজুকু স্টেশন থেকে এসব ট্যাক্সি সার্ভিস পাওয়া যাবে, এ ছাড়া টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেও এই ট্যাক্সি মিলবে।

    ৪১০ ইয়েনে প্রথম ১.০৫৯ কিলোমিটার যাওয়া যাবে। তারপর প্রতি ২৩৭ মিটার পরপর ৮০ ইয়েন করে বাড়তে থাকবে।

    ক্যাবের ভাড়া প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে ফেলে মন্ত্রণালয় চাইছে স্বল্প দূরত্বে যাওয়া মানুষজন ট্যাক্সিতে উঠতে আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠুক। আশা করা হচ্ছে এসব ট্যাক্সি গুলো ট্রেন স্টেশন, অফিস পাড়া, হাসপাতাল এবং বড় বড় শপিং মল এলাকা গুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

    মন্ত্রণালয় বলেছে যদি ফলাফল ইতিবাচক হয় তবে ভাড়ার এই নতুন কাঠামো ডিসেম্বর থেকে সকল ট্যাক্সির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    মীমাংসা : এক মহিমান্বিত গুণ

    সকলের কর্তব্য পরস্পরে মিলেমিশে ও ভাই-ভাই হয়ে চলার চেষ্টা করা। ঝগড়া-বিবাদ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা। কিন্তু এ সত্ত্বেও দু’জনের মধ্যে কখনো বিবাদ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব নয়। দুই অন্তরঙ্গ বন্ধুর মধ্যেও বিবাদ সৃষ্টি হয়। স্বামী-স্ত্রীর নিরাবরণ সম্পর্ককেও তা স্পর্শ করে। মা আর সন্তানের নাড়ির বন্ধনও একে সম্পূর্ণ এড়াতে পারে না।

    কিন্তু তা অমীমাংসিতভাবে চলতে থাকা, সহিংসতা ও হানাহানির রূপ ধারণ করা বিরাট ক্ষতিকর। এই ক্ষতি শুধু বিবাদরতদেরই নয়, গোটা সমাজের। এতে সমাজের উন্নতি-অগ্রগতি ব্যাহত হয়। সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এবং সামষ্টিক প্রভাব-প্রতিপত্তি লোপ পায়।

    তাই দুজনের মধ্যে কখনো ঝগড়া হলে উভয়ের কর্তব্য, অতি দ্রুত এর উপর শান্তির শীতল প্রলেপ দিয়ে দেওয়া। আপোস-নিষ্পত্তি করে আবার মিলেমিশে চলতে শুরু করা। এ আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত পছন্দ।

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

    وَ اِنِ امْرَاَةٌ خَافَتْ مِنْۢ بَعْلِهَا نُشُوْزًا اَوْ اِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَیْهِمَاۤ اَنْ یُّصْلِحَا بَیْنَهُمَا صُلْحًا ؕ وَ الصُّلْحُ خَیْرٌ …

    (তরজমা) কোনো নারী যদি তার স্বামীর পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার বা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে তাদের জন্য এতে কোনো অসুবিধা নেই যে, তারা পারস্পরিক সম্মতিক্রমে কোনো রকমের আপোস-নিষ্পত্তি করবে। আর আপোস-নিষ্পত্তিই উত্তম।… -সূরা নিসা (৪) : ১২৮

    পক্ষান্তরে তা অমীমাংসিতরূপে অব্যাহত থাকা কিংবা সহিংসতা ও হানাহানির রূপ ধারণ করা তাঁর খুবই অপছন্দ।

    এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,

    تُفْتَحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْإِثْنَيْنِ، وَيَوْمَ الْخَمِيسِ، فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ لَا يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا، إِلَّا رَجُلًا كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ، فَيُقَالُ : أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا، أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا، أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا.

    সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করে না এমন সকলকে মাফ করে দেওয়া হয়। তবে ঐ দুই ব্যক্তি ছাড়া যারা পরস্পর বিদ্বেষ পোষণ করে। তাদের সম্পর্কে বলা হয়, ‘পরস্পর মিলে যাওয়া পর্যন্ত এদের বিষয়টি মওকুফ রাখ’ (তিন বার)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৬৫

    আপোসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহায়ক হল উভয়ের বা অন্তত কোনো একজনের একটু সংযত হওয়া। খানিকটা সহিষ্ণুতা অবলম্বন করা। প্রয়োজনে নিজের দাবি বা অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসা। এছাড়া আপোস সম্ভব হয় না। আর এটা বাহ্যিক দৃষ্টিতে নিচু মনে হলেও পরিণামে মহৎ। একটু বিনয় বা সহিষ্ণুতা কিংবা অবস্থান থেকে নেমে আসার কারণে যদি কোনো বিবাদের আপোস-নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তবে তা উত্তম বৈ কি? এজন্য বিনয় ও সহিষ্ণুতার উপস্থিতি সবক্ষেত্রে বিশেষভাবে বিবাদ-মীমাংসার ক্ষেত্রে অতি প্রাসঙ্গিক।

    এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,

    …وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا (الجنة.

    যে ব্যক্তি ন্যায়ের উপর থাকা সত্ত্বেও বিবাদ পরিহার করে, তার জন্য জান্নাতের মাঝে একটি ঘর তৈরি করা হবে। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৯৩

    যে ন্যায়ের উপর থাকে তার অবশ্যই অভিযোগ-আপত্তির অধিকার আছে। কিন্তু কখনো পরিস্থিতি এমন হয় যে, সেটা করলে বিবাদ সৃষ্টি বা ঘটনা আরো ভয়াবহ রূপ ধারণের আশংকা হয়। এ ক্ষেত্রে তা পরিহার করা নিঃসন্দেহে ব্যক্তির বিনয়, সহিষ্ণুতা ও কল্যাণকামিতারই পরিচায়ক।

    এখানে হাসান রা.-এর ঘটনা বিশেষভাবে স্মরণীয়। আলী রা.-এর মৃত্যুর পর কূফাবাসীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বাইআত হয়। ওদিকে শামবাসীরা মুআবিয়া রা.-এর হাতে বাইআত হয়। হাসান রা.-এর শামবাসীদের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি-সামর্থ্য পুরোপুরিই ছিল। এ সত্ত্বেও মাস খানেক পরই তিনি মুআবিয়া রা.-এর সঙ্গে আপোস করে নেন এবং খেলাফত থেকে পদত্যাগ করে তাঁর হাতে বাইআত হয়ে যান।

    এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নিষ্পাপ-রক্তের নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্প্রীতির সুরক্ষা। তিনি যথার্থই উপলব্ধি করেছিলেন যে, আপোস না করলে কূফাবাসী ও শামবাসীদের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, যার পরিণতি অতি ভয়াবহ। সুতরাং তাঁর আপোস-পরিকল্পনা ছিল সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক, প্রশংসনীয় ও যুগান্তকারী। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু আগেই এর সুসংবাদ দিয়েছিলেন। আবু বাকরা রা. থেকে বর্ণিত, একদিন আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে (বসে আছেন) আর তাঁর পাশে হাসান ইবনে আলী। তিনি একবার লোকদের দিকে তাকাচ্ছেন আর একবার তার দিকে তাকাচ্ছেন আর বলছেন, ‘আমার এই ছেলে সাইয়িদ। আল্লাহ তাআলা হয়তো তার মাধ্যমে মুসলিমদের দুটি দলের মধ্যে মীমাংসা করবেন।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭০৪

    কিন্তু কখনো কখনো বিবাদ এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে, এর আপোস-নিষ্পত্তি বিবাদরতদের সক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তাদের নিজেদের পক্ষে আর আপোস করা সম্ভব হয় না। বরং পরস্পরের নামই শুনতে পারে না। চেহারা দেখলেই গা জ্বলে। এক্ষেত্রে সমাজের অন্য লোকদের বিশেষ করে কর্তাব্যক্তিদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে এবং তাদের মধ্যে মীমাংসার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

    এ যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে জরুরি। আর মুসলমানদের পরস্পরে তো আরো জরুরি। কারণ মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক মানব-সম্পর্কের চেয়ে গভীর ও হৃদ্যতাপূর্ণ। সমস্ত মুসলিম পরস্পর ভাই-ভাই। আর ভাই মাত্রই ভাইয়ের কল্যাণকামনা করে। আর বিবাদরতদের কল্যাণকামনা তো উল্লসিত হওয়া বা তাদেরকে উসকে দেওয়া অথবা অন্যায় সাহায্য করা কিংবা নিরুদ্বেগ ও নিরুদ্যোগ থাকা নয়, বরং ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন হওয়া, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা এবং আল্লাহ তাআলার কাছে মীমাংসার দুআ করা সর্বোপরি তাদের মধ্যে মীমাংসার আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

    দেখুন কুরআনে কারীম ভ্রাতৃত্বের এই স্বভাবজাত প্রেরণাকে কী বলিষ্ঠভাবে উল্লেখ করেছে!

    وَ اِنْ طَآىِٕفَتٰنِ مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَ اقْتَتَلُوْا فَاَصْلِحُوْا بَیْنَهُمَا ۚ فَاِنْۢ بَغَتْ اِحْدٰىهُمَا عَلَی الْاُخْرٰی فَقَاتِلُوا الَّتِیْ تَبْغِیْ حَتّٰی تَفِیْٓءَ اِلٰۤی اَمْرِ اللهِ فَاِنْ فَآءَتْ فَاَصْلِحُوْا بَیْنَهُمَا بِالْعَدْلِ وَ اَقْسِطُوْا ؕ اِنَّ اللهَ یُحِبُّ الْمُقْسِطِیْنَ، اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ اِخْوَةٌ فَاَصْلِحُوْا بَیْنَ اَخَوَیْكُمْ وَ اتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ.

    ‘মুমিনদের দুটি দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। অতঃপর তাদের একটি দল যদি অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তবে যে দল বাড়াবাড়ি করছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর,যতক্ষণ না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে। সুতরাং যদি ফিরে আসে তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মীমাংসা করে দাও এবং ইনসাফ কর। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। মুমিনগণ পরস্পর ভাই-ভাই। সুতরাং তোমরা তোমাদের দু’ ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করে দাও, আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।’ -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ৯-১০

    এখানে দুজন মুমিন দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে অন্যদেরকে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়ার আদেশ করা হয়েছে। একই সাথে আল্লাহকে ভয় করার কথাও বলা হয়েছে। উদ্দেশ্য সম্ভবত এই যে, সামাজিক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে মীমাংসার গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং বিবাদরতদের মধ্যে মীমাংসার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ত্রুটি বা অবহেলা কিংবা যুলুম করা যাবে না। বরং সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে ন্যায়সঙ্গতভাবে চাপ সৃষ্টি করতেও কোনো অসুবিধা নেই। মীমাংসার সদিচ্ছা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে আল্লাহর সাহায্য অবশ্যই সঙ্গী হবে; তিনি মীমাংসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেবেন। আয়াতটির শেষাংশ (যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও) থেকেও এটা উপলব্ধি করা যায়। পারস্পরিক বিবাদ আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরনের আযাব। আর এর মীমাংসা হল রহমত, যার প্রতিশ্রুতি এখানে করা হয়েছে। আর অন্যত্র তো স্পষ্টই বলা হয়েছে,

    وَ اِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَیْنِهِمَا فَابْعَثُوْا حَكَمًا مِّنْ اَهْلِهٖ وَ حَكَمًا مِّنْ اَهْلِهَا ۚ اِنْ یُّرِیْدَاۤ اِصْلَاحًا یُّوَفِّقِ اللهُ بَیْنَهُمَا ؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلِیْمًا خَبِیْرًا.

    ‘তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশংকা কর, তাহলে পুরুষের পরিবার হতে একজন সালিস ও নারীর পরিবার হতে একজন সালিস পাঠিয়ে দাও। তারা যদি মীমাংসা করতে চায়, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।’ -সূরা নিসা (৪) : ৩৫

    এ প্রতিশ্রুতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কলহ সম্পর্কে হলেও অন্য ক্ষেত্রেও আশাপ্রদ।

    মীমাংসার গুরুত্ব উপলব্ধির আরো বিভিন্ন দিক আছে। একটি দিক এ-ও যে, বিবাদের কারণে শুধু বিবাদরতরাই  নয়, গোটা সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা আছে এবং তা সমাজের জন্য সুদূরপ্রসারী ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই অন্তত সমাজকল্যাণের স্বার্থে বিবাদরতদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

    এ উপলব্ধি মুসলমানদের জন্য আরো সহজ। কারণ মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক সামাজিক সম্পর্ক অপেক্ষা গভীর ও অন্তরঙ্গ। সকল মুসলমান মিলে এক দেহ। আর দুজন মুসলমানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হওয়া বস্তুত ওই দেহের দুটো অঙ্গ রোগাক্রান্ত হওয়া, যার চিকিৎসা না করলে, মীমাংসার স্নিগ্ধ দাওয়া সেবন না করলে গোটা দেহের শক্তি-সৌন্দর্য কমে যেতে পারে। সুতরাং নিজ দেহের শক্তি-সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতেই বিবাদরতদের সমঝোতায় আনার চেষ্টা করা কর্তব্য।

    মুসলমানদের পরস্পরের এ সম্পর্ক হাদীসে এভাবে বর্ণিত হয়েছে,

    الْمُسْلِمُونَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ، إِنِ اشْتَكَى عَيْنُهُ، اشْتَكَى كُلُّهُ، وَإِنِ اشْتَكَى، رَأْسُهُ اشْتَكَى كُلُّهُ.

    ‘মুসলিম সকলে মিলে একটি সত্তার মত, যার চোখে ব্যথা হলে গোটা দেহের কষ্ট হয়। মাথা ব্যথা হলে গোটা দেহের ব্যথা হয়।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮৬

    মীমাংসা হল দু’জনের মধ্যকার মনান্তর দূর করা, বিবাদরতদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করা। কত পরিবার ভাঙার উপক্রম ছিল। কিন্তু মীমাংসাকারী তার মূল্যবান উপদেশ দ্বারা তাকে অটুট রেখেছে। কত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেত দুই বন্ধুর মধ্যে, দুই আত্মীয়ের মধ্যে, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে…যদি না মীমাংসাকারী তাতে জোড়া লাগিয়ে দিত। কত অর্থ-রক্ত নিরাপদ ও সংরক্ষিত থেকেছে কেবল মীমাংসাকারীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টায়। সুতরাং ঐ ব্যক্তি বড় সৌভাগ্যবান যে বিবাদরতদের মর্মবেদনা উপলব্ধি করে এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়।  নবীজী বলেন,

    أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَفْضَلَ مِنْ دَرَجَةِ الصِّيَامِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّدَقَةِ، قَالُوا: بَلَى، قَالَ: صَلاَحُ ذَاتِ البَيْنِ، فَإِنَّ فَسَادَ ذَاتِ البَيْنِ هِيَ الحَالِقَةُ.

    ‘আমি কি তোমাদেরকে রোযা, নামায ও সদকার মর্তবা থেকেও উত্তম বিষয় সম্পর্কে বলব না?সাহাবীগণ আরয করলেন, আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, ‘বিবাদরতদের মধ্যে মীমাংসা করা। আর জেনে রেখ, পরস্পর বিবাদই মানুষের দ্বীন মুড়িয়ে দেয়’। -জামে তিরমিযী,হাদীস ২৫০৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯১৯

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) তাদের বহু গোপন পরামর্শে কোনো কল্যাণ নেই। তবে যে সদকা বা সৎকাজ কিংবা মানুষের মধ্যে মীমাংসার আদেশ করে। যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তা করবে আমি তাকে মহা প্রতিদান দেব। -সূরা নিসা (৪) : ১১৪

    মীমাংসার আদেশকারীর মহা প্রতিদান হলে মীমাংসাকারীর কী প্রতিদান হবে তা সহজেই অনুমেয়।

    বিবাদরতদের প্রতি সহানুভূতি ও  মীমাংসার ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই ছিল সৎ লোকদের গুণ ও বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বোত্তম আদর্শ।

    কলহ-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ আর খুনখারাবি ছিল আরবদের স্বভাবজাত বিষয়। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভয়াবহ সহিংসতা ও হানাহানি চলত বছরের পর বছর, চলমান হত এবং বংশপরম্পরায় সংরক্ষিতও হত। সেই জাতিকে তিনি ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও সম্প্রীতির যে উচ্চস্তরে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তা বিস্ময়কর ও নজিরবিহীন। এ সম্ভব হয়েছে কেবল তাঁর আলোকিত তালীম আর সহৃদয় ও প্রজ্ঞাপূর্ণ তারবিয়াতের কারণেই। কলহ-বিবাদের খবর শুনলে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হতেন, মীমাংসার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। একবার আমর ইবনে আউফ গোত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পৌঁছলে তিনি (জনৈক সাহাবীকে) বললেন, ‘আমাকে সেখানে নিয়ে চল, আমি তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেব।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৩

    আবদুল্লাহ ইবনে আবু হাদরাদ রা.-এর কাছে কা‘ব ইবনে মালেক রা.-এর কিছু পাওনা ছিল। পরিশোধ তলব করলে মসজিদে উভয়ের আওয়াজ উঁচু হয়ে যায়, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কামরা থেকে শোনেন। কামরার পর্দা উঠিয়ে তিনি কা‘ব রা.-কে অর্ধেক ঋণ মাফ করে দিতে ইশারা করেন। তিনি রাজি হলে ঋণগ্রহীতাকে বাকি অর্ধেক পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭১০

    এ দুটো ঘটনার রূপ ভিন্ন হলেও এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, মীমাংসার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ বা অনুরোধ করতে হয়নি, স্বেচ্ছায় মীমাংসা করে দিয়েছেন। আসলে তিনি তো ছিলেন আদ্যোপ্রান্ত বিশ্ববাসীর জন্য রহমত, তাদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণকামনায় ব্যাকুল। সেই নবী কি উম্মতের বিবাদকালে নিরুদ্বেগ ও নিরুদ্যোগ থাকতে পারেন? এই রহমত ও কল্যাণকামনা প্রতিটি মানুষের মধ্যে জাগ্রত হোক। প্রতিটি মানুষ হোক ঈমানী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত।

    জাপান জুড়ে দুঃসহ গরম

    জাপান জুড়ে তীব্র তাপদাহ বায়ুমন্ডলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে তোচিগি প্রিফেকচার স্থানীয় ভাবে প্রবল বর্ষণের মুখে পড়ে।

    বৃহস্পতিবার জাপান জুড়েই প্রচন্ড গরম ছিলো, পশ্চিম জাপানে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। এদিকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মধ্য জাপানের পার্বত্য অঞ্চল গুলো অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তোচিগি প্রিফেকচারে প্রবল বর্ষণ হলে আবহাওয়া বিভাগ আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করে।

    উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বাতাসের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে। পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে বৃষ্টিমেঘ জমা হয়ে ব্যপক বৃষ্টিপাত ঘটায়। সন্ধ্যে ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত উৎসুনোমিয়া ইমাজাতো শহরে ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, ইয়াইতা কাশিমা’তে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৭৮ মিলিমিটার।

    পার্বত্য অঞ্চল গুলোতে আরো বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

    উত্তপ্ত এই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো গিফু প্রিফেকচারের ইবিগাওয়া’তে ৩৭ ডিগ্রি। এছাড়া ফুকুওকা’র কুরুমে শহরে ৩৬.৬, ওসাকা ৩৬.৪, গুনমা প্রিফেকচারের তাতেবাইয়াশি’তে ৩৬.১, ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাতে শহরের তাপমাত্রা ছিলো ৩৫.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

    রাজধানী টোকিও’র কেন্দ্র স্থলে তাপমাত্রা ছিলো ৩৩ ডিগ্রি। দেশের ৯২৯টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের ৭০ শতাংশের বেশি স্থানে এ দিন তাপমাত্রা ৩০ অতিক্রম করে যায়।

    জাপানের জলসীমায় উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের জলসীমার ভিতরে বা তার কাছে গিয়ে পড়েছে।
    বুধবার সিউলের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ হওয়াংহি প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের দপ্তর। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত কয়েকদিনে ফের বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রধান অংশ জাপানের বহিঃঅর্থনৈতিক অঞ্চলে গিয়ে পড়েছে বলে এক জাপানি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
    উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা বসানোর সিদ্ধান্তে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন এই অঞ্চলটিতে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এখন জাপানের উপকূলে বৈরী দেশ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণকে ‘গুরুতর হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছেন। টোকিও এর প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
    দক্ষিণ কোরিয়ার চিফ অব স্টাফের দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং দক্ষিণ কোরিয়া বন্দর ও বিমান ক্ষেত্রগুলোতে সরাসরি ও ব্যাপক আক্রমণ চালানোর উত্তর কোরীয় অভিলাষ প্রকাশ পেয়েছে।”

    উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রোডোং ধরনের মধ্যবর্তী পাল্লার এবং এগুলো সর্বোচ্চ এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে বলে এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় বিবৃতিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কমান্ড জানিয়েছে, তারা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, এর একটি উেক্ষপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়।

    মন্ত্রীসভার রদবদল করলেন আবে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার মন্ত্রীপরিষদের রদবদল করেছেন। নতুন মন্ত্রীসভায় আবে সহ ১৯ জন মন্ত্রী রয়েছেন। ইম্পেরিয়াল প্যালেসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুধবার নতুন মন্ত্রীসভা তার যাত্রা শুরু করে।

    আবে তার পুরোনো মন্ত্রীসভার ৮ জন মন্ত্রীকে ধরে রেখেছেন, ২ মন্ত্রীকে ফিরিয়ে এনেছেন এবং ৮ জনকে প্রথমবারের মতো নিয়োগ দিয়েছেন। একজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন করেছেন।

    ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী তারো আসো’র অবস্থান আগের মতোই আছে।

    সানায়ে তাকাইচি আভ্যান্তরিন বিষয়ক এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে তার পূর্বের পদেই রয়েছেন।

    কাৎসুতোশি কানেদা বিচারমন্ত্রী হয়েছেন। আগে তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগের পদেই রয়েছেন।

    শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছেন হিরোকাজু মাৎসুনো, ইয়াসুহিসা শিজাকি স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যান মন্ত্রণালয়, ইউজি ইয়ামামোতো কৃষি,বন এবং মৎস বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

    প্রধান মন্ত্রীপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা তার স্বপদে রয়েছেন।

    নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যদের গড় বয়স ৬০.৮।

    মন্ত্রীসভার সবচেয়ে প্রবীণ মন্ত্রী আসো, তার বয়স ৭৫। সবচেয়ে অল্প বয়সী মন্ত্রী মারুকাওয়া (৪৫)।

    জাপানে মার্কিন বিমানের জরুরি অবতরণ

    জাপানের রাজধানী টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। চলতি মাসে এটি জাপানে একই এয়ারলাইন্সের বিমানের দ্বিতীয় জরুরি অবতরণ। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
    স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে জাপানের রাজধানীর উপকণ্ঠে নারিতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট এইচএ ৪৪২ জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় সাপোরা নগরী থেকে হনুলুলু যাচ্ছিল।
    নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, পাইলট বোয়িং ৭৬৭-এর হাইড্রোলিক ব্যবস্থায় এক ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখতে পান।  জরুরি অবতরণ করা এ বিমানের ২৪৮ জন আরোহীর কেউ আহত হয়নি।
    বিমানের জরুরি অবতরণের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্সের টোকিও অফিসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    টোকিও সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যওয়ার প্রতিশ্রুতি কোইকে

    টোকিওর নবনির্বাচিত গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেছেন তিনি রোববারের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন পেয়ে উৎসাহিত বোধ করছেন এবং রাজধানীর উন্নয়নে সংস্কার করা হবে।

    সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সোমবার বলেন নির্বাচনের ফলাফল তার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। কোইকে’র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক আভ্যান্তরিন বিষয়ক মন্ত্রী হিরোইয়া মাসুদা। দু’জনের ভোটের ব্যবধান ছিলো ১০ লক্ষেরও বেশি।

    মঙ্গলবার থেকে টোকিও’র প্রথম নারী গভর্নর তার কাজ শুরু করবেন।

    ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে কোইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এলডিপি মাসুদা’কে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দেয়।

    কোইকে বলেন তিনি প্রতিটি ভোটকে মূল্যায়ন করছেন এবং তিনি তার নতুন দায়িত্বের ওজন উপলব্ধি করতে পারছেন।

    তিনি বলেন রাজস্বের অর্থ সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হবে এবং জনগনের অর্থ কোনো ব্যক্তিগত খাতে কোনো অপব্যবহার হচ্ছে কিনা সে বিষয়টির উপর তিনি নজর রাখবেন।

    কোইকে’র পূর্বসূরী ইয়োইচি মাসুজোয়ে রাজনৈতিক তহবিলের অপব্যবহার সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করেন।

    জাপানে টোকিও শহরের প্রথম নারী গর্ভনর ইরিকো কোকে

    জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের প্রথম নারী গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইরিকো কোকে। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ছত্রছায়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়া এই নারীর নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে টোকিও স্থানীয় প্রশাসন নারী নেতৃ্ত্বের সূচনা করল।
    ২০০৭ সালের সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তিনি শিনজো অ্যাবে সরকারের পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে জাপানের সংসদে প্রথম নারী মন্ত্রী হন। আর এবার গর্ভনরের ক্ষমতায় এসে তিনি আরো একবার তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করলেন।
    রবিবার সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলা ১১ লাখ ভোটারের ভোট গ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ৮ টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫ টায়) ফল ঘোষণা হয়েছে। তবে বিস্তারিত ফল আসতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
    গত ১৫ জুন বিদেশ ভ্রমণে বিধি বহিঃর্ভূতভাবে অর্থব্যয়ের দায়ে পদত্যাগ করেন গর্ভনর ইয়চি মাসুজুই। ২০১৪ সালে টোকিও গর্ভনর (মেয়র) হওয়ার পর সরকারি কোষাগার থেকে ৯ বার বিদেশ ভ্রমণে ২০০ মিলিয়ন ইয়েন তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছিল ইয়চি মাসুজুইয়ের বিরুদ্ধে।
    আর এ নিয়ে গত এপ্রিলে তিনি অন্যন্য সাংসদের তোপের মুখে পড়েন। সোমবার সংসদে এ নিয়ে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন সাত সাংসদ। যেখানে বিরোধীদলীয় সাংসদরা তার জোরালো পদত্যাগের দাবি তোলার পর তিনি পদত্যাগ করেন। আর ওই পদত্যাগের পরই কার্যত টোকিও শহরের প্রশাসনের শীর্ষ পদটি শূন্য হয়ে যায়।
    রবিবার নির্বাচনে ইরিকো কোকে ছাড়াও আরো  ২০ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করেছে। ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় ছিলেন সাবেক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হিরোয়া মাসুদা। এ ছাড়াও, ইরিকোর কোকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুনতারো তরিগো, যিনি প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ হয়ে নির্বাচনে লড়েন।
    নির্বাচন কমিশন বলছে, টোকিও গর্ভনর নির্বাচনে এবারই ব্যাপক সংখ্যক প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। ‍নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ১৭ দিন প্রচারণায় প্রার্থীদের ভোটার আকর্ষণের লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিক শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার অঙ্গীকার। এ ছাড়াও, বয়স্কদের আরো বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা।
    কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা ইরিকো কোকে দেশটির কোবে প্রদেশে ১৯৫২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন টেলিভিশনের একজন সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে।
    নির্বাচিত হওয়ার পর কোকে টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, এটি সত্যিই আনন্দের দিন। নারী নেতৃত্বকে টোকিওবাসী যে এভাবে গ্রহণ করবে তা আমি ভাবতে পারিনি। আমাকে নির্বাচিত করায় সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। জনগণের প্রতি দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সেজন্য সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।