• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিল ও আমার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিলারি: ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনের ভাষণে ওবামা

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। দলের জাতীয় কনভেনশনে উপস্থিত কয়েক হাজার ডেলিগেটের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওবামা বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার নিজের চেয়ে যোগ্য প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন হিলারি। এসময় তিনি রিপাবলিকানদের তীব্র সমালোচনা করেন।
    ওবামা বলেন, গত সপ্তাহে রিপাবলিকান কনভেনশনে দেশের সমস্যাগুলো সমাধানের কোন উপায় বের করা হয়নি। বরং ঘৃণা, দোষারোপ ও ক্ষোভকে উস্কে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা সেই পথে হাটবে না। হিলারি সম্পর্কে ওবামা আরো বলেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন এমন একজন নেত্রী যার কাছে রয়েছে বাধা পার হওয়ার সত্যিকারের পরিকল্পনা এবং তিনিই পারেন প্রতিটি মার্কিন নাগরিকের জন্য সুযোগ-সুবিধার বৃত্তের প্রসার ঘটাতে। হিলারিকে আমেরিকার ‘পরবর্তী প্রেসিডেন্ট’ বলেও উল্লেখ করেন ওবামা।
    বুধবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার ডেমোক্র্যাটিক দলের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দেয়া বক্তৃতায় ওবামা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই সেই হিলারি যাকে আমি চিনি। এই সেই হিলারি যার প্রশংসা করতে আমি এসেছি। এ কারণে আস্থার সঙ্গে আমি বলতে পারি- আমি কিংবা বিল ক্লিনটন কেউ না, এমনকি অন্য কোনো নারী-পুরুষই এই মুহুর্তে হিলারির চেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বেশি যোগ্য হবেন না। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভাল অফিসের জন্য হিলারির চেয়ে আর কেউ বেশি উপযুক্ত নন। তিনি এমন এক মানুষ যিনি সবার কথা শোনেন, নিজেকে শান্ত রাখেন এবং সবাইকে সম্মানের চোখে দেখেন। আমেরিকান স্বপ্ন হলো এমন কিছু, যা কোনো দেয়াল (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দ্বারা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’ ওবামা বলেন, উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হিলারি ক্ষান্ত হবেন না। কোনো নির্যাতন কিংবা ধর্ম নিষদ্ধ না করেই তিনি এ কাজ সম্পন্ন করবেন এবং পরবর্তী কমান্ডার ইন-চিফ হতে তিনিই উপযুক্ত। ওবামা জোর দিয়ে বলেন, একারণেই হিলারিকে বিজয়ী করা এখন সময়ের দাবি।

    উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একজন নারী কোনো প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন জাতীয় নির্বাচনে লড়াই করবেন ট্রাম্প ও হিলারি।

    ৫০ মিনিটে ৪০ জনকে ছুরিকাঘাত!!

    এ সপ্তাহে জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তি এক ঘন্টারও কম সময়ে ৪০ জনকে হত্যা করেছেন।

    পুলিশ বলেছে ২৬ বছরের সাতোশি উয়েমাৎসু মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে প্রতিবন্ধী কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে একের পর এক মানুষকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।

    ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হন।

    সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় তিনি রাত ২টা ৪৭ এ ভবনটি ত্যাগ করছেন।

    সেখানকার এক কর্মী একটি মেসেজ এপ্লিকেশনে হামলার কথা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন সাবেক সহকর্মী ভয়ঙ্কর কিছু একটা করছে, এরপরি পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

    শোকর ও কৃতজ্ঞতা : ফযীলত ও পদ্ধতি

    শিব্বীর আহমদ

    খোলাফায়ে রাশেদিনের বাইরে দু-চারজন সাহাবীর নামও যাদের জানা আছে, কিংবা মাঝেমধ্যে হলেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবীগণের  নাম যারা পড়েন বা শোনেন, তাদের কারও কাছেই ‘হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা.’ নামটি অজানা থাকার কথা নয়। প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তাঁর এই প্রিয় সাহাবীটির হাত ধরে বললেন, ‘মুআয! আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ জানের শত্রু কুরাইশ কাফেররাও যার সততা আর বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কখনো, প্রাণপ্রিয় সেই নবীর কোনো কথায় তাঁর কোনো সাহাবী সামান্য সন্দেহ পোষণ করবে- তা কি ভাবা যায়! সঙ্গীদের এ অকৃত্রিম আস্থা ও ভালোবাসার কথা তাঁরও অজানা নয়। অথচ তিনিই আল্লাহর নামে কসম করছেন, তাও আবার এক ঘনিষ্ঠ সাহাবীর সঙ্গে! সাহাবী মুআয রা.-ও তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, ‘আমার মা-বাবা আপনার জন্যে উৎসর্গিত হোক! আল্লাহর কসম, আমিও আপনাকে ভালোবাসি।’ এভাবে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মুআয! আমি তোমাকে বলছি, কখনোই নামাযের পরে এ দুআটি পড়তে ভুল করো না-

    اللّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ  .

    হে আল্লাহ! আপনার জিকির, আপনার কৃতজ্ঞতা ও শোকর আদায় এবং সুন্দর করে আপনার ইবাদত করতে আপনি আমাকে সাহায্য করুন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২১১৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫২৪

    হাদীসের বাণী সূর্যালোকের ন্যায় পরিষ্কার, আল্লাহ তাআলার যিকির আর তাঁর সুন্দর ইবাদতের মতো তাঁর শোকর ও কৃতজ্ঞতা আদায়ও আমাদের ইসলামে এক পরম কাক্সিক্ষত বিষয়।

    আল্লাহবিশ্বাসী প্রতিটি ঈমানদার ব্যক্তিই মনে করে, ভালো-মন্দ সচ্ছলতা-অসচ্ছলতা সুখ-দুঃখ সবকিছুর তিনিই মালিক। তাঁর ইচ্ছাতেই পথের ফকির কখনো বড় অট্টালিকার মালিক হয়ে যায়, আর কাড়ি কাড়ি সম্পদের মালিকও সবকিছু হারিয়ে পথে নেমে আসে। মুমিনমাত্রই এ বিশ্বাস দৃঢ়তা ও আস্থার সঙ্গে হৃদয়ে লালন করে। এ বিশ্বাসে ভর করেই বিপদাক্রান্ত মুমিন ‘আল্লাহর ইচ্ছা’ বলে সান্ত্বনা পায়। আবার কোনো নিআমত পেলে এ বিশ্বাসেই সে উচ্চারণ করে- শোকর আলহামদু লিল্লাহ কিংবা এসবই আল্লাহর দান।

    হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন, তোমার পরবর্তীতে আমি এক উম্মত পাঠাব,  কাক্সিক্ষত কোনো বিষয় যদি তাদের হাসিল হয় তাহলে তারা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং শুকরিয়া আদায় করবে, আর যদি অনাকাক্সিক্ষত কোনো কিছু তাদের পেয়ে বসে তাহলে তারা সওয়াবের আশায় ধৈর্যধারণ করবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫৪৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১২৮৯; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৪১৬৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৬৭০৪

    উম্মতে মুহাম্মদীর এই চরিত্র এভাবেই আল্লাহ তাআলা প্রকাশ করেছেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের নিকট। আরেক হাদীসে বিষয়টি আরও পরিষ্কার প্রতিভাত হয়েছে। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    عَجَبًا لأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَاكَ لأَحَدٍ إِلاَّ لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ.

    মুমিনের বিষয়াদি কত আশ্চর্যের! তার সবকিছুই কল্যাণকর। আর এটা তো কেবল মুমিনের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সচ্ছলতায় সে শুকরিয়া আদায় করে, তখন তা তার জন্যে কল্যাণকর হয়। আর যদি তার ওপর কোনো বিপদ নেমে আসে তাহলে সে সবর করে, ফলে তাও তার জন্যে কল্যাণকর হয়ে যায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৯৯

    কৃতজ্ঞতা আদায় যে কেবলই এক কাক্সিক্ষত বিষয় এমন নয়, বরং এর ব্যতিক্রম ঘটলে পবিত্র কুরআনে উচ্চারিত হয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারিও-

    لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيْدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذابِيْ لَشَدِيْدٌ.

    তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা আদায় কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অস্বীকার কর তাহলে আমার আজাব অবশ্যই কঠিন। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৭

    এ প্রসঙ্গে বুখারী শরীফে বর্ণিত একটি ঘটনা উল্লেখ করা যায়। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনি ইসরাঈলের তিন ব্যক্তি, তাদের একজন ছিল শ্বেতরোগী, একজনের মাথায় ছিল টাক, আরেকজন ছিল অন্ধ। আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাই তাদের নিকট এক ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে শ্বেতরোগীর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সবচেয়ে পছন্দনীয় জিনিস কোনটি? সে বলল, ‘(শরীরের) সুন্দর বর্ণ আর সুন্দর চামড়া। মানুষ যে আমাকে অপছন্দ করে!’ ফেরেশতা তখন তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিল, আর সঙ্গে সঙ্গেই তার রোগ দূর হয়ে গেল এবং তার গায়ের রং ও চামড়া সুন্দর হয়ে গেল। এরপর ফেরেশতা তাকে বললেন, তোমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদের কথা বলো! সে বলল, উট। তখনি তাকে একটি গর্ভবতী উটনী দেয়া হলো। ফেরেশতা তার জন্যে দুআ করলেন- আল্লাহ তাতে তোমার জন্যে বরকত দান করুন। এরপর ফেরেশতা চলে গেলেন টেকো ব্যক্তির কাছে। তাকেও জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সবচেয়ে পছন্দনীয় জিনিস কোনটি? সে বলল, ‘সুন্দর চুল। মানুষ যে আমাকে এ টাকের জন্যে অপছন্দ করে!’ ফেরেশতা তখন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল, আর সঙ্গে সঙ্গেই তার টাক দূর হয়ে গেল এবং তার মাথা সুন্দর সুন্দর চুলে ছেয়ে গেল। এরপর ফেরেশতা তাকে বললেন, তোমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদের কথা বলো! সে বলল, গরু। তখনি তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দেয়া হলো। ফেরেশতা তার জন্যে দুআ করলেন- আল্লাহ তাতে তোমার জন্যে বরকত দান করুন। সবশেষে ফেরেশতা গেলেন অন্ধব্যক্তির কাছে। তার কাছেও একই প্রশ্ন; তোমার সবচেয়ে পছন্দনীয় জিনিস কোনটি? সে বলল, ‘আল্লাহ যদি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতেন, আমি তাহলে মানুষদের দেখতে পারতাম।’ ফেরেশতা তখন হাত বুলিয়ে দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গেই তার চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে এল। এরপর ফেরেশতা তাকে বললেন, তোমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ কোনটি? সে বলল, ছাগল। তখনি তাকে একটি গর্ভবতী ছাগল দেয়া হলো। ফেরেশতা তার জন্যে দুআ করলেন- আল্লাহ তাতে তোমার জন্যে বরকত দান করুন। এরপর তাদের উট গরু আর ছাগলে আল্লাহ যথেষ্ট বরকত দিলেন। কারও মাঠভর্তি উট, কারও মাঠভর্তি গরু আর কারও মাঠভর্তি ছাগল। ফেরেশতা আবার এলেন। প্রথমেই উটের মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, আমি মিসকিন, সফরে আমার সবকিছু হারিয়ে গেছে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। তিনি তো তোমাকে সুন্দর গায়ের রং, সুন্দর চামড়া আর এ ধনসম্পদ দান করেছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে একটি উট দাও, তাহলে আমি আমার সফর শেষ করে ফিরে যেতে পারব। সে বলল, আমার তো কত মানুষকে দিতে হয়!  (তোমাকে দিতে পারছি না।) ফেরেশতা এরপর বলল, আমি তো মনে হচ্ছে তোমাকে চিনতে পারছি। তোমার কি শ্বেতরোগ ছিল না, যে কারণে মানুষ তোমাকে অপছন্দ করত? এরপর আল্লাহ তোমাকে এসব দান করলেন। সে বলল : এগুলো তো আমার বাপ-দাদার সম্পদ! ফেরেশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যা বলে থাক, তাহলে তুমি যেমন ছিলে আল্লাহ যেন তোমাকে সে অবস্থাতেই ফিরিয়ে দেন। এরপর ফেরেশতা গেলেন গরুর মালিকের কাছে। তার কাছেও একই ভাষায় সাহায্যের আবদার করলেন। সেও একই ভাষায় ফিরিয়ে দিল। ফেরেশতাও তার জন্যে একই বদদুআ করলেন; যদি তুমি মিথ্যা বলে থাক, তাহলে তুমি যেমন ছিলে আল্লাহ যেন তোমাকে সে অবস্থাতেই ফিরিয়ে দেন। এবার ফেরেশতা ছাগলের মালিকের কাছে গিয়ে বললেন, আমি মিসকিন মুসাফির, সফরে আমার সবকিছু হারিয়ে গেছে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। তিনি তো তোমার চোখ ভালো করে দিয়েছেন আর এ ধনসম্পদ দান করেছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে একটি ছাগল দাও,  যেন আমি আমার সফর শেষ করে ফিরে যেতে পারি। সে বলল, আমি তো অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার চোখ ভালো করে দিয়েছেন; আমি দরিদ্র ছিলাম, তিনি আমাকে ধনসম্পদ দান করেছেন। তুমি যা ইচ্ছা নিয়ে নিতে পার। তুমি যাই কিছু নেবে আমি তোমাকে কিছু বলব না। ফেরেশতা বললেন, তোমার সম্পদ তোমার কাছেই থাক; তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছে, আল্লাহ তোমার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তোমার দুই সঙ্গীর ওপর তিনি অসন্তুষ্ট। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪৬৪

    জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষ আল্লাহ তাআলার কী পরিমাণ নিআমত ভোগ করে তা কি কল্পনা করা যায়! সুস্থ দেহ, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, সুস্থ মন, সুস্থ পরিবেশ- সবকিছুই তো তাঁর নিআমত। সামান্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হলেই বুঝে আসে এ নিআমতের মর্ম। সুস্থ মাথা নিয়ে দিব্যি ছুটে বেড়াচ্ছে যে, মাথাব্যথার মতো দেখা যায় না এমন একটি রোগেও সে কাবু হয়ে পড়ে। উঠতে-বসতে, নিদ্রা-জাগরণে, ঘরে-বাইরে সর্বত্রই আমরা তাঁর নিআমতের সাগরে ডুবে আছি সর্বক্ষণ। এ নিআমত গণনার সাধ্য নেই কারও। আল্লাহ পাক তো বলেই দিয়েছেন- وَإِنْ تَعُدُّوْا نِعْمَتَ اللهِ لا َتُحْصُوْهَا

    তোমরা যদি আল্লাহর নিআমত গুনতে চাও তাহলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৪ প্রতিদিনকার প্রতিটি পদক্ষেপে তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন এ নিআমতের কৃতজ্ঞতাসম্বলিত বিভিন্ন দুআ। ভোরে ঘুম থেকে জাগার মধ্য দিয়ে যখন সূচনা হয় আমাদের দিনের, তখনকার দুআটি এমন-

    اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ.

    অর্থাৎ সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে মৃত্যু দেয়ার পর আবার জীবন দান করলেন আর তাঁর কাছেই তো আমাদের একত্রিত করা হবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩১১২

    খাবার খেলে আমরা পড়ি-

    اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مِنَ  الْمُسْلِمِيْنَ.

    অর্থাৎ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহ তাআলার, যিনি আমাদের পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৪৫৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৫০

    খাবার পেলেই যে কেউ খেতে পারে বিষয়টি এমন নয়। আমাদের চারপাশে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়, যথেষ্ট সচ্ছলতা থাকার পরও ডাক্তারি বিধিনিষেধের কারণে যারা নিজেদের পছন্দের খাবারটিও খেতে পারেন না। তাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত টাকাপয়সায় কেনা খাবার খাওয়ার পর এ দুআটি শিখিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন আমাদেরকে এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন- খাবার জোগাড় করতে পারা যেমন একটি নিআমত, তেমনি খেতে পারাও একটি নিআমত। আর উক্ত দুআর মধ্য দিয়ে এ নিআমতটিরই শুকরিয়া আদায় করা হয়। কৃতজ্ঞতা সম্বলিত এ দুআর তালিকাও ছোট নয়। যে  কাজকর্মকে আমরা খুবই স্বাভাবিক মনে করি, স্বাভাবিকতায় সামান্য ব্যত্যয় ঘটলে আমরা বুঝি- আসলে এগুলোও আল্লাহর অনুগ্রহ। শুকরিয়া আদায়ের শিক্ষাও তাই জীবনের সর্বত্রই ছড়ানো। এমনকি যখন কেউ প্রস্রাব-পায়খানা সেরে বেরিয়ে আসে তখনো আমাদের শেখানো হয়েছে কৃতজ্ঞতার দুআ-

    غُفْرَانَكَ. اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ أَذْهَبَ عَنِّيْ الْأَذٰى وَعَافَانِيْ.

    অর্থাৎ তোমার কাছেই ক্ষমা চাই হে প্রভু! সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমার কষ্টকর বস্তুগুলো সরিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ রেখেছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস ৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩০১; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নী, হাদীস ২২

    প্রতিদিনকার এসব সাধারণ নিআমতের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা অনেক বিশেষ নিআমতও দিয়ে থাকেন। আল্লাহর নিআমতের কথা আলোচনায় এলে আমাদের সামনে প্রথমে এ বিশেষ নিআমতগুলোই হাযির হয়। যেমন, কাউকে তিনি দিয়ে থাকেন তুখোড় মেধাশক্তি, কাউকে গভীর জ্ঞান, কাউকে রাশি রাশি ধনসম্পদ, কাউকে সুসন্তান, কাউকে সুনাম-সুখ্যাতি, আরও কত কী! মুমিন বান্দা জীবনে যা কিছু পায়, সবকিছুকেই সে আল্লাহর নিআমত বলেই বিশ্বাস করে। এসবকে নিজের মেধা-প্রতিভার ফসল মনে করবে সে কীভাবে, যেখানে মেধা-প্রতিভাকেই সে আল্লাহর দেয়া নিআমত বলে মেনে নেয়! নিজের যে কোনো অর্জনে তাই সে মহান প্রভুর দরবারেই সেজদাবনত হয়, কৃতজ্ঞচিত্তে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে সে উচ্চারণ করে- আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহবিশ্বাসী মুমিন বান্দার এ এক অনন্য গুণ।

    কোনো নিআমতের শুকরিয়া আদায়ের জন্যে অপরিহার্য হলো, সে নিআমতটিকে কাজে লাগানোর সময় নিআমতদাতার ইচ্ছা ও চাওয়াকে গুরুত্ব দেয়া, তাঁর আনুগত্যে তা ব্যবহার করা। ব্যবসায় লাভ হলে আলহামদু লিল্লাহ বলার পর যদি সে লাভের অর্থ আল্লাহ তাআলার নাফরমানিতে খরচ করা হয় তাহলে এটা কেমন কৃতজ্ঞতা হলো!

    আল্লাহর নিআমত পেলে বান্দা আনন্দিত হয়। আর সেই আনন্দ আল্লাহর অন্য বান্দাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াটাও এক প্রকার কৃতজ্ঞতা। আল্লাহ নিজেই বলেছেন : وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ

    আর তুমি তোমার প্রভুর নিআমতের কথা বলো। -সূরা দুহা (৯৩) : ১১

    নিআমতের কথা অন্যকে জানানোই আনন্দ ভাগ করে নেয়ার একমাত্র পদ্ধতি নয়। বিয়ের পর ওলিমা অনুষ্ঠান, সন্তান জন্মের পর আকিকা- এসব তো আল্লাহর নিআমত স্মরণ করেই আয়োজিত হয়। তবে কথা হলো, এসব আনন্দ-আয়োজনের মধ্যে অবশ্যই কৃতজ্ঞতার মানসিকতা পোষণ করতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে- আনন্দের এ উপলক্ষ অর্জন ব্যক্তিগত কোনো কৃতিত্ব নয়, বরং মহান প্রভু আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ ও দান। পরীক্ষায় পাশ, নতুন চাকরি লাভ ইত্যাদি বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা মিষ্টিমুখ বা এজাতীয় যে আয়োজন করি, উক্ত বিশ্বাস মনে ধারণ করতে পারলে এ আয়োজনেও কৃতজ্ঞতা আদায় হতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো সফর থেকে মদীনায় ফিরে আসতেন তখন তিনি একটি উট কিংবা গরু জবাই করে সাথী-সঙ্গী ও উপস্থিত সবার আপ্যায়নের আয়োজন করতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০৮৯) ইমাম বুখারী রাহ. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর আমলও বর্ণনা করেছেন এভাবে- যখন তিনি সফর থেকে ফিরে আসতেন তখন তার সঙ্গে যারা দেখা করতে আসত তাদের কারণে তিনি রোযা রাখতেন না। বাড়িতে থাকাবস্থায় তিনি বেশি বেশি নফল রোযা রাখতেন। কিন্তু সফরে থাকাকালীন নফল-ফরয কোনো রোযাই রাখতেন না। সফর থেকে ফিরে এসে আবার রোযা শুরু। যেদিন তিনি সফর থেকে ফিরে আসতেন, স্বাভাবিকভাবেই সেদিন তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্যে অনেক আপনজন ভিড় করত। তাদের সম্মানে তিনি সেদিন রোযা রাখতেন না। (ফাতহুল বারী, বাবুত তআমি ইনদাল কুদুম)

    আল্লাহ তাআলার নিআমতের কৃতজ্ঞতা আদায়ে নফল রোযা-নামাযের কথাও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সোমবারে রোযা রাখতেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

    ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ .

    এটা এমন দিন, যাতে আমার জন্ম হয়েছিল আর এ দিনেই আমার কাছে ওহী আসার সূচনা হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২

    আর রাত জেগে জেগে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে নফল নামায পড়তে গিয়ে কখনো তাঁর পা ফুলে যেত। হযরত আয়েশা রা. একদিন তাই জানতে চাইলেন- আপনি এত কষ্ট করেন কেন, আল্লাহ কি আপনার আগে-পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন,

    أَفَلاَ أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ عَبْدًا شَكُورًا

    আমি কি একজন কৃতজ্ঞ বান্দা হতে চাই না? -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৮৩৭

    এ কৃতজ্ঞতা মুমিনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পরকালীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আরও অধিক পরিমাণ নিআমত লাভের মাধ্যম এ কৃতজ্ঞতা। আর আখেরাতের অসীম পুরস্কারের ঘোষণা তো আছেই। উদাহরণস্বরূপ একটি হাদীস উদ্ধৃত করেই শেষ করছি- হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

    الطَّاعِمُ الشَّاكِرُ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ الصَّائِمِ الصَّابِرِ খেয়ে যে আল্লাহর শোকর আদায় করে সে ধৈর্যশীল রোযাদার ব্যক্তির সমান পুরস্কার লাভ করবে। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭৬৫ 

    জাপানে হাওয়াই এয়ারলাইন্স বিমানের জরুরি অবতরণ

    জাপানের রাজধানী টোকিওতে হাওয়াই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। চলতি মাসে জাপানে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। বৃহস্পতিবার দেশিটর সরকারি এক কর্মকর্তা একথা জানান।
    স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে জাপানের রাজধানীর উপকণ্ঠে নারিতা বিমানবন্দরে ফ্লাইট এইচএ ৪৪২ জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় সাপোরা নগরী থেকে হনুলুলুতে যাচ্ছিল।
    নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, পাইলট বোয়িং ৭৬৭’র হাইড্রলিক ব্যবস্থার এক ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখতে পান।
    তিনি আরো জানান, জরুরিভাবে অবতরণ করা এ বিমানের ২৪৮ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যের কেউ আহত হয়নি।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ কর্মকর্তা বলেন, কি কারণে বিমানটি জরুরি অবতরণ করলো তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

    এদিকে ঐ এয়ারলাইন্সের টোকিও অফিস তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।

    ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাট দলের জাতীয় সম্মেলনে বার্নি স্যান্ডার্স এমন নেতৃত্ব চাই না, যে মুসলিম ও নারীদের নিয়ে বিদ্রপ করবে    

    সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনেরই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির এই জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাল্টিমোরের মেয়র স্টেফেনি রাওলিং। স্থানীয় সময় গত সোমবার শহরের ওয়েলস ফার্গো সেন্টারে চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে সমাপনী অধিবেশনে নিজের কর্মসূচির আলোকে বক্তব্য দেবেন দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, চলতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়া হবে ডেমোক্রেটিক দলের এ সম্মেলন থেকে। দলটির চার হাজার ৭৬৫ ডেলিগেটের ভোট দেয়ার কথা। দলের মনোনয়ন পেতে প্রয়োজন দুই হাজার ৩৮৩ ডেলিগেটের সমর্থন। বার্তা সংস্থা জানায়, এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ডেলিগেটের সমর্থন জোগাড় করেছেন হিলারি ক্লিনটন। এই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি দুই হাজার ৮০৭ ডেলিগেটের সমর্থন পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬০২ জন সুপার ডেলিগেট। অন্যদিকে মনোনয়ন দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকা বার্নি স্যান্ডার্স জোগাড় করেছেন এক হাজার ৮৯৪ ডেলিগেটের সমর্থন। তাই ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন হিলারি ক্লিনটনই পাচ্ছেন, এটি নিশ্চিত। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য অপেক্ষা। সোমবার জাতীয় সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছে স্যান্ডার্সের সমর্থকরা। উইকিলিকসের ফাঁস করা ই-মেইল তথ্যে দেখা গেছে, ডেমোক্রেটিক দলের নেতারা প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচনের লড়াইয়ে স্যান্ডার্সের পরিবর্তে হিলারির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা স্যান্ডার্সকে নিয়ে বিদ্রƒপ ও সমালোচনা করেছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে রোববার দলের প্রধান ডেবি ওয়াসারম্যান শুলজ পদত্যাগও করেছেন। ডেমোক্রেটিক সম্মেলন ঘিরে ফিলাডেলফিয়া শহরে বার্নি স্যান্ডার্সের সমর্থকদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। অনেকে হিলারি ক্লিনটনবিরোধী স্লোগানও দেন। আবার সম্মেলনস্থল ও এর আশপাশে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিতেও দেখা যায়। রিপাবলিকান দলের প্রায় এক সপ্তাহ পর শুরু হলো ডেমোক্রেটিক দলের সম্মেলন। গত ২১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে বিভিন্ন বিতর্কের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া ওই সম্মেলনে মার্কিন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকানরা মনোনয়ন দিয়েছে। সোমবার স্যান্ডার্স সম্মেলনে বলেন, আমাদের এমন একজন নেতা প্রয়োজন যিনি আমাদের লোকদের একত্র করবেন এবং দেশকে শক্তিশালী করবেন। এমন নেতৃত্ব চাই না যে ল্যাটিন, মেক্সিকান, মুসলমান, আফ্রিকান-আমেরিকান ও নারীদের বিদ্রƒপ করবেন। প্রত্যেক পর্যবেক্ষকই এই সিদ্ধান্তে আসবেন যে, তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের কারণে একমাত্র হিলারি ক্লিনটনেরই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।

    ক্যামেরার সামনে অট্টহাসি দিলো জাপানের ছুরি হামলাকারি

    জাপানের মানসিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে ছুরি হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে হত্যা করা ওই ব্যক্তিকে বুধবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অট্টহাসি দিতে দেখা গেছে। দেশের ইতিহাসে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় জিজ্ঞাবাদের জন্য নেয়ার আগে সে এভাবে হাসে।
    ২৬ বছর বয়সী জাপানের এ নাগরিক বারবার জানায়, সে ছুরি হামলা চালিয়ে সকল প্রতিবন্ধীকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
    এ সময় নীল রংয়ের জ্যাকেট দিয়ে মাথা মুড়িয়ে থাকা সাতোশি উয়িমাতসুকে একটি থানার বাইরে নিরাপত্তা কর্মীরা ঘিরে রেখেছিল। তারা সেখানে একটি ভ্যানের অপেক্ষায় ছিল। গাড়ির ভিতরে জ্যাকেট সরিয়ে ফেলায় ভিডিও ফুটেজে তাকে উচ্চস্বরে হাসতে দেখা যায়।
    জাপানের তিসুকুই থানার এক কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে প্রসিকিউটরদের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধী কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর উয়িমাতসুকে ওই থানায় রাখা হয়েছিল।

    পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর হামলাকারী গ্রেফতার: জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে হামলায় নিহত ১৯ 

    জাপানের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ২৫ জন। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশের পক্ষ তেকে জানানো হয়েছে। জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কানাগাওয়া পুলিশ সাতোশি উয়েমাতসু নামে ২৬ বছরের ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। উয়েমাতসু নিজেই সুখুই পুলিশ স্টেশনে এসে আত্মসমর্পণ করেন। উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করে চাকরি ছেড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে আত্মসমর্পণ করে হামলাকারী স্বীকার করে বলেছেন আমি এটা করেছি। হামলাকারী পুলিশকে আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা না থাকলেই ভালো। পুলিশ জানিয়েছে, উয়েমাতসু শহরের সাগামিহারার সেবাকেন্দ্রের একজন সাবেক কর্মী এবং শহরেই তিনি বসবাস করতেন। আত্মসমর্পণের সময় তার ব্যাগে একাধিক ধারালো ছুরি ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত ছিল। খুনের উদ্দেশ্য ও অননুমোদিতভাবে একটি ভবনে প্রবেশের প্রাথমিক অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সুখুই ইমায়াইউরি এন (সুখুই লিলি গার্ডেন) প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে গত সোমবার রাত আড়াইটায় ছুরিকাঘাতের ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুনাগাওয়া গভর্নর ইউজি কুরিওয়া নিহত ও তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের যে কোনও ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেছেন। কেন তিনি চাকরি ছেড়ে দেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ঢুকে ছুরিকাঘাতে ১৯ জনকে হত্যা করেছে প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মী। রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগামিহারায় সরকারি এ সেবাকেন্দ্রে বাসিন্দাদের সবাই শিশু ও বৃদ্ধ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ২৬ বছর বয়সী সেবাকেন্দ্রের সাবেক কর্মি সাতোশি ইমাৎসু আত্মসমর্পণ করে। তবে কেন সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। জাপানের গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি জঘন্য হত্যাকা- বলেছে দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ২০০১ সালের এইদিনে একটি স্কুলে আট শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এক প্রতিবন্ধী। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আটকের পর হামলাকারী পুলিশকে বলেছে, আমি এই দুনিয়া প্রতিবন্ধীমুক্ত করতে চাই। ঘটনাস্থলে ২৯টি জরুরি চিকিৎসক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। আহতদের জরুরি সেবা দিতে চিকিৎসকদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। সাগামি নদীর পাড়ে গাছপালা পরিবেষ্টিত সাড়ে ৭ একরেরও বেশি জমিতে প্রতিষ্ঠিত ও সরকার পরিচালিত ওই সেবাকেন্দ্রে নানা বয়েসি প্রতিবন্ধীদের সেবা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ ১৫০ জন প্রতিবন্ধীর ওই সেবাকেন্দ্রে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। কিওডো, জাপান টাইমস, বিবিসি, রয়টার্স।

    গুলশানের ঘটনা না ঘটলে জাপানবাংলাদেশ সম্পর্ক কতটা গভীর তা বুঝতাম নাঃ কাজুহিরো ওয়াতানাবে

    এনএইচকে বাংলা বিভাগের সিনিয়ার প্রযোজক কাজুহিরো ওয়াতানাবে বলেছেন, ৪০ বছর ধরে আমি এনএইচকে’র বাংলা বিভাগের সাথে জড়িত, বাংলাদেশে এমন ঘটনা কখনো ঘটতে পারে তা ছিলো আমার কল্পনার বাইরে। গুলশানের ঘটনায় আমি ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছি কিন্তু এর একটি ইতিবাচক দিকও আমার চোখে পড়েছে। আমি লক্ষ্য করেছি, জাপানিরা তাদের মন্তব্যে বলেছেন- বাংলাদেশটা এতো সুন্দর দেশ, বাংলাদেশের মানুষরা জাপানিদের এতো ভালোবাসে যা খুবই বিরল। কেউ কেউ এমন মন্তব্যও করেছেন, বাংলাদেশ তো আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি। সাধারণ জাপানিরা বাংলাদেশকে যে এতো ভালোবাসেন তা আমি এতো গুলো বছরেও বুঝতে পারিনি।

    ওয়াতানাবে বলেন, আমার ধারণা এর মাধ্যমে জাপানিরা নতুন ভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরো গভীর হবে বলেই আমার মনে হয়।

    গত রোববার ২৪ জুলাই টোকিও’র আকাবানে বিভিও হলে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরবি -জাপান, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলায় নিহতদের উদ্দেশ্যে এক শোক সভার আয়োজন করে। ওয়াতানাবে সেখানে এই বক্তব্য রাখেন।

    সামনে রাখা ৫টি দেশের নিহত ২০ জন নামের স্মৃতিফলকের সামনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত অতিথিরা এক এক করে সাদা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

    এনআরবি’র পক্ষে শহীদুর রহমান খান হিরো শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে কাজুহিরো ওয়াতানাবে, নাবি উল্লাহ আসিফ, মারুবেনি প্রধান ইনাদোমে হিদেকি, কাজী মাহফুজুল হক লাল, বাংলাদেশে কাজ করা এনজিও শাপলা নীড় চেয়ারম্যান ইউকিও ইওয়াকি, বাদল চাকলাদার, আজিয়া ব্র্যান্ডের ইশিজাকি মিয়াকো, ছালেহ মোঃ আরিফ, এমদাদুল হক, মিজানুর রহমান, খন্দকার আসলাম হীরা, জেড এম আবুসিনা, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, শেখ এমদাদ, হারুনুর রশীদ, জাকির হোসেন জোয়ার্দার, কাজী ইনসানুল হক, অভিনেতা কোদা তাৎসুইয়া, খন্দকার নাজিমুর রহমান, মুনসী কে আজাদ প্রমুখ।
    রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে বলেন, অনুষ্ঠানে সকলের বক্তব্য শুনে আমি উৎসাহিত বোধ করছি। জাপানিদের ভালোবাসা ও উদারতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশে নিহত ৭ জনেরই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম, কিন্তু সে সব পরিবারের কারো চোখে আমি রাগ দেখিনি, লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাদের টিফিনের অর্থ ভারতে পাড়ি জমানো বাংলাদেশের দুঃস্থ শিশুদের জন্যে দান করেছিলো, আমরা সেই তাদেরকেই হত্যা করেছি।

    মিস ফাতিমা ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আমি আশাবাদী। গত সপ্তাহে মঙ্গলিয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র বৈঠকের পর তারা দু’দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংকল্পের কথা বলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হবে। আমরা তাদেরকে শাস্তি দেবোই -এই নিশ্চয়তা আমি আপনাদেরকে দিতে পারি। তিনি সকলকে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

    প্রতি সপ্তাহেই বিভিন্ন জাপানি প্রতিনিধি দলের সাথে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপানিরা আমাকে জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশে সাহায্য অব্যাহত রাখা উচিত কিনা, আমি তার জবাবে বলি, নিশ্চয়ই উচিত, তা না হলে সন্ত্রাসেরই জয় হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও জাপান দু’দেশই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
    অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাপানি নাগরিকরা তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশের প্রতি তাদের ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেন। তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগটি প্রশংসনীয় ছিলো। ইশিজাকি মিয়াকো তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, টোকিওর রাস্তায় এক বাংলাদেশের নাগরিকের সাথে দেখা হলে বাংলাদেশের নাগরিকটি তার কাছে ক্ষমা চান ও কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন গোটা বাংলাদেশের মানুষ এখন কতটা লজ্জিত হয়ে পড়েছে। এ সময় ইশিজাকি নিজেও অশ্রুসজল হয়ে পড়েন, ছল ছল নেত্রে কোনো মতে তার বক্তব্য শেষ করেন।
    অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন সলিমুল্লাহ কাজল।

    ৪.৮৩ বিলিয়ন ডলারে ইয়াহুকে কিনে নিল ভেরিজন

    বিশ্বখ্যাত টেক জায়ান্ট ইয়াহু ইনকর্পোরেটেডের ইন্টারনেট ব্যবসা নগদ ৪.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে আত্তীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করেছে টেলি কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ভেরিজন। এতে ধুকতে থাকা প্রতিষ্ঠানটির একটি যুগের অবসান হলো।
    ইয়াহুর ইন্টারনেট ব্যবসা কিনে নেয়ার পরে ভেরিজন তাদের আমেরিকান অনলাইন (এওএল.কম) এর উন্নতি ঘটাতে পারবে। ৪.৪ বিলিয়ন ডলারে গত বছর প্রতিষ্ঠানটিকে কিনেছিল তারা। ইয়াহুর বিজ্ঞাপন টেকনোলজি, মেসেঞ্জার ও মেইল ব্যবহার করে এখন সেটির উন্নয়ন সাধন করতে পারবে।
    এই চুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইয়াহুর সমাপ্তি ঘটলো। তবে এই চুক্তিতে চাইনিজ ই কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা গ্রুপের ১৫ শতাংশর মালিকানা, ইয়াহু জাপান কর্পোরেশনের ৩৫.৫ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আলিবাবা ও ইয়াহু জাপানের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার যেখানে শুক্রবার পর্যন্ত ইয়াহু ইনকর্পোরেটেডের বাজারমূল্য ছিল ৩৭.৪ বিলিয়ন ডলার।

    জাপানের গবেষকরা বিপন্ন পাখির জিনোম ডিকোড করতে সক্ষম হয়েছেন

    একটি গবেষক দল বিপন্ন পাখি ইয়ানবারু কুইনা বা ওকিনাওয়া রেইল এর জিনোম ম্যাপিং করতে সক্ষম হয়েছেন। ওকিনাওয়া দ্বীপের উত্তরে ইয়ানবারু এলাকাতে পাখিটির বাস। জাপানে এই প্রথম একটি বিরল স্থানীয় প্রজাতির জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলি অনুধাবন করা সম্ভব হলো।

    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ (নিস), কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে রেইল পাখিটির ডিএনএ নিয়ে প্রজনন ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো গবেষণা করবে যাতে পাখিটির অনুকূল প্রজনন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তা ছাড়াও তারা অন্যান্য বিরল প্রজাতির প্রাণী গুলোর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানার চেষ্টা করবেন।

    ইয়ানবারু কুইনা’র অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে ১৯৮১ সালে, এটি জাপানের একমাত্র ডানা-বিহীন পাখি। এক সময় এগুলোকে পুরো ইয়ানবারু এলাকাতেই পাওয়া যেতো কিন্তু হাবু সাপ প্রতিরোধ করতে সেখানে বেজি ছেড়ে দেয়া হলে পাখিটির সংখ্যা দ্রুত কমে যায়।

    ২০০৬ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় রেইল পাখিটিকে “অতি বিপন্ন” হিসেবে ঘোষণা করে, যার অর্থ বিলুপ্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে আনুমানিক প্রায় ১,৫০০ ইয়ানবারু কুইনা রয়েছে।

    ২০০৮ সালে পাখিটিকে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ইয়ানবারুর একটি বেসরকারী স্থানে কৃত্তিমভাবে রেইল’র সংখ্যা ৭০টি বাড়ানো সম্ভব হয়। তবে পাখিটির এমন একটি রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে রোগটি রেইল’র পায়ে টিউমারের সৃষ্টি হয় এবং এ অবস্থায় ছেড়ে দিলে সেগুলোর মৃত্যুও হতে পারে।

    ২০১১ সালে নিস এর সিনিয়ার গবেষক মানাবু ওনুমা এবং তার দল মৃত ইয়ানবারু কুইনা পাখির বহিশ্চর্মগত ত্বকের কোষের ডিএনএ অনুক্রম করা শুরু করেন। গবেষকরা তাদের জিনোম অনুক্রম তথ্য জুলাইয়ের ১ তারিখ প্রকাশ করেন।

    প্রকাশিত তথ্য চাপ ও রোগ প্রতিরোধী রেইল জিনের লক্ষ্যে ডিএনএ গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    তুরস্কে অভ্যুত্থান এরদোয়ানের সাজানো নাটক: গুলেন

    তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেছেন তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন। এরদোয়ানের একসময়ের সহযোগী গুলেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে রয়েছেন।
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের কোনো আদেশ জারি করা হলে তা পালন করবেন বলে রবিবার জানিয়েছেন গুলেন।
    গেল শুক্রবার রাতে তুর্কি সামরিক বাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের চেষ্টা করে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর সব অংশ সমভাবে সাড়া না দেওয়ায় এবং এরদোয়ানের ত্বরিত পাল্টা পদক্ষেপে বিদ্রোহীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
    এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গুলেন ও তার নেতৃত্বাধীন হিজমেত আন্দোলনকে দায়ী করেন। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়ে গুলেনের বিচারের জন্য তাকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। অভ্যুত্থানের সঙ্গে গুলেনের জড়িত থাকার প্রমাণ দাখিল করতে পারলে গুলেনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে সেইলবার্গের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলেন বলেন, “সত্যিকার অর্থে প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই।”
    সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করার পর এ ঘটনায় জড়িতদের দমন করতে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

    দেশ জুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার জনকে আটক করেছে তুরস্ক। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে উচ্চপদস্থ সেনা সদস্যসহ দুই হাজার ৭০০ বিচারক। সেইসঙ্গে প্রায় সাত হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে দেশটিতে।

    ভূমিকম্পে কাঁপল জাপানের পূর্বাঞ্চল

    জাপানের পূর্বাঞ্চলে পাঁচ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এতে রাজধানী টোকিওর ভবনগুলো কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও দেশটির কর্মকর্তারা।
    রবিবারের এই ভূমিকম্পে কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই এবং তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
    ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র টোকিও থেকে ৪৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৪৪ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

    এনএইচকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে টোকিওর ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ইবারাকি প্রিফেকচারের টোকাই নাম্বার টু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, কিন্তু কোনো ক্ষয়ক্ষতির আলামত পাওয়া যায়নি। ২০১১ সাল থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে উৎপাদন বন্ধ আছে। বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থানের কারণে জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।

    দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে নাক গলানো থেকে দূরে থাকতে জাপানের প্রতি চীন

    চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’কে শুক্রবার বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে জাপানের নাক গলানো এবং প্রতারণা করা থেকে দূরে থাকা উচিত। মঙ্গলিয়াতে তারা আঞ্চলিক বৈঠকে মিলিত হন।

    মঙ্গলবার হেগ এর আন্তর্জাতিক আদালতের দেয়া রায় মেনে নিতে অস্বীকার করেছে চীন এবং মামলার শুনানিতেও অংশ নেয়নি। আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পশ্চিমা দেশ গুলো এবং জাপানের আহ্বান চীনকে বেজায় ক্রুদ্ধ করে।

    মঙ্গলিয়ার রাজধানী উলান বাটর এ অনুষ্ঠিত বৈঠকে লি আবে’কে বলেন দক্ষিণ চীন সাগর প্রশ্নে চীনের অবস্থান সম্পূর্ণ ভাবে আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ

    “দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে জাপান সরাসরি যুক্ত নয় এবং সে কারণে মন্তব্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক হওয়া উচিত এবং প্রতারণা ও নাক গলানো বন্ধ করা উচিত” লি বলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।

    জাপানের কিয়োদো নিউজ জানিয়েছে আবে লি’কে বলেন, আইন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিধিকে সম্মান জানানো উচিত।

    জাপানে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প

    জাপানের পূর্বাঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। রবিবার এই কম্পন অনুভূত হয়।
    মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল টোকিও থেকে ৪৪ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৪ কিলোমিটার নিচে।

    ভূমিকম্পের ফলে টোকিও ভবন কেঁপে উঠলে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া এতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।

    গুলশান হামলা: জাপানি নাগরিকের বেঁচে যাওয়ার গল্প

    গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলা থেকে বেঁচে ফেরা একমাত্র জাপানি নাগরিক তামাওকি ওয়াতানাবে বাগানের এক ঝোপে লুকিয়ে হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। জাপানি তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে জাপান টাইমস।
    ৪৬ বছর বয়সী তামাওকি ওয়াতানাবে গুলশান হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এখন টোকিওর এক হাসপাতালে আছেন তিনি। আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন তামাওকি। তিনি জানিয়েছেন, হলি আর্টিজানে গোলাগুলি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফে থেকে বের হয়ে বাগানের ঝোপে এসে আশ্রয় নেন। জাপানি পুলিশের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারে তামাওকি নিশ্চিত করেন, তার সঙ্গে আরও ৭ জাপানি নাগরিক ছিলেন। এবং জঙ্গিবিরোধী অপারেশন শেষে তাদের কেউ ভবন থেকে বের হয়ে আসেননি।
    তামাওকি সেই ১৩ জনের একজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় যারা গুলশানের অভিযান শেষে বের হয়ে এসেছিলেন। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে জাপান টাইমস জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার কথোপকথনের সময় শান্ত ছিলেন তামাওকি। এর আগে ৭ জুলাই মঙ্গলবার গুলশানের আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলায় নিহত জাপানিদের মরদেহ নিজ দেশে পৌঁছায়।
    আহত জাপানি নাগরিক তামাওকিও অন্য একটি বিমানে করে দেশে পৌঁছান। জাপানের সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস খবরটি নিশ্চিত করেছে। জাপানের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্ট্রেচারে করে টোকিওর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার মরদেহবাহী বিমানটি অবতরণের পর সাদা কাপড়ে ঢাকা কফিনগুলো নামিয়ে আনা হয়।

    এর পর চার চাকাবিশিষ্ট কার্গো ট্রলিতে কফিনগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং অন্য কর্মকর্তারা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।